খিলাফতের আলোয় জিহাদের পুনরুজ্জীবনঃ দাবিক প্রবন্ধের সারসংক্ষেপ

হাসিব এর ছবি
লিখেছেন হাসিব (তারিখ: শুক্র, ২০/১১/২০১৫ - ৬:৫৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আইসিসের মুখপাত্র ম‍্যাগাজিন দাবিকের ১২তম সংখ‍্যায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি একটি প্রবন্ধ ছাপা হয়েছে। প্রবন্ধটির শিরোনাম The Revival of Jihad in Bengal: With the Spread of the Light of the Khilafah। লেখক আবু আব্দির রাহমান আল বাঙ্গালি। এই আর্টিকেলে আইসিস বাংলাদেশে ঘটা কিছু ঘটনার বিষয়ে তাদের দায়িত্ব পুনরায় স্বীকার করেছে। এই স্বীকারোক্তির মাধ‍্যমে সাইট ইনটেলিজেন্সের সরবরাহকৃত তথ‍্যগুলোর একটা ভেরিফায়েবল সোর্স পাওয়া গেল। বিডিনিউজ এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট ছেপেছে। ওখানে তারা শিরোনাম দিয়েছে, “ফের দায় স্বীকার ‘আইএস’র, বাংলায় ‘খিলাফতের’ খবর”। বাংলায় খিলাফত সম্পর্কে কিছু আইসিসের ম‍্যাগাজিনে বলা হয়নি। এ ধরণের তথ‍্য প্রমাদ দুর করতে এখানে দাবিকের আর্টিকেলটির একটা সারসংক্ষেপ দেয়া হলো।

১. প্রবন্ধটি শুরু হয়েছে বাংলাদেশে জিহাদের ইতিহাস বর্ণনা করে। ইতিহাস বলতে গিয়ে বলা হয়েছে আফগানিস্তানে কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে জিহাদ শেষ করে আশির দশকে বাংলাদেশি জিহাদিরা দেশে ফিরে যায়। দেশে জিহাদের পরিকল্পনা নিয়ে গেলেও তাদের সে পরিকল্পনা সফল হয়নি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে তাদের সুনির্দিষ্ট ধারণা না থাকায়। এদের ব‍্যর্থতার পরে শায়েখ আব্দুর রাহমানে জেএমবির মাধ‍্যমে সর্বপ্রথম মুজাহিদদের সংগঠিত করেন এবং এর মাধ‍্যমে বাংলার মুজাহিদরা এক নতুন আশার আলো দেখতে পান। মুরতাদ সরকার শায়েখ আব্দুর রাহমান এবং তাদের কিছু সঙ্গিসাথীকে শহীদ করার পর বাংলাদেশে জিহাদি তৎপরতায় কিছুটা ভাটা পড়ে। অবশিষ্টদের কেউ কেউ যারা দুনিয়াবি লোভে দলে ভিড়েছিল তারা দলত‍্যাগ করে। শুধুমাত্র কয়েকজন মুজাহিদ টিকে থাকে।

২. জেএমবির পতনের পেছনে তারা “বিগত সরকার, যেটা মূলতঃ মুরতাদ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল (বিএনপি) এবং জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ (যেটা কার্যত মুসলিম ব্রাদারহুডের ভারতীয় উপমহাদেশীয় সংস্করণ)”কে দায়ি করে। দাবিকের প্রবন্ধ অনুযায়ী, “সাম্প্রতিক সময়ে, বিএনপির জাতীয়তাবাদি মুরতাদেরা এবং জামাতে ইসলামীর সংসদীয় মুরতাদেরা মুজাহিদ স্কলারদের ফাঁসির “আইনি প্রক্রিয়ায়” অংশ নিয়েছে এবং উল্লাস প্রকাশ করেছে।” তাদের পরিণতি আরেক তাগুত আওয়ামী লীগের হাতে একই হয়েছে এই তথ‍্য দিয়ে ঘটনাটিকে তারা ইরাকে বিবদমান দুই পক্ষের সাথে তুলনা করেছে।

