জবাবদিহিতার যোগসূত্র

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: রবি, ২৩/০১/২০১১ - ১০:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


পৌরনির্বাচন ও শেয়ারবাজার ডামাডোলের মধ্যে অংশতঃ চাপা পড়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের কাঠামোগত স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য সমাধান হওয়া জরুরী এমন একটি প্রসঙ্গ।
প্রসঙ্গটি স্পর্শকাতর অথবা এরকম কিছু কিছু বিষয়ে ইচ্ছে করেই স্পর্শকাতরতার ক্যামোফ্লেজ তৈরী করে রাখা হয় যেনো আলোচনা/সমালোচনার ক্ষেত্র সংকুচিত হয়ে থাকে অথচ প্রকৃত অর্থে কল্যানকামী গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হলে রাষ্ট্র প্রাসঙ্গিক বিষয়াদিতে স্পর্শকাতরতা কমিয়ে আনা প্রয়োজন।

প্রসঙ্গটির সূত্রপাত সম্ভবতঃ আইন মন্ত্রনালয়ের প্রস্তাবিত একটি আইনের খসড়া থেকে, যে আইনে সংসদীয় কমিটি চাইলে যে কোনো সরকারি চাকরিজীবীকে কমিটির সামনে হাজির হতে হবে।
রাষ্ট্রের তিনটি প্রধান অঙ্গ- সংসদ তথা আইন বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের মধ্যে সংসদের কাছে নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহিতার বিষয়টি স্পষ্ট, এ নিয়ে কারো কোন দ্বিমত নেই কিন্তু বিচার বিভাগের জবাবদিহিতার বিষয়ে স্পষ্ট কোন নির্দেশনা নেই।

ডিসেম্বর ২০, ২০১০ তারিখে জাতীয় সংসদ ভবনে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অনুরুদ্ধ হয়ে উপস্থিত সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার মো. আশরাফুল ইসলামের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। এ ছাড়া জাতীয় সংসদের সাথে বিচার বিভাগের সম্পর্কের ধরন কেমন হবে- সে ব্যাপারেও আইন মন্ত্রণালয় ও বিচার বিভাগের মতামত জানতে চেয়েছে কমিটি।
সংসদীয় কমিটির প্রধান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন আসলে কমিটি বুঝতে চায় বর্তমান বিচার বিভাগ জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে কিনা? বা তারা সংসদের কাছে জবাবদিহি করবে কিনা? সংসদে করলে তো এ কমিটির কাছেই জবাবদিহি করতে হবে। আর তারা যদি তা না করতে চায়, তবে কার কাছে জবাবদিহি করবে? এসব নিয়েই তিনি (সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রার) প্রধান বিচারপতির সাথে আলোচনা করবেন। প্রধান বিচারপতি মতামত দেয়ার পরই কমিটিতে এ নিয়ে আবার আলোচনা হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রের মূলকথাই হচ্ছে কেউ জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নয়। সকলকেই জাতীয় সংসদের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। এটা নির্বাহি ও বিচার বিভাগ উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য। তাই সংবিধান অনুযায়ী বিচার বিভাগ সংসদের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। কিন্তু মাজদার হোসেনের মামলার রায়ের পর দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন ও স্বতন্ত্র হওয়ায় নতুন করে এ প্রশ্নটি উঠেছে। এ স্বাধীন ও স্বতন্ত্র বিচার বিভাগের সাথে সংসদের সম্পর্কটি কি হবে তাই আমরা সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রারকে জেনে আসতে বলেছি। সেই সাথে এ ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয়কেও মতামত জানাতে বলা হয়েছে।

