এসেছি ফাঁসির দাবী নিয়ে

জুন এর ছবি
লিখেছেন জুন [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৭/০২/২০১৩ - ৯:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লেখাটি গতকাল দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু পারিনি। একাত্মতা জানিয়েছি আন্দোলনের শুরুতেই। সশরীরে যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করছি থাকার। কয়েকটি জিনিস লক্ষ্য করলাম। হয়তো আমার দৃষ্টিভঙ্গিটা ভুল, অন্য কোনও দিক থেকে দেখলে অন্যরকম দেখাবে; এটা শুধুই আমার কাছে যা মনে হয়েছে সেটা বলছি। আশা করি কেউ ব্যক্তিগত ভাবে নেবেন না।

এখন পর্যন্ত মোটামুটি ভাল ভাবে এগোলেও, কিছু জিনিস খেয়াল রাখা উচিৎ বলে মনে হলো আমার কাছে -
১) সিকিউরিটি - আজকেই শুনলাম শিবির ধাওয়া করা শুরু করেছে। আজ হোক কাল হোক শিবির-জামাত আক্রমণ করবেই। এখন যে ভাবে জমায়েত হচ্ছে তাতে পরে পরে মার খাওয়া ছাড়া কিছু করার থাকবেনা। অন্ততঃ যেন আগে থেকে খবর পাওয়া যায় সেজন্য কয়েকটি ওয়াচ টাওয়ার বসানো উচিৎ বলে মনে হয়েছে।

২) কেন্দ্র হিসেবে শাহবাগ না নিয়ে শহীদ মিনার অথবা অন্য কোনও খোলা স্থান নির্বাচন করা উচিৎ ছিল মনে করি। কিন্তু শাহবাগ যখন হয়েই গেছে, এখান থেকে এখন সরে গেলে পুরো ঘটনাটাই অন্য রকম হয়ে যেতে পারে। অন্তত আমি যে কয়জনের সাথে কথা বলেছি তাঁরা তাই মনে করেন। এখন কথা হচ্ছে এইরকম একটা গুরুত্বপূর্ণস্থান কতদিন অচল করে রাখা সম্ভব। পুলিশের সাথেই গণ্ডগোল লেগে যেতে পারে। আর তাঁরা যে জামাতিদের প্রতি দয়াশীল হলেও আমাদের প্রতি হবে না সেটাও জানা কথা। অন্তত একটা করে লেন হলেও খুলে দেয়া উচিৎ। নিজেদের লোকজনদের আটকে দিলে তাঁদের নৈতিক সমর্থন হারানোর একটা আশঙ্কাও থেকেই যায় মনে করি।

৩) আমরা বলছি কাদের মোল্লার রায় পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত আমরা শাহবাগ সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় আন্দোলনে থাকব। সরকার আপিল করবে বলেছে। তারপর কিন্তু সেটা আদালতের হাতে। তাঁরা কতদিন সময় নিবেন আবার নতুন করে রায় দিতে তা কেউ বলতে পারার কথা নয়। কাজেই একটা লম্বা সময়, আবারও বলি - একটা লম্বা সময় যাতে এই আন্দোলনটা টিকে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর কাদের মোল্লাই তো নয় শুধু, এই সচলেই পিয়াল ভাই নিজেও সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে এত অপরাধী আছে যাদের বিচার শেষ হতে ১০/১২ বছরও লেগে যেতে পারে। সময় এখনই পরিকল্পনায় নামার।

৪) এতবড় একটা জমায়েত, সেখানে বিভিন্ন দল, গোষ্ঠীতো বটেই, ব্যক্তিগত পর্যায়েও অনেকে অনেক কিছু করছেন। মূল মঞ্ঝ থেকে বিভিন্ন গণসঙ্গীত এবং অন্যান্য আয়োজনের ফাঁকে একটু পর পরই ভেসে আসছে বাংলা বর্ণমালা পাঠের মতো করে কিছু কথা - 'ক -এ কাদের মোল্লা, ত -এ তুই রাজাকার, গ -এ গোলাম আযম' - এই ধরনের। আমার কাছে ভাল লাগেনি এটা। আমাদের বর্ণমালার পরিচয় এই হারামীদের নামে দেয়াটা ভাল লাগে নাই।

