জান্দাল-ইব্রাহিমের খেলাফত ও আইসিসের নতুন হুমকি

হাসিব এর ছবি
লিখেছেন হাসিব (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৪/০৪/২০১৬ - ১০:২৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আইসিসের মুখপাত্র ম্যাগাজিন দাবিকের নতুন সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। যথারীতি তারা সেখানে বাংলাদেশে তাদের খেলাফাতের কার্যক্রমের বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছে। এর সাথে তারা একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে আবু জান্দাল আল বাঙালি নামে এক বাংলাদেশি জিহাদির ওপরে। একদম শেষে তারা বাংলার খেলাফতের সৈনিকদের আমির শায়েখ আবু ইব্রাহিম আল-হানিফএর একটি বড় সাক্ষাতকার ছাপিয়েছে। বাংলাদেশকে নিয়ে নিয়মিত বড় কভারেজ আইসিসের বাংলাদেশ বিষয়ে আগ্রহের সাক্ষ্য দেয়।

১।

ম্যাগাজিনে বিভিন্ন দেশে তাদের অপারাশনের বর্ণনা করতে গিয়ে বেঙ্গল অংশটিতে তিনটি অপারেশনের কথা উল্লেখ আছে।

প্রথমে তারা পঞ্চগড়ে পুরোহিত যজ্ঞেশ্বর রায়ের হত্যাকাণ্ডের কথা বলেছে। এটা তারা তাদের নিউজ এজেন্সি ও রেডিও মারফত মিডিয়াতে আগেই জানিয়েছিলো।

এই অপারেশনে যজ্ঞেশ্বর রায়ের একজন সহচরকে আহত করার কথাও বলা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের পরপর আইসিস যজ্ঞেশ্বর রায়ের ছিন্ন মস্তকের ছবি প্রচার করে।

দ্বিতীয় অপারেশনটি “হিন্দু ব্যবসায়ী” তরুণ দত্তকে হত্যার বিষয়ে। এই হত্যাকাণ্ডটির স্বীকারোক্তি পাওয়া যায়নি আগে। এখানে খেয়াল করার বিষয় হল আইসিস এখন বিধর্মী, ধর্মত্যাগী, রাজনীতিবিদ ছাড়া সাধারণ লোকেদের হামলার শিকারে পরিণত করছে।

তৃতীয় ও শেষ হত্যাকাণ্ডটি শিয়া বিশ্বাসী হাফেয আব্দুর রাজ্জাকের। ঝিনাইদহে একটি চিকিৎসা কেন্দ্র চালাতেন তিনি। এই হত্যাকাণ্ডের স্বীকৃতি তারা আগে দিয়েছিল।

এই তিনটি হত্যাকাণ্ডের বাইরে আইসিস স্বীকৃত আরেকটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা রয়েছে যেটা দাবিকের এই সংখ্যাতে আসেনি। বাংলা ট্রিবিউনের খবর অনুযায়ী "গত মঙ্গলবার (২২ মার্চ) কুড়িগ্রাম শহরের গাড়িয়ালপাড়া গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা ও ধর্মান্তরিত খৃস্টান হোসেন আলীকে সকালে নিজ বাড়ির সামনে কুপিয়ে হত্যা করে তিনজন দুর্বৃত্ত। এসময় এলাকাবাসী হত্যাকারীদের আটকানোর চেষ্টা করলে ৩টি ককটেল ছুড়ে মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায় তারা। একটি ককটেল বিস্ফোরিত হলেও অপর দুটি ককটেল অবিস্ফোরিত থেকে যায়। পরে অবিস্ফোরিত ককটেল দুটি রংপুরের বোমা বিশেষজ্ঞ দল এসে নিরাপদ জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটায়।” (১)

হত্যাকাণ্ডের পর আইসিসের স্বীকারোক্তিটা ছিল একরকম,

মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলি হত্যাকাণ্ডটি কেন দাবিকে এলোনা সেটা ভাবার বিষয় আছে। এমন হতে পারে ভুলক্রমে বাদ পড়েছে। অথবা আর্টিকেল লেখা হয়েছে এই তথ্য পাবার আগে। পরবর্তী সংখ্যার আগে কোন সম্ভাবনাটা সত্য তা বোঝার উপায় নেই।

