বিএনপির লবিংগেইট কেলেংকারি ও কিছু জরুরী প্রশ্ন

হাসিব এর ছবি
লিখেছেন হাসিব (তারিখ: বুধ, ০৯/০৯/২০১৫ - ৫:০১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সম্প্রতি মাছরাঙা টিভি চ‍্যানেলে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে লবিং করার জন‍্য ব্রিটিশ আইনজীবী টবি ক‍্যাডম‍্যান মারফত বিএনপি একটি মার্কিন লবিং প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেবার তথ‍্য ফাঁস হয়েছে। ফাঁস হওয়া এই তথ‍্যে দেখা যায় বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ট্রাইবুনাল, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ‍্যকার বিভিন্ন বাণিজ‍্যিক চুক্তিসহ দুই দেশের মধ‍্যকার সম্পর্ক প্রভাবিত করতে একটি চুক্তি মার্কিন লবিং প্রতিষ্ঠান Akin Gump Strauss Hauer & Feld LLP (AGSHF) ও বিএনপির মধ‍্যে হয়েছে। এই চুক্তির মধ‍্যস্থতা করেছেন ব্রিটিশ আইনজীবী টবি ক‍্যাডম‍্যান।

কারা এই AGSHF?

এই লবিং প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের পরিচয় ও সক্ষমতা বর্ণনা করতে গিয়ে সেই প্রস্তাবনামায় লিখেছে,

We have strong relationships with Members of Congress as well as throughout the Executive Branch. We take pride in being a totally bipartisan firm and have leading members of both the Republican and Democratic parties in our practice. We have worked closely with every major committee and subcommittee in the House and Senate, on both sides of the aisle, as well as with senior officials in virtually all Executive Branch agencies. Many of our attorneys and other professionals have served as Members of Congress or in critical staff positions on. the Hill, or have held senior positions in The White House, the National Security Council, Department of State, Department of Defense and other executive branch agencies. We are particularly familiar with the foreign policy, national security and trade issue.

তাদের কথা সত‍্য হলে বলতে হবে এটি একটি প্রভাবশালী লবিং বা তদবির প্রতিষ্ঠান।
প্রকাশ হওয়া ডকুমেন্টটিতে দেখা যায় জড়িত দুই পক্ষের নাম Akin Gump Strauss Hauer & Feld LLP (AGSHF) এবং বাংলাদেশ ন‍্যাশনালিস্ট পার্টি। বিএনপির কার্যালয়ের ঠিকানা হিসেবে ২৮ ভিআইপি রোড নয়া পল্টন ঢাকা ১০০০ উল্লেখ রয়েছে।

কী নিয়ে চুক্তি?

বিএনপির সাথে লবিং ফার্মটির সাথে চুড়ান্ত চুক্তি প্রকাশিত হয়নি। যেটা প্রকাশিত হয়েছে সেটা ক‍্যাডম‍্যানের সাথে চিঠিচালাচালির পর AGSHF যে চুক্তিপ্রস্তাব পাঠায় সেটি।

কেউ কেউ দাবি করতে পারেন এটি তো চুক্তিপ্রস্তাব। চুক্তি নয়। চুক্তি হয়েছে এটা কীভাবে বোঝা গেল? চুক্তি যে হয়েছে সেটা ডকুমেন্টটির তৃতীয় পাতায় এক্সিবিট-বি-এর ৪ নাম্বার পয়েন্টে পরিস্কার বোঝা যায়।

সেখানে বলা হয়েছে The agreement between the registrant and the above-named foreign principal is a formal written contract. If this box is checked, attach a copy of contract to this exhibit. চুক্তিটি গোপনীয় হওয়ায় মূল চুক্তিটি প্রকাশ করা হয়নি।

বিএনপির প্রতিনিধি টবি ক‍্যাডম‍্যানের সাথে “series of discussions” এর পর তারা টবি ক‍্যাডম‍্যানকে যে চুক্তিপ্রস্তাবটি পাঠায় সেই চুক্তিপ্রস্তাবটিতে দুই পক্ষের চুক্তির উদ্দেশ‍্য সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা পাওয়া যায়।

