লাওয়ারিশ

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৪/১২/২০০৮ - ১২:৫৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

- আমার দিকে চোখ রাঙিয়ে কথা বলে। এতো বড়ো সাহস! কথাটা দুতিনবার বলার পর আমার হুমকি আর বেশি দূর এগোয় না। এর পরে কী বললে লোকটা ভয় পাবে তাও খুঁজে পাই না। শুধু কিছু বিরতি দিয়ে দিয়ে কথাটা কয়েকবার বলি আমি। কথাটার সাথে নিজের একটা জুতসই পরিচয় জুড়ে দিলে হয়তো লোকটা ভয় পেতো। কিন্তু তার ভয় ধরানোর মতো নিজের কোনো উপযুক্ত পরিচয় খুঁজে পাই না আমি। এক্ষেত্রে দেখেছি লোকজন নিজের বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের নাম ধরে ভয় দেখায়। জানিস আমি কে? আমি অমুকের ছেলে, তমুকের শালা। কিন্তু আমার কোনো বাপ- দুলাভাই কিংবা মামা; কারোই এমন কোনো ক্ষমতা কিংবা চাকুরি, কিংবা দুর্নাম নেই যে তাদের নাম নিয়ে কাউকে ভয় দেখানো যেতে পারে। ... যার জন্য আমার হুমকিটা আর এগোয় না। এবং লোকটাও মোটেও ভয় পায় না। বরং নিজের কাছেই একসময় মনে হয় জুতসই হুমকি দিতে না পেরে আমি নিজেই লোকটাকে ভয় পেতে শুরু করেছি। যদিও লোকটা কোনো ধরনের গলা উঁচিয়ে কিংবা হুমকি দিয়ে কোনো কথা বলছে না। বরং সেই প্রথম থেকেই সে যেভাবে ছিল; মাইক্রোটির ড্রাইভারের সিটের বাইরের জানালার সাথে ঠেস দিয়ে দাঁড়ানো। ঠিক সেই ভাবেই এখনো আছে। এবং আমার প্রতিবার হুমকি পুনরাবৃত্তির পর সে একই কথা বলে যাচ্ছে- বললামতো যাওয়া যাবে না

তার এই একইভাবে নির্লিপ্তের মতো বলার ভঙ্গিতেই মনে হচ্ছে সে মোটেও আমাকে ভয় পাচ্ছে না। বরং আস্তে আস্তে আমিই ভীত হয়ে উঠছি

- সমস্যাটা কী। দেখি সরতো
রতন আমাকে হাতে ঠেলা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে এগিয়ে গেলো লোকটার দিকে। আমি বেঁচে গিয়ে রতনের পেছনে দাঁড়িয়ে রইলাম। দেখা যাক হয়তো রতন পারলে পারতেও পারে। ... রতন শুরু করল সেই প্রথম থেকে। কিছুটা ধমকের সুরে। - কেন? যাবেন না কেন?
- যাওয়া যাবে না। প্রব্লেম আছে
- কী প্রব্লেম শুনি?
- কী প্রব্লেম তা আপনাকে বলা যাবে না
- বলা যাবে না মানে? আপনি বলতে বাধ্য
- এমন কোনো কথা নেই আপনাকে আমার প্রব্লেম বলতে বাধ্য আমি
- তাহলে যেতে হবে
- স্যরি যাওয়া যাবে না

রতন আপনি থেকে তুইতে নেমে এলো- জানিস আমি কে? আমি এখনই তোকে জেলের ভাত খাওয়াতে পারি জানিস?
রতন নিজের কোনো পরিচয় দিলো না। কিন্তু পকেট থেকে মোবাইল ফোন বের করে কী একটা নম্বর খুঁজতে লাগল
- নম্বর খুঁজে কী করবেন? এখানে নেটওয়ার্ক নেই