২।

দাবিকের চলতি সংখ্যায় আবু জান্দাল আল বাঙ্গালি নামে একজন বাঙালি জিহাদির উপরে একটি প্রবন্ধ রয়েছে। “সামরিক বাহিনীর সাথে গভীর সংযোগ থাকা এক পরিবার” থেকে আসা আবু জান্দালের বাবা বিডিআর বিদ্রোহে নিহত একজন সেনা কর্মকর্তা। আবু জিন্দাল কীভাবে র‍্যাডিকালাইযড হয়ে উঠলো তার একটা বিবরণ প্রবন্ধটিতে পাওয়া যায়। ধর্মীয় আচার কঠোর ভাবে মেনে চলার পাশাপাশি সে আনওয়ার আল আওলাকির লেকচার শুনতো, ইবনে তায়মিয়াহ মোহাম্মাদ ইবনে আব্দিল ওয়াহাবের বই পড়তো। আবু জান্দাল বাংলাদেশের স্থানীয় জিহাদিদের আর্থিক সাহায্য করতো।

এক পর্যায়ে আবু জান্দাল মধ্যপ্রাচ্যে হিজরতের আহবানে সাড়া দেবার সিদ্ধান্ত নেয়। একটা কনফারেন্সে অংশ নেবার নাম করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুয়া কাগজ পত্র ও টাকা পয়সা যোগাড় করে সে মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি জমায়। শেষ মুহূর্তে আবু জান্দালের মামা, যিনি ডিজিএফআইতে কাজ করেন, আবু জান্দালকে বাধা দেবার বিফল চেষ্টা করেন। পরে একসময় আবু জান্দাল সিরিয়াতে যুদ্ধে যোগ দিয়ে মৃত্যুবরণ করে।

আর্টিকেলটি শেষ হয়েছে আবু জান্দালের একটি চিঠি দিয়ে। ওখানে সে কিছু উপদেশ দিয়েছে যার একটি হল শারীরিক প্রশিক্ষণ।

৩।

দাবিকের সাম্প্রতিক সংখ্যায় আইসিসের বাংলাদেশের আমীর শায়েখ আবু ইব্রাহিম আল হানিফের যে সাক্ষাতকারটি ছাপা হয়েছে সেটা সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ। ৯ পাতাব্যাপী এই সাক্ষাৎকারে আইসিসের কার্যক্রম, লক্ষ্য, শত্রুমিত্র, দেশিয় রাজনীতি বিষয়ের তাদের অবস্থান ইত্যাদি বহু কিছু উঠে এসেছে। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ তুলে ধরা হলো।

ক। কেন আইসিসের খেলাফতের প্রতি আনুগত্য

প্রথমত, এটা মুসলিমদের কর্তব্য একজন কুরায়েশি ইমামের নেতৃত্বে একতাবদ্ধ হওয়া
দ্বিতীয়ত, ঘোষিত খেলাফত উম্মার প্রকৃত সালাফি স্কলারদের ঘোষিত সবগুলো শর্ত পালন করে।
তৃতীয়ত, ক্রুসেডার, রাফিদা (শিয়া), PKK নাস্তিক এবং অন্যান্য সব কাফেরদের দল একযোগে আক্রমণ করছে। তাদের ঠেকাতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একত্রে হামলা প্রয়োজন।

খ। নবীকে অপমানকারি নাস্তিক ও সেকুলারিজমপন্থিদের মুখ বন্ধ করা বিষয়ে

আবু ইব্রাহিমকে বাংলায় খেলাফাতের উত্থানে নাস্তিক ও সেকুলারপন্থিদের ভীত ও আতংকিত করবে কিনা এই প্রশ্ন করা হয়েছে। উত্তরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যেটা আগে আমাদের জানা ছিল না। আবু ইব্রাহিম বলেছে, “এটা প্রমাণিত (This became evident) যে কিছু নেতৃস্থানীয় নাস্তিক খেলাফতের সৈনিকদের কাছ থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছে। কিন্তু খেলাফতের সৈনিকদের শুধুমাত্র হুমকি দেয়া কর্মকৌশল/পদ্ধতি নয়। বরঞ্চ আমরা আমাদের কাজের মাধ্যমে কথা বলি। এবং আমাদের সৈনিকরা বর্তমানে নাস্তিক, নবীকে ব্যাঙ্গ করা লোকেরা এবং অন্য সব ধর্মত্যাগীদের জবাই করার জন্য ছুরিতে শান দিচ্ছে।”