এর পরপরই এ বিষয়ে শুরু হয় সংসদীয় কমিটি ও বিচারকদের মধ্যে পরোক্ষ বিতর্কের।
জানুয়ারীর ৩ তারিখে সুপ্রিম কোর্টের ফুল কোর্ট সভায় হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা তাদের মত প্রকাশ করেন। সভায় বলা হয়, বাংলাদেশের সংসদ সার্বভৌম নয়। তাই সংসদীয় কমিটির কাছে জবাবদিহি করতে সুপ্রিম কোর্ট বাধ্য নয়।
তারপর জানুয়ারী ১৫ তারিখে প্রধান বিচারপতি সিদ্ধান্ত জানান যে বিচার বিভাগ রাষ্ট্রের অন্য দুই অঙ্গ আইন সভা কিংবা নির্বাহী সভার কাছে জবাবদিহি করবেনা। বিচারবিভাগ যেমন অন্য অঙ্গের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দাবী করছেনা, তেমনি বিচার বিভাগের উপর অন্য অঙ্গের শ্রেষ্ঠত্ব ও তারা মেনে নেবেননা।
তিনি আরো জানান- বিচার বিভাগের জবাবদিহিতা একমাত্র বাংলাদেশের জনগনের কাছে কারন একমাত্র শ্রেষ্ঠত্ব বা সার্বভৌমত্বের মালিক বাংলাদেশের জনগণ।



জনগনের একজনের ফুটনোট

মাননীয় প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের যে জনগনের শ্রেষ্ঠত্ব ও সার্বভৌমত্ব মেনে নিয়ে কেবল তার কাছেই জবাবদিহিতা করতে প্রস্তুত সেই জনগনের একজন( member of the public) পক্ষ থেকে দু পয়সা যোগ করা যেতে পারেঃ-

১। সুপ্রীম কোর্টের ফুল কোর্ট সভায় বিচারকরা সংসদের কাছে জবাবদিহি না করার জন্য যুক্তি হিসেবে জানিয়েছেন- 'বাংলাদেশের সংসদ সার্বভৌম নয়' । এই যুক্তির ব্যাখ্যা প্রয়োজ়ন। জনগনের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত ও সংবিধানসম্মত সংসদ সার্বভৌম নয় কেনো? নাকি বিচারকরা বলতে চেয়েছেন বাংলাদেশের সংসদ সবসময় সার্বভৌম নয়, যেহেতু এদেশে সামরিক জান্তার গঠিত জোরজবরদস্তির সংসদের ও উদাহরন হয়েছে।
কিন্তু এই উদাহরন আনা হলে সে ক্ষেত্রে ও কথা উঠার অবকাশ আছে। জেনারেল জিয়াউর রহমান ও জেনারেল এরশাদের অবৈধ দখলদারিত্বকে শপথ পড়িয়ে উৎসাহিত করেছিলেন তৎকালীন বিচারপতিরা। পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি জেনারেল পারভেজ মোশাররফের ক্ষেত্রে যে দৃঢ় ভূমিকা রেখেছিলেন বাংলাদেশের তৎকালীন বিচারপতিরা তা করেননি। পরবর্তীতে স্বাধীন বিচার বিভাগ সেই সময়ের বিচারপতিদের সামরিক সখ্যতাকে স্পষ্টভাষায় জনবিরোধী বলে সমালোচনা করেছেন বলে কোন তথ্য জানা যায়না।

২। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন তারা সংসদ নয়, কেবলমাত্র জনগনের কাছে জবাবদিহিতা করবেন। উত্তম শব্দচয়ন কিন্তু এই জবাবদিহিতার কাঠামোগত রূপটি কেমন হবে? কিভাবে ১৬ কোটি জনগনের কাছে জবাবদিহিতা করা হবে? প্রাচীন গ্রীক নগর রাষ্ট্রের মতো নির্দিষ্ট দিনে জনগন ময়দানে সমবেত হবে, তারপর?