লোকটা আগের মতোই গাড়িতে হেলান দিয়ে নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে বলল। রতন কিছুটা থতমত খেয়ে গেলো। এমন নয় যে রতন জানে না এখানে নেটওয়ার্ক নেই। কিন্তু তারপরও সম্ভবত লোকটাকে ভয় দেখানোর জন্য মোবাইল ফোনটা বের করেছিল। লোকটা নেটওয়ার্ক নেই বলার পর রতন বিষয়টাকে ঢাকতে একটু ক্ষণ কী সব আবা আবা কথা বলল যার কোনো মানেই হয় না। তারপর মোবাইলটা পকেটে রেখে আবার বলল- আপনাকে যেতেই হবে
- কেন?
- আমি বলছি আপনাকে যেতে হবে। এজন্য যাবেন
- আপনি কে?
রতন আবার আবা আবা করতে থাকল। বুঝলাম সে নিজের কোনো পরিচয় খুঁজে পাচ্ছে না। আমি আবার এগিয়ে গেলাম। এবার অন্যভাবে - বুঝতে পারছি আপনার বড়ো কোনো সমস্যা আছে এজন্য যেতে চাচ্ছেন না। কিন্তু দেখুন আমাদেরওতো যেতে হবে। আমাদের সমস্যাটাও একবার চিন্তা করুন
- স্যরি
- সরি মানে?
- স্যরি মানে এখন আপনাদের কথা আমি চিন্তা করতে পারব না
- কেন পারবেন না। চাইলেই পারেন
- দেখেন। নিজেরটা বাদ দিয়ে যদি অন্যদের কথা চিন্তা করতে পারতাম তাহলে আমি এখন দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকতাম। গাড়ি চালিয়ে ভাত খেতে হতো না আমাকে। ... আমার টাকাটা দিয়ে দেন। আমি চলে যাই
- আমরা কী করে যাব?
- সেটা সরকার জানে

রতন অনেকক্ষণ চুপচাপ ছিল। - অসম্ভব না গেলে টাকা দেয়া যাবে না বলে আবার এগিয়ে এলো। কিন্তু আমি অনুমান করলাম এই সময়ে লোকটাকে ভয় দেখানোর মতো কোনো পরিচয় সে নিশ্চয়ই আবিষ্কার করতে পারেনি। এবং লোকটা আসলেই যাবে না

দলের ম্যানেজার আমি। টাকা আমার কাছে। আমি টাকা দিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। যদিও লোকটার সাথে আমাদের কথা ছিল আমরা যাব আসব তার গাড়িতে। এবং অবশ্য আমরা বলেছিলাম যে বিকেল পাঁচটার মধ্যেই আমরা ফিরে আসব। আর লোকটা বলেছিল সে পাঁচটার পরে থাকতে পারবে না। কিন্তু আমরা ঘুরতে ঘুরতে ছটা বাজিয়ে দিয়েছি। এবং এখনো রিনি আর রন্টু এসে পৌঁছায়নি গাড়ির কাছে। সুতরাং লোকটা মানে ড্রাইভারটা বিগড়ে গেছে। সে আর যাবেই না আমাদের নিয়ে

- কাজটা ঠিক করলেন না। বলে আমি টাকাটা দিয়ে দিলাম। শুধু যাবার জন্য তাকে যত টাকা দেবার কথা ছিল
- সব কাজ ঠিকঠাক করার কোনো ঠিকাদারি নেইনি আমি। বলে গাড়িতে উঠে লোকটা স্টার্ট দিয়ে একটা রেস্টুরেন্টের সামনে থামল

রতন কিছুক্ষণ চোটপাট করল আমার উপর। কেন দিলি? তাকে দেখে নিতাম। কী করে পয়সা নেয়। যাবে না মানে তার ঘাড় যেত
- চোটপাট করে লাভ নেই। চল দেখি অন্য কী ব্যবস্থা করা যায়

এখান থেকে বালি ভর্তি করে ট্রাক গুলো শহরের দিকে যায়। বলে কয়ে যদি একটা ব্যবস্থা করা যায়। রতন গাঁট করে বসে থাকল। - তুই যা

