ক্যাননসবার্গের ড্রাকুলা

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি
লিখেছেন এস এম মাহবুব মুর্শেদ (তারিখ: শনি, ০৫/০৭/২০০৮ - ৯:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


"সাড়ে ছয়শ ডলার!" - চোখ কপালে উঠল পলাশের। "গতকালই না বলেছিলে সাড়ে পাঁচশ?"

ডেস্কের ওপাশে বসে থাকা ব্রুনেট চুলের মেয়েটার মুখটা সরু হয়ে গেল। "ওয়েল, তোমাকে তো গার্বেজ ফেলার জন্য টাকা দিতেই হবে। আর সিকিউরিটি, ফোন, টিভি সবকিছু মিলে তো তোমার সাড়ে ছয়শই চলে আসল!"

বাতাসে মাছি তাড়াল পলাশ - "তোমার ম্যানেজারকে ডাক। তার সাথে তাই কথা হয়েছিল কালকে।"

"ম্যানেজারতো একটু আগেই বাইরে গেল। তবে এর এক পয়সা কমে কিছু হবেনা সেটা কিন্তু আমি জানিয়ে দিচ্ছি।" - মেয়েটার সরু মুখটা আরো সরু হয়ে গেল। এবার দেখাচ্ছে একেবারে ইঁদুরের মত। পলাশ অস্থির হয়ে উঠে পড়ল।

"আচ্ছা আমি ভেবে চিন্তে জানাচ্ছি তোমাদের।" বেরিয়ে এল সে এপার্টমেন্ট অফিস থেকে।

নতুন চাকরী পেয়ে নতুন স্টেইট, নতুন শহরে উঠেছে পলাশ। পাহাড়ী ছোট্ট এই শহরের নাম ক্যাননসবার্গ। ইন্টারভিউ দিতে এসেছিল যেদিন সেদিন থেকেই ছোট্ট শহর দেখে একটু খুঁতখুঁত করছিল মনটা। কিন্তু বিদেশী ছাত্র হয়ে সব বিষয়ে খুঁতখুঁত থাকলে চলে না। তাই সব কিছু মেনে নিয়ে চাকুরীতে যোগ দেয় সে।

গত একমাস ধরে অফিসের ধারে কাছে একটা ছোট্ট এপার্টমেন্ট খুঁজছে সে। মোটামুটি ভাল এই এপার্টমেন্টটা পেয়ে তাই জানে পানি এসেছিল তার। কিন্তু এখন এত নখরামী দেখে তার মাথায় রক্ত উঠে গেছে।

মোবাইলটা বের করে সুমীকে ফোন করল পলাশ। সুমী পলাশের স্ত্রী। একইসাথে পড়াশোনা করে প্রায় একই সাথে চাকরী নিয়েছে তারা। প্রথম চাকরী তাই বাধ্য হয়ে দুই শহরে থাকছে তারা।

"কি খবর জান্?" ওপাশ থেকে ফিসফিসিয়ে কথা বলে ওঠে সুমী। অফিসে আছে বলে জোরে কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না।

"আর বোলো না। শালারা একদিনেই দেড়শ টাকা বেশী ভাড়া চাইছে। কথা বার্তার কোন ঠিক নাই।" - বিরক্তি ঝরে পড়ে পলাশের কণ্ঠে।

"এপার্টমেন্টটা নাকি খুব সুন্দর?"

"তা আছে। সে জন্যে যা ইচ্ছা তাই করবে নাকি?"

"দেখো আর কিছু পাও কিনা।" একটু উদ্বিগ্ন শোনায় সুমীর গলা। দু সপ্তাহ পরেই সে পলাশের শহরে আসবে ভেবেছে। বাড়ি না পেলেতো আর আসা হবে না। সে কথাই ভাবছিল।

"তুমি চিন্তা কোরো না। একটা ব্যবস্থা হয়েই যাবে। প্লেনের টিকিট কেটেছ?"

