আসুন সব কিছু মাদ্রাসার মাপে বানাই

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: মঙ্গল, ২১/১০/২০০৮ - ৫:০০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি বিভাগে ভর্তির পূর্বশর্ত হচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে মোট আটশো নম্বরের পরীক্ষায় নির্দিষ্ট একটি সীমার ওপরে নম্বর (এখন গ্রেড) পেতে হবে। মাদ্রাসা ছাত্ররা এর প্রতিবাদে উপাচার্যের কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুর করেছে।

মাদ্রাসা ছাত্রদের নিয়ে কুম্ভীরাশ্রুবর্ষণও শুরু হয়েছে আবার। তাঁদের দুর্দশা ও পুঞ্জীভূত ক্ষোভ প্রশমনের জন্যে অনেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছেন নিয়মটি শিথিল করে মাদ্রাসার ছাত্রদের ভর্তি পরীক্ষার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়ার জন্যে।

এই আপাত নিরীহ ও মহান আহ্বানের পেছনের স্বতসিদ্ধটি কূট। এতে মনে হতে পারে, কেবল মাদ্রাসা ছাত্রদের ঠেকিয়ে রাখতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলি ঐ কুকর্ম করেছে। মাদ্রাসা ছাত্রদের জীবনের দুর্দশা এবং তাঁদের মননে বিরাজমান ক্ষোভের জন্যে আসলে দায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলিই। তাদের পেজোমির জন্যেই মাদ্রাসার ছাত্ররা মূলধারার শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে তাঁদের জীবন গড়তে পারছেন না।

অথচ তাঁরা যা পড়ছেন মাদ্রাসায়, তার আধুনিকীকরণ নিয়ে কোন সাড়াশব্দ নেই কারো মুখে। বিভাগগুলি চাইছে বাংলা ও ইংরেজি, পাঠকার্যক্রম চালানোর জন্যে এই দুই ভাষায় ন্যূনতম ব্যুৎপত্তি। সেই শর্তটি যাঁরা পূরণ করতে পারছেন না, তাঁরা কিন্তু নিজেদের শিক্ষাকাঠামোকে প্রশ্ন করছেন না, বলছেন না তাঁদের শিক্ষাকার্যক্রমে বাংলা ও ইংরেজির অংশ বাড়ানোর কথা। মই বেয়ে তাঁরা ওপরে উঠবেন না, ফলসহ গাছের ডাল নুইয়ে তাঁদের নাগালের ভেতরে এনে দিতে হবে।

এখন দেখা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলি তাদের পাঠকার্যক্রম চালিয়ে নেয়ার জন্যে ছাত্রের ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণের অধিকার হারিয়ে ফেলার পর্যায়ে আছে। কওমী মাদ্রাসার মোদাররেসরা তা ঠিক করে দেবেন। দুইদিন পর হয়তো তাঁরা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ঢুকেও ভাংচুর করবেন, অসহায় প্রধান উপদেষ্টার ফোনকল পেয়ে তেজগাঁ থানার ওসি হাই তুলতে তুলতে আসবেন, যেভাবে শাহবাগ থানার ওসি আক্রান্ত উপাচার্যকে উদ্ধার করতে এসেছেন হেলেদুলে।

কুম্ভীরাশ্রুবর্ষকদের উদ্দেশ্যে তাই আহ্বান, আসুন সবকিছু মাদ্রাসার মাপে বানাই। মাদ্রাসা ছাত্রদের অনুমোদন না নিয়ে বাংলাদেশে যেন ভবিষ্যতে আর কোন কিছু করা না হয়। মাদ্রাসার আধুনিকীকরণ প্রয়োজন নেই, আসুন আধুনিকতার মাদ্রাসীকরণ করি।


মন্তব্য

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

স্বাক্ষর দিয়ে গেলাম ।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পালটে কী রাখা যায়? চিন্তিত

ঢাকা বিশ্বমাদ্রাসালয় হলে কেমন হয়?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

হিমু এর ছবি

মাদ্রাসায়ে কবীরাতুল ঢাকা।


হাঁটুপানির জলদস্যু

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ইহাই হইবে প্রাচ্যের আল-আজহার ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

জিজ্ঞাসু এর ছবি

নাম ও ঠিক করে ফেলেছেন!!
আফসোস্। দেশ এমন উল্টোপথে হাঁটতে শুরু করেছে কেন যে। সবার মাথা ঠিক আছে তো। প্রথমে তো মনে করেছিলাম "এই সরকার সব কিছু ঠিক কইরা ফালাইব"। এখন দেখি সবকিছুকে উল্টোপথে নিতে শুরু করেছে। এতদিন জামিন দেয় না এখন জামিনের ঢল। মাদ্রাসায়ে আলীয়া বলেন আর মাদ্রাসায়ে কওমীয়া বলেন কারো শিক্ষার গুণগত মান ঠিক নাই। তারা ওদিকে মনোযোগ না দিয়ে যে অন্যায্য দাবি করে চলেছে তাতে শেষ পর্যন্ত তাদেরকে দেশ চালাতে দিতে হবে। যেমন কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের প্রধান বা মেম্বার হিসেবে কাজ করতেন এখন এগুলো মাদ্রাসার শিক্ষকদের মাঝে ভাগ বাটোয়ারা করে দিতে হবে।

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

হিমু এর ছবি

জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয় একটি পাপের আখড়া। ওখানে কেবলই বেদাত, বাতিল আর তাগুতের চর্চা হয়। ওর নাম পাল্টে ফেলা হোক। জাহাঙ্গির নামটিই মোশরেকি ঔদ্ধত্যপূর্ণ, কারণ বিশ্বের অধিকর্তা আল্লাহ পাক। তাই জাহাঙ্গিরনগরের পরিবর্তে আমিনীনগর ওরফে মদীনাতুল আমিনী রাখা যেতে পারে।

অতএব নতুন নাম হোক মাদ্রাসায়ে কবীরাতুল মদীনাতুল আমিনী।


হাঁটুপানির জলদস্যু

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- মাদ্রাসায়ে কবীরাতুল মদীনাতুল আমিনী-তে হযরত মুজাহেদী (সালাম), হযরত নিজামী (সালাম), হযরত গো.আ (সালাম) এনাদেরকে সরাসরি প্রফেসর হিসাবে নিয়োগ না দিলে সঠিক দ্বীনি এলেম প্রতিষ্ঠা হবে না। গেস্ট প্রফেসর হিসেবে হযরত সাঈদী (পীরে কামেল) কে সুযোগ অবশ্যই দিতে হবে।

