প্রধান মন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠিঃ প্রস্তাবিত বিমান বন্দরের পরিকল্পনা থেকে সরে আসুন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ০২/০২/২০১১ - ১০:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী,
সালাম নেবেন। জানি facebook বা ব্লগ ব্রাউজ করার মত সময় আপনার হয়না।পনের কোটি আম জনতার ভাগ্যের চাবিকাঠি যার হাতে তার এতটা সময় থাকারও কথা নয়। তাই এই চিঠি আপনি সরাসরি পড়বেন এই বিশ্বাস থেকে নয়, কোন না কোনভাবে এই চিঠির মর্মার্থ আপনার কর্ণগোচর হবে এই বিশ্বাস থেকেই চিঠির সূত্রপাত। জানেন তো, ব্যাক্তিগত বিশ্বাস যখন জনমানুষের বিশ্বাসে রূপ নেয় তা কখনো হারায় না!
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, কিছুদিন আগে আপনি জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নাম বদলে দিয়ে রাখলেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এই নাম পরিবর্তনে পনের কোটি আম জনতার কি লাভ হল জানিনা তবে তাদের কে গুনতে হল কয়েকশ কোটি টাকা।কারো ব্যাক্তিগত আক্রোশ পূরন করতে গিয়ে ২৯ বছর যাবৎ বিশ্বব্যাপি পরিচিত একটি বিমান বন্দর অপরিচিত হয়ে গেল নিমিষে। সেতু/নভোথিয়েটার এর নাম পরিবর্তন আর বিমান বন্দরে নাম পরিবর্তনের মধ্যে যে একটা পার্থক্য আছে সেটা আপনি কিংবা আপনার দলের কেউ বুঝলো না… আপনাদের টার্ম শেষে যারা ক্ষমতায় আসবে তারাও হয়তো বুঝবে না। আমরা দুর্ভাগারা আবারো কয়েশ কোটি টাকা খরচ করব আরেকবার নাম পরিবর্তনের নামে…।. এখন আপনার মাথায় এসেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর করার চিন্তা এবং এটা হয়ত আপনার ব্যাক্তিগত আক্রোশ এর দ্বিতীয়ধাপ(যেহেতু জিয়ার নামে একটা বিমানবন্দর ছিল)।. মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, আপনি কি একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখবেন, এ মুহূর্তে দেশে আরেকটি বিমানবন্দরের আদৌ প্রয়োজন আছে কি না?

আরেকটি বিমান বন্দর কেন?


মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, দেশে বর্তমানে তিনটি আন্তর্জাতিক ও পাঁচটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর আছে যেগুলোর কোনটারই ধারণক্ষমতার পুরোটা ব্যাবহৃত হচ্ছেনা।দেশের সবচেয়ে ব্যাস্ত বিমানবন্দর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বছরে বর্তমানে প্রায় ৪০ লক্ষ যাত্রী আসা-যাওয়া করে, যেখানে এই বিমান বন্দরের যাত্রী পরিচালন ক্ষমতা ৮০ লক্ষ।এই বিমানবন্দরে বর্তমানে পিক আওয়ারে সর্বোচ্চ ১০টি বিমান ওঠানামা করে যেখানে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পিক আওয়ারে গড়ে ৬০টির মতো বিমান ওঠানামা করলে সেটি স্বাভাবিক ক্ষমতাসম্পন্ন বিমানবন্দর বলা হয়।অর্থাৎ ঢাকায় বর্তমানের ছয় গুণ বিমান ওঠানামা এবং যাত্রীর পরিমাণ দ্বিগুণ হলেও এর জন্য হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরই যথেষ্ট। তার উপর আরো দুইটি আন্তর্জাতিক ও পাঁচটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরতো আছেই। তাহলে ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে এখনই আরেকটা বিমানবন্দর বানানোর যৌক্তিকতা কি?
নতুন বিমানবন্দরটিকে থাইল্যান্ড/সিঙ্গাপুর বা দুবাইয়ের মতো দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ায় বিমান চলাচলের হাবে পরিণত করার যে সরকার পক্ষীয় যুক্তি দেখানো হচ্ছে সেটা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে করলে সমস্যা কোথায়? এই বিমান বন্দরে এখনো পর্যাপ্ত জায়গা আছে (তার উপর বিমানবন্দরসংলগ্ন ১৩০ একর জমি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ইজারা দেয়া!!) আর থাইল্যান্ড/দুবাই ও সিঙ্গাপুর এমনিতেই বড় ব্যবসায়িক কেন্দ্র এবং থাইল্যান্ড/দুবাই/ সিঙ্গাপুরের হাব হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা দেশগুলোর বিমান সংস্থা থাই/এমিরেটস ও সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের যেখানে বাংলাদেশ বিমান প্রতি বছর লোকসান দিয়ে আসছে!