একটা ট্রাক রাজি হলো। কিন্তু ট্রাকটার বয়স পঞ্চাশ না একশো বছর হবে তা আর আমি আন্দাজ করতে পারলাম না। ত্যাড়া বলতে যা বোঝায় এক কথায় তাই। এর চাকা উত্তর-দক্ষিণ দিকে থাকে তো এর চেসিস থাকে প্রায় পুব-পশ্চিম দিকে। ওরা বালি নিয়ে যাবে। আমাদের চারজনকে বালির উপর বসে যেতে হবে। খারাপ না। যদিও একটু একটু শীত। তবুও রাতের মধ্যে চলে যেতে পারব। এর মধ্যে রিনি আর রন্টুও এসে পৌঁছে গেছে। রতন এবার চেষ্টা চালালো রিনি আর রন্টুর উপর ঝাল মেটাতে। কিন্তু রিনির হাসি আর রন্টুর নির্লিপ্ততার কারণে খুব একটা এগোতে পারল না। এসে ধরলো আমাকে- ট্রাক দেখবিতো আরেকটু ভালো ট্রাক পেলি না?
- ভালো ট্রাকে কি তোকে সিটে বসিয়ে নেবে?
- তা না হয় নিলো না। কিন্তু..
- যে ট্রাকেই যাও বাবা। বালির উপর বসেই তোমাকে যেতে হবে। আর বালির মধ্যে ভালোমন্দ বলে কিছু নেই। সব ট্রাকেই একই নদীর বালু
রতন আমাকে আর কিছু বলল না। একা একা আবা আবা করল একটু। বোঝা গেলো তার সব রাগ এখন রিনি আর রন্টুর উপর। রিনি আর রন্টু খুশিই হয়েছে। এবার তারা এক চাদরের নিচে দুজন বসে যেতে পারবে। আসার সময় এই রোদের মধ্যে এক চাদরের নিচে দুজন বসার যুক্তিটা রন্টু দাঁড় করাতে পারেনি। এখন নিশ্চয়ই খোলা ট্রাকে হালকা শীতে এক চাদরের নিচে দুজন বসার মতো যথেষ্ট যুক্তি পেয়ে যাবে তারা

ঠিক তাই হলো। ট্রাকে উঠেই একটা ত্রিপল পেলো কোনার দিকে ভাঁজ করা। রন্টু সেটাকে বিছিয়ে ফেলল বালির উপর তাদের দুজনের উপযোগী করে। আমাদের বলল- আমরা না হয় যেকোনো ভাবে যেতে পারব। কিন্তু রিনি এসবে অভ্যস্ত নয়। ত্রিপলটা ওর জন্য বিছিয়ে দেই

আমি আর রতন বসে রইলাম বালির উপরে। বালি থেকে ট্রাকের রেলিং মাত্র দু আড়াই ইঞ্চি উপরে। একটু এদিক সেদিক হলে ছিটকে পড়ে যাবারও সম্ভাবনা আছে। ট্রাক চলা শুরুর পর আমাদের সাথে প্রথম বিড়িটা খেতে খেতে কথাটা স্মরণ করিয়ে দিলো রন্টু। বলল পাশ থেকে সরে এসে বসতে

- ইস শীত লাগে রে। জানলে আসার সময় একটা জ্যাকেট নিয়ে আসতাম। বলে সে আস্তে আস্তে রিনির কাছে গিয়ে তার চাদরে ভাগ বসালো
- শালা ধান্দাবাজ। রতন একটা গালি দিয়ে সিগ্রেটটা আমার দিকে বাড়িয়ে দিলো। - সরে আয়। শালা এখানে পড়ে গেলে তোকে খুঁজে আনতেও যাবে না কেউ
রতন সরে এলো। আমিও সরে এলাম। কিন্তু ভেজা বালিতে পাছায় ঠান্ডা লাগছে প্রচণ্ড। রতন কিছুটা ক্ষেপে গেলো রন্টুর উপর। শালা সব খাবি তুই? ছাড়। বলে রন্টু আর রিনির নিচ থেকে কিছুটা ত্রিপল টেনে বের করে ফেলল। সে বসল এক কোনায়। আর আমি বসলাম আরেক কোনায়

