যে ট্রেন পাকিস্তানে পৌঁছেনি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১০/০৭/২০২১ - ১০:৪৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লেখার শিরোনাম দেখে আমি আপনার সম্ভাব্য দুটো প্রতিক্রিয়া কল্পনা করতে পারছি। একটাতে আপনি ভাবছেন যে এটা কোন ট্রেন এক্সিডেন্ট ফ্যাক্সিডেন্ট নিয়ে লেখা, দ্বিতীয় ক্ষেত্রে আপনি বুঝে গেছেন যে এটা ৪৭ এর দেশভাগ কিংবা সেটার পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নিয়ে লেখা। খুশবন্ত সিং এর 'ট্রেন টু পাকিস্তান ' যদি আপনার পড়া থাকে, আপনি সম্ভবত দ্বিতীয় দলে পড়েছেন। বইটি যদি না পড়ে থাকেন এবং পড়ার ইচ্ছে পোষন করেন, তাহলে একটা স্পয়লার এলার্ট দিয়ে রাখলাম, কারন বইয়ের শেষ পৃষ্ঠার চমকটা কিন্তু আমি এখানে ফাঁস করে দেব! অবশ্য বইটা এত দারুণ যে সেটার পরেও এই বই পড়ে আপনি মুগ্ধ হবেন, শতকরা নব্বই ভাগ গ্যারান্টি।

এই গল্পের পটভূমি হচ্ছে ভারতের পাঞ্জাবে সুতলেজ নদীর তীরে মানো মাজরা নামের ছোট্ট একটা কাল্পনিক গ্রাম। গ্রামের মাঝ দিয়ে চলে গেছে অবিভক্ত ভারতের দিল্লি থেকে লাহোরের রেললাইন, ছোট্ট একটা রেল স্টেশন ও আছে সে গ্রামে যেখানে ধ্যাদ্ধেড়ে প্যাসেঞ্জার ট্রেন ছাড়া ভাল কোন এক্সপ্রেস ট্রেন থামেনা। গ্রাম থেকে একটু দূরে নদীর উপর একটা রেলসেতু আছে।সুতলেজ অনেক লম্বা নদী, এঁকেবেঁকে ভারত এবং পাকিস্তান দুই দেশের মধ্য দিয়েই বয়ে গেছে। বইটা পড়ে আচ্ছন্ন আমি গুগল ম্যাপে আঁতিপাঁতি করে খোঁজার চেষ্টা করেছিলাম মানো মাজরা কোথায় হতে পারে। সুতলেজের ওপর ঠিক কোন জায়গায় রেলসেতু আছে সেটা বের করার চেষ্টা করেছিলাম। সুতলেজ এতই লম্বা যে এর ওপর বেশ কয়েকটা রেলসেতু আছে, চেষ্টাটা মাঠে মারা গেছে। সুখবন্তের মনোরাজ্যের মানো মাজরা তাই আমার জন্য অধরা মাধুরিই রয়ে গেছে।

যাহোক সেই গ্রামে থাকত মূলত শিখ এবং মুসলমানরা, সাথে একঘর হিন্দু পরিবার। গ্রামে পাকা বাড়ি ছিল সাকুল্যে তিনটি, মুসলিমদের মসজিদ, শিখদের মন্দির আর একমাত্র হিন্দু পরিবার, মহাজন লালা রাম সিং এর বাড়ি। গ্রামের প্রাত্যহিক জীবনও রেলের টাইম টেবলের সাথে মিলিয়ে চলত। ভোরবেলায় লাহোরগামী মেইল ট্রেন যাবার খানিক পর মুয়াজ্জিন আজান দিতেন। তখনি ঘুম ভাঙ্গলেও আজান শেষ হবার আগ পর্যন্ত খানিকটা গড়িয়ে নিতেন শিখ পুরোহিত। তারপর মন্দিরের উঠোনে দাঁড়িয়ে তিনি গায়ে পানি ঢেলে একঘেয়ে স্বরে প্রার্থনামন্ত্র জপতে শুরু করতেন। মানো মাজরায় দিনের শুরু হত এভাবেই।

সাড়ে দশটার প্যাসেঞ্জার ট্রেন যখন দিল্লি থেকে আসত, তখন পুরো মানো মাজরা জেগে গেছে। পুরুষেরা ক্ষেতে, মহিলারা ঘরকন্নায় ব্যাস্ত, বাচ্চারা মাঠে গরু-মোষ চরাতে গেছে। ঠোঁটে খড় নিয়ে চড়ুইরা এ বাড়ির চাল থেকে ও বাড়ির চাল করে, কাদামাটির দেয়ালের ছায়ায় বিশ্রাম নেয় নেড়ি কুকুরটাও, উল্টো ঝুলে সুখনিদ্রায় যায় বাদুড়।