সেখানে কয়েকটি নির্দিষ্ট কাজের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো,

১. বিএনপি নেতাদের সাথে ওয়াশিংটনের নেতাদের সংলাপের ব‍্যবস্থা করিয়ে দেয়া। এবছরের জানুয়ারী মাসের ২২ তারিখের এই চিঠিতে স্পষ্ট করে সেই সংলাপে “আসন্ন নির্বাচনের” কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
২. বাংলাদেশে চলা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল বিষয়ে লবিং করা
৩. বাণিজ‍্যনীতি ও বাণিজ‍্যচুক্তি বিষয়ে কথা বলা
৪. মানবাধিকার লংঘন নিয়ে কথা বলা

এইসব কাজের জন‍্য AGSHF কতো টাকা নেবে সেটাও চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে এ ধরণের কাজের জন‍্য তারা মাসে ৪০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ডলার পর্যন্ত চার্জ করে থাকে। এই চুক্তিতে ন‍্যুনতম ৪০ হাজার ডলারের অতিরিক্ত লাগলে (৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ডলার) সেটা প্রদানের জন‍্য বিএনপির কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি/অঙ্গীকার চাওয়া হয়েছে। চুক্তিপ্রস্তাবে ন‍‍্যূনতম ৪০হাজার করে তিন মাসের জন‍্য ১ লক্ষ ২০ হাজার ডলার অগ্রিম পেমেন্ট চাওয়া হয়েছে।

এই চুক্তিপ্রস্তাব পড়ে কতোগুলো জরুরী প্রশ্ন আমাদের সামনে হাজির হয়েছে,

প্রথমত, চুক্তির মূল কপিটি না পাওয়া গেলেও চুক্তি অনুযায়ী ধারণা করা যায় ন‍্যুনতম ১লক্ষ ২০ হাজার ডলার বা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১ কোটি টাকা বিএনপি পরিশোধ করেছে। এই টাকার পরিমাণ গত বছরে বিএনপির ঘোষিত খরচের তিনভাগের একভাগ। এই পরিশোধিত টাকা কি তারা মনে করে ২০১৫এর আর্থিক প্রতিবেদনে দেখাবে?

দ্বিতীয়ত, ১ লক্ষ ২০ হাজার ডলার কি বৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে মার্কিন বিদেশে পাঠানো হয়েছে? এই বিষয়ে বাংলাদেশ ব‍্যাংকের কাছে কোন তথ‍্য আছে কি?

তৃতীয়ত, এটা প্রমাণিত যে বাংলাদেশে চলমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল প্রভাবিত করার জন‍্য এই দেশেরই একটি রাজনৈতিক দল বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব কামনা করে (পাঠক এই প্রসঙ্গে কাদের মোল্লার ফাঁসি ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জন কেরির ফোনের কথা স্মরণে নিতে পারেন।) লবিং করছে। বাংলাদেশের আইনি কাঠামোতে বিচার প্রক্রিয়া প্রভাবিত করার জন‍্য দল হিসেবে বিএনপি কি বিচারের সম্মুখিন হবে?



চতুর্থত, চুক্তির উদ্দেশ‍্যগুলোতে দেখা যাচ্ছে লবিং প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মধ‍্যকার বাণিজ‍্যচুক্তি ও বাণিজ‍্যনীতি নিয়ে লবিং করবে। পাঠকের হয়তো স্মরণ আছে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিল হয়েছে। আমাদের কি এরকম সন্দেহ করা অযৌক্তিক হবে যে এই বাতিলের সিদ্ধান্তের পেছনে বিএনপির নিয়োগ করা লবিং প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা রয়েছে? এটা যদি সত‍্য হয় তাহলে বিএনপি কি রাষ্ট্রের ক্ষতি করার জন‍্য বিদেশী শক্তিকে প্রভাবিত করার মতো রাষ্ট্রদ্রোহী কাজে জড়িত নয়?

