ক্যাম্বাসার

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: সোম, ২৮/০৪/২০০৮ - ৪:৫৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কিছুদিন বিজ্ঞাপনের দালালি করেছিলাম। ভাড়াটিয়া চাপাবাজ হিসেবে লোকজন আমাকে নিয়ে যেত বিভিন্ন ক্লায়েন্টের কাছে। যেতে যেতে তাদেরকে জিজ্ঞেস করতাম- আমার অফিসের নাম কী?
- আপনার অফিসের নাম অমুক
- আমার অফিস কী কী কাজ করে?
- আপনার অফিস এই এই কাজ করে
- আমার অফিসটা কোথায়?
- আপনার অফিস অমুক জায়গায়

ব্যাস। এইটুকু ইনফরমেশন নিয়ে আমি সেই অফিসের লোক বনে যেতাম। ক্লায়েন্টের সাথে পরিচয় পর্বে সাঁই করে মানিব্যাগ বের করে আতিপাতি খুঁজে বলতাম- ওহহো স্যরি। বিজনেস কার্ডটা সাথে আনা হয়নি। তারপর সঙ্গের লোকের একটা কার্ডে নিজের নাম লিখে বলতাম- এখানে ফোন করলেই আমাকে পাওয়া যাবে। এই করতে গিয়ে একই ক্লায়েন্টের কাছে দুই এজেন্সির লোক হিসেবে যাবার ঘটনাও ঘটিয়ে ফেলছিলাম একবার

একবার আমাদের এক দোস্ত বিজ্ঞাপন নির্মাতা আমাকে এক জায়গায় নিয়ে গেলো। সাথে একজন বাজারলক্ষ্মী। সাধারণত বড়ো বড়ো ক্লায়েন্টের কাছে যাবার সময়ই বাজারলক্ষ্মী নেয়া হয়। এরা মুখ ত্যাড়া করে ইংরেজি উচ্চারণে বাংলা বলে। একটা পোশাকের কাপড় দিয়ে তিন-চারটা পোশাক বানিয়ে পরে। প্রতি মিনিটে তিনবার খসে পড়ার জন্য এদের ওড়নায় একধরনের অটোমেটিক সিস্টেম ইন্সটল করা থাকে। প্রতিবার ওড়না তোলার সময় এরা ক্লায়েন্টের চোখে চোখ রেখে একটা লাজুক হাসি দেয়। এবং কথা বলার সময় ঝুঁকে এসে পারফিউমের গন্ধে শ্বাস বন্ধ করে বুঝিয়ে দেয়- আমি তো আছিই স্যার। আই এম এ্যাট ইওর সার্ভিস...

একটা রাশান লুব্রিকেন্ট বাজারে লঞ্চ করা হবে। খবর নিয়ে জানা গেছে মার্কেটিংয়ে এদের অনেক বাজেট। কারণ এই লুব্রিকেন্ট কম্পিটিশন করবে মবিলের সাথে। সুতরাং এরা হচ্ছে এ ক্যাটগরি ক্লায়েন্ট

প্রথম দিন প্রাথমিক কথাবার্তা হলো। তাৎক্ষণিভাবে মানুষের হাত পায়ের বিভিন্ন গিটঠুর মাঝখানের জেল-এর সাথে লুব্রিকেন্টকে কম্পেয়ার করে একটা আইডিয়া বললাম;
- হাঁটুর জেল শুকিয়ে গেছে; একটা লোক হাঁটতে হাঁটতে চিৎকার করছে- আহ- উহ...
- একটা নতুন গাড়ি চলতে চলতে চিৎকার করছে- ক্যাহ- কুহ....

