বিলুপ্ত শিশুখাদ্যেরা

খেকশিয়াল এর ছবি
লিখেছেন খেকশিয়াল (তারিখ: মঙ্গল, ০৭/০৭/২০০৯ - ২:৩৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১। এই খাদ্যদ্রব্য অতীব সুস্বাদু এক বস্তু। এই খাদ্যদ্রব্য টাকার পরিবর্তে ভাঙ্গা কাঁচের শিশি বোতলের দ্বারাই বেশী পাওয়া যাইতো। বিক্রয়কারী মাথায় ঝাঁকা লইয়া পুরান কাগজপত্রের সঙ্গে একখানা টিনের গোল বাক্সে ইহা সংরক্ষণ করিতেন। এই কটকটির আবিষ্কারকের পদযুগলে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম।

২। একখানা বাশের ডগায় চিউং গামের ন্যায় এই ভয়ানক সুস্বাদু বস্তু প্যাচাইয়া রাখা হইতো। নানারকম আবদারে সেই লাল সাদা নমনীয় মিষ্ট বস্তু নানা আকৃতি ধারণ করিয়া ছেলেমেয়েদের হাতে আসিতো। কেহ চশমা পড়িয়া কিছুক্ষণ মাস্টারী করিতো, কেহ সাইকেল বানিয়া কিছুক্ষণ চালাইয়া নিত, এভাবেই খেলার ছলেই মাঝে মাঝে কুটকুট করিয়া কামড়ে কখন যে উহারা রসনায় চালিত হইতো খেয়ালই থাকিতো না।

৩। একখানি ছোট কাগজের বাক্সে অনেকগুলা টিকটিকির ডিমের ন্যায় মিষ্ট বস্তু। নানাবিধ রঙের পাওয়া যাইতো। একেবারে প্রথমে ইহা খাইতে অস্বীকার করিয়াছিলাম মনে পড়ে। টিকটিকির ডিম খাইবো কেন? পরে নানামুখে ইহার মিষ্টত্ব শুনিয়া খাইয়া, জমাইয়া একেবারে একাকার করিয়া দিয়াছিলাম।

৪। একখানা সিগারেটের আকৃতির চিউং গাম পাওয়া যাইতো, যাহারা খাইতো তাহারা উহা হাতে ধরিয়া সিগারেট খাইতেছে এরকম ভাব করিত, আমিও সেই পার্ট লইতে ছাড়ি নাই। তবে অভিভাবকগণ ইহা হাতে দেখিলে রাগ করিতেন আর খাইতেও বারণ করিতেন। তাহাদের ধারণা ইহা একপ্রকার সিগারেট খাইতেই বাচ্চাকাল হইতে অনুপ্রাণিত করা। অস্বীকার করি না, কিন্তু বারণে যে উহার উল্টাটাই হয়..

আমি চারখানি বলিলাম, আপনারাও কিছু সংযোগ করুন।


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

১ নম্বরটার নাম তো লৈ। আপনারা কী বলতেন?

গোলাপী বা লাল রঙের কাঠি লজেন্স এর কথা ভুলি কিভাবে? ১ টাকায় ১০টা পাওয়া যেতো।

খেকশিয়াল এর ছবি

লৈ কোনটা? দেখতে কেমন ছিল? আমাগো সময় কটকটিও তো এম্নেই বেচতো।

হ ! গোলাপী লাল কাঠি লজেন্স! কত খাইসি! দেঁতো হাসি

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

নামগুলো মনে হয় এমন হবেঃ

১। গাট্টা মিঠাই
২। চাইনিজ হালুয়া
৩। টিকিটিকির ডিম
৪। সিগারেট গাম



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

পুতুল এর ছবি

কটকঠি মিঠাই অনেক খেয়েছি!
ভাঙ্গা-চোরা শিশি-বোতল, প্লাষ্টিকে ছেড়া-ফাড়া জোতা দিয়া, কষ্ঠ দন্ডে রঙ্গিন জলের সেগারিন মিশানো কঠিন অবস্থাকে আমাদের গেরামে আমার মত বোদাই পোলাপানের কাছে আইক্রীম নামে বিক্র করত!
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