"হু, এইমাত্র করলাম। জলদি একটা কিছু কোরো।"

"অবশ্যই করব। ঠিক আছে তুমি এখন কাজে যাও। পরে ফোন দিবো।" লাইন কেটে গাড়িতে স্টার্ট দিলো পলাশ।


অফিসে ফিরেই ক্রেইগসলিস্ট নামের একটা ওয়েবসাইট নিয়ে বসল। এই ওয়েবসাইটায় বিনামূল্যে ব্যক্তিগত জিনিস পত্রের বিজ্ঞাপন দেয়া যায় দেখে খুব জনপ্রিয় ইদানিং। গুঁতিয়ে কয়েকটা বিজ্ঞাপন বের করা গেল। বিজ্ঞাপন দাতাদেরকে ইমেইল করে কফি নিয়ে বসল পলাশ। কয়েকটা বিজ্ঞাপনে ইমেইল নেই - ফোন করে মেসেজ ছেড়ে দিল পলাশ।

বিকেলের দিকে মোবাইল ফোনটা বাজতে শুনে পাশের কিউবিকল থেকে ছুটে এল পলাশ। 'Private Call!' -অবাক হয়ে ফোনটা ধরল।

"ফ্যাল্যাষ?" - ওপাশ থেকে ঠান্ডা খসখসে একটা কণ্ঠ।
"হ্যাঁ বলছি"
"তোমার মেসেজ পেয়েছি। তুমি বাড়ি দেখতে চাও?"
"এখনই আসব?"
"সন্ধ্যায় আসো" - ওপাশ থেকে খসখসে কণ্ঠটি বলে উঠল।
"নিশ্চয়ই!"
"তাহলে ঠিকানা লেখো"।
পটাপট ঠিকানাটা তুলে নিল পলাশ।

ম্যাপ দেখে জায়গাটা বের করতে পারল পলাশ। পাশের পাহাড়টাইতো। বাহ্! জানালা দিয়ে উঁকি দিতেই দেখল ইতিমধ্যে অন্ধকার ঘনিয়ে আসা পাহাড়টায় কেমন যেন একটা বুনো বুনো ভাব। একটা কালো মেঘ যেন পাহাড়টার উপর চেপে বসেছে নড়ার নাম নেই। গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল পলাশের!


দরজায় ঘন্টা বাজাতেই আশেপাশের কুকুরে গুলো ঘেউ ঘেউ শুরু করল। কেমন একটা অদ্ভুত স্বরে। মনে হচ্ছে কিছু বলতে চাচ্ছে। সাবধান করে দিতে চাচ্ছে কোন কিছু সম্বন্ধে।

সবচেয়ে কাছের বাড়ির কুকুরটাকে দেখা যাচ্ছে দরজা থেকে। অবাক হয়ে পলাশ লক্ষ্য করল কুকুরটার চোয়ালের অর্ধেকটা নেই। যেন কোন পশু থাবা দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে। খুব মায়া হল পলাশের। কাছে এগিয়ে যাবে ভাবছিল তখনই দরজা খুলে বেরিয়ে এল এক বুড়ো।

বুড়োকে দেখে মোটেও পছন্দ হল না পলাশের। কবেকার পুরোনো একটা লম্বা ওভারকোট পড়েছে বুড়োটা। গালে খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এসে দরজা খুলে দিল। হাতে একটা লণ্ঠনের মতো ব্যটারীচালিত আলো। বুড়ো পরিচয় দিল হিউ প্যাক্সটন নামে।

ওর আহবানে ভিতরে গিয়ে দেখল পলাশ। বেশ বড় সড় বাড়ি। দুটা রুম, লিভিং রুম, কিচেন। ভাড়া মাত্র পাঁচশ ডলার! অথচ ওই এক বেডরুমের এপার্টমেন্টের হিসেবে এর ভাড়া হাজার ডলারের কাছাকাছি হবার কথা! উপরন্তু কোন কমিটমেন্ট নাই! যখন ইচ্ছে ছেড়ে চলে যাওয়া যাবে। একটু অবাক হলেও রাজি হয়ে গেল পলাশ।