সরকারের উচিৎ এই সকল প্রশ্নগুলো জবাব খোঁজা ও বিদেশী শক্তির প্রভাব আনয়নে কাজ করার জন‍্য দল হিসেবে বিএনপিকে বিচারের সম্মুখীন করা।

নোট

১. মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিসের ডকুমেন্ট
২. জিএসপি সুবিধা বাতিল
৩. মাছরাঙা টিভির রিপোর্ট


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

কী দিনকাল পড়লো, টোবি ক্যাডম্যান পর্যন্ত বিম্পির সাথে সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে বলতে লজ্জা পায়।

হাসিব এর ছবি

সেরকমই দেখলাম মাছরাঙা টিভির নিউজে। সে প্রথমে অস্বীকার করেছে সবকিছু। বলেছে সে নাকি এই প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত নয় এবং বিম্পির সাথে তার কোন সম্পক্ক নাই। পরে চেপে ধরাতে সে স্বীকার গেল সবকিছু।

স্পর্শ এর ছবি

বিএনপি এইসব ছাড়া আর করবে কি! জামায়াতের হয়ে লবিং টবিং করার দায়িত্বও বিএনপি নিয়ে নিয়েছে...

মাছরাঙার প্রতিবেদনটা দেখে মুগ্ধ হলাম। শুধু অনুসন্ধানী রিপোর্টিং এর জন্যই এটা প্রশংসা যোগ্য। সেই সাথে কথোপকথোন, ডকুমেন্টস, ইমেইল চালাচালি ইত্যাদির সৃষ্টিশীল উপস্থাপন আর গ্রাফিক্স এর পরিমিত ব্যবহারও নজর কেড়েছে। আমার মিডিয়া কোম্পানি থাকলে এই প্রেজেন্টেশন তৈরির পিছনের মূল ব্যক্তিকে বিপুল অঙ্কের মাসোহারা দিয়ে নিজের কোম্পানিতে নিয়োগ দেবার চেষ্টা করতাম।

লবিইং ফার্ম টার্ম দেখলে বোঝা যায় আমেরিকান ডেমোক্রেসি জিনিসটা অদ্ভুত। অবশ্য 'প্রকৃত ইসলাম' এর মত 'প্রকৃত ডেমক্রেসি'ও কোনো দেশে খুঁজে পেলাম না আজও।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

হাসিব এর ছবি

মাছরাঙার প্রতিবেদনটা আসলেই ভাল হইছে। আর আমেরিকান ডেমোক্রেসি, ইকোনমি সব বাটপারিরে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করে ফেলছে। তারা চুরি করে চুরির একটা ভিন্ন নাম দিয়ে। তার সাথে আইন করে সেইটারে বৈধতাও দেয়।

দ্রোহী এর ছবি

চমৎকার লেখা। গুল্লি

মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের প্রতিবেদনটা দেখে মুগ্ধ হলাম। পরিমিত, পরিশীলিত রিপোর্টিং এবং তার সাথে ততোধিক চমৎকার গ্রাফিক্সের কাজ। এক কথায় মুগ্ধতাজাগানিয়া। দেশে এখন প্রচুর টেলিভিশন চ্যানেল। মাছরাঙ্গার খবরের অংশবিশেষ আজই প্রথম দেখলাম, এবং দেখে মুগ্ধ হলাম।

কিন্তু একটা জিনিসে চোখ আঁটকে গেল। সংবাদ পাঠিকার পেছনে বাম দিকে পৃথিবীর যে এনিমেশনটা চলছে তাতে দেখা যাচ্ছে পৃথিবী পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে ঘুরছে। ক্লাস সেভেন - এইটের বিজ্ঞান বইতে ঋতু পরিবর্তন, দিবারাত্রির হ্রাসবৃদ্ধি যারা পড়েছেন তারা সবাই জানেন যে পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘুরে।

টেলিভিশনের সংবাদ পরিবেশনা একটা দক্ষযজ্ঞ। শত শত লোক জড়িত এতে। এতোগুলো লোকের চোখ এড়িয়ে এত বড় একটা ভুল কীভাবে টেলিভিশনে চলে এলো?

