উৎপলের উৎপাত আর কত?

অভ্রনীল এর ছবি
লিখেছেন অভ্রনীল (তারিখ: বুধ, ২৩/০২/২০১১ - ৪:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(এই বিষয় নিয়ে যখন লেখা শুরু করি তখনও সচলায়তনে এই বিষয়ে কোন পোস্ট পড়েনি, অথচ এখন পোস্ট করতে এসে দেখি এরই মধ্যে এই বিষয়ে দু'দুটি পোস্ট হয়ে গিয়েছে। তারপরও নিজের লেখাটি প্রকাশ না করার লোভ সামলাতে পারলামনা। কারো বিরক্তির উদ্রেক করে থাকলে আগেভাগেই ক্ষমা চাচ্ছি।)

===============================================

প্রথমেই বলে রাখি যে আমি ক্রিকেটবোদ্ধা নই, ক্রিকেটপ্রেমীও নই। টিভির সামনে টানা বসে ক্রিকেট খেলা দেখিনা, ধৈর্য হয়না। টুয়েন্টি-টুয়েন্টি, ওয়ান্ডে বা টেস্ট যাই হোক না কেন - বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ম্যাচ শেষে ফলাফলটা জেনে নেই। ওটাই আমার জন্য অনেক কিছু। তবে বাংলাদেশের খেলা থাকলে অবশ্য অন্য কথা। টেস্ট ছাড়া বাকী দুটো'র জন্য কিছুক্ষণ পর পরই আপডেট জানা দরকার হয়ে পড়ে। সোজা কথা, দর্শক হিসেবে বাংলাদেশের একজন সাধারণ মাপের দর্শকের চেয়েও আমার অবস্থান অনেক নিচে। ক্রিকেটের প্রতি টান নেই, তবে টান রয়েছে বাংলাদেশের প্রতি। তাই ক্রিকেট খেলতে যখন বাংলাদেশ মাঠে নামে, তখন এই টানটাই আমাকে সেই ম্যাচে বুঁদ হয়ে থাকতে অনুপ্রেরণা যোগায়। তাই আমার এই লেখাটিকে ক্রিকেটিয়-বিশ্লেষণ ধরণের কিছু মনে করবার কোন কারণ নেই। গত কয়েকদিন ধরে উৎপল শুভ্র নামের এক সাংবাদিকের হাগড়পাগড় রিপোর্টিং পড়ে নিতান্তই মেজাজ খারাপ হয়ে এই লেখাটির জন্ম।

।১।

মাঝে মাঝে খুব অবাক হই যখন তাকিয়ে দেখি যে ২৩-২৪ বছরের ছেলেগুলো কী দৃপ্তভাবে সামনে থেকে আমার হত দরিদ্র দেশটিকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে! যখন ২৩-২৪ বছরের নিজের দিকে তাকাই, যখন চিন্তা করি যে ষোল কোটি মানুষকে তুলে ধরা ঐ ছেলেগুলোর তুলনায় আমি নিজে কি করেছি, তখন ছেলেগুলোর জন্য এক ধরনের গর্বে বুক ভরে যায়। ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন সাকিবের কথাই ধরুন। ষোল কোটি মানুষের প্রত্যাশা নিয়ে ছেলেটি ১১ জনের একটি দলকে বিশ্ব পর্যায়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমার ২৩ বছর বয়সে যদি আমাকে এই কাজটা দেয়া হত তাহলে ভয়ে আদৌ নিতাম কিনা কে জানে! অবশ্য আমার নেয়ার আগেও বড় কথা হচ্ছে আমাকে দেয়া হত কিনা! আমি বুকে হাত রেখে বলতে পারি, খেলাটাকে উপভোগ করার যোগ্যতা থাকলেও খেলাটিতে বাংলাদেশের জাতীয় দলের অধিনয়াকত্ব করার নূন্যতম যোগ্যতাও আমার নেই। যে কাজে আমার যোগ্যতা নেই, সেই কাজটিই যখন তরুণ একজন ছেলে অসম্ভব অবিচলভাবে দৃপ্ততার সাথে করে চলেছে তখন তাকে স্যালুট জানাতেই হয়। সতেরই ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিজেদের অধিনায়ককের তাই দেশের মানুষ বরণ করে নিয়েছিল তুমুল হর্ষধ্বনির মাঝ দিয়ে। সেই হর্ষধ্বনি কিন্তু বাংলাদেশ দলের প্রতি দেশের মানুষের বিশ্বাস ও ভালোবাসার অতি ক্ষুদ্র একটা অংশ। সাকিব আল হাসানকে যখন অধিনায়ক করা হয় তখন তার যোগ্যতা, তার মেধা, তার অতীত পারদর্শীতা, সর্বোপরি তার জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেবার ক্ষমতা - সব কিছুকেই বিচার করা হয়েছে। সাকিবকে অধিনায়ক ঘোষণার পর কাউকে প্রতিবাদ তো দূরের কথা, কোন ধরনের আক্ষেপ পর্যন্ত করতে শোনা যায়নি, বরং সবাই আশস্তই হয়েছিল! কারণ সাকিব আল হাসান লোকজনের কাছে সেই বিশ্বাস অর্জন করেছিল।

