জাতিভুক্তি

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: শনি, ০১/০৮/২০০৯ - ৩:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইয়ে বু-দা-ই-ইয়াই... ইয়াই... ইয়াই...

পাহাড়ে ইকো হয় না কিন্তু শব্দ যখন এক পাহাড়ের পাশ কাটিয়ে অন্য পাহাড়ে ঢোকে কিংবা গাছে বাড়ি খেয়ে ছিটকে উঠে যায় পাতার ভেতর তখন এক ধরনের ইয়ে উয়ে শব্দ যোগ হয়ে যায় মূল শব্দের সাথে

ইয়ে বু-দা-ই-ইয়াই... ইয়াই... ইয়াই...

প্রায় দুপুরেই মাঙ্গু পাত্র পাহাড়ে গলা ছড়িয়ে ছেলেকে ডাকে দুপুরে খাওয়ার জন্য। মাঝে মাঝে বুদাইও সাড়া দেয় - ইয়েয় ইয়েয় ইয়েয়...

কিন্তু আজ বুদাই ভাই সাড়া দেয় না। আমাদের দিকে তাকিয়ে বলে- মাতিস না। দাকওউক...

বুদাই ভাইকে আমাদের দরকার পড়ে তার হাতের নিশানা আর শক্তির জন্য। এক দেড় সের ওজনের পাথরের চাঁই ছুঁড়ে দেড় দুশো গজ দূরের গাছ থেকে হনুমান ফেলে দিতে পারে এক ঢিলে

আমরা ছোট ছোট ঢিল-গুলতি আর কুকুর দিয়ে তাড়িয়ে হনুমানকে নিয়ে তুলি কোনো একটা একলরি গাছে। একলরি গাছ মানে গোড়া থেকে ষাট সত্তর ফিটের মধ্যে যে গাছের কোনো ডালপালা নেই। এবং আশেপাশেও নেই অন্য কোনো গাছ। হনুমান উঠে যখন টের পায় যে নিচে নামা ছাড়া পালানোর কোনো জায়গা নেই তখন পাতার আড়ালে ঘাপটি মেরে বসে থাকে আর আমরা ডাক দেই- বুদাই ভাই... ই-ই- ই--

বুদাই ভাই হাতের খাসিয়া দাওয়ের মাথা খপাখপ চালাতে থাকে মাটির ভেতর। টং করে আওয়াজ হলেই খুঁড়ে বের করে আনে পাথরের চাঁই। হাতের তালুতে নিয়ে দাওয়ের পিঠ দিয়ে ঘাই মেরে ঠিক মতো সাইজে পাথরটা ভেঙে নিয়ে- হুইও...হুস...

ছুঁড়ে মারে হনুমানের কালোচাক মুখে

পাতাটাতা খামছে ধরতে চাইলেও সরসর ধুপ করে হনুমান পড়ে গিয়ে নিচে; একপাল কুকুরের ভেতর

আনাড়ি কুকুর ছাড়া কেউই হনুমানের সামনে যায় না। হনুমানের থাপ্পড় বড়ো ভয়ানক চিজ। বাঘা কুত্তাকেও এক ঘায়ে শুইয়ে দেয় মাটিতে। অভিজ্ঞ কুকুররা হনুমানের লেজ কামড়ায়। আর আরেকদল নিরাপদ দূরত্বে সামনে গিয়ে ভুলকি ভালকি দিয়ে পথ আটকায়। ততক্ষণে আমরা চাউরের লাঠি দিয়ে বসিয়ে দেই মাজা বরাবর যুইতের একখান ঘা...

মাঝে মাঝে জংলি লতা দিয়ে বেঁধেও রাখি। গাছের কাছে নিলেই সরসর করে অনেক দূর পর্যন্ত উঠে যায় হনুমান। তারপর জোরসে টান। শ্বাস বন্ধ হলেও গাছ ছাড়ে না হনুমান। গাছের ছাল বাকলাসহ উল্টে পড়ে ধপাস...

হনুমান কেউই খায় না। না আমরা না কুকুর। কুকুর শুধু হনুমানের কইলজা খায়। সারাদিন আমাদের সাথে খাটনির জন্য শেষ বেলা কুকুরদেরকে আমরা হনুমানের কইলজা বের করে দেই...

