হিন্দি চলচ্চিত্র দেখানো হলে বাংলায় ডাবিং করা হোক

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৯/০১/২০১৫ - ১:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলাদেশের রুগ্ন চলচ্চিত্র শিল্পকে চাঙা করার জন্য চাঙ্গায়নী সুধা হিসেবে হিন্দি চলচ্চিত্র বাংলাদেশের প্রে ক্ষাগৃহে প্রদর্শনের ব্যবস্থা সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো দেখিয়ে প্রেক্ষাগৃহগুলো ব্যবসায় টিকে থাকতে পারছে না, এটি হচ্ছে চলচ্চিত্র শিল্পের বিতরণ অংশের অভিযোগ। টিকে থাকার জন্য তারা হিন্দি চলচ্চিত্র আমদানি করে দেখাতে চান।

এর বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পের উৎপাদন অংশটি। তারা আশঙ্কা করছেন, হিন্দি চলচ্চিত্র একবার বাংলাদেশে ঢুকে পড়লে দেশীয় চলচ্চিত্র নির্মাণ হুমকির মুখে পড়বে।

আমি চলচ্চিত্র শিল্পের মানোন্নয়নের জন্য হিন্দি চলচ্চিত্র বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে দেখানোর বিরোধী। এ নিয়ে অনেক আগে একটি পোস্টে কিছু ভাবনা তুলে ধরেছিলাম। হিন্দি চলচ্চিত্র বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন শুরু হলে তার কোনো ইতিবাচক প্রভাব আমাদের চলচ্চিত্রের ওপর পড়বে বলেও আমি মনে করি না। হলিউডের অনেক "মানসম্মত" ইংরেজি ছবি আমাদের প্রেক্ষাগৃহে দেখানো হয়, তাতে করে বাংলা চলচ্চিত্রের তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। কিন্তু যারা মনে করেন হিন্দি সুঁই দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রের বাতজ্বরের উন্নয়ন ঘটবে, তাদের যুক্তিগুলোও মন্তব্যের পাতায় উঠে আসুক।

নিতান্তই যদি সর্বনিকৃষ্ট পরিস্থিতিতে হিন্দি চলচ্চিত্র বাংলাদেশে দেখাতেই হয়, তাহলে কর্তৃপক্ষের কাছে আমার অনুরোধ, হিন্দি চলচ্চিত্রে বাংলা ডাবিং বাধ্যতামূলক করা হোক। বাংলাদেশের দাপ্তরিক ভাষা দুটি, বাংলা ও ইংরেজি। এর বাইরে অন্য কোনো ভাষার চলচ্চিত্র নিয়ে যদি প্রেক্ষাগৃহ মালিকেরা ব্যবসা করতে চান, সেক্ষেত্রে বাংলায় ডাবিংকে অবশ্যপালনীয় শর্ত হিসেবে রাখা হোক। একই সাথে এ ডাবিং হতে হবে বাংলাদেশের কোনো ডাবিং স্টুডিওতে, এমন শর্তও আরোপ করা হোক। বাংলাদেশের স্বীকৃত অবাঙালি নৃগোষ্ঠীর ভাষায় যদি কোনো চলচ্চিত্র নির্মিত হয়, সেক্ষেত্রে এ শর্ত শিথিল করা যেতে পারে।

হিন্দি চলচ্চিত্র হিন্দিতে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে দেখানোর অনুমতি দেওয়ার অর্থ, হিন্দিকে কার্যত বাংলাদেশের একটি কার্যকর যোগাযোগের ভাষা হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া। আমি মনে করি, এটি কর্তৃপক্ষীয় অবস্থান হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়।

পাঠকের দ্বিমত সাদরে স্বাগতম।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

এযুগে প্রেমের দাপ্তরিক ভাষা হয়ে গেছে হিন্দি। ডাব করা হলে লোকজন ঘরে বসেই হিন্দি প্রেম দেখবে। কলকাতার হলগুলোতে একই সাথে বাংলা ইংরেজি তামিল ছবি মুক্তি পাচ্ছে, তাই বলে ভালো ছবি তৈরি হওয়া তো আটকাচ্ছে না।

আসলে তামিল কপি মার্কা চলচ্চিত্রওয়ালাদেরই ভয় বেশি, তবে বাংলার কিরোস্তামিরাও ভয় গান- পশ্চিম বাংলার আর্টফিল্ম বাংলাদেশে মুক্তি পেলে অন্ধবনে শেয়াল রাজা সাজা অনেক অনেক কঠিন হয়ে যাবে। হাসি