স্পর্শ এর ছবি

ভালো জিনিস খেয়াল করছেন তো!
একটা ব্যাখ্যা হতে পারে, বিষুবরেখা বরাবর পশ্চিম থেকে পূব দিকে চলমান কোনো স্যাটেলাইট থেকে পৃথিবীকে দেখা হচ্ছে ভেবে নিতে হবে।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

দ্রোহী এর ছবি

জিওস্টেশনারি অরবিট থেকে তো পৃথিবীকে স্থির দেখাবে। সুতরাং সেই ব্যাখ্যাতেও গলদ আছে। চোখ টিপি আবার লো আর্থ অরবিট থেকে পুরা পৃথিবীকে এক ফ্রেমে দেখা যায় না।

এত জটিলভাবে চিন্তা না করে এইটাই বলা যায় যে পুরা এনিমেশনের কাজটার সাথে (প্রোডাকশন থেকে শুরু করে ব্যবহার পর্যন্ত) যতজন লোক জড়িত আছে তাদের কেউই জানে না পৃথিবী কোন দিক থেকে কোন দিকে ঘুরে। চোখ টিপি

হাসিব এর ছবি

আমার ধারণা এইটা এ‍্যানিমেটর কোথাও থেকে এনে বসিয়ে দিয়েছেন। যেহেতু ইন্টারনেট থেকে পাওয়া সেহেতু এটা ভুল হতেই পারে না।

দ্রোহী এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি হো হো হো গুরু গুরু

মুস্তাফিজ এর ছবি

এইটা অস্ট্রেলীয়ান জিয়োগ্রাফি না, বাংলাদেশী, উলটা ঘুরতেই পারে।

...........................
Every Picture Tells a Story

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হো হো হো

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সুবোধ অবোধ এর ছবি

পিথিমি নাহয় উলটা দিক ঘুরতেছে। তা আপ্নেও দেখি ঘুরতে ঘুরতে ভুল কইরা চইলা আইছেন এত্তদিন পর!! খাইছে দেঁতো হাসি

দ্রোহী এর ছবি

ইহা প্রকৃত দ্রোহী নয়। প্রকৃত দ্রোহী বোলগ দিয়ে ইন্টারনেট চালানো ছেড়ে দিছে তিন বছর আগে।

Ajabul Morfud এর ছবি

বিএনপি’র সঙ্গে আমেরিকান দালাল (লবিং) গ্রুপের সম্পাদিত চুক্তিতে দালাল গ্রুপ কর্তৃক কৃত ৪ টি কাজের একটি “বাণিজ্যনীতি ও বাণিজ্যচুক্তি” হওয়া এবং সম্প্রতি আমেরিকা কর্তৃক বাংলাদেশের অনুকূলে জিএসপি সুবিধ‍া বাতিল হওয়া নিশ্চয়ই ওই দালাল গ্রুপের কাজের প্রাথমিক সফলতা। গার্মেন্টস ব্যবসায়ী তথা দেশের ক্ষতি হলেও চুক্তি অনুযায়ী এটা বিএনপি’রও প্রাথমিক সফলতা। বিএনপি’র জয় হোক। তবে গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হওয়ার বিপরীতে প্রতিবাদ স্বরুপ গার্মেন্টস ব্যবসায়ীগণ মিছিল সহকারে যেয়ে বিএনপি অফিসে ’গণ জুতা নিক্ষেপ’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারেন। গার্মেন্টস ব্যবসায়ীগণ তা করবেন কি?

হাসিব এর ছবি

সাথে আমাদের নোবেল বিজয়ী ইউনূসের মেইলচালাচালিও ভুলে গেলে চলবে না।

সুবোধ অবোধ এর ছবি

হায়রে বলদের দল রে!! খালি ধরা খায়।
লেখায় উত্তম জাঝা!

নীড় সন্ধানী এর ছবি

হায় বিএনপি! এত কোটি সমর্থকরে বিব্রত করিয়া তুমি আবারো ক্ষমতার জন্য নির্বাচন আশা করো চিন্তিত
এই ব্যাপারে বিএনপি সুশীলদের পক্ষ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া কি দেখা গেছে- 'এই বিএনপি সেই বিএনপি নয়'?

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হুমম...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।