৫) আরেকটা হলো আমাদের পতাকা। কিছু পতাকা এসেছে যেগুলোর সবুজটা ঠিক নেই। নিচে ছবির পতাকাটা তৈরি করতে বোধহয় কাপড় শেষ হয়ে গিয়েছিল, পাশা পাশি দুইধরনের সবুজ রঙ ব্যবহার হয়েছে। এত বড় করে ভুল পতাকা বানানোর কী আসলেই দরকার ছিল। মানুষ মাথায় ব্যান্ড বাধে সবুজ রংয়ের-কপালে লাল গোল, টি-শার্ট বানায়; আমার আপত্তি নেই সেখানে। কারন সেখানে পতাকার বৈশিষ্ঠ্য থাকলেও সেটা পতাকা নয়। কিন্তু যখন পতাকা দাবী করা হবে তখন সেটাকে ঠিক পতাকাই হতে হবে, অন্য কিছু না।

DSC07735

এবার আসি ভাল লাগায়

পুরো আন্দোলনটাকেই আপন করে নিতে পেরেছি বলেই মনে করি। তারপরেও তার ভিতর থেকেও কিছু কিছু ঘটনা নিজেকেই যে নাড়িয়ে দিয়ে যায় -

১) DSC07683

এই ভদ্রমহিলা দুপুর বেলা প্রচন্ড রোদের ভিতর এক ব্যাগ ভর্তি পুরনো পত্রিকা নিয়ে আসলেন - যাতে যারা রোদে কষ্ট পাচ্ছে রাস্তায় বসে তাঁরা একটু হলেও রক্ষা পায় মাথার উপর কাগজ ধরে। আর এনেছিলেন পানি। অফুরন্ত হয়তো না, ঢাকা ওয়াসার-ও দুইটা পানির গাড়ী ছিল - যতদূর সম্ভব আয়োজকদের তরফ থেকেই আনা; তারপরেও কিছু করতে চাওয়ার আকুলতাটুকু টের পাওয়া যায়। আরেকজন মানুষকে দেখলাম এক আমড়াওয়ালাকে ডেকে নিয়ে তাঁর সমস্ত আমড়া কিনে সবার ভিতর বিলোতে। আজকে জানলাম শাহেনশা সিমন ভাইয়ের এক বন্ধু তাঁর রেস্তোরাঁ থেকে যতটুকু সম্ভব খাবার সাপ্লাই দিয়ে যাচ্ছেন এখানে। এমন কিছু মানুষের কারনেই আজও বাংলাদেশকে তেমন পর মনে হয়না। আফসোস হয় আমি কেন এমন হতে পারিনি।

২) আয়োজকদের এই আন্দোলনটাকে রাজনীতি মুক্তরাখার চেষ্টা। এমনিতে দেখি একটু বড় অফিশিয়াল কেউ আমাকে চেনে বা আমার সাথে কথা বলেছে এমনটা বলতে পারলে আমরা বর্তে যাই। মন্ত্রী হলেতো কথাই নাই। এইখানে বেশ কিছু মন্ত্রীও এসে গেছেন। এবং কিছুটা চেষ্টাও করেছেন আন্দোলনে রঙ লাগাতে। তাঁদেরকে বেশ ভদ্রভাবেই না করে দিতে পেরেছেন আয়োজকরা। আজ শুনলাম মুন্নী সাহাকেও মাতব্বরী করতে দেয় নাই পাব্লিক। এইটার সত্যতা অবশ্য জানিনা। কিন্তু রিউমার হইলেও আমি সেটায় খুশী। আর দিগন্ত টিভিরেতো রীতিমতো খ্যাদায় দিছে শুনলাম প্রথম দিনেই।

এবার বইমেলার অপ্রাসঙ্গিক দুইটা ছবি, নিজস্ব ক্ষোভ প্রকাশের জন্য মন খারাপ -

১) DSC07857

২) DSC07859

উন্মাদকে আশ্রয় নিতে হয়েছে এক প্রকাশনীর নামের ছত্রছায়ায়। কারন বইমেলা পত্রিকার মেলা নয়। কিন্তু বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, ব্যাংক এমনকি টয়লেট পেপার কোম্পানিও যায়গা পেয়ে গেছে ঠিকই।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

মুন্নি সাহা কী বলে?

