হাওয়াই মিঠাই ১৬: বাংলা লাইব্রেরী

কনফুসিয়াস এর ছবি
লিখেছেন কনফুসিয়াস (তারিখ: রবি, ১৫/০৮/২০১০ - ১১:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

library

একদম নীচের তাক থেকে বনফুলের রচনাসমগ্রের সবগুলো বই একেবারে লাস্যময়ী তরুণীর মত হাতছানি দিয়ে ডাকছে আমাকে। আমি বেশ দ্বিধায় পড়লাম। একসাথে সব কটাকে পাওয়া বেশ দুষ্কর, দেখা যায়, কোনটা না কোনটা আগেই কেউ ইস্যু করে নিয়ে যায়, আমি অন্য কোন একটা নিয়ে যাই ঠিকই, কিন্তু বনফুল একবারে সব পড়ে ফেলবো, বহুদিনের এরকম একটা ইচ্ছেকে কোনভাবেই পূরণ করা হচ্ছে না।  এবারে একদম মোক্ষম সুযোগ চলে এসেছে যাকে বলে, কিন্তু এবারে আসার সময় অন্য লেখকের চিন্তা মাথায় ছিলো, বনফুল নিয়ে যাবো সেরকমটা ভাবিনি। তাই, সে তরুণীদের ডাক উপেক্ষা করবো বলেই ঠিক করলাম।

মাউন্ট ওয়েভারলির এই বাংলা লাইব্রেরির খোঁজ আমাকে দিয়েছিলেন সুচেতাদি। প্রায় বছর পাঁচেক আগের কথা সেটা। দেশ ছেড়েছি তারও বছর ঘুরে গিয়েছিলো তখন, সাথে করে নিয়ে আসা আমার কাছে বই মোটে তিনটে। জীবন বাবুর কবিতাসমগ্র, সত্যজিতের গল্প ১০১ আর শীর্ষেন্দুর পারাপার। তিনটা বইই আমার প্রায় মুখস্থ হয়ে যাবার জোগাড়, বাংলা হরফ চেখে দেখার জন্যে অনলাইনে ঘুরে বেড়াই পাগলের মতন, সেই প্রবল জরুরি সময়ে এই লাইব্রেরিতে এসে আমি যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছিলাম!  অন্য অনেকগুলো ভাষার সাথে বাংলার জন্যেও তিন চারটে বড় বড় শেলফ বরাদ্দ করে রাখা, অভিবাসীদের জন্যে সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যের সার্ভিস। একটা ড্রাইভারস লাইসেন্স দেখিয়ে মেম্বার হওয়া যায়, তারপরে মেরেকেটে তিনমাসের জন্যে তিরিশ খানা বই নিয়ে হাপিশ হয়ে যাও, যেটাকে যেমন ইচ্ছে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পড়ো, কোনটাকে বারবার পড়ো, কোনটাকে নাইবা পড়ো। এরকম আনন্দ বৈদেশে এসে পাবো তা ভাবিনি।

লোটা-কম্বল খুঁজছি অনেকদিন ধরে। কলেজে থাকাকালীন অল্প বিস্তর পড়েছিলাম, আবারও পড়ার ইচ্ছে হচ্ছিলো, কিন্তু পেলাম না কোথাও খুঁজে। বইটা আদতে এই লাইব্রেরিতে আছে কি না সেটাও জানার উপায় নেই। কারণ লাইব্রেরিয়ান বাংলা জানে না। লাইব্রেরির ডাটাবেইজে সার্চ করা যায় অবশ্য, আমি দুয়েকবার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু কাজ হয়নি। কোন এক বিচিত্রি কারণে এই লাইব্রেরির বাংলা বইগুলোর নিবন্ধন হয়েছে অদ্ভুত ইংরেজিতে। সহজবোধ্য ইংরেজির বদলে কিছু ব্যাতিক্রম ঘটানো হয়েছে, অ- এর জন্যে ব্যবহার করা হয়েছে a, সেই হিসেবে আ-কারের জন্যে ডাবল a, এটুকু ঠিক আছে, কিন্তু মুশকিল হয়েছে, বর্ণের শেষে যে লুকোনো অ- থাকে, সেটার জন্যে ব্যবহার করা হয়েছে মাথার উপরে টুপিওয়ালা একটা a। এবং এখানেই গন্ডগোল লেগে গেছে, সার্চ করার সময় ইংরেজি হরফে বাংলা নাম টাইপ করলে অনেক হিজিবিজি দেখায়, বেশির ভাগ শব্দই ভরা থাকে অদ্ভুত সব হরফে, যেমন @#& এরকম!

