মহাজাগতিক ইতিহাসের ভাষা

শিক্ষানবিস এর ছবি
লিখেছেন শিক্ষানবিস (তারিখ: বুধ, ০৫/০৩/২০০৮ - ৮:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পেনজিয়াস-উইলসনের দুরবিন
এতোদিন ধরে ইতিহাস বলতে আমরা কেবল মানব সভ্যতার ইতিহাসকে বুঝতাম। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় সবকিছুর মত ইতিহাস সম্বন্ধনীয় এই ধারণাতেও পরিবর্তন এসেছে। ডারউইন যখন প্রাকৃতিক নির্বাচনের ধারণা দিলেন তখন পৃথিবীর জীবকূলের ইতিহাস রচনার চেষ্টা শুরু করলেন অনেকে। এই চেষ্টায় অবশ্য বিজ্ঞানীরাই অংশ নিয়েছিলেন। আধুনিক বিজ্ঞানের যাত্রা শুরুর পর থেকেই ইতিহাস এক ধাপ এক ধাপ করে এগোচ্ছে। আর এই ইতিহাস রচনা করছেন বিজ্ঞানীরা। ইতিহাস একেবারে চরম পর্যায়ে পৌঁছায় মহা বিস্ফোরণের ধারণা প্রদানের মাধ্যমে। কারণ এই ধারণার মাধ্যমে মহাবিশ্বের ইতিহাস রচনায় ব্রতী হই আমরা। এ ধরণের ইতিহাসের একটা নতুন নাম দেয়া যেতে পারে। বিজ্ঞানের মাধ্যমে ইতিহাস রচনা করা হচ্ছে বলে একে বৈজ্ঞানিক ইতিহাস বলা যেতে পারে। বিজ্ঞানের সাথে দর্শনের মিশেলে যেমন বৈজ্ঞানিক দর্শনের সৃষ্টি হয়, এটাও অনেকটা সেরকম। কিন্তু আবার ভেবে দেখলাম জীবকূলের ইতিহাস বা এ ধরণের ইতিহাসকে বৈজ্ঞানিক ইতিহাস বললেও মহাবিশ্বের ইতিহাসকে বোধহয় মহাজাগতিক ইতিহাস বলা অধিক যুক্তিসঙ্গত হবে। মহাজাগতিক ইতিহাস রচনার এই প্রচেষ্টায় মানুষের সবচেয়ে বড় অর্জন হল একটা চমৎকার সংকেতের সন্ধান লাভ। সেই সংকেতের নাম "মহাজাগতিক অণুতরঙ্গ পটভূমি বিকিরণ" ইংরেজিতে যাকে বলা হয় "কসমিক মাইক্রোওয়েভ ব্যাকগ্রাউন্ড রেডিয়েশন" বা সিএমবিআর।

মানবজাতির ইতিহাস মানুষকেই লিখতে হয়েছে। আর মহাজাগতিক ইতিহাস নিয়ে ভাবতে গিয়ে এই মাত্র একটা নতুন চিন্তা মাথায় আসলো। যার ইতিহাস তাকেই রচনা করতে হয়। এই সূত্র মেনে মহাবিশ্ব নিজেই তার ইতিহাস রচনা করে গেছে। মানুষের সাধ্য নেই সে ইতিহাস রচনা করবার। সে কেবল রচিত ইতিহাসের ভাষা বোঝার চেষ্টা করতে পারে। এই প্রচেষ্টায় অনেকদূর এগিয়ে গেছি আমরা। পটভূমি বিকিরণকে সেই মহাজাগতিক ইতিহাসের ভাষার বর্ণমালা হিসেবে আখ্যায়িত করা যেতে পারে। প্রাচীন মিশরীয় লিপি লেখা হয়েছিল হায়ারোগ্লিফিক বর্ণে। বর্ণ পেয়ে যাবার পর লেখার মর্মার্থ উদ্ধার করতে আমাদের খুব বেশি সময় লাগেনি। পটভূমি বিকিরণ যেহেতু পাওয়া গেছে, মহাবিশ্বের ইতিহাস জানতেও তাই বেশি দেরী হবে না। অচিরেই হয়তো বিজ্ঞানীরা সুনিশ্চিত তথ্যে ভরা বিশাল ভলিউমের ইতিহাস গ্রন্থ লিখে ফেলবেন। আমাদের জানা দরকার, এই পটভূমি বিকিরণটা কি এবং কি কারণে একে ইতিহাস লিখনের চাবিকাঠি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

