প্রতিরোধ আন্দোলন তো এরকমই হয়

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৩/০৮/২০০৭ - ৮:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গত কয়েকদিনের সহিংসতা নিয়ে অনেক বাংলাদেশীই বিভিন্ন মাধ্যমে নিজেদের মতামত প্রকাশ করছেন । স্বাভাবিকভাবেই মতামতে ভিন্ন ভিন্ন ভাবনা প্রতিফলিত হচ্ছে ।

প্রথম দিন থেকে বেশীরভাগ মতামতদাতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠিত ছাত্রবিক্ষোভকে সমর্থন জানিয়েছেন স্পষ্টভাবে । ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সেনাবাহিনীর ঔদ্ধ্যত্তে,দাবী জানিয়েছেন ক্যাম্পাস থেকে সেনাক্যাম্প প্রত্যাহারের ।

সেনাবাহিনী বেশ চতুরতার সাথেই ক্যাম্পাস থেকে তাদের ক্যাপম্প প্রত্যাহার করলো,রাষ্ট্রীয় সর্ব্বোচচ স্তর থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হলো । কিন্তু ঘটনা শেষ হলোনা ।

দেখা গেলো সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে, ঢাকার বাইরের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগীয় শহরগুলোতে । বাংলাদেশের আন্দোলনের ধারা অনুযায়ীই গাড়ী ভাংচুর,অগ্নিসংযোগ,পুলিশের প্রতি ইটপাটকেল,পুলিশের লাঠিচার্জ,টিয়ার গ্যাস,রাবার বুলেট ।

ঠিক এই পর্যায়ে এসে দেখা গেলো বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত মতামতে ভিন্নতা । কেউ কেউ বলছেন- ক্যাম্পাস থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর আন্দোলনের আর কোনো যৌক্তিকতা থাকতে পারেনা ।কেউ বলছেন,আন্দোলনে রাজনৈতিক কর্মীরা অনুপ্রবেশ করেছে এবং তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আন্দোলনকে প্রবাহিত করছে ।

একই রকম বক্তব্য দিলেন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা । তিনি স্পষ্ট করেই বললেন এই আন্দোলন অপশক্তির কাজ । এই অপশক্তিকে বরদাস্ত করা হবেনা তাই কারফিউ ঘোষনা,যোগাযোগ নেটওয়ার্ক বন্ধ ইত্যাদি ইত্যাদি ।

আন্দোলন সংগ্রাম কোনকালেই ঠিক সুশীল সভ্য কোনো বিষয় নয় । অহিংস আন্দোলনের গুরু মহাত্না গান্ধী ও ১৯৪২ এ সহিংস আন্দোলনকে সমর্থন করতে বাধ্য হয়েছিলেন কারন কখনো কখনো সময় আসে নিজেকে বাঁচানোর জন্য সহিংস প্রতিরোধের কোনো বিকল্প নেই ।
আজ মধ্যবয়সে এসে যথেষ্ট নিরাপদ দুরত্বে থেকে গাড়ী ভাংচুর অগ্নিসংযোগের সমালোচনা আমি করতেই পারি । কিন্তু নিজেকে ১৭ বছর পিছনে নিয়ে গেলে দেখি ৯০ 'র আন্দোলনের দিনগুলোতে কিশোর আমি ও তো এই সব থেকে দূরে ছিলাম না ।

এর মধ্যে কোনো বাহবার কিছু নেই । কিন্তু দুঃখজনক ভাবে সত্য এই , আমাদের পরিবর্তন গুলো এসেছে এরকম রক্তক্ষয়ের মাধ্যমেই । এরকম না হলেই ভালো হতো নিশ্চিত,কিন্তু হয় না যে ।

আন্দোলনকারীদের নিয়ে সন্দেহপোষন করা,তাদের চরিত্রে কালিমা লেপন করা,তাদেরকে অপশক্তি বলে ঘোষনা করা এও নতুন কিছু নয় ।
এরশাদ ও তাই করতো । বলতো কোমলমতি ছাত্ররা নয়,ছাত্র নামধারী অছাত্ররা তার বিরুদ্ধ্বে আন্দোলন করছে । গত সরকারের শেষ সময়ে গার্মেন্টস শ্রমিকরা সহিংস আন্দোলনে গেলে বলা হয়েছিল এসব আসলে ভারতীয় চক্রান্ত, বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টরকে অস্থির করে নিজেরা সেই বাজার দখল করা ।

আজ যে গার্মেন্টস শ্রমিক,বন্ধ করে দেয়া পাটকলের শ্রমিক,উচ্ছেদ হয়ে যাওয়া হকার মিছিলে নামে সেও তবে ভারতের পয়সা খাওয়া দালাল?

