নীড় সন্ধানী এর ব্লগ

চাটগাঁ থেকে ঝটিকা যাত্রায় দ্রুততম বইমেলা দর্শন

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: সোম, ০৮/০২/২০১০ - ৪:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নানান কাজের যন্ত্রনায় বইমেলায় যেতে পারিনি বেশ কবছর। চাটগাঁ থেকে যথেষ্ট সময় নিয়ে না গেলে পোষায়ও না। কিন্তু গেল শনিবার ঘুম থেকে উঠে দুম করে সিদ্ধান্ত নিলাম চাকরীবাকরির গুল্লি মারি, আজকেই ঢাকা যাবো। হয় আজ, নয়তো কোনদিন না।

সেদিন অফিস পুরোদমে খোলা। অফিসে না গিয়ে সকাল নটায় সিদ্ধান্ত নিলাম যে দশটার সময় আমি ঢাকা রওনা হতে চাই, যে কোন মূল্যে। কঠিন সিদ্ধান্তটা কিন্তু নিয়েছি বাস ট্রেনের ...


কালো আমার কালো ওগো কালো ভূবন ভরা

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: মঙ্গল, ২৬/০১/২০১০ - ৫:১৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একদিন সবকিছুই ধূসর হয়ে যায়। মানুষ, গাড়ী, বাড়ী, উদ্ভিদ, প্রানী, সম্পর্ক, অনুভুতি সবকিছুই। ধূসরতার গভীরতা বাড়তে বাড়তে কৃষ্ণগহবরে হারায় সকল বর্নচ্ছটা। কৃষ্ণগহ্ব থেকে কখনো কি আলোর উত্থান ঘটে? যে আঁধার আলোর অভাবে ঘটে, সেখানে আবারো বর্ন দেখার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু যে আঁধার কেবলই আঁধার, সেখানে নিকষ কালো বাদে অন্য কোন বর্ন নেই।

অন্ধকারের রং কি? কালো কি একটা রং নাকি আলোর অভাব? কালোতে আলো ...


জলদোদয়

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: বুধ, ২০/০১/২০১০ - ৫:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যবনিকা

ধুপ করে ছোট্ট একটা আওয়াজ করেই গুলিটা আশ্রয় নিল আবু রেজার বাম বুকে। রক্তের একটা কালচে ধারা নামছে শার্টের পকেট বেয়ে। বৃষ্টির জলে সয়লাব পুরো শরীর। চাদরে ঢাকা মাথাটা একপাশে এলিয়ে পড়লেও রেজার চোখে মুখে যন্ত্রনার কোন ছাপ বোঝা গেল না পার্কের অন্ধকারে। গুলিটা কতখানি উপভোগ্য ছিল তাও জানার উপায় নেই। ঘড়িতে দশটা বাজার সংকেত দিল কোথাও। ঘাতক আদু শেখ জীবনে কয়েক ডজন খুন করলেও এই প্রথ...


ঘৃনার মিনার বানালে কি আমি দেশদ্রোহী হবো?

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৭/১২/২০০৯ - ৩:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এবারের বিজয় দিবসের শুরুটা ভালো হয়নি আমার। দিবসের প্রথম প্রহরেই আমার অনিচ্ছুক একটা ঘন্টা কাটাতে হয়েছে এক জামাতী টাকার কুমীরের সাথে। লেনদেনটা আর্থিক, বিষয়টা পারিবারিক, অর্পিত দায়িত্বে আমি। ফলে রাজাকারটার সাথে তর্ক করে বিজয় দিবসের ছুটিটা নষ্ট করতে হয়েছে। সকালের বিজয় র‌্যালীটাও মিস করলাম।

দুপুরে খেয়েদেয়ে ক্যামেরা ঝুলিয়ে বেরুলাম। আউটার ষ্টেডিয়ামে ধুলো মাখা বিজয় মেলা ঘুরে ঘ...


একটি সাধারন সাম্পান ভ্রমন ও একটা প্রাক-বিজয় দিবস ভাবনা

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: মঙ্গল, ১৫/১২/২০০৯ - ১:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সাম্পানের যুগ নেই এখন। একসময় কর্নফুলী নদীটা সাম্পানে সাম্পানে সয়লাব ছিল। দিনগুলো আর নেই আগের মতো। সেই সাম্পানযুগে একবার কয়েকবন্ধু দুপুরবেলা এসে জানালা দিয়ে ডাক দিল, "ওই শোন, সাম্পানে চড়ে কর্নফুলী বেড়াবো, যাবি? কেঁককুঁররুত কেঁককুঁররুত........"

আবার জিগায়!! স্যান্ডেলটা পায়ে দিয়ে দরজাটা খুলে এক দৌড়ে সঙ্গী হলাম ওদের।

সাম্পানে চড়ার মজাই আলাদা। ওই যাত্রাগুলোর কোন গন্তব্য ছিল না। কেব...