সংসদীয় গনতন্ত্রের ধারনা অনুযায়ী সংসদ সদস্যরা জনগনের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি। এই প্রতিনিধিদের সংখ্যাগরিষ্ঠরা সরকার গঠন করবেন, বাকীরা বিরোধী দল হিসেবে থাকবেন। সরকার এবং বিরোধী দল মিলেই জাতীয় সংসদ। জনগনের প্রতিনিধি হিসেবে তাই জাতীয় সংসদ রাষ্ট্র পরিচালনা করবে, রাষ্ট্র পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ জনগনের প্রতিনিধিদের কাছে জবাবদিহি করবেন এবং প্রতিনিধিগন সরাসরি জনগনের কাছে জবাবদিহি করবেন। জনগন যদি জবাবদিহিতায় সন্তুষ্ট না থাকে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি বদলের স্বাধীনতা ও অধিকার তার থাকে।

কিন্তু বিচার বিভাগের জবাবদিহিতা প্রাপ্তির পদ্ধতি কি, জবাবদিহিতায় সন্তুষ্ট না হলে কী করার স্বাধীনতা ও অধিকার আমার আছে সেটা স্পষ্টতই অস্পষ্ট রয়ে গেলো জনগনের একজনের কাছে।


মন্তব্য

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

প্রশ্ন দুটো আমারও। উত্তর পাবো কিনা জানিনা। উনারা ব্লগ-ট্‌লগ পড়ার সময় পান কিনা সন্দেহ আছে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

পশ্চিমের দেশগুলোর দিকে তাকানো যেতে পারে। ওখানে ব্যবস্থা কি?

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আলোচনার সূত্রপাত করলাম। সহ-সচলরা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

অতিথি লেখক এর ছবি

খুব ভাল একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন। এই উত্তর গুলা জানা খুবই জরুরি এখন।

অনন্ত

দ্রোহী এর ছবি

একটা one-liner বানানো যেতে পারে:

কেবলমাত্র ঈশ্বর ও বাংলাদেশের বিচারপতিদের কারো কাছে জবাবদিহিতার প্রয়োজন নাই।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চমৎকার আলোচনা! আপনার দুটো প্রশ্নের পাশাপাশি আমার কিছু প্রশ্ন আছে:

১। হঠাৎ করে বিচার বিভাগকে জবাবদিহীতার প্রশ্ন উঠল কেনো?

২। আইন বিভাগের জবাবদিহীতা থাকবে না কেনো?

এ বিষয়ে অন্য দেশের আইন জানা নেই।

নৈষাদ এর ছবি

এমন একটা আগ্রহোদ্দীপক এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের আলোচনাতে সংশ্লিষ্ট সহ-সচলদের কাছে থেকে (বিশেষকরে যারা প্রবাসী) আরও কিছু ইনপুট আশা করেছিলাম।

প্রধান বিচারপতি জবাবদিহিতার প্রশ্নে ‘বিস্তৃত-বর্ণালির’ উত্তর দিয়েছেন – বিচার-বিভাগের জবাবদিহিতা সর্বশক্তিমান আল্লাহ এবং কেবলমাত্র জনগনের কাছে। ‘জনগনের কাছে জবাবদিহিতা’ আপাত একটা অস্পষ্ট এবং অপব্যবহৃত ধারণা হলেও জাতীয় সংসদই তো আসলে জনগনের প্রতিনিধিত্ব করে। এবং সেই অর্থে নির্বাহী বিভাগকে জনগনের প্রতিনিধিত্বমূলক অঙ্গের কাছে জবাবদিহি করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ‘জনগনের কাছে’ জবাবদিহিতার কথা বলে কি সংসদের কাছে জবাবদিহিতার ব্যাপারটাকে কিছুটা ইম্প্লিক্যাট করলেন না?

যতদূর জানি বর্তমানে বিচার-বিভাগের শুধুমাত্র ‘সুপ্রিম-জ্যুডিশিয়্যাল-কাউন্সিলের’ কাছে জবাবদিহিতার একটা ব্যাপার আছে। আম-জনতা হিসাবে এতটুকু বলতে পারি বিচারবিভাগের ‘স্পষ্ট’ জবাবদিহিতা থাকা উচিত। রাস্ট্রের তিনটি অঙ্গের মধ্যে একমাত্র জাতীয় সংসদই জনগনের প্রতিনিধিত্বমূলক। আবার বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদের কাছে বিচার-বিভাগের জবাবদিহিতাকেও আমি পুরো সমর্থন করতে পারিনা। আমার জানতে ইচ্ছে হয় পশ্চিমের দেশগুলোতে বিচার বিভাগের জবাবদিহিতা কীভাবে নিশ্চিত করা হয়।

