আনো সাকি সিরাজী আনো আঁখি-পেয়ালা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ২৯/১১/২০১৪ - ৯:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

'বাংলাদেশের বুকে পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সর্বহারা শ্রেণীর রাজনৈতিক দল গনসংহতি আন্দোলন'র এক যুগ পুর্তি উপলক্ষে গনসংহতি আন্দোলনের প্রধান কমরেড জোনায়েদ সাকির বক্তব্য থেকে নিচের পর্যবেক্ষণগুলো টুকে রাখলাম। বক্তব্যটির ভিডিও ইউটিউবে পাওয়া যাচ্ছে নিচের লিঙ্কে-

বক্তার সার বক্তব্য- দেশ পরিচালনায় আওয়ামী লীগ = বিএনপি জোট। তিনি বলছেন, দেশের মানুষ আজ আওয়ামী লীগ জোট ও বিএনপি জোটের ক্ষমতা দখলের জ্বালানী। এরা বিপরীতে জোট-মহাজোটের রাজনৈতিক সহিংসতার বিরুদ্ধে গণ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন তিনি। ২০১৩ সালে দেশব্যাপী বিএনপি-জামাত-হেফাজতের তাণ্ডব, বিএনপি কর্মীদের হাতে জীবন্ত মানুষ পুড়ে দগ্ধ হওয়া এবং শিবির কর্মীদের বাসে পেট্রোল বোমা মারার সাথে ওই সময়কার আওয়ামী লীগকে এক সমীকরণে বেঁধে ফেলা ন্যায্য কী? এই সহজ সমীকরণকে আমরা কি বলতে পারি না, ধর্ষক আর ধর্ষিতা উভয়ে সমান দোষে দোষী?

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রশ্নে কমরেড সাকির বক্তব্যে সরকারের সমালোচনা আছে বিস্তর, কিন্তু ফাঁসি কার্যকর কিংবা বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে তাঁর ষোল মিনিটের বক্তৃতায় কোন কৃতজ্ঞতা নেই। শ্রমিক-কৃষক-মধ্যবিত্তের কাছে আশু/গৃহীত কর্মসূচি পেশ করার চাইতেও তিনি আওয়ামী লীগ আর বিএনপির অসারতা প্রমাণেই অতি উৎসাহ দেখিয়েছেন। প্রশ্ন উঠে, বাংলাদেশের বুকে বামঐক্যই যেখানে আন্তর্জাতিকভাবে ক্রমহ্রাসমান, জাতীয়ভাবে ক্রমম্রিয়মান এবং প্রান্তিকভাবে ক্ষয়িষ্ণু; সেখানে উদারনৈতিক বুর্জোয়াশ্রেণীর রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব প্রমাণেই বক্তা অনেক বেশি আগ্রহী। দেশের বর্তমান সংকটের সমাধানে বক্তা 'গণতান্ত্রিক সংবিধান' প্রনয়নের স্লোগানের ডাক দিয়েছেন। কিন্তু, প্রশ্ন হলো সেই গণতান্ত্রিক সংবিধান গড়ে তোলার লক্ষ্যে বৃহত্তর বামঐক্য কিংবা প্রগতিশীল/উদারনৈতিক/দেশপ্রেমিক/মানবতাবাদী দল/ব্যক্তি/গ্রুপের প্রতি কোন আহ্বান নেই কেন?

বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারেক জিয়া ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের আগমন ও অন্তর্ভুক্তিকে বক্তা বলছেন- রাজনৈতিক পরিবারতন্ত্র। এখন যদি প্রশ্ন করা হয়, উত্তর কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট কিম জং ইলের মৃত্যুর পর ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসা তার পুত্র তরুণ নেতা কিম জং উনকে নিয়ে বাংলাদেশের বামমহল এবং গণসংহতি আন্দোলনের বক্তব্য কী? কোন গণতান্ত্রিক নির্বাচন ছাড়া বাবার মৃত্যুর পর কিমকে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন “মহান উত্তরাধেকারি” হিসেবে ঘোষণা করা নিয়ে সেখানে কি পরিবারতন্ত্রের চিহ্ন খুজে পাওয়া যায়? তিনি যে বলছেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের লুণ্ঠন তৎপরতা চূড়ায় পৌঁছে গেছে। যেটা বিএনপি আমলের লুণ্ঠনের একচেটিয়া রূপকে ছাপিয়ে যায়। আর এর মূলকে তিনি দায়ী করেছেন পরিবারতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতির মাধ্যমে। সমাজতান্ত্রিক দেশের এই পরিবারতন্ত্রকে কিভাবে দেখেন তিনি?