অন্ধকার খুব একটা নেই। মোটামুটি একজন আরেকজনকে দেখতে পাচ্ছি আমরা। রন্টু আর রিনি চাদরে আগাগোড়া ঢাকা। কিন্তু তাদের চাদরের নড়াচড়াটা খুবই প্রকট

- দোস্ত। তোরা কিন্তু মাইন্ড করিস না। বুঝিসইতো শালা হাহাকারের মধ্যে থাকি
কথাটা বলে রন্টু রিনিকে নিয়ে শুয়ে পড়ল ত্রিপলের উপর। রিনির চাদরটা দিয়ে দুজনের মাথা থেকে পা পর্যন্ত আগাগোড়া ঢাকা। ওদের মাথা এখন আমার দিকে। আর পা রতনের দিকে। রিনির কণ্ঠে - না না শুনছিলাম। কিন্তু দেখলাম রন্টু এক টানে ওর জামাটা কোমরের দিক থেকে তুলে গলার কাছে নিয়ে গেলো। রন্টুর এই অ্যাকশনে সরে গেলো ওদের উপরের চাদর। রিনি নিজের জামা সামলানোর চেয়ে চাদর সামলানোটাকেই জরুরি মনে করে চাদরটা দিয়ে আবার মাথা অবদি ঢেকে দিলো। চাদরের নিচে আরো কয়েকবার শুনলাম রিনির আপত্তি। সাথে রন্টুর গলা
- আমাকে ভালোবাস না বলো?
- বাসি তো
- তাহলে চাহিবামাত্র দিতে বাধ্য থাকিবে। তুমি এখন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। আর আমি ইহার বাহক। টাকার নোটের উপর লেখা কথাগুলো বলে রন্টু প্রায় চেপে ধরলো রিনিকে। বোঝা গেলো তার দুই হাত এখন রিনির দুই বুকে। কখনো মুখও। রিনি আর চাদর দিয়ে নিজের মুখ ঢাকার চেষ্টা করছে না। বরং আমার দিক থেকে মুখটা ঘুরিয়ে অন্যদিকে ফেরাতে পারটাকেই যথেষ্ট মনে করছে

- আরে ওরা দেখলে কিছু না। এসব সবাই বোঝে। নরমাল ব্যাপার। বলে রন্টু হাত চালাল রিনির কোমরের ফিতার দিকে। তার এই অ্যাকশনে পুরো চাদরটা প্রায় খুলে গিয়ে পড়ল পায়ের কাছে। যেখানে রতন বসেছিল। রতন আবার চাদরটা উড়িয়ে মারল ওদের উপরে। - শালা বেহায়া
- কিছু করার নেই দোস্ত বেহায়া জায়গাতেই এই প্রোগ্রামের হেড অফিস। শালা চারপাঁচটা গিটঠু খুলে তারপর গিয়ে পৌঁছাতে হয় জায়গায়
কথা বলতে বলতে রিনির পাজামাটা ততক্ষণে পায়ের নিচের দিকে বসা রতনের কাছাকাছি এনে ফেলেছে রন্টু। রিনি রন্টুকে বাধা দেবার বদলে কোনো মতে এবার তার কোমরের নিচ থেকে বাকি অংশটা আমাদের চোখের আড়ালে রাখার জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে। অনেকক্ষণ আগে উন্মুক্ত হয়েছে বলেই বোধ হয় বুকটা আর ঢাকার চেষ্টা করছে না সে। এর মধ্যে রন্টু নিজে পুরো পুরি রেডি হয়ে একবার চাদরটা টান দিয়ে নিজেদেরকে ঢেকে দিলো

কিন্তু অল্পক্ষণের মধ্যেই মাথার দিক থেকে যেমন; ঠিক তেমন পায়ের দিক থেকেও চাদরটা গুটিয়ে গেলো- দোস্ত পায়ের দিকে চাদরটা একটু টেনে দে না