আন্দোলন সংগ্রাম কখনোই জ্যামিতির ছক কিংবা এলজেব্রার সুত্র মেনে চলেনা । মেনে চললে মধ্য ষাটের শিক্ষানীতির বিরুদ্ধ্বে গড়ে উঠা ছাত্র আন্দোলন শেষ পর্যন্ত ৬৯ এর গনঅভ্যুত্থান হয়ে উঠতোনা ।

তাই যারা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন যে সেনাক্যাম্প প্রত্যাহারের পর আন্দোলন বিস্তৃত হওয়ার কোনো দরকার ছিলোনা,আমি তাদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি । এ আন্দোলন ছড়িয়ে না গিয়ে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের দাবী আদায়ের মাধ্যমে শেষ হয়ে গেলে বরং ঢাবির ছাত্ররা স্বার্থপর বলে বিবেচিত হতেন ইতিহাসের পাতায় । সারা দেশ যখন সেনাক্যাম্প তখন কেবল নিজেদের ক্যাম্পাসকে সেনামুক্ত করার মাধ্যমে দায়িত্ব শেষ হতে পারেনা ।

চলমান আন্দোলনে যদি রাজনৈতিক কর্মীরা অংশ নিয়ে থাকে সেটাকে আমি অনুপ্রবেশ কিংবা আন্দোলন ছিনতাই না বলে স্বাভাবিক পরিনতি হিসাবে দেখতে চাই । রাজনীতি যখন নিষিদ্ধ করে রেখেছে সামরিক সরকার,রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক কর্মীরা ইস্যু খুঁজবেই নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য । আর এরকম একটা সময়ে যদি রাজনৈতিক দলগুলো অংশ নিতে না পারে(প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে) তাহলে নিজেদেরকে রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিচয় দেবার দরকার কি আর?

আন্দোলনের সফলতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করার ও কিছু নেই আসলে । এই সামরিক সরকার ফুল খেলতে আসেনি যে এক ধাক্কাতেই তারা কাত হয়ে যাবে । এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের ও নানা পর্যায়ে চরম হতাশা কাজ করেছে । একেকবার মনে হয়েছে, আর কতো আন্দোলন আর কতো মৃত্যু । ১৯৮৭-৮৮ আন্দোলন, ৯০ এর চেয়ে ও জোরালো ছিলো । তবু তখন এরশাদের পতন হয়নি ।

এই আন্দোলনে সরকারের পতন হবেনা । কিন্তু এই আন্দোলনের সাফল্য অন্য জায়গায় । বিগতদিন গুলোতে যে ধারনা প্রচার করা হয়েছে এই সামরিক সরকার তুমুল জনপ্রিয় সেই প্রচারনাকে মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে ।

আন্দোলন আরো বেগবান হোক ।
সেনাশাসনের পতন ঘটুক ।।


মন্তব্য

হযবরল এর ছবি

ঐতিহাসিক ভাবেই ছাত্রদের দুষ্ট এবং নষ্টের গোড়া বলাটা আমাদের মধ্যবিত্তের সংস্কৃতির অংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাংচুর করাটা বুকে লাগে কিন্তু ভাংচুর না হলে ইউসুফ হায়দার'রা কানে নেন না অনেক কিছুই।

জিমনেসিয়ামে সেনাক্যাম্প করবার কারণে ছাত্রদের অনুযোগ অনেক আগে থেকেই ছিলো, সেইসাথে যোগ হয়েছে উর্দিবান'দের 'ব্লাডি সিভিলিয়ান' ভাবটা।
একটা ব্যাপার খুব স্পষ্ট এর আগে কোনো সরকার পতনের আন্দোলনও বিরোধী দল এতখানি দ্রুততায় জমাতে পারেনি। বিএনপি/আলীগ কেউ ছাত্র-জনতা কে এভাবে আর্মি'র মুখে র ওপর দাঁড়িয়ে 'না' বলবার উদ্দীপনা তৈরি করতে পারেনি। এই উদ্দীপনা তৈরি হয় একমাত্র তীব্র পেষণ থেকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শামসুন্নাহার হল নিয়ে যে ব্যাপক ছাত্ররোষ তৈরি হয়েছিল তাতে ভেসে গিয়েছিলো ছাত্রদল-শিবিরের যৌথ প্রতিরোধ এবং ছাত্রলীগের আন্দোলন ছিনতাইয়ের অপচেষ্টা। খুব সচেতনভাবে বামদলগুলোর নেতারা মিছিলের প্রথম সারিতে নিজেদের রাখেনি, কারণ তাতে মিছিলের ব্রান্ড করা সরকারের জন্য সহজ হতো।

