অভিজিৎ রায়রা কেন খুন হয় ? দায় আমার

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২৭/০২/২০১৫ - ৪:০১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কাছের মানুষের সস্তা ধর্মানুভূতির কথা মাথায় রেখে কিংবা স্বার্থপরের মত নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে লেখালেখি করা মানুষগুলোর অধিকাংশই ছদ্মনামে বা বেনামে লেখালেখি করে । ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের ধারালো চাপাতি তাই খুজে পায় অভিজিৎ রায়ের মত মুখচেনা মানুষগুলোকেই । কারণ ? কারণ ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে লেখালেখি করা হাজারো পরিচয়হীন ব্লগারের ভিড়ে অভিজিৎ রায়দের খুব সহজেই আলাদা করে ফেলা যায় বলেই । আমার মত মেরুদণ্ডহীন বেনামী ব্লগার চাপা চিৎকার করে যাই । গুমরে কাঁদি । মৌলবাদীদের ভয়ে ছদ্মনামের আড়ালে লুকিয়ে বৃথা আস্ফালন করে যাই । কারো টনক নড়ে না । কারণ আমাদের পরিচয় নেই । আমাদের ছদ্মনাম হালনাগাদ করা নেই ভোটার তালিকায় । আমাদের নেই কোন সংগঠন । রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আমাদের যৌক্তিক দাবীও তাই বেনামী নাস্তিক ব্লগারের প্রলাপ । অভিজিৎ রায়ের আদর্শ ( মুক্তচিন্তা এবং প্রগতিশীল চিন্তা ) বুকে নিয়ে আমরা গোপনে এক প্রগতিশীল বাংলাদেশের স্বপ্ন লালন করে যাই । অথচ আমাদের চেনা গণ্ডীর মানুষের কাছে সে আদর্শ থেকে যায় অজানা, কোন এক নাস্তিকের আদর্শ হিসেবে । অভিজিৎ রায়ের মত প্রগতিশীল মানুষ তাদের মনের কোন এক কোনে জায়গা পায় ধর্মানভূতিতে আঘাত দেয়া এক নাস্তিক ব্লগার পরিচয়ে ।

বাংলা ব্লগে লেখালেখি করার সংখ্যা কত ঠিক জানা নেই । ডিজিটাল বাংলাদেশের থ্রিজি ইন্টারনেট আর সস্তা চাইনিজ মোবাইল মুঠোফোনের সুবাদে মাইক্রব্লগিং করা ব্লগারদের ধর্তব্যের মধ্যে আনলে হয়তো কয়েক লাখ । এই লাখো ব্লগারের ভিড়ে, সুস্থ ভাষায় গুছিয়ে লেখালেখি করা ক্ষমতা খুব বেশি মানুষের আছে বলে মনে হয় না । লেখালেখির অভ্যাস কম থাকলেও ব্লগ পড়ার অভিজ্ঞতা বলে এমন ব্লগারের সংখ্যা হাজার ছাড়ায় নি । আর মনে দাগ কাটতে পারে এমন লেখকের সংখ্যা হয়তো হাতে গুনে বলে দেয়া সম্ভব । এই হাতে গোনা মানুষদেরই একজন অভিজিৎ রায় । বাংলা ব্লগে ধর্মান্ধতা, বিজ্ঞানমনষ্কতা, যুক্তিনির্ভর চিন্তা নিয়ে লেখালেখি করা ব্লগারদের মাঝে সবচেয়ে অগ্রগামী লেখকদের একজন । তার প্রতিষ্ঠিত "মুক্তমনা" ব্লগ ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে এবং বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার খবর নিয়ে লেখালেখি করার সুযোগ করে দিয়েছেন অনেক ব্লগারকেই ।

ঘন্টাখানেক আগে খবর পেলাম অভিজিৎ দা আর নেই । বই মেলা থেকে স্বস্ত্রীক বের বের হওয়ার পথে ইসলামী উগ্রবাদীদের চাপাতির আঘাতে নিহত হয়েছেন । আহত অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টি.এস.সি চত্বরের সামনেই কুপিয়ে আহত করা হয় দুজনকেই । একই ভাবে হত্যা করা হয়েছিল প্রয়াত হুমায়ুন আজাদ স্যারকেও । ইসলামী উগ্রবাদীদের একই রকম হামলায় নিজের বাসার সামনে নিহত হয়েছিলেন ব্লগার রাজীব হায়দার । আমাদের দায়িত্বশীল সংবাদ মাধ্যমগুলো তথাকথিত ধর্মানুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে "ইসলামী উগ্রবাদী/মৌলবাদী " শব্দগুলো চেপে গিয়ে নির্লজ্জ্বের মত "অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত্ব/আততায়ীর হামলায় ব্লগার নিহত" টাইপ সংবাদ পরিবেশন করে চলেছে ।

