অথবা অন্য কেউ

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি
লিখেছেন মানিক চন্দ্র দাস [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৯/০৮/২০১০ - ২:৪২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


টিক...টিক...টক...টক...

কিসের শব্দ?...শব্দ কিসের...? শব্দ ছড়াচ্ছে। ঢেউ এর মতো। আছড়ে পড়ছে শব্দ। এদিক...ওদিক...সবদিক... কাছে এগিয়ে আসছে...আসছে...আরো কাছে...। নেই। হঠাৎ চুপচাপ চারপাশ। কি নৈঃশব্দ! ভূবন এলোমেলো করে দেয়া নৈঃশব্দ।

চোখ আছে? আছে হয়তো। চোখ মেললাম। মানে, চোখ থাকলে মেলেছি। অন্ধকার...আসলেই কি তাই? চোখ ছাড়া কি অন্ধকার দেখা যায়? অন্ধকার না, কেমন যেন আলোশূন্যতা। নাকি আলো আছে? দেখতে কি পাচ্ছি? চোখ...অন্ধকার...আলো কই? আ...লো...

এক বিন্দু আলো। সত্যি আলো? বিন্দুর মতো কেন? বিন্দুর মতো আলো, আলোর বিন্দু... হাসি পাচ্ছে কেন? অকারনে কি হাসি আসে? কে জানে! আলোর বিন্দু এখন অবয়ব পাচ্ছে। সরে যাচ্ছে অন্ধকার । তার মানে অন্ধকার ছিলো। চোখও আছে, দেখা যাচ্ছে। চোখ না থাকলে কি দেখা যেতো? যেতোনা। যাবার কথা না। শরীর কোথায়? অস্তিত্ব? নেই। সব কি তাহলে শূন্য? জিরো? শুধু দেখে ফেরা?

আলোর অবয়ব...। সুন্দর তো! অবয়বে কি আসছে? ওটা কি মানুষ? মুখ? খুব চেনা লাগছে? মানুষ আমার চেনা? মানুষ চিনেছি? মানুষ চেনা যায়? যাবার কথা না। যায়নি। যায়না। যাবেনা। ক’টা মুখ চেনা যায়? জানিনা। এই মুখটা পরিচিত লাগছে। পরিচিত। খুব পরিচিত? কে?

চিৎকার করলে কেমন হয়? প্রচন্ড চেষ্টা করছি চিৎকার করতে। শব্দ নেই। কী কষ্ট...কী কষ্ট...আ...আ...কোন শব্দ নেই...কাজ হচ্ছেনা। আ...আ...... শব্দ হলো...শান্তি ...। এই কি তাহলে শান্তি...? একেই কিনা কী প্রাণান্ত খোঁজাখুঁজি...? আ...আ...
কে ? (যাক, শব্দ হয়েছে। অর্থবোধক শব্দ।)
উত্তর নেই। শব্দের ঢেউ আসছে...যাচ্ছে। কে...কে......কে...???

আলো উধাও। অবয়ব নেই। আবারো বিন্দুর মত আলো। আলোটা নড়াচড়া করছে। এদিক...ওদিক...উপরে...নিচে...অস্থির, আকাবাঁকা আলো। কে যেন তারাবাতি জ্বালিয়ে অন্ধকার একটা জায়গায় ছোটাছুটি করছে। আলোটা কি ধরা যায়? কী দিয়ে ধরবো? হাত কোথায়?

শরীরে কোন অনুভূতি নেই। এরকমই কি হবার কথা? হবার কথা মানে কী? অতীতে ঠিক করে রাখা ভবিষ্যতের কথা। হয় এরকম? হয়তো হয়, হয়তো হয়না। কে জানে!

আলোটা ধরা দরকার। আলোটা আসলে ধরার দরকার নেই, কিছু একটা করা দরকার। তাই আলো ধরা। অবস্থান কী? শুয়ে? দাঁড়িয়ে? শুয়ে থাকলে পিঠের নিচে কিছু একটা থাকার কথা। দাঁড়িয়ে হলে পায়ের নিচে। পিঠ কি আছে? কোন অনুভূতি নেই। নাকি পাচ্ছিনা? পাবার কথা তো?

