বোতল-বন্দী জিন? তোমার ব্যবসাবুদ্ধি নাই, ধীবর?

কৌস্তুভ এর ছবি
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: বিষ্যুদ, ১১/১১/২০১০ - ৯:৩৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একসময় নৌচালনা আর বাণিজ্য দুটোতেই বাঙালির খ্যাতি ছিল, সিংহল থেকে সুমাত্রা এই বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। তারপরে একসময় মহাপণ্ডিতরা কালাপানি’র উপর নিষেধাজ্ঞা স্থাপন করলেন, আমাদের দাপটও ক্ষয় হতে শুরু করল। খালবিলের দেশ বাংলায় চাঁদ সদাগরের মত দৃপ্ত সমুদ্রযাত্রীকে ছাপিয়ে মনসার ভুজুংভাজুং ঘরে ঘরে বন্দিত হতে লাগল। অনেকে দুঃখ করেন, রুক্ষ মধ্য এশিয়া থেকে আসা মোগল সম্রাটরা যদি নৌবাহিনীর গুরুত্ব বুঝতেন, তবে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এত সহজে ভারত দখল করতে পারত না।

এই মাছ-টাছ ব্যাপারগুলোও তাই আমাদেরই সহজাতভাবে আসে আর কি। আর আরবের সেই বেচারা ধীবর, ছোটখাট পুকুরটুকুরে মাছ ধরে যাকে চালাতে হত, সেবার তো বোতল-বন্দী এক জিনকে তুলে প্রায় মরতেই বসেছিল। লোকটার একেবারেই ব্যবসাবুদ্ধি ছিল না বলতে হবে, আজকের দিন হলে ওই জিনের উপর এক কোম্পানী খুলে শেয়ারবাজারে কত টাকাই না কামাতে পারত!

আসল কথায় আসি। নৌবহর (এবং আনুষঙ্গিক মৎসব্যবসায় ও মাৎস্যন্যায়) এর কথা উঠলে প্রথমেই যাদের কথা মনে আসে, তারা হল ভাইকিং। আজ তাদেরই একজনের কথায় আসব।

(২) ---------------------------------

আইসল্যান্ডের কথা উঠলেই অবশ্য প্রথমে মনে আসে সেই আল্লা-ফাল্লা-কোলাহল না কী যেন নামের আগ্নেয়গিরিটার কথা, যে দীর্ঘদিন ইউরোপের আকাশে বিমান চলাচল ভণ্ডুল করে দিয়েছিল। তা মূল ইউরোপ থেকে বেশ খানিকটা পশ্চিমের এই দ্বীপে প্রথম বসতি গেড়েছিল ভাইকিংরা। তারপর থেকে সেটা মোটামুটি নর্সদের বসতি হিসাবেই চলে এসেছে এতদিন। সেখানে বসবাসকারীদের পরিবারে বংশলতিকা রক্ষা করা খুব যত্ন সহকারে, সেগুলো চলে গেছে বহু পুরুষ আগে পর্যন্ত। জনকয়েক প্রাচীন ‘ফাউন্ডিং ফাদার’এর সন্ততিদের সযত্নলালিত এই বংশলতিকাগুলি এক মহামূল্য দলিল বইকি।

এইগুলি নিয়ে এক বিশাল ব্যবসার পরিকল্পনা যাঁর মাথায় এসেছিল, তিনি কারি স্তেফানসন, ‘ডিকোড জেনেটিক্স’-এর প্রতিষ্ঠাতা। টাইম-১০০ লিস্টের মধ্যে তিনি এক মহা’উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব হিসাবে জায়গা করে নিয়েছিলেন এক সময়। শুরুর ছবিটা এনারই। খাঁটি ভাইকিং চরিত্রের ছাপ এঁর চেহারাতেই, আর স্বভাবগতিকও নিশ্চয়ই ছবিটা দেখেই আন্দাজ কররে নিয়েছেন।

