আনু মোহাম্মদের উপর হামলা যখন আরো কিছু নাগরিক হিসেব নিকেশের ক্ষেত্র তৈরী করে

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: রবি, ০৬/০৯/২০০৯ - ৬:১৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

.


আনু মোহাম্মদ এবং তাঁর সহযোদ্ধাগন যেদিন পুলিশী বর্বরতার শিকার হন,সেদিনই র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের অপরাধ-জগতের অন্যতম গড ফাদার,চোরাচালানী দলের প্রধান আহসান কবির ওরফে হাসান এবং তার ভাই আরেক সন্ত্রাসী মিজান।

আনু মোহাম্মদের উপর হামলার প্রতিবাদে যখন শুভবোধ সম্পন্ন মানুষেরা রাজপথের মিছিলে, ফেসবুকের স্ট্যাটাসে, পত্রিকার বিবৃতিতে, টিভির টক-শোতে ঝড় তুলছেন তখন হরিনার বিলের বাবুর পুকুর পাড়ে লাশ হয়ে গেছেন দুই সহোদর সন্ত্রাসী।

সুক্ষ অনুভূতিপ্রবন পাঠক হয়তো এরই মধ্যে ক্ষেপে উঠছেন, আনু মোহাম্মদ প্রসংগে সন্ত্রাসী সহোদরদের টেনে আনায়। দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার মতো মহতী আন্দোলনের পুরোধা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকের সাথে সন্ত্রাসী গডফাদারদের প্রসংগ টানা কতোটুকু যৌক্তিক?

সবিনয়ে বলি- যৌক্তিক! যুক্তির সহজ সুত্রটি হলো রাষ্ট্রের সাথের সম্পর্কের মুল। অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ, গডফাদার হাসান দুজনেই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নাগরিক। নাগরিক হিসেবে দুজনেই এই রাষ্ট্রের কাছ থেকে কিছু মৌলিক অধিকার নিশ্চয়তা পাওয়া অধিকার সংরক্ষন করেন। মৌলিক অধিকারের এই নিশ্চয়তাগুলোই রাষ্ট্রের সাথে নাগরিকের সম্পর্কের টিকিয়ে রাখে।
মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং আত্নপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাওয়া রাষ্ট্র কর্তৃক নাগরিক প্রদত্ত নিশ্চয়তার অংশ।
এমনকি যে নাগরিক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সশস্ত্র হয়, তাকে ও রাষ্ট্র বিনা বিচারে হত্যা করতে পারেনা। কমরেড সিরাজ শিকদার বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিপ্লব শুরু করেছিলেন, তবু তার বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এখনো প্রশ্ন তুলে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম ঠেকানোর জন্য যারা গনহত্যার মতো অপরাধ করেছিলো তাদের বিচার ও আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে চাচ্ছি। চোখের বদলে চোখ তুলে নেয়ার পরিনতি শেষ পর্যন্ত অন্ধত্ব- এই সহজ সত্য অনুধাবন করতে গান্ধীজি হতে হয়না।

কিছুদিন আগে পড়ছিলাম পত্রিকায় জজ মিয়ার কাহিনী। ২১ আগষ্টের বোমা হামলার মুল অপরাধীদের আড়াল করতে কি করে একজন নিরপরাধ নিরীহ মানুষকে পিটিয়ে, প্রলোভন দেখিয়ে স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করেছিলো রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী। তৎকালীন বিরোধী দলীয় শেখ হাসিনাকে ই-মেইলে হুমকী দেয়ার অভিযোগে নিরপরাধ এক তরুনকে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন চালিয়েছিলো পুলিশ। প্রেক্ষাপট বদলে যাওয়ায় জজ মিয়া কিংবা সেই তরুন হয়তো প্রানে বাঁচলেন কিন্তু তাদের উপর যে শারীরিক, মানসিক নির্যাতন চললো-সারা জীবনের জন্য যে ক্ষতি হয়ে গেলো তাদের, তার ক্ষতিপূরন দেবে কে?

স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের নয় বছরে বাংলাদেশের কতো হাজার হাজার তরুন পুলিশী বর্বরতার শিকার হলেন,কতো জন সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেলেন অথচ স্বৈরাচার পতনের পর কোন নাগরিক সংহতি, কোন সচেতন উদ্যোগ এই তরুনদের পক্ষ থেকে পুলিশী নির্যাতনের বিচারের দাবী তুললেন না।
রাতের অন্ধকারে শামসুন্নাহার হলে পুলিশের হামলা, চারুকলার ছাত্র-শিক্ষকদের পিটানো,ক্রিকেট মাঠে বয়োবৃদ্ধ সাংবাদিককে আক্রমন এসব তো মাত্র সেদিনের ঘটনা। এক একটা ঘটনা ঘটে, সংক্ষুব্ধ নাগরিকগন টগবগ করেন তারপর গল্প সেই একই, বিস্মরন।
পুলিশ কর্মকর্তা কোহিনূর, আকবর এরা তো ভালোই আছে এখনো অথচ এদের ও বিচারের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিলো।