মেঘলা মানুষ এর ছবি

টালিউডের বানানো সিনেমার পশ্চিমবঙ্গের দর্শক আর এফডিসির বানানো বাংলাদেশের সিনেমার দর্শক এক না।
টালিউডে অনেক 'হাই-থট' টাইপের সিনেমা তৈরি করেও পুঁজি লাভস‌হ উঠিয়ে আনা যায়।
বাংলাদেশে সেটা সম্ভব না।

পশ্চিমবঙ্গে সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখাটা অনেকটা নিয়মিত অভ্যাস। অন্যদিকে, ঢাকার সুশিক্ষিত‌ ‌ মানুষের মাঝে সিনেপ্লেক্স বা এরকম কিছু এলিট জায়গা ছাড়া সিনেমা দেখাটাকে ইজ্জতহানি ‌‌ হিসেবে হয় দেখা হয়।

বসুন্ধরা সিটির ফুডকোর্টের দোকানের ফুচকা আর রাস্তার পাশের চার চাকার উপরে ভ্রাম্যমান দোকানের ফুচকার ক্রেতা এক না। একজায়গার বিজনেস মডেল আরেক জায়গায় সবসময় খাটে না।

শুভেচ্ছা হাসি

মেঘলা মানুষ এর ছবি

আর যারা ইংরেজি ছবির দোহাই দিচ্ছেন, তাঁদের বলছি: ব্যাটম‌্যান কিংবা আয়রন ম্যান কি কুষ্টিয়া, পটুয়াখালি, রংপুর, কক্সবাজারের কোন হলে মুক্তি পেয়েছিল? ওখানে কি এর দর্শক হবে?

এসব জায়গাতেই আপনি "ধুম -৩" মুক্তি দিয়ে দেখুন।

অতিথি লেখক এর ছবি

তাতে বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির কি কোন লাভ হবে?

হিমু এর ছবি

হ্রস্বমেয়াদে কোনো লাভ বা ক্ষতি নাই। দীর্ঘমেয়াদে লাভ হতে পারে।

স্পর্শ এর ছবি

এমনকি ভারতের দক্ষিণাঞ্চলেও শুনেছি হিন্দি সিনেমা হলে চালাতে হলে তামিল / তেলেগু ইত্যাদিতে ডাবিং করে নিতে হয়। এমনিতেই এদেশে হিন্দিভাষায় কার্টুন চ্যানেলগুলো চালিয়ে বাচ্চাদের বাংলার চেয়ে ভালো হিন্দি শিখিয়ে ফেলেছি আমরা। তাই বাংলা ডাবিং বাধ্যতামূলক করা হোক। আমাদের বাজার এত বড় যে, ডাবিং করার খরচ করতে সমস্যা হওয়ার কথা না। এবং ডাবিং আমাদের দেশেই হতে হবে। এর সাথেও সহমত। মিয়াজাকির মুভি গুলো দেখেছি, ইংরেজরা একবার ডাবিং করে, আবার আমেরিকারা আরেকবার ডাবিং করে। নিজেদের ইংরেজীতে।

আর চলচ্চিত্রশিল্পের টিকে থাকা প্রসঙ্গে বলা যায়, যুগে যুগে কালোটাকা সাদা করার একটা চমৎকার উপায় হচ্ছে চলচ্চিত্রে বিনিয়োগ করা। তাই কলা হিসাবে টিকে না থাকলেও শিল্প হিসাবে চলচ্চিত্র এদেশে টিকে থাকবে।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মন মাঝি এর ছবি

বিনাদরে ১০০% সহমত!

"প্রেক্ষাগৃহ" ব্যাবসা টিকিয়ে রাখার জন্য বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়নি, হিন্দি ভাষার কলোনী বানানোর জন্যও না। "প্রেক্ষাগৃহ"-ওয়ালার হিন্দি ছবি ছাড়া তাদের বেওসা চলবে না মনে করলে, তাদের প্রেক্ষাগৃহটৃহ সমেত হিন্দি রাষ্ট্রে অভিবাসী হলেই পারেন। কিম্বা আলুপটলের ব্যাবসা ধরতে পারেন। হিন্দির ঘাড়ে চড়ে বাংলা চলচ্চিত্র উন্নয়নের মিথ্যা, বেহুদা ও বজ্জাতি কুতর্ক যেসব ডাব্বাওয়ালারা করে, তাদের জন্য কোন ভদ্রজনোচিত ভাষা আমার স্টকে মজুত নাই।

