ঘুরাঘুরি.কম ও আমাদের বৃষ্টিভেজা দিনগুলি

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: রবি, ২১/০৭/২০১৩ - ১২:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঘুরাঘুরি.কম নামে ফেসবুকের একটা গ্রুপ আছে আমাদের। সদস্যরা নিজেদের ঘুরাঘুরি ছবি তথ্য শেয়ার করেন গ্রুপে, নতুন কোন ভ্রমন পরিকল্পনা থাকলে সেটা ও নিজেদের মধ্যে আলাপ করে নেন। এ ছাড়া গ্রুপের পক্ষ থেকে ও মাঝে মাঝে ঘুরাঘুরি’র আয়োজন করা হয়। এ ক্ষেত্রে আনকোরা, অপ্রচলিত স্থানগুলোকে গুরুত্ব দেয়া হয়। গতবছর এরকম দুটি আয়োজন ছিলো। জুলাইয়ের ১৩,১৪ দুদিন প্রায় ৫০ জনের একটা গ্রুপ লঞ্চে করে ঘুরেছিলো দেশের উত্তর পশ্চিম সীমান্ত ঘেঁষা টাঙ্গুয়া হাওর এবং মেঘালয় পাহাড়ের নীচে টেকের ঘাট এলাকায়। এরপর ৩১ আগষ্ট ষাট জনের একটা গ্রুপ গিয়েছিলো পাহাড়ী নদী জাদুকাটার তীরে বারিক টিল্লায়- ব্লু মুন উদযাপনে।

এ বছর জুলাই মাসের ৪,৫,৬ আরেকটা ঘুরাঘুরি’র আয়োজন করা হয় ঘুরাঘুরি.কম এর পক্ষ থেকে। এ সময় মধ্য বর্ষা। মেঘালয় পাহাড় ও অনেকগুলো পাহাড়ী নদী বেষ্টিত উত্তর সিলেট বর্ষায় হয়ে উঠে সবুজ, স্নিগ্ধ ও প্রানবন্ত। চেরাপুঞ্জি ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে থাকায় বৃষ্টি হতে থাকে অবিরাম, বৃষ্টির আগে পরে মেঘ আটকে থাকে পাহাড়ের গায়ে আর বছরের অন্য সময় শীর্ণ হয়ে থাকা পাহাড়ী নদীগুলো হয়ে উঠে জীবন্ত। এবারের ট্যুর তাই পরিকল্পনা করা হয়েছিলো তিনদিন ধরে উত্তর সিলেটের পাহাড়ী নদীগুলোতে ঘুরাঘুরি।
যদি ও আগের ট্যুরগুলোতে অংশগ্রহনকারীর সংখ্যা ছিলো বেশী কিন্তু পরিবহন ব্যবস্থা ও অন্যান্য লজিস্টিক্স এর কথা ভেবে এবার ছোট্ট দল চিন্তা করা হয়। শেষ পর্যন্ত, আট বছরের মৃন্ময় সহ ঘুরাঘুরি’র দলে সদস্য দাঁড়ায় বারো জন। ঢাকা থেকে ছয়জন, চট্রগ্রাম থেকে দুজন এবং সিলেট থেকে চারজন। এদের মধ্যে কেউ কেউ আগের ট্যুরগুলোর মাধ্যমে পরিচিত হলে ও চারজন ছিলেন একেবারেই নতুন।

৪ তারিখ ভোরের মধ্যে ঢাকা ও চট্রগ্রাম থেকে আগতরা সিলেট এসে, আগে থেকে ঠিক করা রাখা হোটেলে উঠে ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা শেষ করে নেন। এরপর সিলেটের বাকীরা চলে এলে সকাল দশটায়, দল যাত্রা শুরু করে উত্তর সিলেটের দিকে। সেদিন অঝোর বৃষ্টি ছিলোনা কিন্তু ছায়া ছায়া আলো আর আকাশ জুড়ে মেঘ- ভ্রমনের জন্য চমৎকার ছিলো।