পিঠ... প্রথমে ঘাড়... কাঁধ...পিঠের তিনকোনা হাড়... লম্বা মতন খাঁজ... মেরুদন্ড... হাড়ের উচু কাঁটা... এরপর দুপাশে ছড়িয়ে যাওয়া...পেলব ত্বক? নাহ খসখসে। পিঠের অনুভূতি পাচ্ছি। পিঠের সাথে কিছু কি লেগে আছে? নাতো। সেরকম কিছু নেই। অবস্থানটা তাহলে কী হবে? শূন্যে ভেসে থাকা কি একেই বলে? নাতো...শূন্য না। পিঠের একপাশে কিছু একটা চেপে থাকার অনুভূতি হচ্ছে। অনুভূতি...আছে তাহলে? ভালো...ভালো।
চেপে থাকার অনুভূতিটা পিঠের নিচেও হচ্ছে। পিঠের নিচে কি? কোমর। উর্ধ্বলোক আর অধঃলোকের সংযোগস্থল। এগুলো কী? কে জানে! জানিনা। জানার খুব দরকারও নেই। নাকি আছে? চেপে আছে এখানেও। কিছু একটা। এরপর নিতম্ব। গোলমতন, নিচের দিকটায় চলমান একটা ধারা। চেপে থাকার অনুভূতি এখানেও। এই জায়গাটাকে পা বলে। প্রথমে মাংসল উরু। লোমশ। পশুর মতো। এরপর উঁচু গোল জায়গা। শক্ত। হাঁটু বলে। অনুভূতিটা এখানেও আছে। এরপর পেটমোটা সিলিন্ডার, সামনের দিকটা শক্ত। এরপর সামনে ছড়িয়ে যাওয়া। পায়ের পাতা। পায়ের কাছেও হচ্ছে। অনুভূতিটা এখানেও আছে।
পিঠের সামনেও একই অবস্থা। পিঠের সামনে কী? বুক। এর উপর মাথা। নিচে পেট। এরপর...পৃথিবীর যজ্ঞে নতুন কে আমন্ত্রন জানানোর উপাঙ্গ।

সবখানেই এক চাপ। কিসের চাপ? এটা কোন জায়গা?
চারপাশে কী? দেয়াল? দৌড় দিলে কেমন হয়? নড়াচড়া করা যাচ্ছেনা। চাপ। হাত নাড়তে পারছি। চারপাশে কেমন যেন তরল ছড়ানো। তরল কিছু একটা চেপে আসছে। নাহ্‌ তরল কিছু না। শক্ত কিছুও তো না। কি তাহলে? কাদার মতো কিছু? চাপটা এখন আর চাপ মনে হচ্ছেনা। মনে হচ্ছে শরীরের সাথে কিছু একটা লেপ্টে যাচ্ছে। লেপ্টে আটকে যাচ্ছে। নিচ থেকে উপরে। চাপটা আগে চারপাশে ছিলো, এখন নিচ থেকে উপরে উঠছে। মনে হচ্ছে সব গুড়ো হয়ে যাবে। চাপ। প্রচন্ড চাপ। চাপ কেন? চাপের উল্টোটা কী? মুক্তি? ওটাই কি এখন দরকার? আমার মুক্তি চাই? হবে হয়তো। চাপটা উপরে উঠে আসছে... মুক্তিটাই দরকার...মু...ক্তি...

আ...মা...কে...মু...ক্তি দা...ও...। চিৎকার করলাম...শরীরের সবটুকু শক্তি দিয়ে...। আচ্ছা আমাকে আটকে রেখেছে কে?

বোধটুকু আসার সাথেসাথেই চাপ উধাও। তীব্র আলোয় চোখ ঝলসে গেলো। আলো আস্তে আস্তে চোখে সয়ে আসছে। নিজেকে দেখতে পাচ্ছি। বুক। থলথলে । লোম। কোঁকড়ানো কালো লোম। লোমের ফাঁকে ফাঁকে কিলবিল করছে পোকা। সাদা সাদা পোকা। পেট। তাতেও লোম। কোঁকড়ানো। তলপেট। লোমের জঙ্গল। এখানে লোম নড়াচড়া করছে। কিলবিল...কিলবিল। পেশল ফোলা ফোলা দুটো উরু। পেশীরা কেমন পাক খেয়ে আছে...। জন্তু। আপাদমস্তক একটা জন্তু। পায়ের নিচ থেকেই শেকল। দু’পা জড়িয়ে আছে শেকলে। শেকলের দিকে তাকালাম। এই প্রথম পায়ের নীচে চোখ গেলো। পায়ের নিচে মাটি। হলদে মাটি। শক্ত। ফেঁটে চৌচির। ফেঁটে যাওয়া জায়গা দিয়ে কেমন হালকা নীল ধোঁয়া বের হচ্ছে। দুপাশে যেদিকে চোখ যাচ্ছে সেদিকেই ফাঁকা। কিছু নেই। কেউ নেই। দুপা থেকে শেকল দুপ্রান্তে চলে গেছে। মিলিয়ে গেছে দিগন্তে। দিগন্তেও সেই হলদে মাটি। মাথার উপর গনগনে সূর্য। তাপ ছড়াচ্ছে। তীব্র তাপ। শেকল টানার চেষ্টা করলাম। লাভ হলোনা। শেকল নড়ছেনা। তীব্র তাপের নীচে, হলুদ মাটির উপর, হালকা নীল ধোঁয়ার মাঝে দাঁড়িয়ে আছি। একা।

