হিমছড়ি’র ভয়ংকর

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ২৫/১০/২০১৫ - ৮:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পর্তুগীজ প্রেতসাধক বেনিত্তা হিমছড়ির এক প্রাচীন দুর্গবাড়িতে আস্তানা গেড়েছে। সে চায় তার পূর্বপুরুষ সিস্তান বাতিস্তার আত্মাকে পুনর্জীবিত করতে। কারণ সেই আত্মাই তাকে দিবে জলদস্যুদের লুট করা জাহাজে রক্ষিত গুপ্তধনের সন্ধান। বাতিস্তাকে পুনর্জীবিত করবার জন্য প্রয়োজন ১০ টা নীল চোখের ছেলের ১০ জোড়া চোখ আর ৩০ টা আঙুল। সহায়ক হিসাবে তার সঙ্গে আছে বার্মার মংডু পাহাড়ের বসবাস করা আরেক প্রেতসাধক আর একটা সবুজ দাঁড়কাক।

এই অশুভ শক্তির প্রভাবে হিমছড়ি’তে ঘটতে শুরু করল ভয়াল সব ঘটনা। নিরুদ্দেশ হতে লাগল নীল চোখের ছেলেরা যাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায় নিরুদ্দেশ হওয়ার পরদিন সমুদ্রের বেলাভূমিতে কিংবা ঝাউবনের আড়ালে। এমন সময়েই টেকনাফ এবং সেন্টমার্টিন ভ্রমণে এল অভিযাত্রীর এক দল যাদের এক সদস্যের চোখজোড়া সমুদ্রের মত নীল। ঘটনাচক্রে তাদেরও সংঘাত ঘটল এই ভয়াল চক্রের সাথে। এখন কি হবে? তাঁরা কি পারবে এই অশুভ শক্তিতে সমূলে বিনাশ করতে? কিভাবে?

মোটামুটি এই হচ্ছে “হিমছড়ি’র ভয়ংকর” গল্পের কাহিনী। আমার কৈশোরকে যেইসকল লেখকরা তীব্রভাবে আন্দোলিত করেছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন আলী ইমাম। তাঁর রহস্য উপন্যাসগুলো গোগ্রাসে গিলতাম। এই বই পড়েই প্রথম হিমছড়ি’র প্রতি আমার আগ্রহ জাগে। সেই আগ্রহ চরমে উঠবার পিছনে একটা ভিন্ন কাহিনী আছে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং করতে ঢাকা এসেছিলাম। একদিন ফার্মগেট থেকে মালিবাগ যাচ্ছি এমন সময় বাসে হকার উঠে সাধারণ জ্ঞানের বই বিক্রি করছিলেন। ৫ টাকা মূল্যমানের সেই বই ভর্তি ছিল আজব সব তথ্যে। তার মধ্যে দুটো তথ্য এখনও মনে আছে।

প্রশ্ন-১ঃ কোন দেশে Condom নামে একখান শহর আছে?
উত্তরঃ ফ্রান্স

প্রশ্ন-২ঃ বাংলাদেশের কোথায় গরম পানির ঝর্ণা আছে?
উত্তরঃ হিমছড়ি’তে

আরেকটা প্রশ্ন ছিল, কোন দেশের মানুষের শরীরের রঙ নীল। এইটার উত্তর অবশ্য ভুলে গেছি। তো যা বলছিলাম। তখন থেকেই হিমছড়ি যাওয়ার আগ্রহ তীব্র আকার ধারণ করেছিল। কিন্তু কক্সবাজার কয়েকবার গেলেও হিমছড়ি যাওয়ার সুযোগ হয়ে উঠে নি। এইবার ছুটি ম্যানেজ হওয়া মাত্রই সিদ্ধান্ত নিলাম, গরম পানির ঝর্ণায় গোসল আমাকে করতেই হবে। সেই সাথে বোনাস হিসাবে পর্তুগীজ জলদস্যুর আস্তানাও যদি দেখে আসা যায় তাহলে তো সোনায় সোহাগা। অতএব, গন্তব্য হিমছড়ি।

হিমছড়ি ঝর্ণার অবস্থান হিমছড়ি জাতীয় উদ্যানের ভিতরে। ভালই হল। এমনিতেই পাহাড় আর অরণ্য আমাকে খুব টানে। এইবার তো এক ঢিলেই সব পাখি মারা যাবে। হিমছড়ি জাতীয় উদ্যানের অবস্থান কক্সবাজার জেলার হিমছড়িতে। উদ্যানটি ১৯৮০ সালে কক্সবাজার শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে ১৭২৯ হেক্টর (১৭.২৯ বর্গ কিলোমিটার) জায়গা জুড়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। হিমছড়ির একপাশে রয়েছে সুবিস্তৃত সমুদ্র সৈকত আর অন্যপাশে রয়েছে সবুজ পাহাড়ের সারি যা বাংলাদেশের অন্যান্য জাতীয় উদ্যান থেকে এটিকে অনন্য করেছে।

হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান মূলত চিরসবুজ ও প্রায় চিরসবুজ ক্রান্তীয় বৃক্ষের বনাঞ্চল। এই বনাঞ্চলে মোট ১১৭ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে যার মধ্যে ৫৮ প্রজাতির বৃক্ষ, ১৫ প্রজাতির গুল্ম , ৪ প্রজাতির তৃণ, ১৯ প্রজাতির লতা এবং ২১ প্রজাতির ভেষজ গাছ রয়েছে। এই বনকে হাতির আবাসস্থল হিসেবে মনে করা হয় এবং হাতির পাশাপাশি এখানে মায়া হরিণ, বন্য শুকর ও বানরও দেখতে পাওয়া যায়। এ ছাড়া হিমছড়ি জাতীয় উদ্যানের প্রাণী সম্ভারে রয়েছে ৫৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৫৬ প্রজাতির সরীসৃপ, ১৬ প্রজাতির উভচর এবং ময়না, ফিঙ্গে ও তাল বাতাসিসহ প্রায় ২৮৬ প্রজাতির পাখি।

আমার দৃষ্টিতে বাংলাদেশের সবথেকে সুন্দর রাস্তা হচ্ছে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক। একপাশে সমুদ্র এবং অন্যপাশে পাহাড় বেষ্টিত এই রাস্তায় ভ্রমণের অনুভূতি একদমই স্বর্গীয়। যদিও রাস্তাটি গণপরিবহনের জন্য এখনও পুরোপুরি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় নি, তবে সিএনজি কিংবা অটোরিকশা হরদমই চলছে। জুন মাসের এক বিকেলবেলায় এমনই এক অটোরিকশা নিয়ে রওনা দিলাম হিমছড়ির উদ্দেশ্যে।

হিমছড়ি পৌঁছাতে খুব বেশি সময় লাগবে না। রাস্তার পাশে নামলেই হিমছড়ির বিখ্যাত ঝর্নার ছবি সম্বলিত সাইনবোর্ড চোখে পড়বে। আহা, এই তাহলে সেই ঝর্ণা যার সন্ধানে সুদূর ঢাকা থেকে ছুটে এসেছি।

মিনিটখানেক দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই অনেকগুলো বাচ্চা ছেলে আপনাকে ঘিরে ধরবে। উদ্দেশ্য আপনার গাইড হওয়া এবং ছবি তুলে দেওয়ার বিনিময়ে কিছু অর্থ উপার্জন। গাইড হিসাবে তাদের চাহিদা খুবই সামান্য। আমি ক্লাস টু তে পড়ুয়া রাশেদ নামের এক পিচ্চিকে গাইড হিসাবে সাথে নিলাম। চার্জ মাত্র ৫০ টাকা। ২০ টাকা প্রবেশ ফি দিয়ে রাশেদকে সাথে নিয়ে উদ্যানে প্রবেশ করলাম। আমাদের প্রথম গন্তব্য হিমছড়ির বিখ্যাত বড় ঝর্ণা। ঝর্ণায় যাবার রাস্তাটা কিন্তু চমৎকার।

পথে চমৎকার একটা সেতু পড়বে। এখানে দাঁড়িয়ে একটু ফটোসেশন করাই যায়।

রাস্তার পাশে ঝর্ণার ছবি দেখে যদি আপনি আবেগে আপ্লুত হয়ে থাকেন; তাহলে বাস্তবে ঝর্ণার অবস্থা দেখে নিশ্চিত বিশাল ধাক্কা খাবেন (এই অধমও খেয়েছে কি না)। ছবি নাকি কথা বলে। আসলেও কি তাই?

কত শখ ছিল ঝর্ণার গরম পানিতে গোসল দিব। কিসের গরম পানি, পানিই তো নাই। শুনলাম ঝর্ণা নাকি আগে ছবির মতই ছিল। কয়েক বছর আগে পাহাড় ধ্বসে ঝর্ণার উৎস এবং গতিপথ দুটোই বদলে যাওয়াতেই এই দুরবস্থা। অবশ্য বর্ষাকালে পানির প্রবাহ বেশ বাড়ে। মন খারাপ করে আর কি হবে। এসেছি যখন, অরণ্যের সৌন্দর্যই না হয় দেখে যাই। এই সৌন্দর্য দেখতে হলে আপনাকে পাহাড়ে চড়তে হবে। পাহাড়ে উঠবার জন্য যেমন সিঁড়ি আছে, তেমনি আছে পায়ে চলা পথ। আপনার যেটা পছন্দ।