বাংলাদেশ আন্দোলন সম্ভবা দেশ। জরুরী-অজরুরী কতো ইস্যু নিয়ে এদেশে আন্দোলনে দানা বাঁধে।আন্দোলনের পরিনতিতে সরকার উলটে যায়। অথচ রাষ্ট্রের সাথে নাগরিকের মৌলিক বোঝাপড়া নিয়ে কোন আন্দোলন গড়ে উঠলোনা এই দেশে, নাগরিক সংহতির কোন অবিচ্ছিন্ন প্লাটফর্ম তৈরী হলোনা। কোন আন্দোলনে পুলিশী হামলা হলে তার প্রতিবাদ হয় অথচ পুলিশী নির্যাতন নিজেই আন্দোলনের একটা ইস্যু হতে পারতো।

আনু মোহাম্মদদের উপর পুলিশী হামলার প্রতিবাদ করতে তাঁদের আন্দোলনের সমর্থক হওয়া জরুরী নয়। তাঁর আন্দোলনের সাথে আমার দ্বিমত থাকতেই পারে কিন্তু রাষ্ট্র যখন সহনাগরিকের মত প্রকাশে বাধা দেয় তখন এর প্রতিবাদ, প্রতিরোধ এবং সমাধান করাটা জরুরী হয়ে উঠে। কিন্তু সমস্যা হলো আমাদের সচেতন নাগরিকেরা কেবল তাদের শ্রেনীর নাগরিক অধিকার বাধাগ্রস্ত হলেই প্রতিবাদী হন, অন্যদের বেলায় নিশ্চুপ থাকেন।

রাষ্ট্রীয় প্রতারনার শিকার একজন জজ মিয়া কিংবা বিনা বিচারে নিহত এক তরুনের স্বজনেরা যে শ্রেনীর প্রতিনিধিত্ব করেন তারা রাজপথের মিছিলে, ফেসবুকের স্ট্যাটাসে, পত্রিকার বিবৃতিতে, টিভির টক-শোতে ঝড় তুলার সামর্থ্য রাখেন না। এবং প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশের ক্ষমতাপন্থী, ধর্ম পন্থী, বামপন্থী কোন রাজনৈতিক গোষ্ঠীই তাদের প্রতিনিধিত্ব করে না।
আমরা প্রত্যেকেই নিজেদের শ্রেনী বৃত্তে বন্দী হয়ে আছি, পূর্ন বিকশিত নাগরিক হয়ে উঠতে পারিনি। রাষ্ট্র এবং নাগরিক দুই আলাদা স্বত্বা, রাষ্ট্রের সাথে নাগরিকের বোঝাপড়ার বিষয়টি তাই অস্পষ্ট থেকে যায় সবসময়।

কোন আদর্শবাদী তরুন হয়তো আনু মোহাম্মদের উপর হামলার প্রতিবাদে ফেসবুক স্ট্যাটাস লিখতে লিখতে স্বপ্ন দেখেন- সমাজতন্ত্র আসলেই এইদিন বদল হয়ে যাবে।
উপহাস প্রিয় ইতিহাস বলে, কোন তন্ত্রেই নাগরিকেরা রাষ্ট্রযন্ত্রের নির্যাতন থেকে রেহাই পায়নি যতোক্ষন না তারা শ্রেনী স্বার্থের বাইরে এসে মৌলিক অধিকারের প্রশ্নে সম্মিলিত হয়নি, রাষ্ট্রের সাথে বোঝাপড়ার মতো সামর্থ্য অর্জন করেনি।


মন্তব্য

দুর্দান্ত এর ছবি

" কোন আদর্শবাদী তরুন হয়তো আনু মোহাম্মদের উপর হামলার প্রতিবাদে ফেসবুক স্ট্যাটাস লিখতে লিখতে স্বপ্ন দেখেন- সমাজতন্ত্র আসলেই এইদিন বদল হয়ে যাবে।
উপহাস প্রিয় ইতিহাস বলে, কোন তন্ত্রেই নাগরিকেরা রাষ্ট্রযন্ত্রের নির্যাতন থেকে রেহাই পায়নি যতোক্ষন না তারা শ্রেনী স্বার্থের বাইরে এসে মৌলিক অধিকারের প্রশ্নে সম্মিলিত হয়নি, রাষ্ট্রের সাথে বোঝাপড়ার মতো সামর্থ্য অর্জন করেনি।
"