(৩) ---------------------------------

৯৮ সালে অনেক বিতর্কের মধ্যে দিয়ে এনার কোম্পানীর প্রতিষ্ঠা। ইনি স্বপ্ন দেখালেন, আইসল্যান্ডের সব মানুষের জেনেটিক ম্যাপ তৈরী করবেন ইনি। আইসল্যান্ডের জনসংখ্যা বেশ কম, সুদূর অতীতে প্রতিষ্ঠার সময় তো আরই অনেক কম ছিল, এবং তারপর থেকে বিয়েশাদীও মোটামুটি সব নিজেদের মধ্যেই হয়েছে, অতএব জিনগত বৈচিত্র্য অনেক কম, বদমাশ জিনগুলোকে সহজেই ট্র্যাক করা যাবে, বিশেষ করে যখন ঐসব সুপ্রাচীন বংশলতিকা রয়েছে। অবশ্য শুরুতে অনেক তর্কবিতর্ক হয়েছিল, কিন্তু সরকার এনার কোম্পানী গঠন এবং অগ্রগতির ব্যাপারে গ্রীন সিগনাল দিয়ে দেয়।

এই কাজে সরকার-রক্ষিত কাগজপত্রের পাশাপাশি ডিকোড ভলান্টিয়ার জোগাড় করতে থাকে, যারা নিজেদের জিন পুরোটা তালিকাভুক্ত করতে দেবে। এর পরে তারা আরেকটা পরিষেবাও চালু করেছিল, যে কিছু অর্থের বিনিময়ে (পরিমাণটা ভালই) আপনার পুরো জিন লিস্ট করে এরা দিয়ে দেবে, যাতে বিভিন্ন রোগের জিন আপনার আছে কি না, এবং সেইমত আপনার সেসব রোগ হবার সম্ভাবনা কত, ইত্যাদি জানতে পারবেন।

এইসব আকর্ষণীয় কাজকর্মের মধ্যে দিয়ে ডিকোড আইসল্যান্ডে অত্যন্ত সুপরিচিত একটা কোম্পানী হয়ে দাঁড়ায়, তাদের শেয়ার হটকেকের মত বিকোতে বিকোতে গগনচুম্বী দামে পৌঁছে যায়, সে দেশের অন্যতম ধনী একটা প্রতিষ্ঠান হয়ে দাঁড়ায় সেটা। জিনের জন্য রক্তের নমুনা এবং তথ্যাদি দেবার ব্যাপারেও লোকের উৎসাহ বাড়তে থাকে - একই সঙ্গে নিজেদের রোগনির্ণয়, শেয়ারের মাধ্যমে ধনবৃদ্ধি, আর দুনিয়ার জিনচর্চার উন্নতির আশায় - বিজ্ঞান আর দেশ দুটোর উপরেই ভরসা রেখে। টিভি-মিডিয়ায় স্তেফানসনের নিয়মিত উপস্থিতি গর্ব করে শোনাত আইসল্যান্ডিক জনজাতির এই বিশেষ এবং অসামান্য সম্ভাবনার কথা।

(৪) ---------------------------------

৯৮ সালে এক আইনের বলে সরকার সমস্ত আইসল্যান্ডিক জনজাতির বংশ-সম্পর্কিত তথ্যাদি ডিকোডের হাতে তুলে দেবার ব্যবস্থা করে, এবং শুধু তাই নয়, পাবলিক তথ্য হওয়া সত্ত্বেও এগুলি নিয়ে কাজ করার অধিকার কেবলমাত্র ডিকোডকেই দেওয়া হয়। কোনো পরিবারের থেকে অনুমতি নেওয়ার ঝামেলা রাখা হয় নি আইনে, কারোর আপত্তি থাকলে বরং এসে নিজের তথ্য না দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দরখাস্ত করতে হত। মৃতদের ক্ষেত্রে তো কোনোই বালাই নেই।

২০০০ সালে আরেকটা আইনের মধ্যে দিয়ে তাদের অনুমতি দেওয়া হয় লোকেদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করার জন্য, এবং এটাও কেবলমাত্র তাদের জন্যই, ফর-প্রফিট গবেষণার স্বার্থে।