সরকার ঘোষিত সম্প্রচার নীতিমালাকে কঠোরভাবে সমালোচনা করা হয়েছে বক্তব্যে। কিন্তু প্রশ্ন উঠে, সোভিয়েত রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়াসহ সমাজতান্ত্রিক দেশের সম্প্রচার নীতিমালার কঠোরতা সম্পর্কে বক্তা ওয়াকিবহাল কিনা!

গণসংহতির একটি ঢালাও বক্তব্য এখানেও শোনা গেল যে, মার্কিন-ভারত অক্ষশক্তির সাথে বিভিন্নমুখী চুক্তির কারণে বাংলাদেশ সাম্রাজ্যাবাদী শক্তির কাছে নতজানু। কিন্তু, প্রশ্ন উঠে, একটি স্বাধীন দেশের অস্তিত্বকে অবজ্ঞা করে যখন মার্কিন শক্তি নানাধরণের মামা বাড়ির আবদার করে, তখন আওয়ামী লীগের এইসব প্রতিবাদী প্রতিক্রিয়াকে গণসংহতি আন্দোলন কিংবা কমরেড জোনায়েদ সাকি কোনভাবেই আমলে নেন না। মানবাধিকার বিষয়ে পশ্চিমাদের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন কি তুলেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা? যত সহজে সাম্রাজ্যবাদের কাছে নতজানু হিসেবে আওয়ামী লীগকে সাকি উপস্থাপন করছেন, তার চাইতেও সহজে গাজা নিয়ে জাতিসংঘের সমালোচনায় মুখর ছিলেন না হাসিনা? কমরেড সাকি বোধহয় এই বক্তব্যটি আমলেই নিবেন না যে, মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে উদ্দেশ করে কৃষিমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘এটা স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশ। এই দেশের ভবিষ্যত্ নিয়ে এ দেশের মানুষই ভাববে। আপনাকে ভাবতে হবে না। তাই হিসাব করে কথা বলবেন।’ কাদের মোল্লা প্রশ্নে যখন জাতীয়তাবাদ বিপন্ন হয় সাম্রাজ্যবাদীদের কাছে তখন কেন হাসিনাকে একাই সাম্রাজ্যবাদ মোকাবেলা করতে হয়, কমরেড সাকি? কিংবা খেয়াল করে দেখুন তো, জাতিসঙ্ঘের এই আচরণের কী প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলো আপনাদের ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকার?

আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত একটি দেশ ও তার ভিত্তি বাহাত্তরের সংবিধানকে তিনি বলেছেন- ১৯৭২ সন থেকে এই সংবিধান দিয়ে স্বৈরাচারী শাসন কায়েম হয়ে আছে। প্রশ্ন হলো, গত বারো বছরে কমরেড জোনায়েদ সাকি কিংবা তার রাজনৈতিক দল কি বিকল্প সংবিধান/খসড়া সংবিধান জনতার কাছে তুলে ধরেছেন?

বক্তার ভাষ্য অনুযায়ী ২০১৪ সালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দল 'গণসংহতি আন্দোলন'। সাম্প্রতিক দেশ যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রশ্নে 'গণজাগরণ মঞ্চ' গঠিত হলো, সেই গণজাগরণ মঞ্চের অংশীদার হিসেবে গণসংহতির ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশে ছাত্র ফেডারেশনের অংশগ্রহণ নেই কেন? যুগপূর্তি অনুষ্ঠানে গণসংহতি আন্দোলনকে অভিবাদন জানিয়ে একটি প্রশ্ন রাখছি, গণসংহতি আন্দোলনের ঘোষণাপত্র ও গঠনরীতি কী? দলের নেতৃত্ব নির্বাচন, অর্থ সংগ্রহ ও ব্যয় ব্যবস্থাপনা, দলীয় সম্পদ সংরক্ষণ ও ব্যবহার নিয়ে লিখিত ঘোষণা কোথায় পাওয়া যাবে?

কথায় আছে, শীতে জমে রাজনীতি। এই শীতের শুরুতে 'গণসংহতি আন্দোলনের আপসহীন সংগ্রামের এক যুগ (২০০২-২০১৪) পূর্তি'তে সার্বভৌম, জনগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে জেলায় জেলায় জনসভা করছেন জোনায়েদ সাকি ও তাঁর দল। আজ থেকে ঠিক এক শীত আগে, যখন সারাদেশে নির্বিচারে হেফাজতের উগ্রতায় দেশের কোটি টাকার গাছ কেটে রাস্তা অবরোধ হচ্ছিলো, সেই অবরোধ প্রতিরোধে সারা দেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি? কিংবা গণসংহতি ডমিনেটেড ও অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ পরিচালিত তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি কি এইভাবে দেশ সফর করেছিলেন? কমরেড সাকি কিংবা গণসংহতি আন্দোলন প্রকৃতি ও পরিবেশের ওপর সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বব্যবস্থার অব্যাহত আগ্রাসন নিয়ে সোচ্চার হলেও নিজের দেশের ঘরের শত্রু হেফাজতের প্রকৃতি বিনাশী অপতৎপরতাকে কি চিনতে পারছেন না, নাকি চিনেও না চেনার ভান করছেন?