****************************************

অতিথি লেখক এর ছবি

হলিউডের অনেক "মানসম্মত" ইংরেজি ছবি আমাদের প্রেক্ষাগৃহে দেখানো হয়, তাতে করে বাংলা চলচ্চিত্রের তেমন কোনো উন্নতি হয়নি

হলিউডের এই মানসম্মত সিনেমাগুলো সাধারণত ঢাকার হাতে গোনা ২/৩ টা হলের (চট্টগ্রামে ২/১ টা থাকতে পারে) মধ্যেই সীমাবদ্ধ । এদের দর্শক সংখ্যাও সীমাবদ্ধ । বিতরনের মুল অংশটা মানে বাংলাদেশের মফস্বলের বা ঢাকার মাঝারি মানের সিনেমা হল গুলোর কখনোই হলিউডের সিনেমা কেনার পয়সা ছিলনা । তাছাড়া তাদের অধিকাংশ দর্শকের পক্ষে ইংরেজী বুঝে সিনেমা উপভোগ করা সম্ভব না । হলিউডের সিনেমা দিয়েই বাংলাদেশের সিনেমা হলগুলোর ব্যবসা কিছুটা হলেও ফেরানো সম্ভব হতো, যদি সেগুলো বাংলায় ডাব করে বিতরন করা যেত । ভারতের বেশ কিছু যায়গায় দেখেছি, হলিউডের সিনেমা দামি হলগুলোতে ইংরেজীতে চললেও মাঝারি মানের বা সস্তা হলগুলোতে হিন্দীতে ডাব করে দেখানো হয় । অনেক ক্ষেত্রে দামি হলগুলোতেও হিন্দীতে ২।১ টা শো রাখা হয় । এই বিষয়টা সিনেমা হল মালিকদের চিন্তাভাবনায় আছে কিনা বিষয়টা ঠিক জানি না ।

হিন্দী সিনেমা ডাব করে দেখানোর সাথে পুরোপুরি একমত না । এক্ষেত্রেও হিন্দী এবং বাংলা দুটোতেই প্রচারের ব্যপারটা হলে ভালো হয় । যারা হিন্দী বোঝে তারা হিন্দীতে দেখুক । আর যারা বোঝেনা তাদের জন্য বাংলায় ডাব করে প্রচার করা হোক ।

বলিউড থেকে প্রতি বছর গড়ে ২৫০ টা ছবির মত বের হয় । অধিকাংশ সিনেমাতেই নাচ, গান, হালের সস্তা কমেডি আর মারামারি একটি মুখ্য বিষয় । কনটেন্ট বলতে কিছুই নেই । যা তা স্টোরি লাইন । মাঝে সাঝে ২/১ টা ভালো সিনেমা বের হয় । ভয়ের বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশের সিনেমাহল গুলো ব্যবসার স্বার্থে অধিকাংশ বস্তাপচা সিনেমাই আনবে এবং বাংলাদেশের পাবলিক তাই খেয়ে যাবে । তাই হিন্দী সিনেমা প্রচারের ব্যপারেই সমর্থন নেই । অবশ্য এই ব্যপারে খোঁজ খবর রাখা হয়নি । তাই কিছু প্রশ্ন রেখে যাচ্ছি ।

১। প্রতি বছর কয়টা সিনেমা আসতে পারবে এমন কোন লিমিট সেট করা হয়েছে কি ?
২। কোন কোন সিনেমা আনা হবে সেই সিদ্ধান্ত কে নিবে ?
৩। কোন সিনেমা আসতে পারবে বা পারবে না তার সার্টিফিকেট দিবে কে ?
৪। রুগ্ন প্রেক্ষাগৃহগুলো আদৌ কি ভালো বলিউড সিনেমা কিনতে পারবে ?

===============================================
দস্যু ঘচাং ফু

হিমু এর ছবি

যারা হিন্দী বোঝে তারা হিন্দীতে দেখুক।

যারা হিন্দি বোঝে তারা ভারতে গিয়ে সেখানকার প্রেক্ষাগৃহে হিন্দিতে হিন্দি সিনেমা দেখুক।

অতিথি লেখক এর ছবি

যারা হিন্দি বোঝে তারা ভারতে গিয়ে সেখানকার প্রেক্ষাগৃহে হিন্দিতে হিন্দি সিনেমা দেখুক।