আর পুরো ক্যাম্পাস থাকবে কালো গিলাফে মোড়া। গিলাফের উপরে হলুদ হরফে লেখা থাকবে, "এসো মুমিন, এসো পর্দার অন্তরালে হালাল শিক্ষালয়ে"। এই অংশটুকু অবশ্য এরাবিক হরফে লেখা হতে হবে, ঊর্দূ হইলেও চলে। অক্ষর তো দেখতে প্রায় একরকমই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

রানা মেহের এর ছবি

সচলের নামটা পাল্টে অন্য কিছু রাখা যায় না?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

হিমু এর ছবি

দেখেন তো ঠিকাছে কি না হাসি

الصفحة الرئيسية البارزة لل


হাঁটুপানির জলদস্যু

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

বড়ই অদ্ভুত আমাদের দেশের পরিস্থিতি। আন্দোলন-ভাংচুরকারি এধরনের এলিমেন্ট সব সময়ই আমাদের দেশে আছে, থাকবে। বিস্ময়ের সীমা থাকেনা যখন দেখি তারা তাদের দাবী না মানাতে পেরে সেই বিশ্ববিদ্যালয়েই আবার আঘাত হানে। আমার কাছে তাদের এসব দাবী কোন বিষয়ই না, সবই হচ্ছে সময়ের সুযোগে। সরকার একদিকে ভাল কাজ করার কথা বলে আবার আরেকদিকে কাউকে নিয়ে চোর-পুলিশ খেলে। সবদিকেই আপাত অসফল এরা তাই বেছে নিয়েছে সবচেয়ে সহজ অস্ত্র-- ধর্ম।

তারা মাদ্রাসাশিক্ষাকে আধুনিকীকরণে বাস্তব কোন পদক্ষেপ নেয়না, হয়তো নেবেওনা। কিন্তু দু:খজনক বিষয় হচ্ছে বাংলা ও ইংরেজীতে ন্যুনতম নম্বরের বিধানটিকে মাদ্রাসা ছাত্রদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অন্তরায় হিসেবে দেখানোর প্রচেষ্টা।

আরে বাবা আরো তো অনেক বিষয় আছে সেখানে ভর্তি হওনা, কে মানা করেছে? প্রতিযোগিতায় টিকে যদি সুযোগ পাও তো পড়ো। তোমাদের মর্জি মতো কারিকুলাম তৈরী করা সম্ভব নয়।

আমার ধারনা এসব করে কোন একটি দলের সমর্থক যারা এতদিন লুকিয়ে লুকিয়ে বিচরণ করতো তারা প্রকাশ্যে আসার চেষ্টা করছে। উদ্দেশ্য এক ঢিলে অনেক পাখি মারা। আশা করি এসব প্রচেষ্টা অসফল হবে।

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

কওমী মাদ্রাসাগুলোর সিলেবাসের কোনো মা-বাপ নাই ওদের যা ইচ্ছা তাই পড়ানো হয়, মাদ্রাসাভেদে তার রকমফের হয়। মূলধারার মাদ্রাসাগুলোই কওমী মাদ্রাসাগুলোকে যেখানে গোনায় ধরতে চায়না সেখানে কওমী মাদ্রাসার ছাত্রদের এহেন আবদার নিতান্তই হাস্যকর। মাদ্রাসাবোর্ডভুক্ত মাদ্রাসাগুলো থেকে তো অনেক ছাত্রই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে, সেখানে কোনো সমস্যাই দেখিনা। হিমুদাদার সাথে গলা মিলিয়ে তাই বলতেই হচ্ছে কওমী মাদ্রাসাগুলোরই পড়ালেখার মানোন্নয়ের দরকার আছে। এরা আসলে কি চায় কি বলে নিজেরাই জানেনা।

--------------------------------------------------------

স্নিগ্ধা এর ছবি

মাদ্রাসায়ে কবীরাতুল ঢাকা।

একটি নাদান প্রশ্ন - উপরোক্ত শিক্ষালয় হইতে সনদপ্রাপ্ত (এককালীন বেপর্দা, বেয়াদব কিন্তু বর্তমানে অমিত ও শিমূলের মতো উজ্জীবনের আলোর পথে আগুয়ান) মহিলাদের কি নামে ডাকা হয় বা হইবে?

খুব শিগগীরই চাকরি বাকরির ধান্দায় নামতে হবে ভাইসব, তাই রেযুমেতে ভুল ভাল রাখতে চাই না!

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

আপনার নামধাম পরিবর্তন করলে তো আবার আকিকা করা লাগবো আপু, আকিকায় তাইলে এই অধমকে দাওয়াত দিয়েন।

--------------------------------------------------------

স্নিগ্ধা এর ছবি

উহু, বাচ্চা ভূত-কাচ্চা ভূত, নাম বদলাচ্ছি না তো ? খেতাব/উপাধি/টাইটেলটা জানতে চাচ্ছি মাত্র। মানে, আমি কি কামেল না ফাযিল না ইয়ার্কি না অপদার্থ, ঠিক কি বসাবো নামের আগে সেটাই ......... হাসি

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

মাস্টার্স পাস করলে তো মনেহয় কামেল বলে আর ব্যাচেলর পাস করলে মনেহয় ফাজিল তাহলে অনার্সসহ হলে (এবং আপনি যেহেতু রমণী) "অনার্সসহ ফজিলা" বলা যেতে পারে। চোখ টিপি

আহারে মনে করসিলাম আকিকার দাওয়াতটা পামু, মিস গেলোগা।

--------------------------------------------------------

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আসুন আধুনিকতার মাদ্রাসীকরণ করি

আমিন।

কনফুসিয়াস এর ছবি

হ!