প্রথম গন্তব্য লালাখাল। সিলেট থেকে গাড়ীতে করে সময় লাগলো এক ঘন্টা। উত্তর দিকে জাফলং রোড ধরে প্রায় ৪৫ মিনিট যাওয়ার পর সারীঘাট বাজার, বাজার পেরিয়ে সারিঘাট ব্রীজ। এখানেই দেখা পাওয়া যায় বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর নদীগুলোর একটি সারী নদী । কেউ চাইলে এখান থেকে ও ইঞ্জিন নৌকা নিয়ে লালাখাল চলে যেতে পারেন। সময় লাগে ঘন্টাখানেক।
আমরা ব্রীজ পার হয়ে আরেকটু সামনে গিয়ে মুল সড়ক বাদ দিয়ে হাতের ডানের সরু রাস্তা ধরি। সারী নদীর পাড় ধরে এগুতে গিয়েই চোখে পড়ে বিস্তীর্ণ মেঘালয় পাহাড়ের সারি ( এই দিকের পাহাড়্গুলো মুলতঃ জৈন্তিয়া পাহাড়, আররেকটু পশ্চিমে জাফলং এর কাছে গিয়ে খাসিয়া পাহাড়) আর পাহাড়ের গায়ে থোকা থোকা মেঘ। পান্না সবুজ নদী, নীলচে পাহাড় আর সাদা মেঘ- পৃথিবীটা আসলেই অনেক সুন্দর মনে হয় এখানে।
মিনিট পনেরো পরে আমরা চলে আসি নাজিমগড় এর তৈরী নতুন রিসোর্ট ‘ওয়াইল্ডারনেস’ এ। যদিও এখানে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত তবু পূর্ব অনুমতি থাকায় আমাদের কোন সমস্যা হয়নি। বিস্তীর্ণ সবুজের মাঝখানে এক অনবদ্য সৃষ্টি ‘ওয়াইল্ডারনেস ‘ । এর ‘অব্জারভেশন লাউঞ্জে বসে দেখা যায় জৈন্তিয়া পাহাড় থেকে নেমে আসা সারী নদীর উৎস মুখ, মেঘালয় পাহাড়ের দিগন্ত রেখা আর নদীর অপর পাড়ে লালাখাল চা বাগান। ‘ওয়াইল্ডারনেস ‘ দর্শন শেষে আমরা চলে আসি নদীর পাড়ে নাজিমগড়ের রেস্টুরেন্ট ‘রিভারকুইন’ এ। রিভারকুইনে দুপুরের খাবার শেষ করে নৌকা নিয়ে এবার সারী নদীর উৎস মুখে। শীতকালে, এমনকি বর্ষায় ও কয়দিন বৃষ্টি না হলে এই নদীর পানি থাকে পান্না সবুজ। অসম্ভব সুন্দর এই নদীর স্পর্শ নিয়ে এবার আমরা ফিরে আসি গাড়ীতে। গাড়ী লালাখাল থেকে ফিরে আসতে থাকে, এবার গন্তব্য পাংথুমাই।
 photo 1004056_10151712273860783_584165371_n.jpg
