শিখবা নাকি ক্যামেরাবাজী?: এইচ.ডি.আর ছবি

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি
লিখেছেন এস এম মাহবুব মুর্শেদ (তারিখ: সোম, ১৩/০৯/২০১০ - ১০:০৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এইচ.ডি.আর কী?
এইচ.ডি.আর মানে হলো হাই ডাইনামিক রেইঞ্জ - উঁচু মাত্রার সক্রিয় পরিসীমা। খালি চোখে যখন কোন বস্তুর দিকে আমরা তাকাই তখন বস্তুটির পিছনটা যতই উজ্জ্বল হোক বস্তুটিকে আমরা ঠিকই দেখতে পাই। অর্থাৎ আমাদের চোখ সক্রিয় ভাবে বিভিন্ন উজ্জ্বলতার বস্তু একসাথে দেখতে সক্ষম।

কিন্তু এই দৃশ্যটাই ক্যামেরা বন্দী করতে হলে একটা সমস্যা হবে। ক্যামেরা কখনই একটা ছবি একেক অংশ একেক ভাবে (ডাইনামিক্যালি) উজ্জ্বল করতে পারে না। তাই হয় কম আলো ঢুকতে দিয়ে পিছনের দৃশ্যাটাকে ঠিকভাবে ধারন করে, অথবা বেশী আলো ব্যবহার করে কাছের বস্তুটাকে ঠিকভাবে ধারন করে।

এইচ.ডি.আর কীভাবে?
এই সমস্যাটা সমাধানের জন্য এইচ ডি আর নামের পদ্ধতিটা ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন উজ্জ্বলতার একাধিক ছবি তোলা হয়। একেক ছবিতে একেক বস্তুর ছবি ভালো আসে। এই ছবিগুলো এক সাথে তুলনা করে ছবিগুলো জোড়া দেয়া হয় যেখানে সব গুলো ছবির বিভিন্ন আলোক সম্ভার এক সাথে থাকে। একে আমরা বলি এইচ ডি আর ছবি।

তারপর এই ছবিটাকে মনের মতো রংয়ে নিয়ে আসতে টোন ম্যাপিং নামে একটি কাজ করতে হয়। টোন ম্যাপিংয়ে বিভিন্ন প্যারামিটার বদলে পছন্দসই আলোর কম্বিনেশনে ছবিটাকে প্রস্তুত করতে হয়।

এই কাজের জন্য যে কোন ক্যামেরা ব্যবহার করলেই চলে। আপনার ক্যমেরার এক্সপোজার (আলোর পরিমান নিয়ন্ত্রক) কীভাবে নিয়ন্ত্রন করতে হয় জেনে নিন। সাধারণতঃ আপনার ক্যামেরার ম্যানুয়াল মোডে গিয়ে এটা করতে হতে পারে।

তিনটা ছবি ঠিক একই রকম হতে হবে। ছবির মধ্যে কোন কিছু এদিক সেদিক নড়ে গেলে সমস্যা। একারণে একটা ট্রাইপড ব্যবহার করা গেলে খুব ভালো হয়। কিন্তু ট্রাইপড না থাকলে একটা ফ্ল্যাট সারফেইসের উপর ক্যমেরাটি রাখতে পারেন। এইচ.ডি.আর এর জন্য হাতে ধরে ছবি না তোলাই ভালো।

এরপর যত দ্রুত সম্ভব তিনটি এক্সপোজারে (+১, ০, -১) অথবা পাঁচটি এক্সপোজারে ছবি তুলুন। দ্রুত না তুলতে ছবির মধ্যে মানুষ, গাড়ি এগুলো সরে যাবে এবং সমস্যাযুক্ত ছবির সৃষ্টি করবে।

এই পাঁচটি ছবিকে কম্পিউটারে নিয়ে আসুন। তারপর ফটোম্যাটিক্স, ডাইনামিক ফটো এইচডিআর, ফটোশপ বা পিকচারনট ব্যবহার করে ছবিগুলোকে প্রথমে জোড়া দেয়া এবং পরে টোন ম্যাপিং করে তৈরী করতে পারেন এইচডিআর। এই সফটওয়্যারগুলোর তুলনামূলক আলোচনা পাবেন এখানে। তবে ব্যক্তিগত ভাবে আমার মতে ফটোম্যাটিক্সের তুলনা হয় না। ফটোম্যাটিক্সের টিউটোরিয়াল দিলাম নীচে।

