তুচ্ছসঙ্গ

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: শনি, ০৯/০১/২০১০ - ১:০৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কৈশোরে অনাথ সুমন সুমনা এর তার বাড়ি কাজ করে একসাথে বড়ো হয়ে সমাজের নিয়মে বিয়ে করতে গিয়ে দেখে টাকা ছাড়া কারো বিয়েই সম্ভব নয়...

এভাবে বহুদিন পর তারা আবিষ্কার করে তাদের এক পুরুষ আর এক নারী দরকার...

এবং তারপর তারা অন্য গ্রামে গিয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে ধরা পড়ে একসাথে আবার একা হয়ে যায়...

২০১০.০১.০৮ শুক্রবার


মন্তব্য

স্পর্শ এর ছবি

ইয়ে, মাথার যে ঠিক কোন পাশ দিয়ে গেলো! ইয়ে, মানে...

আলস্য ভর করেছে আপনার উপর! ফেসবুক স্টাটাসেও অনেক ভালো ভালো গল্প জলাঞ্জলি দিতে দেখেছি! চিন্তিত


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ইকারুস এর ছবি

আপনার এরকম চেষ্টাগুলো সবসময়ই সাধুবাদের যোগ্য।
কিন্তু এ লেখাটি ্পুরো বুঝলাম কীনা সেটা নিশ্চিত নই (সন্দেহে আছি!)। দূঃখিত।
যদি এমন পাঠকের সংখ্যা উললেখযোগ্য একটি অংক হয় তবে আশা করবো ব্যাখ্যা করবেন। কারন আর যাই হোক আপনি তো ধাঁধাঁ বানাচ্ছেন না, তাই না? ঃ)।

নৈষাদ এর ছবি

বেশ কয় বার পড়লাম - বুঝতে পাড়লাম বলে দাবী করলাম না। (আমার মত একটা ব্যাখ্যা দাঁড়া করালাম - কিন্তু আপনি কী তাই বলতে চেয়েছেন কিনা বুঝলাম না)।

তিথীডোর এর ছবি

আমার ছোট্ট এন্টেনা কুহেলিকাময় সিগনাল ধরিতে ফেইলটুশ হইলো!!

--------------------------------------------------
"সুন্দরের হাত থেকে ভিক্ষা নিতে বসেছে হৃদয়/
নদীতীরে, বৃক্ষমূলে, হেমন্তের পাতাঝরা ঘাসে..."

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

যতটুকু বুঝতে পারছি বলে মনে হচ্ছে, তা যদি হয়, তাইলে বলবো এই গল্পটা পছন্দ হয় নাই। আপনার মানমতো হলো না।

আর নয়তো গল্পটা ধরতে পারি নাই। গল্প মাছ না, ধরার কিছু নাই জানি। তবু মাথায় ঢুকলো না কিছু

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

মানুষ অমর না হলেও লেখক কবিরা তো অমর হয়েই থাকেন।।
এইটা একটু মনে রাখবেন স্যার।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আমি বুঝছি। আমি বুঝি নাই। না , বুঝছি।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

"কৈশোরে অনাথ সুমন সুমনা এর তার বাড়ি কাজ করে একসাথে বড়ো হয়ে সমাজের নিয়মে বিয়ে করতে গিয়ে দেখে টাকা ছাড়া কারো বিয়েই সম্ভব নয়"

এই বাক্য শরৎচন্দ্রের কথা মনে করিয়ে দিল (কেষ্টর মা মুড়ি-কড়াই ভাজিয়া, চাহিয়া-চিন্তিয়া কেষ্টকে চৌদ্দটি বৎসরের করিয়া মারা গেলেন-স্মর্তব্য)।

"এভাবে বহুদিন পর তারা আবিষ্কার করে তাদের এক পুরুষ আর এক নারী দরকার

এবং তারপর অন্য গ্রামে গিয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে ধরা পড়ে

আবার তারা একসাথে একা হয়ে যায়"

এভাবে বললে হয়তো কিছুটা পরিষ্কার হয়। তবে অত পরিষ্কার না হলেও মনে হয় চলে। কারণ, এসংক্রান্ত একটা প্রতিষ্ঠিত ঘরাণা আছে। পাঠকরা Augusto Monterroso-র ডাইনোসার গল্পটার কথা মনে করে দেখুন।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

তার চেয়ে কিছু টাকা হলে ... সেটাই বরং সহজ


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

নাশতারান এর ছবি

আমি তো বুঝলাম। নাকি কিছুই বুঝলাম না ? ইয়ে, মানে...

লীলেন্দা, আমি আপনার ভাবনাগুলোকে ভালু পাই।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

লেখাটাতে মারত্মক কিছু ঝামেলা ছিল
রিরাইট করলাম আবার
ধরিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ সবাইকে

স্পর্শ এর ছবি

আগেরটাই বেশি ভালো লেগেছিলো আমার।
পূর্ণ গল্পের চেয়ে গল্পের নোট মনে হলো এটাকে। অনায়াসে দূর্দান্ত একটা গল্প হতে পারতো।
অন্যরা কী করে জানিনা। এমনিতে কোনো গল্পের আইডিয়া মাথায় আসলে আমি এরকম দুচার লাইনে টুকলিফাই করে রাখি। এটা পড়ার সময় মনে হলো আপনি আর কষ্ট না করে সেই নোটটাই তুলে দিয়েছেন।
পুরো ছবিটাই পাঠককে আঁকতে দেওয়ার মুশকিল হলো, সবাই তো আর সমান আঁকিয়ে না!
তাই শেষমেষ রঙতুলি হাতে আপনাকেই চাইবো। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এটা ঠিক নোট না
একেবারে মেদহীন/বর্ণনাহীন শুধু ইনফরমেশন দিয়ে গল্প বলার একটা চেষ্টা করছি কিছুদিন ধরে