দুই দুইটা হনুমানকে তাড়া করে আজ তুললাম একটা চামকাঁঠালের গাছে। চামকাঁঠালের বেশিরভাগ গাছই একলরি হয়। আর জঙ্গলের মধ্যে কেমন যেন একা একাই থাকে। কাঁঠালগুলোও একেকটা ডাল থেকে ঝুলতে থাকে আলাদা আলাদা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষের পক্ষে চামকাঁঠাল পাড়া সম্ভব হয় না। ওগুলো বান্দর আর হনুমানরাই খায়

এখানে বান্দর নেই বললেই চলে। হনুমানের এলাকায় বান্দর থাকে না খুব একটা। কিন্তু হনুমান দুটোকে চামকাঁঠালের গাছে তুলে উপরে তাকাতেই দেখি গাছে সাত আটটা বান্দর। বুদাই ভাই পাথর মারতে গিয়েও থেমে যায়- খাড়া মজা দেখ

হনুমান দুটো গাছে উঠে আমাদের কথা ভুলে যায়। খোয়াক খোয়াক করতে করতে তেড়ে যায় বান্দরগুলোকে। প্রথমেই একটা বাচ্চা বান্দর মডগালে উঠে বহু দূরের একটা গাছ টার্গেট করে দেয় লাফ। কিন্তু প্রায় দেড় দুশো ফুট উপর থেকে নিচে পড়ে এক্কেবারে চুপ

বুদাই ভাই হাসে। খাড়া দেখি কী করে...

গুণে গুণে সাতটা বান্দর তাড়া খেয়ে নিচে পড়ে চ্যাপ্টা হয়ে থাকে। কেউ কেউ নড়াচড়া করে আর ঘেউ ঘেউ করে উঠে কুকুরগুলো

বুদাই ভাই এবার পাথরের চাঁই হাতে নেয়... কী যেন ভেবে প্লান চেঞ্জ করে- নাহ। ইগুনতরে মারতাম নায়। জিতা ধরি

কুকুরগুলোকে ডাক দিয়ে আমরা নিয়ে আসি গাছের গোড়া থেকে। বুদাই ভাই কয়েকটা গাছের ডাল কেটে ছোট ছোট লাঠির মতো বানিয়ে নেয়। ডালের টুকুরাগুলো ছুঁড়ে মারে চামকাঁঠাল গাছের মাথায়। উপরের দিকে ঢিল পড়ায় হনুমান দুটো গাছ বেয়ে নেমে আসতে থাকে নিচের দিকে। বুদাই ভাই উচ্চতা মাপে। যেখান থেকে পড়লে হনুমান মরবে না সেই উচ্চতায় আসার সাথে সাথেই ছুঁড়ে মারে পাথরের চাঁই

হনুমান নিচের দিকে বেশ আনাড়ির মতো নামে ভারী পাছার ব্যালেন্স ঠিক করতে করতে। ঠিক সেই সময়ে পাছায় একটা পাথর...

পাথর ছুঁড়েই কুকুরদেরকে ইশারা করে এক দৌড়ে গাছের গোড়ায় চলে যায় বুদাই ভাই। একটা মিস হয় আর একটা হনুমনা চক্কর খেয়ে গিয়ে পড়ে মাটিতে। উঠে বসে কিছু বুঝে উঠার আগেই বুদাই ভাই খাসিয়া দাওয়ের পিঠ দিয়ে হনুমানটার গলা চেপে ধরে মাটির সঙ্গে...