আনিসুল হকের ‘জিম্মি’ আছে দেখি। প্রচ্ছদে আবার সিনেমার কলাকুশলীদের ছবি, নিচে বড় করে জানিয়ে দেয়া যে এই গল্প অবলম্বনেই তৈরি হয়েছে চলচ্চিত্র ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’। বেশ মজা পেলাম দেখে। প্রকাশকরা স্মার্ট হচ্ছেন, দেখে ভাল লাগলো। স্লামডগ মিলিয়নিয়ার ব্যাপক হিট হবার পরে বইয়ের দোকানে গিয়ে দেখি মূল বইয়ের প্রচ্ছদ বদলে সিনেমার পোস্টার দিয়ে বইয়ের কাভার বানিয়ে দেয়া হয়েছে, বইয়ের নামও পূর্বতন নাম Q &A বদলে স্লামডগ মিল্যনিয়ার করে দেয়া হয়েছে। অবশ্য নিচে, ওখানেও, ছোট করে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, এই বর্তমান স্লামডগ সাহেবই প্রাক্তন কিউ আন্ড এ।

jimmi

প্রথম যখন এ লাইব্রেরীর সদস্য হই, তখনো খুব বেশি বাংলাদেশি লেখকদের বই ছিলো না এখানে। অল্প কিছু হুমায়ুন আহমেদ, তসলিমা নাসরিন আর জাফর ইকবালের বই ছিল, সাথে আরো দুয়েকজন সুপরিচিতের বই। ব্যাপারটা খুব চোখে লাগে তখন। আমি অত্যুৎসাহী হয়ে লাইব্রেরিরি ঠিকানায় ইমেইল পাঠিয়েছিলাম, বলেছিলাম বাংলাদেশি বইয়ের স্বল্পতার কথা, এবং বলেছিলাম, বাংলাদেশি বই সংগ্রহের কোন ইচ্ছা যদি এনাদের থাকে, তাহলে আমি স্বতস্ফূর্তভাবে সাহায্য করবো।

পাঁচ বছর বাদেও সেই মেইলের উত্তর পাইনি। এখানে এরকমটা হয় না সাধারণত, মেইল করলে প্রত্যুত্তরে একটা ভদ্রতাসূচক মেইল অন্তত পাওয়া যায়। পরে যখন শুনেছি, বাংলা সেকশানের দেখাশোনার ভার আসলে বাংলাভাষীরাই করে থাকেন, তখন আর অবাক হইনি।

অবশ্য মেইলের উত্তর না পেলেও কয়েক মাস পরে লাইব্রেরিতে গিয়ে বেশ বুঝতে পারি, আমার মেইলটা হয়তো জায়গামতনই পৌঁছেছিলো। কারণ, হুমায়ুন আহমেদ আর জাফর ইকবালের সাথে শেলফকে ধন্য করে দেখলাম বসে আছেন আনিসুল হক! মানে, একেবারে ঠিকঠাক বাজার বুঝেই বই আনানো হয়েছে।

এখন অবশ্য আরও অনেকেই যুক্ত হয়েছেন সেই তালিকায়, ইলিয়াস এবং সৈয়দ হকের আরও অনেক বই এসেছে। সব মিলিয়ে এখনকার চেহারাটাকে অনেক পরিপূর্ণই বলা চলে।