অধিকাংশ বিজ্ঞানীই এ ব্যাপারে একমত যে, একটি মহা বিস্ফোরণের মাধ্যমে এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং তখন থেকেই ইতিহাসের শুরু। তবে প্রাক্‌ইতিহাস তো থেকেই যায়। তাই মহা বিস্ফোরণের আগের যুগটাকে (যুগ বলা কি ঠিক হচ্ছে?) বলা হয় অগাস্টাইনীয় যুগ। এই নামটা অবশ্য জর্জ গামফের প্রস্তাব করা। খ্রিস্টান যাজক সেন্ট অগাস্টাইন মহা বিস্ফোরণের আগের যুগটাকে কেবল ঈশ্বরের জন্য নির্দিষ্ট বলে উল্লেখ করেছিলেন। সে কথা চিন্তা করেই গামফ এমন নামের প্রস্তাব করেন। অবশ্য এ নিয়ে কোন বৈজ্ঞানিক গবেষণার পরিবেশ এখনও সৃষ্টি হয়নি। তাই ইতিহাসের শুরুটা মহা বিস্ফোরণের পর থেকেই। বিস্ফোরণের সময় কি হয়েছিল তাও আমরা ভাবতে পারি না, কারণ স্থান-কালেরই সৃষ্টি হয়েছে মহাবিস্ফোরণের ১০ই-৪৩ (১০ টু দ্য পাওয়ার -৪৩) সেকেন্ড পর। এরপর থেকে মহাবিশ্বের ইতিহাসকে বিভিন্ন যুগে ভাগ করা হয়েছে। সভ্যতার ইতিহাসে যেমন, গ্রিক যুগ, রোমান যুগ, মুসলিম যুগ, মধ্যযুগ তেমনই মহাবিশ্বের ইতিহাসে রয়েছে বিভিন্ন ইপক। মহা বিস্ফোরণের পরের ১০ই-৪৩ সেকেন্ড পর্যন্ত যুগটা হল প্লাংক ইপক। এর পর থেকে গ্র্যান্ড ইউনিফিকেশন ইপক, হেড্রন ইপক, লেপ্টন ইপক, ফোটন ইপক ইত্যাদি বিভিন্ন যুগকে সংজ্ঞায়িত করেছেন বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে ফোটন ইপকটা নিয়ে বলবো এখানে। কারণ এই যুগেই পটভূমি বিকিরণের সৃষ্টি হয়।

ভৌত বিশ্বতত্ত্বে ফোটন ইপক বলতে এমন একটা যুগকে বোঝানো হয় যখন মহাবিশ্বে ফোটন বিশেষ প্রভাব বিস্তার করেছিল, অর্থাৎ মহাবিশ্বের মোট শক্তির অধিকাংশই সরবরাহ করেছিল ফোটন। মহা বিস্ফোরণের মাত্র তিন সেকেন্ড পরই এই যুগের শুরু। প্রথম কয়েক মিনিটে নিউক্লীয় সংশ্লেষণ নামে একটা বিশেষ প্রক্রিয়ায় পরমাণুর কেন্দ্রিন (নিউক্লিয়াস) গঠিত হয়। এরপর দীর্ঘকাল মহাবিশ্বের উপাদান ছিল কেবল পরমাণু কেন্দ্রিন, ইলেকট্রন ও ফোটন। এ সময় মহাবিশ্বের ঘনত্ব ও তাপমাত্রা ছিল অনেক বেশি। এই ফোটন যুগের আরেকটা বড় বৈশিষ্ট্য ছিল অনচ্ছতা। ইংরেজিতে একে অপাসিটি বলে যার একটি প্রতিশব্দ হতে পারে অসচ্ছ। তাপমাত্রা অনেক বেশি হওয়ায় নিউক্লিয়াস ও ইলেকট্রন একত্রিত হতে পারছিল না আর ফোটনগুলো মুক্ত ইলেকট্রন থেকে অবিরাম প্রতিফলিত হচ্ছিলো। এই অবিরাম বিচ্ছুরণই ছিল অনচ্ছতার কারণ। পরাক্রমশালী রোমান যুগের যেমন পতন ঘটেছিলো, তেমনই অবসান ঘটে এই ফোটন যুগের। কিভাবে অবসানটা ঘটেছিল সেটিই আমাদের আলোচনার মূল বিষয়।