আমরা সারীঘাট বাজারে ফিরে আসি। সারীঘাট বাজার থেকে পশ্চিম দিকের রাস্তা ধরে ১৬ কিমি দূরে গোয়াইনঘাট উপজেলা সদর। সদর পয়েন্ট থেকে একটু বামে গেলেই গোয়াইনঘাট ডিগ্রী কলেজ। কলেজের পাশ দিয়ে সোজা উত্তরদিকে সরু রাস্তা ধরে আমরা এগোতে থাকি। আমাদের সাথে সাথে এগোতে থাকে মেঘালয় পাহাড় ( এখানে পূর্ব খাসিয়া পাহাড়)। সাথে সাথে এগোনো বোধ হয় সঠিক উপমা নয়, এখানে মনে হবে বরং পাহাড় বিপরীত থেকে এগিয়ে আসছে আলিঙ্গনের জন্য। দূরের নীল, ক্রমশঃ সন্নিকটের সবুজে পরিনত হয়। আধাঘন্টার মধ্যে আমরা পৌঁছে যাই পিয়াইন নদীর তীরে, মেঘালয় পাহাড়ের নীচে পাংথুমাই নামের ছিমছাম সুন্দর সেই গ্রামে। গাড়ী থেকে নেমেই গ্রামের মাঠ, মাঠে ফুটবল খেলা চলছে। আমরা এগোই, মাঠের পাশে এসে দাঁড়াতেই সেই বিশাল ঝর্ণা, সেই সাদা দেবদূত যেনো দূ ডানা বিস্তার করে আমাদের ডাকছে ‘আয় আয়’ । আমরা এগিয়ে যাই। পাসপোর্ট ভিসার কিছুটা অনতিক্রম্য দূরত্ব থেকে যায় তবু আমরা সেই আশ্চর্য্য সুন্দর ‘বড়হিল’ ঝর্ণার যতোটুকু সম্ভব কাছাকাছি এসে দাঁড়াই।
 photo 1011245_10151712275335783_735624342_n.jpg
ঝর্ণার নীচ থেকেই পিয়াইন নদী পশ্চিমে প্রবাহিত হয়ে চলে গেছে আমাদের পরবর্তী গন্তব্য বিছনাকান্দির দিকে। এখানে কোন গনপরিবহন নেই। আগে থেকে বলে রাখায় আমাদের স্থানীয় বন্ধু নৌকার ব্যবস্থা করেন। ঝর্ণাকে পেছনে রেখে পিয়াইন বেয়ে শুরু হয় বিছনাকান্দি যাত্রা। এই পথ একেবারেই অপ্রচলিত। ট্যুরিষ্টরা যায়নি আগে, মোটামুটি নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। নদীর জলের স্বচ্ছতা, স্নিগ্ধ বালিয়াড়ী, দুপাড়ের সবুজ, বুনো হাঁসের দল - কখনো নৌকা চলে যাচ্ছে ভারতীয় সীমান্তের পাশ ঘেঁষে, দেখা যাচ্ছে ভারতীয় রক্ষীদের টহল এর মধ্যেই বাঁক পেরিয়ে বিছনাকান্দি- বিছিয়ে থাকা সুন্দর। তখন বিকেল শেষ হয়ে আসছে, ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি গায়ে পড়ছে, চারদিক ঘিরে পাহাড় ও নদীর সখ্যতা, তুলো তুলো মেঘের বিচরন আর আমর দাঁড়িয়ে আছে সেই সেখানে যেখানে পাহাড়ের সাতটা ধাপ পরস্পরের গায়ে লেগে আছে।
 photo 999343_10151712280330783_1604386434_n.jpg