যতই উপরে উঠবেন প্রকৃতির সৌন্দর্য ততই আপনার সামনে প্রস্ফুটিত হবে। পাহাড়ের গায়ে লেগে থাকা বসার জায়গাগুলো অসাধারণ। এর ভিতরে বসে চারপাশের দৃশ্য দেখতে দারুণ লাগে।

এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে যাওয়ার জন্য আছে ইটের রাস্তা। সেই রাস্তা ধরে হাঁটতে হাঁটতে আপনি পাহাড়ের এক প্রান্তে পৌঁছে যাবেন।

চলার পথে ক্ষণে ক্ষণে থেমে নির্মল বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়ার পাশাপাশি মুগ্ধ নয়নে চারপাশের সবুজ প্রকৃতি অবলোকন করতে পারবেন।

পাহাড়ের গভীরে প্রবেশ করবার খায়েশ জাগল মনে। এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে যাওয়ার পায়ে হাঁটা পথ আছে। এমন একটা পথ ধরেই এগিয়ে চললাম। মূল উদ্যান থেকে বের হওয়ার একটা বিকল্প পথ আছে। একটা পাহাড় এবং জঙ্গল পাড়ি দিয়ে স্থানীয় আর্মি ক্যাম্পের পাশ দিয়ে বের হতে হয়। ইচ্ছে ছিল সেই পথেই ফিরব। কিন্তু আমার পিচ্চি গাইড বাঁধা দিল। কারণ এই জঙ্গলে মাঝে মাঝেই বুনো হাতির আগমন ঘটে। তাদের সাথে দেখা হওয়া যে সুখকর কোন বিষয় হবে না সেটা তো জানা কথা। আরেকটা কারণ হচ্ছে সন্ধ্যা হতে খুব একটা বাকি ছিল না। সন্ধ্যায় পাহাড়ে ছিনতাইকারীদের হাতে আটকা পড়বার সম্ভাবনা আছে। অতএব ঝুঁকি না নিয়ে জঙ্গলে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করেই আঁশ মেটালাম। ভবিষ্যতে ঐ বিকল্প রাস্তা দিয়ে পাহাড় পাড়ি দেওয়ার ইচ্ছে জমা রাখলাম মনের গহীনে।

ওহ, আমার গাইডের সাথে তো আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হল না। কখনও হিমছড়ি ঘুরতে গেলে ওর নাম বললেই সবাই দেখিয়ে দিবে।

ইট বিছানো রাস্তার শেষ মাথায় পাহাড়ের চূড়ায় একটা ছোট্ট ওয়াচ টাওয়ার আছে। আরও আছে একটা ক্যাফে। ক্যাফেটা বন্ধ ছিল এবং ক্যাফের চারধারে কয়েকটা বিকল্প ক্যাফেও ছিল। ক্যাফের ছাদে উঠে নিচে তাকাতে দারুণ লাগে। আরেব্বাহ, এ তো দেখছি অনেক উপরে উঠে গেছি। হিমছড়ি বাজারটাকে অনেক ছোট দেখাচ্ছিল।

সবথেকে চমৎকার দৃশ্য এই জায়গা থেকেই দেখা যায়। পাহাড় এবং অরণ্যের এমন দ্বৈত যুগলবন্দী আপনাকে সত্যিই মুগ্ধ করবে।

গল্পে বর্ণিত পর্তুগীজ জলদস্যুর কোন কুঠির সন্ধান আমরা পাইনি। তবে সন্ধ্যার আলো আধারির গা ছমছম করা পরিবেশে বুঝতে পারছিলাম কিসের প্রভাবে লেখক এমন কল্পকাহিনী রচনার প্রেরণা পেয়েছিলেন। এমন ভূতুড়ে নির্জনতা মনের উপর প্রভাব ফেলবেই। পাহাড়ে সন্ধ্যা নামে তাড়াতাড়ি। হিমছড়িও এর ব্যাতিক্রম নয়। পাহাড় চূড়া থেকে সূর্যটাকে টুপ করে সমুদ্রে ডুবে যেতে দেখছিলাম আর ভাবছিলাম, Life is really beautiful.

ফাহমিদুল হান্নান রূপক


মন্তব্য

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

১। বাহ, বইটা কমন পড়ল। অনেক আগে পড়েছিলাম, ভয়ও পেয়েছিলাম। লইজ্জা লাগে

২। হিমছড়ি গিয়েছিলাম কলেজ জীবনে, তখন তো পানি ছিল বলেই মনে পড়ে। ইয়ে, মানে...

