জিন্নাহ'র "টু নেশান থিওরী" এখনো প্রযোজ্য - নিজামী

অভ্রনীল এর ছবি
লিখেছেন অভ্রনীল (তারিখ: শুক্র, ১৯/১২/২০০৮ - ৪:০০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্বভাবতই জানতে ইচ্ছে করবে যে উপরের টাইটেলের এই মন্তব্যটা নিজামী কখন করলো? উত্তর হল- ১৬ই ডিসেম্বর জামায়াতের আয়োজিত বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে!

অবশ্য সে যুক্তি তর্ক ছাড়া এইসব কথা বলে নাই। তো এই কথার স্বপক্ষে তার যুক্তি হচ্ছে শেখ মুজিব ওআইসি তে যোগদান করে এবং বাংলাদেশকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুস্লিম দেশ হিসেবে ঘোষনা দিয়ে জিন্নাহ'র স্বপ্ন পূরণ করেছে! অকাট্য যুক্তি!

বছর কয়েক আগে দেখতাম রাজাকারেরা লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়ে গাড়িতে চলে। এখন দেখি তারা শহীদদের সাথে মস্করা করে বিজয় দিবস উদযাপন করে। (খুব জানতে ইচ্ছা করছে তারা ঐ অনুষ্ঠানে কি নিয়ে আলোচনা করলো)। কয়েক বছর পর নিশ্চয়ই এরা একেকজন নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবী করবে! যদি এই ভাবে চলতে থাকে তাহলে একসময় বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে রাজাকার শব্দটাই হয়ত মুছে যাবে...

উৎসঃ বিডিনিউজ২৪


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

জিন্নাহর স্বপ্নদোষকে বয়ে বেড়াচ্ছে নিজামি।


হাঁটুপানির জলদস্যু

বিপ্লব রহমান এর ছবি

.

আপনার পোস্ট পড়তে পড়তে একটু পুরনো কথা মনে পড়ে গেলো।

আমার বাবার কাছে শুনেছি, ১৯৭২ সালের দিকে বাম-মুক্তিযোদ্ধাদের একটা শ্লোগান ছিলো:

একটা-দুইটা জামাত ধরো
সকাল বিকাল নাস্তা করো।।
অ্যাকশন-অ্যাকশন
ডাইরেক্ট অ্যাকশন।।

আর সে সময় অনেক মুক্তিযোদ্ধাই বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা উপেক্ষা করে বিচ্ছিন্নভাবে বেশ কিছু রাজাকার 'অ্যাকশন' করেছে। তুলনামূলকভাবে কম অপরাধী অনেকের চোখও উপড়ে ফেলা হয়েছিলো সে সময়।

আর এই তো সেদিন, ১৯৯০-৯২ সালে গোলাম আজমের বিচারের দাবিতে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা দেশব্যাপি আন্দোলনে আমরা শ্লোগান তুলেছি:

রাজাকারের ক্ষমা নাই
মুক্তিযুদ্ধের শেষ নাই।।

তো আমার মনে হয়, এইসব গলিত রাজনীতির গন্তব্য নর্দমায় সেদিনই হবে, যেদিন যুথবদ্ধ মানুষ রুখে দাঁড়াবে অসমাপ্ত মুক্তিযুদ্ধটিকে সমাপ্ত করতে; একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোও সম্ভব হবে সেদিন।

আর সেই সব দিনে এই সব জিন্নাহ-জামাতি আস্ফালন নিছক কাগুজে বাঘের মতোই উবে যাবে।

অনেক ধন্যবাদ।


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

তারেক এর ছবি

এইটার প্রতিবাদে সমকালে আবিদ খানের কলামটা খুব ভালো লেগেছে।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
এনকিদু এর ছবি

non-unicode সাইট । কিছুই পড়তে পারলাম না । আমাদের সংবাদ পত্রগুলো নেটে এসেছে - খুব ভাল কথা । এরা non-unicode কেন এখনো - মহা খারাপ কথা । সংবাদপত্রের লোকজন তো সচলে ভরা, বড় ভাইয়রেয়া কিছু করেন না কেন ?


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

সাপ্তাহিক২০০০ বুঝতে পারছে।
বাকীরা যে কবে বুঝবে, কে বুঝাবে!!!