-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

বজলুর রহমান এর ছবি

আমি বহুদিন ৯-১০ শ্রেণীতে সাধারণ শিক্ষায় ধর্ম পড়ানোর বিরুদ্ধে জেহাদ করে, কারো সহযোগিতা না পেয়ে, শেষ পর্যন্ত 'তোরা সবাই গোল্লায় যা' বলে হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম। আমার রাগের অন্যতম বড় কারণ ছিল ঃ এটা এস,এস,সির সিলেবাসে বাধ্যতামূলক করেন বাংলাদেশের ধার্মিকপ্রবর, জিয়া-মঞ্জুর-মিলনের হত্যাকারী হুসায়েন মো, এরশাদ।

বড়লোক ও- এবং এ- লেভেলের ছাত্রদের জন্য ধর্ম লাগে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিপরীক্ষাগুলোতে তারাই সবচেয়ে ভালো করে তুলনামূলকভাবে, ছাইপাশে সময় নষ্ট করতে হয় না বলে।

মাদ্রাসার ছেলেরা এত কম ইংরেজী জ্ঞান নিয়েও বোধ হয় পরে অন্যদের তুলনায় তত খারাপ করে না, তার কারণ ৪০০ নম্বরে সাধারণ শিক্ষায় যা পড়ানো হয়, তার মান খুবই অসন্তোষজনক।

আসলে সব শিক্ষাকে একীভূত করে ফেলা উচিত, মোটামুটি একই মানের, এবং ইংরেজী মাধ্যমের মত যার যে বিষয়ে যতটুকু খুশী। পরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই ঠিক করে দিতে পারে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা নিতে কোন বিষয়ে কত ইউনিট পড়ে আসতে হবে। আর সবার জন্য সাধারণ ভর্তি পরীক্ষা তো থাকবেই।

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

ঠিক কি কারণে কুম্ভীরাশ্রু হিসেবে দেখছেন বোধগম্য হলোনা ... মাদ্রাসা ছত্রদের জন্য যেহেতু ইউনিভার্সিটিগুলোতে ভর্তি হবার সুযোগ রয়েছেই, তখন বোর্ডপরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের বিচার সংশ্লিষ্ট বোর্ডের পরীক্ষাপদ্ধতির সাথে সামঞ্জস্য রেখেই কি করা উচিত না?
আমি তো এখানে খুব সহজ একটা সমাধান দেখছি পার্সেন্টেজের হিসাব, সেটা করলেই তো ঝামেলা শেষ!

ন্যুনতম ব্যুৎপত্তি যাচাইয়ের যে কথাটা তুললেন সেটা খাটেনা একারণে যে, জন্য ঢা.বি. সহ আরো অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই ভর্তি পরীক্ষায় একটা নির্দিষ্ট নম্বরের উপরে পেতে হয়, যেমন ইংরেজীতে ২৫ শে ৫/৬ পেলে ইংলিশ ডিপার্টমেন্টে পড়া যায়না, তা সে সেন্ট জোসেফ থেকেই পাশ করুক আর স্কলাস্টিকা থেকেই পাশ করুক। এ নিয়ম যদি সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টে না থাকে তাহলে এটা করলেই তো হয়!! তখন যেসব মাদ্রাসা-ছাত্রদের বাংলা-ইংরেজীতে ব্যুৎপত্তি ভালো না হলে তারা সেখানেই ঝরে পড়বে। উল্টোভাবে বলা যায়, মাদ্রাসার কোন ছাত্র যদি খুব ভালোভাবে ইংরেজী পড়ে (ধরুন সেটা নিজের আগ্রহেই), এবং সে যদি ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজীতে খুব ভালো মার্কস পাওয়ার যোগ্যতা রাখে, তাহলে তাকে শুধু তার শিক্ষাবোর্ডের কারণে বঞ্চিত করা কি ঠিক হবে? সুযোগ সবার জন্য উন্মুক্ত রাখাই কি উচিত না?

এখানে অবশ্যই মাদ্রাসা ছাত্রদের এই সমস্যা নিয়ে যে ভাংচুর করা হয়েছে তার সপক্ষে সাফাই গাওয়া হচ্ছেনা, তবে সাদাচোখে যেটাকে অনুচিত মনে করা হচ্ছে সেটা নিয়ে বললে কুম্ভিরাশ্রু হবে কেন? কেউ কিন্তু এটাও দাবী করছেনা মাদ্রাসা শিক্ষার এই পিছিয়ে পড়ার পেছনে এসব ইউনিভার্সিটির বিভাগগুলো দায়ী, বলা হচ্ছে সবাইকেই চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ দাও। উল্টোভাবে বললে, চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ না পেলে মাদ্রাসা ছাত্ররা কিভাবে বুঝবে যে ওদের শিক্ষার মান খারাপ!

আর মাদ্রাসাবোর্ডের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি নিয়ে যে কথা হচ্ছেনা, তা তো না! কিন্তু সেটা এ আলোচনায় আসে কিভাবে? আসেনা এজন্যই যে, মাদ্রাসা ছাত্র হোক আর সাধারন শিক্ষাবোর্ডের ছাত্রই হোক সবাইকে একই ভর্তিপরীক্ষা দিয়ে আসতে হচ্ছে। কিন্তু ওদের শিক্ষাব্যবস্থা ভালোনা, কম নম্বরের পরীক্ষা দেয় বলে ব্যুৎপত্তি নেই -- এসব কারণ দেখিয়ে পরীক্ষার আগেই কেন পথ আটকে দেয়া?

আমি জানিনা, ইংরেজী মাধ্যমের ছাত্রছাত্রীরা কত নম্বরের পরীক্ষা দেয়; যদি আটশ'র কম দেয় তাহলে তো ওরাও বঞ্চিত হচ্ছে!

বটমলাইন হলো, পার্সেন্টেজে হিসাব করে ভর্তি পরীক্ষায় থ্রেশল্ড ঠিক করে দেয়ার মতো সহজ সার্বজনীন নিয়ম চিন্টা করা যায় যেখানে, সেখানে সেটার প্রস্তাবনাকে কুম্ভীরাশ্রু/কূট বলা কতটা যৌক্তিক?
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

হিমু এর ছবি

মাদ্রাসার কোন ছাত্র যদি খুব ভালোভাবে ইংরেজী পড়ে (ধরুন সেটা নিজের আগ্রহেই), এবং সে যদি ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজীতে খুব ভালো মার্কস পাওয়ার যোগ্যতা রাখে, তাহলে তাকে শুধু তার শিক্ষাবোর্ডের কারণে বঞ্চিত করা কি ঠিক হবে? সুযোগ সবার জন্য উন্মুক্ত রাখাই কি উচিত না?