উত্তপ্ত-ঘন মহাবিশ্বে বিভিন্ন ধরণের কণার পাশাপাশি ছিল প্রতিকণা। ইলেকট্রন এক ধরণের কণা, এমনকি পরমাণু কেন্দ্রিনও বিভিন্ন কণা দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কণার বিপরীতে যে প্রতিকণা ছিল সেগুলো বর্তমানে খুঁজে পাওয়া যায় না। ধারণা করা হয় তাপ ও শক্তি অনেক বেশী হলে কণা-প্রতিকণা জোড়ায় জোড়ায় তৈরী হয়। আদি মহাবিশ্বে যে পরিমাণ তাপ ও শক্তি ছিল তার কারণেই কণা-প্রতিকণা জোড় অবিরাম সৃষ্টি হচ্ছিলো। অবশ্য সৃষ্টি হওয়ার সাথে সাথে আবার সেগুলোর পূর্ণবিলয় ঘটছিলো যাকে জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষায় এনিহিলেশন বলা হয়। এক কথায়, একেবারে প্রাথমিক মহাবিশ্বে কণা-প্রতিকণা জোড়া অবিরাম সৃষ্টি ও পূর্ণবিলয়প্রাপ্ত হচ্ছিল। পূর্ণবিলয়ের কারণে বিশুদ্ধ শক্তির সৃষ্টি হয়। বিশুদ্ধ শক্তি মানেই ফোটন যে ফোটন নিয়ে আমরা এতোক্ষণ আলোচনা করছিলাম। প্রথম যুগে সৃষ্টি আর পূর্ণবিলয়ের চরম লীলা যখন চলছিলো তখন প্রতিটি পূর্ণবিলয়ের কারণেই ফোটন সৃষ্টি হচ্ছিলো। কিন্তু এই অবস্থা চিরস্থায়ী ছিল না। মহাবিশ্ব ক্রমান্বয়ে প্রসারিত ও শীতল হতে থাকে। এর ফলে অনেকগুলো কণা-প্রতিকণা জোড়ই শেষবারের মত ধ্বংস হয়, কিন্তু তা থেকে নতুন জোড় সৃষ্টি হচ্ছিলো না। তখনই ফোটন যুগের বিদায় ঘন্টা বাজতে শুরু করে।

মহা বিস্ফোরণের ৩৮০,০০০ বছর পরে তাপমাত্রা ও ঘনত্ব এতোটা কমে যায় যে, তার মাধ্যমে নতুন কণা-প্রতিকণা জোড় সৃষ্টি হওয়া সম্ভব ছিল না। শক্তি বলতে তো ফোটনকেই বোঝায়। প্রতিটি বিলয়ের মাধ্যমে যেমন ফোটন সৃষ্টি হয় তেমনই পুনরায় কণা-প্রতিকণা জোড় সৃষ্টির সময় ফোটন শোষিত হয়। কোন এক অজ্ঞাত কারণে সেই বিশ্বে প্রতিকণার তুলনায় কণার পরিমাণ এক বিলিয়ন ভাগের এক ভাগ বেশি ছিল। অর্থাৎ প্রতিকণার সংখ্যা এক বিলিয়ন হলে কণার সংখ্যা ছিল এক বিলিয়ন এক টি। ধরি, এক বিলিয়ন প্রতিকণা এক বিলিয়ন কণার সাথে মিলে বিলয়প্রাপ্ত হল এবং প্রতিটি বিলয়ের জন্য একটি করে মোট এক বিলিয়ন ফোটন উৎপন্ন হল। তাহলে বাকি থাকল, একটি কণা এবং এক বিলিয়ন ফোটন। ধরে নেয়ার দরকার নেই। তখন এ ধরণের একটি ঘটনাই ঘটেছিল। ফলে প্রতিটি কণার পাশাপাশি ফোটনের পরিমাণ ছিল এক বিলিয়ন। সব প্রতিকণা শেষ হয়ে যাওয়ায় পূর্ণবিলয়ের আর কোন অবকাশ ছিল না এবং সেই অবস্থাই হয়ে গেল চিরস্থায়ী। মহাবিশ্ব এখনও সেই অবস্থায় আছে। এভাবেই ফোটন যুগের অবসান ঘটেছিল।