কমরেড জোনায়েদ সাকি, আপনি কিন্তু খুবই সজ্জন এবং সামাজিক মানুষ। সমাজের বিভিন্ন প্রোগ্রামে আপনার নিয়মিত হাজিরা থাকে, এমনকি বিনম্র শ্রদ্ধায় কুখ্যাত কমরেড পিয়াস করিমকে শেষ বিদায় অনুষ্ঠানেও। ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের পতনের জন্য রাজনৈতিক লড়াইয়ে আপনি প্রেসক্লাবের সামনে অগ্নিঝরা বক্তব্য দেন, আবার পিয়াস করিমের লাশের সামনে দাঁড়িয়ে বিলাপ করে ও বলেন- 'গতকাল রাতেই তো পিয়াস ভাইয়ের সাথে ডিনার করলাম। তখন কি জানতাম ওটাই ছিলো শেষ ডিনার?'

যতটা উচ্ছ্বাস আর উৎসাহ নিয়ে আপনি মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলায় চূড়ান্ত রায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডকে বর্তমান সরকার এবং জামায়াতের আঁতাতের প্রতিফলন বলে উল্লেখ করেছেন, গোলাম আযমের মৃত্যু এবং কাদের মোল্লার ফাঁসি কিংবা অন্য যুদ্ধাপরাধীদের রায়ের দিন আপনি কেন ফুল-লতা-পাখি-তেল-গ্যাস-হেজিমনি-চমস্কি-কস্কি-নীরবতা-ব্লাহ ব্লাহ ব্লাহ থাকেন কেন, [url=তোমার আঁখির কসম সাকি]তোমার আঁখির কসম সাকি[/url] বলো?

লিখেছেন: প্রজাবাহিনী


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

মডারেটরকে বলছি, এখানে কি সরকারের সমালোচনা করলে ছাপবেন?
লেখক কে বলছি, আপনার মূল কথাটা কি? কি বুঝাতে চাইছেন?
আপনি কিন্তু ঘুরিয়ে পেচিয়ে পরিবার তন্ত্রকেই সমর্থন দিলেন।
সাকি সাহেবের কথার প্রেক্ষিতে আপনি উত্তর কোরিয়ার প্রসংগ আনলেন। উত্তর কোরিয়া কখনো বলে না তারা গনতন্ত্র বহন করে, সুতরাং তাদের দেশে কি ভাবে নেতা হচ্ছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না। আমাদের দেশে বলা হয় যে আমরা গনতন্ত্র বহন করি।
মতিয়া মার্কিন রাষ্ট্রদুতকে সরাসরি কিছু বলে নাই, তিনি বলেছেন জনসভাতে মানুষদের সামনে, এটা গরম গরম কথা যেটা আমাদের দেশের নেতারা মানুষদের সামনে বলে থাকে। মতিয়া মার্কিন রাষ্ট্রদুতকে চিঠি লিখে প্রতিবাদ করেছিল?

'আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত একটি দেশ ও তার ভিত্তি বাহাত্তরের সংবিধান' - কি বুঝাতে চাইছেন? মুক্তিযুদ্ধের ঘোষনা পত্র আর ৭২ এর সংবিধান কি এক ছিল?

দেশ বন্ধু

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি হয়তো সময় নিয়ে পুরো পোস্টটি পড়ে দেখেননি। পড়লেই বুঝতে পারতেন, এই লেখার 'মূল কথাটা' হলো পোস্টের একেবারে শুরুতেই উল্লেখিত 'জোনায়েদ সাকির বক্তব্য থেকে নিচের পর্যবেক্ষণগুলো টুকে রাখা'। জোনায়েদ সাকি বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় একজন তরুণ রাজনীতিক। তাঁর রাজনৈতিক বক্তৃতার সামাজিক প্রভাবও আছে কিছুটা, অন্তত কর্মীদের মাঝে। লেখক হিসেবে আমি মনে করেছি, উনার বক্তব্যটি বোঝার চেষ্টা করা।