এ যুক্তি ধরে বলা যেতে পারে, সেক্ষেত্রে বারো বছর প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেয়ার কোন বাধ্যবাধকতা রাখা উচিত কি? এটাকে উন্মুক্ত করে দিলে হয় না? কারণ আমার অনেক বন্ধুই এস এস সি পাশ করার সময়েই ইংরেজির জাহাজ ছিলেন। তাঁরা নিজেরা পড়েই বেশ তুখোড় জ্ঞান অর্জন করেছিলেন ইংরেজিতে। তো বিশ্ববিদ্যালয় কেন তাঁদের ওপর আরো দুই বছর উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের পড়াশোনা চাপিয়ে দিলো? এটি কি অনুচিত নয়?

আপনিও কিন্তু সেই অভিযোগের আঙুল বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকেই তুলছেন। শিক্ষাবোর্ডের কারণে মাদ্রাসার ছাত্ররা বঞ্চিত হচ্ছেন, এবং দোষটিও তাদের শিক্ষাবোর্ডের। তারা কেন বাংলা আর ইংরেজিতে জোর দেবে না? সেখানে যখন লোকে নিশ্চুপ থাকে, আর মাদ্রাসার ছাত্রদের দুর্দশার জন্যে বিশ্ববিদ্যালয়কে দায়ী করে অশ্রুপাত করে, একে কূট বা কুম্ভীরাশ্রু বলা অন্যায় হয় কি?


হাঁটুপানির জলদস্যু

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

এ যুক্তি ধরে বলা যেতে পারে, সেক্ষেত্রে বারো বছর প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেয়ার কোন বাধ্যবাধকতা রাখা উচিত কি? এটাকে উন্মুক্ত করে দিলে হয় না? কারণ আমার অনেক বন্ধুই এস এস সি পাশ করার সময়েই ইংরেজির জাহাজ ছিলেন। তাঁরা নিজেরা পড়েই বেশ তুখোড় জ্ঞান অর্জন করেছিলেন ইংরেজিতে। তো বিশ্ববিদ্যালয় কেন তাঁদের ওপর আরো দুই বছর উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের পড়াশোনা চাপিয়ে দিলো? এটি কি অনুচিত নয়?

হ্যা, যুক্তি অনুসারে কোন বাঁধা দেখিনা, কিন্তু সেখানে সমস্যা হলো স্পেশালাইজড বিষয়গুলো; ইনফ্যাক্ট আপনি যদি শিক্ষাবোর্ডের সিলেবাস ডিজাইনের দিকে চোখ বুলান, তাহলে দেখবেন ইন্টারমেডিয়েটের যে পড়াশোনাটা সেটা স্পেশালাইজড বিষয়গুলোতেই ফোকাস থাকে। এখন আপনি যদি বলেন এমন কোন জিনিয়াস আছে যার পর্যাপ্ত পরিমাণ বিষয়ে (বাংলা, ইংরেজী, স্পেশালাইজড মিলিয়ে) সেরকম লেভেলের দক্ষতা স্কুলে থাকতেই হয়ে গেছে, তবে তাতে তার সরাসরি ইউনিতে ঢোকাতে কোন বাঁধা দেখিনা। সত্যি বলতে, পৃথিবীতে এমনটা তো হচ্ছে!!

আর মাদ্রাসা বোর্ডের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একটু আলাদা, কারণ তাদের বাংলা ইংরেজীর সিলেবাস সাধারণ বোর্ডের সিলেবাসের মতোই, শুধু পরীক্ষা হয় ১০০ তে। এটা হয় কারণ মাদ্রাসা বোর্ডে আরবী/কোরান/হাদীস/ফিকহ -- এসবও পড়তে হয়, ওসব সাবজেক্টে ১০০ করে পরীক্ষা দেয়। অবশ্যই এতে বাংলা/ইংরেজী পড়াশোনার পরিমাণ কমে যায়, কিন্তু যেহেতু একটা ছাত্র একই সিলেবাস পড়ে এসেছে, তাকে সুযোগ দেয়া উচিত বলেই আমি মনে করি। তারা তো ইন্টারমিডিয়েটে এসে ক্লাস টেনের ইংরেজী বই পড়ছেনা, তাইনা?

চিন্তা করুন, আজ যদি ঢাকা বিঃ'র ইসলাম রিলেটেড বিভাগগুলো হঠাৎ দাবী করে বসে যে সেখানে ভর্তি হতে হলে ইন্টারে আর এসএসসিতে আরবীতে এত এত পেতে হবে -- ঠিক হবে?এসব সাবজেক্ট পড়ার ক্ষেত্রে তো মাদ্রাসা ছাত্ররা বেশী জানার কথা।

আর ইংরেজী মিডিয়ামের ছাত্র-ছাত্রীদের কি হবে? ওরা কি ইকনোমিক্স পড়তে পারবেনা? ও বেচারাতো মনে হয় মাদ্রাসাওলাদের মতো ওমন জোটবাঁধা নয় বলে আন্দোলনও করতে পারছেনা।

আপনিও কিন্তু সেই অভিযোগের আঙুল বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকেই তুলছেন। শিক্ষাবোর্ডের কারণে মাদ্রাসার ছাত্ররা বঞ্চিত হচ্ছেন, এবং দোষটিও তাদের শিক্ষাবোর্ডের। তারা কেন বাংলা আর ইংরেজিতে জোর দেবে না? সেখানে যখন লোকে নিশ্চুপ থাকে, আর মাদ্রাসার ছাত্রদের দুর্দশার জন্যে বিশ্ববিদ্যালয়কে দায়ী করে অশ্রুপাত করে, একে কূট বা কুম্ভীরাশ্রু বলা অন্যায় হয় কি?