মধ্যপন্থা অবলম্বনকারী মুসলিমদের মাঝে যারা অভিজিৎদাকে চেনেন তারা এই খবর পেয়ে, "এটা আমার ধর্ম না । ইসলাম শান্তির ধর্ম । ইসলাম শান্তির ধর্ম .... " টাইপ প্রবোধ দিয়ে নিজ নিজ কাজে মন দিবেন । যারা চেনেন না কেউবা আবার যুক্তি খুজবেন, "ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেয়ার কি দরকার ছিল ? দিলে এমন হতেই পারে ।" প্রোঅ্যাকটিভ ধার্মিকরা " ইহা প্রকৃত ইসলাম নহে " টাইপ হ্যাশট্যাগ মুভমেন্ট শুরু করবেন । মডারেটদের বাড়িয়ে দেয়া ছাতার নিচে বসে মৌলবাদীরা তাদের চাপাতিতে ধার দিবে আর পরবর্তি টার্গেট ঠিক করবে । মডারেট মুসলিমদের হিপোক্রেসি নিয়ে লেখার শক্তি এবং ধৈর্য হারিয়ে ফেলেছি অনেক আগেই । সচলে ঢুকে অরফিয়াসের এই লেখাটা চোখে পড়লো । মডারেটদের হিপোক্রেসির সারমর্ম দাড় করাতে অরফিয়াসের লেখা থেকে এক লাইন ধার করছি ।

আমাদের দেশের ধার্মিকরা ধর্মকে ব্যুফের মত মানে । যার পোলাও ভালো লাগে সে পোলাও খায়, যার বিরিয়ানি সে বিরিয়ানি । কিন্তু যখন মাদ্রাসার শিক্ষিত জঙ্গিরা ভাল মানুষের কল্লা নামায় তখন 'কিন্তু', 'তবে', এসব বলে নিজেদের ব্যুফে ধার্মিকতার পাছা বাচায় ।

বাংলাদেশে এই মধ্যপন্থী ধর্মালম্বীরাই সংখ্যাগরিষ্ট । এরা পকেটে টুপি রাখে । শাহাবাগ উত্তাল হলে এরা টুপি পকেটে ঢুকিয়ে প্রগতিশীলতার জোয়ারে ভাসে । হেফাজত উত্তাল হলে এরা মাথায় টুপি চাপিয়ে নেয় । বাংলাদেশের সরকার, রাজনৈতিক দলগুলো এদের ভোটের আশায় রং বদলায় । এটা নতুন কোন দিব্যজ্ঞান নয় । অনেকদিনের চর্বিতচর্বন । বাংলা ব্লগে যারা ধর্মান্ধতা, মৌলবাদের বিরুদ্ধে লেখালেখি করেন তারা এটা জেনেই লেখালেখি করেন । এই লেখার মুল উদ্দেশ্য মধ্যপন্থী মুসলিম সমাজকে নাড়া নেয়ার জন্যে নেয় । কারণ ঢাকঢোল বাজিয়ে কুম্ভকর্ণের ঘুম তাও ভাঙ্গানো সম্ভব হয়েছিল, বাংলাদেশের মধ্যপন্থী মুসলিমদের চেতনা আসতে আরো অনেক দেরী আছে । আজকের প্রশ্ন ধর্মান্ধতা বিরুদ্ধে লেখালেখি করা ব্লগারদের কাছে ।

ধর্মান্ধতা এবং মৌলবাদ নিয়ে অনেকেই ব্লগিং করেন, কিন্তু কেন অভিজিৎ রায় নিহত হলেন ?

অভিজিৎ দা নিহত হবার খবরটা পাওয়ার পর থেকেই " কেন অভিজিৎ দা ?" এই প্রশ্নটাই মাথায় ঘুরছিল । উত্তরটা খুব সহজ । হাজারো বেনামী ব্লগারের ভিড়ে অভিজিৎ রায়দের চিনে নেয়া যায় খুব সহজেই । এই উত্তরটা মনে হয় জেনেও না জানার ভান করে এড়িয়ে যাচ্ছিলাম অনেক দিন ধরেই । একটা বীভৎস বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়ার ভয়ে সজ্ঞানেই এড়িয়ে যাচ্ছিলাম । "এই মৃত্যুর দায় কি আমার নয় ? ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে যারা ছদ্মনামে বা বেনামে ব্লগিং করি তাদের নয় ? "