সৈয়দ মুজতবা আলী সমগ্রের একটা খন্ড বগলদাবা করে ফেললাম। সাথে সৈয়দ হকেরও একটা।
কিছু আনকোরা নাম-না-জানা বুদ্ধদেব গুহর বই গড়াগড়ি খাচ্ছে। কদিন আগে এনার একটা বই পড়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিশোর বয়সে ওনার বেশ কিছু বই খুব ভাল লেগেছিলো, মাঝে অনেকদিন পড়া হয়নি, সেদিন যে বইটা পড়বো বলে হাতে তুলে নিয়েছিলাম, তার নাম ‘সম’। পড়তে পড়তে হতাশ হতে হলো। জল-জঙ্গলের অনেক বেশি পুনরাবৃত্তি। অনেক আগে এক বড়ভাইয়ের কাছে বুদ্ধদেবের লেখা একটা চিঠি দেখার সৌভাগ্য হয়েছিলো। তখনো কোন লেখকের নিজের হাতে লেখা চিঠি দেখিনি জীবনে। আমি অতি আগ্রহে সে চিঠি খুলে দেখি, নিয়মমাফিক কেমনাছোভালো-র পরে ঢাকায় বুদ্ধদেবের বইয়ের অনেকগুলো পরিবেশকের নাম দেয়া লিস্টি করে, সেই সাথে তাদের প্রকাশিত বই, এবং তলানিতে ছোট করে সেই সব বই কিনে পড়ার ছোট্ট অনুরোধ। আমি বিস্মিত হয়েছিলাম এরকম অদ্ভুতুড়ে চিঠি দেখে। সেই বিস্ময়বোধ অনেকদিন বাদে আবারো ফিরে এলো, যখন দেখি, সম উপন্যাসের চরিত্ররা ঘুরে ফিরে মাধুকরীর পৃথু ঘোষের সংলাপের রেফারেন্স টানছে!! দুটি চরিত্র নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছে কদিন আগেই পড়া ‘একটি.চমৎকার অন্যরকম উপন্যাস’ চাপরাশ নিয়ে!! রবীন্দ্রসংগীতশিল্পীর উদাহরণে বারে বারে ফিরে এলো ঋতু গুহের নাম। এবং এসবেরই ষোলকলা পূর্ণ হলো যখন দেখি, উপন্যাসের একটা চরিত্র আরেকটা চরিত্রকে উপদেশ দিচ্ছে কী করে কোলকাতা থেকে আনন্দ পাবলিশার্সের বই ভিপিপি যোগে দুর গঞ্জ গাঁয়ে বসে সংগ্রহ করা যায়!  এরপরে বইটা আর পুরোটা পড়বার কষ্ট নিজেকে দিতে চাইনি। যদিও  শহুরে মেয়ের প্রায় আদুল গায়ে জঙ্গলে স্নানের বর্ণনা আছে, আর মাত্র বছর বারো আগে হলেই এটা নির্ঘুম রাত কাটিয়ে দেবার জন্যে যথেষ্ঠ ছিলো। কিন্তু এবারে বুঝলাম, বুড়ো হয়ে গেছি আমি, হয়েছেন বুদ্ধদেব গুহও। সেই সাথে তিনি হয়ে গেছেন অনেক বেশি বাণিজ্যিক।

বুদ্ধদেব গুহ আর পড়বো না বলে ঠিক করেছি।

 


মন্তব্য

নিবিড় এর ছবি

কনফু ভাই লেখার ফন্ট বেশী ছোট হয়ে গেছে পড়তে কষ্ট হয়।

আর যেহেতু নিজের ঢোল নিজেই পিটানো ভাল তাই আর বুদ্ধদেব গুহের দোষ দিয়ে লাভ কি। ভাবছি এইবার থেকে নিজে কোন গল্প লিখলে সেখানে গল্পের চরিত্ররা বলবে- জানিস আমি না সচলায়তন পড়ি। আরেক জন তখন প্রশ্ন করবে কার কার লেখা পড়িস? তখন প্রথমজন বলবে- ঐযে একজন আছে না নিবিড়। তার লেখা দারুণ লাগে খাইছে