এখনো পর্যন্ত ব্লগাররা আল কায়েদার (আনসার বাংলা টিম নাম নিয়ে) আক্রমণের শিকার হলেও অচিরেই ব্লগার কোপাতে আইসিস যোগ দেবে এটা উপরের বক্তব্য থেকে পরিষ্কার। সেই সাথে মিডিয়াতে পাঠানো তালিকাগুলো, যেগুলো আল কায়েদা কখনো স্বীকার করেনি যে তারা পাঠিয়েছে, আইসিসের পাঠানো (সব না হলেও অন্তত কিছু তালিকা) সে বিষয়টা এখন নিশ্চিত।

গ। বাংলায় পথভ্রষ্ট ও ধর্মত্যাগি কারা কারা রয়েছে?

এ প্রসঙ্গে চারটি গ্রুপের কথা এসেছে।

  • রাফিদা (শিয়া)
  • কাদিয়ানী
  • ধর্মত্যাগি মুসলমান
  • সুফি সাধক

ঘ। জামাতে ইসলামি প্রসঙ্গ

সাক্ষাৎকারে জামাতে ইসলামি প্রসঙ্গ একাধিকবার এসেছে। এই আগেও দাবিকের এক সংখ্যায় জামাতে ইসলামি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। (২)

শুরুতে এক প্রশ্নে আবু ইব্রাহিমের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, তাগুত সরকারের দ্বারা কয়েকজন নেতার ফাঁসির পর জামাতে ইসলামি কিছু শিখে গণতন্ত্রের রাস্তা থেকে সরে আসবে কিনা। উত্তরে আবু ইব্রাহিম জামাতের তৃনমূল পর্যায়ের কিছু কর্মীর খেলাফতের সেনাদলে যোগ দিলেও নেতৃস্থানীয়রা ধ্বংস ও অপমানের পথে এখনো অটল আছে। তারা তাগুত হাসিনা সরকারের সাথে কে কতোটা কুফর করতে পারে তার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত আছে।

পরবর্তীতে অন্য আরেকটি প্রশ্নের উত্তরে আবু ইব্রাহিম জামাতে ইসলামির সাথে তাদের পার্থক্য পরিষ্কার করেছে। তার মতে, “বাংলাদেশ জামাতে ইসলামি নামক রাজনৈতিক দলটি দীর্ঘদিন ধরে বহু কুফরি ও শিরকি কাজ করে আসছে। এসব কাজের উদাহরণ দিতে গিয়ে কয়েকটি পয়েন্ট উল্লেখ করা হয়েছে,

প্রথমত, এরা গণতন্ত্র ধর্ম সমর্থন ও বাংলার মুসলিমদের এই পথে আসার জন্য বলে। এটা পরিষ্কার শিরক। গণতন্ত্র হলো একটা ধর্ম যেটা জনগণকে বিচার ক্ষমতা ও হারাম-হালাল নির্ধারণের ক্ষমতা দেয় যেটা একমাত্র আল্লাহর অধিকার।

দ্বিতীয়ত, এটি একটি জাতীয়তাবাদী সংগঠন যা জাতীয়তাবাদকে প্রচার করে। এটি জাহিলিয়াতের আহবান। যারা এই জাহিলিয়াতের কুফরি আহবান প্রচার করে মৃত্যুবরণ করবে নামাজ রোজা করা সত্ত্বেও তারা দোজখের আগুনে পোড়াদের দলভুক্ত।

তৃতীয়ত, ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে তারা কখনই আল্লাহর আইন চালু করেনি। আল্লাহর আইন ব্যতীত অন্য আইনের শাসকরা কাফির।

চতুর্থত, ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে তারা কখনই পূর্ব-পশ্চিমের কুফরদের সাথে আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন করতে চাওয়া বাংলার মুজাহিদের বিপক্ষে আঁতাত করতে এক মুহূর্তও দ্বিধা করেনি। এবং যারা মুজাহিদের বিপক্ষে কুফরদের পক্ষে দাঁড়াবে তারাই ইসলামের পতাকা থেকে সরে যাবে।