এর পর প্রায় সব ইলেকট্রন কেন্দ্রিনের সাথে মিলে পরমাণু তৈরী করে। আগেই বলেছিলাম মুক্ত ইলেকট্রন থেকে ফোটনের প্রতিফলনের কারণেই অনচ্ছতার সৃষ্টি হয়। কিন্তু মুক্ত ইলেকট্রন না থাকায় অনচ্ছতাও থাকলো না। মহাবিশ্ব হয়ে গেল একেবারে স্বচ্ছ। এই অবাধ স্বচ্ছতা পেয়ে ফোটনগুলো পুরো মহাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়লো। প্রথম দিকে ফোটনের তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৩০০০ ডিগ্রি কেলভিন। সেই ফোটনগুলো এখনও টিকে আছে। সব দিক থেকে এক রকম থাকলেও মহাবিশ্বের প্রসারণের কারণে তাদের তাপমাত্রা কমে গেছে। বর্তমানে এই তাপমাত্রার পরিমাণ প্রায় ২.৭ ডিগ্রি কেলভিন। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় এর তরঙ্গদৈর্ঘ্যও পরিবর্তিত হয়েছে। বর্তমানে তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রায় ১.৯ মিলিমিটার যা অণুতরঙ্গ তথা মাইক্রোওয়েভ হিসেবে চিহ্নিত হয়। বুঝতেই পারছেন এই ফোটনগুলোর বর্তমান নাম কি? হাঁ, মহাজাগতিক অণুতরঙ্গ পটভূমি বিকিরণ। পটভূমি বলা হচ্ছে কারণ সব দিকে সমানভাবে এগুলো বিস্তৃত এবং সকল দিক থেকে একই হারে এই তরঙ্গ পাওয়া যায়। এই হল সারকথা।

এতোক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কেন মহাবিশ্বের ইতিহাসের ভাষার বর্ণমালা হয়ে উঠেছে পটভূমি বিকিরণ। কারণটা খুবই সোজা, এরা সেই সময় থেকে কোনভাবেই বিবর্তিত হয়নি। তাই এগুলো পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে মহাবিশ্বের সেই আদি উত্তপ্ত-ঘন অবস্থার ধারণা লাভ সম্ভব। সেই সাথে এদের তাপমাত্রার পরিবর্তন লক্ষ্য করে মহাবিশ্বের প্রসারণের বিভিন্ন পর্যায় সম্বন্ধেও ধারণা লাভ করা সম্ভব। ইতোমধ্যে পটভূমি বিকিরণ আমাদের তিনটি বিষয়ে একেবারে পরিষ্কার করে দিয়েছে: প্রথমত, মহা বিস্ফোরণের মাধ্যমে মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছিল, দ্বিতীয়ত, আদি মহাবিশ্ব ছিল অতি উত্তপ্ত-ঘন ও তাতে তাপীয় সাম্যাবস্থা বিরাজ করছিল এবং তৃতীয়ত কণা-প্রতিকণার পূর্ণবিলয়ের শেষে এক পর্যায়ে পরমাণুর সৃষ্টি হয়েছিল। ১৯৬৫ সালে আরনো অ্যালান পেনজিয়াস ও রবার্ট উড্রো উইলসন এই পটভূমি বিকিরণ আবিষ্কার করেন। এর আগে জর্জ গামফ এ বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। সেই হিসেবে বলা যায় ১৯৬৫ সাল থেকে মানুষ মহাজাগতিক ইতিহাসের স্বাদ পেতে শুরু করেছে। এডওয়ার্ড গিবনের "ডিক্লাইন অ্যান্ড ফল অফ দ্য রোমান এম্পায়ার" আর বেশিদিন বোধহয় ইতিহাসের সেরা গ্রন্থের মর্যাদায় থাকতে পারলো না। অচিরেই মহাজাগতিক ইতিহাসের আদ্যোপান্ত জেনে ফেলবো আমরা। সেই দিনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।