(৫) ---------------------------------

রিসার্চ এথিক্স সংক্রান্ত সংগঠন শুরু থেকেই তাদের এই মনোপলি এবং বাড়াবাড়ি সুযোগসুবিধা দেওয়ার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছিল। তাদের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৩ সালে সুপ্রিমকোর্ট রায় দেয়, ওই কোম্পানীকে দেওয়া এইসব অধিকার বেআইনি। অনেক লোক এগিয়ে এসে তাদের দলিলপত্র সক্রিয়ভাবে প্রত্যাহার করে নেয়।

এর পাশাপাশি একের পর এক কেচ্ছা ফাঁস হতে থাকে। জানা যায়, সরকারের পাশ করা ওই আইনগুলির খসড়া লিখিয়েছিলেন স্তেফানসন এবং তাঁর সঙ্গীরাই। সেই সময়ে সরকারের একাধিক মন্ত্রী, এমনকি প্রধানমন্ত্রীও ওনার খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন, প্রচুর অনুষ্ঠানে তাঁদের একসাথে দেখা যেত। দেখা যায়, সরকারি ব্যাঙ্কগুলি ওই সময় ডিকোডের শেয়ার কেনার ব্যাপারে লোকদের উৎসাহিত করত, বিশেষ ঋণও দিত। শেয়ার বাজারের ফাটকা সংক্রান্ত নানা চুক্তিও ডিকোড করেছিল সেইসময় কিছু কোম্পানির সাথে। এই সব একসাথে ক্র্যাশ করলে ডিকোডকে দেউলিয়া হবার জন্য দরখাস্ত করতে হয়। তখন তাদের রেকর্ড থেকে জানা যায়, এই মাঝের সময় তারা কখনওই লাভের মুখ দেখে নি, বহু কোটি টাকা ক্ষতিই হয়ে এসেছে শুধু। আইসল্যান্ডের বহু লোক সর্বস্বান্ত হয় এই ধ্বসে।

(৬) ---------------------------------

এর পরেও অবশ্য ডিকোড জেনেটিক্স তাদের কাজকর্ম চালিয়ে যায়। শোনা গেছে সাম্প্রতিককালে তাদের অবস্থার আবার উন্নতি হচ্ছে। সরকার নাকি নিজের দায়িত্বে তাদের অনেক ঋণ মাপ করে দিচ্ছে।

গত বছর কারি স্তেফানসন একটা বক্তৃতা দিতে এসেছিলেন আমাদের ইউনিতে। আইসল্যান্ডে ফিরে গিয়ে কোম্পানী খোলার আগে তিনি আমাদের এখানেই নিউরোসায়েন্সের গবেষক এবং ডাক্তার ছিলেন। ওনার বক্তৃতায় গিয়ে দেখলাম, লোকে যা বলে তা খুবই সত্যি – উনি অহঙ্কারী এবং দুর্মুখ, মোদ্দা কথায় খিঁচুটে। সবাইকেই বাঁকা চোখে দেখেন এবং তাচ্ছিল্য করেন। লম্বা এবং পেশীবহুল ওনার ভীতিপ্রদ চেহারার সঙ্গে তা মানিয়েও যায় বটে। ভাইকিংদের সাধারণ ইমেজের মতই।

ওনার বক্তৃতার শেষে একজন নিরীহভাবেই প্রশ্ন করেছিলেন, আচ্ছা, আপনাদের এই প্রোজেক্টের কথা শুনলাম, খুবই ভাল উদ্যোগ, তা দুএকটা উদাহরণ দিন না, কী কী রোগের জিন আপনারা বার করেছেন। স্তেফানসন একটা ব্যঙ্গের ভঙ্গি নিয়ে বললেন, হুঁ, জানি, আপনার মূল বক্তব্যটা, যে হ্যাঁ রে ব্যাটা, খুব তো বড়বড় দাবি করলি নিজের কোম্পানীর নামে, আসলে তো একটাও জিন বার করতে পারিস নি; কিন্তু আমি আপনাকে বলছি, আপনার এ কথা মোটেও সত্যি নয়, আমরা অনেক জিনই বার করেছি, সামান্যতম ন্যায্য কৌতূহল থাকলে আপনি নিজেই গিয়ে দেখে আসতে পারতেন আমাদের ওয়েবসাইট থেকে।