“স্যার...”
ঘাড় ঘুরিয়ে পাশে তাকালেন আনোয়ার সাহেব। তিনি আধশোয়া হয়ে আছেন। হাতে কোল্ড ড্রিঙ্কসের গ্লাস। সামনে দিগন্ত বিস্তৃত সমুদ্র। সূর্য ডুবছে। তার সামনে একটা ছোট মতো ছেলে দাঁড়ানো। ছেলেটা তাকিয়ে আছে, আনোয়ার সাহেবও তাকিয়ে আছেন। দূরে আনোয়ার সাহেবের দু’জন বডিগার্ড দেখা যাচ্ছে।

“স্যার, কফি খাইবেন?”
আনোয়ার সাহেব ঘোর লাগা গলায় বললেন, “কী করে ভেতরের মানুষটাকে মুক্তি দেয়া যায়,জানিস?”


মন্তব্য

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

আমাদের প্রতিটি মানুষের ভেতরে আরেকটা মানুষ কিংবা বহু মানুষ থাকে। সেই মানুষটারও চাহিদা থাকে, ইচ্ছে থাকে, বলার থাকে অনেক কিছুই। আমরা সভ্য থাকতে চাই। ভেতরের সেই মানুষ বা মানুষগুলোর অনেক চাওয়াই আমাদের এই মুখোশ পড়া সমাজে ঠিক শালীন হয়না। আমরা সেই মানুষ বা মানুষগুলোকে আটকে রাখি। বদ্ধ করে রাখি। সেই মানুষ মুক্তি চায়, কাঁদে, চাপে পিষ্ট হয়। এই গল্পের বিষয় সেটাই। ভেতরের মানুষটার অবস্থা। আর কিছু না। পাঠক ভালো থাকবেন। আমার অতি দুর্বল লেখার ক্ষমতাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। এই রকম একটা আশা নিয়ে বসে আছি।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

গল্পটি ভালই লেগেছে। তবে বর্ণনা অনেক সময় একটু লম্বা হয়েছে। লিখতে থাকুন আর অন্যদের পোস্টেও মন্তব্য করতে থাকুন। সংকোচের কিছু নাই। অন্যের পোস্টে মন্তব্য করলে তাদের সাথে আপনার একটা সম্পর্ক সৃষ্টি হবে, ফলে তারাও আপনার লেখা পড়তে আগ্রহী হতে পারেন। ফলে মন্তব্যও বেশী পাবেন।

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

ধন্যবাদ প্রকৃতিপ্রেমিক। গল্প ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগছে। ভালো থাকবেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

গল্পটা পরে কেমন যেন কষ্ট লাগলো। এটাই মনে হয় এর মূল সুর। কেন নিজের লেখাকে দুর্বল বলছেন? হাসি

আকাশনীলা

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

প্রিয় আকাশনীলা,
গল্পটা শেষ করে যখন পড়েছি তখন মনে হয়েছে আমি আমার কথা ঠিকঠাক বলতে পারিনি। কমতি রয়ে গেছে । আর আমি ততো লিখতেও পারিনা। সচলে হিমু ভাই লেখেন। শুভাশীষ দা লেখেন। পল্লব ভাই লেখেন। কুলদা রায় লেখেন। সচলে অনেক অনেক লেখক। এর মাঝে আমার লেখা যে যায়, পাঠক পড়ে কষ্ট করে সেটাই বেশী। আপনাকে ধন্যবাদ কষ্ট করে আমার লেখা পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

বিষয়টা অনেক জটিল বটে...আপনার-ও সাহস আছে ভাই...বর্ণনা ভাল হয়েছে...যতদূর বুঝতে পারছি ওই পরিস্থিতি আমাদের অনেকের কাছেই অস্পষ্ট...আপনার চেস্টা এখানে সফল হয়েছে যে আপনি মূল কষ্টের জায়গাটা ধরে রেখে আশেপাশের জায়গাটা কিছুটা পাঠকের জন্য রেখেছেন...লেখকদের এটা একরকম দায়িত্ব যে অস্পষ্ট বিষয়গুলোকে যতদূর সম্ভব স্পষ্ট করে তোলা...
আকাশণীলা'র মন্তব্যের সাথে একমত, মোটেও দুর্বল লেখা হয় নি...কঠিন বিষয় তাই ফ্লেভার টা একটু অন্যরকম...
চালিয়ে যান এরকম সাহসের সাথে...শুভ কামনা রইল...