রতনকে রিকোয়েস্ট করল রন্টু। রতন একটা গালি দিয়ে অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে ওদের উপরের চাদরটা একটু টেনে দিলো। রন্টু হয়তো বুঝতে পারছিল চাদর সরলে পায়ের দিকে বসা রতনেরই বেশি অসুবিধা হবে। তাই তাকেই বলল। কিন্তু আমাকে কিছু বলল না

আমি বসেছি রিনির প্রায় ঘাড়ের কাছাকাছি। রিনি মুখটা সরিয়ে রেখেছে অন্য দিকে। যদিও রন্টু বারবার কখনো মুখ দিয়ে কখনো হাত দিয়ে তার মুখ ঘুরিয়ে দিচ্ছিল। কিন্তু রিনি সাথে সাথেই ফিরিয়ে নিচ্ছিল মুখ। রিনির বাম বুকটা আমার একেবারে সামনে। সম্পূর্ণ খোলা। কী কারণে যেন রন্টু রিনির বাম বুকটা খুব একটা টাচ করছিল না। তার হাত ডান বুকেই ঘুরছিল বারবার। কিন্তু আমার চোখের সামনে নেচে চলছে রিনির বাম বুক। আমি কয়েকবার চোখ সরিয়েও যখন দেখলাম চোখটা বারবারই যেতে চাইছে ওদিকে। তখন তাকিয়েই থাকলাম। রন্টুর সাথে একবার চোখাচোখি হলো। রন্টু হাসল। - নো প্রব্লেম দোস্ত। ইটস এ বিউটি। বলে রিনির বাম বুকের নিপলে একটা টোকা মেরে একবার চুমু খেয়ে আবার সে আগের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। আর আমার চোখের সামনে নাচতে থাকল রিনির খোলা বাম বুক

রিনি তখনও আপত্তি করে যাচ্ছিল মুখে। আর রন্টু বারবার চাহিবামাত্র দিতে বাধ্য থাকিবে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বলে বলে দখল নিচ্ছিল রিনির বিভিন্ন অঙ্গের

আমি আস্তে করে হাত বাড়িয়ে দিলাম রিনির বাম বুকের দিকে। রিনি বোধ হয় প্রথমে বুঝল না এটা আমার হাত। আমি চাপ বাড়ালাম। রিনি এক ঝটকায় তাকাল আমার দিকে। একটু উঠে ঠাস করে একটা চড় বসালো আমার গালে। রন্টুও তাকাল আমার দিকে। - শালা হ্যাংলা
- কেন চাহিবামাত্র দিতে বাধ্য থাকার পাশাপাশি অনুরোধের আসর চলতে পারে না?

- সর বেটা। সরে বস
রন্টু এক ধাক্কায় আমাকে ত্রিপলের উপর থেকে ফেলে দিলো। আমি ত্রিপল ছেড়ে এসে রেলিংয়ের পাশে বসলাম। দেখলাম রন্টু রিনির পোশাক পরিয়ে দিচ্ছে। রিনি এবার পুরো চাদরটা নিজেই মুড়ি দিয়ে বসে রইল একা। রন্টুকে দেখে আর মনে হলো না তার শীত লাগছে। রন্টু একটা বিড়ি ধরিয়ে আমার দিকে বাড়িয়ে দিলো। শালা আহাম্মক। সামনের দিকে বসে তুই অনুরোধের আসর চাইলি। পেছন থেকে যদি রতন অনুরোধের আসর চাইতো তাহলে কী ঘটতো বলতো?
২০০৫.১২.২৭ মঙ্গলবার


মন্তব্য

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

অন্যরকম। গল্পভেদে আপনার বৈচিত্র্যকল্প সত্যিই বেশ বিউটি। হাসি

------------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আমার কী দোষ
মাইনসে খালি বৈচিত্র খুঁজে

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

না না, কোনো দোষ নাই আপনার। দোষের কথা কে কইলো বস? হাসি
এইরকম কিছু না লিখলেই বরং দোষ ঘটতে পারতো। চোখ টিপি

-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

কীর্তিনাশা এর ছবি

দেঁতো হাসি
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সবজান্তা এর ছবি
মাহবুব লীলেন এর ছবি

চোখের সামনে পোলাপাইন সব বড়ো হয়ে যাচেছ
আমরা একটু বড়ো হইতে চাইলে চোখে পড়ে ক্যান?