পঞ্চমত, কারা আনুষ্ঠানিকভাবে মুশরিক ইন্ডিয়ান প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন জানিয়েছে তার গণতান্ত্রিক বিজয়ের জন্য। এরা অভিনন্দণ জানিয়েছে গোউপাসক, পৌত্তলিক হিন্দুদের বিভিন্ন শিরকি অনুষ্ঠানে।

এই প্রতিষ্ঠানটি তাদের যাবতীয় কুফর এবং শিরকের কাজ করে ধোঁকার অজুহাতে।"

ঙ। অন্যান্য দল প্রসঙ্গ

বাংলাদেশে সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ কোনটা এ প্রসঙ্গে আবু ইব্রাহিম সালাফ ও আহলাস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের ধারনার অভাবের কথা বলেছে। এছাড়া পথভ্রষ্ট গ্রুপ এবং স্কলার যেমন জামাতে ইসলামি, জামাত-আত-তাবলীগ ইসলামের ভ্রান্ত ব্যাখ্যা প্রচার করছে। এমনকি আহলে হাদিস আন্দোলন বাংলাদেশে সুগারকোটেড ও তাগুত বান্ধবতাওহীদের প্রচার করে আসছে।

চ। ইন্ডিয়া ও হিন্দু প্রসঙ্গে

বাংলাদেশে ইন্ডিয়া ও হিন্দুদের ইসলাম ও খিলাফত প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা প্রসঙ্গে আবু ইব্রাহিম বলেছে, “বাংলাদেশের গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হিন্দুরা ইসলাম বিরোধী প্রোপাগান্ডা তৈরিতে খুব সক্রিয় ও তারা অবৈধ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক (fahishah) বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিচ্ছে। … এই নোংরা পৌত্তলিকদের সেকুলার হাসিনা সরকারের ডাই হার্ড পার্টি লয়ালিস্ট বলে বাংলাদেশে তাগুত বাহিনীর বহু উচ্চ পদস্থ করকর্তা এবং গোয়েন্দা পদ হিন্দুরা দখল করে আছে। উপরন্তু, বাংলার হিন্দুরা ১৯৭১এ তথাকথিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে ইন্ডিয়ান গোয়েন্দা সংস্থা র-এর সমর্থক। সুতরাং, আমরা বিশ্বাস করি, গণহারে হিন্দুদের লক্ষবস্তুতে পরিণত করে বিশ্বাসী এবং অবিশ্বাসীদের একটা বিচ্ছেদ রেখা স্পষ্ট না করলে বাংলাদেশে শরিয়া অর্জন হবে না।”

ছ।খোরাসান ও কাছাকাছি এলাকার সৈনিকদের সাথে সহযোগিতা প্রসঙ্গে

আবু ইব্রাহিমকে প্রশ্ন করা হয়েছিল তাদের খোরাসান ও অন্যান্য খিলাফতের অংশগুলোর সাথে সহযোগিতার সক্ষমতা আছে কিনা। উত্তরে বলা হয়েছে তারা খেলাফতের অন্য অংশগুলোর সাথে যোগাযোগ ও সহযোগিতা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।

সামরিক ক্ষেত্রে না হলেও মিডিয়া যে একত্রে কাজ করছে এটা বোঝা গেছে কয়েকমাস আগেই। বাংলাদেশের আইসিস এখন আইসিসের মূল মিডিয়া কন্টেনটের সোর্স ফাইল পায় এবং সেগুলোর ওপরে অনুবাদ করা টেক্সট প্রতিস্থাপন করে ছাড়া হচ্ছে অনেকদিন ধরেই।

উপরের বিষয়গুলো ছাড়াও সাক্ষাৎকারে বার্মার মুসলিম প্রসঙ্গ, বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কি করা উচিত ও সাধারণ জনগণকে খিলাফতের তলায় এসে জড়ো হবার আহবান জানান হয়েছে।