মন্তব্য

শিক্ষানবিস এর ছবি

সচল হওয়ার পর এটা প্রথম লেখা। প্রথমেই সচল করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। প্রথম পোস্টটা এমন একটা বিষয়ে দিয়েছি যা গতকাল পর্যন্তও পরিষ্কার বুঝতাম না। এখন পর্যন্ত আমি যা বুঝেছি সবাইকে ততটা বোঝাতে পারলে ধন্য হব।

ও, নামটাও "মুহাম্মদ" থেকে "শিক্ষানবিস" করে ফেলেছি। যা নিয়ে লিখছি তার উপর শিক্ষাগত কোন অধিকার নেই আমার। তাই বিদ্যুতের মিস্ত্রী হলেও বিজ্ঞানের শিক্ষানবিস হিসেবে পরিচয় দিতে বেশি আগ্রহী।

---------------------------------
মুহাম্মদ

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার লেখাটা পড়ে আগ্রহ বেড়ে গেলো.... অপেক্ষায় থাকলাম আমিও।

রাকিব হাসনাত সুমন

দিগন্ত এর ছবি

সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

স্বাগতম মুহাম্মদ (শিক্ষানবিস)। আপনার নামে কোন আসে যায় না, লেখা দেখেই বুঝা যায় কার লেখা।..

বিপ্রতীপ এর ছবি

আমাদের প্রযুক্তি-তে কিছুদিন আগে আপনার একটি লেখা পড়েছি...সচলায়তনে আজ প্রথম পড়লাম...ভালো লাগলো...আশা করি নিয়মিত আপনার লেখা পাবো।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান…

শিক্ষানবিস এর ছবি

ধন্যবাদ।
আমার নিয়মিত লেখার ইচ্ছা আছে।

---------------------------------
মুহাম্মদ

দ্রোহী এর ছবি

অভিনন্দন মুহাম্মদ (শিক্ষানবিস)।


কি মাঝি? ডরাইলা?

বজলুর রহমান এর ছবি

যাক,আপনি মুহাম্মদ বিড়ালের আত্মীয় না হলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

ইউক্রেনে জন্ম নেওয়া বরেন্য বিজ্ঞানী গেওর্গি ইভানভিতস গামফ এর অন্ত্যনামের বানান আপনি ঠিকই লিখেছেন, কিন্তু আমি খুব ছোটবেলাতে বাবার কাছ থেকে তাঁর "One, two, three,..., infinity" বইটা উপহার পেয়ে পড়ে এত মুগ্ধ হয়েছিলাম যে তাঁর নামের আপাত উচ্চারন গ্যামো এখনো ব্যবহার করি।
লন্ডনে একবার গ্যামোর এক জনপ্রিয় বক্তৃতা শুনবার সৌভাগ্য হয়েছিল। তার নাম ছিল " 4 degree kelvin" , কারণ তখনকার উপাত্ত অনুসারে মহাবিশ্বের ফোটনের তাপমাত্রা তাই মনে হচ্ছিল। COBE উপগ্রহ যন্ত্রপাতি দিয়ে এখন এই তাপমাত্রা নির্ভুল্ভাবে ( ২ লক্ষ ভাগের একভাগ ভুল থাকতে পারে) 2.725K বোঝা গিয়েছে।
আজ পর্যন্ত যত কৃষ্ণবস্তুর বর্ণালী বিশ্লেষণ করা হয়েছে , তার মধ্যে এটি তাত্বিক ফলাফলের সবচেয়ে কাছাকাছি। 1.9 mm তরংগ দৈর্ঘ হল সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ফোটনের জন্য প্রযোজ্য, ভীনের সুত্রে যা ব্যবহার হয়। আসলে সব দৈর্ঘের তরংগই কম বেশি আছে।
পেঞ্জিয়াস , উইলসন CMB আবিষ্কারের জন্য ১৯৭৮ সালে নোবেল পান। COBE থেকে কৃষ্ণবস্তুর বর্ণালীতে হুবহু মিল দিতে পারায় জন ম্যাথার ও জর্জ স্মুট ২০০৬ সালে এই পুরস্কার পান। সত্যি বিস্ময়কার কাজ।