এক্ষেত্রে আগের মন্তব্যেও বলেছি, আবারও লিখছি। পার্সেন্টেজের হিসেব করে একটা ছাত্রকে ভর্তি পরীক্ষায় বসতে দিয়ে, ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত মার্কসের ভিত্তিতে বুৎপত্তি যাচাই করা -- এত সহজ একটা সমাধান যখন বিভাগগুলোর হাতে আছেই, সেটা না গ্রহন করাকে কেন অভিযোগ করা যাবেনা? সেটা গ্রহন করাই সার্বজনীন বলে আমি মনে করি। একটা মাদ্রাসা ছাত্র যদি বাংলায় ৭০ আর ইংরেজীতে লেটার পায়, আপনি তার বাংলা/ইংরেজীর জ্ঞানকে উপেক্ষা করতে পারবেন?

আরো কথা আছে, যেকোন পরিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রফেশনাল এ্যাপ্রোচ হলো কোন পরিবর্তনটা আসতে যাচ্ছে সেটার ঘোষনা কিছু সময় ধরে দেয়া, সেটাকে ভালোভাবে জানানো। যেমন, এক্ষেত্রে আমি মনে করি ঢাবি'র বিভাগগুলোর এই ডিসিশনের ঘোষনা অন্ততঃ দুবছর আগে দেয়া উচিত ছিলো, কারণ, এমনতো হতেই পারে যে একজন মাদ্রাসাছাত্র ঢাবিতে ইংরেজী নিয়ে পড়বে বলে গত কয়েকবছর খুব ভালোভাবে ইংরেজী অনুশীলন করেছে। তার এখন কি হবে?
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগে যদি এরকম প্রফেশনালিজমের ঘাটতি থাকে তবে কিভাবে হবে?

তাদেরকে অভিযোগ করলে তা কেনইবা কূট/কুম্ভিরাশ্রুপূর্ণ হবে বলে মনে করেন?

মাদ্রাসা বোর্ডের শিক্ষাক্রমকে বিশেষ করে টিচিংহ্যান্ডগুলোকে আরো অনেক বেশী রিফর্ম করা উচিত -- এটা আমরা সবাই মানি। কিন্তু সেই রিফর্ম হবার আগেই যদি তাদের উপর এমন খড়গ চাপিয়ে দেয়া হয়, তাহলে সেটা অন্যায়ই। সত্যিই যদি রিফর্মের মনোভাব আমাদের শিক্ষাক্ষেত্রের কোথাও থাকতো, তবে ইউনিতে এক্সট্রা ক্লাস বাধ্যতামূলক করেও সেটা করা যায়। যেমন মনে করুন, ভর্তি পরীক্ষায় একজন ছাত্রের ইতিহাস/অর্থনীতি -- এসবে ২৫ শে ২০/২২ করে পেলো, কিন্তু ইংরেজীতে পেল ৭। তখন কিন্তু যেসব সাবজেক্টে ইতিহাস/অর্থনীতি/ইংরেজী সব লাগে, সেসব সাবজেক্টে তাকে ভর্তি করিয়ে ইংরেজীতে কিছু এক্সট্রা ক্রেডিট বাধ্যতামূলক করে দেয়া যায়। আরো অনেককিছুই করা যায়।

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

হিমু এর ছবি

আপনার যুক্তি যথার্থ। কিন্তু কুম্ভীরাশ্রুর প্রসঙ্গ আসে তখনই, যখন মাদ্রাসার শিক্ষাসূচী সংস্কারের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে দায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁধে চাপানো হয়। আপনি নিজেই স্বীকার করছেন যে মাদ্রাসায় ছাত্রছাত্রীরা বাংলা এবং ইংরেজি তুলনামূলকভাবে কম পড়ে। কেন তবে মাদ্রাসার শিক্ষাক্রমে এই ব্যাপারে জোর দেয়া হবে না? প্রয়োজনে ঐচ্ছিক করা হোক একে, মাদ্রাসার যে ছাত্রটি মনে করবেন যে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শর্তকে পূরণ করতে চান, তিনি সেই ঐচ্ছিক পেপার নেবেন।

আমি মনে করি, ইংরেজি মাধ্যমের ক্ষেত্রেও এই একই নিয়ম অনুসৃত হওয়া উচিত। বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্যে উদয়াস্ত খেটে এসএটি আর টোয়েফল দেয়া যদি যায়, তাহলে নিজের দেশে বসে বাংলা আর ইংরেজিতে অতিরিক্ত ২০০ মার্কের ঐচ্ছিক পরীক্ষা দেয়া এমন শক্ত কিছু নয়, যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ আটটি বিভাগে পড়ালেখার ইচ্ছে থাকে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

আপনার যুক্তি যথার্থ। কিন্তু কুম্ভীরাশ্রুর প্রসঙ্গ আসে তখনই, যখন মাদ্রাসার শিক্ষাসূচী সংস্কারের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে দায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁধে চাপানো হয়। আপনি নিজেই স্বীকার করছেন যে মাদ্রাসায় ছাত্রছাত্রীরা বাংলা এবং ইংরেজি তুলনামূলকভাবে কম পড়ে। কেন তবে মাদ্রাসার শিক্ষাক্রমে এই ব্যাপারে জোর দেয়া হবে না? প্রয়োজনে ঐচ্ছিক করা হোক একে, মাদ্রাসার যে ছাত্রটি মনে করবেন যে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শর্তকে পূরণ করতে চান, তিনি সেই ঐচ্ছিক পেপার নেবেন।

একমত, প্রয়োজনে ঐচ্ছিক করে হলেও যে ছেলেটির বাংলা-ইংরেজীতে আগ্রহ আছে তাকে সেটা আরো পড়তে দেয়া উচিত। মাদ্রাসা/ইংরেজী মাধ্যম -- সবখানেই। মিশনারী স্কুলগুলোতে এরকম অনেক নিয়ম আছে, মাদ্রাসা এডুকেশনে মিশনারী মডেল ফলো করা যেতে পারে। প্লাস, আরো অনেক প্রস্তাবনাই বাস্তবায়িত হতে পারে। তবে এসব সিস্টেম চালু হবার পর ৮০০ নম্বরের শর্ত আরোপ করাটা যুক্তিযুক্ত হয়।এই মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়ন এবং এর জের ধরে মাদ্রাসা শিক্ষার উপর ইউনির কন্ডিশন আরোপ -- এগুলো যুগপৎহওয়া উচিত। রিফর্ম করতে গেলে যদি মাদ্রাসার পোলাপান ঝামেলা করে, তাইলে সেগুলারে গারদেই পুরা উচিত। ঘটে বুদ্ধি সামান্যতমটা থাকলেও অবশ্য ওরা খুশীই হবে।