 photo 1013024_10151712281585783_186713668_n.jpg
বিছনাকান্দি থেকে আবার পানথুমাই তখন রাত হয়ে গেছে- ঘুটঘুটে অন্ধকার, পাহাড়ের গায়ে কিছু আলো, এপাশে থোকা থোকা জোনাকী, সীমান্ত রক্ষীদের সার্চলাইট । রাত নয়টার দিকে যখন পানথুমাই ফিরেছি তখন গাঢ় অন্ধকারে ঝর্ণা দেখা যাচ্ছেনা কিন্তু চরাচরে নৈঃশব্দের মধ্যে তার নেমে আসার যে তীব্র সুর- সে অবর্ননীয়। সেই রাতে দল ফিরে আসে শহর সিলেটে, রাত এগারোটার পর।

পরদিন আমাদের গন্তব্য লোভাছড়া। আগের রাত থেকে পেট্টোলপাম্প ধর্মঘট শুরু। নো গ্যাস, নো পেট্রোল। ভিন্নপথে শেষ পর্যন্ত পেট্টোল জোগাড় করে রওয়ানা দিতে দিতে প্রায় এগারোটা। জাফলং রোড ধরে এগিয়ে প্রথম দরবস্ত বাজার। দরবস্ত থেকে গাড়ী ডানের রাস্তায় ঢুকে। চতুল বাজার পেরিয়েই হাতের বামে আবারো জৈন্তিয়া পাহাড়ের দীর্ঘ সারি। প্রাকৃতিক প্যানারোমা। ঘন্টাখানেকের মধ্যে পৌঁছে যাই কানাইঘাট উপজেলা সদরে। সুরমা নদীর ঘাটে অপেক্ষায় ছিলেন এক স্থানীয় বন্ধু। বামে পাহাড় রেখে সুরমা ধরে শুরু হয় যাত্রা। আধাঘন্টা পর এসে নদী বেশ বিশাল, এটি আসলে তখন তিন নদীর মোহনা। ডান দিক থেকে এসেছে বরাক, বাম দিক থেকে এসেছে লোভা। বরাক ও লোভা এসে সুরমায় মিশে চলে গেছে সিলেটের দিকে। আমরা বামে লোভার দিকে এগোই। সুরমা পানি ঘোলা হলে ও লোভা স্বচ্ছ কাঁচের মতো।
 photo 1044158_10151712283105783_2018027325_n.jpg
কাঁচের মতো স্বচ্ছ পানিতে দীর্ঘ পাহাড় সারির ছায়া, গ্রেট বৃটেনের লেইক ডিস্ট্রিকের স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়। লোভা ধরে এগোতে এগোতেই বামে দেখি লোভাছড়া চা বাগান। আমরা বাগানের ঘাটে না থেমে আরো সামনে যেতে থাকি, উদ্দেশ্যে ভারতের দিকে যতোদূর যাওয়া যায়। বিজিবি ঝামেলা করতে চায় এখানে, ট্যুরিষ্টরা যাওয়া শুরু করলে অবৈধ পাথর উত্তোলনে তাদের বখরা নিতে অসুবিধা হবে বলে। আমরা ও উলটো ঝাড়ি মেরে এগোতে থাকি। ঠিক সামনেই যেখানে নদীর উপর ভারতের দীর্ঘ এক ঝুলন্ত সেতু, ঠিক সেখানটায় আমরা থামি। যারা সাঁতার জানি, তারা নদীতে নামি। নদীর পানি যে কী চমৎকার শীতল ও আরামপ্রদ হতে পারে- পাহাড়ী নদীতে শরীর না ভেজালে কেউ কোনদিন জানতেই পারবেনা। দুপুরের খাবার ঐ নদীতে গা ভিজিয়েই [ খালি প্যাকেট যেনো নদীতে না পড়ে, সে খেয়াল রেখেই] ।
 photo 1005609_10151712284260783_77520420_n.jpg
ফেরার পথে এবার যাত্রা বিরতি লোভাছড়া চা বাগানে। বাগানের সুহৃদ ম্যানেজার অপেক্ষায় ছিলেন সকাল থেকেই। তখন প্রায় শেষ বিকেল। তার বাংলোয় চা পান শেষ করে শুরু হয় বাগানের ভেতর দিয়ে হাঁটা। প্রথমেই বিধ্বস্ত এক দালান। মুক্তিযুদ্ধের স্বাক্ষী। তখনকার মালিক পক্ষ পাকিস্তান আর্মিকে এই বাগান থেকে চা সাপ্লাই করতো। মুক্তিযোদ্ধাদের নিষেধ না মানলে এক রাতে বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেয়া হয় ফ্যাক্টরী বিল্ডিং। এরপর বেশ উঁচু এক পাহাড় বেয়ে আমরা এসে দাঁড়াই বাগানের পুরনো বাংলোয়। লোভাছড়া বাগানের আদি মালিক মিঃফার্গুসনের বাংলো। এখানে দাঁড়িয়ে লোভা নদীর বাঁক, ভারতের পাহাড়, অনেক দূরের নদীপথ চোখে পড়ে। বাগানের ম্যানেজার গল্প করেছিলেন এই বাগানে কালো চিতা আসে মাঝেমধ্যে। কালো চিতা চোখে পড়েনা, কিন্তু বাংলোর পেছনের গভীর গিরিখাত সমীহ জাগায়। গভীর সবুজ প্রায়ান্ধকার এই গিরিখাত চুম্বকের মতো টানে, গায়ে শিরশির জাগে- ইচ্ছে হয় এই ভয়ংকর সুন্দর থেকে আর না ফিরি।
 photo 1004053_10151712290815783_1895842086_n.jpg
কিন্তু সূর্যাস্তের সোনালী আভা যখন ছড়িয়ে পড়ছে লোভা নদীর স্ফটিক স্বচ্ছ জলে তখন পাহাড়ের দীর্ঘ সারি, চা পাতার মাতাল ঘ্রান পেছনে ফেলে আমাদের ফিরে আসতে হয় পরেরদিনের ঘুরাঘুরি পরিকল্পনা মাথায় নিয়ে।