তাহলে কি যারা ইংরেজী বোঝে তারা হলিউডের কোন প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ইংরেজী সিনেমা দেখা উচিৎ ?? বিশ্বের অনেক দেশেই তো ভিন্ন ভাষার সিনেমা চলে ।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এবং গত ১০ বছরে বাংলাদেশের শহুরে সমাজের উপরে হিন্দি প্রভাবের ( আমার কাছে আগ্রাসনই বেশি যুতসই মনে হয়ে ) কথা বিচার করে অবশ্যই হিন্দিতে যেকোন কিছু প্রচার করার ক্ষেত্রেই অবশ্যই ভালো মত ভাবনা চিন্তার প্রয়োজন আছে ।

ভারতীয় পাইরেটেড সিনেমায় বাংলাদেশের বাজার সয়লাব এবং অন্য শহুরে সমাজের অনেক পরিবারেই হিন্দি সিনেমা বিনোদনের একটা বড় উপকরণ । এই অবস্থায় আপনি কি মনে করে ছাড় পাওয়া গুটি কয়েক হিন্দি সিনেমার বাংলায় প্রচার করলেই সমস্যার উপশম হবে । সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বাংলাদেশে অবাধে প্রচারিত ভারতীয় টিভি চ্যানেলের উপর নজরদারী আরোপ করা । পাইরেটেড সিডি / ম্যাটেরিয়ালের উপর কড়া নজরদারী বাড়ানো । বাংলায় ডাব করলে সস্তা মানের হিন্দি সিনেমার তেমন গুনগত পরিবর্তন হবে না । কারন সেগুলো কেবল কোমর দুলানো নাচ, অশ্লীল খিস্তি-খেউড়, মারামারিতে ভরা । ভাষা পরিবর্তন করলেও খুব একটা ক্ষতি নেই । ভাষা পরিবর্তনে সমস্যায় পড়বে মান সম্মত ছবি গুলো । বাজে ডাবিং এর কারণে দর্শক খাবি খাবে । এ জন্যই আমি ব্যক্তিগতভাবে ২ ভাষায় ছাড়ার পক্ষে ।

===============================================
দস্যু ঘচাং ফু

হিমু এর ছবি

তাহলে কি যারা ইংরেজী বোঝে তারা হলিউডের কোন প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ইংরেজী সিনেমা দেখা উচিৎ ?? বিশ্বের অনেক দেশেই তো ভিন্ন ভাষার সিনেমা চলে।

আপনি পোস্টটা মনোযোগ দিয়ে পড়লে এবং বাংলাদেশের কথা মনোযোগ দিয়ে চিন্তা করলে এই কথাটা হয়তো বলতেন না। ইংরেজি বাংলাদেশের দাপ্তরিক ভাষা। অর্থাৎ যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ইংরেজি রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত (রাষ্ট্রের তিন বিভাগেই ইংরেজি চলে)। হিন্দি রাষ্ট্রীয়ভাবে যোগাযোগের ভাষা হিসেবে স্বীকৃত না।

বিশ্বের অনেক দেশে অনেক কিছুই চলে।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ফাইভ পাশ বাঙ্গালীও ইংরেজি জানে। হিন্দি আমরা প্রায় কেউই "জানি" না। অক্ষরজ্ঞান থাকা বাঙ্গালী ইরেজি পড়তে পারে। দেব নাগরী পড়তে পারা বাঙ্গালী পরিসংখ‌্যানের আওতায় পড়বে না।

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

যতদূর বুঝেছি, বাংলাদেশের সিনেমা হলগুলোতে হিন্দী ছবি প্রদর্শন প্রথমত হলগুলোকে রক্ষার জন্য, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে রক্ষার ব্যাপারটা এক্ষেত্রে গৌণ। আমার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী এদেশে এখনো হিন্দী সিনেমা অনেকেই দেখেন, যারা দেখেন তাদের সিংহ ভাগই শিক্ষিত/অর্ধশিক্ষিত এবং মধ্যবিত্ত/নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীভুক্ত। এঁদের হিন্দী ছবি দেখার মাধ্যম প্রধানত ডিস চ্যানেল, অংশত ইন্টারনেট। মুষ্টিমেয় দু-একটি সিনেপ্লেক্স ছাড়া এই দর্শক শ্রেণী হলে হলে ভিড় করে হিন্দী সিনেমা দেখতে হামলে পরবেন, আমার তেমনটা মনে হয় না। যে কারনেই হোক, এখানকার মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে হলে গিয়ে সিনেমা দেখার কালচারটা এখন আর নেই। সেটা কি শুধুমাত্র হিন্দী সিনেমা দিয়ে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে? আমার এ বিষয়ে ঘোরতর সন্দেহ আছে।

