মাহবুব লীলেন এর ব্লগ

গ্ল্যাডিয়েটর

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: সোম, ২১/০৯/২০০৯ - ৪:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একটা স্যান্ডেল কোথায় পড়েছে জানি না। আমি দৌড়াচ্ছি। লোকজনের পেটে-পিঠে ধাক্কা মেরে দৌড়াচ্ছি আমি। কিছুই খেয়াল করার সময় নেই। মাত্র দশ হাত দূরত্ব। পেছনে তাকানোরও সময় নেই। এক পায়ের বিরক্তিকর জুতাটা খোলারও সময় নেই। দৌড়াচ্ছি। মাথায় মৃত্যুদণ্ড নিয়ে দৌড়াচ্ছি আমি...

দৌড়াতে দৌড়াতে একেবারে শহরের বাইরে। ভয়ানক ক্লান্ত। এখন ব্যবধান আরো কম। মাত্র আট কি সাত কি ছয় হাত। সামনের গাছটাই ভরসা। চড়ে ...


সচলে সিঙ্গেল লাইন পোস্ট চালু করা হোক

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: শুক্র, ১৮/০৯/২০০৯ - ৮:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বেশি কথা লিখতে পারি না কষ্ট হয়
শব্দ জোড়া লাগে না বাক্য তেড়াবেকা হয়ে যায়

কামলাখাটার ফাঁকে বড়ো লেখা পড়তে পারি না

সচলের ডানে বামে অনেক জায়গা ফাঁকা
একটা জায়গায় সিঙ্গেল লাইন পোস্টের অপশন চালু করা হোক

দৌড়ের উপর লিখে দৌড়াতে দৌড়াতে পড়ে আবার দৌড় লাগাতে পারব কামলাখানায়...

যারা যারা দেখার কথা
দেখেন না একটু
সর্বোচ্চ ১৫ শব্দের একটা পোস্টের অপশন চালু করা যায় কি না


শাহ আব্দুল করিম

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: মঙ্গল, ১৫/০৯/২০০৯ - ২:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইসকুলের বই থেকে সমাজবিজ্ঞান খুলে নিয়ে বিশ্বমানচিত্র বিছিয়ে দিলেন ধানকাটা মাঠে
কাদামাখা দীর্ঘ দেহটা নিয়ে ভূগোলের পিঠে উঠে দাঁড়িয়ে দুই গোলার্ধের দিকে বিনীত হাত জোড় করে বললেন
- ছিল বাসনা সুখী হইতাম

বিশ্বভূগোলে যত পাঠ আর পাঠ্য সব ঘেঁটে আমরা একে একে বলতে থাকি পথ- পথ্য আর উপায়
সম্মান
অর্থ
রাজনীতি
ক্ষমতা
তিনি মাথা নাড়েন ডান...


শাহ আবদুল করিমের জন্য একফোঁটা দীর্ঘশ্বাস

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: শনি, ১২/০৯/২০০৯ - ৯:৩৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লেখাটা আমার নয়
ভারতীয় গণনাট্য সংঘের কর্মী সংগঠক শিল্পী শুভপ্রসাদ নন্দী মজুমদারের
এই লেখাটি ওপার বাংলায় আগামীকাল কোনো একটা পত্রিকায় যাবে

শাহ আবদুল করিমের অনেকগুলো গানের শিল্পী আর ঘনিষ্ঠ এই মানুষ লেখাটা আমাকে মেইলে পাঠিয়েছিলেন দেখার জন্য। কিন্তু আমার মনে হলো লেখাটা দেখানোও দরকার

প্রসঙ্গটা যদি সচলের নীতিমালার বিরোধী হয় তবে মডারেটরদের অনুরোধ করব মুছে দেবার
_ মাহবুব লীলেন
...


সাকিন সুন্দরবন ৪। বনপর্যটক

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: রবি, ৩০/০৮/২০০৯ - ১১:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হংসরাজ নদীর পাড়ে ফরেস্টের পরিত্যক্ত টহল ফাঁড়িতে গোসল করার জন্য থেমেও কাদার জন্য নামে না ফটোগ্রাফার দলটি। নৌকায় দাঁড়িয়েই ছবি তুলতে থাকে আইলাঝড়ে ভাঙা গোলপাতার ফরেস্ট ছাউনি আর নদীর পাড়ে কাঁকড়া ধরতে চেষ্টা করা একটা সাদা বিড়ালের। বিড়ালটাকে হয়ত বসতির অংশ বানিয়ে লোকালয় থেকে কেউ ছাউনিতে এনেছিল কিন্তু ছাউনি ছাড়ার সময় আর ফিরিয়ে নেয়ার কথা মনে হয়নি কারো। ছাউনি ভেঙে গেলেও বিড়ালটা তার কাছাকাছি এই আশায় হয়ত থাকে