ইউনিকোড করতে গিয়ে দেখি ফন্ট ভেঙে গেছে,এমনই কারবার।
অনুমান করে করে কিছু শব্দ পড়ে নিতে হবে।
___
কেন সহ্য করতে হবে এই ধৃ®দ্বতা
বিশেষ মšøব্য প্রতিবেদন
আবেদ খান
অনেকে বলতে পারেন নিজামী সাহেব যে কথা বলেছেন সেটা তিনি গণতাšিúক অধিকারবলে বলতেই পারেন। আর আমি, মত প্রকাশের গণতাšিúক অধিকারে বিশ^াসী হয়েও একজন মুক্তিযো™ব্দা হিসেবে বলতে পারি যে, মতিউর রহমান নিজামীর কোনো অধিকারই নেই এ কথা বলার। স্ট^াধীন বাংলাদেশের মাটিতে বসে আল বদর বাহিনীর প্রধান যখন বাংলাদেশের বিজয় দিবসের দিনে গলা উঁচু করে ™ি^জাতিতত্তে¡র বন্দনা করেন, জিল্পæাহ সাহেবকে সশ্র™ব্দভাবে ‘জাতির জনকে’র আসনে বসান আর বঙ্গবল্পব্দু শেখ মুজিব স¤ক্সর্কে সুকৌশলে প্রশংসার আড়ালে বিষ উদ্গিরণ করেন তখন আর বুঝতে বাকি থাকে না তিনি এবং তাঁর দল আসলে কোন অবস্ট’ানে আছেন। নিজামী সাহেব বলেছেন যে, একাত্তর সালের
১৬ ডিসেল্ফ^রের পর ভারতের আকাশবাণী রেডিওতে বারবার প্রচার করা হচ্ছিল যে, জিল্পæাহ সাহেবের ™ি^জাতিতত্ত¡ ভুল প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু, নিজামী সাহেবের মতে, বিগত ৩৭ বছরে বাংলাদেশের প্রতি ভারতের আচরণ ™ি^জাতিতত্ত¡কেই সমর্থন করে যায়। নিজামী সাহেব উদাহরণ হিসেবে দুটো বিষয় উপস্ট’াপন করেছেন : এক, বঙ্গবল্পব্দুর অবর্তমানে ভারতের মাটিতে রা®দ্ব্রীয় চার মহৃলনীতি ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু ’৭২ সালে দেশে ফিরেই বঙ্গবল্পব্দু ঘোষণা করেন বাংলাদেশ বিশে^র ™ি^তীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ; দুই, ’৭৪ সালে বঙ্গবল্পব্দু ভারত ও রাশিয়ার বিরোধিতা সত্তে¡ও ওআইসি সল্ফে§লনে যোগ দেন।
কী হাস্যকর প্রমাণ! রাজনৈতিক জ্ঞানস¤ক্সল্পæ কোনো মানুষের পক্ষে এত মোটা দাগে ভাবনাচিšøা করা অসল্ফ¢ব এবং সে কারণেই বলা যায়, জামায়াতের আমির নিজামী সাহেব অবশ্যই এভাবে ভাবার অধিকার রাখেন। এ ধরনের মানুষের সঙ্গে যুক্তি কিংবা রা®দ্ব্রবিজ্ঞান আলোচনা করা অর্থহীন আর তা করতেও আমার রুচি নেই। তিনি ২০০৮ সালের ১৬ ডিসেল্ফ^র যে মšøব্যটি করেছেন ™ি^জাতিতত্ত¡ স¤ক্সর্কে তা তিনি সেই একাত্তর সালেও বহুবার করেছেন এবং তা সেই সময়কার ‘সংগ্রাম’ নামক তাদের দলীয় দৈনিকে বারংবার ছাপাও হয়েছে।
একবার মনে হয়েছিল এই বিষয় নিয়ে লেখা মানেও লোকটাকে গুরুÍ^ দেওয়া। কারণ এঁরা ইস্যু তৈরি করে আলোচিত হতে চান এবং মনে করেন যে তাতে নাম ফাটে। নিজামীরা যে কী জিনিস এবং এই দেশের জন্য কী ভয়গ্ধকর উপদ্রব তা তো দেশের মানুষ জানে। কিন্তু তারপরও কলম ধরতে হলো শুধু এই কারণে এটা নিজামী মওলানার বালখিল্য উচ্চারণ শুধু নয়Ñ এটা অত্যšø ইচ্ছাকৃত এবং সুপরিকল্কিপ্পত বক্তব্য। এরা এখন ‘মুক্তিযু™ব্দ গবেষণা প্রকল্কপ্প’ করেছে এবং সেই গবেষণায় তারা দেখানোর চে®দ্বা করেছে যে, ’৭১ সালে আসলে ১০ হাজার মানুষ মারা গেছে, ৩০ লক্ষ নয়। তবে যু™েব্দর পর মুক্তিযো™ব্দাদের হাতে দেড় লক্ষ রাজাকার, আল বদর, আল শামস এবং বিহারির মৃত্যু হয়েছে (১৭ ডিসেল্ফ^র ২০০৮-এর প্রথম আলো পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠা দ্র®দ্বব্য)। এরা ইতিমধ্যে একটি ‘মুক্তিযো™ব্দা পরিষদ’ও করেছে এবং সেখানে প্রদত্ত বক্তব্যের বিরোধিতা করার জন্য একজন সত্যিকারের মুক্তিযো™ব্দাকে নির্দয়ভাবে প্রহার করেছে। এরা বাংলাদেশের স্ট^াধীনতা যু™ব্দকে কখনো গৃহযু™ব্দ কখনো ভারতীয় আগ্রাসন বলে অভিহিত করেছে। বদর বাহিনীর আর এক নেতা মুজাহিদ তো সরাসরি বলেই বসেছেন যে, দেশে কোনো যু™ব্দাপরাধী নেই এবং স্ট^াধীনতাবিরোধীও নেই। অর্থাৎ ব্যাপারটা আর নেহাত বাতুলতা বলে উপেক্ষা করার কোনো অবকাশ নেই। নিজামী-মুজাহিদরা একটা গভীর পরিকল্কপ্পনা নিয়েই এগোচ্ছেন। এখন এই মুহহৃর্তে এসব বিষয়ের অবতারণা করার পেছনে এমন কোনো বিশেষ শক্তির উস্ট‹ানি আছে যে শক্তি চাইছে এমন একটা সাংঘর্ষিক পরিস্টি’তি, যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনকে উত্তপ্টø করে তুলবে, নির্বাচন অনুষ্ঠানের সল্ফ¢াবনাকে বিপদসংকুল করে তুলবে। যে রাজনৈতিক দলের চিšøাভাবনার ভেতরে আছে শুধু ষড়যšú, আছে শুধু মিথ্যাচার, যে রাজনৈতিক দলের প্রধান প্রকাশ্য বক্তব্যের ভেতর দিয়ে পাকিস্টøানের আদর্শের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেন এবং মুক্তিযু™ব্দকে বিকৃত রূপ দিয়ে বিতর্কিত করার চে®দ্বা করেন, সেই দলের কী অধিকার আছে এদেশে রাজনীতি করার কিংবা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার? নির্বাচন কমিশনের কাছে এবং এই সরকারের কাছে এই আমার জিজ্ঞাসা। জানি না দেশের মানুষ কতদিন এই ধৃ®দ্বতাকে সহ্য করবে এবং কেন করবে?