সূত্র


১। মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা: আরও দু’জন আটক

২। খিলাফতের আলোয় জিহাদের পুনরুজ্জীবনঃ দাবিক প্রবন্ধের সারসংক্ষেপ

৩। ছবিগুলোর সোর্স আইসিসের মিডিয়া কন্টেন্ট।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

এই ম্যাগাজিনগুলো ঠাণ্ডা মাথায় পড়াটা অসম্ভব। আগের দুই একটা সংখ্যাতে দেখেছি পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা শুধু ধ্বংস-রক্ত-আগুন-গলা কাটা মানুষ। আপনি রুদ্ধশ্বাস যন্ত্রণা নিয়ে পড়েছেন এবং লিখেছেন।
______________
সৌমিত্র পালিত

হাসিব এর ছবি

এগুলো পড়া নিরাপদ না এই বিষয়টা খেয়াল রাখবেন।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

নিরাপদ না কথাটা কি কে কোথা থেকে ডাউনলোড করছে সেটা ট্র্যাক করা হতে পারে, এই পয়েন্ট অব ভিউ থেকে বলছেন?

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

হাসিব এর ছবি

আমি ইউকের এক পিএইচডি গবেষকের কথা জানি যে দাবিক ডাউনলোডের কারণে শ্রীঘর ঘুরে এসেছে। এটা যারা ডাউনলোড করে তারা আমাদের মতো প্রোফাইলের হলে শ্রীঘর না হলেও নজরদারির মধ্যে পড়বো এটার ভালো সম্ভাবনা আছে।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ভয়ানক ব্যাপার তো! আগে ডাউনলোড করা হয়ে গেলে তো আর আন্ডাউনলোড করার উপায় নাই। ভবিষ্যতের জন্য সাবধান হইলাম।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি তো লোকজনকে এসব দেখাতাম। এই ম্যাগাজিনের শেষে নিশংস কিছু ছবি (নাকি বিজ্ঞাপন?) থাকে। কালো কাপড়ে ঢাকা আইএস এর লোকজন বিভিন্ন দেশের মানুষের গলার কাছে চাকু ধরে দাঁড়িয়ে আছে। ছবিতে টাকার অঙ্কটা দেয়া থাকে। নিরীহ এই লোকগুলোকে ওরা অপহরণ করেছে, মুক্তিপণের টাকা দিলে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে।
______________
সৌমিত্র পালিত

অতিথি লেখক এর ছবি

এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সামনে আমরা কি করে চোখ বুঁজে, বোবা হয়ে আছি ভাবতে অবাক লাগে।

সোহেল ইমাম

হাসিব এর ছবি

সরকারী ভাষ্যে এখনো দেশে আইসিসের অস্তিত্ব নাই খাইছে

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

কথা নয়, কাজ! হুমম... ইয়ে, মানে...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

হাসিব এর ছবি

ব্লগার শিকার শুরু হতে গেল বলে। ওয়েট অ্যান্ড সি!

সবজান্তা এর ছবি

২ এর শুরুতে নামটা ছিলো আবু জান্দাল। সেই প্যারার শেষাংশ থেকে শুরু করে বাকি লেখাতে নামটা দেখতে পাচ্ছি আবু জিন্দাল হিসাবে। কোনটা আসলে ঠিক? নাকি দুইটা দুইজন ভিন্ন মানুষ?

হাসিব এর ছবি

জান্দাল হবে নামটা। ববি জিন্দালের থেকে জিন্দাল শব্দটা মাথায় ঘুরছিল হয়তো। জান্দাল ভাইটির একটা ছবি জুড়ে দিলাম।

মৃষৎ এর ছবি

আনফর্চুনেট কইনসিডেন্স হয়ে দুটো খবর একত্রে পড়লাম আজ। মুক্তচিন্তার নামে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত বিকৃত রুচি: প্রধানমন্ত্রী

হাসিব এর ছবি

এগুলো যাদের সন্তুষ্ট করতে বলা তারা কখন আওয়ামী লীগরে ভোট দেয় নাই, দেবেও না। মাঝখান দিয়ে আওয়ামী লীগ নৈতিক লেজিটিমেসি হারায় এসব মেঠো বক্তৃতা দিয়ে।