বাংলাদেশে যে শ্রেণীর মানুষেরা এখনও সিনেমা হলে গিয়ে ছবি দেখেন, তাঁরা মূলতঃ বাংলা ছবিরই দর্শক। এঁদের জন্য ঢাকা শহর এবং মফস্বল ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের চায়ের দোকানগুলোতে ডিস কিংবা ভিসিডি প্লেয়ার দিয়ে সিনেমা দেখার ব্যবস্থা রাখা হয়। এইসব প্রদর্শনীতে হিন্দী ছবির কোন খাওয়া নাই, বাংলা ছবিরই জয়জয়কার। সুতরাং হিন্দী ছবি এসে হলগুলোকে বাঁচিয়ে তুলবে, এমন আশা করাটাই বোধ করি সঙ্গত নয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

বাংলাদেশের কথা মনোযোগ দিয়ে চিন্তা করলে

বাংলাদেশের কথা মনযোগ দিয়ে চিন্তা করছি বলেই হিন্দি সিনেমা দেশের হলে দেয়ার ছাড়পত্র বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছি । বাংলায় ডাব করার উদ্দেশ্য যদি ভাষার আগ্রাসন ঠেকানোর জন্য হয় তবে আমার মনে হয় না তা খুব একটা কার্যকরী পদক্ষেপ হবে । একেবারেই কার্যকরী হবে না তা কিন্তু একবারের জন্যেও বলছি না । তবে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে, পাড়া মহল্লায় হিন্দি সিনেমার সিডির যেমন প্রসার, তাতে এর প্রভাব চোখে না পড়ার মতই হবে ।

হ্যা, অবশ্যই একটা দীর্ঘমেয়াদী ভালো প্রভাব থাকবে যদি সরকার পাশাপাশি পাইরেটেড হিন্দি সিনেমার বাজারটা বন্ধ করতে পারে ।

===============================================
দস্যু ঘচাং ফু

হিমু এর ছবি

ভাষার আগ্রাসন ঠেকানোর একমাত্র কার্যকরী পদক্ষেপ হিসাবে এই পদক্ষেপ নিতে বলা হচ্ছে না। এই পদক্ষেপ নিতে বলা হচ্ছে চলচ্চিত্র কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে হিন্দিকে স্বীকৃতিদান বিষয়ে তার অবস্থান পরিষ্কার করার জন্য।

অতিথি লেখক এর ছবি

এই পদক্ষেপ নিতে বলা হচ্ছে চলচ্চিত্র কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে হিন্দিকে স্বীকৃতিদান বিষয়ে তার অবস্থান পরিষ্কার করার জন্য।

এই বিষয়ে সাথে ১০০ ভাগ একমত
============================
দস্যু ঘচাং ফু

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাষার আগ্রাসন ঠেকানোর একমাত্র কার্যকরী পদক্ষেপ হিসাবে এই পদক্ষেপ নিতে বলা হচ্ছে না। এই পদক্ষেপ নিতে বলা হচ্ছে চলচ্চিত্র কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে হিন্দিকে স্বীকৃতিদান বিষয়ে তার অবস্থান পরিষ্কার করার জন্য ।

সহমত ।

হঠাৎ করেই আরেকটা প্রশ্ন মাথায় এলো ? হিন্দি না জানার/বোঝার কারণে একটা বড় সংখ্যক বাংলাদেশী দর্শক এখনো হিন্দী সিনেমা বিমুখ । কিন্তু বাংলায় ডাবিং করে দিলে সেই বাধাটা আর থাকছে না । যদি বাছাই করে ভালো সিনেমা আনা যেত তাহলে কোন সমস্যা ছিল না । কিন্তু বাংলাদেশের কতৃপক্ষ সেই কাজ করবে বলে আশা করছি না । নাচ,গানের মত চটকদার বিষয়গুলো বাংলায় ডাব করে দেয়ার পর তাতে মানের কিন্তু কোন উন্নতি হচ্ছে না । বরং বাংলায় ডাব করা অপসংস্কৃতির দর্শক এবং চাহিদা হু হু করে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে ।

==========================
দস্যু ঘচাং ফু

হিমু এর ছবি

আপনার পয়েন্টটা ভেবে দেখার মতো।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

বাংলাদেশের দাপ্তরিক ভাষা দুটি, বাংলা ও ইংরেজি। এর বাইরে অন্য কোনো ভাষার চলচ্চিত্র নিয়ে যদি প্রেক্ষাগৃহ মালিকেরা ব্যবসা করতে চান, সেক্ষেত্রে বাংলায় ডাবিংকে অবশ্যপালনীয় শর্ত হিসেবে রাখা হোক। একই সাথে এ ডাবিং হতে হবে বাংলাদেশের কোনো ডাবিং স্টুডিওতে, এমন শর্তও আরোপ করা হোক।