চেক লিখে, ব্যাগ পত্র নিয়ে আসতে আসতে প্রায় রাত সাড়ে নয়টার মত বেজে যায়। আসতে আসতে খেয়াল করল পলাশ এর মধ্যে এলাকা জুড়ে শুনশান। রাত সাড়ে নয়টায় এরকম নিরবতা আশা করেনি পলাশ।

পলাশের যে বাড়িটা ভাড়া পেয়েছে সেটা একটা পাহাড়ের উপর। সবচেয়ে কাছের বাড়িটাও বেশ খানিকটা দুরে, ঢালের নীচের দিকে। গাড়িটা ঘুরিয়ে নিয়ে আসতে গেইটটা চোখে পড়ল পলাশের। 'Johns Cemetery' - কবরখানা! ফিক করে হেসে ফেলল পলাশ। ভুতুড়ে বাড়ি হতে আর কিছু বাকি নেই। সুমী আসলে ভয়ই পেয়ে যাবে। "এখনই কিছু বলা যাবে না।" মনে মনে বিড়বিড় করে পলাশ।

গাড়িটা পার্ক করে ব্যাগ দুটো টানতে টানতে এসে দরজায় দাঁড়ায় পলাশ। পকেট হাঁতড়িয়ে চাবিটা বের করে, দরজা খুলে ঘরে ঢুকল পলাশ। হাতড়িয়ে হাতড়িয়ে সুইচ টিপে আবিস্কার করল যে বিদ্যুৎ নেই। বুড়ো তখন লণ্ঠনের আলোয় তাকে সব দেখিয়েছে। এখন কি উপায়?

গাড়ীর ভিতর একটা ছোট্ট টর্চের কথা মনে পড়ল পলাশের। ব্যাটারী কোন কালে ভরা হয়ে ছিল তা মনে নেই। বেরিয়ে গিয়ে টর্চটা বের করল পলাশ। টিপে দেখল, নাহ্ খানিকটা ব্যাটারী আছেই।

টর্চের আলোয় হাতড়ে হাতড়ে ব্যাগ থেকে বিছানার চাদর, পোর্টেবল বালিশ, কাপড় চোপড় বের করল সে। বাকি জিনিস গুলো এখনো রাস্তায়। এক মুভিং কোম্পানী সেগুলো নিয়ে আসছে।

"আজকে মেঝেতেই শুতে হবে" বিড়বিড় করল পলাশ। তারপর কাপড়গুলো হাতে বাথরুমের দিকে এগিয়ে গেল। বাথরুমটা বিশাল, বিশাল তার আয়না। অন্ধকারে আয়নায় টর্চের আলোর প্রতিফলনে গাটা তার কেমন যেন ছমছম করে উঠল।

সোদা গন্ধে বোঝা যাচ্ছে যে, বাথরুমটা বেশ অনেকদিন ব্যবহৃত হয়নি। তাছাড়াও একটা কেমন ঝাঁঝালো কটু গন্ধ বাতাসে। গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে চোখ পড়ল ঘুলঘুলিতে ঝোলানো রসুন গুলোর উপর।

"অদ্ভুৎ! এরা এখনও ড্রাকুলার অস্তিত্বে বিশ্বাস করে নাকি?" বিরক্ত হয়ে রসুনগুলো টেনে ছিঁড়ে ফেলে দিলো পলাশ। ঘুলঘুলিটা খুলে দেয় সে। সাথে সাথে কেমন যেন একটু হু হু বাতাসে বাথরুমটা ভরে গেল। ঠান্ডায় গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল তার।

সরে এসে মুখ ধুতে বেসিনে পানি ছাড়ল পলাশ। কিন্তু একি? পানির বদল রক্ত আসছে কেন? চমকে ছিটকে সরে এল সে বেসিন থেকে। হঠাৎ লক্ষ্য করল আয়নায় কে যেন দাঁড়িয়ে আছে।