এ পর্যন্ত দুতিনটা লিখেছি
দেখি কিছু একটা দাঁড়ায় কি না

এনকিদু এর ছবি

গতকাল রাতে দেখলাম সুমন সুমনা ছিল । যা বুঝার তখনই বুঝা যাচ্ছিল । যা না বুঝার এখনো বুঝা যাচ্ছে না ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

গল্পটাকে এভাবে না মারলে হত না? আগেরটাতে কী অসুবিধা ছিল?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আবার বদলালাম স্যার

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

টেনেটুনেও ঠিক হলনা স্যার! অরিজিনাল ভার্সানে ফেরত যান।

আপনার সাথে আবার দেখা হবার অপেক্ষায় আছি। আপনার কপালে খারাবী আছে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

স্পার্টাকাস [অতিথি] এর ছবি

গল্পটা যা বুঝলাম, তাই কি বুঝাতে চাইছেন? তাইলে বলব ভাল্লাগেনাই।

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

আপনার গল্পের থিমটা অন্যধরনের ।
আমার একেবারেই নিজস্ব মতামত হলো-
'টেনেটুনে' শব্দটা ঠিক ভাল লাগছে না এখানে।
আর

সমাজের নিয়মে বিয়ে করতে গিয়ে দেখে টাকা ছাড়া কারো বিয়েই সম্ভব নয়"
কথাটা থাকলে মনে হয় ভাবটা একটু পূর্নাঙ্গ হয়।
এটা পড়তে গিয়ে আমার এক ধরনের confusion তৈরী হয়েছে তাই হয়ত আপনার নিরীক্ষার জায়গাগুলো মিস্ করছি।
সেজন্য দুঃখিত।
তবে এরকম আরও কয়েকটা লেখা পড়লে বুঝতে পারবো যে কতটা ভাল লাগছে।
আর ও কয়েকটা দিন ।

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

যতবারই বদলান ভাইজান, "টেনেটুনে" কথাটা রাখাই যাবে না। অন্য কিছু দিয়ে সে স্থানটা পূরণ করেন। আর আমার মতে একটি পূর্নাঙ্গ জীবনই দেখতে পাচ্ছি। পরিপূর্ণ গল্প কিংবা উপন্যাস যাই বলেন- একবারে ফিট!

.
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

তানবীরা এর ছবি

গল্প কোথায়? এটাতো আলোচ্য অংশটুকু ব্যখা করার জন্য দেয়া ঃ)
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- প্রথম গল্পটা বুঝি নাই। পাণ্ডব'দার কমেন্ট পড়ার পর যখন আবার পড়লাম, তখন পুরো চিত্রটাই ফুটে উঠলো চোখের সামনে।

একটু পর দেখি আপনি গল্পটাই বদলে দিলেন। ভাষা বা বর্ণনার দৈন্য চোখে লাগলো খুব। আগেরটা অনেক স্মার্ট ছিলো।

এবারের পরিবর্ধনটা সেই সীমাবদ্ধতা কিছুটা কাটাতে পারলেও জাতে উঠতে পারলো না।

আমি প্রথমবারে না বুঝলেও সেই ভার্সনটাকেই রাখার পক্ষে থাকবো। বুঝি নাই সেটা আমার ব্যর্থতা, গল্পের না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

বুঝছি তো মনে হল। এই ধরণ আরও চাই।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

জয়তু এই পরামর্শ

আবারও চেঞ্জ করলাম গল্পটা
অরিজিনাল ভার্সনের কাছাকাছি যেতে পারলাম বোধহয়

এবার দেখা যাক দাঁড়ায় কি না

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

হল মোটামুটি। তবে আমার অরিজিনাল ভার্সানটাই পছন্দ।

****************************************************************

দুই লাইনের গল্প বলবেন আর তাতে বিষাদসিন্ধুর ব্যাখ্যা দিতে চাইবেন তাতো হয় না। সিন্ধুকে বিন্দুতেই লুকিয়ে রাখতে হবে। যার আগ্রহ হবে সে সিন্ধুকে খুঁজে নেবে। সেখানে কেউ পাবে আরব সাগর, আর কেউ প্রশান্ত মহাসাগর, আর কেউ জলের ফোঁটাটাই চিনতে পারবেনা। মজাটাইতো এখানে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সুমন সুপান্থ এর ছবি

লীলেন ভাই, আপনার নিশ্চয়ই অমিয়ভূষণের দুলারহীনদের উপকথা পড়া আছে । আবার কি পড়বেন একবার ?

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

মাহবুব লীলেন এর ছবি

দুলারহীনদের উপকথা আমার পড়া নেই
দেখি বইটা পাই কি না

ষষ্ঠ পাণ্ডব [অতিথি] এর ছবি

দুলারহীন বলে আসলেই কি কোন গোত্র আছে? অনেক ঢুঁড়েও তাদের দেখা পাইনি। গোত্র রক্ষার্থে শ্বশুরের ঔরসে পুত্রবধুর গর্ভধারণ কি শুধুই গল্প? বিলুপ্তির কারণগুলোকে চিহ্নিত করে তার বিরূদ্ধে লড়াই না করে তেলাপোকার মত বাঁচার এই চেষ্টাকে কি বলবো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।