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

কনফুসিয়াস এর ছবি

ফন্ট সাইজ আমার এখানে ঠিক দেখাচ্ছিলো, তাই বুঝিনি। এখন বদলে দিলাম, ঠিক আছে?
ভাল বুদ্ধি করছো। তোমাকে বাংলার বুদ্ধদেব উপাধি দিয়ে দেব তাহলে। হাসি
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

তিথীডোর এর ছবি

@নিবিড়:
ভ্রাতঃ, আমনের তো ম্যালা বুদ্ধি! হো হো হো

বুদ্ধদেব গুহের মাধুকরী ভাল্লেগেছিল, কোজাগরেও অবশ্য ঋতু গুহের কথা আছে... খাইছে
তবে 'ছায়ারা দীর্ঘ হলো' পড়ে মুখটাই তেতো হয়ে গিয়েছিলো, চ্রম অখাদ্য!!

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

কনফুসিয়াস এর ছবি

ছায়ারা... পড়ি নাই। ঋতু গুহের কথা এই একটাতেই কয়েকবার এসেছে দেখলাম।

-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

কৌস্তুভ এর ছবি

কনফু ভাই, আপনার পরের বইতে আপনিও নিবিড় ভাইয়ের কথা মত বুদ্ধদেব গুহের পথ ধরেন...

কনফুসিয়াস এর ছবি

হুম, তারপরে আমাকে নিয়া এইরকম একটা লেখা কী লিখবে, আপনি? চোখ টিপি

-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

কৌস্তুভ এর ছবি

হ্যাঁ, আমার হুলাহুলা নৃত্যের যথেষ্টপরিমাণ রেফারেন্স যদি না টানেন তবে এমন পোস্ট লিখতে হবে বৈ কি!

হিমু এর ছবি

বুদ্ধদেবের নাম পাল্টায় বুদ্ধিদেব রাখা দরকার। প্যাটে কত্ত জিলাপির প্যাঁচ! তাছাড়া উনি সম্ভবত কিশোর ও হস্তপরনাস্তিদের কথা ভেবে উপন্যাসে নারীর স্তন একদম সময়মতো হাজির করেন। যখনই জঙ্গল-বন্দুক-বালছাল পড়তে পড়তে ধৈর্য প্রায় শ্যাষ, তখনই পৃষ্ঠার নিচের দিকে জনৈকা নারীর বুক দেখা যায়।

এক্ষান আবদার। আনিসুলের জিম্মি বইটার প্রচ্ছদ কি পোস্টে কোনোভাবে এমবেড করা সম্ভব? এইটা দেখার জন্য প্রাণ বেয়াকুল হৈল।

বুদ্ধদেবের বুদ্ধিটা পার্টনারশিপে চালাতে হবে। কয়েকজনের একটা গ্রুপ বানিয়ে। দবীর তার বইতে কবীরের বইয়ের চরিত্রদের প্রশংসা করবে। কবীর করবে সগীরের বইয়ের চরিত্রদের গুণগান। সগীর করবে দবীরের। নোড সংখ্যা বাড়িয়ে দিলে বোকা পাঠকের বাবার সাধ্য নাই সিণ্ডিকেটের রহস্যভেদ করার। দ্বীন মোহাম্মদ যেরকম উঠতে বসতে খালি রাশিদা সুলতানার আলাপ করে।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

কৌস্তুভ এর ছবি

তাছাড়া উনি সম্ভবত কিশোর ও হস্তপরনাস্তিদের কথা ভেবে উপন্যাসে নারীর স্তন একদম সময়মতো হাজির করেন।

হো হো হো

হিমু এর ছবি

আপনি দেখলাম পোস্ট লিখে আমার বদনাম করতেছেন? জিটকে অ্যাড কইরেন। অ্যাডি royesoye ।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

কৌস্তুভ এর ছবি

ওঁয়া ওঁয়া

মুরুব্বি মানুষে ঝাড়ি দিলে নীরবে অশ্রুপাত ভিন্ন উপায় কি? বেশ, বাকি ঝাড়ি নয় জিটকেই দিয়েন...

