গোকূলের এই ঘাতকটিকে ও রুখতে হবে

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: বুধ, ১৪/০৭/২০১০ - ৬:২৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


'অন্ধকার দিয়ে অন্ধকার তাড়ানো যায়না'-এই সহজ সত্য হয়তো জানতেন কিন্তু মানেননি বাংলাদেশের রাষ্ট্রের রক্তস্নাত জন্মপর্বের কোন পক্ষই। যুদ্ধবিধ্বস্ত নতুন রাষ্ট্রের অনভিজ্ঞ সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র তৎপরতা কিংবা দুর্বল বিরোধীদের মোকাবেলায় রাজনৈতিক শক্তির বদলে পেশী শক্তির প্রয়োগ কোনটাই শেষপর্যন্ত শুভ হয়নি কারো জন্যই।
একটু অবস্থাসম্পন্ন কৃষক, ক্ষমতাসীন দলের মফস্বল পর্যায়ের নেতাকর্মী কিংবা পুলিশের সাধারন সদস্যের গলাকেটে যেমন সমাজতন্ত্র কায়েম করা যায়নি তেমনি ভ্রান্ত বিল্পবীদের বিচারের আওতায় আনার বদলে সশস্ত্র বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে ও ক্ষমতাসীনদের শেষরক্ষা হয়নি।
মাঝখান থেকে-অনেক ত্যাগ,তীতিক্ষা ও স্বপ্নের এই নরোম মাটিতে বিচার বহির্ভূত হত্যার বিষবৃক্ষটি রোপন হয়েছে।

আগষ্ট ১৫,১৯৭৫ এ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতিকে হত্যার মাধ্যমে অবৈধ ক্ষমতা দখলের যে ধারাবাহিকতা শুরু হয়, তাতে এই বিষবৃক্ষটিকে সযত্নে লালন-পালন করা হয়েছে সচেতনভাবেই। জাতীয় চারনেতা হত্যা, অভ্যুত্থান পালটা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে কয়েক হাজার সেনাসদস্য-কর্মকর্তা হত্যা এই বিষবৃক্ষটির কান্ডকে দৃঢ় করেছে।

হোমো এরশাদের স্বৈরশাসনের দীর্ঘবছরগুলোতে সামরিক বুটের নীচে আর্তনাদ করেছে- মৌলিক অধিকার, ন্যায়বিচার সহ সকল শুভবোধ। জাতিগত বিস্মৃতিপ্রিয়তা স্বত্বেও ৮১-৯০ এর পত্রিকা থেকে পরিসংখ্যান বের করা সম্ভব কতো শতো রাজনৈতি কর্মী, প্রতিবাদী তরুন, ছাত্র-শ্রমিক নিহত হয়েছেন বিনাবিচারে- স্বৈরাচারের লেলিয়ে দেয়া উর্দিবাহিনীর হাতে।

রুদ্র কবি লিখেছিলেন-'কথা ছিল রক্ত প্লাবনের পর মুক্ত হবে শস্যক্ষেত' । হয়নি। দীর্ঘ গনআন্দোলনে স্বৈরাচার পতন হলো, শুনা গেলো গনতন্ত্র এসেছে, নির্বাচন ও হলো,সংসদ হলো, জনগনের নির্বাচিত সরকার ও হলো- বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সে বিষবৃক্ষটি কিন্তু আরো শক্তপোক্ত হলো।

বরং প্রিয়দর্শিনী প্রধানমন্ত্রী এর আকার ও প্রকারে নিয়ে আসলেন আরো 'সৌন্দর্য্য'। এর আগে প্রধানতঃ বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষের নেতা-কর্মীরা এর শিকার হলেও খালেদা জিয়ার 'অপারেশন ক্লিনহার্ট'এ বিনাবিচারে খুন হলেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সাধারন মানুষ -হয়তো তাদের কেউ কেউ সত্যিই অপরাধী ছিলেন কিন্তু বিনাবিচারে প্রকৃতঅপরাধীকে হত্যা করাও যে অপরাধ সেই বোধ লুপ্ত হয়েছিলো আমাদের নির্বাচিত শাসকদের। এইসব হত্যার বিচার চাওয়ার অধিকার ও তারা বন্ধ করেছেন অধ্যাদেশ জারি করে।
তাদের অপশাসন, রাজনৈতিক দুর্বত্তায়ন ও অদক্ষতার কারনে সৃষ্ট আইন-শৃংখলার চরম অবনতিকে আড়াল করার জন্য সুপারম্যান ইমেজে গঠন করলেন র‌্যাব-র‌্যাবকে দেয়া হলো বিনাবিচারে মানুষ হত্যার অবাধ লাইসেন্স।
র‌্যাব যেমন হত্যা করেছে চিহ্নিত অপরাধীদের(যাদেরকে আদালতে সোর্পদ করা,তাদের অপরাধ প্রমান করা ছিলো আইনশৃংখলা বাহিনীর দায়িত্ব) তেমনি হত্যা করেছে বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের, হত্যা করেছে একেবারেই নিরাপরাধ নাগরিকদেরকে ও।

বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হলে ও শেখ হাসিনার সরকারের ১৯ মাস সময়ে এটি বন্ধ হয়নি বরং ছড়িয়ে পড়েছে আরো ভয়ংকরভাবে। গত ছয়মাসে আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে ও পুলিশী হেফাজতে অনেকগুলো হত্যাকান্ডের সংবাদ এসেছে পত্রিকায়।
ঠিক আগের মতোই সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী এইসব বাহিনীর অবৈধ ক্ষমতাচর্চার সপক্ষে গলাবাজি করেছেন, করছেন। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা বাহিনীগুলোকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করেন-তাই এদের সমালোচনা হলে যেনো তাদের নিজেদের গায়ে লাগে। তারা ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন আইনশৃংখলা বাহিনীকে নিরপরাধ প্রমান করতে অথচ ক্ষমতায় আসার আগে তারা নিজেই অভিযোগ আনতেন। এই একই বাহিনী যারা জনগনের কাছে জবাবদিহীতার চর্চা করেনি কোনদিন, সরকার বদলের সাথে সাথে তাদের বদলে যাওয়ার যে কোন কারন নেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা তা বিস্মৃত হন।

শুরু থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় চল্লিশবছর ধরে ক্ষমতাসীনরা আইন-শৃংখলা বাহিনীকে হত্যার লাইসেন্স দিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মুল কাঠামোকে বিকৃত করেছেন। আধুনিক রাষ্ট্র এইসব বাহিনীকে অধিকার দেয়না কে অপরাধী তা নির্ধারন কিংবা অপরাধীকে শাস্তি দেয়ার। এই অধিকার কেবল মাত্র স্বাধীন আদালতের। এইভাবে বহুবছর ধরে অধিকার বহির্ভূত ক্ষমতার চর্চা আজকের অপরাধপ্রবন সমাজের পত্তন ঘটাতে প্রণোদনা জুগিয়েছে।

জনমানসে এর প্রভাব ও লক্ষনীয়। ক্রমাগত একটা অশুভ অবস্থার সাথে মানিয়ে নিতে নিতে মানুষের সহজাত শুভবোধ ও লুপ্ত হতে থাকে। '৭৪ সালে সিরাজ শিকদারের ক্রসফায়ার তৎকালীন সমাজে যতোটা গভীর প্রভাব ফেলতে পেরেছিলো- ২০০৮ এ চলেশ রিচিল হত্যা ততোটা প্রভাব আর ফেলেনা। শেখ হাসিনার প্রথম সরকারের সময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র রুবেল হত্যা যতোটা প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছিলো এখন ঘটতে থাকা অহরহ এইসব ঘটনা আর কোন প্রতিবাদের জন্ম দেয়না। মানুষ ক্রমশঃ প্রতিক্রিয়াশূন্য, ভাবলেশহীন হয়ে উঠছে।
বরং দেখা গেছে সাধারন মানুষের একটা অংশ সহ আব্দুল্লাহ আবু সায়িদের মতো বিদগ্ধজন, হুমায়ূন আহমেদের মতো জনপ্রিয় লেখক এইসব হত্যাকান্ড সমর্থন করছেন।
এই ইংগিতগুলো বড় ভয়ংকর।

ভয়ংকর সংক্রামকের মতোই বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের বিষবৃক্ষ তার ডাল-পালা ছড়িয়েছে একেবারে প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত। একযুগে আগে মফস্বল থানার দারোগা হয়তো পয়সার লোভে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আটকে হুমকী-ধামকী দিতো, জেলের ভয় দেখাতো। এখন অমানুষিক নির্যাতনের পর হত্যা করে ক্রসফায়ারের নাটক সাজায়। দারোগা জেনে গেছে উর্দি গায়ে যাকে খুশী সে খুন করতে পারে,তাকে কোন জবাবদিহী করতে হবেনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার পক্ষে সাফাই গাইবে।