(৭) ---------------------------------

জলচর জাতির সেলিব্রিটি স্তেফানসনের মত একটা চমৎকার ব্যবসাবুদ্ধি কি আমরাও বার করতে পারি না? কোথায় যেন পড়লাম, বরিশালকে প্রাচ্যের ভেনিস বলা হত? সুরক্ষিত বংশলতিকা হয়ত আমাদের নেই, পার্টিশনের সময় যাঁরা এপাশ-ওপাশ হয়েছেন তাঁদের তো আরও, কিন্তু উপরওয়ালার দয়ায় জনসংখ্যা তো কিছু কম নেই আমাদের! ওঁদের ৯’জন পূর্বপুরুষ অবধি পেডিগ্রি আছে, তো আমাদের লালু যাদবের মত এক জেনারেশনেই ৯’টি প্রোডাক্ট আছে। আমার আগের একটা লেখাতেই দেখিয়েছিলাম, আমাদের কোটি কোটি মানবসম্পদের প্রচণ্ড সম্ভাবনা, কেউ ধরতে পারছে না।

 

সরকারের আদেশে স্তেফানসন পাবলিকের জিনকে বোতল-বন্দী করার একচেটিয়া অধিকার পেয়েছিলেন, সেইটা যোগাড় করতে পারলেই ব্যাস, ‘সাউথ এশিয়া জিন পালাপোষা সমিতি’ খুলে আমরাও মালামাল হইয়া যামু গা। আসেন, কমিটির মেম্বার হবেন কারা হাত তোলেন। কোন জিন থাকলে মানুষ ছাগুপনা করে, কোন জিন দিয়ে আড়জে’দের মত ইংড়িজি ফটফটানো যায়, সব ফকফকা হয়ে যাবে। আসেন আসেন।


মন্তব্য

নিবিড় এর ছবি

পড়াশুনা শেষ কী করব ভাবছিলাম। এখন লেখাটা পড়ে ঠিক করলাম একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলব যেখানে জিন দিয়ে চিকিৎসা করানো হয় খাইছে


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

নৈষাদ এর ছবি

হ্যা, জ্বিন দিয়ে কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে জিন চিকিৎসা।

কৌস্তুভ এর ছবি

আমার জন্য কিছু অংশীদারী রাখেন...

নিবিড় এর ছবি

হুম, এই ব্যবসায় তাইলে আপনি মি. টেন পার্সেন্ট দেঁতো হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখার পুরোটাই ভালো লাগলো।
শুধু শেষের প্যারাটাইয় ফান করলেন না সিরিয়াসলি কিছু বললেন বোঝা গেলো না।

---আশফাক আহমেদ

কৌস্তুভ এর ছবি

আপনি শেষের প্যারাটা নিয়ে প্রশ্ন করায় অবাক হলাম। তার আগের প্যারাটা নিয়ে এই প্রশ্নটা করলে বরং বুঝতাম। তা শেষেরটা ফান বইকি, আমাদের সরকার কি আর অমন ছাড়পত্র দেবে বলে মনে হয়?