চিৎকার করে লাফিয়ে বাথরুম থেকে বেরিয়ে এল পলাশ। নিজের রুমে এসে হাঁফাতে লাগল জোরে জোরে। টর্চলাইটটা ফেলে এসেছে বাথরুমে। হাতড়ে হাতড়ে মোবাইলটা বের করল সে। কাঁপতে কাঁপতে কোনরকম ফোন করল সুমীকে।

"হ্যালো, নতুন বাসা কেমন লাগছে?" এক ফাঁকে পলাশ সুমীকে বাসা ভাড়া সর্ম্পক জানিয়েছিল বলে সে প্রথমেই বাসা সর্ম্পকে জানতে চায়।

"সুমী, কি যেন দেখলাম বাথরুমের আয়নায়! মানুষের মত কি যেন একটা।", পলাশ বলল।

হা হা করে হেসে উঠল সুমী। পলাশ প্রায়ই তাকে ভয় দেখানোর জন্য এরকম কথা বলে থাকে। তাই ভেবেছে সুমী এবারও।

"না না সুমী সত্যি!", পলাশ কাতর কণ্ঠে বলল।

"পলাশ! এই তুমিই না আমার ভয় কাটাতে কত সাহায্য করেছ। তুমিই না বলেছ যে ভুত, প্রেত বলে কিছু নেই। সবই দুর্বল মনের কল্পনা", সুমী মনে করিয়ে দেয় পলাশকে।

"সুমী আমি সত্যি কি যেন দেখলাম", একটু দুর্বল হয়ে আসে পলাশের দাবী।

"শোনো তুমি ফোন হাতে নিয়ে বাথরুম চল। ঠান্ডা মাথায় দেখ কি দেখছে তারপর আমাকে জানাও", সুমী আহ্বান জানায় পলাশকে।

পলাশ ফোন কানে ধরেই বাথরুমে যায়। সোদা গন্ধটা নেই এখন। কলটা থেকে পানি বের হচ্ছে এখনও, সাধারন পানি। আয়নায় কিছু নেই। সুমীকে সেটা জানায় পলাশ।

"শোনো, তুমি সারাদিন দৌড়া দৌড়ি করে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলে এজন্য উল্টোপাল্টা দেখেছে। এগুলো তোমারি যুক্তি। মাথা ঠান্ডা ক..." লাইনটা কেটে গেল। ব্যাটারীর চার্জ শেষ।

"ধ্যাত্তেরিকা!" একটু বিরক্ত হয় পলাশ।

ভয়টা কেটে গেছে পলাশের তাই হাত মুখ ধুয়ে। কাপড় বদলে শুয়ে পড়ে। সারাদিনের ক্লান্তি শেষে চোখ জুড়ে ঘুম নেমে আসে তার।


মাঝরাতে ঘুমটা ভেঙ্গে যায় পলাশের। কেমন যেন শীত শীত করতে থাকে। চোখ খুলে দেখে ঘরের ভিতর যেন কুয়াশা ঢুকে পড়েছে। জানালা দিয়ে পাক দিয়ে দিয়ে কুয়াশার কুন্ডলী জমে উঠছে ঘরটাতে।

একটু উঠার চেষ্টা করল পলাশ। পারল না। মনে হচ্ছে তাকে পেরেক দিয়ে মেঝের সাথে কেউ গেঁথে দিয়েছে।

কুয়াশাটা যেন আস্তে আস্তে একটা অবয়বের রূপ নিচ্ছে। সাদা গাউন পরা একটা নারী রূপ বলে মনে হল। আতঙ্কে অস্থির হলেও কিছু করার ছিল না পলাশের।

নারী অবয়বটা বাতাসে ভেসে এগিয়ে আসল। তারপর পলাশের কাছে এসে মুখটা নামিয়ে আনল। রক্তাভ রংয়ের ঠোঁটের ফাঁক দিয়ে দাঁত দুটো দেখতে পেল পলাশ।