'আপনি কিন্তু ঘুরিয়ে পেচিয়ে পরিবার তন্ত্রকেই সমর্থন দিলেন।' আমি কোথাও ঘুরে যাইনি কিংবা আপনাকে প্যাঁচে ফেলিনি। পরিবারতন্ত্র যখন সমাজতন্ত্রের নামে হয়, তখন সেটা বাংলাদেশের সকল সাম্যবাদী দলের কাছে গ্রহণযোগ্য, কিন্তু নিজ দেশে দুই প্রধান রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষেত্রে সেটা কেন অগ্রহনযোগ্য সেই প্রশ্নটিই কেবল উত্থাপন করেছি। কমরেড জোনায়েদ সাকি সমাজতন্ত্র এবং চূড়ান্ত বিচারে সাম্যবাদী সমাজ ব্যবস্থার জন্য শ্রেণী সংগ্রাম করছেন। সমাজতন্ত্র হচ্ছে অগ্রসর গণতন্ত্র। সেখানেই যদি পরিবারতনন্ত্র চলে তবে এই আর কী বলার আছে, কমরেড?

আপনাকে অনুরোধ জানাচ্ছি, গত দেড় বছর ধরে আওয়ামী লীগের নেতাদের মার্কিন বিরোধী বক্তব্যগুলো (হোক কাগুজে হুংকার কিংবা ঘরোয়া বিরক্তি) খেয়াল করুন। অনেক লিঙ্ক হাইপার লিঙ্ক করা আছে। এগুলোর তাৎপর্য হলো এই যে, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত অসমাপ্ত জাতীয়তাবাদী লড়াইয়ে আওয়ামী লীগ কিছুটা হলেও আপনাদের সেই ইঙ্গ-মার্কিন-জাতিসঙ্ঘের বিরোধিতা কিছুটা হলেও করছে। ইঙ্গ-মার্কিন-জাতিসঙ্ঘের বিরোধিতাতো পুরানা পল্টন-তোপখানা বাসীদের নিয়মিত কাজকর্ম। শেখের বেটি কিংবা মতিয়া যখন তাদের হয়ে কাজটা আউগাইয়া দেয়, তখনো কমরডে সাকিরা তাদের এতটুকু ধন্যবাদ দেয়ার উদারতা দেখায় না। আমার ফোকাস পয়েন্ট ওটাই।

'মতিয়া মার্কিন রাষ্ট্রদুতকে চিঠি লিখে প্রতিবাদ করেছিল?' না। চিঠি লিখে প্রতিবাদ জানাই নাই। যেমনটি আমিও আপনাকে কমরেড সাকিনুভূতিতে চিঠি লিখে আহত করি নাই। আপনি হয়তো জানেন না, বাংলাদেশের সকল এম্ব্যাসিতে ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা রাখা হয়। এবং দেশের খোঁজখবরগুলো তাঁরা পত্রিকা থেকেই পান। সব প্রতিবাদই কি আসলে চিঠিতে হয়, বলুন? আপনি সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা করেন, ওবামাকে চিঠি লিখে করেন?

আপনার শেষ প্রশ্নটির উত্তর হলো- 'হ্যাঁ'।

ধন্যবাদ।

শেহাব এর ছবি

ছোট্ট একটি প্রশ্ন: গণসংহতি আন্দোলনের গত বছরের আর্থিক লেনদেনের রিপোর্ট পাওয়া যাবে?জাস্ট একটু স্বচ্ছতার জন্য?

অতিথি লেখক এর ছবি

কেন্দ্রিয় দফতরের সাথে যোগাযোগ করলে নিশ্চয় পাওয়া যাবে। কিন্তু, এর চাইতেও গুরুতর প্রশ্ন এটা যে, গত বারো বছরে এই দলের কোন ঘোষণাপত্র বা গঠনরীতি তৈরি হয়নি। ঠিক কোন কোন আদর্শিক কারণে জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বাধীন ৬ তরুণ বদরুদ্দীন উমরের নেতৃত্ব গণতান্ত্রিক বিপ্লবী জোট থেকে বের হয়ে গণসংহতি আন্দোলন নামে নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম করলেন তার ব্যাখ্যা সেই ২০০২ সালেও তাঁরা দিতে পারেননি, এখনো নয়। একটি দল বা পলিটিক্যাল প্ল্যাটফর্মের যদি জনতার প্রতি সুনির্দিষ্ট ঘোষণাই না থাকে তবে তাকে রাজনৈতিক দল বলা যাবে কিভাবে? নিজেরাই নিজেদের সংবিধান বানাতে পারলেন না, তাঁরা কেন বাহাত্তরের সংবিধান ছুড়ে ফেলার স্লোগান দেন, জানি না।

শেহাব, আপনাকে ধন্যবাদ পোস্ট পড়ার জন্য।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।