এছাড়াও একটি ছবির এক্সপোজার কৃত্রিমভাবে বাড়িয়ে কমিয়ে এইচ.ডি.আর তৈরী করা যেতে পারে। ছবিটার বিভিন্ন অংশ ঠিকভাবে দৃশ্যমান না হলেও এইচডিআর ফটোগ্রাফি নিয়ে মকসো কাটার জন্য এই পদ্ধতিটা খারাপ না। এই পদ্ধতিটি নিয়ে একটি ভিডিও নীচে দেয়া হল।

এইচ.ডি.আর এর তিনটি ধাপ
১. পাঁচটি এক্সপোজারে তোলা একটি দৃশ্য১. পাঁচটি এক্সপোজারে তোলা একটি দৃশ্য

২. এইচ.ডি.আর ফাইল

৩. টোন ম্যাপ করা এইচ.ডি.আর ছবি৩. টোন ম্যাপ করা এইচ.ডি.আর ছবি

এইচ.ডি.আর এর ভবিষ্যত
এইচ.ডি.আর এর গুরুত্ব অনুধাবন করে এবং টেকনোলজিক্যালি খুব দ্রুত ছবি তোলা সম্ভব হওয়ায় আইফোন ফোরে এটা বিল্ট ইন করে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া ক্যানন ছবি তোলার সময়ই প্রতিটা পিক্সেলের জন্য এইচ.ডি.আর করার একটি টেকনোলজি বের করেছে।

এইচ.ডি.আর করে ভিডিও বানানোর কোন টেকনোলজি এখনও আবিষ্কার হয়নি। অনেকে টাইম ল্যাপ্স ছবি তুলে (১ মিনিট পর পর একটি দৃশ্যের ৫টি শট, এরকম করে) ভিডিও বানিয়েছে। একটি উদাহরন পাবেন এখানে। ভিডিওর জন্য সবচেয়ে বড় বাঁধা হচ্ছে ছবি তোলার গতি এবং ডাটা ট্রান্সফার রেইট। ২৪fps এর ভিডিও করতে প্রতি সেকেন্ড ২৪ টা ফ্রেইম, প্রতি ফ্রেইমে ৫ টা ছবি করে প্রতি সেকেন্ড ১২০ টা ছবি তুলতে হবে। ভবিষ্যতে ক্যামেরাতেই এইচ.ডি.আর করা গেলে হয়ত ভিডিও এইচ.ডি.আর করার সুবিধা পাওয়া যেতে পারে।

এইচ.ডি.আর উদাহরন
সচলায়তনের প্রচুর ফটোগ্রাফার প্রায়ই এইচডিআর ছবি পোস্ট করে থাকেন। তাদের তুলনায় এই ছবিগুলো নিতান্তই একঘেয়ে। আশা করি আমার ছবি দেখে এইচ.ডি.আর এ আপনার আগ্রহ হারিয়ে যাবে না। হাসি

লেইক বার্কলে, কেনটাকিলেইক বার্কলে, কেনটাকি

লেইক বার্কলে ম্যারিনা, কেনটাকি

মোরেইন স্টেট পার্ক, পিটস্‌বার্গ

কলম্বাস ডাউনটাউন, ইন্ডিয়ানাকলম্বাস ডাউনটাউন, ইন্ডিয়ানা

কলম্বাস ডাউনটাউন - ভাঙ্গা ব্রীজ, ইন্ডিয়ানাকলম্বাস ডাউনটাউন - ভাঙ্গা ব্রীজ, ইন্ডিয়ানা


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

ব্যাপারটা জানতাম না। জেনে ভালো লাগলো। ছবি তোলার সময় কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।

জহিরুল ইসলাম নাদিম

মাহবুব রানা এর ছবি

আপাতত পড়ে যাচ্ছি। ভালো ক্যামেরা নাই, তাই হাতে-কলমে আরো পরে।

রাগিব এর ছবি

খুব ভালো ক্যামেরা লাগবে না। আমার ৭ বছরের পুরানো ক্যানন এস ৫০তে এক্সপোজার ব্র্যাকেটিং করে ৩টা আলাদা এক্সপোজারের ছবি তোলা যায়। সেটাতে খুব ভালো না হলেও হালকা-পাতলা এইচডিআর করা চলে। আপনার ক্যামেরার ম্যানুয়াল পড়ে দেখতে পারেন।