খেকশিয়াল এর ছবি

হাহাহা হ এই আইস্ক্রীমো খাইসি দেঁতো হাসি

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

এনকিদু এর ছবি

পাইপ আইস্ক্রিম ।
একতা স্বচ্ছ পলিথিনের পাইপের মধ্যে লাল, সবুজ, কমলা ইত্যাদি রঙের পানি জমাট বাঁধিয়ে পাইপ আইস্ক্রিম বানান হত । আমার মায়ের ভাষ্যমতে ড্রেনের পানি দিয়ে ঐ জিনিসটা তৈরী, খেলে পেটে কৃমি হবে ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

খেকশিয়াল এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ এনকিদু পাইপ আইস্ক্রিমের কথা মনে করায়া দেবার জন্য। আমার মাও উহাকে ড্রেনের পানি বলিতেন দেঁতো হাসি

একই সাথে মনে পড়ল আরেকটা আইস্ক্রিমের কথা, চুঙ্গামতন স্টিলের ডাইসে অইগুলা জমতো, লম্বা লম্বা, হেভী মজা আছিলো।

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

এনকিদু এর ছবি

বুঝতে পারছি । আপনার আর আমার মা একই স্কুলে লেখাপড়া করত ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

সবজান্তা এর ছবি

পাইপ আইসক্রিমটারে আমরা ডাকতাম ড্রিঙ্কা নামে।


অলমিতি বিস্তারেণ

কীর্তিনাশা এর ছবি

ঠিক, এই ড্রিঙ্কা আমগো স্কুলে বহুত হিট আছিল।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সচল জাহিদ এর ছবি

আমার পছন্দের ছিল নৈ টানা। এটাও পুরাতন কাচের বোতল, লোহা লক্করের বিনিময়ে বিক্রি করত। একটাই গোলাকার চ্যাপ্টা পাত্রে থাকত এবং ছোট্ট হাতুরি ও বাটাল দিয়ে ভেঙ্গে ভেঙ্গে দিত।

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

খেকশিয়াল এর ছবি

কটকটিও তো এম্নেই ভাইঙ্গা দিত! কটকটিরেই আপনেরা নৈ টানা নামে ডাকতেন?

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সচল জাহিদ এর ছবি

মনে হয় তাইলে দুইডা একই , একেক এলাকায় একেক নাম।

আমাদের এলাকায় কটকটি হইল ময়দা, কিছু মসলা আর আরো কি জানি দিয়া শক্ত কিছু একটা বানাইত, খাইতে নিমকীর মত কিন্তু নিমকীর চেয়ে শক্ত ও অনেক ছোট, অনেকটা লডু খেলার ছক্কার মত। ঐডারেই কটকটি কইতাম।

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

পান্থ রহমান রেজা  [অতিথি] এর ছবি

আমাদের এলাকাতেও এইটারে নৈ বলতো। আর জাহিদ ভাই বর্ণিত ময়দা, কিছু মসলা দিয়া তৈরি শক্ত বস্তুটাকে কটকটি বলে।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হতে পারে, যেটাকে আমি ও জাহিদ লৈ বা নৈ বলছি সেটাই আপনাদের কটকটি। তবে কটকটি আসলে একটু ভিন্ন জিনিসকে বোঝায় (আমাদের দেশে)। লৈ হল তিলের খাজার ভেতরের যে জিনিসটা সেটা। গুড় দিয়ে বানালে হতো খয়েরি রঙের।

খেকশিয়াল এর ছবি

আমার মনে হয় আপনারা যেইটারে নৈ বা লৈ বলতাছেন ঐটাই আমাগো কাছে কটকটি কইয়া বেচতো, খয়েরি রঙের। আপনাদের দেশে কটকটি কেমন হইতো?