কোন যৌক্তিকতায় আড়িয়াল বিলে বিমান বন্দরঃ


মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, বর্তমান বিমানবন্দর গুলোর সক্ষমতার অধিকাংশই অব্যাবহৃত রেখে, কোন ধরণের সম্ভ্যবাতা যাচাই না করে, ১৯৯৯ সালের জাতীয় পানি নীতি ভঙ্গ করে,করে, জলাভূমির উপর নির্ভরশীল জনগণের অর্থনৈতিক /সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষতির তোয়াক্কা না করে আপনাদের শাসক গোষ্ঠীর খায়েস (স্বপ্ন)পূরন করার জন্যে আপনারা আড়িয়াল বিল (মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর ও সিরাজদিখান এবং ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ ও দোহার এলাকার আড়িয়ল বিল) বেছে নিয়েছেন।আচ্ছা, আপনার পরিকল্পনা কমিটির কেউ কি জানেন না যে বিলটি প্রতিবছর বন্যায় ১৫-২৫ ফুট পানিতে তলিয়ে যায় এবং এই এলাকার মাটিতে পিট কয়লার গভীর স্তর আছে যা বিমান বন্দর সহ যেকোন ভারী স্থাপনার জন্যেই হুমকিস্বরুপ? আপনারা থাইল্যান্ডের আদলে বিমান বন্দর করতে চান অথচ খবর রাখেননা ২০০৬ সালে থাইল্যান্ডের কোবরা সোয়াম্প নামের একটা জলাভূমির উপর ৩৯০ কোটি ডলার খরচ করে তৈরী করা বিমান বন্দরের রানওয়ে যাওয়ার ট্যাক্সিওয়েতে ১০০ টিরও বেশী ফাটল দেখা দেয় বিমানবন্দরটি চালু হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যেই এবং ৭ টি স্থান দেবে যায়!!
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, আপনি হয়ত জানেন তবু আরেকবার বলি; আপনাদের অধিগ্রহন করতে চাওয়া আড়িয়াল বিলের ২৫,০০০ একর জমি থেকে বর্তমানে ৪০,০০০ মেট্রিক টন ধান (প্রায়),১০,০০০ মেট্রিক রবিশস্য (প্রায়) , ৭০০ মেট্রক টন মাছ (প্রায়) উৎপাদিত হয় এবং এই জমি অধিগ্রহন করলে স্থানীয় বেকারত্বের সংখ্যা দাঁড়াবে ১১ লক্ষ।জমি অধিগ্রহনের পর কিভাবে পূরন করবেন এই খাদ্যশষ্যের ঘাটতি? তার চেয়ে বড়কথা কোথায় যাবে এই মানুষগুলো?কি হবে তাদের বাসস্থান,জীবিকা কিংবা স্বপ্নের? জানি আপনারা জানেননা, আর জানেনা বলেই তারা আজ পথে নেমে এসেছে।প্রতিরোধের দেয়াল বানিয়ে সেখানে রক্তের ছোপে লিখে দিয়েছে “আড়িয়াল বিল শাসকের নয়, এই বিল বিলমানুষদের”।. আর আপনারা এই গনমানুষের আন্দলনকে প্রতিরোধ করতে চাইছেন শাসকের ভাষায়; "ওরা বিএনপি জামাত চক্র!" – নাম দিয়ে পরিনত করতে চাইছেন রাজনৈতিক ইস্যুতে।