শিক্ষানবিস এর ছবি

আপনার মন্তব্য পড়ে খুব ভালো লাগলো। এই ৪ঠা মার্চ গামফের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ছিল। আসলে তাকে নিয়েই সচল হিসেবে প্রথম ব্লগটা পোস্ট করার ইচ্ছা ছিলো। কিন্তু তার জীবন ও কর্ম আরেকবার ঝালিয়ে নিতে গিয়ে দেখলাম, সিএমবিআর সম্বন্ধে আমার ধারণা এখনও পরিষ্কার নয়। তাই অবশেষে এটি নিয়ে লেখা। গামফকে নিয়েও লেখার ইচ্ছা আছে।

উচ্চারণের ব্যাপারে আমি অবশ্য পুরো ঠিক থাকতে পারিনি। ইংরেজি আর রুশ উচ্চারণ মিলিয়ে করেছি জর্জ গামফ। আসলে যুক্তরাষ্ট্রেই অধিকাংশ গবেষণা কাজ করেছেন বলে তার ইংরেজি উচ্চারণটাই বেশী ব্যবহৃত হয়। ইংরেজি উইকিপিডিয়ার আইপিএ থেকে দেখলাম আমেরিকাতেও তার উচ্চারণ গ্যামফ করা হয়। সত্য কি-না নিশ্চিত নই। তাই মার্কিন উচ্চারণই রাখলাম, কেবল সেখানে বহুল ব্যবহৃত অ্যা বাদ দিয়ে আ করে দিলাম। বাংলা উইকিপিডিয়াতে তার নামের বানান কিভাবে লেখা হবে তা নিয়ে এখন পর্যন্ত স্থির কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। [url=http://bn.wikipedia.org/wiki/জর্জ_গ্যামফ]সেখানের নিবন্ধটা[/url] দেখতে পারেন।

আপনার মন্তব্য থেকে অনেকগুলো বিষয় জানলাম। গামফের এই বইটা পড়া হয়নি।

---------------------------------
মুহাম্মদ

রায়হান আবীর এর ছবি

(বিপ্লব)

---------------------------------
এসো খেলি নতুন এক খেলা
দু'দলের হেরে যাবার প্রতিযোগিতা...

রাগিব এর ছবি

আমার সমস্যআ হলো, কী হলো তা নাহয় বুঝলাম, কিন্তু কেনো হলো? কেনো g/G এর মান এতো না হয়ে অতো হলো? কেনো নিউক্লিয়াস গঠিত হলো আর কিছু না হয়ে? কেনো আমাদের দুটি চোখ, চারটির বদলে। কেনো দুই পা, আটটার বদলে।

In other words, আমি how এর জবাব পাই, কিন্ত why এর জবাব পাইনা কোথাও।

----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
http://www.ragibhasan.com

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

শিক্ষানবিস এর ছবি

মহা বিস্ফোরণের পর কোন জিনিসটা কিভাবে হয়েছে তা বিজ্ঞানীরা অনেকটাই আবিষ্কার করে ফেলেছেন। আর কেন হয়েছে তার ব্যাখ্যাও অধিকাংশ ক্ষেত্রে আবিষ্কৃত হয়ে গেছে। তবে আমার মনে হয়, কেন প্রশ্নের উত্তরের জন্যই জটিল গণিত আর জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানের জটিল সব সূত্রের প্রয়োজন পড়ে। এগুলো জনপ্রিয় বিজ্ঞান গ্রন্থে থাকে না। এজন্যই জনপ্রিয় বিজ্ঞানের যেকোন কিছু পড়লেই মনে হতে পারে, অনেক ফাঁক রয়ে গেছে। বিজ্ঞানের সূত্র মেনেই সবকিছু ঘটেছে। তাই সেই সূত্র বা মৌল নীতিগুলোকেই কারণ বলা যেতে পারে যাকে, আর সেভাবে কেন'র উত্তর পাওয়া সম্ভব।