কাছের মানুষের সস্তা ধর্মানুভূতির কথা মাথায় রেখে কিংবা স্বার্থপরের মত নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে লেখালেখি করা মানুষগুলোর অধিকাংশই ছদ্মনামে বা বেনামে লেখালেখি করে । ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের ছুরির ধারালো ডগাটা তাই খুজে পায় অভিজিৎ রায়ের মত মুখচেনা মানুষগুলোকেই । কারণ ? কারণ ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে লেখালেখি করা হাজারো পরিচয়হীন ব্লগারের ভিড়ে অভিজিৎ রায়দের খুব সহজেই আলাদা করে ফেলা যায় বলেই । আমার মত মেরুদণ্ডহীন বেনামী ব্লগার চাপা চিৎকার করে যাই । গুমরে কাঁদি । মৌলবাদীদের ভয়ে ছদ্মনামের আড়ালে লুকিয়ে বৃথা আস্ফালন করে যাই । কারো টনক নড়ে না । কারণ আমাদের পরিচয় নেই । আমাদের ছদ্মনাম হালনাগাদ করা নেই ভোটার তালিকায় । আমাদের নেই কোন সংগঠন । রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আমাদের যৌক্তিক দাবীও তাই বেনামী নাস্তিক ব্লগারের প্রলাপ । অভিজিৎ রায়ের আদর্শ ( মুক্তচিন্তা এবং প্রগতিশীল চিন্তা ) বুকে নিয়ে আমরা গোপনে এক প্রগতিশীল বাংলাদেশের স্বপ্ন লালন করে যাই । অথচ আমাদের চেনা গণ্ডীর মানুষের কাছে সে আদর্শ থেকে যায় অজানা, কোন এক নাস্তিকের আদর্শ হিসেবে । অভিজিৎ রায়ের মত প্রগতিশীল মানুষ তাদের মনের কোন এক কোনে জায়গা পায় ধর্মানভূতিতে আঘাত দেয়া এক নাস্তিক ব্লগার পরিচয়ে ।

অন্য কোন ব্লগারের হয়ে বলার দায়িত্ব আমার নয় । বলার অধিকারও আমার নেই । আমি তাই নিজের কথাই বলছি । অভিজিৎ রায়ের হত্যার দায় আমার । আমার পরিচয়হীনতার কারণেই আমার ভাগের চাপাতির কোপটাও বুকে পেতে নিতে হয়েছে অভিজিৎ রায় এবং রাফিদা আহমেদ বন্যাকে । এই দায়বদ্ধতা থেকেই আমার নতুন এই উপলদ্ধি । ছদ্মনামের আড়ালে লুকিয়ে থেকে মুখচেনা আরেকজন প্রগতিশীল ব্লগারকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিব না । ছদ্মনামের আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে আর সবার সাথে মিশে তৈরি করতে চাই হাজারো ব্লগারের সমন্বিত পরিচয় । যেন অভিজিৎ রায় বা রাজীব হায়দারের মত ব্লগারদের আলাদা করে খুজে না পায় মৌলবাদের ধারালো চাপাতি

=============================================
মামুনুর রশীদ
কেম্ব্রিজ
যুক্তরাজ্য
mamunbabu2001 at gmail.কম


মন্তব্য

রানা মেহের এর ছবি

আরেকটা কারণ আছে।
আমরা অনেকেই গলার জোরে চিৎকার করে বলি আমরা নাস্তিক।
কিন্তু নাস্তিকতা যে একটা দর্শন, সেটা যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিতে পারেন অভিজিৎ দার মতো লেখকেরা।
এই একটা লোককে টার্গেট করা মানে মুক্তবুদ্ধিকে অনেক খানি থামিয়ে দেয়া

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অতিথি লেখক এর ছবি

আরেকটা কারণ আছে। কিন্তু নাস্তিকতা যে একটা দর্শন, সেটা যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিতে পারেন অভিজিৎ দার মতো লেখকেরা। এই একটা লোককে টার্গেট করা মানে মুক্তবুদ্ধিকে অনেক খানি থামিয়ে দেয়া

সহমত ।

নাস্তিকতার কথা বলে গলা খুলে চিৎকার করা যুক্তিতর্কের মাধ্যমে সেই দর্শনে জীবন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া দুটি ভিন্ন ধারা । চিৎকারের কারণে অন্যের বোধোদয় খুব একটা হয়না, যতটা যুক্তিতর্কে হয় । অভিজিৎদা যুক্তি তর্কের মানুষ ছিলেন । সেটা অবশ্যই তার টার্গেটে পরিণত হবার আরেকটা গুরুত্বপূর্ন কারণ ।