।২।

ভীষণ ব্যস্ততায় ইদানিং দিন কাটাচ্ছি। এরই মাঝে সময় বের করে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ভারতে বিপক্ষে বাংলাদেশের খেলা দেখলাম। আগেই বলেছি ক্রিকেট বুঝিনা। তারপরও ভারতের বিশাল রানের পাহাড় দেখে মন খারাপ হয়েছিল, কিন্তু তামিম আর ইমরুলের ব্যাটিং সূচনা দেখে সেই মন খারাপ ভাবটা বেশিক্ষণ থাকেনি। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ম্যাচে হেরে গেলেও অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম যে নিজের ভেতরের মন খারাপ ভাবটা আর ছিলনা। বাংলাদেশের "বিনা যুদ্ধে নাহি দেব ছাড়" ধরণের মানসিকতাটা ছিল দেখার মত। দ্বিতীয় ইনিংস দেখে একবারও মনে হয়নি যে বাংলাদেশ খেলা নিয়ে বিচলিত, তারা আগে থেকেই হার মেনে নিয়েছে - বরং ভারতের মাঝেও একসময় আতংক তৈরি করেছিল। খেলা শেষে যার সাথেই কথা হয়েছে কারো মুখে বাংলাদেশ দলকে আক্রমন করে কিছু বলতে শুনিনি, তাই ভেবেছিলাম যে দলের স্পোর্টসম্যানশিপে সবাই খুশি। ভুল ভেবেছিলাম। সবাই যে খুশি নয় সেটা জানতে পারলাম পরদিন - প্রথম আলোর সাংবাদিক উৎপল শুভ্র'র লেখা পড়ে!

।৩।

২০শে ফেব্রুয়ারি প্রথম আলোতে "পরাজয়ে প্রাপ্তি ভবিষ্যতের রসদ" নামে উৎপল শুভ্র'র একটা লেখা বের হয়। লেখাটার প্রায় প্রতিটি লাইনেই বাংলাদেশ দলের পারফর্ম্যান্সে লেখকের হতাশা প্রকাশ পেয়েছে। এক পর্যায়ে টসে জিতে ফিল্ডিং নেয়ার সিদ্ধান্তের জন্য সাকিবকে কাটাছেঁড়া করে ফেললেন। তারপর দিন ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত সাকিবের এক সাক্ষাৎকারে একই লেখক সাকিবকে পুরোপুরি কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে একের পর এক আক্রমন চালিয়ে গেলেন। লেখাটাকে সাক্ষাৎকার না বলে বরং পুলিশি জেরা বললে আরো মানানসই হয়। যেকোন মূল্যেই তিনি চাচ্ছিলেন সাকিবের মুখ থেকে শুধু একটি কথা বের করতে যে "টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে আমি ভুল করেছি!"। তার জেরার শিরোনামটাই ছিল "টস নিয়ে এত কথা বলার কারণ দেখছি না", পড়ে মনে হচ্ছে যেন সাকিব তার টসে করা 'ভুল' টাকে ধামাচাপা দিতে চাইছেন। সেই সাক্ষাৎকারে (পড়ুন 'জেরা') করা কয়েকটি নমুনা প্রশ্ন দেখুনঃ