----------------
গণক মিস্তিরি
মায়ানগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | টুইটার

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

মাহবুব রানা এর ছবি

ধন্যবাদ, দেখি তাহলে চেষ্টা করে।

দ্রোহী এর ছবি

আমিও এইচডিআর করতে পারি কিন্তু সচলের ফটুগফুরদের যে মান তাতে চুপ করে থাকাই মঙ্গলজনক।


কাকস্য পরিবেদনা

কৌস্তুভ এর ছবি

আমি খুব পাতি কিছু এইচডিআর করেছিলাম। আসলে টোন ম্যাপিংয়ের কারিকুরি ভাল জানিনা। ওইটা নিয়ে বিস্তারিত বললে খুব ভাল হত।

দ্রোহী এর ছবি

পোস্টটা দেখার পর একটা এইচডিআর করতে ইচ্ছা হল। বাসার সামনের রাস্তার একটা ছবি খিঁচে এইচডিআর করে দিলাম। এটা Single RAW file থেকে এইচডিআর করা।

বস ফটুগফুরদের মন্তব্য আশা করছি।

Buttercup


কাকস্য পরিবেদনা

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এইটা বেশ ভালো হইছে। প্র্যাকটিস করার জন্য কৃত্রিম এক্সপোজার ভালো হইলেও সত্যিকারের এক্সপোজার বেশী গুরুত্বপূর্ণ।

ছবিটাতে কম্পোজিশনগত কিছু ঝামেলা আছে। যেমন বেড়ার অংশবিশেষ দেখা যাচ্ছে হাতের বামে। আর দুটো শুকনো ডান্ডা দেখা যাচ্ছে। ছবিটা রাস্তার মাঝ থেকে নেন। লম্বা রাস্তা মিশে গেছে মেঘের মাঝে - এরকমটা দৃশ্য ক্যামেরা বন্দী করতে পারলে অসাম হবে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

দ্রোহী এর ছবি

রাস্তার মাঝখান থেকেই নিতে গেছিলাম। বৃষ্টি এসে সব ভণ্ডুল করে দিয়েছিল। হো হো হো

এই যে নেন উল্টো দিকের ছবি। রুল অব থার্ড মোটামুটি মেইনটেইন করেছি। এটাও Single RAW HDR.

Buttercup Grove


কাকস্য পরিবেদনা

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

জটিল! চলুক

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অনু [অতিথি] এর ছবি

অাপনার এই ছবির একটু critique করি| HDR করতে যেয়ে মনে রাখতে হবে যেন ছবির reality নষ্ট না হয়ে যায়| অাপনার এই ছবিটি-র মত scene কি অাপনি দেখেছেন বলে মনে করতে পারেন ?

অবশ্য কে কিভাবে একটা ছবি interprete করবে এটা artistic freedom...

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনার কাজ ভালো। তবে এগুলো মনে হয় টেস্ট। হাসি

দ্রোহী এর ছবি

অনু [অতিথি], আমি ছবি দুটোয় সাররিয়্যালিস্টিক ভাব আনার চেষ্টা করেছি। এইচডিআর করতে গিয়ে শুধু কালার এনহ্যান্স করে মন ভরে না। তাই এইচডিআরে রিয়্যালিটির সাথে মিল রাখার চেষ্টা করি না। এইচডিআর করলে চেষ্টা করি একটা ড্রিমলাইক এফেক্ট আনার জন্য। রিয়্যালিটির সাথে মিল রাখতে চাইলে তো এইচডিআর করতাম না। শুধু লেভেল আর কার্ভ ব্যবহার করতাম। হাসি

পিপিদা, এইটাই ফাইনাল প্রোডাক্ট। তবে চাইলে ফটোশপে কিছুক্ষণ কাজ করে ছবিটাকে আরেকটু ভাল করা সম্ভব। Single RAW ব্যবহার না করে তিন/পাঁচটি এক্সপোজার ব্যবহার করলে ছবি আসলেই অনেক ভালো আসে। সে হিসাবে ছবি দুটোকে এইচডিআর না বলে স্যুডোএইচডিআর বলাই ভাল।