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কটকটি হলো ময়দা অথবা চালের আটা দিয়ে বানানো চারকোণা-চারকোণা দলার মতো। সেটা চিনির সিরায় অথবা গুড়রের সিরায় ভিজিয়ে শুকালেই একটার সাথে একটা লেগে যায়। সেটাকে বলে কটকটি। ছবি চাইলে দিতে পারি, বাসায় আছে।

খেকশিয়াল এর ছবি

বুঝছি, এইটাও খাইসি, তবে এইটারে কি কইতো মনে পড়ে না হাসি

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

এনকিদু এর ছবি

এইটা কটকটি না । লৈ কথাতা হয়ত 'লেই' এর সাথে সম্পর্কিত । এটার নাম আমিও জানিনা, আমি দেখেছি কিন্তু খাইনি ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

তানভীর এর ছবি

পিকনিক কি এখনো পাওয়া যায়? মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট বানাইত মনে হয়। বাংলাদেশী স্নিকারস।

খেকশিয়াল এর ছবি

মনে পড়তাসে না, আপনাদের সময়ের মনে হয়

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

এনকিদু এর ছবি

আছে, কেউ খায়না মনে হয় ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

ফকির লালন এর ছবি

এগুলো কি বাদ পড়লোঃ

শন পাপড়ি, মিছরি, নানখতাই ( বিস্কুট জাতীয়) কুলফি। খুলনায় স্কুলের সামনে আমরা মৌ্রী ও বেতফল/পানিফল খাইতাম।

আর খাতার পাতা ছিড়ে তাতে গুড়ো দুধ আর চিনি মিশিয়ে চুরি করে খাওয়ার একটা ব্যাপার ছিলো - এইটা মনে হয় স্বাধীনতার পর পরই ছিলো। পরে আর তার কদর/নতুনত্ব ছিলোনা।

বিষন্ন এর ছবি

জিনিসটি দেখতে ছিল কালো রংয়ের। মনে হোত যেন কয়লার গুঁড়ো। নাম ছিল হজমী। স্বাদ ছিল নুন-ঝাল মেশানো। স্কুলের সামনে বিক্রী হোত দেদার।

এনকিদু এর ছবি

এইটার গল্প আমার মা বলেন, তাদের শৈশবে পাওয়া যেত । আমি আমার শৈশবে এটা পাইনি ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

সবজান্তা এর ছবি

আরে এইটা তো আমিও খাইছি, আমার স্কুলের সামনে বেচতো।


অলমিতি বিস্তারেণ

খেকশিয়াল এর ছবি

হিহি খাইসি, শুধু কালো না, মনে পড়ে সাদা আর লাল রঙেরও ছিল

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

কীর্তিনাশা এর ছবি

আহা হজমি জিনিসটা আমার খুব প্রিয় ছিল। হাসি

হজমির সাথে আমসত্ব'ও বিক্রি হতো। সেইটাও খুব মজার ছিলো। আমসত্ব অবশ্য এখনও পাওয়া যায় ।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

হিমু এর ছবি
ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

নাম ছিল "দুলালের তালমিছরি"। এটা এখনো বের করা যায় - নেদারল্যান্ডস থেকে। যদি জনাব দুলাল তালুকদার ফ্যাক্টরী দিতে রাজী হন আর তানবীরা তালুকদার সচলে বিক্রী করার সোল এজেন্সী নেন।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

দুর্দান্ত এর ছবি

কড়ামিঠা আইডিয়া। দুলাল ভাই যেমন দিলদরিয়া মানুষ, আমাদের মুখ চেয়ে ওনার এটা করে ফেলা উচিত।

এনকিদু এর ছবি

বাদাম,

আমড়া,

আচার

দেঁতো হাসি


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

এনকিদু এর ছবি

টিকটিকির ডিমের মত কিন্তু একটু বড় আকারের একধরনের মিষ্টি গোলক পাওয়া যেত । ঐ গোলকের গায়ে বিভিন্ন রঙের প্যাটার্ন আঁকা থাকত । সাদার উপর সবুজ গোলাপি ইত্যাদি ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এটার কথা আমিও বলতে চেয়েছিলাম। কতকগুলো ঠিক পুরাপুরি গোল নয়, আয়তাকার কিন্তু কোণাগুলো মসৃন, তাই না?