৩। লেখা নিয়া কথা নাই, প্রশ্ন আছে। ফ্রান্সের শহর ভ্রমণের লেখাটা পাচ্ছি কবে, হুমম? চিন্তিত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

১। বইটা আমার বুকশেলফে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে ছিল। লেখাটা লিখবার আগে বইটা আরেকবার পড়ে নিলাম। এই উসিলায় বইটা আবারও পড়ে ফেললাম। ছোটবেলায় যখন পড়েছিলাম তখন অনেক ভয় পেয়েছিলাম, এইবার অবশ্য কোনোরকমই লাগে নি। বয়সের সাথে সাথে আসলেই রুচি বদলায়।

২। আগে পানি ছিল। ৩ বছর আগে পাহাড়ধ্বসের কারণে ঝর্ণার উৎসমুখ এবং গতিপথ দুইই পাল্টে যাওয়ায় ঝর্ণার পানিপ্রবাহ পাল্টে গেছে।

৩। হায়রে ভাই, দেশের বাইরেই আজ পর্যন্ত যেতে পারলাম না; আবার ফ্রান্স। মন খারাপ তবে তারেক অণু ভাইকে বলে দেখতে পারেন। ঐ জায়গায় উনার পা পড়লেই বিস্তারিত ভ্রমণ কাহিনী পাওয়া যাবে। তবে যদি কোনদিন যেতে পারি, তবে সেই পর্বটা অবশ্যই আপনাকে উৎসর্গ করব।

ফাহমিদুল হান্নান রূপক

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

১। হ, সেই সুদূর নাবালক কালে ড্রাকুলা পইড়া ডরাইছি। এখন হাসি পায়। হাসি

২। গত বছর হিমছড়ি গিয়ে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও ঝরণার আশেপাশে যাই নি। মন খারাপ

৩। উৎসর্গ! নাউজুবিল্লাহ!! আপনে দেশে থাইকাই দেশের মুখ উজ্জ্বল করেন। চাল্লু

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

আসেন, বুকে আসেন। কোলাকুলি

ফাহমিদুল হান্নান রূপক

নীড় সন্ধানী এর ছবি

ওই রাস্তা দিয়ে অনেকবার আসা যাওয়া করেও পাহাড়ের ভেতরে কখনো যাওয়া হয়নি। আপনার উসিলায় দেখা হয়ে গেল ভেতরটাও। হিমছড়িতে পাহাড় সমুদ্রের মাঝ দিয়ে চলে যাওয়া রাস্তাটা আমার কাছে এই গ্রহের সবচেয়ে সুন্দর রাস্তা মনে হয়। পোস্ট ভালো লেগেছে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অতিথি লেখক এর ছবি

হিমছড়িতে পাহাড় সমুদ্রের মাঝ দিয়ে চলে যাওয়া রাস্তাটা আমার কাছে এই গ্রহের সবচেয়ে সুন্দর রাস্তা মনে হয়।

একেবারে মনের কথাটা বলে দিলেন। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

ফাহমিদুল হান্নান রূপক

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক হিমছড়ি গিয়েছিলাম বছর চারেক আগে, শিক্ষা সফরে যাওয়া যাকে বলে আর কী! তখনও কিন্তু পানি ছিল, সেই পানিতে ভিজেটিজে একাকারও হওয়া যেত। পানি শুকানোর কথাটা শুনে খারাপ লাগল তবে আপনার লেখা বরাবরই উপাদেয় হাসি

দেবদ্যুতি

অতিথি লেখক এর ছবি

পানি শুকানো দেখে আমার নিজেরও মন খারাপ হয়েছিল। বর্ষায় পানি বাড়ে কিন্তু আগের মত আর হয় না। ছোট্ট একটা ভূমিধ্বস পুরো ঝর্ণাটার সৌন্দর্যই শেষ করে দিয়েছে মন খারাপ । তবে সুখের কথা হচ্ছে, বাংলাদেশে এখন হিমছড়ি'র থেকেও অনেক সুন্দর সুন্দর ঝর্ণার সন্ধান মিলেছে।

ফাহমিদুল হান্নান রূপক

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

মানে আপনারা হিমছড়ি ঘুরে আসার পরই ঝর্ণা শুকায়া গেল?
আপনাদের টিমে আনিসুল হকরে নিয়ে গেছিলেন না কি? চিন্তিত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি ভাবতেছি আমার সাথেই আনিসুল হকের কোনো যোগাযোগ আছে নাকি? চিন্তার বিষয়! আমি কবের থেকে এমন হইলাম, কন তো?

দেবদ্যুতি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চিন্তিত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

আইচ্ছা সত্য দা, একখান কথা জানবার মুঞ্চায়। আনিসুল হক'রে "কুফা মাষ্টার পুটুনদা" এই উপাধি প্রথম কে দিসে? জানেন নি কিসু?

ফাহমিদুল হান্নান রূপক

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

এইসব ইতিহসের কুচ্চেন আঁরে জিগান কিল্লাই?
হের লিগ্যা পীরবাবা আর পাণ্ডবদা আছেন তো! চাল্লু

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।