দ্বিতীয় দিন আরো কিছু আইডিয়া এবং মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি নিয়ে আলাপ হলো। ঠিক হলো পরেরবার পুরো বিষয়টার উপর আমরা একটা প্রেজেন্টেশন দেবো এবং সেদিন বাজেট নিয়েও কথাবার্তা হবে

দোস্ত নির্মাতা খুবই খুশি। আমাদের প্রতি ওদের রেসপন্স খুবই পজেটিভ

প্রেজেন্টেশনের দিন দোস্ত একেবারে কোট টাই পরা এক্সিকিউটিভ। বাজারলক্ষ্মী পরেছে শাড়ি। এবং শাড়ির সাথে যা পরেছে সেটাকে ব্লাউজ বলা যাবে না। একটা ব্রা-কে টেনেটুনে একটু বড়ো করে ব্লাউজ হিসেবে চালিয়ে দিয়েছে। আর শাড়িটাও বোধহয় তার ছোটবেলা কেনা। কারণ এই শাড়ি দিয়ে পায়ের আব্রু ঢাকতে গিয়ে তাকে শাড়িটা নামিয়ে আনতে হয়েছে নাভির বেশ কয়েক ইঞ্চি নিচে। আর পারফিউম...। কোনো ময়লার ডিপোতে এর ওয়ান পার্সেন্ট ছেড়ে দিলে পুরো ডিপোটাই হয়ে উঠবে সুগন্ধের খনি

আমি আগের মতোই। বিয়েবাড়ি থেকে মরা বাড়ি পর্যন্ত চালানো সেই একই পোশাকে। জিন্স- ফতুয়া আর ময়লা জুতা

দিলাম। তিনটা আইডিয়ার এ্যানিমেটিকস এবং মার্কেটিং প্লানের পাওয়ারপয়েন্ট। একখান ফাটাফাটি প্রেজেন্টেশন দিলাম। তাদের মুগ্ধ চোখ আর হাত তালির চোটে আমার দোস্ত পরনে কোটের কথা ভুলে হাত গুটানো শুরু করল আর বাজারলক্ষ্মী মাথায় তুলে দিল ঘোমটা

আমরা কনফার্ম কাজটা পাচ্ছি। দোস্ত নির্মাতা এমডির দিকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির বাজেট প্রপোজাল বাড়িয়ে দিলো। থার্টি ফাইভ এমএম ফিল্ম- ডিজিবেটা- বেটাক্যাম-এসপি কিংবা ডিভি। সব ফর্মেটের বাজেটই করে নিয়ে এসছি আমরা

আবারও শাড়ির আঁচল ফেলে দিয়ে বাজারলক্ষ্মী এমনভাবে বসেছে যে তার নিশ্বাস গিয়ে পড়ছে এমডি সাহেবের উপর। কিন্তু এমডি সাহেব বাজেট পড়েন আর উল্টোদিকে বসা আমার দিকে তাকান। অবশেষে বাজেটে ফোল্ডারটা বন্ধ করে তিনি মুখ খুললেন- আপনারা যা করেছেন তার কোনো তুলনা নেই। কিন্তু আমরা চাচ্ছিলাম...
বাজারলক্ষ্মী শাড়ির আাঁচলটা একটু তুলে আবার ফেলে দিয়ে আরো একটু ঘেঁষে এসে ঠোঁট বাকিয়ে হাসলো- জি স্যার বলেন...
- আমরা আসোলে টিভি বিজ্ঞাপনের কথা চিন্তা করছি না। আমরা চাচ্ছিলাম বাসস্ট্যান্ডগুলোতে মাইকিং করাতে

অঁক করে একটা শব্দ বেরোলো বাজারলক্ষ্মীর গলা থেকে। জবাই করা মুরগি মরার আগে এরকম শব্দ করে। দোস্ত এক টানে টাই খুলে ফেলেছে। ভদ্রলোক এবার সরাসরি আমার দিকে তাকালেন- আপনার কণ্ঠ এবং উপস্থাপনা আমার খুবই পছন্দ হয়েছে
- থ্যাংক ইউ
- আপনি যদি আমার মাইকিংয়ের কাজটা করে দেন... তারজন্য আমি আপনাকে আলাদা পয়সা দেবো