৩. লেখক [url=https://en.wikipedia.org/wiki/Al_Wala'_Wal_Bara]ওয়ালা ও বারা[/url] বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছে প্রবন্ধের শুরুতেই। এই ধারণাটির অর্থ হলো মুসলিম ভাইদের সাথে বন্ধুত্ব ও অমুসলিমদের প্রতি কোন বন্ধুত্ব বা প্রশংসা না করা। দাবিকের মতে এই ধারণার সবচাইতে নিন্মস্তর দেখা দেয় আরব বসন্তের মতো ২০১৩ সালে নাস্তিক ব্লগারদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময়। এই বিষয়ে আন্দোলনরত পক্ষগুলোকে জিহাদের দাবিদার উল্লেখ করে প্রবন্ধটিতে বলা হয়, “জিহাদের দাবিদার পক্ষগুলো তখন প্রকাশ‍্যে কবরপুজাতে লিপ্ত রাসুলের ভন্ড প্রেমিক, জামায়াতে ইসলামি যারা প্রকাশ‍্যে ধর্মীয় গণতন্ত্রের সমর্থক এবং দেওবন্দীরা যারা জামিয়াহর (jahmiyyah) ধারণার সাথে একমত পোষণ করে তাদের সবার সাথে জোট গঠনের আহবান জানায়। এই জোট গঠনের আহবান জানানো হয় একটা কমন এনিমি অর্থাৎ নাস্তিক ও বামপন্থীদেরকে মোকাবেলা করার জন‍্য যারা ইসলাম ও এর রসুলকে অভিশাপ দেয়। জিহাদের দাবিদাররা দাবি করে যে উম্মাহর মধ‍্যে সামান‍্য ইস‍্যুতে বিভেদ আনলে সেটা নাস্তিকদের সামনে দুর্বল ও বিভক্ত হিসেবে উপস্থাপন করবে।”

৪. প্রসঙ্গক্রমে জিহাদের দাবিদার (মূলতঃ এখানে কওমী মাদ্রাসা গ্রুপটিকে বলা হয়েছে মনে হয়েছে) গ্রুপটি সম্পর্কে বলেছে, “একইভাবে তারা দাবি করে মুজাহিদদের হানাফি মাজহাব অনুসারে নামাজ আদায় করা উচিৎ এমনকি সেটা মুতাওয়াতির সুন্নাহর বিপক্ষে গেলেও। তারা এটা জাস্টিফাই করে এই যুক্তিতে যে মুজাহিদদের মাজহাব নির্ধারিত হয় স্থানীয় রীতি অনুসারে। এটা এরকম যেন মুজাহিদদের মাজহাব সালাফ থেকে ভিন্ন।”

৫. অন‍্য ক্রীয়াশীল গ্রুপগুলোর কথা বলতে গিয়ে প্রবন্ধটিতে বলা হয়েছে তারা সবাই জনপ্রিয় জিহাদে অংশ নিতে চায়। তারা জনপ্রিয় হবে না এরকম কোন পদক্ষেপে যেতে চায় না। তাদের কাফির বলা হলে তারা পাল্টা খারিজি বলতে শুরু করে বিপক্ষদলকে। এই বিষয়টাকে প্রবন্ধটিতে ফিতনা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

৬. প্রবন্ধের দ্বিতীয় অংশে খিলাফাতের ঘোষণা সম্পর্কে বলা হয়েছে। শামদেশে ১৪৩৬ হিজরীর ১লা রমজানে এই খেলাফত ঘোষণা করা হয়। এই খিলাফাতের ঘোষণা পর বাংলার মুজাহিদদের আর কোন দলের পার্টিজান হবার দরকার নেই। অর্থাৎ জামায়েতুল মুজাহিদিন, আল কায়েদা অথবা অন‍্য কোন দলের বৈধতা ফুরিয়েছে। বাংলার মুজাহিদরা “মোল্লা ওমরকে প্রকৃত আমিরুল মুমিনিন মানে এরকম কোন দলের” (এখানে আল কায়েদার কথা বলা হয়েছে) কোন ওজর আপত্তি গ্রাহ‍্য করবে না। প্রবন্ধে বলা হয়েছে, “The mujāhidīn realized that the unity of the Ummah could only happen through a leader with true authority, not an unwise man in some unknown hiding place releasing outdated video messages with pledges of allegiance to a dead man and scolding others for not doing the same!”। এই বক্তব‍্যের মাধ‍্যমে তারা আল কায়েদার সাথে তাদের সুস্পষ্ট দুরত্ব বুঝিয়ে দিয়েছে।

৭. প্রবন্ধের তৃতীয় অংশে খেলাফতের আলোয় জিহাদের পুনরুজ্জীবন সম্পর্কে বলা হয়েছে। এই পুনরুজ্জীবন বর্ণনা করতে লেখক তাদের দ্বারা ঘটিত কিছু ঘটনার কথা উল্লেখ করেছে।

তারা,

□ সিজার তাভেল্লার হত‍্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছে

□ রংপুরে জাপানি নাগরিক হত‍্যার কথা স্বীকার করেছে
□ আশুরায় “শিরকী মিছিলের ওপর” “string of bombs” এর বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এতে ১০০র বেশি মুরতাদ নিহত ও আহত হয়েছে।[/li]
□পুলিশ চেকপয়েন্টে হামলার কথা স্বীকার করেছে।

৮. তারা প্রবন্ধে আইসিসের মুখপাত্র শায়েখ আবু মোহাম্মদ আল আদনানীএর একটি বক্তব‍্য কোট করেছে। বক্তব‍্যে পৃথিবীর যেকোন স্থানে বসবাসরত মুজাহিদদের আহবান জানানো হয়েছে

You must strike the soldiers, patrons, and troops of the tawāghīt. Strike their police, security, and intelligence members, as well as their treacherous agents.