৬ তারিখ, ট্যুরের তৃতীয় ও শেষদিন। আমরা যাত্রা শুরু করি বৃষ্টি মাথায় নিয়ে। গন্তব্য প্রথমতঃ ছাতক। সুনামগঞ্জ রোড ধরে এগিয়ে গোবিন্দগঞ্জের কাছে হাতের ডানের রাস্তা ধরে ঘন্টাখানেকের মধ্যে ছাতক পৌছে যাই। ছাতক উপজেলা সদরে ঢুকার মুখে- শিখা সতের। সতের জন মুক্তিযোদ্ধাকে জ্যান্ত কবর দেয়া হয়েছেইলো যেখানে। নদীর ঘাটে নৌকা নিয়ে অপেক্ষমান স্থানীয় বন্ধু, এদিকে বৃষ্টি ও থামছেনা। নৌকা প্রথমে সুরমা হয়ে ঢুকে যায় উত্তরের পিয়াইনে। আমরা পিয়াইন ধরে মেঘালয় পাহাড়ের দিক এগোতে থাকি। এখান থেকে ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরী ও বাংলাদেশ রেলওয়ের দুটো রোপওয়ে পথ চলে গেছে- প্রথমটা একেবারে ভারতের ভেতরে আরেকটা ভোলাগঞ্জে। বৃষ্টি হচ্ছে, মাথার উপরে রোপওয়ে লাইন, পাহাড় ক্রমশঃ কাছে এগিয়ে আসছে, পাহাড় জুড়ে সাদা মেঘ- আগের দুদিন যতটুকু মেঘ দেখেছি তার চেয়ে অনেক অনেক বেশী মেঘ। মেঘেরা খেলছে, কখনো পাহাড়ে ঝর্ণা দৃশ্যমান, কখনো মেঘেরা আড়াল করছে।
 photo 1044691_10151712296745783_628167254_n.jpg
পিয়াইন পেরিয়ে আমরা গিয়ে ঢুকি সোনাই নদীতে। সোনাই সরাসরি নেমে এসেছে পাহাড় থেকে। বৃষ্টি না হলে পানি একেবারে কমে যায়, যেখানে যেতে চাচ্ছি নৌকা সেখানে যায়না। আবার বৃষ্টি নামলে স্রোতস্বীনি হয়ে উঠে নদী। পাহাড়ী নদীগুলো এরকম ছলনা জানে।
সোনাই বেয়ে রোপলাইনের নীচ দিয়ে এগোতে এগোতে আমরা পৌঁছে যাই সীমান্তবর্তী সেই গ্রামে, গ্রামের একটা বাড়ীর ঘাটে। বেশ অবস্থাপন্ন বাড়ী, বাড়ীর কর্তা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছিলেন। এখন নেই, ছেলেরা আছেন। শিলং এর টমেটো, দেশী মুরগীর মাংস দিয়ে উদরপুর্তি করার পর আরামে ঘুম পায় কিন্তু তখনো আমাদের ঘুরাঘুরি বাকী। এবার শুরু হয় নদীর পাড় ধরে গ্রামের পথ দিয়ে হাঁটা।
 photo 993609_10151712299245783_1489189937_n.jpg
রেইনফরেস্টের মতো জংগলাকীর্ণ পথ। আধা কিমি হাঁটার পর কচি সবুজ ধানের ক্ষেত আর ধান ক্ষেতের পরেই সগর্বে মাথা উঁচু করে বিশাল পাহাড়। পাহাড়ের গায়ে একটা দুটো নয় কমপক্ষে আটটা ঝর্ণা। নেশাগ্রস্তের মতো হাঁটতে থাকি। বাংলাদেশ ভারত সীমান পিলার, একটা খেলার মাঠ। আমরা পিলার পেরিয়ে মাঠে এসে দাঁড়াই। আমরা দাঁড়িয়ে আছি চেরাপুঞ্জির ঠিক নীচে। একদিন গুগ্ল ম্যাপ ঘেঁটে এই জায়গা চিনে নিয়েছিলাম, আজ সেইখানে দাঁড়িয়ে। এমন রঙ্গীন প্যানারোমা সম্ভবের অতীত, অসীম জুড়ে ছড়িয়ে থাকা এক ক্যানভাস- বয়ে যাওয়া স্রোতস্বীনী নদী, সবুজ ধানক্ষেত, নীল পাহাড়, এতো এতো ঝর্ণার হাতছানি আর মেঘের তুমুল কলরব। আমরা বারোজন কেউ কারো সাথে কথা বলিনা, নিঃশব্দে এই সুন্দর মেখে নিতে থাকি নিজেদের ভেতর।
 photo 1013986_10151712301090783_1602559097_n.jpg
জানি ঘুরাঘুরি’র যে নেশা, সুন্দরের যে আহ্বান আমরা পেয়ে গেছি এর থেকে মুক্তি নেই আমাদের - আবারো কোন অমলিন তীর্থের খোঁজ আমরা পাবো, আবারো এইভাবে বের হবো, এইরকম ঘুরাঘুরি।