কিসের শাটডাউন-ফাটডাউন। খটাশ করে ল্যাপটপের ডালা বন্ধ করে গাড়িতে উঠে মনে মনে দৃশ্যটা ভাবলাম; আমি রিকশায় ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে মাইকিং করছি- ডেরাইবার ভাইয়েরা লইকখ্য করেন। সব পিছলা পিছলা নয়। আসোল পিছলা কারে কয়; ধইরা দেখেন...। দামে সস্তা- কামে খাস্তা। সুদূর রাশিয়া থেকে আগত ডটডট লুব্রিকেন্ট। লইকখ্য করেন। লইকখ্য করেন....
২০০৮.০৪.২৮ সোমবার


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

"বাজারলক্ষ্মী" শব্দটা নতুন শিখলাম!
গল্পটাও দারুণ!!
শুভেচ্ছা।

-----
স্পর্শ

দুর্দান্ত এর ছবি

তুমুল!

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

বেড়ে হয়েছে।

---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কাজ করি। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো বাজারলক্ষ্নীর দেখা পাইনি। সত্যি কী এ ধরনের বাজারলক্ষ্নীর অস্তিত্ব আছে? আফটার অল গল্পে ক্লায়েন্টের চরিত্রের স্বরূপ বেশ চমৎকারভাবে উঠে এসেছে।

পান্থ রহমান রেজা

দুর্দান্ত এর ছবি

পান্থ ভাইয়ের শৈলডা বালা?

অতিথি লেখক এর ছবি

জ্বী, দুর্দান্ত ভাইয়া। আপনারটা?

পান্থ রহমান রেজা

মাহবুব লীলেন এর ছবি

@ পান্থ
আপনার বিজ্ঞাপনী সংস্থাটা যদি কোনো হেডমওয়ালা সংস্থা হয় তাহলে আপনাদের বাজারলক্ষ্মীর দরকার পড়ার কথা না

কিন্তু যারা টুডাফাডা তারাই ভরসা করে বাজারলক্ষ্মী এবং আমার মতো ভাড়াটিয়া ক্যাম্বাসারদের উপর

অতিথি লেখক এর ছবি

লীলেন ভাই, আমাদের বিজ্ঞাপনী সংস্থার নাম মিডিয়াকম লিমিটেড। এটি স্কয়ার গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান।

পান্থ রহমান রেজা

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আপনার প্রতিষ্ঠান যে ঠিকই একটা হেডমওয়ালা প্রতিষ্ঠান সেই অনুমান তাহলে ভুল না

সরাসরি বাজারলক্ষ্মী না দেখলেও আপনাদের অচৌদের কাছে যে কতশত বাজারলক্ষ্মী আসে আর যায় একবারও কি চোখে পড়েনি ভাইজান?

অতিথি লেখক এর ছবি

আমরা ভাই নিচতলার লোক। ওপরতলার খোঁজ নিয়ে লাভ নাই।

পান্থ রহমান রেজা

তীরন্দাজ এর ছবি

সারা দুনিয়াটাই যেন এক বেশ্যালয়! নারী বেশ্য, পুরুষ বেশ্যা, রাজনীতিবাদ বেশ্যা....

আসল বেশ্যারা কোনঠাষা...!

**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

মাহবুব লীলেন এর ছবি

অতো ক্ষ্যাপেন কেন ভাইজান
প্রকৃতির দেয়া মাটি-পানি বাতাস যদি বিক্রি করা যায় তবে প্রকৃতির দেয়া শরীর বিক্রি করতে আপত্তি কোথায়?

