ফেরা

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: মঙ্গল, ০৮/০৩/২০১১ - ৭:৫৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কনকনে শীতল বাতাস। গলাবন্ধ সোয়েটারেও মানছে না। ঠকঠক করে দাঁতে দাঁত বাড়ি খাচ্ছে। কানমাথা সব ঢাকা আছে তবু এই বেদিশা ঠান্ডায় কাবু হয়ে আছে মুহিব। পকেট থেকে প্রায় চ্যাপটা হয়ে যাওয়া মার্লবরোর প্যাকেট বের করে গুনে দেখলো, মাত্র পাঁচটা বাকী আছে। সামনে যদিও দীর্ঘ রাত, হাতে সময় অল্প, এই পাঁচটাতেই হবে। গত পনের দিন ধরে রাতগুলো যেন সারাজীবন দেখে আসা রাতের চেয়ে অনেক বেশী দীর্ঘতর। সব দুঃসময়ের রাতই দীর্ঘ হয়।

বাবা এখন কি করছে? মায়ের সাথে আবারো ঝগড়া বাধিয়েছে? বাবামার ঝগড়ায় মুহিব মায়ের অন্ধ সমর্থক। তবে আজ যদি সেই ঝগড়ায় উপস্থিত থাকতো মুহিব বাবার পক্ষ নিত। এখনকার ঝগড়ায় বাবার যুক্তি ফেলে দিতে পারে না সে। কারণ বাবার পিঠটা দেয়ালে ঠেকিয়ে দিয়েই এরকম এক অন্ধকার রাতে ঘর ছেড়েছিল সে। সাথে নগদ সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। জমি বিক্রি করে দোকানের মূলধন যোগান দেবার জন্য টাকাটা আলমারীতে তুলে রেখেছিল বাবা।

ভেবেছিল জীবনের প্রথম ও শেষ চুরিটা দ্বিগুন পুষিয়ে দেবে এক বছরের মধ্যে। বাবাকে অবাক করে দিতে চেয়েছিল সে। বাবা নিশ্চয়ই ক্ষমা করে দেবে ক্ষতিপূরন পেলে। দোকানে খাটিয়ে এক বছরে কি সাড়ে তিন লাখ টাকা আয় হতো?

ফোন করলেই মা কাঁদতো। তানিয়ার বিয়ে ঠিক হয়েও ভেঙ্গে গেল টাকার জন্য। বাবা দোকান বিক্রি করে দিয়েছে। দোকান বিক্রির টাকা অর্ধেক উড়িয়েছে মদ খেয়ে। বদমেজাজী হয়েছে আরো। কথায় কথায় চড় লাথি দেয়। দুইবেলার খাবারটা কোনমতে যোগাড় হয় এখনো। আর কদিন পর তাও হবে না, রাস্তায় নামতে হবে। “তুই কবে আসবি, আমি আর পারছি না”।

মায়ের কান্না শুনতে ভালো লাগতো না বলে মুহিব লাইন কেটে দিত আলগোছে।

এক বছরে সাত লাখ টাকা আয় কঠিন ছিল না। আটমাসেই পাঁচ লাখ জমে গিয়েছিল। এদেশ থেকে টাকা পাঠানোর সমস্যা ছিল বলে বছর শেষে সব টাকা নিজের সাথে নিয়ে যাবে বলে ঠিক করে রেখেছিল। মনে মনে বলতো, আর কটা দিন সবুর করো মা। তোমার ছেলে নিজ পায়ে দাঁড়িয়েছে।

কিন্তু আচমকা এরকম আগুন জ্বলে উঠবে কে জানতো। আশপাশের দেশগুলো যখন উত্তপ্ত তখনো বোঝেনি তার আঁচ এত তীব্র হয়ে এখানেও ছারখার করে দেবে। যখন তিউনিসিয়া মিসর ছাড়িয়ে আগুনটা লিবিয়ায় এসে ঢুকলো, এত দ্রুত ঘটে গেল যে কোন সুযোগই পেল না। এক রাতেই সব লুট হয়ে গেল তার মতো আরো অনেকের। সর্বস্ব গেল। পাঁচ লাখের মধ্যে পাঁচটা টাকাও বাঁচাতে পারেনি। প্রায় এক কাপড়ে কোন মতে একটা ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে এসেছিল মরুভূমি পেরিয়ে।

বিনা খরচায় দেশে ফিরতে পারা কম সৌভাগ্যের নয়। সিগারেটে টান দিতে দিতে ভাবলো মুহিব। রাত বারোটা বেজে আরো বিশ মিনিট এগিয়ে গেছে। কোথাও কোন শব্দ নেই। জাহাজের ইঞ্জিনের একটানা গুনগুন শব্দ ভেসে আসছে দূর থেকে। সকাল থেকেই প্ল্যানটা হচ্ছে। ওরা পঁয়ত্রিশজন। সংখ্যাটা আরো বাড়তো। কিন্তু জানাজানি হবার ভয়ে লোক বাড়ানো গেল না আর।