তবে বিজ্ঞানের কাছে কেন আর কিভাবে প্রশ্ন দুটি প্রায় সমার্থক। একটি সূত্র মেনে ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনাটা কিভাবে ঘটেছে তা জানলেই সূত্রের উপযোগীতা প্রমাণিত হয়। এভাবেই বিজ্ঞান এগিয়ে চলে। এখন একেবারে প্রাথমিক প্রশ্ন "নাথিং থেকে সামথিং কিভাবে সৃষ্টি হল?" এখানেও কিন্তু কিভাবে। সাধারণ আপেক্ষিকতা মেনেই তা হয়েছে। তাই কেন বললে বলতে হবে, সাধারণ আপেক্ষিকতা সত্য বলেই এমনটি হয়েছে।

অবশ্য চিরায়ত সাধারণ আপেক্ষিকতা দিয়ে এগুলোর ব্যাখ্যা আর করা যাচ্ছে না। বিশ্বতাত্ত্বিক শন ক্যারল তাই অচিরেই "কোয়ান্টাম মহাকর্ষ" তত্ত্বের প্রসারের কথা বলছেন। আসলে সাধারণ আপেক্ষিকতা ও কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞানের একীকরণের মাধ্যমেই সে ধরণের প্রশ্নের জবাব মিলবে। কিন্তু, আমি বা শিক্ষানবিস কারও পক্ষে তা বোঝা অনেকটাই দুরুহ।

আমার এই প্রবন্ধে কোন কেন'র উত্তর না পেলে তা নিছকই না জানার কারণে। আমি জানিনা কিন্তু পদার্থবিজ্ঞান আর গণিতের কাছে তার উত্তর আছে। অবশ্য অনেক কেন'র উত্তর তাদের কাছেও নেই। একেবারে সব থাকাও সম্ভব নয়। যেটার উত্তর পাওয়া গেল না সেটা গবেষণার জন্য বিজ্ঞান দিয়েই এগুতে হবে।

---------------------------------
মুহাম্মদ

রাগিব এর ছবি

মুহাম্মদ, আপনার পোস্ট বোঝা নিয়ে বলিনি। কেনো ও কীভাবে কিন্তু সমার্থক না। যেমন ধরুন, বিভিন্ন constant এর মান কেনো এরকম, তার ব্যাখ্যা কিন্তু নেই। G এর মান অতো কেনো, অথবা অ্যাভোগ্যাড্রোর সংখ্যার মান ততো কেনো, এর ব্যাখ্যা আমি পাইনা কোথাও। অভিকর্ষ কেনো আকর্ষণ করে, বিকর্ষণ করে না, আপেল কেনো নীচে পড়ে উপরে পড়ে না, এটার সাথে কিন্তু অভিকর্ষ কীভাবে আকর্ষণ করে কী বলে, বা আপেল কীভাবে নীচে পড়ে, তার পার্থক্য আছে।

কলেজে পড়ার সময়ে জীববিজ্ঞান পড়তে গিয়ে এই টাইপের বেমক্কা প্রশ্ন টশ্ন করে ঝাড়ি খেয়েছিলাম - কেনো আমাদের দেহে দ্বি-প্রতিসমতা দেখি (মানে চোখ দুইটা কেনো, তিনটা কেনো না ইত্যাদি ইত্যাদি)।

যাহোক, বিজ্ঞানে অনেক কীভাবের জবাব দিয়েছে, কিন্তু "কেনো" টাইপের প্রশ্ন এখনো দুরুহ। যেমন, মহাবিস্ফোরণ কেনো হলো? ইত্যাদি ইত্যাদি।