চলুক চলুক চলুক

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

শিক্ষানবিস এর ছবি

হিন্দি সিনেমা আদৌ আনা উচিত কি-না সে নিয়ে না বলে আপাতত কেবল ডাবিং এর ব্যাপারটা নিয়ে বলি।

মনে রাখতে হবে সিনেমা-টেলিভিশন একটা গণমাধ্যম, তাই এসব ক্ষেত্রে যা করতে হয় তার সবই "গণ" এর কথা মাথায় রেখে করা উচিত। কোনোকিছু প্রচারের আগে তা কার জন্য করছি তা মনে রাখা উচিত। একটা উদাহরণ দিয়ে পরিষ্কার করি। কোনো টিভি অনুষ্ঠানের প্রযোজক যদি মনে করেন তার অনুষ্ঠানটি বাংলার সবার জন্য তাহলে তার নিশ্চয়ই উচিত হবে তার অনুষ্ঠানের পাত্রপাত্রীদেরকে বাংলিশ ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে বলা। কারণ ওরকম বাংলিশ অধিকাংশ মানুষই বুঝবে না। অধিকাংশ মানুষ কিন্তু মহানগরদ্বয়ের মধ্যবিত্ত-উচ্চবিত্ত নয়। এবার সিনেমা প্রসঙ্গে আসা যাক।

সিনেমার মোট দর্শকদের কত শতাংশ হিন্দি ভাষাটি জানে? পরিসংখ্যান জানি না, তাই যৌক্তিক অনুমানের আশ্রয় নিয়ে বলছি: খুব বেশি হলে ১০%। এক দুই বাক্য হিন্দি জানাকে কিন্তু ধরছি না। এক দুই বাক্য জেনে বা পুরোপুরি না জেনেও একটা হিন্দি সিনেমার মশলার স্বাদ ভালই পাওয়া সম্ভব। কিন্তু তেমন দর্শকদের কথা মাথায় রেখে নিশ্চয়ই নীতিনির্ধারণ করা উচিত হবে না। আমি এমন মানুষ দেখেছি যারা হিন্দি সিনেমার মোট সংলাপের মাত্র ৩০-৫০% বুঝেও নিয়মিত হিন্দি সিনেমা দেখে থাকেন। তো এই বুঝার হারটা ১০০% এ উন্নীত করাটা কি উচিত না? তার মানে দাঁড়াচ্ছে হিন্দি সিনেমা এদেশের মানুষকে ভালভাবে বুঝাতে হলে তা মূল হিন্দিতে দেখানোর প্রশ্নই উঠে না।

এখন কেউ বলতে পারেন আচ্ছা হিন্দিতে দেখান আর বাংলা সাবটাইটেল রাখুন; তাতে যারা ১০০% হিন্দি বুঝেন বলে দাবী করে থাকেন তারাও শান্তিতে থাকলেন আর যারা সাবটাইটেল দেখে সিনেমা উপভোগ করতে পারেন তারাও যোগ দিতে পারলেন। কিন্তু এদেশের কত শতাংশ মানুষ দ্রুত সাবটাইটেল পড়ে সিনেমা দেখতে সক্ষম বা ইচ্ছুক? উত্তর আবারও, খুব বেশি হলে ১০%।

প্রথম যখন জার্মানিতে দেখতাম অধিকাংশ হলে ইংরেজি সিনেমা জার্মান ডাবিং করে দেখানো হয় তখন ওদের উপর খুব রাগ হতো। কিন্তু মাথা ঠাণ্ডা হওয়ার পর ভাবলাম, আমার মতো গুটিকতক প্রবাসীর কথা ভেবে ওরা ওদের সিনেমা হল চালাবে কেন? আর তেমন দর্শকদের জন্য ছোটো ১টা হল তো থাকেই। এখন নেদারল্যান্ডে দেখি ইংরেজি সিনেমা ডাবিং করা হয় না (কারণ এদেশের ৮৬% মানুষ ইংরেজি ভালো পারে), কিন্তু সকল অ-ডাচ সিনেমাতে ডাচ সাবটাইটেল রাখা বাধ্যতামূলক। ইংরেজি সাবটাইটেল নেই দেখে ইউরোপের কোনো দেশে বসে ইউরোপীয় সিনেমা দেখার কোনো সুযোগ নেই। ইউরোপের দিকে তাকালে মাতৃভাষা রক্ষার একটা আলাদা প্রেরণা পাওয়া যায়।