ভুতুম এর ছবি

মিমি চকলেট। এখন তো ক্যাডবেরি ছাড়া আর কিছু দেখিই না।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

রেনেট এর ছবি

ইশ...কি জিনিসের কথা মনে করিয়ে দিলেন মন খারাপ
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

সবজান্তা এর ছবি

ইয়ে স্কুলের সামনে বেচা আচার, সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং ছিলো লিকুইড একটা আচারের জুস টাইপের, একটা প্লাস্টিকের ছোট্ট ব্যাগে ভরা। দাঁত দিয়ে কামড়ে একটা ছোট্ট ফুটা করে, চুষে চুষে খেতে হতো, বড়োই আনন্দ।

আরেকটা জিনিস খাইতাম স্কুলের সামনে। নারিকেল দিয়ে বানানো ছোট ছোট টুকরা কতোগুলি। আকৃতি অনেকটা একটা কাগজকে ছোট ছোট টুকরায় ছিঁড়লে যেরকম হয়, তেমন।


অলমিতি বিস্তারেণ

এনকিদু এর ছবি

নারিকেলের যেই জিনিসটার কথা বলছিস, সেটার নাম নারিকেলের চিড়া । আমার খুব পছন্দ ছিল ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

খেকশিয়াল এর ছবি

দাঁতে ফুটা কইরা আচার জুসের কথা কইলি যেইটা অইটারে আমরা কইতাম টনিক

আর পরেরটা এখন পাওয়া যায় বাসে মাঝেমাঝে, অইটাও জটিল জিনিস।

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

কীর্তিনাশা এর ছবি

সবজান্তা আপনার সাথে আমার পছন্দের খাবারগুলো হুবুহু মিলে যাচ্ছে। আপনি কোন স্কুলে পড়তেন বলেন তো?

আহা ! নারিকেল ভাজাটা যা সুস্বাদু ছিল !!

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

‍‌আমসত্ব(পাঁচ পয়সা প্রতি পিস)
রঙিন বরফকুচি(দশ পয়সা কাপ। সাথে দুধ মালাই দিলে চার আনা, আট আনা দিলে ইসপিশাল)
চাদের রুটি (অর্ধচন্দ্র, পাতলা, গোলাপী মুচমুচে)
হাওয়াই মিঠাই- গোলাপী(এখনো বিরাট বিস্ময় এই বস্তুটার প্রস্তুত প্রনালী)

আর......খাড়ান...মনে করে নেই !

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

ইয়ে, দামগুলা কী পয়সাতেই?"

খেকশিয়াল এর ছবি

আহা আমার হাওয়াই মিঠাই.. আপনে প্রস্তুত প্রনালী জানেন না?? আর আমি তো বানাতে না দেখলে খাইতামই না! এখনো মনে আছে, বসে বসে কারিগর ঘুরাতো চরকির মত একটা যন্ত্র, মধ্যে রঙ্গীন চিনির গুড়া দিত আর চারদিকে ওটা ছড়াতো অদ্ভুত হাওয়াই জাল

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

আসাদ [অতিথি] এর ছবি

বাদাম টানা ( নৈ + বাদাম)
তক্তা ( দেখতে তক্তার মত খাইতে অনেকটা বিস্কুটের মত)
তিলের খাজা
হাওয়াই মিঠাই
চিনি সাঁজ
বাবুল বিস্কুট হাসি