এই হনুমানটাকে দেখিয়ে জাতিসংঘে হনুমানের জন্য কিছু অধিকার তৈরির প্রস্তাব করা যাবে। তাই কলা কাঁঠাল খাইয়ে দিনা হনুমানটাকে রেখে দেয়। তাছাড়া সাত সাতটা বান্দরকে গাছ থেকে তাড়িয়ে নিজে টিকে আছে এই হনুমান; এই গল্পটা ঠিকঠাক মতো প্রেজেন্ট করতে পারলে ডারউইনের সার্ভাইবাল অব দ্য ফিটেস্ট সূত্রে আরেকটা প্রমাণও হাজির করা যাবে

হনুমানটাকে দিনা জাতিসংঘে নেবার উপযোগী করে দিন দিন- শ্যাম্পু সাবান স্যুট। কালো মাথা লেজ মুচড়িয়ে একটা খোঁপা তৈরির টেকনিকও আবিষ্কার করে ফেলে সে। জাতিসংঘে যাবার আগের দিন হঠাৎ তার খেয়াল হয় হাতপায়ের লম্বা নখগুলো জাতিসংঘের জন্য একটু বেমানান। এগুলো দেখলে জাতিকর্তারা হনুমানের জন্য অধিকার তৈরির বদলা তাকে সোমালিয়ান জলদস্যু বলে বসতে পারেন। তাই দিনা নেল কাটার দিয়ে আমার নখগুলোকে মানুষ বানিয়ে ফেলে। মাংসের গোড়া পর্যন্ত নখগুলোকে ছেটে নিজের নেল পলিশ খুলে লালনীলবেগুনি করে দেয় একেকটা আঙ্গুলের মাথা...

কাল আমি ফিটফাট হয়ে জাতিসংঘে যাচ্ছি। আশা করছি চামকাঁঠাল খাওয়ার অধিকারটা পেয়ে যাবো। কিন্তু নখ ছাড়া আমার গাছে ওঠার কী হবে তারপর? হনুমানের নখ খামছানোর জন্য নয়; স্রেফ গাছে ওঠার জন্য। কথাটা দিনাকেও বোঝাতে পারিনি আমি। জাতিকর্তারা কি বুঝবেন সেই কথা?

২০০৯.০৮.০১ শনিবার/সিলেট


মন্তব্য

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

স্যার, তারপর কী হইলো? জাতিসংঘে গিয়া কী করলেন, সেই গল্প শোনান।

একটা মিস হয় আর একটা হনুমনা চক্কর খেয়ে গিয়ে পড়ে মাটিতে।
'হনুমান'। স্যার, নিজের নাম ভুল করতে হয় না। চোখ টিপি

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

হাহাহাহাহাহাহাহা...

কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আবুল হাসান উত্তরটা দিয়ে গেছেন বিডিআর


মৃত্যু আমাকে নেবে
জাতিসংঘ আমাকে নেবে না

০২

বালিকা কারে মরতে বলল?

আমারে?

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

হো হো হো
ওইটা বালিকার সিগনেচার! খাইছে
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

মাহবুব লীলেন এর ছবি

ওইটা যদি সিগনেচার হয় তাইলে পুরা নামটা কেমন হইব ভাবতাছি

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

বেশি ভাইবেন না। পেট গরম হইব। খাইছে

--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

তয় পেট গরম হইলে যা উৎপন্ন হইব তা দিয়া একখান সিগনেচার বানামু চিন্তাইতেছি

সিগনেচারটা হইব এইরাম

তুই (ওইডা) খা

স্নিগ্ধা এর ছবি

ভালো স্যাটায়ার এর বড়ই আকাল, ধন্যবাদ দিচ্ছি সেজন্য!

বহুদিন পর আপনার লেখা পাওয়া গেলো হাসি

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আপনার ধন্যবাদ ধন্যবাদের সহিত গ্রহণ করা হইল স্যার

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভাবসিলাম চোখ বুলায়া একটা কমেন্ট কইরা ভাগুম। কয় লাইন পইড়া বুঝলাম এইখানে সময়ের দাবী আছে। তাই আর এখন পড়লাম না। জমায়ে রাখলাম...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মাহবুব লীলেন এর ছবি

সময়ের দাবী আছে
????

আপনি দেখি লিডারগো মতোন কতা কন
ইলাকশানে খাড়াইবেন নাকি?

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আপনি হনুমান, শুধু এইটুকু বুঝতে পারছি, আর কিছুই বুঝি নাই। ইয়ে, মানে...