৯. বাংলাদেশের মুজাহিদদের কর্মতৎপরতা সম্পর্কে বলা হয়েছে মুজাহিদরা একজন নেতা নির্বাচন করে সংগঠিত হয়েছে।

Thus, the soldiers of the Khilāfah in Bengal pledged their allegiance to the Khalīfah Ibrāhīm (hafidhahullāh), united their ranks, nominated a regional leader, gathered behind him, dissolved their former factions, performed the necessary military preparations, and hastened to answer the order from the Islamic State leadership, by targeting the crusaders and their allies wherever they may be found.

১০. মুজাহিদদের এইসব তৎপরতা চলাকালে বর্তমান “সেকুলার মুরতাদ আওয়ামী লীগ সরকার” অন‍্য দুই মুরতাদ দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামির ওপর দোষ চাপাতে চাইছে। তারা মুরতাদ সরকারের দেশে কোন আইসিস নেই দাবি এবং “top is-coordinator” গ্রেফতারের খবরে উষ্মা প্রকাশ করেছে।

প্রবন্ধটি শেষ হয়েছে আইসিস টিকে থাকবে এই ঘোষণা এবং বাংলাদেশ ও বার্মার মুসলিমদের কল‍্যানে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা দিয়ে।

এই প্রবন্ধটি নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রবন্ধটিতে বাংলাদেশে তাদের রাজনৈতিক স্থান পরিস্কার করেছে। কোন দলকে তারা কীভাবে দেখে এবং কেন তাদের সেভাবে দেখে এটা পরিস্কার হয়েছে এই প্রবন্ধটির মাধ‍্যমে। এর সাথে মাজহাব প্রসঙ্গে তাদের ধর্মীয় অবস্থানও জানান দিয়েছে আইসিস। সাইট ইনটেলিজেন্সের তথ‍্য সম্পর্কে যে সন্দেহ এবং অস্বীকার সেটা পরিস্কার করতেও এটা সাহায‍্য করবে। প্রসঙ্গত উপরের পয়েন্টগুলো আমি নিজ থেকে কোন বক্তব‍্য যোগ করিনি। যা লেখা হয়েছে সবকিছুই প্রবন্ধটিতে বলা হয়েছে। লেখায় ব‍্যবহৃত ছবিগুলোও ক‍্যাপশনসহ দাবিক ম‍্যাগাজিন থেকে নেয়া।


মন্তব্য

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

এটা কি সম্পূর্ণ প্রবন্ধের অনুবাদ? ব্লগার হত্যার দায় স্বীকার করেনি এই প্রবন্ধে?

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

হাসিব এর ছবি

ব্লগার হত‍্যার পেছনে আনসারুল্লাহর (আল কায়েদা) ন‍্যুনতম দুইটা টিম/সেল/গ্রুপ কাজ করে। আইসিস এখনো পর্যন্ত ব্লগার খুন করেনি।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

হ্যাঁ, আমার পয়েন্ট সেটাই ছিল। এটা ভিন্ন গ্রুপের কাজ।

বাংলাদেশে এখন সম্ভবত বিভিন্ন ধরণের গ্রুপ (জঙ্গিদের বিভিন্ন গ্রুপ, জামাত-শিবির) বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে কিন্তু তাদের মোটামুটি সবার লক্ষ্য একই ধরণের। এই ধরণের ঘটনাগুলোর সাথে সম্ভবত পলিটিক্যাল প্রতিপক্ষও যোগ হয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সবার মধ্যে অফিসিয়াল ঐক্য না থাকলেও মোটামুটি এই গোষ্ঠীগুলোর সবার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এখন একই ধরণের। আমার মনে হয় এই জায়গাটা অনেক সময় বিশ্লেষণের জায়গায় বাদ চলে যায়। সব আলোচনায় মূলত সমালোচনার একটি টার্গেট ঠিক করে সেই দিকে সব কিছুকে চালান করে দেয়া হয়। কিন্তু সবচেয়ে ভয়ংকর দিক সম্ভবত এটাই যে, বাংলাদেশে এখন বিভিন্ন ধরণের গোষ্ঠী অনেকটা একই ধরণের প্যাটার্নে একই উদ্দেশ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তাই তারা নিজেরা নিজেরা শত্রুভাবাপন্ন যদি হয়েও থাকে তাদের লক্ষ্য একই ধরণের হওয়ায় সবার কাজ আসলে সবাইকে কোনো না কোনোভাবে সাহায্য করছে।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