মাসুদ সজীব এর ছবি

বর্তমান আওয়ামী লীগ খুব সম্ভব ভোটার কিংবা ভোট নিয়ে চিন্তিত নয়! বিনা ভোটে, বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় স্থানীয় প্রতিনিধি নির্বাচন করার সফলতা তাদের কে ভবিষ্যতে ভোট নিয়ে চিন্তিত ’না’ হওয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছে হয়তো। ভোট নিয়ে চিন্তিত নয় বলেই তারা তাদের নৈতিক অবস্থান থেকে সরে এসেছে। আওয়ামী লীগের এখন মূল ভাবনা কোন ভাবেই হেফাজতে ইসলামের মতো মৌলবাদী দল কে রাগান্বিত না করা, তাদের কে মাঠে নামতে না দেওয়া।

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

হাসিব এর ছবি

বর্তমান আওয়ামী লীগ খুব সম্ভব ভোটার কিংবা ভোট নিয়ে চিন্তিত নয়!

এখানেই আপনি ভুলটা করছেন। আওয়ামী লীগ ভোটের হিসাবটা কষেই পানি না ঘোলা করা উপদেশ দেয় ব্লগারদের। তারা হেফাজতের শক্তি সম্পর্কে ভালোই অবগত। তারা নাস্তিক পলিটিকাল ফোর্স হিসাবে নিজেদের পরিচিত করতে চায় না।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

এগুলো যাদের সন্তুষ্ট করতে বলা তারা কখন আওয়ামী লীগরে ভোট দেয় নাই, দেবেও না।

এবং

আওয়ামী লীগ ভোটের হিসাবটা কষেই পানি না ঘোলা করা উপদেশ দেয় ব্লগারদের।

এই ইনফানাইট লুপ চলতেই থাকে... মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

মাসুদ সজীব এর ছবি

আমার বর্তমান বাংলাদেশ তথা আওয়ামী লীগের রাজনীতি কে দেখার অভিজ্ঞতা ভিন্ন। আওয়ামিলীগ নাস্তিক পলিটিকাল ফোর্স হিসেবে নিজেদের পরিচিত করতে চায় না সত্যি। কারণ নাস্তিক হিসেবে পরিচিত হলেই কিংবা নাস্তিকদের পক্ষে দাঁড়ালেই হেফাজতে ইসলামের মতো দল রাজপথে নামবে। আওয়মী লীগ খুব ভালো করে জানে বিম্পি-জামাতের পক্ষে কোন আন্দোলন করে এই সরকার কে বেকায়দায় ফেলা সম্ভব না, বেকায়দায় ফেলতে পারে একমাত্র হেফাজতে ইসলাম। তাই হেফাজতে কে যত ঠান্ডা রাখা যায় ততই নিজেদের ক্ষমতা কে নিরিবিচ্ছিন্ন আর নিশ্চিন্ত করা যায়।

মুক্তমনা, সংস্কৃতিমনা মানুষেরা চিরকালি আওয়মী লীগের ভোট ছিলো, এমন কি হিন্দু ধর্মের মানুষেরা ও তাই। সেই মানুষদের পক্ষে না দাঁড়ানোর অর্থ হচ্ছে আওয়ামী লীগ এই ভোট কে আমলে নিচ্ছে না। অন্যদিকে হেফাজতের কর্মী সমর্থকদের যতই আরাম আয়েশে রাখা হোক তাদের ভোট যে আওয়ামী লীগ কোন দিন-ই পাবেনা সেটা দলের নীতি নীর্ধারক সহ শেখ হাসিনা খুব ভালো করেই জানেন। সেই জন্য বলেছি আওয়ামী লীগ ভোটের হিসেব করছে না, হিসেব করছে রাজনৈতিক মাঠ কিভাবে ঠান্ডা রাখা যায়।

মহাজোট সরকারের প্রথম টার্মে স্থানীয় নির্বাচনগুলো অনেকটাই সুষ্ঠ হয়েছে এবং সেখানে আওয়ামিলীগ বেশিভাগ নির্বাচনে হেরেছে। দ্বিতীয় টার্মে ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশে স্থানীয় নির্বাচনগুলো তে এখন কোথাও ভোট লাগছে না, ভোট ছাড়াই প্রতিনিধি নির্বাচন হচ্ছে। হেফাজত কে ঠান্ডা রেখে আগামী নির্বাচনও যদি এইভাবে করা যায় তাতে ভোটার নিয়ে ভাবার কি দরকার? বর্তমান আওয়ামী লীগের চিন্তা ভাবনা এবং কর্ম এমনটাই বলছে।

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

অতিথি লেখক এর ছবি

এসব পড়লে হতাশ লাগে, মাথা নষ্ট হয়ে যায় মন খারাপ

- বান্ধবী

নজমুল আলবাব এর ছবি

এই সংখ্যাতেই কথিত মুসলিম স্কলারদের কাতল করার ঘোষণা আসছে নাকি?