জুন এর ছবি

http://www.banglamail24.com/index.php?ref=ZGV0YWlscy0yMDEzXzAyXzA2LTEwNS0yMTkyOQ==

যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...

হিমু এর ছবি

বুদ্ধিবেশ্যা ফারুক গুয়েবাড়াকে একইভাবে কানে ধরে বের করে দেওয়া প্রয়োজন ছিলো। তাকে বোধহয় শাহবাগে উপস্থিতরা এখনও চিনে উঠতে পারেনি।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

হিমু, দূরে থাকলে যন্ত্রনাবোধ বেশি হয়- এটা আমার উপলব্ধি। জানিন আপনার ক্ষেত্রে এটা হয় কি না। ২০১২'র বইমেলায় আমি প্রথম ফারুককে চাক্ষুস দেখি। সেখানে তাকে ঘিরে ব্লগারদের যে আমোদ আমি দেখেছি, তাতে আমি নিয়েই লজ্জা পেয়েছি। যাদের উচিক ছিলো ফারুককে বের করে দেওয়া, তাদের অনেকেই আদৌ তা করবে বলে আমার সন্দেহ আছে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

জুন এর ছবি

আসলে সমস্যা হইল বাংলাদেশে যে যাই করুক- কিছু না কিছু মানুষ পেয়েই যায় যারা তাকে সমর্থন দেয়। এইটা মনে হয় জনসংখ্যা বিস্ফোরনের আরেকটা খারাপ দিক।

যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...

সৌরভ কবীর এর ছবি

দারুণ বলেছেন।

__________________
জানি নিসর্গ এক নিপুণ জেলে
কখনো গোধূলির হাওয়া, নিস্তরঙ্গ জ্যোৎস্নার ফাঁদ পেতে রাখে

মেঘা এর ছবি

আজকে সারাদিন ছিলাম। খাবার দেবার এই ব্যাপারটা হলো দুপুরের একটু পরে। একজন দুটো বস্তায় করে নিয়ে এলো মুড়ির প্যাকেট আর চানাচুর। চারিদিকে ছুঁড়ে ছুঁড়ে সেই মুড়ি আর চানাচুর বিলি করা হলো। সাথে দিলো পানি। আরেকজন নিয়ে এলো ভাংতি পয়সা চকলেট মিঃ মেঙ্গো। বৃষ্টির মতো চারিদিকে ছিটানো হলো সেই চকলেট। আসলেই মানুষের আন্তরিকতা ছিল চোখে পরার মতো।

রাজনীতিবিদদের ব্যাপারে মানুষের খুব ভাল রকমের এলার্জি আছে এখানে। আওয়ামিলীগের একজন নেতা একাত্মতা ঘোষণা করে যেই মাত্র ভাষণ দিতে গেলো সেসময় যেভাবে মানুষ স্লোগান দিয়ে তাকে ভাগিয়েছে সেটা অসাধারণ ছিল। এটা সাধারণ মানুষের ক্ষোভের জায়গা। এখানে কোন রাজনৈতিক দল এসে ক্রেডিট নিতে চেষ্টা করবে সেটা ঠিক পছন্দ না।

যে মেয়েটা ঘণ্টার পর ঘণ্টা মাইক হাতে স্লোগান দিয়ে যাচ্ছিল সেই মেয়েটাকে দেখে আমি ভীষণভাবে মুগ্ধ হয়েছি। সবাইকে যেন এক সুরে বেঁধে রেখেছে মেয়েটা। সব মিলিয়ে আমার অভিজ্ঞতা অসাধারণ। ইচ্ছে আছে একটা পোষ্ট দেবার।

তোমার নাম্বার থাকলে যোগাযোগ করা যেত! বলতে গেলে একাই ছিলাম। এতো মানুষের মধ্যে পরিচিত মুখ চোখে পরে না কেন যেন। সব মানুষ এক হয়ে গেছে ওখানে। সবাই আপন।

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

জুন এর ছবি

আমি junnunur rahman নামে আছি ফেবুতে।। এ্যড করতে পার, তাইলে নাম্বার ইনবক্স করতে পারি।

যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...