হাসিব এর ছবি

শাহবাগ পরবর্তী সময়ে ৫টা গ্রুপের কথা ভাবা যেতে পারে।

  • আল কায়েদা (আনসারুল্লাহ সেল/গ্রুপ ১)
  • আল কায়েদা (আনসারুল্লাহ সেল/গ্রুপ ২)
  • হেফাজত
  • জামাত শিবির
  • আইসিস (জেএমবি)

সবার আল্টিমেট লক্ষ‍্য এক ধরণের হলেও কর্মপদ্ধতি নিয়ে মতপার্থক‍্য আছে। দেশে হুজুরদের গ্রুপে দেখবেন অনেক শাখাপ্রশাখা রয়েছে। এই শাখাপ্রশাখাগুলো আমল ও মাজহাবভিত্তিক। উপরের সারসংক্ষেপে দেখবেন এর মধ‍্যে হেফাজত (কওমী), শিবির (মূলতঃ আলিয়া) এরা একত্রে কাজ করার ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। এরা কয়েক বছর আগেও একত্রে বসতো না। আবার আইসিস সরাসরি এইসব ঐক‍্যের ডাক নাকচ করে তাদের মুরতাদ বলছে। ঐক‍্য হয়তো হতে পারে। তবে সেটা সবার মধ‍্যে হবে না এটা ধরা যায়। দ্বিতীয়ত, কর্মী লেভেলে কিছু এ‍্যাক্রস দ‍্য গ্রুপ মুভমেন্ট হতে পারে। জেএমবি, এবিটির কিছু কর্মীয় শিবির ব‍্যাকগ্রাউন্ড আছে। এটা হতে পারে তারা হতাশ দলত‍্যাগি গ্রুপ যারা চরমপন্থাকে রাজনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে বেছে নিচ্ছে। পরিস্থিতিটা আসলেই একটু জটিল। এক দুই বাক‍্যে সবগুলো গ্রুপকে এক সুতোয়া গাথা যাবে না।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আমি এক সুতোয় গাঁথতে চাচ্ছি না। আমি যেটা বলতে চাচ্ছি সেটা হলো সবগুলো গ্রুপই সম্ভবত একই জায়গায় আঘাত হানতে চায়। তাদের কর্মপদ্ধতি বা মতামতের পার্থক্য থাকা স্বত্ত্বেও 'বর্তমানে' তাদের কমন শত্রু সম্ভবত রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ। তাই আল-কায়েদা গ্রুপ যখন ব্লগার মারে তখন সেটার সাথে হেফাজত সরাসরি জড়িত না থাকলেও তারা খুশি হয়। হেফাজত যখন সমাবেশ করে ১৩ দফা দাবী পেশ করে তখন সেই সমাবেশ পন্থার সাথে আইসিসের কর্মপন্থা না মিললেও সম্ভবত একই ধরণের উদ্দেশ্য সাধিত হচ্ছে দেখে তাদেরকে শত্রু জ্ঞান করে না।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

হাসিব এর ছবি

সবার কমন শত্রু বাংলাদেশ না। আইসিস বাংলাদেশ নিয়ে মাথা ঘামায় বলে মনে হয়নি। তারা তাদের খেলাফত নিয়ে খুশি। সেই খেলাফত রাষ্ট্রের পক্ষ বিপক্ষ নিয়ে তারা ব‍্যস্ত।
আর "জনপ্রিয় জিহাদ" বিষয়ে আইসিস অনেক কথা বলেছে। উপরে পোস্টটাতে পাবেন কিছু। অবস্থাদৃষ্টে যেহেতু আল্লাহ রাস্তায় কাজকাম হচ্ছে সেহেতু সেইটা ঠিক আছে এরকমটা মনে করে না তারা। এইটা জামাত মনে করে এটা আমরা গো আযমের কাছ থেকে জানি। বটমলাইন, প্রতিটা দল আলাদা আলাদা বিশ্লেষণের দাবি রাখে।

সত্যপীর এর ছবি

আল কায়েদা (আনসারুল্লাহ সেল/গ্রুপ ১)
আল কায়েদা (আনসারুল্লাহ সেল/গ্রুপ ২)
হেফাজত
জামাত শিবির
আইসিস (জেএমবি)

এইখানে হিজবুত তাহরির কোন স্কুল অফ থট?