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আপনার ৩নং পাওয়া যাইত নানা রকমের শিষিতে, যেমন, হারিকেন, হ্যাজাক, বল ইত্যাদি। আর আইস্ক্রিম না বলে মালাই বলা উচিত, ১ টাকায় ৪ খানা পাওয়া যাইত, রঙ দেয়া পানির বরফ, যাহার মাঝে বিট লবন ছিটাইয়া খাইতাম, আর আট আনা দামের নারিকেন দেয়া বরফ খাইছে

আহা কি দিন ছিল। তাছাড়া বাদামের কটকটিও ছিল, আর নানা পদের লজেন্স যা এখনকার পোলাপাইন দেখলেই অসুস্থ হইয়া মূর্ছা যাইবে

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

টপসি (এই নাম-ই ছিল মনে হয়) জুসের সাথে নাবিস্কো গ্লুকোজ বিস্কুট খাওয়ার জন্য বহুৎদিন বাপরে জ্বালাইছি দেঁতো হাসি . স্কুলে সবচেয়ে মজা পাইতাম কৎবেল বা কাসুন্দি পেয়ারা খাইতে। তারপর পাইপ দেঁতো হাসি

খেকশিয়াল এর ছবি

হিহিহিহি টপ্সি, মনে পড়ছে হ আমিও কম জ্বালাই নাই দেঁতো হাসি

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

দুর্দান্ত এর ছবি

প্রথম দেখেছিলাম কোন এক বছরের রপ্তানী মেলায়। টিভিতে এর একটা এডও ছিল।

টপসি, টপসি,
তাজা ফলের রস
টপসি, ফ্রুট জুস, ইত্যাদি।

ধানমন্ডিতে শুধু মিরপুর রোডের তিতাস এ পাওয়া যেত।

পান্থ রহমান রেজা  [অতিথি] এর ছবি

হায় হায় এখনতরি বেলা বিস্কুটের নাম কেউ নিলো না দেখছি। প্রতি পিস ২৫ পয়সা দাম ছিল। ছোটবেলায় খুব খাইতাম।

সিরাত এর ছবি

অতি উত্তম পোস্ট ও আলোচনা! থ্যাংকু!

ফাহিম এর ছবি

একটা আচার পাওয়া যাইতো না, চার আনা দাম? একটাকায় চারটা??? অই যে, কালচে রঙের, সম্ভবত বরইয়ের... হায় শৈশব...

=======================
ছায়ার সাথে কুস্তি করে গাত্রে হলো ব্যাথা!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

খেকশিয়াল এর ছবি

হ, এই আচারের মেইন খাদক আমার বড় বোন, আমিও খাইতাম, বোনে আবার আচারের বাটি জমাইতো

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

বেলা বিস্কুট, হজমি, নৈ, কটকটি, আচার, ড্রেনের পানির আইসক্রিম সব খাইছি।
পাপড় কেউ খান নাই?
কমলা রঙের অর্ধচন্দ্রাকৃতির কাগজের মতো পাপড়।
দশ পয়সা করে ছিলো দাম।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

খেকশিয়াল এর ছবি

হাহা বেলা বিস্কুট, পুরা খোর আছিলাম, পয়সা পাইলেই হইল, দৌড়াইয়া গিয়া কিনতাম।

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

দময়ন্তী এর ছবি

আহা কারেন্ট নুন! এখন আর পাওয়া যায় না৷
--------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

খেকশিয়াল এর ছবি

মুখে দিলে টুস্টাস ফাটে যে ওইগুলা? ওইটা হইলে অনেক পড়ে খাইসি

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

রানা মেহের এর ছবি

তিলু
গুড়ের টুকরো তিল দিয়ে মোড়ানো।
বাসায় লুকিয়ে দোকান থেকে বাকি করতাম
মামা ঘিয়ে শোধ করে আসতো দেঁতো হাসি
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