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

মাহবুব লীলেন এর ছবি

যাক বান্দরদের তাইলে বুদ্ধি বাড়তাছে

নিবিড় এর ছবি

লেখার নিচের তারিখ টা আজকের দেখে ভাল লাগল।


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

মাহবুব লীলেন এর ছবি


দুনিয়াতে মানুষ সবচে বেশি পড়ে ক্যালেন্ডার আর সবচে বেশি মুখস্থ করে তারিখ

তারিখ একখান সুপাঠ্য সাহিত্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ট্যাগটা ঠিক করে দেন। এটা হাবিজাবি?

মাহবুব লীলেন এর ছবি


আপনের বুদ্ধিতে ট্যাগ বদলাই আর বিশেষজ্ঞরা আইসা আমার কলার ধইরা বলুক- এইডারে গল্প কইছস?
গল্প কারে কয় আগে ক?

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

প্ল্যান চেঞ্জ, ব্যালেন্স, মিস- এই শব্দগুলো নিয়ে একটু কেমন কেমন লাগছিল এমন জঙ্গল আর ইন্ডেজিনিটি'র গল্পে। এইটুকু নোট নিয়ে পরে এসে তো দেখি- এক্কেরে জাতিসংঘ নিয়া ব্যাপার্সাপার! খাইছে আমারে! এমন সিরিয়াস গাছমাটি বিবরণ শেষে এসে পৌঁছুলো কি না এমন সোশিও-পলিটিক্যাল স্যাটায়ারে!
কিন্তু, একটা জিনিস বুঝান বস- গল্পের শুরু থেকে উত্তম পুরুষটা (গল্পকথক) ছিল হনুমান-শিকারীদের একজন, বুদাইয়ের স্বজাতি; কিন্তু শেষে এসে সেটা পরিবর্তিত হয়ে খোদ হনুমানই হয়ে গ্যালো?! না কি আমিই কোনোভাবে ভুল বুঝলাম?! অ্যাঁ
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

মাহবুব লীলেন এর ছবি

কেন ভাইজান?
পুরুষ উত্তম থেকে অধম হয়ে যাবার ঘটনায় ভয় পাইলা?

০২

যে মারে আর যে মরে
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা একই গোত্রের লোক
শুধু মারামারিটা শেখায় অন্য কেউ

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

ওক্কে বস!
এমন একটা কিছু ব্যাখ্যা আসতে পারে আপনার কাছ থেকে- এমনটিই ভাবছিলাম প্রশ্নটা ক'রে ফেলার পর থেকেই। হুম, হেয়ার আই গেট ইট! সুন্দর!
হাসি
পুরুষ তো আসোলে অধমই। খাইছে
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

খেকশিয়াল এর ছবি

হনুমালীলেন

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

এঁ!

মাহবুব লীলেন এর ছবি

শিয়ালের সদর্প বিচরণে উৎসাহিত হইয়া একটু পশু আমদানির খায়েশ আর কি?

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

বরাবরের মতোই জটিল হয়েছে।
সাইফুলের মতো আমার ও কিছুটা খটকা রয়েছে।
গল্পের কথক শিকার করতে গিয়ে একসময় নিজেই হঠাৎ শিকার হযে গেল।
এটার অনেক ব্যাখ্যা থাকতে পারে। আপনার ব্যাখ্যাটা কী?
আর গল্পের মাঝে এই চেঞ্জটা যেন হঠাৎ করে ই এসেছে।
এটাকে অন্যভাবে ভাবা যেত?
স্যরি এত প্রশ্ন করার জন্য।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এটাকে অন্যভাবে ভাবা যেত?

আমার মাথায় যে মাল্টিপ্লাগ নাই স্যার
তাই কারেন্ট একদিক থাইকা আইসা একদিকেই যায়

আপনি একটু ভাবনার কাজটা কইরা দিলে আমি শব্দের কাজখান কইরা ফালাইতে পারি

মূলত পাঠক এর ছবি

চমৎকার।

অতিথি লেখক এর ছবি

বেশ ভালো লাগলো। আমি অবশ্য হঠাৎ

তাই দিনা নেল কাটার দিয়ে আমার নখগুলোকে মানুষ বানিয়ে ফেলে।

এই লাইনে এসে ভড়কে গিয়েছিলাম। যা হোক, বুঝা যাচ্ছে, বর্তমান বিশ্বে সুপারম্যান-ব্যাটম্যানের চেয়ে বড় হিরো 'হনুম্যান'।
জয় হনুম্যান।

#ওসিরিস

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এইডা কী কইলেন?
হনুমান কি নতুন হিরো?