দক্ষ সাঁতারু না হলে কিছুতেই এটা সম্ভব না। মুহিব সাঁতারে দক্ষ না। কিন্তু উপায় নেই। শেষ চেষ্টা করে দেখতে হবে। ‘ফেরা’ আর ‘না ফেরা’ মধ্যে বেছে নিতে হবে একটা। মুহিব শেষটাই বেছে নিল।

আধাঘন্টা পর কনকনে বাতাসের শীষের সাথে আরো কিছু ফিসফাস যুক্ত হলো জাহাজের পেছনদিক থেকে। বাতি নেবানো এই অংশে। কয়েকজনের পরনে লাইফজ্যাকেট। রাত একটা বাজে। দেরী করা যাবে না আর।

ঘুমন্ত জাহাজটির কয়েকশত যাত্রী, নিরাপত্তাকর্মী আর নাবিকের কেউ জানলো না পঁয়ত্রিশজন অকুতোভয় দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া তরুণ ভূমধ্যসাগরের বরফশীতল জলে লাফিয়ে পড়েছে দেশে না ফেরার কঠিন প্রতিজ্ঞায়।

১৮ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হলো পরদিন। ১৫ জনকে খুজে পাওয়া গেল না। আর যে দুজন ভেসে উঠলো মুহিব তাদের একজন।

চারকোনা কাঠের বাক্সের ভেতর শুয়ে বদরাগী বাবার অসহায় কাঁধে চড়ে বাড়ী ফিরছে মুহিব। বাবার কাঁধটা আজ এত চওড়া লাগছে!

তিন বছর বয়সেই শেষবার বাবার কাঁধে চড়েছিল। আর কখনো বাবার কাঁধ ছোঁয়া হয়নি। এখন চাইলেই হাত বাড়িয়ে বাবার কাঁধটা ছুঁতে পারে। কিন্তু হাত দুটো বরফের মতো জমে আছে বলে বাড়াতে পারলো না সে।


সুত্র


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

বাস্তবতার এমন নিরেট পাথরে মাথা ঠুকে যাবার যন্ত্রণা বুঝবার ক্ষমতা আমার নেই....শুধু প্রার্থনা যেসব পরিবারগুলোর উপর দিয়ে এমন নিষ্ঠুর ঝড় বয়ে গেলো তাদের বইবার শক্তি যেন দান করেন আকাশের ঈশ্বর!

-আয়নামতি

নীড় সন্ধানী এর ছবি

যন্ত্রনাটা অনুভব করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

তিথীডোর এর ছবি

কিছু বলার নেই..........

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নীড় সন্ধানী এর ছবি

মন খারাপ সত্যই নেই

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

নীড় সন্ধানী এর ছবি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ সাফি।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

কৌস্তুভ এর ছবি

মন খারাপ

কিন্তু একটা জিনিস বুঝলাম না, মুহিব বাড়িতে ফিরতে চায় না কেন? মাঝের ওই অংশটা কিছুটা অস্পষ্ট রয়ে গেল। টাকা রোজগার না করে বাড়িতে ফিরতে চায় না, এই জন্য কী? কিন্তু এই পরিস্থিতে যে ওখানে উপার্জনের কিছু সুবিধা হবার আশা নেই সেটাও তো বোঝা যাচ্ছে।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

মুহিব বাড়ি থেকে বাবার সাড়ে তিনলাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে বিদেশে গিয়েছিল। বাবার টাকাটা ফেরত না নিয়ে দেশে ফিরে অনাহারী পরিবারকে কি দেবে? দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া মুহিব তাই আরো কয়জনের সাথে আইওএম এর জাহাজ থেকে লাফিয়ে পড়েছিল।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

কৌস্তুভ এর ছবি

হুম সেইরকমই মনে হচ্ছিল, কিন্তু জানি না, বিদেশে এই অশান্ত সময়ে কি টাকাটা রোজগারের কোনো পথ থাকছে মুহিবদের জন্য?

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

এটা শুধু টাকা রোজগারের ব্যাপার নয় আসলে। যাঁরা নিজেদের সর্বস্ব খরচ করে মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি জমান তাদের অনেকেরই এমন মনোভাব থাকে। বাড়ি ফিরতে চান না, পারবেন না বলে হয়তো। দেশে গিয়ে কী করবেন? কার কাছে যাবেন, কী করে মুখ দেখাবেন, করবেনটা কী? এই অসহায়ত্বগুলো থেকে যায়। তবু তোমার কথাটা আমিও ভাবি, বিদেশে যখন এমন হয়, তখনো কি আর দেশে ফিরে গেলে এর থেকেও খারাপ কিছু হতে পারে? বা এটা নিজের দেশ, এখানে কেন কুলি-মজুর খেটে হলেও পেট চালানো যাবেনা? নতুন করে সবকিছু আবার শুরু করা যাবেনা? সামাজিক অপমানটা বেশি ভয় করে হয়তো মানুষ।