তবে আমাদের পরিচয়হীনতার কারণে যুক্তিতর্কের প্রসারের পথ রোধ করার জন্য মৌলবাদীরা তাই অভিজিৎদাকে থামিয়ে দেয়াটাকেই একমাত্র পথ ভাবছে । হাজারো নাম না জানা পরিচয়হীন মৌলবাদবিরোধী ব্লগারের ভীড়ে মৌলবাদীরা যখন টার্গেট খোঁজে তখন নাম জানা কজন ব্লগারের নামগুলোই উঠে আসছে সবার আগে । এই নাম না জানা ব্লগারদের একটা বড় অংশ যদি আত্মপ্রকাশ করে, সেটা ব্যক্তিগত পরিসরেই হোক বা সাংগঠনিক ভাবেই হোক, মৌলবাদীদের কাছে অন্তত এইটুকু পরিষ্কার হবে এক অভিজিৎ রায়কে মেরে এই অগ্রযাত্রা থামানো যাবে না ।

==========
মামুনুর রশীদ

অতিথি লেখক এর ছবি

মামুনুর রশীদ ভাই আপনার কথা ঠিক আছে। অভিজিতদা দের যেমন দরকার আছে তেমনি ছদ্মনামে মুক্তচিন্তার অধিকারী ব্লগারদের ও দরকার আছে।এক অভিজিত দা চলে গিয়ে( না উনি চলে যান নি , উনাকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে) হাজারো অভিজিত তৈরি করার দায়িত্ব মাথায় দিয়ে গেছে। ৭১এর পর থেকে টার্গেট নিয়েই নামে জঙ্গিরা ।এক এক করে শেষ করবে । তাই বলি, অভিজিতরা মরে না।

--------------------
রাধাকান্ত

অতিথি লেখক এর ছবি

থাবা বাবা ছদ্ম নামের আড়ালে থাকা রাজীব হায়দারকে কিন্তু তারা খঁুেজ বের করেছিল। ছদ্ম নাম বা অন্য কিছু সংকট নয়। চারপাশের অনেকেই জানে ছদ্মনামের আড়ালে আমার বা আপনার পরিচয়। এটা একটা কারণ হতে পারে তবে মুখ্য নয় কোনোমতেই।

যুক্তি বিচার বা লেখার সাবলীলতার মধ্যদিয়ে যারাই সামনে আসছে, তারাই টার্গেটে পরিণত হচ্ছে।

কেউ িবদ্রুপাত্মক লেখার জন্য, কেউ যুক্তি-তর্কের চমৎকার উপস্থাপনের জন্য টার্গেটে পরিণত হচ্ছে। ফারাবির কয়টা স্ক্রিনশট দেখলাম, তাতে আরো কয়েকজনের নাম আছে। এর মাঝে ছদ্মনামেরও আছে।

বিষয়টা হচ্ছে কে কতটা তীব্র হয়ে উঠছে।

স্বয়ম

পৃথ্বী এর ছবি

থাবা বাবার আসল পরিচয় এমনিতেই অনেকে জানত। আড্ডাবাজি করে ফেসবুকে পাবলিক ছবি আপলোড করতো, সেখান থেকে ট্রেস করা কঠিন কিছু না।

অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে বাংলাদেশে থেকে লিখতে গেলে একদম ছদ্মনামেই লিখতে হবে। আইপি এড্রেস বা অন্য কোন সিগনেচার থেকে ঠিকানা বের করে ফেলার প্রযুক্তি জঙ্গীগোষ্ঠীর আয়ত্তে থাকা সম্ভব না। আর রাষ্ট্র স্বয়ং যদি জঙ্গী হয়, তাহলে কিছু করার নেই।


Big Brother is watching you.

Goodreads shelf

অতিথি লেখক এর ছবি

মুল প্রশ্নটা সেখানেই । সবাই ছদ্মনামে চলে যাওয়ার চিন্তা করছি । যখনই কারো পরিচয় বেরিয়ে পড়ছে [ কারণ পরিচয় বের করা খুব একটা কষ্টের কাজ নয় ] তার উপরই গিয়ে পড়ছে চাপাতির কোপ । লুকিয়ে থাকার চেয়ে সংগঠিত হওয়াটাই তাই আমার কাছে প্রতিরোধের সবচেয়ে ভালো পন্থা ।

==========
মামুনুর রশীদ

অতিথি লেখক এর ছবি

সহমত, সংগঠিত হওয়াই প্রতিরোধের সবচেয়ে বড় পন্থা।

স্বয়ম

অতিথি লেখক এর ছবি

একটা জিনিস লক্ষ করেছেন সংঘ ছাড়া প্রতিরোধ সফল হয় না । তাই হয়তো বুদ্ধ বলেছেন"সংঘং শরনং গচ্ছামি"..

-------------
রাধাকান্ত

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।