দুপুরের ট্রেনটা চলে যাবার পর থেকে সময় শ্লথ হতে শুরু করে মানো মাজরায়। খাবার পাট চুকিয়ে পুরুষেরা চৌকিতে আধশোয়া হয়ে ঢুলতে থাকে, কেউ কেউ খোশগল্পে মাতে। ছেলেরা মোষের পিঠে চেপে নদীতে যেয়ে ঝাঁপ দেয়, মেয়েরা গাছের ছায়ার খেলতে বসে। মহিলারা একে অন্যের চুলের পরিচর্যা করে, শিশুদের উকুন বাছতে বাছতে কার বাচ্চা হল, কে কাকে বিয়ে করল কিংবা কার বাবা মরল তার খোঁজ নেয়।

সন্ধ্যায় লাহোর থেকে এক্সপ্রেস ট্রেনটা যখন আসে, আবার প্রাণ ফিরে পায় গ্রাম, সময় হয় গরু বা মোষের পাল নিয়ে ঘরে ফেরার। মেয়েরা রাতের খাবারের জোগাড় যন্ত্র শুরু করে। তারপর আসে বাড়ির ছাদে সবাই একসাথে বসে খাবার পালা, রাতে ঘুমানোর ব্যবস্থাও সেখানেই। রাতের মালগাড়িটা যখন আসে, বাচ্চাদের শোবার প্রস্তুতি শুরু হয়। মুয়াজ্জিন শেষ বারের মত আযান দেয়, শিখ পুরোহিত অর্ধবৃত্তাকারে দাঁড়ানো বুড়োবুড়িদের নিয়ে শেষবারের মত মন্ত্রোচ্চারণ করে। মালগাড়িটা স্টেশনে বেশ কিছুক্ষণ থামে। যতক্ষণে সেটা আবার আড়মোড়া ভেংগে নড়তে শুরু করে, ততক্ষণে মানো মাজরার ছেলেপুলেরা ঘুমিয়ে গেছে। বড়রা অবশ্য আরও কিছুক্ষণ জেগে থাকে। স্টেশন পেরিয়ে মালগাড়িটা খানিক দূরের রেল ব্রিজ যখন গম গম শব্দে পেরোয়, সেই গমগম শব্দ ঘুমপাড়ানি গানের মত বড়দের ঘুমের দেশে নিয়ে যায়। নিথর হয়ে পড়ে মানোমাজরা, কেটে যায় আরেকটা দিন। এভাবেই কাটতো একেকটা দিন, অন্তত উনিশশো সাতচল্লিশের আগ পর্যন্ত।

উনিশশো সাতচল্লিশ থেকেই শুরু হল গড়বড়। দেশভাগ হল, আজন্ম পরিচিত জন্মভূমি ছেড়ে লাখ লাখ মানুষকে পাড়ি দিতে হল সম্পুর্ন অজানা গন্তব্যে, এক অজানা অনিশ্চিত জীবনকে সামনে রেখে। পাশাপাশি শতশত বছর বাস করে আসা হিন্দু-মুসলিম-শিখদের মধ্যে দানা বাঁধল অবিশ্বাস আর বিদ্বেষ। ছড়িয়ে পড়ল দাংগা। মানো মাজরাও সেই ঝঞ্জাবিক্ষুব্ধ সময়কে এড়াতে পারেনি। সেই ছোট্ট স্টেশনে সে সময় মানুষ দেখে এপার থেকে মুসলমান লাশ বোঝাই ট্রেন ওপারে যায়, ওপার থেকে হিন্দু আর শিখের লাশ বোঝাই হয়ে ফিরে আসে।

গল্পের নায়ক শিখ যুবক জুগাত সিং ওরফে জুগগা। সে আবার লুকিয়ে চুরিয়ে প্রেম করে মুসলিম তরুণী নুরান বা সংক্ষেপে নুরুর সাথে। জুগগা একটু মাস্তান টাইপের, তবে লোক ভাল, অনেকটা বাকের ভাই টাইপের। মাস্তানির কারনে মাঝে মাঝেই জেলের ভাত খেতে হয় তাকে। উনিশশো সাতচল্লিশের সেই ঝড়ো সময় টালমাটাল করে দিল জুগগা আর নুরুর জীবনও। সেবার জেল থেকে বেরিয়ে জুগগা বুঝল গ্রামের অবস্থা খুবই খারাপ,চারদিক কেমন যেন থমথমে। গ্রামের সব মুসলিম পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে খানিক দূরের চন্দননগর শরণার্থী শিবিরে। ওদের ভিটেমাটি সহায়সম্বল যা ছিল, সব লুটপাট হয়ে গেছে। আজ রাতের ট্রেনে ওরা সবাই লাহোর চলে যাবে, তাদের মধ্যে তার প্রিয় নুরুও আছে।