কাকস্য পরিবেদনা

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

তাহলে আমার মনে হওয়াটুকু ভুল। এইচডিআর যে যার মত ইচ্ছে বানায়। এখানে ঠিক বেঠিক কিছু নাই। তবে আমি একটু রিয়েলিস্টিক এইচডিআর পছন্দ করি, সাথে হালকা রঙ।

দ্রোহী এর ছবি

সেটাই। ডায়নামিক রেঞ্জের কোন মাপকাঠি নাই। আমি আবার এইচডিআর হিসাবে গাঢ় রঙের অতি প্রাকৃতিক এফেক্ট পছন্দ করি। হাসি


কাকস্য পরিবেদনা

ধুসর গোধূলি এর ছবি

মোটেও ভালো হয় নাই মেম্বর। আন্ধাকুন্দা হৈছে। কুপি জ্বালায়া যদি আপনের ফটুক দেখোন লাগে তাইলে ক্যামনে কী?



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

দ্রোহী এর ছবি

মনিটরের পিছে একটা টর্চলাইট বাইন্ধা থোন। আমি তাই করছি।


কাকস্য পরিবেদনা

হাসান মোরশেদ এর ছবি

RAW ফরমেটে একটা ছবি তুলে তারপর তিনটা আলাদা আলাদা এক্সপোজার এ ( 0, +2,-2) তিনটা ছবি বানিয়ে ও জোড়া লাগানো যেতে পারে।

ফটোমেট্রিক্স এর একটা সমস্যা আছে। মাগনা ভার্সনে প্রতিটি HDR এ নিজেদের সিল ছাপ্পর মেরে দেয়। সে ই১৯৫২ সাল থেকে ফটোশপ শিখতে কেনো জানি আলসেমী লাগে, জব্বারের বিজয়ের মতো( হায়, অভ্র না হলে আমার বাংলা টাইপিং ইহজনমে হতোনা)

টোনম্যাপিং নিয়ে আরো বিস্তারিত পোষ্ট দাও। এটা ঠিকঠাক না হলে ছবি ভুতুড়ে হয়ে যায়।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

টোনম্যাপিং আসলে অনেকটাই ট্রায়াল এন্ড এরর গেইম। ডিটেইল প্যারামিটার নিয়ে তেমন কোন জ্ঞান নাই আসলে। :-|

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

নিজাম কুতুবী [অতিথি] এর ছবি

হাই ডাইনামিক রেইঞ্জ সম্পর্কে জানলাম, খুব ভাল লাগল। কাজে লাগাবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

অল্প কিছু এইচ ডি আর করেছিলাম। মজার বেশ। একটা ফ্রি সফটওয়ার ও পেয়েছিলাম কিভাবে জানি!
আপনার ফটোমেট্রিক্স তো পয়সা চায়, বিনামূল্যে পাওয়ার কোনো উপায় আছে কি?

কাজী মামুন

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

পিকচারনটের লিংক দিয়েছি উপরে। জিপিএল সফটওয়্যার এটা।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অতিথি লেখক এর ছবি

একই ছবি বিভিন্ন এক্সপোজার দিয়ে প্রতিটি বস্তুই উজ্জ্বল করার বাপারটা জানি। পারিনা যদিও। তবে বিভিন্ন ফটোগ্রাফারদের কাজ দেখেছি। আপনাদের ছবিগুলো দেখে কৃত্রিম মনে হচ্ছে। সম্ভবত রঙ আরো ন্যাচারাল হওয়া দরকার। আপনার প্রথম ছবিটাই সবথেকে ভালো হয়েছে (আমার মতে)।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এটা মনে হয় পার্সোনাল টেস্টের ব্যাপার।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ত্রিবেদীর অপেক্ষায় আছি, সে একদিন শিখায়ে দিবো বলছে... তারপর আমিও এইচডিআর করুম...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ভাঙ্গামানুষ এর ছবি

পার্সোনালি আমি মনে করি, এইচ.ডি.আর করা ছবি দেখতে যেন অবাস্তব না লাগে। আমি ফটোম্যাট্রিক্স দিয়ে কিছু ছবি এইচ.ডি.আর করেছি; ভিন্ন এক্সপোজারে তিনটি আলাদা ছবি তুলেও করেছি, আবার একই ছবিকে ফটোশপে তিনটি ব্রাইটনেসে কনভার্ট করেও করেছি (আমার ক্যামেরাটি লুমিক্স DMC-FH20)রেজাল্ট মোটামুটি একই পাই। কোথাও আপলোড করতে পারিনি বলে স্যাম্পল দিতে পারলাম না।

সাবিহ ওমর এর ছবি

টোনম্যাপিংয়ে আসলে কী করা হয়?