নৈষাদ এর ছবি

কারি স্তেফানসন সাহেবের কথা শুনি নাই আগে - কঠিন জিনিস মনে হল।

মানুষের না হোক, কুকুরের পেডিগ্রি দিয়ে বাংলাদেশে একসময় কিন্তু বেশ ভাল ব্যবসা হয়েছে।

লেখাটা ইন্টারেস্টিং লাগল।

কৌস্তুভ এর ছবি

কঠিন জিনিসই বটে। কুকুরের পেডিগ্রি নিয়ে তো ব্যবসা হচ্ছেই, কিন্তু একটা গোটা দেশের মানুষকে ব্যবসার উপকরণ বানিয়ে ফেলাটা বুদ্ধির ব্যাপার বটে। টাইম-১০০ তে ঢুকবেন আর আশ্চর্য কি।

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখা উমদা হয়েছে। চলুক

কোন জিন থাকলে মানুষ ছাগুপনা করে, কোন জিন দিয়ে আড়জে’দের মত ইংড়িজি ফটফটানো যায়, সব ফকফকা হয়ে যাবে।
ছাগুদের কথা জানি না, তবে বাংড়েজি জিন না থাকলে যে আড়জেদের মতো ফটফটিয়ে ইংড়িজি বলা যাবে না তা আন্দাজ করতে পারি। দেঁতো হাসি

কুটুমবাড়ি

কৌস্তুভ এর ছবি

হে হে। কিন্তু বলেন তো, এতগুলা ক্রোমোজোমের ঠিক কোনটার কোন জায়গাটায় সেই ব্যাটা লুকায়ে আছে?

অতিথি লেখক এর ছবি

কে বলে আমাদের ব্যাবসা বুদ্ধি নেই...! এই দেখুন না কত্তো কত্তো উনানী দাওয়াখানা আর জ্বীনের বাদশা গজাচ্ছে প্রতিদিন...! আমাদের ব্যাবসা দুদ্ধি নেই কথাটার তীব্র প্রতিবাদ করছি। ওড়া বোতল বন্দি জিন নিয়ে ব্যাবসা করে... আর আমরা হাওয়ায় বাতাসে ভেসে বেড়ানো অদৃশ্য জ্বীন নিয়ে ব্যাবসা করি... বলুন এবার কাদের ব্যাবসা বুদ্ধি বেশী!

--- থাবা বাবা!

কৌস্তুভ এর ছবি

মেনে নিলাম, আপনাদেরই ব্যবসাবুদ্ধি বেশি। ন্যান মোরে পার্টনার করেন। দেঁতো হাসি

তারাপ কোয়াস এর ছবি










(বিশিষ্ট তিন জিন গবেষক)

সেই সুদূর প্রাচীনকাল থাইকা আমরা কিন্তু এই গবেষণায় বিরাট সাফল্য অর্জন করছি! জিন গবেষণার উপর অনেক বই ঢাকার ফুটপাতে সবসময়ই পাওয়া যায় হাসি তয় ইদানীং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা একটু ঝামেলা করতাছে (উপরের চিত্র দ্রষ্টব্য)

অট: স্তেফানসন কাগু দেহি বিরাট মাল!


love the life you live. live the life you love.

কৌস্তুভ এর ছবি

হা হা হা হা... কি জিনিস দিলেন দাদা...

তয় খেয়াল রাখেন, সচলেও কিন্তু 'জ্বিনের বাদশা' নিকের একজন আছেন... দেঁতো হাসি

তারাপ কোয়াস এর ছবি

এইডাতো মাথায় ছেলনা!!! অখন র‍্যাব যদি এইখানেও হানা দেয় তয় কয় যামু, কি খামু????


love the life you live. live the life you love.

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

লেখা সরেস! চলুক

আহা, ব্যাবসাবুদ্ধি কি আমাদেরও কম না কি? চর্ম-যৌন-সেক্স বিষয়ে বহুমুখী রোগের একমূখী চিকিৎসা কে বের করেছে শুনি? খাইছে

-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

কৌস্তুভ এর ছবি

কে, কে? কে বের করেছে? কলকাতা হলে বলতুম, দি ওয়ান অ্যান্ড ওনলি ডি কে লোধ, কিন্তু আপনাদেরটা জানুম ক্যামনে? হাসি

ওডিন এর ছবি

সবার আগে বের করতে হবে সেন্স অফ হিউমারের জিন। আজকালকার গোমড়ামুখো লোকজনের মধ্যে এইটার বড়ই অভাব। কয়েকজন রসবোধসম্পন্ন লোকজনকে ধরে ...