'বাংলাদেশের সংসদ সার্বভৌম নয়' – আপাত একটা ভয়াবহ কথা বলে মনে হয়। কিন্তু ‘সার্বভৌম’ এই শব্দবন্ধের বিস্তৃত বিশ্লেষণ এবং প্রেক্ষিত ছাড়া মন্তব্য করতে পারছিনা।

দুর্দান্ত এর ছবি

ইউরোপের কিছু দেশে বিচারবিভাগের জবাবদিহীতা নিশ্চিত করা হয় বিচারকাজকে জনগনের সামনে ঊন্মুক্ত করে দিয়ে। একজন নাগরিক যেকোন বিচারকাজে উপস্থিত থাকতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে জনগন সরাসরি বিচারকাজে অংশগ্রহন করে, জুরি হিসাবে। আবার সমাপ্ত বিচারকাজের যাবতীয় নথিপত্র জনগনের কাছে উন্মুক্ত।

ব্রিটেন ও হল্যন্ডে বিচারবিভাগ সংবিধানের অধীন, সেই হিসাবে তাত্বিক বিচারে তারা সংসদেরও অধীন। জার্মানী, ফ্রান্স ও স্পেনে আবার বিচারবিভাগকে বিভিন্ন খোপে বিভক্ত করে দিয়ে আরেকটি সমাধানে আসা হয়েছে, যেখানে দেওয়ানি-ফৌজদারী ছাড়াও একটি আলাদা সংবিধানিক আদালত রাখা হয়েছে। দেওয়ানি-ফৌজদারী আদালতগুলো সংসদের অধীন, অন্যদিকে সংবিধানিক আদালত সংসদের অসাংবিধানিক আইন বাতিল করতে পারে।

একজন বিচারক এক সাথে অনেকগুলো দায়িত্ব পালন করে। ওপরের যে জবাবদিহীতার কথা হল, সেটা তার বিচারকাজের দায়িত্বের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য় হলেও, বিচার ব্যাবস্থাপনার সরাসরি জবাবদিহী করতে চাওয়াটা বোকামী। বিচার ব্যাবস্থাপনা, যা একটি বিচারকাজের মত অনুষ্ঠানভিত্তিক (event basis) ঘটনা নয়, এবং যার ক্রিয়াকলাপ সরকারে আরেকটি স্বায়ত্বশাসিত বিভাগের সাথে তুলনীয়, তার জবাবদিহীতা সেভাবেই আইন মন্ত্রীর দায়িত্ব ও সংসদীয় কমিটি তত্বাবধানে নিশ্চিত করা হয়।

বিচারবিভাগের জবাবদিহীতার বিতর্কটি বাংলাদেশের একার নয়। সারা বিশ্বেই এটা নিয়ে কথা চলছে। ব্রিটেনে এই কিছুদিন হয় (২০০৯) সংবিধান পযালোচনাকালে বিচারবিভাগের জবাবদিহীতার ওপর বেশকিছু কাজ হয়েছে। ইঊরোপে চলমান বিতর্ক নিয়ে এই লেখাটি আরো কিছু চিন্তার খোরাক যোগাবে।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আমি যতোদূর জানতে পেরেছি মুল সংবিধানে সংসদের কাছে নির্বাহী বিভাগের মতোই বিচার বিভাগের জবাবদিহিতার বিষয়টি ও স্পষ্ট করা ছিলো, সংসদ বিচারকদের পদচ্যুতির ক্ষমতা রাখতো। কিন্তু সামরিক শাসনামলে মুল সংবিধানের কাঁটাছেড়ার সময় এটিও বাতিল হয় ।
পরবর্তীতে আদালতের রায়ে সামরিক সংশোধনগুলো বাতিল হলেও এই বিষয়টির পুনরুজ্জীবিত হয়নি আর।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

এই আলোচনাটা আরো চলা দরকার। জানতে ও পড়তে আগ্রহী...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।