০২
কম্পুবিজ্ঞানে যেমন কেউ কারবার করে হার্ডওয়ারের আর কেউ সফটওয়ারের
বাণিজ্যবিদ্যায়ও কেউ ভাড়াখাটায় মগজ আর কেউ শরীর
সমস্যা তো দেখি না
যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ো
মূল কথা হলো টাকা হান্টিং

অতিথি লেখক এর ছবি

বাজারলক্ষ্নী নামটা নতুন দেখলাম। এ নাম আগে কোথাও দেখি নাই। ভালই হইছে নামটা ,গল্পটাও।
eru

-------------------------------------------------
সুগন্ধ বিলোতে আপত্তি নেই আমার
বস্তুত সুগন্ধ মাত্রই ছড়াতে ভালবাসে।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

বাজারলক্ষ্মী শব্দটা আমিও আজ প্রথম দেখলাম নিজে লিখে ফেলার পরে

০২
এই প্রফেশনের মেয়েদের প্রতি আমার আলাদা এক ধরনের শ্রদ্ধা কাজ করে সবসময়

বিভিন্ন বড়ো বড়ো ইভেন্টে এরা অডিটোরিয়ামের সারিতে সারিতে দাঁড়িয়ে থাকে সেজেগুঁজে
গেটে দাঁড়িয়ে হাসে
পেইড কাপল হিসেবে বুড়োদের সাথে পার্টিতে যায়
বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন ধরনের গিফট নিয়ে পৌঁছে দিয়ে আসে বিভিন্ন ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের বাসায়
সচিবালয়ের বারান্দায় হাঁটে ফাইল হাতে নিয়ে
এবং সমস্ত করপোরেট সেকশেনের প্রতিটি টাইলসের ফাঁকে ফাঁকে দাঁড়িয়ে হাসে আর হাসে
কেউ হাসলেও এরা হাসে
কেউ কামড়ালেও এরা হাসে....

এদের উপর দাঁড়িয়ে থাকে আমাদের ব্রান্ডেড করপোরেট...
যারা এদের সার্ভিস নেয় তারা এদের ঘৃণা করে

তাদের জন্য শব্দ খুঁজতে গিয়ে এই বাজারলক্ষ্মী শব্দটার আবিষ্কার...

রায়হান আবীর এর ছবি

চল চল চল
লীলেন ভাই বস!!!

---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

লীলেন ভাই জিন্দাবাদ হো হো হো

অনিন্দিতা এর ছবি

হুমম্ , কাহিনী তাহলে এই? এ কদিন লেখালেখি বাদ দিয়ে ক্যাম্বাসারগিরি করেছেন? ভালোই আছেন তাহলে।
অন্য প্রসঙ্গ:
এই গল্প ও কি স্বপ্নে দেখা?

মাহবুব লীলেন এর ছবি

ভাড়াটিয়া হিসেবে ক্যাম্বাসারগিরি ছেড়ে দিয়েছি প্রায় বছরখানেক হলো
আজ হঠাৎ সেই দোস্ত নির্মাতা ফোন করে বলল- কী এখন কি নিজে নিজেই মাইকিং করো নাকি? দেখি না?

তার ফোনেই মনে পড়লো সেই কাহিনী

০২
এই গল্পটা একেবারে বাস্তব। ১০০% এই অধমের ঘাড়ে ঘটে যাওয়া ঘটনা

আকতার আহমেদ এর ছবি

আমাদের অফিসে বেশ কয়েকমাস আগে একজন এসেছিলেন একটা মোবাইল কোম্পানি থেকে তাদের ইন্টারনেট কানেকশনের কর্পোরেট প্যাকেজ নিয়ে কথা বলতে। বস না থাকাতে আমিই গেলাম । দশ মিনিটে তার ততোধিকবার ওড়না খসে পড়ার দৃশ্য মনে হলে এখনও “তাহার” জন্য ভয়ানক মমতা অনুভূব হয় !
আপনার এই লেখা পড়ে আজ আবার "তাহার" কথা মনে পড়ে গেল!
ধন্যবাদ লীলেন ভাই, আপনার দূর্দান্ত গল্পের জন্য
ভালো কথা, “বাজারলক্ষী” শব্দটা কিন্তু দূর্ধর্ষ হয়েছে !

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এদেরকে কিন্তু স্পেশাল কিছু ট্রেনিং দেয়া হয়
এবং এই ট্রেনিংগুলো বেশ এক্সপেনসিভও
যার মূল কারিশমা হলো যৌনগন্ধি বাণিজ্য বিস্তার...