আমি জানিনা আমাদের শিক্ষাবিদদের কোনক্ষেত্রেই আসলেই রিফর্মের মানসিকতা আছে কি না? মাদ্রাসা শিক্ষার আমূল পরিবর্তন, সাধারন লেভেলে ইংরেজী শিক্ষার স্টাইল পরিবর্তন -- এসব নিয়ে কথা হচ্ছে সেই আশির দশক থেকে। কিন্তু কষ্টের ব্যাপার হলো কোন উদ্যোগ দেখা যায়না। না মাদ্রাসা শিক্ষকদের পক্ষ থেকে (এটা এরা করবেনা কারণ তাইলে এদের অনেকেই চাকুরী হারাবে বা বুড়ো বয়সে কঠিন কঠিন ট্রেনিং ক্লাস করতে হবে এই ভয়ে), না সরকারের পক্ষ থেকে। এটা একটা লিল্খাহ "রাজনৈতিক পিঁপড়া" উৎপাদনের কারখানা হয়ে আছে।

আর মাদ্রাসার পোলাপান ঐদিন ঢাবিতে ভাংচুর করেছে যে -- সেপ্রসঙ্গে বলে রাখি, এগুলারে সোজা জেলে ঢোকানো উচিত ছিলো। শুধু এদের না, ইউনিভার্সিটি/সরকারী স্থাপনায় প্রায়ই দেখা যায় ভাংচুর, আগুন লাগানো, তালাবন্ধ করে রাখা -- এসব ইতরামো করা হয়ে থাকে। এগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া জরুরী।
শুনতে খারাপ শোনাতে পারে, তবে আমাদের খেয়াল রাখা উচিত এসব স্থাপনা পাবলিকের ট্যাক্সে হয়; বাংলাদেশে সাধারণ ছাত্রই বলুন আর মাদ্রাসা ছাত্রই বলুন -- সবার জন্য সবকিছু এত বেশী ফ্রী করে দেয়া হয়েছে যে কারো কিছু গায়ে লাগেনা। ইউনি লাইফে অবশ্যই বাস্তবতাকে হাড়ে হাড়ে টের পাওয়ানো উচিত (উন্নত দেশগুলোতে যেমনটা হয়)। এপ্রসঙ্গে অনেক কথা চলে আসে বলে হয়তো সময় পেলে পরে কোন পোস্ট দেব।

দাবী আদায়ের জন্য দাবী পেশ করে, মিটিং করে, অনশন/মানববন্ধন করে -- অনেক কিছুই করা যায়।
একটা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিলেই হয়, তবে সরকার মাজা-কোমর ভেঙে গেছে যে সেটা বোঝাই যাচ্ছে।

ধন্যবাদ, আলোচনাটা ভালো লাগলো।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

আরিফ জেবতিক এর ছবি

শুনতে খারাপ শোনাতে পারে, তবে আমাদের খেয়াল রাখা উচিত এসব স্থাপনা পাবলিকের ট্যাক্সে হয়; বাংলাদেশে সাধারণ ছাত্রই বলুন আর মাদ্রাসা ছাত্রই বলুন -- সবার জন্য সবকিছু এত বেশী ফ্রী করে দেয়া হয়েছে যে কারো কিছু গায়ে লাগেনা।

এই একটা কথা বলেছেন , খুবই সত্যি ।
বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলে সেমিস্টার সিস্টেম করে দেয়া উচিত আর নির্দিষ্ঠ একটা সিজিপিএ না পেলে সাথে সাথে পরের সেমিস্টারে সরকারী ভর্তুকি উঠিয়ে প্রকৃত বেতন বসিয়ে দেয়া উচিত । তাহলে দেখা যাবে আগের সেমিস্টারে মোট বেতন ১০০ টাকা হলেও পরের সেমিস্টারে বেতন যখন ৫০,০০০ টাকা হয়ে যাবে বলে আশংকা থাকবে , তখন ঠিকই ভাংচুর বাদ দিয়ে পড়াশোনা করবে ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন বাড়িয়ে দিয়ে পুরোটাই শিক্ষাঋন হিসেবে ছাত্রদেরকে দেয়া উচিত । সেই শিক্ষাঋন কতোটুকু উদ্ধার হবে পরবর্তীতে সেটা এখন বলা যায় না , কিন্তু অন্তত তখন আমি এটা বুঝতে পারব যে মাস্টার্স ডিগ্রীটা আমি লিল্লাহ হিসেবে নিচ্ছি না , এটার জন্য আমি সরকারের কাছে ২ লক্ষ টাকা ঋনী আছি ।
এই বোধটা জন্মে দেয়া দরকারী ।
‍‍

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

আমি বুঝিনা এটা নিয়ে ভাংচুরের কি আছে বা এনিয়ম পরিবর্তনেই বা সমস্যা কি? (হয়ত এতক্ষণে নিয়মটা পরিবর্তনও হয়েছে)
আমার ধারনা, যে বিভাগগুলো তে সমস্যা দেখা দিয়েছে তারা নিয়মটা তৈরীর সময় মাদ্রাসা বোর্ডের কমপ্যাটিবিলিটির কথা খেয়াল করেননি ... ভুল মানুষের হতেই পারে .... এটা নিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রদের ভাংচুর করারই বা কি আছে? সেই ডিপার্টমেন্টে ব্যাপারটা নিয়ে আবেদন করলেই তো হয়!
আমি জানিনা এখনও সমস্যাটার সমাধান হয়েছে কিনা, না হয়ে তাঃকলে বলা যায়, এত সহজ একটা সমাধান (পার্সেন্টেজের বেসিসে হিসেব করা) মেনে নিলেই তো হয়, তাতে তো কারো সম্মানহানি হচ্ছেনা!!

আজব এক দেশ!!! নির্ঝঞ্ঝাট বিষয়েও গায়ের জোরে ঝামেলা তৈরী হয়!!!!!
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

পলাশ দত্ত এর ছবি

এই বিষয়টা নিয়ে বাংলাদেশের কলাম-লেখকরা কেউ আওয়াজ দিচ্ছে না!