জিজ্ঞাসু এর ছবি

দ্বিজাতি তত্ত্ব কোনকালে প্রযোজ্য ছিল না। কিছু লোকের নেতা হবার প্রয়াস ছিল ওটা।

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আমাদের আসলে এখন মুনতাজারের মত মানুষ দরকার, যে এইসব রাজাকারদের দিকে জুতা ছুড়ে মারতে পারবে!

পরশু "প্রথম আলো"-তে একটা খবর দেখলাম, জামায়াতপন্থীরা "মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা প্রকল্প" নামে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কাজ শুরু করেছে। এরমধ্যেই দুইটা বই প্রকাশ করেছে, যেখানে বলা হয়েছে- মুক্তিযুদ্ধের সময় আসলে ১০ হাজার মানুষ মারা গেছে, আর যুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধারা দেড় লাখ রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও বিহারি হত্যা করেছে!


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

ধুসর গোধূলি এর ছবি
রেজওয়ান এর ছবি

এই দ্বিজাতিতত্ব এখনো পাকিস্তানিরা অন্ধের মতো মানে। কারও কাছে কি এ নিয়ে ভাল কোন আলোচনার আর্টিকেল বা লিন্ক আছে?

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

অবাঞ্ছিত এর ছবি

এগলা কাউন্ট হবে?

http://www.storyofpakistan.com/contribute.asp?artid=C031

http://www.storyofpakistan.com/articletext.asp?artid=A129

__________________________
I think , therefore i am - Descartes

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।