সাকিন সুন্দরবন ১। বনমজুর

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: রবি, ২৩/০৮/২০০৯ - ১:২৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সাপের লেখা আর বাঘের দেখা কপালে থাকতে হয়। যে আগে দেখে টিকে যায় সে আর তার কামড়ে মারা যায় অন্যজন। এটাই সুন্দরবনের নিয়ম

গাঁজাভর্তি বিড়িতে আগুন ধরিয়ে ছোট্ট মাছধরা নৌকার বৈঠা হাতে নিয়ে হাসে আব্দুল ওহাব সরকার- মানুষও তালি কামড়ায়। ...কামড়ায়ইতো। সাপে-বাঘে কামড়ায় দাঁতে আর মানুষ কামড়ায় হাতে; কত কিসিমের দাঁত যে গজায় মানুষের হাতে...


ফট্ গফুর ওই যাচ্ছে তেড়ে

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: বুধ, ১২/০৮/২০০৯ - ১১:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমারে বাঘে খাইলে দায়ী থাকবে এই দুই ফট গফুর....আমারে বাঘে খাইলে দায়ী থাকবে এই দুই ফট গফুর....

নয় ফটোগ্রাফারের সাথে রওয়ানা দিলাম সুন্দরবন

জানি না সুন্দরবনে গিয়ে আমাকে বলে বসে কি না বাঘ কিংবা কুমিরের মুখের ভেতর ঢুকে ছবির পোজ দিতে....

সবাই সাক্ষী থাইকেন
আর আমারে বাঘে কিংবা কুমিরে খাইলে ধইরেন এদের....


হয়ত একটা উপন্যাসের প্লট

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: বুধ, ০৫/০৮/২০০৯ - ১:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই অফিসে আপনারা কাজ করেন আর আমি শুই। বসেন আপনি। সামনের সপ্তায় আপনাদের বস দেশের বাইরে চলে গেলে অফিসের সাথে সাথে আমারও শোয়ার জায়গা থাকবে না। যদিও একই ছাদের নিচে আমরা ছয়মাস ধরে আছি কিন্তু দিনে যখন আপনারা কাজ করেন তখন আমি থাকি দরজা বন্ধ করে আর আপনারা অফিস বন্ধ করে চলে গেলে শুরু হয় আমার কাজ। অবশ্য আমার কাজকে আপনারা কাজ না বলে বলেন কাম

এই শহরে আপনাদের বসকে ট্রাফিকজ্যাম ঠেলতে হয় না কোন...


জাতিভুক্তি

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: শনি, ০১/০৮/২০০৯ - ৩:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইয়ে বু-দা-ই-ইয়াই... ইয়াই... ইয়াই...

পাহাড়ে ইকো হয় না কিন্তু শব্দ যখন এক পাহাড়ের পাশ কাটিয়ে অন্য পাহাড়ে ঢোকে কিংবা গাছে বাড়ি খেয়ে ছিটকে উঠে যায় পাতার ভেতর তখন এক ধরনের ইয়ে উয়ে শব্দ যোগ হয়ে যায় মূল শব্দের সাথে

ইয়ে বু-দা-ই-ইয়াই... ইয়াই... ইয়াই...

প্রায় দুপুরেই মাঙ্গু পাত্র পাহাড়ে গলা ছড়িয়ে ছেলেকে ডাকে দুপুরে খাওয়ার জন্য। মাঝে মাঝে বুদাইও সাড়া দেয় - ইয়েয় ইয়েয় ইয়েয়...

কিন্তু আজ বুদাই ভাই সাড়া দে...


বনকুসুম

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: মঙ্গল, ১৪/০৭/২০০৯ - ১২:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বারো পাগলের খাদ্য হয়ে গেছ তুমি সাধের নগরে এসে
কেউ তারা মাংসাশী- রক্ত খায় কেউ- কেউ টান দেয় সময়ের কানে
কেউ খায় স্বপ্ন- কেউ ঘুম আর কেউ হাসতে হাসতে গিলে ফেলে তোমার নিজস্ব সুখের নাড়ু

গ্রাম থেকে আসা শস্যের সাথে ভোরের বাজারে তোমাকে তারা কেজি ও লিটার দরে কিনে নিয়ে যায়
তারপর কেউ কাঁচা রেখে সালাদে লাগায়
কেউ নিজের জীবনের শুকনো মসলায় ভেজে চচ্চড়ি করে
কেউ সেদ্ধ ...