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

শিক্ষানবিস এর ছবি

নিয়মতান্ত্রিকভাবে কুসংস্কার চর্চায় মাদ্রাসাগুলার জুড়ি নাই। এই মাদ্রাসাগুলোর কারণেই বাংলাদেশ ভবিষ্যতের কথা ভাবতে পারবে না। ৩,০০০ বছরের অসামান্য জ্ঞানের চর্চা বাদ দিয়ে ২৩ বছরের অন্ধত্ব চর্চাকে বাহবা দিয়ে যাবে।
তারপরও আশা রাখি, পরিবর্তন আসবে। ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখার সেই সময়ে যেন আমরাও থাকি।

কীর্তিনাশা এর ছবি

আমি বড় হইলে মাদ্রাসার ছাত্র হমু ।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

সব কিছু মাদ্রাসার মাপে করা খুবই সোয়াবের কাজ। সেই সঙ্গে কাফের মারার সোয়াব ফ্রি! দেঁতো হাসি
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

জাহিদ এর ছবি

বেশীরভাগ বাংলা ব্লগেই একটা কমন বিষয় চোখে পড়ার মত- প্রগতিশীল হতে যেয়ে অনেকেই যেকোন বিষয় নিয়ে কৌতুকে মেতে ওঠেন - কিন্তু সংস্কৃতিবান হতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই সিরিয়াস হতে হবে- এধরনের কৌতুকে কেউ আনন্দ পেলেও কোন সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। আস্তিক হন আর নাস্তিক হন -আপনার ভিতরের মানুষটি যদি সুরুচিসম্পন্ন না হয় তাহলে আপনার কথার কোন মূল্য আমি অন্ততঃ দিতে পারি না। তাই সকলকেই গঠনমূলক সমালোচনা, পরামর্শ দেওয়ার আহ্বান জানাই। আর সবশেষে আর একটি কথা- এধরনের কৌতুককর সমালোচনার মাধ্যমে আপনার কি সত্যিই কোন পরিবর্তন আনতে পারবেন অথবা আপনার বিপরীত মতের কমিউনিটির শ্রদ্ধা অর্জন করতে পারবেন?
ধন্যবাদ সবাইকে।

হিমু এর ছবি

হ্যাঁ। মাদ্রাসার ছাত্ররা ভাংচুর করে যাবে, আর আমাদের সিরিয়াস হয়ে চুপ থাকতে হবে, কারণ কৌতুক করলেই সংস্কৃতি খোয়া যাবে।

বিপরীত মতের কমিউনিটি কি তাঁদের মতের বিপরীতের কমিউনিটির শ্রদ্ধা নিয়ে আদৌ মাথা ঘামান? তাঁদের কাজকর্ম দেখে কি আপনার তা মনে হয়? যীশুর বাণী তাঁদের কাছে গিয়ে একটু প্রচার করে দেখুন না, কাজ হয় কি না?


হাঁটুপানির জলদস্যু

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

@ জাহিদ

প্রগতিশীল হতে যেয়ে অনেকেই যেকোন বিষয় নিয়ে কৌতুকে মেতে ওঠেন - কিন্তু সংস্কৃতিবান হতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই সিরিয়াস হতে হবে- এধরনের কৌতুকে কেউ আনন্দ পেলেও কোন সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়।

কোনও বিষয় নিয়ে কৌতুক করে প্রগতিশীল হওয়া যায়, জানতাম না তো! তবে যে কোনও বিষয় নিয়ে কৌতুক, রসিকতা, শ্লেষ বা ব্যঙ্গ করতে পারাটা এক ধরনের গুণ বলেই আমার বিশ্বাস। আর তা যদি হয় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে, তা তখন রীতিমতো লক্ষ্যভেদী। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে প্রচারিত শ্লেষাত্মক "চরমপত্র"-এর ভূমিকা কেউ অস্বীকার করতে পারবে?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
Life is what happens to you
While you're busy making other plans...
- JOHN LENNON

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

আরিফ জেবতিক এর ছবি

১.
দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকীকরন বিষয়টাতে কিঞ্চিত ভিন্নমত আছে । আমার ব্যক্তিমত হচ্ছে মাদ্রাসা শিক্ষাকে আধুনিকীকরন নয় , বাদ দেয়া । ক্লাস এইট পর্যন্ত একই মানের শিক্ষা রেখে তারপর পথগুলো ভিন্ন হতে পারে । কেউ পড়বে বিজ্ঞান , কেউ ব্যবসা , কেউ ধর্মতত্ত্ব ইত্যাদি ইত্যাদি ।

২.
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যায়লয়ের নেয়া পদক্ষেপটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পয়েন্ট অব ভিউ থেকে ঠিকই আছে । কিন্তু হুট করে এমন একটা সিদ্ধান্ত নেয়াটা যৌক্তিক লাগে নাই । যেখানে মাদ্রাসায় সিলেবাসই আছে ৪০০ নম্বরের সেখানে ৮০০ নম্বরের বাধ্যবাধকতা থাকলে স্বাভাবিকভাবেই মাদ্রাসার ছাত্ররা ভর্তি পরীক্ষায় সুযোগ পাবে না ।
হু , কথা দাড়ায় এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কী করার আছে , তারা কি গাছ নুইয়ে মাটিতে নামাবে যাতে করে বামনরা ফল খেতে পারে ?
না , তা করবে না । কিন্তু হুট করে এরকম পদক্ষেপ নিলে জটিলতার সৃষ্ঠি হয় ।

গতবছর পর্যন্ত যখন ৪০০ নম্বরের সিলেবাস ভর্তিপ্রক্রিয়ায় কোন সমস্যা করেনি , তখন বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষনা দিতে পারত যে , ভাই এই সিলেবাসে পড়াশোনা করে এসে তো তোমরা কোর্স ফলো করতে পারছ না , তাই ৩ বছর পরে আমরা এটা বদলাব । এখন যারা এটা পড়ছ তারা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাও , তাহলে এখনই মূল ধারার কলেজে ভর্তি হয়ে যাও ।