আরো ছবি সহ একসাথেঃ

Hasan_Murshed's 10151712271985783 album on Photobucket


মন্তব্য

লালকমল এর ছবি

দারুন। চলুক

Samrat এর ছবি

রিতিমত অসাধারণ

অকুতোভয় বিপ্লবী এর ছবি

দেশটা আসলেই ছবির মতই সুন্দর।
আর যেসব জায়গার কথা বললেন, এই জায়গাগুলিতে 'মানুষের পায়ের ছাপ' পড়েনি বলেই সুন্দর রয়েছে।
ট্যুরিজম ডেভেলপ করার দরকার নাই, কারণ ওই ডেভেলপমেন্ট মানে হচ্ছে ডেস্ট্রাকশন।

ছবিগুলি অসাধারণ হয়েছে, লেখাটাও চমৎকার চলুক হাসি

------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আমাদের উন্নয়ন এর বদলে সংরক্ষন প্রয়োজন।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

নিলয় নন্দী এর ছবি

আগস্টের প্রথম সপ্তাহে সিলেট যাবার ইচ্ছে আছে। আপনার এই পোস্ট কাজে লাগবে।
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

হাসান মোরশেদ এর ছবি

পোষ্ট কাজে লাগলে, পষ্ট দেয়ার কষ্টটুকু ও কাজে লাগে হাসি

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

অতিথি লেখক এর ছবি

কি সুন্দর হাততালি ,আমার বহুদিনের শখ টাঙ্গুয়ার হাওরে যাওয়ার কিন্তু সঙ্গীর অভাবে পারছি না
ইসরাত

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ইসরাত- ফেসবুক গ্রুপে গেলে আমাদের গত টাঙ্গুয়া ট্যুরের বিস্তারিত পাবেন। গ্রুপে যোগাযোগ রাখতে পারেন। আবার হয়তো যাবো আমরা সুবিধাজনক সময়ে।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

বুনো জারুল এর ছবি

চমৎকার লাগলো পড়ে। ঈদের পর সিলেট যাবার একটা প্লান করছিলাম। ছবিগুলোও ফাটাফাটি।
এই অভিজ্ঞতাটা অ-নে-ক কাজে লাগবে।

*****************************************************
Everyone thinks of changing the world,
but no one thinks of changing thyself.
*****************************************************

হাসান মোরশেদ এর ছবি

সিলেট বেড়াতে আসলে যে কোন প্রয়োজনে জানাতে দ্বিধা করবেন না।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সুলতান এর ছবি

ঈদের পরে দুই দিনের একটা ট্যুরে সিলেট যাবো ভাবছি, কিভাবে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারি। আমার ইমেইল

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আপনাকে মেইল করা হয়েছে।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সুলতান এর ছবি

ধন্যবাদ ব্রাদার!

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

মানিক, আমারে এট্টু তোমাগে পিলান জানায়ো। দেহি ট্যাগ করতি পারি কি না!

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হাততালি হাততালি হাততালি হাততালি হাততালি
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে, পাবে নাকো তুমি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

যেমন সুন্দর লেখা তেমন-ই মন ভরানো ছবি। তবে সবচেয়ে ভাল লেগেছে - "দুপুরের খাবার ঐ নদীতে গা ভিজিয়েই [ খালি প্যাকেট যেনো নদীতে না পড়ে, সে খেয়াল রেখেই] ।" ট্যুরিস্টদের মধ্যে এই সচেতনতা খুব সুলভ এমন দাবী বা আশা করা যায় না। তাই বিশেষ ভাল লাগল।
আর বিশেষ ভাল লেগেছে লেখার মধ্যে স্বত:প্রবাহিত ঝরণার মত কাব্যিক অংশগুলি! যেমন - "বৃষ্টি না হলে পানি একেবারে কমে যায়, যেখানে যেতে চাচ্ছি নৌকা সেখানে যায়না। আবার বৃষ্টি নামলে স্রোতস্বীনি হয়ে উঠে নদী। পাহাড়ী নদীগুলো এরকম ছলনা জানে। "
খুব ভাল লাগল।
- একলহমা

শাফায়েত এর ছবি

সিলেটে গেলেই এই বর্ডারের অশ্লীলতা খুব চোখে লাগে। আমার মতে মানবসৃষ্ট বর্ডার খুব বাজে একটা জিনিস, পৃথিবীর যেকোন জায়গায় আমি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে যেতে পারবোনা বিশেষ অনুমতি ছাড়া সেটা মানতে কষ্ট হয়। সামনেই ঝরনা, ছুতে পারছিনা কারণ সেটা বর্ডারের ওপাশে!

