উষ্ণ এই দিনে

হযবরল এর ছবি
লিখেছেন হযবরল (তারিখ: বুধ, ০৬/০২/২০০৮ - ২:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথমেই আমার ভাতিজি কে স্বাগতম জানাই এই বসন্ত আগমনী দিনে। পিয়াল এবং পিয়ারী দুজনেই তরতাজা থাকুন, শুভেচ্ছা নবসন্তানতৃত্ব পাওয়া দম্পতিকে।

লাঞ্চ খেতে আজ জাপানীজ রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম। হিবাশী রাইস সাথে গ্রিলড টেরিয়াকি চিকেন। সয়া সস একটু কম দিতে বলেছি, তাতে পেট ঠান্ডা থাকে। খাওয়াটা বেশ হয়েছে। অবশ্য খাওয়া ভালো না হলে খবরই ছিলো, কারণ রওয়ানা হবার সময় দেখি ১৫ ডলারের পার্কিং টিকেট খেয়েছি। মেশিন শপের পার্কিং লটে গাড়ী ছিলো। ওটা ফ্যাকাল্টি/স্টাফ পার্কিং । কিন্তু মজা হচ্ছে শুধু দুটো গাড়ীকেই টিকেট দিয়েছে, অন্যদের দেয়নি। সূত্র মারফত জানলাম কেউ একজন স্পেসিফিক্যালি আমার গাড়ীর নম্বর উল্লেখ করে পুলিশে ফোন দিয়েছিলো। মেশিন শপের এক স্টাফ চেষ্টা করেছে কিন্তু টিকিট দেওয়া আটকাতে পারেনি। কে এরকম করতে পারে ? এটাই আমার প্রথম পার্কিং টিকেট। ঈশ্বরের কোন খাস পেয়াদা হবে হয়তো, কিংবা শয়তানের ণওকর। বজ্জাত হাড়গিলে, চিমসে কাঠঠোকরা।

রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে দেখি, আকাশ জুড়ে ধবল মেঘেরা পায়চারি করছে। বাজে ধরণের ঠান্ডা গায়েব, উষ্ণ এবং ওমদায়ক বাতাস। এটা বসন্তের অগ্রগামী সংকেত। ঠিক এই সংকেত চিনতে আমার কখনোই ভুল হয় না। বসন্ত আসতে দেরী আছে, কিন্তু খবর পাঠালো সে আসবে এবং নিশ্চিতভাবেই সে আসবে। গাড়ীটা এবার এনে রেখেছি একটা প্রাইভেট ডর্মের পার্কিং লটে, ওদের ট্যাগ আমার আছে। যেখানে রেখেছি সেখান থেকে একটা গাড়ি টো করে নিয়ে গেলো ক্ষণিক আগে। পিছনে হুড়কো লাগিয়ে, রাস্তায় নাক দিয়ে খত দিতে দিতে। কি বিষণ্ণ এবং বেদনাদায়ক সব নৈমত্তিক ঘটনা ঘটে চলেছে, অসাধারণ বসন্তবার্তার দিনে। একটা দিন হুট করে কখনো থেমে যায়না, বসন্ত অনলে। বড়ই অদ্ভুত জীবনাচরণ।


মন্তব্য

সুমন চৌধুরী এর ছবি

কোন হালায় তুমারে ফাসাইসে পাতা লাগাও....



ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

দ্রোহী এর ছবি

হযু, কতদিন পরে তোমার লেখা পড়লাম। কেমন চলছে সবকিছু?


কি মাঝি? ডরাইলা?

কনফুসিয়াস এর ছবি

হযু ভাইয়ের আগমন,
শুভেচ্ছা স্বাগতম।
-----------------------------------
যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

নিঘাত তিথি এর ছবি

হাজার বছর পরে হযু ভাইয়ের লেখা সচলে পড়ে কি যে আনন্দ হচ্ছে... ওই ব্যাটা বজ্জাত হাড়গিলেকে ধন্যবাদ, নইলে হয়ত এই লেখাটা লেখা হত না!
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হযু দা শুনছিলাম গন্দম পান করছে। ঘটনার সত্যতা কতটুকু?
আপনাদের ওদিকে শুনলাম ফাটাফাটি গরম পড়েছিলো কাল।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

ঈশ্বরের কোন খাস পেয়াদা হবে হয়তো, কিংবা শয়তানের ণওকর। বজ্জাত হাড়গিলে, চিমসে কাঠঠোকরা।

খাসা গালি।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

হিমু এর ছবি

চোখকান খোলা রাখেন। আপনারও দিন আসবে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

সৌরভ এর ছবি

পায়ে হাঁটা ধরতে পারেন।

হিবাশি রাইস কী জিনিষ?
হায়াশি রাইস হইতে পারে। এইসব অখাদ্য সখ কৈরা লোকে খায়?


আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

মাশীদ এর ছবি

আহ! হযুদা! কত্তদিন পরে আপনার লেখা পড়লাম! আহ!
বসন্তের অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে!
আসলেই...নিত্য-নৈমেত্তিক ঘটনাগুলো আসলেই বেরসিক। বসন্তদিনগুলোর বারটা বাজায় খামাখাই!


ভাল আছি, ভাল থেকো।


ভাল আছি, ভাল থেকো।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।