ব্রাইড অব ড্রাকুলাব্রাইড অব ড্রাকুলা

"হ্যালো ব্রাউনি সুইট হার্ট। আনন্দের সাগরে ভাসতে চাও?" পলাশের গায়ের রংটাও লক্ষ্য করেছে ডাইনীটা! হতবিহ্বল চোখে তাকিয়ে থাকল পলাশ।

আস্তে আস্তে পলাশের ঘাড়ের কাছে মুখ নিয়ে আসল ডাইনীটা। ঘাড়ের কাছে তার হিম শীতল নিঃশ্বাস টের পাচ্ছে পলাশ। আতঙ্কে গলাটা শুকিয়ে গেছে।

"ইটস্ গনা হার্ট এ লিটল ফর দ্যা ফার্স্ট টাইম। ইউ উইল এনজয় আফটার দ্যাট" ফিসফিস করে বলে উঠল মেয়েটি। তারপর পরই ঘাড়ে দাঁতে ফোটানোর তীব্র ব্যাথায় অস্ফুট স্বরে গুঙিয়ে উঠল পলাশ। টের পেল একটা শিরশিরে আবেশ ছড়িয়ে পড়ছে ঘাড় থেকে শরীরে। কেমন একটা আবেশ ছড়িয়ে পড়ছে। সেক্সুয়াল সেনসেশনে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে সে। মনের অজান্তে ডাইনীটাকে জড়িয়ে ধরল পলাশ।

পলাশের রিঅ্যাকশন দেখে ডাইনীটা মুখ তুলে তাকাল। তারপর মুচকি হেসে বলল, "সি! আই টোল্জ ইয়া ইউ উইল লাইক ইট।"

তারপর তার লম্বা তীক্ষ্ণ নখ দিয়ে চিরে দিল নিজের স্তনের একপাশ। "সাক ইট বেইবী", ফিনকি দেয়া রক্তের দিকে ইঙ্গিত করে বলল সে। পলাশ বাধ্য ছেলের মত মুখ বাড়াল সেদিকে।


প্রায় দুই সপ্তাহ পরের ঘটনা। সুমীর সাথে কথা বলছে পলাশ।

"অ্যাই জানো তোমার জন্য আমি কি আনছি?" সুমী বলল পলাশ কে?

"কি?"

"এয়ারপোর্টে একটা ড্রীম ক্যাচার কিনলাম। ছোট্ট একটা চামড়ার আর পালক দিয়ে তৈরী চাকতি। রেড ইন্ডিয়ানদের করা। এটা তোমার দুঃস্বপ্ন গুলি তাড়াবে দেখো", সুমী বলল।

হাসল একটু করে পলাশ। "ঠিক আছে, তুমি আসো"।

ড্রাকুলা

ফোনটা রেখে আয়নার দিকে তাকালো পলাশ। এ কয়দিনে চেহারায় খানিকটা পরিবর্তন এসেছে তার। সুমীর কথা মনে পড়তেই নিজের অজান্তে হাসতে শুরু করে ক্যাননসবার্গের ড্রাকুলা। আর আয়নায় তার দাঁত দুটো চকচক করে উঠল।


মন্তব্য

রেনেট এর ছবি

চমতকার গল্প মুর্শেদ ভাই! নিয়মিত গল্প লিখেন না কেন?
ড্রাকুলাকে রক্তাক্ত পাঁচ তারা!
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

সময় আর আলস্য। এই দুয়ে খেল আমায়। তবে আরেকটা আইডিয়া মাথায় আছে। লিখব শিঘ্রী।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

রেনেট এর ছবি

আপনার প্রোফাইলে গিয়ে দেখি আপনি ক্যাননসবার্গে থাকেন... এখন তো কেমন জানি মনে হচ্ছে চিন্তিত
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

হাসি পাঠাবো ডাইনীটারে আপনার কাছে?