হাসিব এর ছবি

নাস্তিক কোতলের জন্য ছুরিতে শান দেবার কথাটা এবারে নতুন। আর ভিন্নমতি হুজুরদের কোতল তারা আগে থেকে করছে।

নজমুল আলবাব এর ছবি

তালিকা প্রকাশ করছে শুনলাম। সেখানে ইস্ট লন্ডনের তরুণ ছাগল আজমলের নামও আছে।

হাসিব এর ছবি

লিঙ্ক থাকলে দেন। আমি বিষয়টা অবগত না।

নজমুল আলবাব এর ছবি

লিংক দিতে পারছিনা। সরি। রেফারেন্স হিসাবে দাবিককের এপ্রিল সংখ্যার কথা বলা হয়েছে।

হাবিব এর ছবি

সিরিয়াতে এরা শিয়া সুন্নি ইস্সু কাজে লাগিয়েছিলো, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তারা শিয়া সম্প্রদায় এর জায়গায় হিন্দু শব্দটা বসিয়েছে.. একই ধরনের যুক্তি দেখিয়ে নিজেদের দলে লোক ভেড়াচ্ছে

ইয়েমেনের এক হুথী ছেলের কাছে তার দেশের করুন পরিণতির কথা শুনি, তার মতে ওয়াহাবিদের সাথে সৌদি বাদশার চুক্তি আছে যে চুক্তির বলে আল সৌদ রাজত্ব কায়েম করতে পেরেছিল. সে সময় মা খাদিজা (রা) সহ অনেকের মাজার ধংশ করেছিল.

সাফি এর ছবি

এর ভিত্তিতে সরকারের তো কোন আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেখলাম না। চোখে পড়লে পোস্ট আপ্ডেট করে দিয়েন। আইসিস বাংলাদেশে ধীরে ধীরে ভাল রকম ভাবেই সংগঠিত হচ্ছে দেখা যায়।

হাসিব এর ছবি

সরকারের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য কোনটা সেটা আসলে একটা প্রশ্ন। মোটাদাগে তারা এখনো আইসিস বাংলাদেশে নাই এই লাইন অফ আর্গুমেন্টে আছে। কেন আছে এইটা আমি বুঝতে অক্ষম।

ত্বোহা এর ছবি

মাত্র ৫৭ জন অফিসার। তাদের কয়জনের এই বয়সী (সম্ভবত ২০ থেকে ৩০) ছেলে ছিল, তার মধ্যে কয়জন গত এক-দেড় বছর ধরে দেশের বাইরে এবং বর্তমানে নিঁখোজ, এটা বের করতে সরকারের তো বটেই, যেকোন সাংবাদিকেরও দুই ঘন্টার বেশি লাগার কথা না। কিন্তু ঘটনাটা বেমালুম চেপে যাওয়া হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে তো আইএস এর অস্তিত্বই অস্বীকার করা হচ্ছে, সব মিডিয়াও যেভাবে এটা চেপে গিয়েছে, তাতে বুঝা যাচ্ছে সরকারের চাপেই তারা কোন ফলোআপ করছে না। কিন্তু কেন? সরকারের উদ্দেশ্যটা কী, সেটাই বুঝতে পারছি না।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনার প্রশ্নটা পরিষ্কার করেন।

আবু জান্দাল নামের এই জিহাদী গত পরশুদিন এই ঘটনা ঘটায় নাই, দেড়-দুই বচ্ছর আগেই ঘটাইছে। এবং এই ঘটনা তখন প্রায় সব মিডিয়াতেই (আসল নামে) আসছে, চেপে যাওয়া হয়নি।

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।