'ঘুম যা' ক্লাস

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: সোম, ০৭/১২/২০০৯ - ৩:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মহিউদ্দিন স্যার বাংলা পড়াতেন ক্লাস সেভেনে। খানিকটা পাগল কিসিমের মানুষ। মুখ ভেংচিয়ে ধমক দিতেন বলে কেউ কেউ আড়ালে ডাকতো 'মুখবেকু'। পুর্নিমার চাঁদের মতো গোল স্কুলের পিতলের ঘন্টাটা ঝুলানো থাকতো দোতলায় ক্লাস সেভেনের জানালার সামনে। আর ক্লাসরুমের জানালায় ঘন্টা পেটানোর হাতুড়িটা রাখা থাকতো। বেতের বদলে ওই কাঠের হাতুড়িটা মাঝে মধ্যে আছড়ে পড়তো ক্লাস সেভেনের দুষ্ট বালকদের পিঠে।

ক্লা...


অমূল্য মাষ্টারের বিয়েটা আমাদের কখনোই খাওয়া হয়নি

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: শনি, ২১/১১/২০০৯ - ১২:৫০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অমূল্য মাষ্টারকে বহুদিন পর মনে পড়লো।

ব্যাপক সিনেমা পাগল অমূল্যচন্দ্র ম্যানোলা কোম্পানীর চাকরীর পাশাপাশি টিউশানিও করতো কয়টা। তার মধ্যে একটা আমাদের বাসা। তরুন অকৃতদার এই লোক 'অমূল্য মাষ্টার' হিসেবে পরিচিত ছিল এলাকায়। লজিং থাকতো আমাদেরই এক প্রতিবেশীর বাসায়। লোকটা বড়দের কাছে রসিক মানুষ হলেও ছোটদের যম ছিল।

আমি তখন ক্লাস নাইনে পড়ুয়া বলে আমি পড়তাম না তার কাছে, ফলে তার বেত আমাকে ...


ছয় টাকার চাকরী, চুয়ান্ন টাকার খেসারত

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: বুধ, ১১/১১/২০০৯ - ৩:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যেনতেন একটা চাকরী পেতেও কত যুদ্ধ, কতরকম নাকানিচুবানি খেতে হয় মানুষের। অথচ আমরা দুইবন্ধুতে মিলে সাড়ে তিনটাকা বাসভাড়া আর আড়াই টাকার কাগজ খামের খরচ দিয়ে চাকরী বাগিয়ে ফেলেছিলাম। শায়েস্তা খানের আমলে নয়, মাত্র সোয়াযুগ আগে নব্বই দশকের মাঝামাঝিতে। তবে ছয়টাকা ব্যয় করে চাকরী পাওয়াও ব্যাপার ছিল না।

ব্যাপারটা হলো ওই চাকরীটা পেতে আমাদের আরো চুয়ান্ন টাকা খরচ করতে হয়েছিল। সেই বাড়তি চুয়া...


এক অচেনার হাতপাখার বাতাস, একুশ বছর পরেও.....

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: সোম, ০৯/১১/২০০৯ - ১২:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভয়ানক গরম পড়ছে আজ। জ্যৈষ্ঠের কাঠফাটা দুপুর। ক্লাস শেষে কোনমতে ষ্টেশানগামী শেষ বাসটা ধরে ঝুলে পড়লাম। ষ্টেশানে এসে দেখি ট্রেনে ঠাসাঠাসি ভীড়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুপুর দেড়টার ফিরতি ট্রেনের যাত্রাটা মোটেও সুখকর নয়, বিশেষ করে এই দাবদাহে। কোন বগিতেই সুঁচ ঢোকার জায়গা নেই। বগির পাদানি গুলো পর্যন্ত দুজন করে বসে দখল করে রেখেছে। হ্যান্ডেল ধরে ঝুলে যাবার আশাও মাঠে মারা গেল।

ব...


চট্টগ্রামের লেইঙ্গা মাষ্টারঃ যাকে আমরা ভুলে গিয়েছিলাম!

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: মঙ্গল, ১৩/১০/২০০৯ - ৪:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৯১০ সালের দিকে চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল স্কুলের অষ্টম শ্রেনীর এক মেধাবী ছাত্র যাদববাবুর পাটীগনিতের একটা অংক নিয়ে সমস্যায় পড়লো। স্কুলের কোন শিক্ষকই অংকটির সমাধান করতে পারলেন না। ছেলেটি থাকতো আগ্রাবাদের ছোটপুল এলাকায়। শেষ চেষ্টা হিসেবে সে প্রতিবেশী এক অংক পন্ডিতের কাছে গেল সমস্যাটি নিয়ে, তিনিও বহু চেষ্টা করে সমাধান করতে পারলেন না।

কিন্তু একটা গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত দিলে...