১। টসে জিতে আপনার ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত তো এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’...
২। আমজনতার মুখে মুখে একটা কথা ফিরছে, বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাটিং করলে ভারত চাপে পড়ে যেত। আপনি একমত?
৩। ঠিক আছে, আপনি ক্রিকেটীয় যুক্তিবুদ্ধি দিয়েই সিদ্ধান্তটা নিয়েছেন। কিন্তু ভারতীয় ব্যাটিং-তাণ্ডবের সময় কখনো ‘ভুলই করলাম কি না’ মনে হয়নি?
৪। আলোচনাটা কি টিম মিটিংয়ে হয়েছে, নাকি টিম ম্যানেজমেন্টের মধ্যে?
৫। প্রশ্নটা আবার করছি, ভারত ৩০ ওভারেই ২ উইকেটে ১৬৯ করে ফেলার পর সিদ্ধান্তটা ঠিক হয়েছে কি না, এ নিয়ে নিজের মধ্যে একটুও দ্বিধাদ্বন্দ্ব দেখা দেয়নি?
৬। সিদ্ধান্তটা বুমেরাং হয়ে যাওয়ার মূল কারণ কী?
৭। ৩৭০ হয়ে যাওয়ার প্রত্যক্ষ কারণ তো বীরেন্দর শেবাগ। ও যখন ওভাবে মারছিল, অসহায় লাগছিল না?
৮। এই ম্যাচ নিয়ে এমন হাইপ, মাঠভর্তি দর্শক—টস করতে নামার সময় কি একটু নার্ভাস লাগছিল?
৯। ৩৭১ টার্গেট হয়ে গেলে অধিনায়কের কী-ই বা বলার থাকে! তার পরও জিজ্ঞেস করি, ব্যাটসম্যানদের আপনি কী বলেছিলেন?

বাংলাদেশ এখন আর সেই অবস্থায় নেই যে কেবলমাত্র "আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছি" সেই আনন্দেই সবাই ভাসছে, বরং বাংলাদেশ এখন অনেক পরিণত। প্রতিটি ম্যাচেই জয়ের লক্ষ্য নিয়েই খেলতে নামে। ভারতের বিপক্ষের ম্যাচ হারায় স্বভাবতই দলের মানসিক অবস্থা খারাপ থাকার কথা, আর এ খারাপ সময়ে দলকে সামনের ম্যাচের জন্য চাঙ্গা করে রাখাটাও জরুরি - এটা বোঝার জন্য মনস্তত্ববিদ হবার দরকার পড়েনা। অথচ আমাদের সাংবাদিক সাহেব যেন সেই কাটা গায়ে নুনের ছিটা দিয়ে আনন্দ অন্বেষণে ব্যস্ত! কেন সাকিব টসে জিতে ফিল্ডিং নিলেন, সেই গূঢ় তত্ত্ব জানতে তিনি বদ্ধ পরিকর। তাই ২২শে ফেব্রুয়ারির পত্রিকায়ও দেখা গেল যে "ঝিমিয়ে পড়ল কি বিশ্বকাপ-নগর!" লেখাটিতেও বাংলাদেশ দল কেন নিজেদের উজ্জীবিত করতে শহীদ মিনারে যায়নি সেটা নিয়ে শেষ লাইনে সাকিবকে খোঁচাতে কার্পণ্যবোধ করেননি। শহীদ মিনারে গিয়ে দল মানসিকভাবে চাঙ্গা হত ঠিকই কিন্তু তাই বলে কেন যায়নি সেটা নিয়ে মায়াকান্না করার কোন কারণ তো দেখিনা। একটা কারণ হতে পারে - সাকিবের দোষ ধরা! তার লেখার শেষ লাইনটি ছিল এরকম - "ভালো তো হতোই। কিন্তু বাংলাদেশ দলে এভাবে ভাবার লোক কোথায়?" এর মানে কি? সাকিব দল নিয়ে ভাবেননা? সব ভাবনা কেবল আমাদের উৎপল শুভ্র'র মাথায়?