..................................................................
#Banshibir.

হাসিব এর ছবি

হিজবুত ঠিক কোথায় ফিট করে শাহবাগ পরবর্তী সিনে সেটা পরিস্কার না আমার কাছে। তারা ইদানিং নাকি ভায়োলেন্স লাইক্করেনা।

সত্যপীর এর ছবি

এইরকম একটা ইনফোগ্রাফিক দিয়া বিষয়টা আরেকটু খোলাসা করবেন নাকি?

..................................................................
#Banshibir.

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

আপনের ছবিতে সৌদি বেরাদারের নাম নাই, পারসিয়াল্টি করে বাদ দিয়েছেন নাকি? ফ্রান্স আর ব্রিটেনই বা গেল কুতায়?

সত্যপীর এর ছবি

বুল বুজবেন্না। পুরাটা দেকুনঃ https://youtu.be/NKb9GVU8bHE

..................................................................
#Banshibir.

তানিম এহসান এর ছবি

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

ভায়োলেন্সে নেই বলেই যে মাথা থেকে তাড়িয়ে দিতে হবে তা মনে করছেন কেন? আমি চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় তাদের পোস্টার দেখেছি। একটা জায়গার কথা বলি, বহাদ্দারহাট ফ্লাইওভারের পিলারে; এখনও আছে কিনা জানিনা। তো এসব পোস্টারে কিন্তু খেলাফতের কথা বলা আছে। হু নৌজ, তারা যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সক্রিয় না?

হাসিব এর ছবি

দয়া করে আমার মুখে কথা গুজে দেবার চেষ্টা করবেন না। আমি তাদের মাথা থেকে তাড়িয়ে দিতে হবে এরকম কথা বলিনি।

সবজান্তা এর ছবি

মাঝে একটা কনফিউশন লক্ষ্য করছিলাম- আনসারুল্লাহ আর আনসার-আল-ইসলাম নিয়ে। গ্রুপ ১, গ্রুপ ২ কি সেইটাই বুঝাইছেন? সেইটা না হয়ে থাকলে আনসার আল ইসলাম সংক্রান্ত ঘটনার মীমাংসা কী হইলো জানেন নাকি?

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি যতদূর শুনেছি, আনসারুল্লাহ্ বাংলা টীম এ বছরেরই মাঝামাঝি সময়ে তাদের নিজস্ব ওয়েবসইটে ঘোষণা দিয়ে আইসিস এর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছে। এবং খবরটি মিডিয়াতেও এসছিল।

হাসিব এর ছবি

না, এটা তারা করেনি। মিডিয়া এটা বলে থাকলে তারা ভুল বলেছে সেটা।

পাঠক এর ছবি

আমার তো এত সুলিখিত প্রবন্ধ পড়ে খালি কাগুর কথা মনে পড়তেছে। কাগু বোধহয় তার পলিটিক্যাল ঘেঁটুগুলারে বাঁচানোর তালে আছে।

হাসিব এর ছবি

ইউএস অক্ষরদুটো দিয়ে ইউনাইটেড স্টেটস বোঝায় আবার ইউযুয়াল সাসপেক্টও বোঝায়।

সৌরভ কবীর এর ছবি

বাংলাদেশের লোকজন মাঝখানে ব্যস্ত হয়ে উঠছিলো সাইটের কে ইহুদী ছিলো, কয়বার বিয়ে হয়েছিলো এসব নিয়ে। মনে হচ্ছে, হামলাটামলা করে ক্রেডিট না পাইলে আইএস এর লস হয়ে যায়। সামনে সরকার অন্যদের উপর দায় চাপানোটারে অর্জন হিসেবে দেখাতে পারে।

__________________
জানি নিসর্গ এক নিপুণ জেলে
কখনো গোধূলির হাওয়া, নিস্তরঙ্গ জ্যোৎস্নার ফাঁদ পেতে রাখে

হাসিব এর ছবি

আইসিস ক্রেডিট না পেলে তাদের মূল লক্ষ‍্য যেটা সেটাই ধরাছোয়ার বাইরে থাকে। এই কারণে তাদের জানাতেই হয় তারাই এসবের পেছনে দায়ি।

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

ব্যবহৃত ছবিগুলো কি তাদের নিজস্ব সোর্স থেকে প্রাপ্ত? তারা এ দেশকে বেঙ্গল বলছে কেন?