প্রখর সূর্য ও যে মধ্যগগনে থাকেনা সারাদিন, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীনরা তা ভূলে যান। '৭৫ এর আগষ্ট পনেরোতে যারা নিজেদের ইশ্বরের মতো সর্বশক্তিমান ভেবেছিলো, অধ্যাদেশ পাশ করিয়ে যারা নিজেদের বিচারের উর্ধ্বে নিয়ে গিয়েছিলো- ৩৫ বছর পর তাদেরকে ঠিকই ফাঁসিতে ঝুলতে হয়েছে।

গনহত্যা ঘটিয়েও যারা শাসকদের সান্নিধ্যে ছিলো, শাসনক্ষমতার অংশীদার হয়েছিলো- ৪০ বছর পর আজ কিন্তু ঠিকই তাদেরকে বিচারের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
খালেদা জিয়া অপারেশন ক্লিনহার্টে্র পক্ষে যে অধ্যাদেশ জারী করেছেন- কে জানে সেটা ও একদিন বাতিল হতে পারে।
সম্প্রতি গঠিত মানবাধিকার কমিশন-কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন যার অন্যতম সদস্য-বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড বন্ধের উপর জোর দিচ্ছে। একজন দারোগা গ্রেপ্তার হয়েছে আদালতের নির্দেশে, মামলা হয়েছে র‌্যাবের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

জমে থাকা জঞ্জাল পেছনে রেখে সামনের পথে যাত্রা শুভ হয়না। '৭৫ এর হত্যাকান্ডের বিচার হয়েছে, '৭১ এর গনহত্যার বিচার হয়ে গেলে আরেকটা বড় জঞ্জাল সাফ হয়।
কিন্তু সেই সাথে ৪০ বছর ধর চলে আসা এই জঞ্জাল- আইন-শৃংখলা বাহিনী কর্তৃক বিনাবিচারে নাগরিক হত্যার এই জঞ্জালটি ও সাফ হওয়া ভীষন জরুরী। একটা শুভবোধ সম্পন্ন কল্যানকামী রাষ্ট্রের জন্য এর কোন বিকল্প নেই।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

অনন্ত

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যা মনে হয় তা হচ্ছে বড় ধরনের কোন রাজনৈতিক পরিবর্তন ছাড়া এই ধরনের বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ হবে না আর সহসা সেটা হবার সম্ভাবনা খুবই কম।
আপনার বক্তব্যের প্রতি পূর্ণ সমর্থন। ধন্যবাদ।

তারাপ কোয়াস

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

একটা শুভবোধ সম্পন্ন কল্যানকামী রাষ্ট্রের জন্য এর কোন বিকল্প নেই

এই বাক্যটাতেই আগের প্রশ্নগুলো, যা উঠে এসেছে বা মনে এসেছে, সেগুলোর উত্তর মিলে যায়। দুঃখের বিষয় হচ্ছে রাষ্ট্রযন্ত্রের কোন পর্যায়ে শুভবোধ ও জনকল্যানের চর্চার ব্যবস্থা বা পরিবেশ নেই। গোটা পরিবেশটাই যে বৈরি অমনটা বলছিনা। তব আখেরে তার মূল চরিত্রটা অমনই দাঁড়ায়।

প্রশাসন জানে যে তার নিজের কাঠামো এবং বিচার বিভাগের কাঠামোতে এমন ফাঁক আছে যা গলে অনেক অপরাধীই পার পেয়ে যায়। তাই কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোতোয়াল হাকিমের কাছে না গিয়ে নিজেই জল্লাদের ভূমিকায় নামে। এতে পপুলার জাস্টিস হয়, কিন্তু জাস্টিস হয়না, জাস্টিসের পথটাই রুদ্ধ হয়ে যায়।

রাজনীতিতে যখন থেকে দুর্বৃত্তায়ণ শুরু হয়েছে তখন থেকে দুর্বৃত্তরা একটু একটু করে ভাড়াটে গুণ্ডা থেকে নেতা হবার পথে গেছে। এখন মূল গুণ্ডারা নেতাদের আসনে বসা শুরু করেছে, পাতি গুণ্ডারা মূলের পথ ধরেছে। এমন অবস্থায় রাষ্ট্রযন্ত্রের বাকি শরীকদের কেউ কেউ দুর্বৃত্তিতে নামবে সেটাই স্বাভাবিক।