।৪।

"দান দান তিন দান" কিংবা "দিন দিন তিন দিন"! পর পর তিন দিন ধরে উৎপল শুভ্র সাকিবকে খুঁচিয়েই যাচ্ছেন। খুব জানতে ইচ্ছা করে কেন করছেন তিনি এটা? তিনি কি জানেন যে কত রকম বিচার বিশ্লেষণ আর পরীক্ষার নীরিক্ষার মাধ্যমে একজন অধিনায়ক নির্বাচন করা হয়? তিনি কি জানেন না যে টস জিতে ব্যাটিং বা ফিল্ডিং নেবার স্বিদ্ধান্ত কেবল মাত্র অধিনায়ক নেননা? তিনি কি জানেননা বাংলাদেশ দল গ্রুপের সবচেয়ে কঠিন ম্যাচটা খেলেছে তাদের প্রথম খেলায়? তিনি কি জানেন যে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের আরো ম্যাচ বাকী রয়েছে? মনে হয়না। নাহলে চলমান একটা টুর্নামেন্টে নিজের দেশের অধিনায়কের পেছনে এভাবে আদাজল খেয়ে লাগার অর্থ কি? সাবোটাজ? এ ছাড়া তো আর কিছু মাথায় আসছেনা? তিনি কি ইচ্ছে করেই সাবোটাজ করছেন? ইচ্ছে করেই ভেঙ্গে দিচ্ছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের মানসিক শক্তি? সামনের ম্যাচগুলোতে বাংলাদেশ যদি খারাপ করে তবে আমার তর্জনী উঠবে উৎপল শুভ্রের দিকে। আমি সব দোষ দিব উৎপল শুভ্র নামের ঐ লোকটাকে, যে কিনা আমার অধিনায়ককে হায়েনার মত নির্লজ্জভাবে কাটাকুটি করেছে!

।৫।

সাকিব এই অংশটুকু তোমার জন্য ভাই! তুমি যে মাঠে স্পোর্টসম্যানশিপ আর মাঠের বাইরে স্পোকম্যানশিপের পরিচয় দিয়েছ সেটা সত্যিই অতুলনীয়। সত্যি বলতে কী আমার নগন্য ক্রিকেটিয় বিদ্যায় আমি যা বুঝি যে, বাংলাদেশ খুব ভাল এবং যোগ্য একজন অধিনায়কের হাতে রয়েছে, যে কিনা গত কয়েকমাসে আমাদের বড় বড় স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছে। উৎপল শুভ্ররা ক্ষণিকের অতিথি, এদেরকে কেউ মনে রাখেনা, মনে রাখবেওনা। দেশের লোক উৎপল শুভ্রকে চেনেনা, ওরা চেনে তোমাকে। তাই তো তুমি যখন রিকশা চড়ে বিশ্বকাপ মঞ্চে প্রবেশ করলে দেশের লোক সজোরে করতালি দিয়ে তোমাকে বরণ করে নিয়েছিল। উৎপল শুভ্ররা কখনোই তোমাকে অনুপ্রেরণা যোগাতে পারবেনা, তাই ভুলে যাও সেসব লোকদের কথা। ষোল কোটি মানুষের লাল-সবুজ পতাকাটিকে তুমি তোমার দলকে সঙ্গী করে এগিয়ে নিয়ে যাও - আমরা সবাই তোমার সাথে আছি।

।৬।

আর কিছু বলার নেই, কেবলমাত্র নিচের ভিডিওটি ছাড়া!


মন্তব্য

হিল্লোল_ এর ছবি

দারুন লাগলো আপনার লেখাটা... আমার মনের কথাগুলোই বলেছেন... আমার ধারণা - শুধু আমার না, প্রতিটা বাঙালির মনেই এই ক্রোধ আর ক্ষোভটা জমেছে ক্রীড়া সাংবাদিক নামধারী বাংলাদেশ ক্রিকেট এর এই জলজেন্ত শত্রুটার উপর...