হাসিব এর ছবি

ছবির সোর্স উল্লেখ করা নেই। প্রথম পাতার ফুটনোটে এরকমটা লেখা আছে -

Editor’s Note: Bengal is what the region was referred to before the foun- ding of “Bangladesh” by nationalists in “1971.”

রানা এর ছবি

আওয়ামী লীগ, বিএনপি , জামাত সবাই মুরতাদ ?
সিজার তাভেলাকে ক্রুসেডার বলা হলো কেন , তার কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছে ?

হাসিব এর ছবি

আওয়ামী লীগ, বিএনপি , জামাত সবাই মুরতাদ ?

সেরকমটাই মত তাদের। সারসংক্ষেপে তাদের জন‍্য বরাদ্দ সবগুলো বিশেষণই ব‍্যবহৃত হয়েছে।

সিজার তাভেলাকে ক্রুসেডার বলা হলো কেন , তার কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছে ?

ব‍্যাখ‍্যা নেই। তবে তারা নিজেদের প্রকৃত ইসলাম মনে করে এবং তাদের খিলাফতের ওপর আঘাতকারি ক্রিশ্চিয়ানরা ক্রুসেডার এরকম একটা সরল ব‍্যাখ‍্যা হয়তো তারা করে।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

বেশ ইন্টারেস্টিং আর্টিক্যাল। গতকালই আমি প্রথম দাবিকের সন্ধান পেলাম। জঙ্গীদের বার্মা ফ্রন্টের কথাটা সরকারের মাথায় থাকলেই হলো। ভবিষ্যতে কি হয় বলা যায় না। বাংলাদেশ বার্মা সীমান্তটা এ ধরনের জঙ্গী হামলার জন্য নিরাপদ। যেদিকে ভারত আছে সেদিকে জঙ্গীরা সুবিধা করতে পারবে না।

দাবিকের প্রথম সংখ্যায় একটা আহবান আছে। হিজরতের আহবান। সকল মুসলমান যেন সিরিয়াতে হিজরত করে এবং সেখান থেকে সারা দুনিয়াতে খেলাফত রপ্তানীর জন্য সংগ্রাম শুরু করে। সারা দুনিয়ার অবুঝ মানুষকে খতনা করিয়ে মুসলমান বানাতে অনেক ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার উকিল মোক্তারও লাগবে। তাই তাদের সবাইকে লাইনে এসে ভেড়ার পালের মতো দলে দলে হাজিরা দেবার জন্য খলিফা বকরের পক্ষ থেকে আহবান জানানো হইছে। ছবিসহ বুঝানো হইছে কেমনে জমায়েত হতে হবে। সাথে আহবানও পেস্ট করে দিলাম।
দাবিক ১ম সংখ্যা থেকে

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

হাসিব এর ছবি

এটা পড়েছি আগেই। আইসিস বিষয়ে এই কারণে আমার কিছু খটকাও ছিল। যেমন প্রথম দিকে আইসিস নিজেদের খিলাফতের মধ‍্যে অপারেট করতো। লোকজন তাদের ওখানে হিজরত করে গলা কাটাকাটি করতো। অপরদিকে আল কায়েদার খিলাফত ছিল না। তারা একজন আমিরুল মুমিনিনের নেতৃত্বে বিশ্বব‍্যাপি চোরাগোপ্তা অপারেশন চালাতো। অবস্থাদৃষ্টে বোঝা যাচ্ছে আইসিস তাদের এই লোকাল অবস্থান থেকে সরে এসে বিশ্বব‍্যাপি অপারেশন চালাতে শুরু করেছে। তারা এক্ষেত্রে আক্রমনের লক্ষ‍্যবস্তু হিসেবে তাদের লোকাল শত্রু শিয়া ও তাদের আদি শত্রু পশ্চিমা দেশগুলো এবং তাদের মিত্রদের বিষয়বস্তুগুলোতে আঘাত করছে।

নজমুল আলবাব এর ছবি

"সাইট ইনটেলিজেন্স" ইয়াহুদি-নাসারাদের ষড়যন্ত্র না তাইলে। অবশ্য আইএস পকিত ইসলাম নয় ইয়াহুদি-নাসারাদের তৈরি এই সমিকরণ মানলে আগের অবস্থানেই বসে থাকা যাবে।

আমাদের দেশের জঙ্গিবাদ শুধুমাত্র পাকিস্তানি রোট ধরে আসছে এটা ঠিক না। দেওবন্দ এবং মায়ানমারের রোটটাকেও গুরুত্ব দেওয়া দরকার। সীমানার হিসাবে মায়ানমার গুরুত্বপূর্ণ।