ওদিকে একদল উগ্র শিখ ফন্দি আঁটে মুসলিম মারার, মাল্লি নামের এক বদমাশ হচ্ছে তাদের পালের গোদা। ঠিক হল যে সুতলেজ ব্রিজের একেবারে শুরুর দিকে দুপাশ থেকে এমনভাবে দড়ি লাগানো হবে যাতে ছাদে বসে থাকা যাত্রীরা দড়িতে ধাক্কা খেয়ে নীচে পড়ে যায়। ছোরা বল্লম হাতে মাল্লির লোকজন তৈরি থাকবে এরপর তাদের কচুকাটা করার জন্য। ট্রেনে অল্প কিছু পাকিস্তানি পুলিশ থাকতে পারে, কিন্তু অন্ধকারে ওরা তেমন সুবিধে করতে পারবেনা। আর যদি কোন কারনে ট্রেন থামায়, তাহলে তো পোয়াবারো। পুরো ট্রেনজুড়েই রক্তগঙ্গা বইয়ে দেয়া যাবে।

সবকিছু পরিকল্পনামাফিক করে মাল্লির দলবল অপেক্ষা করছে ট্রেন আসার। হঠাৎ এক ছায়ামূর্তিকে দেখা গেল ব্রিজের ওপর লাগানো দড়িটা টানাটানি করতে। ওরা প্রথমে ভাবল নিশ্চয়ই তাদেরই কেউ হবে, দড়ি মজবুত কিনা সেটা পরখ করছে। খানিক পর দূর থেকে ট্রেনের শব্দ ভেসে আসে। "আরে উল্লুক, নেমে আয়, মরবি তো"- চাপা কণ্ঠে একজন ডাক দেয়। কিন্তু ছায়ামূর্তির কোন ভ্রুক্ষেপ নেই, উল্টো সে ছোরা দিয়ে দড়ি কাটতে শুরু করে। ওদের বুঝতে দেরি হল না যে এই লোক তাদের কেউ নয়। সাথে সাথে গুলি ছোঁড়ে একজন। গুলি এসে হাতে লাগে জুগগার, কোন পরোয়া না করে সে অন্য হাতে ছোরা চালাতে থাকে। দড়ি তাকে কাটতেই হবে যেকোনভাবে, ট্রেন এসে পড়ল বলে, এ ট্রেনে তার নুরান আছে, তাকে বাঁচতেই হবে। একসময় ট্রেন যখন একেবারে কাছে চলে এসেছে, মরিয়া জুগগা তার নিজের শরীরের ওজন চাপিয়ে দেয় দড়ির ওপর, ছিঁড়ে যায় দড়ি। রেললাইনের ওপর পড়ে যায় জুগগা, তার নিথর শরীরের ওপর দিয়েই ট্রেন চলে যায় পাকিস্তানের পথে, নিরাপদে! গল্পের শেষ এখানেই।

এ বই লেখার সময় খুশবন্ত কি ভেবেছিলেন তা আমি জানি না। কিন্তু আমার মনে হয়েছে তিনি একটা আশা দেখাতে চেয়েছিলেন, ভাবতে চেয়েছেন যে সবকিছু একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। রক্তাক্ত সাতচল্লিশের পর আবারও শান্তির সময় আসবে।দেশভাগ হয়তো ঠেকানো যায়নি, কিন্তু ভাগাভাগির পর হিন্দু-মুসলিম-শিখ আবার একসাথে বাঁচতে শিখবে, যেভাবে তারা বেঁচেছে শতাব্দীর পর শতাব্দী।

কিন্তু সেটা কি হয়েছে? পাকিস্তানে হিন্দু বা শিখরা মোটামুটি উজাড়, বাংলাদেশে পূজার সময় মহোৎসবে প্রতিমা ভাংচুর হয়, ভারতে গরু খাবার জন্য মুসলমানদের পিটিয়ে মারা হয়। মুসলিমরা অবলীলায় হিন্দুদের 'মালু' বলে ডাকে, আমার পরিচিত এক উচ্চশিক্ষিত এক ভারতীয় বাংগালী ফেসবুকে মুসলমানদের ভালবেসে 'কাটুয়া' বলে সম্বোধন করেন। সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ উপমহাদেশে হয়তো সবসময়ই কিছু মাত্রায় ছিল, কিন্তু এখন মনে হয় সেটা আকাশ ছুঁতে চলেছে।