রণদীপম বসু এর ছবি

দারুণ ! ছবিগুলো তো মারভেলাস !!
এই ঈদের ছুটিতে সিলেটে যাওয়ার আশা রাখছি। তারপর দেখবো কোনদিকে ঢুঁ মারা যায় !

(আচ্ছা, ফটোবাকেটে চারটা লিংক থাকে। সচলে কতনম্বর লিংকটা ব্যবহার করা হয়েছে ? আগাম জেনে রাখছি আর কি ! আগে ফটোশট নামের একটা সমৃদ্ধ সাইট ছিলো, যা থেকে সচলে বহু ছবির লিংকড করেছিলাম। বেশ কয়েকহাজার বড় বড় সাইজের ছবি নিয়ে সেই সাইটটা একদিন বন্ধ করে দেয়া হলো, আমাকে ফতুর করে ! একইসাথে সচল থেকেও সেই ছবিগুলো হাওয়া ! তাই এবার ফটোবাকেট ব্যবহার করবো ভাবছি।)

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

হাসান মোরশেদ এর ছবি

একক ছবিগুলোর ক্ষেত্রে তিন নাম্বার লিংক। তবে মাঝখানে দৈর্ঘ্য প্রস্থের কোড ঢুকায়ে দিয়েন, না হলে ছবি অনেক বড় হয়ে যায়।
এ ছাড়া স্লাইড শো হিসাবে পুরো এলবাম ও ব্লগে দেয়া যায়। তবে আমার ভালো লাগছে যেটা- ফেসবুকের এলবাম সরাসরি নিয়ে আসা যায়।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

রণদীপম বসু এর ছবি

ফেসবুকের এলবাম মানে !! সরাসরি কিভাবে আনে !?!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

রণদীপম বসু এর ছবি

অলরেডি ফেসবুক এলবামগুলো ফটোবাকেটে আপলোড করে নিচ্ছি ! অনেক আজাইরা ছবিও আছে, তবু থাক নাহয় কালের চিহ্ন হয়ে।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মেঘা এর ছবি

এতো সুন্দর!!! এবার আমি যাবো। ভাইয়া নতুন কোথাও ঘোরাঘুরির প্ল্যান হলে জানাবেন প্লিজ।

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

Norom Manush এর ছবি

চলুক

মন মাঝি এর ছবি

দারুন! আপনাদের লিঙ্কটা দিবেন প্লিজ?

****************************************

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ঘুরাঘুরি.কম

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

ধন্যবাদ বস। আপনাদের গ্রুপে বাইরের লোক নেন নাকি? জয়েন রিকোয়েস্ট দিলাম। পছন্দ না হইলে কেটে দিয়েন হাসি

তানিম এহসান এর ছবি

‌বেশ কিছুদিন আগে সিলেট গেলাম; খুব কাজের চাপ ছিল, এর মাঝে সময় বের করে নিয়ে চার কলিগ মিলে চলে গেলাম খুব প্রিয় সারী নদী দেখতে, পরপর কয়েকদিন বৃষ্টি থাকায় পান্না-সবুজ রং পাইনি; লালাখালে যেয়ে রিভারকুইনে চা খেয়ে আবার ফিরে এলাম। এই নদী নিজেই একটা চিত্রকলা!

জটিল ভ্রমণ দিলেন-তো মোরশেদ ভাই। ছবিগুলো কথা বলে, কিভাবে আপনার বর্ণনা-মত পথ ধরে যাওয়া যায় সেই চিন্তা করতেছি।

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

ছবিগুলো দেখে প্রচণ্ড ভালো লাগলো। আমি সিলেটে গেছি অনেক বার, কিন্তু সব জার্নি ছিলো খালি মেইন রোড ধরে। তারপরও যাই দেখতাম ভালো লাগতো, আপনার পোস্ট দেখে বিমোহিত হলাম। এইরকম একটা গ্রুপ তৈরী করার জন্য আপনাদের অভিনন্দন