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, কেন দরকার জাতির পিতার নামে লক্ষ লক্ষ মানুষের পেটে লাথি মারার।আপনার কি কোন কারনে সন্দেহ হচ্ছে যে বঙ্গবন্ধুকে সবাই ভুলতে বসেছে? ৫০ হাজারকোটি টাকা খরচ করেই হোক আর লক্ষ মানুষের পেটে লাথি মেরেই হোক বিমান বন্দর নামকরণের মাধ্যমে তাকে বিলোপ হওয়া থেকে বাঁচাতেই হবে? যদি তাই হয় তবে বলব আপনারা মিথ্যে কুহকে ভূগছেন। বঙ্গবন্ধু স্বীয় কীর্তিতে মুর্তিমান এবং ইতিহাসেরও সাধ্য নেই তাকে মুছে দেবার। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, একবার কি ভেবে দেখেছেন, যে মানুষগুলোর পেটে লাথি মেরে আপনারা বঙ্গবন্ধুর নামে বিমান বন্দর করতে চাইছেন বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাদের অনুভূতি কি দাঁড়াবে? বঙ্গবন্ধুকে এইভাবে হেয় করার অধিকার কি আপনারা রাখেন?

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, আপনি কি একটু অবাক হচ্ছেন? বিমান বন্দর বানানোর ঘোষনাতো সেই কবেই দিয়েছেন, আর আমি আজ কেন মাঘের গীত গাইতে খোলা চিঠি লিখছি?? না মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমরা আপনাদের স্বার্থপরতা আর খামখেয়ালীপনা দেখে অভ্যস্থ।বিদ্যুৎ ব্যাবস্থা/যানযট/বেকারত্ব সহ হাজারো সমস্যা আমরা যখন অর্থায়নের অভাবে সমাধান করতে পারছিনা তখন আমাদের নেতার ব্যক্তিগত আক্রোশ/স্বপ্ন পূরনের নামে ৫০,০০০ কোটি টাকা খরচের ঘোষনাও আমরা অবলীলায় মেনে নেই।ওই যে বললাম আমরা দেখে দেখে অভ্যস্থ হয়ে গেছি। কিন্তু যখন দেখলাম আড়িয়াল বিলের লাখ মানুষ পেটের দাবীতে পথে নেমে এসেছে; জীবিকা বাচানোর দাবীতে, হাতে হাত রেখে ছেয়ে ফেলেছে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের আট কিলোমিটার পথ- আর আপনারা গণমানুষের দাবী রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিনত করে কাদা ছোড়াছুড়ি করছেন অবলীলায় তখন মনে হল যেখানেই থাকি, অন্তত হাততুলে আড়িয়াল বিলের মানুষ কে বলি “তোমাদের সাথেই আছি”

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, শেষ কথাটুকু বলি। জনমানুষের দাবী শুনুন। ভুলে যাবেন না আপানার জনগনের নির্বাচিত সরকার।আড়িয়াল বিল কাদছে, ফুসে উঠছে সেখানের মানুষ। যদি জনদাবী প্রত্যাখান করে নোংরা রাজনীতির খেলায় মেতে উঠেন তবে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়বে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া; বেনাপোল থেকে তামাবিল। স্মরন করিয়ে দিচ্ছি, বাংলাদেশের ইতিহাস কিন্তু শাসক নয়, সব সময় জনতার জয়ের গল্পই বলে।বায়ান্ন, একাত্তর, নব্বই অথবা নিকটবর্তী কানসাট- কবেইবা জনগন হেরেছে?