০২
পৃথিবীর প্রথম পেশা কিংবা বাণিজ্য ছিল যৌনতা (দেহ এবং যৌনগন্ধী সঙ্গ)
যার বিক্রেতা ছিল নারী এবং ক্রেতা পুরুষ
বাণিজ্য এখনও সেই একই জায়গায় আছে
কিন্তু এদের জন্য তৈরি হয়েছে শুধু ঘৃণার শব্দমালা...

০৩
আজকের বিশ্বে সমস্ত বাণিজ্যের প্রধান এক্সপ্রেশন সেক্স...

দুর্দান্ত এর ছবি

"যার বিক্রেতা ছিল নারী এবং ক্রেতা পুরুষ"
প্রমোদবালাদের মত প্রমোদবালকদেরও যেমন অভাব ছিল না, তেমনি ক্রেতা পুরুষের মত ক্রেতা নারীরাও ছিলেন।

তারেক এর ছবি

আসোল পিছলা কারে কয়; ধইরা দেখেন...। দামে সস্তা- কামে খাস্তা। সুদূর রাশিয়া থেকে আগত ডটডট লুব্রিকেন্ট।

লুব্রিক্যান্টের জাত বুঝাইয়ে দিছে ব্যাটারা গড়াগড়ি দিয়া হাসি
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

জাহিদ হোসেন এর ছবি

একদম লা জওয়াব লেখা।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

খেকশিয়াল এর ছবি

হাহাহাহা কাহিনী !! হো হো হো

-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

অসাধারণ একটা লেখা।

ঢাকা-বসবাসের জীবনে নিজে কিছুকাল একাধিক বিজ্ঞাপন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করেছি। বাণিজ্যলক্ষ্মীদের সঙ্গে কখনো দেখা হয়নি, তবে এখনকার মতো ব্যাপক সংখ্যায় না হলেও তারা তখনো ছিলো জানতাম।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

হিমু এর ছবি

আমি ভেবেছিলাম অন্য কিসিমের লুব্রিক্যান্টের কথা। মবিলের ব্যাপারটা খেয়াল করিনি। পরে দেখলাম এটি যান্ত্রিক কেস, জৈবিক নয়।


হাঁটুপানির জলদস্যু

মাহবুব লীলেন এর ছবি

জৈবিক লুব্রিকেন্ট খোঁজেন?
আপনি ব্যাক টু ব্যাক নাকি?

হিমু এর ছবি

প্রিয় লীলেন ভাই, লুব্রিক্যান্ট খুঁজি না আর। ড্রয়ারে আছে হাফ কৌটা। ইউনিতে নতুন ছাত্রছাত্রীদের অনেক সময় উপহার দেয়া হয় এইসব টুকিটাকি।

ব্যাক টু ব্যাক মানে বুঝলাম না। প্রবল কল্পনাশক্তি খাটাতে হবে এই কথার মানে বুঝতে। অথবা কনট্যুরশনিস্ট। তবে ব্যাক দেখে আঁচ করতে পারছি, পেছনসংক্রান্ত কোন রসিকতা করার চেষ্টা করেছেন। না, কারো পেছনের প্রতি আমার আগ্রহ নেই, আমার পেছনের প্রতিও কারো টান নেই বলেই জানি। আপনি যদি কেবল খিড়কির কাজেই লুব্রিক্যান্টের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন, তাহলে আমি বলবো, সিংহদ্বারের ক্ষেত্রেও এটি কার্যকরী। ফাংশন একই। আপনার মাইকিংও পাল্টাতে হবে না ;)।


হাঁটুপানির জলদস্যু

মাহবুব লীলেন এর ছবি

তাহলে আমি বলবো, সিংহদ্বারের ক্ষেত্রেও এটি কার্যকরী। ফাংশন একই।

হায় হায় হায়
মরচে পড়া সিংহদ্বারে যাতায়াত?