দেশে আইএস নাই এই শীতনিদ্রা এখন ভাঙ্গা দরকার।

হাসিব এর ছবি

সরকার আইসিস নাই নাই বলতেছে কেন বুঝতেছি না। তারা আনসারুল্লাহর অস্তিত্ব স্বীকার করে। আনসারুল্লাহর সাথে আল কায়েদার কানেকশনের কথাও পুলিশের মুখ দিয়েই বের হয়েছে। জেএমবির সাথে আইসিসের কানেকশনের কথাও তারা মিডিয়াতে বলেছে। তবুও সরকার সাম্প্রতিক সময়ে সব কিছু ডিনাই করছে। আপনি জেএমবি সার্চ করে দেখেন গুগলে। এটা আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। তাদের নেতাকর্মীরা গ্রেফতার হচ্ছে এবং তাদের সাথে আইসিসের কানেকশনের নিউজ পাবেন। এই কানেকশনের কথা সাংবাদিকেরা উদ্ভাবন করে নাই। এটা পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে বলে ধারণা করা যায়।

নজমুল আলবাব এর ছবি

জেএমবি কখনই নিশ্চিহ্ন হয়নাই। তাদের মাথাগুলো ধরা পড়া বা মরে যাওয়া মানেই সব শেষ, এই ভাবনাটাই ভুল। শায়খ রহমান ধরা পড়ার পরই সাইদুর রহমান নেতৃত্বে আসে। তারা সবসময়ই কাজ করছে। কৌশলগত কারণে কখনো প্রকাশ্যে আসছে, কখনো আত্মগোপনে, এই যা।

Sambuca এর ছবি

সরকার সম্ভবতঃ বেকায়দা অবস্থায় আছে।
আইসিস আছে স্বীকার করে নিলে- আইসিস দমনে দৃশ্যতঃ সক্রিয় ( দৃশ্যত বলছি) শক্তিকে স্পেস দিতে হবে। আভ্যন্তরিন বিষয় বলে তখন আটকানো যাবেনা।
একেবারে অপ্রাসংগিক হবেনা আরেকটা উদাহরন- আদিবাসীদের প্রতি তুলনামুলক ভাবে নমনীয় আওয়ামী লীগ সরকার হঠাৎ করে 'আদিবাসী' শব্দটাই নাই করে দিলো কেনো? জাতিসংঘ ঘোষনা মতে 'আদিবাসী' মেনে নিলে তাদের জন্য এমন কিছু ছেড়ে দিতে হবেনা যার জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত না।

তানভীর আকন্দ এর ছবি

লেখাটার কোনও জায়গায় মূল প্রবন্ধের লিংক দেখতে পাচ্ছি না...

হাসিব এর ছবি

মূল প্রবন্ধের লিংক ইচ্ছে করেই দেয়া হয়নি। সচলায়তন আইসিসের প্রচারণার ভেহিকল হতে রাজি না মনে করি। রিপোর্টিং স্টাইলে শুধু প্রাসঙ্গিক পয়েন্টগুলো উপরে সংক্ষেপে দেয়া হয়েছে।

স্যাম এর ছবি

চলুক

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

গুগল করলেই খুঁজে পাবেন।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অতিথি লেখক এর ছবি

বাংলাদেশে আইএস আতঙ্ক উড়িয়ে দেয়ার মতো কোন বিষয় নয়। এখন সতর্ক না হলে পরে পস্তাতে হবে

(ম্যারি)

অতিথি লেখক এর ছবি

কি থেকে যে কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছি না। তবে এতটুকু বুঝতে পারছি, সামনে অনেক খারাপ দিন আসছে।

ফাহমিদুল হান্নান রূপক

অতিথি লেখক এর ছবি

দাবিকের নিবন্ধটি পড়লাম। আমার কাছে লেখাটি সব ঝোল নিজের পাতে টেনে বাহাদুর সাজার চেষ্টা বলে মনে হয়েছে। এর উদ্দেশ্য দেশে বিদ্যমান নানা ফ্যাকশন ও আগ্রহীদের মধ্যে আইএস-এর গ্রহনযোগ্যতা বাড়ানো ও তার মাতব্বরী প্রতিষ্ঠা করা। বাংলাদেশ থেকে রিক্রুটমেন্ট বাড়ানো, বাংলাদেশে আশ্রয়স্থল তৈরি করা, বাংলাদেশ থেকে ফান্ড তোলা – এমন অনেক কিছু আইএসের ভাবনায় থাকার কথা।