আচ্ছা, থাকেন কই আপনে? চোখ টিপি
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

কৌস্তুভ এর ছবি

ধরে কি? পুটুস করে ইঞ্জেকশন দিয়ে জিনটা ঢুকিয়ে দেবেন? তারা রাজি হলে তো!

আমি থাকি দূর পশ্চিমের পূর্বভাগে একখানা বাড়ির একটুকু ঘরে আধখানা ফাঁকা একটা খাট নিয়ে... (পাণ্ডবদার ভাষায়) চোখ টিপি

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

বেড়ে লিখেছেন দাদা চলুক
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

কৌস্তুভ এর ছবি

থেঙ্কু সিমনভাই হাসি

তুলিরেখা এর ছবি

আপনে কোম্পানি খুলেন কৌস্তূভ। আমারে চাকরি দিয়েন। হাসি

এই ভাইকিং ভদ্রলোক ব্যবসা ফেল পড়ে ওখানে চাকরি করতেন তখন? মেজাজ খারাপ ছিলো না? কীভাবে চাকরি করতেন?

বেচারার চুলদাড়ি সব পেকে গেছে মানসিক চাপে!!!!!

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

কৌস্তুভ এর ছবি

আমি কোম্পানী খুললে ওই ভাইকিং ভদ্রলোক এসে আমায় উস্তুমখুস্তুম ঠ্যাঙাবেন না!

আসলে ইনি আগেই এখানে চাকরি করতেন, মানে গবেষণা-টবেষণা করতেন, তারপর বুদ্ধিটা আসায় ছেড়ে দিয়ে আইসল্যান্ডে চলে যান। কোম্পানী ফেল মারার পরেও উনি সিইও হয়েই আছেন, আর কোথাও যান নি। এখন তো আবার কোম্পানী নাকি উঠছে।

তুলিরেখা এর ছবি

আহা আপনারে ঠ্যাঙাইবেন কেন? উনি তো একমুঠাখানেক আইসল্যান্ড লইয়া খুশি, আপনি মানে আপনার কোম্পানি তো কাজ করবে উপমহাদেশের হাড় বজ্জাত জিন গুলিরে লইয়া। সেইখানে এ সিরাজ খাপ খুইলা থই পাইবে না।
হাসি
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

কৌস্তুভ এর ছবি

আরে দূর, গাছের আর তলারটা দুটোরই বন্দোবস্ত না করলে এমন 'জটিল জিনিস'দের মন ভরে?

অদ্রোহ এর ছবি

স্ক্যান্ডিনেভিয়ানদের মাথায় এমন বিটকেলে বুদ্ধি আসে কি করে বলুনতো?

তয় আপনার আইডিয়া ধড়িবাজদের চোখে পড়ে গেলে খবরাছে। তখন নৈষাদদা যেটা বলনে- জ্বিন দিয়ে জিন চিকিচ্ছার মচ্ছব বসবে।

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

কৌস্তুভ এর ছবি

স্ক্যান্ডিনেভিয়ানদের মাথায় এমন বিটকেলে বুদ্ধি আসে কি করে বলুনতো?

নিশ্চয়ই এসব বিটকেল বুদ্ধি ওদের জিনেই লেখা! দেঁতো হাসি

মূলত পাঠক এর ছবি

ভালো লাগলো লেখা, ঐ বেয়াড়া লোকটিও বেশ! একটু আধটু বজ্জাতি না করতে পারলে আর লাভ কী বেঁচে থেকে! হাসি

কৌস্তুভ এর ছবি

হেঁ হেঁ...

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ভাইকিং-রা এমনেতেই আজব জাত। সেই জাতে এরকম দুয়েকটা 'ম্যারাডোনা' না থাকলে ক্যাম্নে কী দেঁতো হাসি

লেখা যথারীতি উপাদেয় হয়েছে।

_________________________________________

সেরিওজা

কৌস্তুভ এর ছবি

আবার মারাদোনা আইল কই থিকা?

থেঙ্কু থেঙ্কু।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।