এবারকার আন্দোলনও ঠিক একইভাবে জনতার এবং জনরোষের ফল।

মনে রাখতে হবে,দুষ্টের দমন এবং শিষ্টের লালন সবাই পছন্দ করে। মধ্যবিত্ত এই দূর্নীতি দমনকে তালি দেয় ঠিকই কিন্তু বাজারে ভোজ্যতেলের কেজি যখন ৭৬ টাকা হয়, তখন দূর্নীতি দমন ফাঁকা বুলি মনে হয়।

আরেকটা বিষয় হচ্ছে সারা জীবন সরকারী রেশন খাওয়ার পর রিটায়ার্ড হয়ে শিল্প ব্যাংক, টি বোর্ড এর প্রধান হবেন, ডিওএইচএস এ ওনারা থাকবেন, সাফারী-স্যুট পরে দেশের মাথা হবেন, এটা বড় বেশী খাই খাই মনোবৃত্তি।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

কিসব উলটাপালটা বলেন? আন্দোলন করছে মাত্র গুটিকয় ছাত্র, সাধারণ ছাত্রেরা নয়; বরং কিছু দুর্ণীতিপরায়ণ রাজনৈতিক দল এদেরকে সাপোর্ট দিচ্ছে। এরা ছাত্র নামের কলঙ্ক। হল ভ্যাকেন্ট করা হয়েছে সাধারণ ছাত্রদেরকে এদের থেকে বাঁচাতে। ছাত্রদের দাবী মেনে নেয়ার পরেও তারা আন্দোলন চালাবে কেন? সুড়সুড় করে বই বগলে করে ক্লাস করতে যাবে। শাহবাগে আইডি দেখে দেখে যাদেরকে পিটানো হয়েছে, ওরাও ছাত্র না। সব অপপ্রচার।

সব কনস্পিরেসী থিওরী! সাধারণ মানুষ হেভি খুশী সামরিক সরকারে। তারা আজীবন থাক।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

আছহাবুল ইয়ামিন এর ছবি

আন্দোলনের শুরুতে সাধারণ ছাত্ররা ছিল। কিন্তু সেদিন দুপুরের পর (আর্মি ক্যাম্প সরাতে রাজি হওয়ার পর) কোন সাধারন ছাত্র মিছিলে যায়নি। তখন থেকে শুরু হয়েছে নোংরা রাজনীতি।

শাহবাগের ঘটনাটা নিশ্চিত না। তবে যেই হোক, বিনা বিচারে গায়ে হাত তোলা কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য না। আমাদের আইন ও সার্বভৌমত্ব রক্ষাকারী বাহিনীদের এই মানুষিকতার পরিবর্তন করতে হবে

অপালা এর ছবি

যা বলেছেন।দেখেন গণবিচ্ছিন্ণ কিছু মানুষ ক্ষমতায় গেলে এমন ই লাগে।তারা যখন ক্ষমতায় আসেনি, তাদের তখন ও ফকিন্নির পোলাপানের সংস্পর্শে যেতে হয় নি,এখন ও না। তারা কি করে বুঝবে। এসি গাড়ি থেকে নেমে এসি রুমে ঢুকে অফিস করা, তার পর এসি করা বাসায় গিয়ে নিদ্রা যাওয়া।তাদের বাজারে যেতে হয় না, বাজার করতে। ফ্রিজ এমনি ভরা থাকে।ওরা কি বুঝবে।ওডের কথা বার্তায় তাদের দম্ভ স্পস্ট হয়ে উঠে, তাই। এটা ই তো সে। তাই না।যে দল ই ক্ষমতায় থাকুক, তারা তো ভালো ই ছিল।তাদের তো আন্দোলনে যেতে হয়নি, তারা কি করে বুঝবে আন্দোলন এর চরিত্র কি? এতো করাপ্টেট সরকার ছিল,ওি সরকার আমলেও ওরা বড় বড় ব্যাবসা করে আসেছে, ১০০% সততা দিয়ে কিভাবে করেছে। কোন লোককে ঘুষ না দিয়ে কেমনে করছে ব্যবসা?!!