- তানভীর রাব্বানী (Tanvir Rabbani)

সূত্রঃ http://munshigonj.com/bn/?p=38754
http://thenewnationbd.com/index.php?option=com_content&view=article&id=4949:arial-beel-site-gets-pms-nod&catid=85:frontpage&Itemid=241
http://nationmultimedia.com/2007/01/26/headlines/headlines_30025156.php
এবং গত কয়েকদিন এর পত্রপত্রিকা


মন্তব্য

আলমগীর এর ছবি

আগুন লেখা। তবে প্রচুর বানান ভুল। "প্রধানমন্ত্রী", "বিমানবন্দর" এগুলো একক শব্দ। দাঁড়ির পর একটা স্পেস দিতে হয়। লিখতে থাকুন।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার লেখা পড়ে কিনা জানিনা, তবে প্রধানমন্ত্রী সরে এসেছেন। -রু

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

দুর্দান্ত লেখা । পাঁচতারা।
আরো লিখুন।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

লেখায় - চলুক চলুক চলুক

আজকে খবরে দেখলাম যে , প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আড়িয়ালে বিমানবন্দর হবে না ।

--------------------------------------------
আমার চারপাশ ডট কম

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

বেঁচে থাকুক আড়িয়াল বিল ।

লেখা ভাল লেগেছে । পাঁচ তারা ।

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাল লিখেছেন। ধন্যবাদ।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাল লিখেছেন। ধন্যবাদ।

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক চলুক চলুক চলুক চলুক
------------------------------
Sad Story

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

কিন্তু যেখানে একটা বিমানবন্দর প্রয়োজন সেখানের কথা কেউ বলেনা। মংলা বন্দরের কাছে এর্শাদের আমলে অধিগ্রহণ করা বিমানবন্দরের জমিটা এখনও পতিত পড়ে আছে। ওখানে বিমানবন্দরের একটা সাইনবোর্ডও এখনও আছে।

লেখা দূর্দান্ত হয়েছে। ধন্যবাদ।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

আউল এর ছবি

ঢাকা চট্টগ্রাম মহা সড়কের কাছে (পাহাড়তলী, ভিক্টরীয়া গেইট, মাজার গেইট সংলগ্ন) আমাদের কিছু দোকান আছে , আমার বাবা হঠাৎ করে মারা যায় গত বৎসর, আর আমাদের একমাত্র অবলম্বন এই দোকান গুলোর ভাড়ার টাকা, আমরা দু'ভাই দুজনই লেখা পড়া করি, বাবা মারা যাওযার পর এ দোকান গুলোর একজন ভাড়াটিয়া চাচ্ছেন দোকান গুলোর ভাড়া না দিতে এবং তা জোরকরে দখল করতে, আর আমাদেরকে সব সময়ে ভয় ভীতি প্রদশর্ন করে এবং আমাদেরকে আমাদের দোকানের কাছে যেতে দেয় না

এই ব্যাপারে দোকান মালিক সমিতিকে আমরা অবহিত করি তারাও আমাদের পক্ষে রায় দেয়, কিন্ত ভাড়াটিয়া দোকান মালিক সমিতির রায় মানে না, বিষয়টি আমরা থানায় জানাই থানারও কোন সিদ্ধান্ত তারা মানছেন না- কারন তারা প্রকাশ্যে বলে বেড়োয় তারা মন্ত্রী আবসারুল আমীন এবং হাসান মাহমুদের নিকট আন্তীয় - সে জন্য পুলিশ এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা তাকে সমীহ করে

আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব ভালো না থাকায় আমরা কিছু করতে বা বুঝতে পারছি না, তাদের পক্ষে আছে মন্ত্রী, পুলিশ নেতারা আর আমার পক্ষে কেহ নাই, আমরা তো শুধু মাত্র আমাদের দোকানের ভাড়া চাচ্ছি আর তো কিছু নয়, আমরা এতিম - শক্তি নেই - ক্ষমতা নেই - টাকার জোর নেই তাই বলে আমরা আমাদের দোকানের ভাড়া থেকে বঞ্চিত হবো? কথায় বলে জোর যার মুল্লুক তার

এমতা বস্থায় ফোরামে লিখে সাংবাদিক এবং আইন বুঝেন এমন লোকের সাহায্য চাচ্ছি - তাই আমি সকলের উপদেশ চাই

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।