কনফুসিয়াস এর ছবি

সিন্ডিকেটের বুদ্ধিটা আসলেই দারুণ। হে হে হে!
আপনার আবদার রক্ষা করা হলো। জিম্মির ছবি দিলাম।

-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

শুভাশীষ দাশের এই রকম একটা গল্প আছেনা? 'উত্তম পুরুষেরা' নামে। যেখানে একজন আরেকজনের পিঠ চুলকায়, চাপড়ায় তাতে গোটা গ্রুপই জাতে উঠে যায় - পয়সা বানায়। বাস্তব জীবনে এই রকম লুপের সংখ্যা অনেক। একটু চোখ-কান খোলা রাখলেই হয়।

এক কাজ করুন, আপনি আপনার পরবর্তী লেখা থেকে উঠতে বসতে আমার লেখার প্রশংসা করতে থাকুন। আমি আবার অন্য কারোটা করব। আপনার জন্য অবশ্য এমন মানুষের দরকার নেই - আপনা থেকেই আপনার লেখার প্রশংসা করার লোক বহু আছে।

দ্বীণূতো একটা পিস্‌। একবার সে নিজেই নিজের সাক্ষাতকার নিয়েছিল না? যেখানে সে ঝিঁঝিটের গুণগান করতে করতে মাথায় ঝিঁঝিঁ ধরিয়ে দিয়েছিল।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

আমাকে চিনিতে গিয়ে জঙ্গলবাসি কাইন্দো না
আমার মতে আছি আমি একজনা ...

তবু সৈয়দদের চিনিতে হইবেক
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

গুহবাবুর তো গোটা কয়েক কোবতে ছাড়া কিছু পড়ি নাই। সিলেবাস থেকে বাদ্দিতে বলেন ??...

লোটাকম্বল বড় চমৎকার বই। খুব ভালো লেগেছিলো।

জিম্মি বইটাই ভালো লেগেছিলো, "ম্যাড-ই ইন বাংলাদেশ" [ঠাট্টা নয়, চলচ্চিত্রটার ইংরেজি নাম এই ছিলো] ততটা নয়।

_________________________________________

সেরিওজা

অতিথি লেখক এর ছবি

পাছে মানুষ ফাটিয়ে ফেলে, এই ভয়ে বোধহয় বুদ্ধদেব গুহরা এখন নিজের ঢোলটা নিজেরাই সামলেসুমলে বাড়ি দেন।

আনিসুল হকের মা পড়ে যে মুগ্ধতাটুকু জন্মেছিল ,পরে তার ফরমায়েশি লেখাগুলোর জন্য সেটার রেশ কেটে যেতে সময় লাগেনি। মেড ইন বাংলাদেশ দেখেছি, এবং প্রচন্ড ক্যাওসের জন্য ছবিটার মূল মেসেজটাই পরিচালক দিতে পারেননি বলে মনে হয়েছে।

অদ্রোহ।

শান্ত [অতিথি] এর ছবি

বুদ্ধদেবের "চাপরাশ" আমার পড়া সেরা বই। কেউকি এটা নিয়ে একটু আলোচনা করবেন। হয়তো আমি সবটুকু বুঝতে পারি নাই। কেউ যদি ...........

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আপনিই লিখে ফেলুন না। আমরা আমরাই তো। হাসি

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

আবু শাহেদ ইমন এর ছবি

বাহ...তুমি তো খুব সুন্দর করে লিখেছ..। তোমার লেখাটা যখন পড়ছি...তার খানিক্ষন আগেই নেড়েচেড়ে আখতারুজ্জামান ইলিয়াস পড়ছিলাম...ইলিয়াসের গল্প নিয়ে সিনেমা বানাতে মন চাইছে...

বাউলিয়ানা এর ছবি

অনেক সৌভাগ্যবান আপনি। দেশের বাইরে গিয়েও এমন চমতকার একটা লাইব্রেরী পেয়ে গেলেন। আমাদেরতো সেই ইন্টারনেটই ভরষা। কতদিন লাব্রেরীর আদি অকৃত্রিম বইয়ের সোঁদা গন্ধ নিতে পারিনা মন খারাপ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।