দেশভাগ হওয়া উচিৎ হয়েছে কি হয়নি, কারা দায়ী, ভাগাভাগি ঠিকঠাক হয়েছে কি না, এই নিয়ে জল্পনা কল্পনা আর তর্ক-বিতর্কের কোন শেষ নেই। আমি সেখানে নতুন কিছু বলতে চাইনা, কিন্তু সব তর্কের শেষে অন্তত সবাই মিলে শান্তিতে তো বাঁচতে পারতাম?মানো মাজরার সেই দিনগুলোর মত, সেটা কি খুব বেশি চাওয়া ছিল? কিন্তু সে আর হল কই, অদূর ভবিষ্যতে হবার সম্ভাবনাও তেমন দেখছি না। তাই আমার মনে হয় যে সুখবন্তের কল্পলোকের সেই ট্রেন আসলে পাকিস্তানে পৌঁছেই নি!

- গগন শিরীষ


মন্তব্য

রত্নদীপ তূর্য এর ছবি

শিরোনাম দেখে আমি দ্বিতীয় দলেই পড়েছিলাম। খুব ভালো লিখেছেন, অনেক ভালো লাগলো পড়ে। আরো লিখুন।

গগন শিরীষ  এর ছবি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ!

অতিথি এর ছবি

বইটা পড়ার ইচ্ছে আছে। সুন্দর লিখেছেন। মানো মাজরার দিনগুলোর মতো দিন! আগেও মনে হয় মানুষের বোঝার মতো জ্ঞান ছিল, সেপারেশন হলো ফিয়ার বেইজড-বিগেস্ট ম্যানমেইড ক্রিয়েশন। আর এখন যত দিন যাচ্ছে মানুষের সেই বুঝবুদ্ধি তত লোপ পাচ্ছে।

গগন শিরীষ এর ছবি

সেটাই,যত দিন যাচ্ছে বিজ্ঞান আগাচ্ছে কিন্তু মানুষের বিচারবুদ্ধি পেছাচ্ছে। মানুষের মত এমন আত্মঘাতী প্রজাতি আর খুব বেশি নেই। পড়ার জন্য ধন্যবাদ!

মন মাঝি এর ছবি

শিরোনামটা দেখেই একটা কথা মনে হলো। যে ট্রেনটা, থুক্কু ট্রাকটা, পাকিস্তান থেকে বেরুতে গিয়ে, মাতৃভূমি বাংলাদেশে ফিরতে গিয়ে হাজার ফুট নীচে পাহাড়ি খাদে পড়ে গিয়েছিল - তার কাহিনি কেউ কোনদিন বলবে কি??? মন খারাপ

****************************************

গগন শিরীষ  এর ছবি

ঠিক বুঝি নি মন মাঝি, একটু বুঝিয়ে বলবেন কি?

গগন শিরীষ  এর ছবি

এখন খেয়াল করে দেখলাম যে এক জায়গায় লেখকের নাম ঠিকঠাক খুশবন্ত সিং লিখলেও কোথাও কোথাও সুখবন্ত লিখেছি। পুরোই কেলেংকারী।

মন মাঝি এর ছবি

অসুবিধা নাই - যিনি খুশবন্ত তিনি তো সুখবন্ত বটেই!!! দেঁতো হাসি

****************************************

গগন শিরীষ এর ছবি

হা হা, ভাল বলেছেন।

সোহেল ইমাম এর ছবি

প্রথমটা দেখে ট্রেন টু পাকিস্তানের কথাই মনে পড়েছিলো। বইটা এখনও পড়া হয়নি। পিডিএখ বই একটা আছে। এখন মনে হচ্ছে দেরী না করে পড়ে ফেলা যায়।

---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।

গগন শিরীষ এর ছবি

অবশ্যই। বইটাতে আরো অনেক বিচিত্র সব চরিত্র আছে,পড়ে মজা পাবেন আশা করি।

এক লহমা এর ছবি

সহজে পৌঁছনোর নয়। কত যুগ যে লেগে যাবে!

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

গগন শিরীষ এর ছবি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ এক লহমা। আমার মনে হয় কখনো পৌঁছাবে না। এ পৃথিবী স্বর্গ নয়, এখানে আসলে আদর্শ জিনিস আশা করাই ভুল।

রণদীপম বসু এর ছবি

সম্ভবত দেশভাগ নিয়ে এটাই প্রথম কোন প্রকাশিত বই ছিল। আমি বাংলা অনুবাদটা পড়েছি। বইটা পড়ার পর আমি বেশ কয়েকদিন স্তব্ধ হয়ে ছিলাম!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।