গুরুত্বপূর্ন একটি কথা। আপনার বক্তব্যের অবস্থান থেকে নাগরিকমাত্রেরই সমান অধিকার - সে আনু হোক, তথাকথিত সন্ত্রাসী হোক, কিংবা হোক একজন অভিযুক্ত ধর্ষক। দেশের আইনে অপরাধ প্রমানের আগ পর্যন্ত সবাই নিরপরাধ, অপরাধ প্রমানের পরেও আইনের বাইরে আর কোন শাস্তি তার প্রাপ্য নয়।

এটা বলতে গিয়ে 'আনু স্যার আর সন্ত্রাসীকে এককাতারে' দেখানোর মত দরকারি ঝুঁকিটা নিয়েছেন। সাধুবাদ।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

হ্যাঁ,কিছুটা ঝুঁকি তো নেয়া হলোই, বন্ধুরা সহজেই ফ্যাসিবাদী ট্যাগ করতে পারেন।
আনু মোহাম্মদ এর উপর হামলা যেমন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, একজন হকারকে যখন পুলিশ পেটায় সেটাও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। না, নৈতিকতার ভিত্তিতে নয় -এটা একবারে আইনগত ভাবেই স্বীকৃত। অধ্যাপক বুদ্ধিজীবি আর ভূমিহীন কৃষকের জন্য আলাদা ট্রিটমেন্টের কথা তো সংবিধানে নেই।

অন্ত্যজ পর্যায়ে রাষ্ট্রীয় নির্যাতনে সচেতন শ্রেনী চুপ করে থাকেন বলেই এটি ছড়ায়-সব শ্রেনীকেই আঘাত করার সাহস পায়।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

শেষ কথাই সারকথা।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

শেষের প্যারাটাই আসল কথা।

কিন্তু আপনি আমজনতাকে এগুলো কী বলেন, পড়ুন সাহারা খাতুন কী বলে মন খারাপ
No extrajudicial killings occurring: Sahara

হাসান মোরশেদ এর ছবি

গোলাপজল ছিটিয়ে কি আর লাশের গন্ধ ছড়ানো আটকানো যায়?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

গৌতম এর ছবি

আহ। আপনার এই লেখাটার চেতনাটা, অন্তত সুশীল নাগরিকরাও যদি বুঝতে পারতো! র্যাব যখন বিচারবহির্ভূতভাবে মারা শুরু করলো, তখন যুক্তিবোধ হারিয়ে (হয়তো বাস্তব কারণেই) অনেককেই খুশি হতে দেখেছি। অনেককে এটুকু বোঝাতে পারি নি, যতো বড় অপরাধীই হোক না কেন, বিচার ছাড়া বিচার হলে তা অারও বড় অপরাধের জন্ম দেয়।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ফারুক হাসান এর ছবি

চলুক
লেখাটি পড়ে লগইন না করে পারলাম না। সত্যি, নাগরিক অধিকার নিয়ে আমরা সবসময়ই একধরণের শ্রেণীধাবিত আন্দোলন দেখি, তার বাইরে কিছু করি না। রাষ্ট্রের প্রধানতম দায়িত্ব তার শ্রেণী, ধর্ম, পেশা, ভাল-মন্দ নির্বিশেষে সব নাগরিকের অধিকার সংরক্ষণ করা, অথচ প্রতিদিনই কত অনাচার হয়ে যাচ্ছে, সে বিষয়ে আমরা নির্বিকার, রাষ্ট্র অক্ষম, এবং নিজের সমগোত্রীয় বলে মনে না হলে অনাচার প্রতিকারের ভাবনাটাও আমাদের মনে উদয় হয় না।

স্বাধীন এর ছবি

উপহাস প্রিয় ইতিহাস বলে, কোন তন্ত্রেই নাগরিকেরা রাষ্ট্রযন্ত্রের নির্যাতন থেকে রেহাই পায়নি যতোক্ষন না তারা শ্রেনী স্বার্থের বাইরে এসে মৌলিক অধিকারের প্রশ্নে সম্মিলিত হয়নি, রাষ্ট্রের সাথে বোঝাপড়ার মতো সামর্থ্য অর্জন করেনি।