তাই আমার মতে হিন্দি সিনেমা মানুষকে বুঝিয়ে দেখাতে হলে বাংলা ডাবিং এর কোনো বিকল্প নেই। আমার মতে, হিন্দি সিনেমা আনতেই হলে অপেক্ষাকৃত ভালগুলো আনা উচিত এবং সেগুলোকে ভালভাবে বাংলায় ডাবিং করা উচিত; উপরি হিসেবে এতে করে হিন্দি-বাংলা রূপান্তরের একটা আলাদা সংস্কৃতিও দাঁড়িয়ে যাবে, সেটাই বা খারাপ কী?

আমার মতে বড় বড় হলগুলোতে সব ইংরেজি সিনেমাও ডাবিং করে দেখানো উচিত। জানি যে দেশের খুবই কম হলে ইংরেজি সিনেমা চলে। কিন্তু বাংলা ডাবিং করা হলে আরো বেশি হলে ইংরেজি সিনেমা দেখানো যাবে। মূল ইংরেজিতে সিনেমা দেখতে চান যারা (যেমন আমি নিজেও) তারা কিন্তু সংখ্যালঘু। বাংলাদেশের ৫% মানুষও ইংরেজি সিনেমা দেখে বুঝার ক্ষমতা রাখে না। তো এই সংখ্যালঘুদের জন্য ছোটো কিছু হল থাকতেই পারে। কিন্তু অধিকাংশ হলে ইংরেজি থেকে বাংলা ডাবিংটা চলুক। ঠিক একইভাবে যারা মূল হিন্দিতে দেখতে চান তারা নিজেদের জন্য ছোটখাট একটা দুইটা হল করে নিন। কিন্তু মূলধারা হোক ডাবিং, কারণ মূলধারার মানুষেরা কেবল বাংলাই জানে, আর কিচ্ছু জানে না।

অতিথি লেখক এর ছবি

হিন্দি সিনেমা আনতেই হলে অপেক্ষাকৃত ভালগুলো আনা উচিত

এই ভালো মন্দের বিচার করার দায়ভারটা যাদের উপর তারা কি আদৌ ভালো-মন্দের ধার ধারে ?? বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মানুষের কথা বাদ দিলাম । ভারতীয় ( ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ) অধ্যুষিত এলাকা ছাড়া ব্রিটেনের অন্যান্য জায়গায় সাধারণত হিন্দি সিনেমা খুব একটা আসে না । পর্দা কঁাপানো সিনেমা আসলেই নামী-দামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রীধারী মেলা গুনীজনকে দেখেছি দেখার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে । জিজ্ঞের করি কি মজা পেলেন দেখে ? উত্তর ঃ "আরে ভাই সারাদিন তো কাজ আর বাসা নিয়ে ব্যস্ত থাকি । তারপর আর জটিল ইংরেজী সিনেমা দেখে মাথায় প্রেসার দিতে ইচ্ছা করে না । হিন্দি সিনেমায় কোন প্রেসার নাই । ৩ ঘন্টা নির্ভেজাল বিনোদন । " হিন্দি সিনেমার দর্শকদের একটা বড় অংশ এই কারণেই হিন্দি সিনেমা দেখে ।

ঠিক একইভাবে যারা মূল হিন্দিতে দেখতে চান তারা নিজেদের জন্য ছোটখাট একটা দুইটা হল করে নিন।

এই পরামর্শটা কি আদৌ বাস্তবসম্মত বলে মনে করেন ?

==========================
দস্যু ঘচাং ফু

মরুদ্যান এর ছবি

ব‌্যবসায়ীরা চিনে টাকা, ডাবিংয়ের ঝামেলায় তারা যাবেনা। আর নীতি নির্ধারকদের মনে হয়না এই ব্যাপারে কোন মাথা ব্যথা আছে। হতাশাবাদী কথা বলতে চাইনা, কিন্তু দিন শেষে তাই হয়।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

অতিথি লেখক এর ছবি

হিন্দি সিনেমা বাংলায় ডাবিং করার একটা বড় চ্যালেঞ্জ হিন্দি সিনেমার গান । প্রতিটা হিন্দি সিনেমায় গড়ে ৬/৭ টা গান থাকে । কোন পরিসংখ্যান নেই তবু ধারনা করছি হিন্দি সিনেমার একটা বড় সংখ্যক দর্শকের কাছে গান সিনেমার একটা মুখ্য বিষয় । বাংলাদেশের ব্যবসায়ী গোষ্ঠি কিংবা নীতিনির্ধারকরা কেউই এই সব ঝামেলার ধার ধারবে বলে মনে হয় না ।