পুতুল এর ছবি

বস, ঘটনা কইলাম আমি দেখছি! কিন্তু করো কাছে কমু না!
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

আলমগীর এর ছবি

বিবাহের সম্ভাবনা শূণ্যতে ঠেকিল।
আপনারা কি জাফলং থেকে আসছিলেন নাকি?

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আপনারা কম্পুবিদরা তো বলেন এই পৃথিবী হলো শূন্য আর একের খেলা
ধর্মগ্রাফি আর পর্নোগ্রাফি সবই কম্পুবিদ্যায় এসে শূন্য কিংবা এক হয়ে যায়

তা আমার জন্য যখন একটা শূন্য বসালেন তখন তার বামপাশে একটা এক যোগ করে দেন না

কথা দিচ্ছি সারাজীবন আপনাদের কম্পুর প্রতি অনুগত থাকব

আলমগীর এর ছবি

শূন্য এক ঠিক আছে, আপনারে এক একটা কেন একশটা দেয়া যাবে। কিন্তু আপনি তো অপারেটিং সিস্টেমে গোলমাল করে ফেলছেন।

আপনে নিজে হাত না দিয়ে রতনরে দিয়া দেয়ান। তাইলেই বিপত্তিটা হয় না।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আপনি শূন্যের আগে এক বসান
তারপরে রতন কেন
বিমান ভাড়া দিযে দরকার হয় আপনাকেই নিয়ে আসবো অপারেটিং সিস্টেম প্রশিক্ষণ দেবার জন্য
আর তাতেও যদি না হয় তবে আপনি চালাবেন অপারেটিং সিস্টেম
আমি চালাবো প্রোগ্রাম

স্নিগ্ধা এর ছবি

@ আলমগীর - মাহবুব লীলেন বিয়ে করতে চায় আপনাকে বলসে?!

@ মাহবুব লীলেন - নজরুলের বাসায় যে (দূর্জনেরা বলে) ফোনেপ্রেমালাপ করতেসিলেন সেই প্রেমের কি অবস্থা ? দেঁতো হাসি

আর, গল্পটা ভাল্লাগলো।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

কানা মানুষের সমস্যা হলো যা চোখে দেখা যায় তারা তাও কান দিয়ে শুনতে চায়
তাই আলমগীর যা দেখতে পায় স্নিগ্ধা তা শুনতে চায়
(নজরুলের বাসার লিফট চোখে দেখতে না পেয়ে আপনি যে ছয় তলা সিঁড়ি বেয়ে উঠে হাঁপাতে হাঁপতে নজরুলকে বাসা নিচ তলায় নিয়ে যাবার পরামর্শ দিয়েছিলেন সেটা কিন্তু আমি কাউকে বলিনি)

০২
সেইদিন ফোনে যাকে পটানোর চেষ্টা করেছিলাম সে বেটার অপরচুনিটি পেয়ে ডিসিশন চেঞ্জ করে ফেলেছে....

০৩

এই গল্পটার সাথে তো কোনো অডিও ছিল না
তাহলে আপনি গল্পটা পড়লেন কীভাবে?

আলমগীর এর ছবি

স্নিগ্ধা লিখেছেন:
মাহবুব লীলেন বিয়ে করতে চায় আপনাকে বলসে?!