আবির আনোয়ার এর ছবি

সচলায়তন পড়ি নিয়মিত কিন্তু খুব একটা মন্তব্য করা হয় না কিন্তু এখন ঠিক করলাম এই উৎপাত সম্পর্কিত যত পোষ্ট আসবে তার সব গুলোতে গিয়ে নিজের সমর্থন জানাবো। গুড জব ব্রাদার চলুক

অভ্রনীল এর ছবি

উৎপাত নিয়ে জনসচেতনতা তৈরি করা দরকার!

অচেনা পাঠক এর ছবি

একমত পোষণ করছি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার মতে উৎপোঁদ হল 'র' এর এজেন্ট। আর উৎপল শুভ্র নিয়ে এতো কথা বলার কনো মানে হই না। Just ignore him.

----- সৌম্য

দ্রোহী এর ছবি

সাকিব আল হাসানকে এখন থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে খেলতে নামতে হবে। টসে জেতা মাত্র উটপোঁদের পোঁদে মোবাইল ঠুকে জিজ্ঞেস করতে হবে ফিল্ডিং নেবে নাকি ব্যাটিং নেবে।

প্রতিবার বোলার বদলের আগে উটপোঁদকে ফোন মারতে হবে। কখন পাওয়ার প্লে নিতে হবে সেটাও ঠিক করে দেবে উটপোঁদ।

তাহলেই দেখবেন সব ঠিকঠাক।

অভ্রনীল এর ছবি

হাবভাবে তো সেটাই মনে হচ্ছে!

অতিথি লেখক এর ছবি

এই আবালের বিরুদ্ধে একটা ব্যবস্থা নেয়া উচিত এখনই।

-অতীত

অভ্রনীল এর ছবি

আপাতত প্রথম আলো বয়কট করা ছাড়া আর কোন ব্যবস্থা মাথায় আসছেনা!

অতিথি লেখক এর ছবি

জিনিস তো ক্লিয়ার, উৎপলের প্রিয়-সুপ্রিয়-অতিপ্রিয়-ভালবাসা-প্রেম-জানু আশরাফুল তো আর ক্যাপ্টেন না। আর সব ভালবাসা এক জনের জন্য, বাকিরা সব গায়র মাকরুহ। উৎপল মনে হয় বিরাট বিরক্ত, দর্শক কেন সাকিব রে দুয়ো দিল না, কেন বিসিবি ভারত ম্যাচের পরপরই ক্যাপ্টেন বদল করে আশরাফুল কে দিল না।
আমি সাকিবের প্রশংসা করব, তার ফোকাস সরে যায়নি দেখে।
বাংলাদেশ দলের পাশে আছি সবসময়। আর আইক্কাওলা বাশ নিয়ে উৎপলের পিছে।
------------------------------
শ্যামল

অভ্রনীল এর ছবি

আমার তো মনে হয় আশ্রাফুলকে মাটি থেকে আকাশে তুলে আবার তাকে মাটিতে পুঁতে ফেলার পেছনের কারিগর ছিল এই উৎপল শুভ্র। আশ্রাফুল যতটা নয়, তার চেয়ে বেশি হাইপ তৈরি করে ছেলেটাকে পুরোই শেষ করে দিল! এখন লেগেছে সাকিবের পেছনে! মন খারাপ

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

চমৎকার প্রতিবেদন। সাকিবকে বলি, হাল ছেঁড় না সাকিব বরং কন্ঠ ছাড় জোরে!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

অভ্রনীল এর ছবি

সেটাই!