রামায়ণে একখান ঢু মাইরা দেখেন হনুমান কী চিজ
আর হনুমান দ্বীপ থেকে মার্কোপলোর হন্ডুমান দ্বীপ হয়ে আজকের আন্দামান

আর জানামতে একটা প্রাণীর নামের সাথেই জি যুক্ত থাকে শ্রদ্ধার প্রতীক হয়ে

হনুমানজি...

(বান্দর বেশি লাফালাফি করলেও কিন্তু এইখানে বান্দরের ভাত নাই)

অর্জুন মান্না [অতিথি] এর ছবি

বুদাইওওওওও, ভাল লাগছে

মাহবুব লীলেন এর ছবি

তোমার লেখা কই?

তুলিরেখা এর ছবি

আহ।
কি বলবো!
অসাধারণ!
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আপনি এটাকে অসাধারণ বললে একটু বেকায়দায় পড়ে যাই স্যার

মামুন হক এর ছবি

আমি আসলে মন দিয়া পড়ি নাই, তাই বুঝিও নাই।
মন্দিয়া পড়লেই কী এই জিনিষ মাথায় ঢুকবে?

মাহবুব লীলেন এর ছবি

অতক্ষণে বুদ্ধিমান লোক পাওয়া গেলো একজন
এইটাতে পড়ারও কিছু নাই আর পড়লেও বুঝার কিছু নাই আর বুঝলেও মাথায় ঢোকানোর কিছু নাই

পুরাটাই হাবিজাবি

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

এইটা কী এনজিওমামাদের কর্ম? জাতিসংঘের মাতব্বরদের কাছে পাঠানোর লাইগ্যা খানিকটা ধুয়ে-মুছে চকচকে বানানোর চেষ্টা?

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এনজিওদের এখন আর ভাত নাইরে ভাই
পুরা জাতিসংঘ এখ কর্পোরেটদের দখলে

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

চামকাঁঠাল কী জিনিস?

মাহবুব লীলেন এর ছবি

অদ্ভত টেস্টি এক ধরনের জংলি কাঁঠাল

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ওলে ওলে।
এই লেখায় এই জাতীয় ট্যাগ না থাকা উচিৎ। আর হনুম্যানের গপ্পের শেষাংশ নিয়া আমারো দ্বিধা থাকলো।
এইটা কী ইশটাইল ?? না আমার মাথার উপর দিয়ে যাওয়া কিছু আসে ??
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

দময়ন্তী এর ছবি

কি মুশকিল! বক্তব্য তো বেশ পরিস্কার৷ হাসি
--------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

মাহবুব লীলেন এর ছবি

হ ভাইজান
গরিবের ইশটাইল হইল টুকরা কাপড় জোড়াতালি দিয়া গতর ঢাকা
আর বড়োলোকের ইশটাইল হইল আস্ত কাপড় টুকরা কইরা গতর দেখানো

০২

এইখানে মাথার উপর দিয়া যাওনের কিছু নাই
হনুমান বহু আগেই গাছ ছাইড়া মাটিতে বসত করে

দময়ন্তী এর ছবি

স্নিগ্ধা আগেই বলে দিয়েছেন৷ চমত্কার একটা স্যাটায়ার৷
--------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আপনার কথায় আশাবাদী হয়ে আরেকবার পড়লুম ।
... তা হ্যাঁ, এইবার স্যাটায়ার স্যাটায়ার বোধ হচ্ছে। দেঁতো হাসি
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

রণদীপম বসু এর ছবি

লীলেন ভাই, এতকাল পরে আপনার সহায়তায় গল্পটার একটা ঐতিহাসিক লিংক মনে হয় মাথায় ঢুকলো ! আদৌ কি ঢুকলো !!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মাহবুব লীলেন এর ছবি

না থাউক ইতিহাস। শব্দ আর কথাগুলো গাঁথা থাকুক শব্দমহাবিশ্বে। হয়ত এখান থেকে কেউ না কেউ কোনোদিন কোনো সূত্র পাবে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।