মেঘা এর ছবি

জানি তো ভাইয়া। আমার ফেসবুক ডিএক্টিভ করা আছে। দেখি এক্টিভ করে তোমাকে মেসেজ করছি। আর তুমি আছো তো আমার ফেসবুকে হাসি

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

মেঘা এর ছবি

http://bangla.bdnews24.com/politics/article587867.bdnews

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

তারেক অণু এর ছবি

এমন সময় ঢাকা থেকে চলে আসলাম! তবে সব জায়গাতেই কাজ করা দরকার-

আলতাইর এর ছবি

আইসা পরেন ওস্তাদ!! হ্যান্ডেল এখনো খালি আছে!! দেঁতো হাসি

জুন এর ছবি

হুম! ঢাকায়তো হচ্ছে। আপনার ওইখানে যেন যদ্দিন দরকার ততদিন কন্টিনিউ হয় এই ব্যাপারটা ঠিক ঠাক করে আসতে পারেন নাকি দেখেন।

যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আজকের শাহবাগ আমাকে একাত্তরকে মনে করিয়ে দিল। এ প্রজন্মকে দেখে আমি আরেকবার আশাবাদী হই।
লেখাটার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। চলুক

জুন এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- প্রৌঢ়দা। আপনার কথা মনে হলেই মনে অনেক সাহস পাই।

যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...

আলতাইর এর ছবি

সিকিউরিটি'র ব্যাপারটা এখনি চিন্তা করা উচিত। শিবিররে বিশ্বাস নাই!!

জুন এর ছবি

ঠিক। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...

নীপবন এর ছবি

খুব সুন্দর লিখেছেন। চলুক

জুন এর ছবি

ধন্যবাদ, সাথে থাকার জন্য।

যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ঢাকায় ফিরেই শাহবাগ যাবো। চলুক

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

জুন এর ছবি

অবশ্যই। অপেক্ষায় থাকলাম আপনার সাথেও স্লোগানে গলা মেলোনোর।

যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

বর্ণমালা দিয়ে হারামীদের পরিচয় হলে অসুবিধা কী! এতোদিন তো 'ক-তে কালেমা, ন-তে নামায, স-তে সালাম আর গ-তে গীবত' শেখানো পড়ানো হলো। এবার নাহয়-
ক-তে কাদের মোল্লা, তুই রাজাকার তুই রাজাকার।
ন-তে নিজামী, সব রাজাকার বাংলা ছাড়।
স-তে সাঈদী, রাজাকারের পাপের আঁটি
গ-তে গোলাম আযম, কবর তোদের- পাকিস্তানের মা-টি।
বর্ণমালাগুলো এভাবেই তুলে ধরলো রাজাকারদের পরিচয়। আমি তো চাইবো, এই বর্ণমালা দিয়েই একটি শিশু জানতে শিখুক একজন খুনী, হায়েনা, ধর্ষক, গণহত্যাকারী পাকি দোসর রাজাকারের নাম।

মেঘা এর ছবি

চলুক

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

স্বপ্ন হীন এর ছবি

হাততালি চলুক

জুন এর ছবি

মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ ধুগোদা। আপনার মত আমার থেকে ভিন্ন হতেই পারে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...

অরফিয়াস এর ছবি

জুনদা, আরও ছবি দেন। আপনার পোস্টে একমত।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

জুন এর ছবি

ধন্যবাদ। ছবিতো আপনার পোস্টে যাওয়ার কথা। দিচ্ছেন না কেন?

যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...

অরফিয়াস এর ছবি

আসলে বিকেলে চারটা ছবি পোস্ট করেই বের হয়ে গেছি, সমস্যা নেই, যে কটা দেয়া হয়েছে তাতেই চলবে। হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

চরম উদাস এর ছবি

দারুণ , দারুণ ! একেবারে ঠিক সময় দেশে যাচ্ছি। লাইনে থাকেন, আর এক সপ্তাহ পর আমিও যোগ দিতেছি দেঁতো হাসি

জুন এর ছবি

অবশ্যই উদাসদা। লাইনে আছি। আপনার জন্য ইটা দিয়ে রাখলাম শাহবাগে।

যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...