কোন প্রকার অধ্যাদেশ ছাড়াই এদেশে অনেকের জন্য ইনডেমনিটি আছে। কাউকে গাড়ি চাপা দিয়ে পিষে ফেললে তার জন্য ড্রাইভারের শাস্তি হয়েছে শুনিনি। বলতে পারেন কোন আইনের বলে পুলিশ গ্রেফতারকৃত সন্দেহভাজনকে শারীরিক অত্যাচার করে? কোন আইনে রিমান্ডের নামে গ্রেফতারকৃতকে অমানুষিক নির্যাতন করে? আদালত সব জেনেও কেন পুলিশকে নির্যাতন করতে নিষেধ করে, কিন্তু নির্যাতনকারী পুলিশের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয় না? মানবাধিকার সংস্থাগুলোই বা কেন পুলিশের বিরুদ্ধে এ'কারণে আইনী ব্যবস্থা নেয় না? সম্ভবতঃ এই ব্যাপারগুলোতে অলিখিত ইনডেমনিটি আছে। 'দেল সাফে'র অপারেশনকে ইনডেমনিটি দেয়া না হলেও সেখানে সংগঠিত অন্যায়ের বিরুদ্ধে কয়টা মামলা করা যেত? কয়টা মামলায় অপরাধীর শাস্তি হত? তাই 'দেল সাফে'র পর 'মাকড়সার জাল', 'বিদ্রোহী শিকার' এমন আরো কত নামের অপারেশন চলেছে সেগুলোকে ইনডেমনিটি দেয়ার প্রয়োজন হয়নি।

প্রয়োজন রাষ্ট্রযন্ত্রটির মৌলিক চরিত্রের পরিবর্তন। যে চরিত্র মানবিক, কল্যানকামী, শুভবোধসম্পন্ন, প্রজ্ঞা আর বিবেচনাকে ধারণ করে, দেশপ্রেমিক আর সৎ। রাষ্ট্রযন্ত্রের চরিত্র অমন হবার পথে হাঁটলে আপনাকে ক্ষোভ নিয়ে এমন পোস্ট আর লিখতে হবেনা।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

প্রয়োজন রাষ্ট্রযন্ত্রটির মৌলিক চরিত্রের পরিবর্তন। যে চরিত্র মানবিক, কল্যানকামী, শুভবোধসম্পন্ন, প্রজ্ঞা আর বিবেচনাকে ধারণ করে, দেশপ্রেমিক আর সৎ।

নিঃসন্দেহে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

দারুণ পর্যবেক্ষণ।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অনিন্দ্য এর ছবি

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড সমর্থন করেছেন,এমন তো শুনি নি।
আপনি কি কোন লিঙ্ক/রেফারেন্স দিতে পারবেন?

চলেশ রিছিল হত্যার ব্যাপারটা অবশ্য সেনাবাহিনীর হাতে ছিল। সে সময় জাফর ইকবাল স্যার এবং কবি নির্মলেন্দু গুণ ছাড়া আর কেউই তেমন কোন প্রতিবাদ করেন নি,সম্ভবত সেনাবাহিনীর ভয়ে।

আপনার প্রস্তাবের সাথে সম্পূর্ণ একমত। রাজাকারদের বিচারের সাথে সাথে এই সব বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের বিচার হওয়া উচিত।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

এই মুহুর্তে কোন লিংক দিতে পারছিনা। ২০০৮ এর দিকে তার এক সাক্ষাৎকার পড়েছিলাম যেখানে তিনি এ জাতীয় কিছু বলেছিলেন- 'এ ছাড়া আর কোন উপায় নেই'। হুমায়ূন আহমদ ও তত্বাবধায়ক আমলে তার এক লেখায় এরকমই বলেছিলেন।

চলেশ খুন হয়েছিলেন যৌথবাহিনীর হাতে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

দ্রোহী এর ছবি

'বিচার' শব্দটা না কোন দিন গালিতে পরিণত হয়!


কি মাঝি, ডরাইলা?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এই হচ্ছে হাসান মোরশেদ...
অসাধারণ লিখেছেন

ফেসবুকে শেয়ার মারলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

একটা শুভবোধ সম্পন্ন কল্যানকামী রাষ্ট্রের জন্য এর কোন বিকল্প নেই।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

প্রখর সূর্য ও যে মধ্যগগনে থাকেনা সারাদিন, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীনরা তা ভূলে যান।

ইতিহাস ভুলে যাওয়াই ইতিহাসের বড় নজীর।

কিন্তু কিছুতে কিচ্ছু হবে না।

যদ্দিন অন্ততঃ ৯০% আইন প্রণেতা আইনের বই বোঝার মতো যোগ্যতা অর্জন করবে না, তদ্দিন আইন-কানুন-বিচার-আদালত-থানা-পুলিশ সবই খেলারাম খেলে যা!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।