নীড় সন্ধানী এর ব্লগ

অপাংক্তেয় প্রাণ

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: রবি, ২৭/০৩/২০১১ - ৩:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চাঁদের আলো নিয়ে জন্মেছিল সে। হতদরিদ্র পরিবারেও উজ্জ্বলতা আর আনন্দের হাওয়াই মিঠাই উড়িয়েছিল। কচুঘেচু খেয়েও ফর্সা সুন্দর স্বাস্থ্যবান শরীরের শিশু। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সমস্যার উৎপত্তি। চার পাঁচ বছরে এসেও বুদ্ধি শুদ্ধির লক্ষণ নেই। দশ বছর পেরিয়ে গেলেও অবুঝ শিশু রয়ে যায়। মায়ের কোলে কোলে ঘুরতে চায়। ডাক্তার বৈদ্য দেখানোর পর বিষন্ন পিতামাতা জেনে যায় ছেলে জন্ম প্রতিবন্ধী, চিকিৎসায় ফল নেই।


ঢাকা, ২২৮০ সাল

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: বুধ, ২৩/০৩/২০১১ - ৯:৫৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[i]-এক থাপড়ে চোপা খুলে ফেলবো হারামজাদা বেয়াদ্দপ কুনহানকার!!!
-এক্ষন তোরে ঘাড় চাইপা ধইরা লাত্থি দিমু মাঙ্গের পো, তোর বাপের দিন্না আসমান পাইসস? যা সর সামনে থেক্যা!!!!
- যা ব্যাটা! আমি সরুম কা? তোর দরকার হইলে উপর দিয়া চইল্যা যা, নইলে নীচে দিয়া হান্দা, আমার এহানে প্যাসেঞ্জার নামবো.....


তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: শনি, ১২/০৩/২০১১ - ১:১২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তোমার কাছ থেকে সজ্ঞানেই দূরে থাকি। তোমাকে না দেখেই দিনটা কাটাবার চেষ্টা করি। আমাকে তুমি চাও না, তাতে আমার আক্ষেপ নেই। আক্ষেপ একটাই তুমি কখনো বিশ্বাসই করলে না কতোখানি ভালোবাসি তোমাকে।


ফেরা

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: মঙ্গল, ০৮/০৩/২০১১ - ৭:৫৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কনকনে শীতল বাতাস। গলাবন্ধ সোয়েটারেও মানছে না। ঠকঠক করে দাঁতে দাঁত বাড়ি খাচ্ছে। কানমাথা সব ঢাকা আছে তবু এই বেদিশা ঠান্ডায় কাবু হয়ে আছে মুহিব। পকেট থেকে প্রায় চ্যাপটা হয়ে যাওয়া মার্লবরোর প্যাকেট বের করে গুনে দেখলো, মাত্র পাঁচটা বাকী আছে। সামনে যদিও দীর্ঘ রাত, হাতে সময় অল্প, এই পাঁচটাতেই হবে। গত পনের দিন ধরে রাতগুলো যেন সারাজীবন দেখে আসা রাতের চেয়ে অনেক বেশী দীর্ঘতর। সব দুঃসময়ের রাতই দীর্ঘ হয়।


বিশ্বকাপে চট্টগ্রামঃ নগরসজ্জা, বাঘমামা, বাঘমামী ইত্যাদি হাবিজাবি কথন

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: শনি, ০৫/০৩/২০১১ - ৪:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

টাইগারপাসে তিনটা বাঘমামা কিংবা মামীকে কে রাস্তার আশেপাশে সেট করে দেয়া হয়েছে। যদিও এই বাঘ চট্টগ্রামে কখনো দেখা যায়নি। চট্টগ্রামের বাঘ চিতাবাঘ। এই বাঘ সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার। হোক ভিন্ন জেলার বাঘ। বাংলাদেশেরই তো। তবে যিনি এই বাঘের শিল্পী তিনি সম্ভবতঃ সুলতানের ধারা অবলম্বন করতে চেয়েছিলেন ভাস্কর্য তৈরীতে। শিল্পী সুলতানের চিত্রকর্মে মোটাসোটা পেশীবহুল নরনারীর প্রাচুর্য লক্ষনীয়।


অপ্রীতিকর

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: সোম, ২৮/০২/২০১১ - ৪:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