আর এই পরিবর্তন সময়ের ৩ বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় একটি বাধ্যতামূলক কোর্স চালু করতে পারত , যে এই ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও এই কোর্সটি করতে হবে ।
( অবশ্য এখানে একটা সমস্যা হচ্ছে যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেমিস্টার ভিত্তিক নয় যে বলা যাবে প্রথম সেমিস্টারে শুধু ইংরেজী আর বাংলা কোর্স করবে , তারপর মূল পাঠক্রমে অংশ নেবে । এখানে কোর্সের ঝামেলা করা মানে পুরো একবছর ঝরে পড়া । )
সেক্ষেত্রে আইএলটিএস , টোফেল বা এধরনের একটি আলাদা গ্রহনযোগ্য পরীক্ষায় একটি নূন্যতম স্কোরের পূর্ব শর্ত দেয়া যেতে পারে । তাহলে বুঝা যাবে যে ৪০০ নম্বরে পড়াশোনা করে এলেও এই ছাত্র যেহেতু আইএলটিএস এ ৬ /৭ পেয়েছে সুতরাং এই বিষয়ে তার ব্যক্তিগত যোগ্যতা আছে ।
এভাবে একটা সম্ভাব্য সমাধান হয়তো খুঁজে বের করার চেষ্টা করা যেত ।

একেবারে হুট করে ডেডলক করে দেয়াটাকে উচিত মনে করি না ।

এতোসব করার কারন , আমাদের সরকার বাহাদুর মাদ্রাসার শিক্ষাব্যবস্থাকে মূল ধারার শিক্ষাব্যবস্থার সমমান ঘোষনা করেছেন । এই জায়গাটা বেশ ঝামেলার হয়েছে মনে হচ্ছে ।

যাক , শেষ কথা হচ্ছে এই পদক্ষেপ নেয়ার জন্য পূর্বঘোষনার ও সাময়িক বিকল্প পথ রাখার প্রয়োজন ছিল বলে মনে করি ।

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

আপনার ১ এর প্রস্তাবটা বেস্ট, তবে এটা নিয়ে দারুন রাজনীতি হবে, বুঝতেই পারেন।

এ মূহুর্তে যেটা মিনিমাম করা উচিত, সেটা হলো এই ঘোষনা দিয়ে দেয়া যে আর কয়েকবছর (ধরুন পাঁচ বা দশ) পর মাদ্রাসাবোর্ড বলে আলাদা কিছু থাকবেনা। সবাইকে সাধারণ বোর্ডের আওতায় একই পরীক্ষা দিতে হবে, মাদ্রাসার ছাত্ররা ঐচ্ছিক বিষয়ের কোটায় কোরাণ/হাদীস/ফিকহ নিবে।
একেক স্কুলের শেখানোর পদ্ধতই একেকরকম হতে পারে, ভিন্ন ভিন্ন সাবজেক্টে জোর দিতে পারে -- সমস্যা নাই, কিন্তু আলাদা বোর্ড কেন? এই ধারনাটাই অদ্ভুত!!

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

আরিফ জেবতিক এর ছবি

ভয়ংকর হচ্ছে এই কওমী শিক্ষাবোর্ডগুলি । এগুলো যে কে চালায় , কোথায় অফিস এর কোন তথ্য কোথাও পেলাম না । সরকারও কিছু জানে বলে মনে হয় না ।

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

বলেন কি? এত খারাপ অবস্থা!! মন খারাপ
কওমী মাদ্রাসাগুলারে সাধারণ শিক্ষা সমমানের স্বীকৃতি দেওয়াটা হলো গত বিএনপি-জামাত সরকারের সবচেয়ে বড় নোংরামি
এটা করা হইছে পুরোপুরি আমিনী বদমাইশটার স্বার্থে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

হিমু এর ছবি

প্রথম আলোর খবর (২৩শে অক্টোবর, ২০০৮) অনুযায়ী মাদ্রাসাছাত্রদের দাবি সমর্থন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি ও জামাত সমর্থক ২৫০ জন শিক্ষক বিভাগগুলিকে শর্ত প্রত্যাহারের দাবি (অন্যথায় ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রম বর্জন) জানিয়েছে।

এতে উপস্থিত ছিলেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক সদরুল আমিন, আমিনুর রহমান মজুমদার, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন তাজমেরী এস এ ইসলাম, এনজিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক শাহেদা রফিক, ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবদুর রশীদ, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবুল বাশার।

লক্ষ্যণীয় যে,

  • ইংরজি ও বাংলা বিভাগে এ শর্ত দীর্ঘদিন ধরে চালু আছে।

  • গতবছর গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে এ শর্ত প্রবর্তন করা হয়েছে।

  • অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হতে গেলে এখন উচ্চ মাধ্যমিকে মৌলিক অর্থনীতি নামে একটি বিষয় পড়তে হবে (যা আলিম পর্যায়ে মাদ্রাসায় পড়ানো হয় না)।

  • আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ (এর বাংলা কী?) ও ভাষাতত্ত্ব বিভাগে নতুন করে এ বছর এ শর্ত আরোপ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষকরা জানিয়েছেন, ছাত্রছাত্রীদের মানসম্পন্ন শিক্ষাদানের জন্যেই এ শর্ত আরোপিত হয়েছে। উপাচার্য জানিয়েছেন, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা বিভাগের শর্ত আগে থেকে পূরণ করে এলে ভালো হয়, যার বাস্তবায়ন মাদ্রাসাবোর্ড দেখবে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

হিমু এর ছবি

২৪শে অক্টোবর, ২০০৮ তারিখের এই প্রতিবেদনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান এই বিতর্কে বিএনপি ও জামাত সমর্থক সাদা দলের শিক্ষকদের অবস্থান নিয়ে কিছু বিষয় স্পষ্ট করা হয়েছে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

হিমু এর ছবি

২৬শে অক্টোবর, ২০০৮ এর একটি সংবাদ অনুযায়ী, এ বিষয়ে এখন শিক্ষকদের মধ্যে রাজনৈতিক বিভক্তি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বিএনপি ও জামাত সমর্থক শিক্ষকরা ডিনস কমিটির দশটি সদস্যদপদের মধ্যে আটটিতে আসীন রয়েছেন। তারা ডিনস কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্তে এসেছেন, এ নিয়ে বিভাগের সাথে আবার আলোচনা হবে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

হিমু এর ছবি

সমকালের খবর অনুযায়ী, বিশেষ শর্তগুলি বাতিল হচ্ছে না।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।