গোপন খবর।
লীলেন দা গত নভেম্বর মাস পুরাটা সচলে অনুপস্থিত। আসার পরপরই আবার খুনখারাবি ঘটাইছে একটা। এখন আপনি নিজেই ব্যাখ্যা করেন এগুলা।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

কী করব বলেন
সচলে ঢুকলেই টেকি হাফটেকিরাও কী কী হিসাব নিকাশ করে যেন কীভাবে বের করে ফেলে কোন জায়গায় আছি

তারপরে গিয়ে ঘাড়ে চেপে ধরে

তাই ঘরবাড়ি ছেড়ে না পালালেও প্রথমেই সচল থেকে পালাতে হয়

রণদীপম বসু এর ছবি

গোসাইজী, মাত্রাটা কি খুব বেশি হইয়া গেছিল ?
তয় আপনার মাত্রা বাড়লে তো দেখি আমাগো আরামই লাগে ! নাহ্, এখনো বড় হইতে পারলাম না !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মাহবুব লীলেন এর ছবি

শীতের রাতে ট্রাকে করে সারী নদীর ভেজা বালিতে পাছা ঠেকিয়ে যদি ষাট কিলোমিটার পাড়ি দিতে হয় তাহলে মাত্রা একটু না বাড়লে কি চলে স্যার?

তবে আশা করি সামনে বড়ো হবো

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হুমম...
সমগ্র বাংলাদেশ ৫ টন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আসলেই বড়দের গল্প দেঁতো হাসি

কিন্তু দেখলাম রন্টু এক টানে ওর জামাটা কোমরের দিক থেকে তুলে গলার কাছে নিয়ে গেলো। রতনের এই অ্যাকশনে সরে গেলো ওদের উপরের চাদর।
দ্বিতীয় লাইনে কী "রন্টু" হবে? চোখ টিপি

ভাল্লাগসে। হো হো হো


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

মাহবুব লীলেন এর ছবি

পাকা জহুরি চোখ
ভুলেও সামান্য কৃতিত্ব কাউকে দিতে রাজি না

০২

দিলাম
রতনরে সরিয়ে রন্টুকেই জায়গা করে দিলাম আপনার কথা মতো

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

পড়লাম.....

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

বর্ণনাগুণসমৃদ্ধ চমত্কার গল্প। কাহিনী কোত্থাও একটুও আরোপিত মনে হয়নি।

পাবলিক কেন যে এটাকে "বড়োদের গল্প" নাম দিচ্ছে! সচলায়তন কি ছোটদের জায়গা? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

মাহবুব লীলেন এর ছবি

সচলায়তন ছোটদের জায়গা না হলেও সচলায়তনে অনেক ছোটছোট ছেলেমেয়ের মা-বাপ আছে
(আমাদের আন্টি আংকেল স্থানীয় মুরুব্বি)

সেইসব আন্টি আংকেলরা সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকে কোন সময় না তাদের ছেলেমেয়েরা এইসব পড়ে ফেলে

তাই তারা চক্রান্তে নেমেছে সচলায়তনকে শিশু ব্লগ বানাতে না পারলেও যেন শিশুতোষ ব্লগে রূপান্তর করা যায়

তানবীরা এর ছবি

পাছায় ঠান্ডা না লাগলে এমন গল্প বের হয় না, বুঝলাম

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

মাহবুব লীলেন এর ছবি

গুণবতী ননদদের ভাবী আপনি
আপনার কথায় দ্বিমত করে নিজের আখের নষ্ট করতে চাই না

দ্রোহী এর ছবি

লাগানের আলাপ!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!


কী ব্লগার? ডরাইলা?

লাল কমল [অতিথি] এর ছবি

শীতের মধ্যে কেমন যেন ভালোলাগা কাজ করল।

(লাল কমল)

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এই গল্পটা আগে পড়া হয়নি। কেন হয়নি জানি না। যাপিত জীবনকে গল্পে ফুটিয়ে তোলা বা পরিপার্শ্বের প্রকৃতির মতো নির্লিপ্তভাবে বর্ণনা করে যাওয়া খুব কঠিন ব্যাপার। এটা লীলেন পারে। অন্যত্র দেখেছি, এখানেও দেখলাম। এটা বড়দের/ছোটদের গল্প না, জীবনের গল্প।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।