টাকাটা ভীষণ ময়লা। লোকটাও। আপাদমস্তক নোংরা একটা লোক ততোধিক নোংরা একটা নোট বাড়িয়ে দিচ্ছে তাকাতেও গা ঘিনঘিন করছে। টাকাটা নোংরা হলেও মূল্য তার নতুন নোটের মতোই। জমিরুদ্দিনের মাথায় ব্যাপারটা গোলমেলে ঠেকে। মানুষ নোংরা হলে তাকে আমরা ঘরের ত্রিসীমানায় ঢুকতে দেই না, আর ময়লা টাকা অবাধে বুক পকেটে নিয়ে ঘুরি। মানুষ আর টাকা দুটোর মধ্যে টাকারই জিত। যদিচ টাকা মানুষের সৃষ্টি, কিন্তু সৃস্টিকর্তার চেয়ে সৃষ্টির মূল্য ব


আড়িয়াল বিলে পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকার গবুচন্দ্রীয় স্বপ্ন

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: মঙ্গল, ০১/০২/২০১১ - ৯:২৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক. আবদুইয়ার মাথাটা সারাবছরই নড়বড়ে থাকে। আর শীতকাল আসলে তো একদম চরমে। তার মুখ দিয়ে যেসব শব্দ বের হয় সে তুলনায় রাস্তাঘাটে শুনতে পাওয়া দৈনিক খিস্তিগুলি নিতান্তই নিরীহ। আবদুইয়ার চোখে চোখে তাকালেই সে ধরে নেবে আপনি তার গালির খদ্দের এবং খদ্দের সন্তুষ্টির জন্য তেড়িয়া হয়ে উঠবে সে...... সুতরাং তার চোখে চোখে কেউ তাকায় না। নিরাপত্তার খাতিরে আবদুইয়াকে রাস্তার যেপাশে দেখি আমি তার বিপরীত দিকে চলে যাই।


জাপানীজ ওয়াইফঃ একটি চট-সমালোচনা

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: রবি, ৩০/০১/২০১১ - ১২:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
'জাপানীজ ওয়াইফ' দেখলাম সেদিন। অপর্না সেনের ছবি। ছবিটা নামিয়ে রেখেছিলাম আগেই। দেখা হয়নি এদ্দিন। সিনেমাটা আমাকে যে দুটো কারণে আলোড়িত করেছে তার একটি হলো ঘুড়ি। ঘুড়ি জিনিসটা স্মৃতি জাগানিয়া।


মাছি

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: সোম, ২৪/০১/২০১১ - ৯:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাছিটা খুব বিরক্ত করছে। চারদিকে জানালা দরজা সব বন্ধ। কোত্থেকে এই নচ্ছার মাছিটা এসে আমার নাকের ডগায় বসতে চায়। প্রথমে পাত্তা দেইনি। কিন্তু ক্রমাগত নাকের উপর মাছির পদাঘাতে নাকটা সুড়সুড় করছে। মাছিটা এত জায়গা থাকতে নাকের ডগাটাকে টার্গেট করলো কেন বুঝতে পারছি না।

শোঁওওওও করে উড়ে এসে নাকের ঠিক ডগার মধ্যখানে ল্যান্ড করছে। গালে বসলে নিজে চড় খেয়েও মাছিকে কাবু করা যেত। এখন তা সম্ভব না। মাছি তাড়াতে এক রাজার নাক কেটে ফেলেছিল তার প্রহরী। রূপকথার গল্প মনে পড়লো। তবু দুদুবার থাবড়া মেরে নাক ব্যাথা করে ফেলেছি, কিন্তু মাছিটার কিচ্ছু হলো না।


ঘর হইতে শুধু তিন পা ফেলিয়া, যেখানে যাইতে হয় হাঁটিয়া

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: সোম, ০৩/০১/২০১১ - ৩:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বেড়ানোর সুশীল জায়গাগুলোতে অরুচি ধরে গেছে। কক্সবাজার, রাঙামাটি বান্দরবান, সেন্টমার্টিনের কথা শুনলেই গা গুলায়। এত এত মানুষের ভীড় যেন বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছি। যুতসই জায়গা খোঁজার জন্য গুগল আর্থের সহায়তা নিলাম। চট্টগ্রামের আশেপাশে হাতের নাগালে মানুষ যেখানে যায় না সেরকম অজনপ্রিয় একটা গন্তব্যের জন্য খোঁজ দ্য সার্চ লাগিয়ে প্রায় ঘরের কাছেই ৫০ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে পছন্দ করে ফেললাম ...