==========================
দস্যু ঘচাং ফু

অতিথি লেখক এর ছবি

নিজ দেশের ছবির মান উন্নয়ন এর দিকে নজর না দিয়ে শুধুমাত্র বিদেশি ছবি বন্ধ করার উদ্যোগ সফল হবে না।মানুষ যেখানে আনন্দ পাবে,সেদিকেই যাবে।তাই আগে দরকার নিজের উন্নয়ন।ধন্যবাদ

nitoldas1971@gmail.com

শিশিরকণা এর ছবি

হিন্দি সিনেমার জাক জমক টুকুই শুধু বাংলা সিনেমার চেয়ে বেশি। কাহিনী অভিনয় মান একই পর্যায়ে। বরং আমি বাংলা সিনেমার ছটকু আহমেদের কাহিনীতে অনেক প্যাঁচ দেখি, বিনোদন দেখি। বাংলায় ডাব করা হলে যেটা হতে পারে, হিন্দি সিনেমাও তখন আসলে বাণিজ্যিক বাংলা সিনেমার সাথেই সমতুল্য এই উপলব্ধিটা আসতে পারে দর্শকের মধ্যে। ডাবিং করে সিনেমা নামানোর ব্যবসাতে নেমে পড়তে পারে হিন্দি সিনেমা কপি করে সিনেমা তৈরি করনেওয়ালারা। মৌলিক সিনেমা বানানেওয়ালারা তাহলে আরেকটা ধারায় থাকবে। দর্শকের যার যেমন রুচি সেদিকে ভীড় করবে।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

অতিথি লেখক এর ছবি

যদি এটা চালু হয় তবে বাংলা চলচিত্রের ভবিষ্যত উন্নতির পথ অনেকটাই সংকীর্ণ হয়ে যাবেস ।
-নাজিয়া ফেরদৌস

ভবঘুরে  এর ছবি

আমি মনে করি বিনোদন আর শিল্পের দুয়ার এখন সারা দুনিয়ায় উন্মুক্ত, সেই অভাগারা ছাড়া যাদের কাছে অনেক প্রযুক্তির আশির্বাদ এখনো পৌছে নি। নিয়ম করে হিন্দি চলচ্চিত্র বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন বন্ধ করে দিলে প্রেক্ষাগৃহের মালিককে আর্থিক মুনাফা থেকে বঞ্চিত করা ছাড়া আর কোনো লাভ হবে না। এতে বাড়বে না বাংলা চলচিত্রের মান, আর যাদের হিন্দি মুভি দেখার, তারা দেখেই নেবে। তাছাড়া অন্য ভাষা অন্য মতবাদের সাথে যত পরিচিতি থাকে, ততই দূর হয় মানুষের সংকীর্ণতা। বাংলাদেশের নাটকের মান যেমন ভারতের তুলনায় অনেক ভালো, এবং মানুষ সেগুলো অনেক দেখে। নাট্যশিল্প এগিয়ে যাচ্ছে কারণ বাংলাদেশের নাটক অনন্য, কাউকে অনুকরণ করা হয় না এতে। অন্যদিকে সিনেমা করা হয় বলিউড হলিউড-এর ব্যর্থ অনুকরণে। হুমায়ুন আহমেদ এর অনেক চলচিত্র কি ভালো ব্যবসা করে নি?

বলিউড-এ কিন্তু এরকমই একটা সমস্যা আছে অ্যাকশন মুভি নিয়ে। রোমান্টিক সিনেমা সেখানে যেমন ভালো ব্যবসা করে, অ্যাকশন মুভি তেমন না, কারণ যারা অ্যাকশন মুভি পছন্দ করে তারা স্পেশাল-ইফেক্ট এ পরিপূর্ণ হলিউড এর শরণাপন্ন হয়। অ্যাকশন মুভি তে আবার গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার জন্য বলিউড এর এধরনের সিনেমার মান আর প্রযুক্তি ইদানিং অনেক উন্নত করতে হয়েছে।

কাজেই নিয়ম করে বাইরের জগতের দিকে আমাদের চোখ বন্ধ না করে বরং বাংলাদেশের সিনেমা কে আরো আকর্ষনীয় করা হোক। তা না হলে বাংলাদেশের চলচিত্রের দৈন্যদশা ঘুচবে না। আর যারা হিন্দি বুঝতে পারে, তারা ডাবিং করা মুভি দেখতে চাইবে না।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।