তবে যখন দেশ থেকে সর্বস্ব খরচ করে সম্পূর্ণ ভিন্ন এসে আরেক দেশে এসেও তিলে তিলে পরিশ্রম করে অর্জন করা সর্বস্ব খুইয়ে ফেলে কেউ, তখন মনে হয় মানসিক ভারসাম্য নিয়েও কিছু প্রশ্ন আসে। না হলে এমন ডেসপারেট হতে পারাটা অবাক করে। আসলে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে মানুষ অনেক কিছুই করে ফেলতে পারে যা এমনিতে তার পক্ষে সম্ভব নয়।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

চমৎকার ব্যাখ্যাটার জন্য অশেষ আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

কৌস্তুভ এর ছবি

চলুক

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

এই খবরগুলো খুব কষ্ট দেয়। এক তো অনেকে আটকে পড়েছেন, দেশের পররাষ্ট্রনীতির আর অপ্রতুল সাহায্যের অভিযোগ তুলছেন, অন্যদিকে এমন অসহায় কিছু মানুষ আছেন, যাদের পক্ষে দেশে ফিরে আসাটা আরো বড় কষ্টের।
গল্পটা গল্প হিসেবে ভালো লেগেছে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

দুতাবাস না সরকার কার আলস্যে আটকে পরা শ্রমিকেরা নিদারুণ কষ্টে আছে বুঝতে পারছি না। কিন্তু পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়কে এর দায় নিতে হবে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

হুম, সেটাই। কিন্তু সেটা পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় কতটুকু বুঝছে, কী রকম পদক্ষেপ নিচ্ছে, সেগুলো পরিষ্কার নয়। আর এগুলো থেকে ভবিষ্যতে এরকম আর কোন ঘটনা ঘটলে কীভাবে তা সমাধান করা যাবে, তা নিয়েও তো পলিসি ঠিক করার কাজ রয়েছে।

অ.ট. এই মন্তব্যটা আসলে আলাদা হবার কথা ছিল, কৌস্তুভের মন্তব্যের জবাবেই থেকে গেছে বুঝলাম না কেন।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

সাফি এর ছবি

চমৎকার লাগলো।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ সাফি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অতিথি লেখক এর ছবি

...............................
ঈশ্বর পৃথিবীর সব মানুষকে শান্তিতে রেখো।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

মন খারাপ

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

মনটা বড্ড খারাপ হয়ে গেলো। এই কি দেশের জন্যে দানের প্রতিদান?

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

নীড় সন্ধানী এর ছবি

কতোটা নিরুপায় হলে মানুষ জীবনের মায়া ত্যাগ করে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

অসাধারণ লেখাটি মমতায় আর্দ্র হয়ে হৃদয়ের কোল ঘেঁসে ছড়ালো দীর্ঘশ্বাস কিছু।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

হ্যাঁ দীর্ঘশ্বাসই...........

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

ভালো আছি এর ছবি

মন খারাপ

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

বলার মতো কিছু কি আছে....

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

নীড় সন্ধানী এর ছবি

নাহ, কিছু বলার নাই

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

নীড় সন্ধানী এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

guest এর ছবি

ভারী ভালো লাগলো লেখাটি। শেষটা কি রকম হবে তা কিছুটা আন্দাজ করা গেছিলো, কিন্তু তার পরেও খুব ভালো।

-নিলম্বিত গণিতক

তাসনীম এর ছবি

গল্পটা কালকেই পড়েছি, খবরটা দেখেছিলাম আগে। বলার কিছুই নেই মন খারাপ

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

নীড় সন্ধানী এর ছবি

এই দুদিনে আরো দুঃসংবাদ যোগ হয়েছে মন খারাপ

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অতিথি লেখক এর ছবি

শেশটা পড়ে চোখে পানি চলে এসেছে।
বাস্তব বড় নিষ্ঠুর। এর থেকে কবে কে নিস্তার পেয়েছে???

বন্দনা

নীড় সন্ধানী এর ছবি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি কি আমুর বন্দনা?

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অতিথি লেখক এর ছবি

জ্বী দাদা।
আপনার লেখা কোথাও মিস করিনা পারতঃপক্ষে। ভাল থাকুন।

বন্দনা

অতিথি লেখক এর ছবি

ঘ্যাচাং

নীড় সন্ধানী এর ছবি

দীর্ঘ এবং বিস্তারিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমার খবরের সুত্রমতে আইওএম বাংলাদেশীদের প্রত্যাবর্তনেও কাজ করছে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অতিথি লেখক এর ছবি

আরে দুর নীড়দা, আর কাঁদাইয়েন নাছে ...............

- বুদ্ধু

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার লেখাটি প্রকাশের একঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে চুরি করা হয়েছে। নীচে দেখুন।

http://www.somewhereinblog.net/blog/rabbykhan9/29340706

খন্দকার আলমগীর হোসেন

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।