লগইন করলাম শুধু নিজের সহমতটুকু জানিয়ে দেওয়ার জন্য।

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

চলুক

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

s-s এর ছবি

রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ কবে জনগণের কল্যাণে "বন্ধু" হিসেবে কাজ করেছে? বাংলাদেশে রাষ্ট্রযন্ত্রের ধারণাটিই তো নিবর্তনমূলক! ক্ষমতা কাঠামো তাকে নিশ্চিত করে মাত্র। সমঅধিকার দূরে থাক, ন্যূনতম অধিকারও যেখানে নিশ্চিত নয় সেই বাস্তবতায় এই আক্ষেপ কতটা বৌদ্ধিক আর কতটা আবেগপ্রসূত? মানে হলো, আমি চাই রাষ্ট্র এমন করুক কিন্তু আমি প্রথম থেকেই জানি এই রাষ্ট্রের বাস্তবতা সেটা নয়?? তারপরেও চাই এটা হোক, কারণ বাই দ্য বুক রাষ্ট্রের এটা করা উচিত? কেন? জানতে চাই।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সংবিধান কিন্তু নাগরিক নির্বিশেষে মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা দেয়। সুতরাং রাষ্ট্রযন্ত্রের ধারনা নিবর্তনমূলক বলা যায়না, ক্ষমতা কাঠামো সংবিধান প্রদত্ত নাগরিক অধিকারকে অগ্রাহ্য করে এবং এই অগ্রাহ্যের মাধ্যমে ক্ষমতা কাঠামো সংবিধান লংঘন করে।
এই যে পুলিশ মিছিলে হামলা করলো,স্বীকারোক্তির নামে পুলিশ নির্যাতন চালায়, র‌্যাব নাটক সাজিয়ে হত্যা করে এসবের কোন আইনগত ভিত্তি নেই। বরং আইনবহির্ভুত ক্ষমতাচর্চার অপরাধে পুলিশ এবং পুলিশের হুকুমদাতাদের শাস্তি হওয়ার কথা।
কিন্তু এর জন্য রাষ্ট্রকাঠামোকে বাধ্য করার মতো নাগরিক সামর্থ্য বাংলাদেশ রাষ্ট্রে গড়ে উঠেনি
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সাইফুলাক্বর্খান :-( এর ছবি

........................
...............................
......................................

রণদীপম বসু এর ছবি

ঠিকই বলেছেন, আমরা অনেকেই তা কিছুতেই বুঝতে চাইনা যে, খুনে ডাকাত বা ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী যেই হোক, রাষ্ট্র কর্তৃক বিচারবিহীন হত্যা মানেই রাষ্ট্রযন্ত্রকে স্বেচ্ছাচারে অভ্যস্ত করে ফেলা। এতে যে শেষপর্যন্ত দোষী বা নির্দোষী কেউ আর আশঙ্কামুক্ত থাকে না, এটা বুঝবে কবে এরা !

গুরুত্বপূর্ণ পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অবাঞ্ছিত এর ছবি

গুল্লি

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

আব্দুল্লাহ এর ছবি

ভাইয়া,

আপনার ব্লগ নিয়মিত পড়ি, সচলেও নিয়মিত পাঠক আমি।
আনু স্যারের উপর হামলা নিয়ে লিখেছেন বলে কমেন্টে আমি ১৬ তম, কারণ এইটা শাসক দলের একটা নোংরা দিক বহন করে।
যদি ভারতের মিষ্টি কথায় ভুলে টিপাইমুখে বাঁধ দেয়ার ব্যাপারে সরকারের অত্যাগ্রহ এবং সেই সাথে আরো অনেকগুলো বাঁধ যে ভারত তৈরি করতে যাচ্ছে সেই ব্যাপারে সরকারের শৈথিল্য (সূত্রঃ ৯ সেপ্টেম্বর, প্রথম আলো) নিয়ে কিছু বললেও তাতে তেমন ফল আসবেনা।
ফল হবেনা যদি এশিয়ান হাইওয়ের নামে ভারতের চাওয়া ট্রানজিটের বিরুদ্ধে কিছু বললেও। ফল হবেনা বিদ্যুত ঘাটতিতে ধ্বজাবহনকারী রাস্ট্রের কাছে বাংলাদেশের বিদ্যুত আমদানির যৌক্তিকতা নিয়ে কথা বললেও...

হয়ত আমার এই মন্তব্য প্রকাশিত হবেনা।
তবু বলি, আমাদের বিবেক আজ একরোখা। তাই নিঃসন্দেহে অনেক ক্ষেত্রেই সচল এই আমাদের প্রতিবাদে আমরা নিশ্চল যদি তা হয় ক্ষমতাসীন সরকারের দুর্বল দিক।

একান্ত পাঠক এই আমার মন্তব্যটা বড় হয়ে গেলো পোস্টটা পড়ে... সচলে একটা মন্তব্য করে দেখেছি তা প্রকাশ হয়নি। যা হোক, দেশ সকলের। কিছু হলে তার ফল তো সবাই ভোগ করব। একটা কমেন্ট, একটা পোস্ট, বিপুল জনপ্রিয়তা-- এগুলো কিছুই জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেনা।

মাহফুজ আনামের ভূমিকা নিয়ে লেখাটাও অনেক কম সাড়া পেয়েছিল আপনার... কারণ, আমরা স্বেচ্ছান্ধ...

ধন্যবাদ আপনার সুন্দর আর যৌক্তিক পোস্ট এর জন্য।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।