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

উইকি
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

নিভৃত সহচর [অতিথি] এর ছবি

আমিও কয়েকদি হইলো HDR নিয়ে গুঁতাচ্ছি সাহস করে একটা নমুনা দিয়ে গেলাম। ৩ টা এক্সপোজার থেকে করা। যতোটা পারি বাস্তবের কাছাকাছি রাখার চেষ্টা করেছি।

auto

দ্রোহী এর ছবি

এইচডিআর যদিও ব্যক্তিগত পছন্দের উপর নির্ভর করে। তারপরও বলা যায় "ডাইনামিক রেঞ্জ" হচ্ছে এইডিআরের মূল বিষয়।

যেমন ধরুন আপনার ছবির পানিতে সূর্যের আলোর প্রতিফলনের "ডাইনামিক রেঞ্জ" বেশি না। আপনার ছবিটি থেকে আমি যদি একটা স্যুডোএইচডিআর বানাই তাহলে সেটা এমন হবে।

auto









কাকস্য পরিবেদনা

সুরঞ্জনা এর ছবি

ধন্যবাদ, পোস্টের জন্য।
হাসি
............................................................................................
স্বপ্ন আমার জোনাকি
দীপ্ত প্রাণের মণিকা,
স্তব্ধ আঁধার নিশীথে
উড়িছে আলোর কণিকা।।

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

অতিথি লেখক এর ছবি

নিজের হাতে কন্ট্রোল করপ্তে না পারলে মন বরে না ছবি তুলে। তাই আমি এখনো ফিল্মেই তুলতে সাচ্ছন্দ বোধ করি! তবে সম্প্রতি একটা লাইকা D-Lux ব্যাবহার করে ম্যানুয়াল ক্যামেরার স্বাদ পাচ্ছি! আর কেন জানি তোলার পর ছবি কেটাচেড়া জিনিসটাই আমার ভাল লাগে না। কৃত্রিমতার ছোঁয়াটা থেকেই যায়!

---থাবা বাবা!

ফাহিম হাসান এর ছবি

লেইকা ভাল পাই।

তবে ভাল রেজাল্ট পেতে হলে ডিজিটাল ছবিতে সাধারণ কিছু সম্পাদনা করা আবশ্যক। আর ঠিকমত করতে পারলে কৃত্রিমতার ছোঁয়াটা আর থাকে না! আমি নিজে অত ভাল পারি না বটে কিন্তু শেখাটাও আনন্দের।

একটা ব্যাপারে একমত। সাদা কালো ছবি তুলতে ফিল্মের জুড়ি নেই। সেই Ilford, Agfapan APX 400 - খুব মিস করি।

ফরিদ এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

ছবি জোড়া দেয়া আর টোনিং এর ব্যাপারটা জানি না। বিস্তারিতভাবে শিখান।

কর্ণ
auto

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনি এত বড় এভাটার দয়া করে ব্যবহার করবেন না। মন্তব্যের সাথে এই ছবি কি সত্যিই দরকার?

অতিথি লেখক এর ছবি

ছবিটা আসলে আইকন সাইজের, ২২০x১৮০।

কিন্তু এইখানে দেয়ার পর কেন জানিনা বড় হয়ে যায়...

কর্ণ

ফাহিম হাসান এর ছবি

ফাটাফাটি একটা পোস্ট। অসাধারণ। আমার মত এডিটিং কানা মানুষের খুব কাজে লাগবে।

কিন্তু ক্যাটেগরি শুধু ব্লগরব্লগর দেওয়া!

yeasirarafat এর ছবি

অসাধারণ এর বেশী বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয়না । আমাদের দেশের অনেক ক্যামেরা ম্যান এই বিষয় গুলো জানেনা ক্যমেরা , কম্পিউটার কিনে স্তিউদিও ল্যাব খুলে বসে আছে , । তবে যারা আলোকচিত্র নিয়ে লেখা পড়া করেছে তাদের ব্যপার আলাদা । খুব সুন্দর একটি পোস্ট দাদা ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।