আজ রাসেল এর সাথে কথা বলছিলাম এি সব নিয়ে, এই আট মাসের হিসাব করতে গিয়ে দেখি, ওনারা কি করতএ এসে কি কি করেছেন

ওনাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল-

১।একটা সঠিক ভোটার তালিকা তৈরী
২।নির্বাচনী পরিবেশ তৈরী
৩।চরম করাপ্টেড লোক জন কে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা। এর জন্য দূর্নিতি বিরোধী অভিজান।

ওনারা এসে কি কি করলেন-

১।বস্তি আর হকার উচ্ছেদ-ওরা কি অপরাধ করছিল?
২।বিদ্যুৎ শক্তি জমানোর জন্য, ব্যবসায়ীদের সময় বেধে দেয়া-এটা কি ওনাদের মূল দায়িত্ব ছিল?
৩।বড় বড় হোতা দের বাদ দিয়ে ছোটখাট ব্যাবসায়ীদের ও ভয়ের ঠিতর রাখা, ব্যাংক হিসাব চেয়ে।
৪।৪টা পাট কল বন্ধ(ওনারা কি এর জন্য ক্সমতায় বসেছেন?)
৫।চিনি কল বন্ধ
৬।গার্মেন্টস বন্ধ
৭।চিটাগাং ডিপ সি পোর্ট দিয়ে দেয়া(বিশ্বস্থ সূত্রে খবর)
৮।কিছু চুক্তি এখন ও হাতে আছে, হাত নিস পিস করছে হয়তো,তাও করে ফেলবেন।

যা করারা কথা করেন নি-
১। এখন ও বিমান এর দূর্নিতিবাজদের ধরা হয়নি
২। যেই সব সচিব বা বড় কর্মকর্তা আগের বড় বড় দেশ বিরোধি চুক্তি গুলো কাউকে না জানিয়ে করে গিয়েছেন টাদএর ধরে ধরে শাস্তি দেয়া।দৃস্টান্ত মূলক শাস্তি।
৩।এর সাথে জড়িত নেতাদের ধরা।
৪। বন্যার্তদের জন্য প্রস্তুতি

------
----

জংন তাদের এখানে বসিয়েছে দেশোন্নয়নের জন্য না, তারা বসিয়েছে দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য।অন্য কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য না।

কিন্তু তরা তাই করে আমাদের বারোটা বাজাচ্ছে।এখন ভারত থেকে চাল এনে ভাত খাও। তারা কাদের লাভ দেখতে এসেছে?কাদের ভাল করতে এসেছে?

আমাদের মতো স্বাধিন দেশের নাগরিকদের কোন অধিকারে ঢাকার আমেরিকান দূতাবাস বলতে সাহস পায়, জন গনের সংযত আচরন করা উচিৎ।তারা আমাদের পর্যবেক্সন করছে।আমরা কি আচরন করব তাও কি তরা ঠিক করে দিবে?আমরা েখন কোথায় আছি?

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আন্দোলনের শুরুতে সাধারণ ছাত্ররা ছিল। কিন্তু সেদিন দুপুরের পর (আর্মি ক্যাম্প সরাতে রাজি হওয়ার পর) কোন সাধারন ছাত্র মিছিলে যায়নি। তখন থেকে শুরু হয়েছে নোংরা রাজনীতি।

এই জায়গাটাই বলেছি ইয়ামিন ।
আন্দোলনের লক্ষ্য যদি হয় শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সেনা প্রত্যাহার- তাহলে ঠিকাছে,ওখানেই আন্দোলনের সমাপ্তি হয়ে যাওয়া উচিত ছিলো । সেনাবাহিনী তো ক্যাপাস থেকে চলে আসছিলোই ।

কিন্তু ছাত্রদের কোন অংশ কিংবা রাজনৈতিক কর্মীরা কিংবা অন্য কেউ যদি ভাবে,পুরো দেশ থেকেই সেনাপ্রত্যাহারের আন্দোলন করতে হবে এবং সেই লক্ষ্যেই ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকে আরো বিস্তৃত করে যে কোনো উপায়ে- আমি তবে কোনো আপত্তি করিনা কারন আমি ও চাই শিধু ঢাবি ক্যাম্পাস নয় সারা দেশ থেকেই সেনা প্রত্যাহার হোক,সেনাবাহিনী ব্যারাকে ফিরে যাক ।

-----------------------------------
'আমি ও অনন্তকাল এইখানে পরস্পর বিস্ময়ে বিঁধে আছি'

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সৌরভ এর ছবি

"আন্দোলন" জিনিষটা ক্ষমতা ধরে রাখা পক্ষের কাছে সবসময় "অপশক্তি"র ষড়যন্ত্র বলে মনে হয়।



আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।