এই দেশে জামায়াত যত দিন ধরে আছে, ইসলামী জঙ্গীবাদও ততদিন ধরে আছে। জঙ্গীরা সবাই এক দল নয়, তাদের মতপার্থক্য আছে, কিন্তু তারা পরস্পরের সহযোগী ও সহমর্মী। এই নিবন্ধে জামায়াতকে গালাগালি করা বা মুরতাদ বলাটা আইওয়াশ বলে মনে হয়েছে। কারণ, বাংলাদেশে জামায়াত এখন সাংগঠনিকভাবে বেকায়দায় আছে প্লাস তার গ্রহনযোগ্যতাও তলানীতে থেকেছে। জামায়াত এখন আর জঙ্গীদের জন্য আশ্রয়স্থল নয়, বরং লায়াবিলিটি। সুতরাং অচিরেই নিষিদ্ধ হতে যাওয়া জামায়াতকে এমন হম্বিতম্বি দিয়ে গালি দিলে (মানে ডিজঔন করলে) জামায়াতের সাথে তাদের নাড়ির সম্পর্ক মুছে ফেলে নিজেদেরকে ক্লিন জিহাদী হিসেবে পটেনশিয়াল জিহাদী বা জিহাদের সিমপ্যাথাইজারদের কাছে গ্রহনযোগ্য করে তুলতে পারবে।

বাংলাদেশে আইএস বেকায়দায় আছে। এটা শুধু সরকারের শৃঙ্খলাজনিত তৎপরতার জন্য না। দেশে বিদ্যমান জিহাদের স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে খলিফা ইব্রাহিমের নেতৃত্বকে না মানার দলই ভারি। হেফাজতিরা সংঘবদ্ধ, শক্তিশালী ও ধনী। তারা তাদের ক্ষমতার ভাগ বহিরাগতদের দেবে না। একই কথা প্রযোজ্য নানা পীরভিত্তিক দেওবন্দীদের নানা গ্রুপের ক্ষেত্রে। আলীয়াভিত্তিক গ্রুপগুলো জামায়াত বা অনুরূপ রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংশ্লিষ্ট। তারা হালুয়া-রুটির ভাগাভাগির ক্ষেত্রে আগ্রহী, অযথা র্যাতব-পুলিশের দৌড়ের উপর থাকতে আগ্রহী না। তাদের জঙ্গী তৎপরতা স্থানীয় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নির্ভর। লোন ঈগল/উলফ ধরনের টিম আছে, এদের ক্রেডিট আইএস নিতে পারে না।

নিবন্ধটির উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে ব্লগার হত্যার ক্রেডিট নিজের পাতে না টানা। এটার পেছনে নিশ্চয়ই কোন বিশেষ কারণ আছে যা এই মুহূর্তে ধরতে পারছি না।

দাবিকের ‘বেঙ্গল’ বলার ধরন দেখে মনে হচ্ছে ভবিষ্যতে আরাকান অথবা পশ্চিমবঙ্গসহ বাংলাদেশে খিলাফাহ্‌ চালু করার খায়েশ এদের আছে। একটা দেশে গ্যাঞ্জাম না লাগিয়ে পাশাপাশি দেই দেশের কমন বর্ডারের এপার-ওপার মিলিয়ে গ্যাঞ্জাম লাগাতে পারলে কিছু বাড়তি সুবিধা আছে। তবে ভারতের কোন স্টেটকে জড়িয়ে এমন কিছু করার সাহস এদের হবে না। এরচেয়ে বার্মার সাথে গ্যাঞ্জাম লাগানোতে সুবিধা অনেক।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হুমম

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রবন্ধটি শেষ হয়েছে আইসিস টিকে থাকবে এই ঘোষণা এবং বাংলাদেশ ও বার্মার মুসলিমদের কল‍্যানে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা দিয়ে।

তাও বুঝতাম যদি সকলের কল্যান কল্যানের জন্য আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করত, তারা প্রার্থনা করেছে শুধুমাত্র দুই দেশের মুসলিমদের জন্য। অর্থাৎ বাকীদের কল্যান তারা চায় না, চায় ধ্বংস। তাদের মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট সকলের কল্যান কামনা করার মত সাধারণ সৌজন্যবোধটুকু যাদের মধ্যে নেই তারা আবার প্রতিষ্ঠা করবে বিশ্বশান্তি। আমার ত মনে হয় আল্লাহর উপর তদের যতটুকু ভরষা তার চেয়ে বেশি নিজেদের অস্ত্রের উপরে।

তবে ঝড় আসের কিছু পূর্বে পরিবেশ শান্ত গম্ভীর হয়ে থাকে কিছুক্ষণ, কেন জানি মনে হচ্ছে আমাদের এই সোনার বাংলায় একটা ঝড়ের পূর্বাভাস দেখা যাচ্ছে, সময়ই জানে কেমন হবে সেই ঝড় ! ! !

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।