হিমু এর ছবি

প্রিয় লীলেন ভাই, লুব্রিক্যান্টের কাজ মরিচার বিপরীতে নয়। এর প্রথম কাজ হচ্ছে তীব্র ঘর্ষণের হাত থেকে যন্ত্রপাতিকে বাঁচানো, দ্বিতীয় কাজ হচ্ছে ঘর্ষণের ফলে উৎপন্ন তাপের হাত থেকে যন্ত্রকে বাঁচানো। কাজেই বুঝতেই পারছেন ... । আপনি যদি মরিচার হাত থেকে বাঁচানোর জন্যে লুব্রিক্যান্টের মাইকিং করেন, চালক ভাইয়েরা আপনাকে দৌড়ানি দিতে পারে। তখন বাজারলক্ষ্মী বা চিয়ারলীডার, কোন কিছু নিয়েই রক্ষা হবে না।


হাঁটুপানির জলদস্যু

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- লীলেন ভাই মনেহয় গিরীজের কথা কৈতাছে।
মোন্তা মিয়া দেখতাম ইরি ক্ষেতে পানি দেওনের মেশিনে হৈলদা হৈলদা গিরীজ লাগায়। কয় এইটা বলে পুরান মেশিনরে 'জং ধরা' থাইকা বাঁচায়। কিন্তু লীলেন ভাই হঠাৎ জং ধরার পিছে পড়লো কেন? চিন্তিত
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

অতিথি লেখক এর ছবি

অসাধারণ!! আক্ষরিক অর্থেই হাসতে হাসতে বিষম খাচ্ছিলাম।
চোখের সামনে যেন সব কিছু ঘটতে দেখলাম।
নাহ, আপনি মানুষটা আসলেই বস আছেন।
~রেনেট

দ্রোহী এর ছবি

হা হা হা .........পুরা কোপানী কাহিনী!!!!!!!


কি মাঝি? ডরাইলা?

অমিত এর ছবি

মাহবুব লীলেন লিখেছেন:
অতো ক্ষ্যাপেন কেন ভাইজান
প্রকৃতির দেয়া মাটি-পানি বাতাস যদি বিক্রি করা যায় তবে প্রকৃতির দেয়া শরীর বিক্রি করতে আপত্তি কোথায়?

ব্যাপক

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বাজারলক্ষীর এট্টা ফটুক দিতেন, শাড়ির আঁচল খসে পড়া অবস্থায়। দেখতে বড়ই মন চায়। মন খারাপ
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍"বাজারলক্ষ্মী" - দারুণ মোক্ষম এক শব্দ।

প্রকৃতির দেয়া মাটি-পানি বাতাস যদি বিক্রি করা যায় তবে প্রকৃতির দেয়া শরীর বিক্রি করতে আপত্তি কোথায়?

হককথা। এবং বিক্রেতাদের ঘৃণা করার কোনও কারণ কি আছে? পারস্পরিক সম্মতি এবং চুক্তিতে বিক্রেতা ও ক্রেতার মধ্যে কোনও ডিলিং হলে তাতে আপত্তি করার কোনও কারণ তো আমি দেখি না।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
নিঃস্বার্থ বন্ধুত্ব দেবো। কিন্তু কী পাবো তার বদলে? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

হা হা হা
দারুণ !
আপনাকে মাইকিং করা অবস্থায় কল্পনা করতে তো বেশ লাগছে !
এমডি সাহেব জিনিস চেনে !!

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

জোবায়ের বিন ইসলাম এর ছবি

আমার একটা প্রশ্ন ছিল.বাজারলক্ষ্মীরা কি এই পেশায় নিজেরা আসেন? নাকি তাদের আসতে বাধ্য করা হয়?

অরেকটা প্রশ্ন, বিগ্গাপন লাইনে কাজ করতে হলে ( মানে creative section/ not modeling) আমাকে কি করতে হবে? আমার খুব শখ এখানে কাজ করার, কিন্তু পড়াশোনার জন্য সময় পাচ্ছিনা খোঁজ নেয়ার.

দয়া করিয়া খোঁচা মারিয়া উত্তর দিবেন না.

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।