খেকশিয়াল এর ছবি

তিলুও খাইসি দেঁতো হাসি

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

প্রথম তিনটা খাইছি। মিস করতেছি ভয়াবহ আপনার পোস্ট পইড়া।
আর, এতই ভালু ভদ্র োদা ছেলে ছিলাম যে সিগারেট তে দূরের কথা, সিগারেটরূপী চিউয়িংগামও খাওয়া হয় নাই।
অলরেডি মন খারাপ লাগতেছে সেইসব খাদ্যদের খাদে-মরার শোকে। আরো নাম মনে কইরা নিজে বুক-ফাইট্টা মরতে চাই না।
পোস্টে দুঃখভারাক্রান্ত প্লাস।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

মোরগ চকলেট।
কাঠির আগায় ঝুটিওলা লাল মোরগ...
____________
অল্পকথা গল্পকথা

সবুজ বাঘ এর ছবি

বিস্কুটের হাইসকিরিম, নাইরকলের হাইস কিরিম, হাফ ফুল খাইস?

খেকশিয়াল এর ছবি

বিস্কুটের আর নাইরকলের ডা খাইসি, হাফ ফুল খাইসি!!! লটারী কইরা বেচতো যেগুলা ওইগুলা না? ছোট গোল বাটির আইস্ক্রিমের মধ্যে কাঠি ঢুকায়া হাতে ধরায়া দিত।

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

দুর্দান্ত এর ছবি

গ্যান্ডারি বা আখ। ৫০ পয়সায় চিকন গাছের এক হাত, ১ টাকায় মোটা গাছের দেড় হাত। ৩ টাকায় ছোটখাটো আস্ত গাছ। দেশী, বোম্বাই, সুরমা - কত প্রকার।

খেকশিয়াল এর ছবি

দেশি, বোম্বাই, সুরমা.. নামগুলি মনে পড়ল হাসি

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

খেকশিয়াল এর ছবি

সবাইরে ধন্যবাদ, যখনই কিছু ভুলতে বসুম এই পোস্টটা দেখলেই সব মনে পড়ব।

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

বেলা বিস্কুট, শন পাপড়ি, রাংতায় মোড়ানো বরইয়ের আচার, পাইপ আইস্ক্রীম, কোক আইস্ক্রীম, বর্গাকার চারকোনা বক্সে লাল নীল নানা রঙ এর বাবল গাম [টাকায় চারটা], সিভিটা, ছোলা মাখানো, কাঁচের বাক্সে রাখা গোল গোল গাঢ় গোলাপী মিষ্টি কিছু একটা, কদমা, বাতাসা, নিমকি, আমসত্ব, কাঠি লজেন্স, ললিপপ, স্মারটিস্ট, রিং চিপস, নারকেলের চিপ্স, সরিফুলের দুধের মালাই।

বড় ভাল লাগল, কর স্মৃতি যে মনে করায় দিলেন তা আর নাইবা বলি... তারা দিলাম দশ লক্ষ...

--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

৫ পয়সা দামের লাল লাল ছোট আয়তাকার সন্দেশের কথা মনে আছে? প্যাকেটে ভরা ঝোলানো থাকতে মুদির দোকানে! ১০ পয়সা দিলে ২টা, ২৫ পয়সা দিলে ৫টা... আর সেই সন্দেশের কি স্বাদ! এরপর কত পদের সন্দেশ খাইলাম, মন তো আর সেই আনন্দ পাইল না!
চাইর আনা দামের ঝাল-মিষ্টি-টক চকলেট, যেইটা চুষতে চুষতে জিভ চারখার হইয়া যাইত, তাও খাওয়া থামাইতাম না... আর সবুজ ও কমলা রঙের তিতাস চকলেটের কথা খেয়াল আছে? তখন লেমন আর অরেঞ্জ বুঝতাম না। কইতাম, সবুজটা দেন বা লালটা দেন দুইটা...
আর অরেঞ্জ স্কোয়াশ? ঐটা খায়া তো মনে হইসিল, স্বর্গের সুধা। মইরা স্বর্গে যাওয়ার আগেই খায়া ফালাইসি!
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।