আইলসা এর ছবি

আজকে অফিসের পর গেলাম। একা একা হাটলাম, কবিতা আবৃত্তি শুনলাম, গান শুনলাম।

শ্লোগান দিয়ে যাচ্ছে যে মেয়েটা, ওনার নাম বোধহয় লাকী। অদ্ভুত অসাধারন প্রানশক্তি, আমি গত তিন দিনই সন্ধ্যার পর ছিলাম, মেয়েটার গলার জোর তিনদিনে একটু ও কমে নাই । আজকে সারা রাত থাকার খুব ইচ্ছা ছিলো কিন্তু বাসায় বসে অফিসের কাজ করতে হবে, তাই চলে আসতে হলো। সকালে যাবো আবার।

নিরাপত্তার বিষয়টা আসলেই চিন্তা করা উচিত। একটু দূরেই কাটাবন মসজিদ। আমার ধারনা, জামাত-শিবির আজ কাল কিছু করবে না কিন্তু সাইদীর রায়ের আগে আবার শক্তি মহড়ার চেষ্টা করবেই।

একটা কথা মনে আসলো, এই মঞ্চ থেকে কি জামাতি-সমর্থক ব্যবসা গুলো বর্জনের ডাক দেয়া যায় না? বিশেষ করে যে গুলো সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত। ইসলামী ব্যাংক, ইবনে সিনা, ফোকাস, রেটিনা...

জুন এর ছবি

সব হয়ে গেছে।।। দেঁতো হাসি আপ্নে কী সচলের গ্রুপ্টারে দেখেনই নাই, নাকি আমার সাথে পরিচয় হয়নাই আপনার? নিরাপত্তা আপাতত পুলিশ দিচ্ছে। যদিও তা বজ্র আঁটুনির মতোই। নিজেদের সাবধান থাকা উচিৎ। আপনাকে আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

পোস্ট ভাল্লাগছে। নিয়মিত দিতে থাকুন। বই মেলার ছবিদুটোর প্রথমটা দিয়ৈ কী বোঝাতে চাইলেন তা বুঝি নাই।

জুন এর ছবি

আগের তিনবার সাবমিট করার পর ইরর দেখালো। গেছে কিনা জানিনা। তাই আবারও লিখছি। আসলে উন্মাদ এইবার স্টল পায়নি। কিন্তু আহসান হাবীব ভাইকে সন্মান দেখানোর জন্য উনার অনেক আগের একটা প্রকাশনীর নামে একটা স্টল দেয়া হয়েছে। সেই নামেই উন্মাদ এর স্টল হয়েছে। ছবি দেখেন। কিন্তু আসলে উন্মাদ বই মেলায় যেত যতটা না ব্যবসার জন্য তারচেয়ে বেশী নিজেদের আড্ডা-পূনর্মিলনী-ফ্যানদের সাথে আড্ডা এইসব কারনে। ব্যবসাতো ছিলই। কিন্তু নিজের ব্যানারে না হওয়ায় এইবার আর কিছুই হচ্ছে না। সবারই মুড অফ।

যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

চলুক

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অতিথি লেখক এর ছবি

একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার।
5x3.5
কসাই কাদের সহ অন্যান্য সকল মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই, ফাঁসি।
ফাঁসি ছাড়া কোন বিকল্প রায় নাই।

তুহিন সরকার।

শিশিরকণা এর ছবি

একখানে দেখলাম শিবিরের আক্রমণের জন্য প্রস্তুত থাকতে এক ক্যান এরোসল নিতে বলেছে সাথে, মরিচের গুড়াও চলতে পারে। ওয়াচ টাওয়ারের আইডিয়া ভালো।

কতদিন আন্দোলন চলবে? রায় কার্যকর করার জন্য ডেডলাইনের আল্টিমেটাম ঘোষণা করা হোক।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

রু এর ছবি

সাথে আছি। ভাল পোস্ট।

Parveen Sultana এর ছবি

সহমত।াপনারা একা নন ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।