নীড় সন্ধানী এর ছবি

দিলেন তো পেচগি লাগিয়ে। গতবার আপনাদের সাথে যাওয়া হয়নি অফিস ঝামেলায় আটকে গিয়ে। এখন ছবি আর লেখা দেখে মনে হচ্ছে পরবর্তী যে কোন সুযোগে চাকরীবাকরীর মায়া বাদ্দিয়ে ছুট দিতে হবে। মুশকিল হলো দলের সাথে শিডিউল মেলানো নিয়ে। দেখা যাবে অন্যেরা যখন যাচ্ছে আমার তখন সময় নাই। মনে হয় বর্ষাকালেই বেশী সুন্দর এই জায়গাগুলো।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

হাসান মোরশেদ এর ছবি

'সিলেটে বর্ষা' একটা ব্রান্ডিং হতেই পারে হাসি

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

সিলেটে ছিলাম সেই ৬৮-৬৯ সালে। কিছু কিছু জায়গা দেখা হয়েছে বটে তবে এগুলো হয়নি। আপনার সাথে কিছুটাতো হলো !

হাসান মোরশেদ এর ছবি

সেই ৬৮-৬৯ সালে দেখা সিলেট নিয়েই একটা পোষ্ট দিন না। আপনার চোখে আমরা জন্মের আগের সিলেট দেখি হাসি

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

নীলকমলিনী এর ছবি

এত লজ্জা লাগে যখন আপনাদের লেখা পড়ি, নিজের দেশটাই দেখা হল না, অল্প বয়েসে বিদেশে আ্টাওএকটা কারন। বাবার কাজের সুবাদে ছোট বেলা ই যা ঘুরেছি, এখন দেশে গেলে শ্বশুর বাড়ী , বাবার বাড়ী করেই দিন চলে যায়, অন্য কোথাও আর যাওয়া হয় না। ছবি দেখে খুব ভালো লাগলো।

স্যাম এর ছবি

অনেকগুলো ঝর্ণার ছবিটা মনে হয় এ দুনিয়ার না! ঢাকা থেকে বের হতে পারলে পরবর্তী গন্তব্য সিলেট - সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম হাসি

হাসান মোরশেদ এর ছবি

সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হোক

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

তারেক অণু এর ছবি

কালোচিতা মনে বোধ হয় আমচিতা বা ক্লাইডেড লেপার্ড বোঝাতে চেয়েছিলেন ম্যানেজার।

কি স্নিগ্ধ জায়গা, আচ্ছা উঁচু সবুজ পাহাড়গুলো বাংলাদেশের ভেতরে কতখানি? আর কতটুকু ভারতের অংশ?

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ভদ্রলোক সম্ভবতঃ ব্ল্যাক লেপার্ড এর কথা বলছিলেন। গত বছর কিংবা তার আগে নাকি একবার বাগানের চা শ্রমিকেরা একটি লেপার্ড ধরেছিলো কিন্তু ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যায়।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

কী দারুন!!! সিলেটে আমার অফিসিয়াল টুর পড়ার কথা ঈদের পরে - চেষ্টা করবো সপ্তাহের শেষ দিকে টুরটা ফেলতে যেন আপনার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ঘুরে আসতে পারি। আপনাদের ফেসবুক পেজে কীভাবে অ্যাডাইতে পারি?

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

নাজিমগড় ওয়াইল্ডারনেসে প্রবেশ করতে হলে কাদের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয় এবং প্রসেসটা কি জানতে পারলে ভালো হতো। এই উইকএন্ডে সিলেটে আসতে চাচ্ছিলাম আম্মাকে নিয়ে কিন্তু আমার মামা-খালারা সেটা হতে দিলোনা। আপনাকে ফোন দিতাম। তারা সব আম্মার সাথে উইকএন্ড কাটাতে আমার বাসায় আসবে। ব্যাক্তিগতভাবে আমিও কোনওদিন সিলেট এলাকায় যাইনি।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

নাজিমগড় ওয়াইল্ডারনেসে প্রবেশ করতে হলে কাদের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয় এবং প্রসেসটা কি জানতে পারলে ভালো হতো।

চোখ টিপি গোপনীয়। ফোন দিয়েন, জানোবো নে।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

অতিথি লেখক এর ছবি

ওঁয়া ওঁয়া আমার দেশের বাড়ী কেন সিলেট হইল না ওঁয়া ওঁয়া

-- রামগরুড়

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।