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ইল্লোত না যায় ধুইলে,
খাসলত না যায় মই'লে।

উটপোঁদের জীবদ্দশায় মনে হয় এই উৎপাত থেকে আমাদের রেহাই নেই। তবে কেউ যদি একটা মামলা ঠুকে দিয়ে কোর্ট থেকে একটা ইঞ্জাংশন জারী করিয়ে অন্তত কিছুদিনের জন্যে হলেও তার মুখটা বন্ধ করিয়ে রাখতে পারতো, তবে সাময়িকভাবে কিছুটা শান্তিতে আমাদের ছেলেরা খেলতে পারতো।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

অভ্রনীল এর ছবি

সেটা না হলেও ব্যাটাকে অন্য দলগুলোর খেলা কভার করার জন্য বাংলাদেশের বাইরে পাঠিয়ে দেয়া দরকার, কয়েকদিন অন্তত ক্রিকেট দল শান্তিতে থাকবে!

অভ্রনীল এর ছবি

আমার মনে হয় এই লেখাগুলো সাকিবদেরকে পড়তে দেয়া উচিত। না হলে প্রতিদিন প্রথমআলো পড়ে ওদের মনোবলই ভেঙ্গে যেতে পারে... ওদেরকে জানানো উচিত হার-জিত যাই হোক না কেন দেশের মানুষ ওদের সাথেই আছে!

বইখাতা এর ছবি

ভাল লিখেছেন। সাক্ষাতকারের প্রশ্নগুলো পড়ে খুবই মেজাজ খারাপ হয়ে গেছিলো। হারুক অথবা জিতুক, সাকিবদের সাথে আছি।

অভ্রনীল এর ছবি

বাংলাদেশ দলের সাথে আছি সবসময় - এটাই বড় কথা!

মাহবুব লীলেন এর ছবি

উৎপল শুভ্র কেডা?

অভ্রনীল এর ছবি

আছেন একজন জনাব যিনি খেলাধূলা পরবর্তী পোস্ট মর্টেমে ওস্তাদ পাবলিক! এখন ওস্তাদ পাবলিক, সাকিবের পেছনে লাগছে তার পোস্টমর্টেম করার জন্য!

খালেদ ইকবাল এর ছবি

সাকিব দের সবচাইতে বড়ো প্রেরনা আমরা.........সেই আমাদের ই মাঝের একজন উটপোদ শুভ্র যখন এই ধরনের কথা বলবে তখন তাদের মন ভেঙ্গে যাওয়া স্স্বাভাবিক..................। উটপোদ দের খেতায় আগুন

অতিথি লেখক এর ছবি

হাবিবুল বাশার আর আশরাফুল ক্যাপ্টেন থাকার সময়টাতে এই একই উটপোঁদের রিপোর্টগুলো হতো সম্পূর্ন অন্যরকম। তখন বাশার বা আশরাফুল মাঠে ল্যাদিয়ে দিলেও সেটা পরিষ্কার করার দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে নিত উটপোঁদ। সময়ের পরিক্রমায় এখন আলু'র বিশ্বকাপ তথা ক্রিকেট "বিশ্লেষকদের" তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন বাশার।

তার যত সমস্যা সাকিবকে নিয়ে, হতে পারে সাকিবের অবসরের পর আলু'র "বিশ্লেষক" পদে যোগ দেয়ার মতি ভাইয়ের "আকর্ষনীয় অফার" ফিরিয়ে দেয়াই এর কারন।

পলাশ মুস্তাফিজ

সাকিব ফারহান এর ছবি

সবার সব কিছু বোঝার ক্ষমতা সৃষ্টিকর্তা না দিতে পারেন কিন্তু তিনি আমাদের এমন কিছু মানুষ উপহার দিয়েছেন যারা কিছু না বুঝেও খুব সুন্দরভাবে বোঝার ভান করতে পারেন ।

অবনিল এর ছবি

উৎপল মামারে নামায়ে দেই খেলতে...দেখি কেমন খেলে...অফিস এ বইসা লেখা কপচানো খুব সহজ...মাঠে নামায়ে দিলে তো হাগুমুতু করে দিবে...যার যেটা কাজ তাকে সেটা করতে দেয়া উচিত...তবে এইসব উৎপল দের উৎপাত চলবেই...সাকিব রা বরং এইসব ফালতু লেখা না পরুক...সেটাই মঙ্গল...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।