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

ধন্যবাদ অতিথি লেখক।

অতিথি লেখক এর ছবি

একটানে পড়লাম।

আনোয়ার সাহেব ঘোর লাগা গলায় বললেন, “কী করে ভেতরের মানুষটাকে মুক্তি দেয়া যায়,জানিস?”
আমার কিন্তু মনে হচ্ছিল ভদ্রলোক মুক্তি পেয়ে গেছেন। আহা রে! মায়াই লাগল বেচারার জন্য। কিন্তু এটা সত্যি মায়া তো? নাকি অন্য কিছু? অথবা পাত্রটাও আনোয়ার সাহেব নন, অন্য কেউ?

কুটুমবাড়ি

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

প্রিয় কুটুমবাড়ি,
তিন লাইনে আপনিও অনেক কিছু বলে ফেলেছেন ভাই। ধন্যবাদ লেখা পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

"দুপা থেকে শেকল দুপ্রান্তে চলে গেছে। মিলিয়ে গেছে দিগন্তে। দিগন্তেও সেই হলদে মাটি। মাথার উপর গনগনে সূর্য।"

আমাদের চারপাশে শেকল। শেকলের মধ্যেই আমাদের পথচলা। মাথায় সূর্য-তাপের অত্যাচার। আমাদের মুক্তির বড় প্রয়োজন।

শুভকামনা।

সুবীর কর

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

প্রিয় সুবীর কর,
ধন্যবাদ লেখা পড়ার জন্য। ঠিকই বলেছেন। মুক্তির বড় প্রয়োজন। লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

মেহদী হাসান খান এর ছবি

অসাধারন দাদা! আপনার আগের সব গল্পের চেয়ে ভালো লাগলো এটা। চলুক

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

ধন্যবাদ মেহদী। ভালো থাকিস রে ভাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার!!! বর্তমানকালের অন্ত:সার শূন্য বাংলা সাহিত্যে আপনার লেখা সত্যিই ব্যতিক্রম... চালিয়ে যান।
(সাঈদ আজিজ)

আয়নামতি [অতিথি] এর ছবি

এক্কেবারে অন্য রকম লাগলো লেখাটা। এই যদি হয় দুর্বল লেখার নমুনা, এ জীবনে তবে আর আমার লেখক হওয়াই হলো না রে দাদাভাই(কেনো জানি দাদাভাই ডাকতে মন করলো, মাইন্ড খেয়ে পেট ভরাবেন না কিন্তু)! আসলেই, কতভাবেই না দ্বন্দ্ব চলে আমার সাথে অনেক আমি'র। রাখঢাক করেই চলতে শেখায় ভাব্যতা। আর ভেতরের জন কিংবা জনেরা(?) ছটফটিয়ে মরে প্রকাশের আকাংখায়...এক অর্থে আমরাও তবে যুদ্ধবাজিতে লিপ্ত নিজের সাথেই নিজেই, ---নয়?

আরো চাই এরকম বোধের দরোজায় টোকা পড়বার মত লেখা। শুভেচ্ছা জানবেন।

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

ধন্যবাদ ভাই। লেখা পড়া এবং মন্তব্য করার জন্যে। ভালো থাকবেন।

বইখাতা এর ছবি

চলুক
লিখতে থাকুন।

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

সাহস দেবার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

Arif Khan এর ছবি

(প্রচন্ড চাপ। চাপ কেন? চাপের উল্টোটা কী? মুক্তি? ওটাই কি এখন দরকার? আমার মুক্তি চাই? হবে হয়তো। চাপটা উপরে উঠে আসছে... মুক্তিটাই দরকার...মু...ক্তি...)....খুব বেশী প্রতিভাবান না হলে চেতন মন থেকেএই ধরনের লেখনী বের করা সম্ভব নয়!এই ভাবনা গুলি হয়ত আমাদের অবচেতন মনে বিরাজ করে...আশা করছি মানিক এই ধারার লেখা সচল রাখবে...
আরিফ ভাই

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

আরিফ ভাই,
ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। দোয়া রাইখেন।

পলাশ পলু এর ছবি

বার বার পরাজিত হয়ে এখন আমি ক্লান্ত। .................অথবা এ আমার অভ্যেসে পরিনত হয়ে গেছে।।..................... আমি বার বার হারি আর বাইরের মানুষটার জাত উদ্ধার করি।

আমি ভেতরের বন্দি।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।