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

রেনেট এর ছবি

ডাইনীটা যদি অলরেডি আপনার এখান থেকে রক্ত ডিনার করে আসে, তাহলে আপত্তি নাই চোখ টিপি
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

মাহবুব লীলেন এর ছবি

লিখতে থাকেন বেশি করে
তাহলে কয়েকদিনের মধ্যেই সচলায়তনে আপনার ছবিটার জায়গায় আমরা দেখতে পাবো চোখে চশমা নিচে দাঁত

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ডাইনীটারে বলব লীলেন ভাইরে কামড় দিতে। তাহলে আপনার গোঁফের ভিতর থেকে সেই জিনিস দেখা যাবে। খাইছে

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

তীরন্দাজ এর ছবি

বেশ ভালো, খুব ভাল....., খুবই ভাল লিখেছেন।

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ধন্যবাদ ধন্যবাদ!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অমিত আহমেদ এর ছবি

আইব্বাস, মামু ভাই, জটিল লিখছেন তো! সাথে ছবিগুলাও হইছে জম্পেস হাসি গল্প যা মাথায় আছে সব নামায় ফেলেন। সচলে থ্রিলারের বড়ই আকাল।


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আসলেই ঠিক কথা। চল লিখি আরো কয়েকটা।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

নজমুল আলবাব এর ছবি
এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ছবিগুলান একটু ভীতিকর। লেখাটা তেমন কই?

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সিরিজ করবেন নাকি? ভালো লাগছে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

সিরিজ করব না। তবে এই ধরনের আরো কিছু লেখা যায়। ভিন্ন স্বাদ আনবে সচলায়তনে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

হাসি

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

ফেরারী ফেরদৌস এর ছবি

জটিল হইছে ! হাসি জলদি আরো কিছু নামান।

হিমু এর ছবি

কোন মিসেস ড্রাকুলা আমার রক্ত খেতে আসলে তার কপালে দুঃখ আছে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

তোমারে খেতে আসার আগে এমনিতেও দশবার চিন্তা করে নিবে। চোখ টিপি

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আরো চাই!

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

চমৎকার হইসে! আপনেরে নাফে মোহাম্মদের দোস্ত বানাইলাম।
(নাকি পুরানা দোস্ত?)
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

নাফে মোহাম্মদ কে ভাই?

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অমিত আহমেদ এর ছবি

মজা পাইলাম রে ভাই, মজা পাইলাম।


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

কীর্তিনাশা এর ছবি

পুরা গুল্লি গল্প হইছে।
----------------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

কীর্তিনাশা এর ছবি

গুল্লিটা হয় নাই তাই আবার দিলাম।
গুল্লিগুল্লিগুল্লি
[img=auto]Free Smileys & Emoticons at Clipart of.com[/img]
----------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

কনফুসিয়াস এর ছবি

ছবিগুলা সরিয়ে ফেলেন বরং।
গল্প পড়ে ভয় পাইছি, আপনি কি একা একা থাকতেছেন এখন?
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

একাই আছিরে ভাই। শুনশান রাত্তিরে ডরই লাগে। ইয়ে, মানে...

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

রায়হান আবীর এর ছবি

দেরি করে পড়লাম। সহজ ভাষায় লেখা বলে পড়তে ভালো লাগলো খুব। ভয় ভয় ও লাগলো। এই ধরণের গল্প আরও লিখেন। সচলে নতুন স্বাদের একটা জিনিস হবে।

মাইন্ড না করলে আরেকটা কথা। পড়ার সময়ই মনে হয়েছিল পলাশ নামটা বারবার পড়তে হচ্ছে। পরে গুনে দেখলাম 'পলাশ' নামটা গল্পে ব্যবহার হয়েছে মোট ৬১ বার। যার কারণে মাঝে মাঝে সুর কেটে যাচ্ছে। এইটুকু বাদ দিলে গল্পের মান আরও কয়েকগুন বেড়ে যাবে।

পরের গল্পের অপেক্ষায় থাকলাম।

---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

গুড ক্যাচ!!! ঠিক করে নেব। থ্যাঙ্কস।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।