বেশ কিছুদিন এইটাইপের ব্যাপার নিয়ে আমিও মাথা ঘামিয়েছিলাম। (ক্লাস টেনে থাকতে চট্টগ্রামের ব্রিটিশ কাউন্সিলের সব অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের বই টানাটানি করে বেড়াতাম)। এগুলোর জবাব মনে হয় আধ্যাত্মিক বা দার্শনিক চিন্তাভাবনাতেই আসবে। বিজ্ঞান থাকবে "কীভাবে"-এর জবাব দিতে।

----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
http://www.ragibhasan.com

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

শিক্ষানবিস এর ছবি

একেবারে নিরপেক্ষ দিক থেকে চিন্তা করলে কেনো আর কিভাবে এক নয়। আর সে ধরণের কেনোর উত্তর মানুষ তার স্বাভাবিক যুক্তিক্ষমতা আর কল্পনা থেকে দিতে পারে। তার সাথে বিজ্ঞানের কোন স্মপর্ক নেই। কিন্তু বিজ্ঞান তো সেই কেনো'র উত্তরগুলো মেনে নিতে পারে না। তাই এখানে কিভাবে আর কেনো অনেকটাই এক করে দেখা হয়। তবে বিজ্ঞানীদের মধ্যেও যারা কেনো'র আসল উত্তর খুঁজেন তাদের কারণেই তো বৈজ্ঞানিক দর্শনের সৃষ্টি হয়েছে যার একটা ধারণার নাম "মানবীয় তত্ত্ব" বা অ্যানথ্রোপিক প্রিন্সিপাল।

যেমন: কেউ যদি প্রশ্ন করে, মহাবিশ্বের মৌলিক বলগুলো এমন হল কেন? উত্তর হয়, এমন না হলে সেই বলগুলো অনুসন্ধান করার জন্য আমাদের জন্ম হওয়া সম্ভব ছিল না। এগুলো কেবলই দার্শনিক ব্যাপার।

তাই এটা ঠিকই মনে হয়, বিজ্ঞানের কাজ কিভাবে হল তা বের করা। এবার যদি প্রশ্ন করি, কিভাবে হল? উত্তর হতে পারে অমুক বলের ক্রিয়ায় হয়েছে; অমুক বলের সৃষ্টি কেন হল? - মহা বিস্ফোরণটাই এমন ছিল যে সে বলের সৃষ্টি হতে বাধ্য। আবার, মহা বিস্ফোরণ এমন হল কেন? - কারণ এমনই যে হয়েছে তার কোন প্রমাণ নেই। মূলত আমরা এমন হতে দেখছি। আরও কোটি কোটি রকমে যে মহা বিস্ফোরণ হয়নি এবং তার মাধ্যমে আরও অভিনব সব বলের সৃষ্টি যে হয়নি তারও প্রমাণ নেই। শ্বেত বিবরের ধারণাটাই এসেছে একাধিক মহা বিস্ফোরণ থেকে।

আর মহা বিস্ফোরণ কেন হল? এ প্রশ্নের উত্তর এখন বিজ্ঞান দিচ্ছে না। বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হচ্ছে, সে চিন্তা করাটাই অর্থহীন।

এগুলোর জবাব মনে হয় আধ্যাত্মিক বা দার্শনিক চিন্তাভাবনাতেই আসবে। বিজ্ঞান থাকবে "কীভাবে"-এর জবাব দিতে।

চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রশ্নের উত্তর আমারও মনে হয় পরীক্ষণের মাধ্যমে প্রমাণ করে দেয়া সম্ভব না। তার মানে বিজ্ঞানের আওতায় নেই। আর আধ্যাত্মবাদ বা দর্শন তো পরীক্ষণের মাধ্যমে হয়না। তাই বিজ্ঞানের সাথে তার যোগসূত্রও নেই। আসলে অনিশ্চয়তার জগতে হাবুডুবু খাচ্ছি আমরা। জীবনটারই যেনো কোন অর্থ নেই।

---------------------------------
মুহাম্মদ

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ধন্যবাদ শিক্ষানবিস। লেখাটি পড়লাম মনোযোগ দিয়ে। এই বিষয়ে আরো লিখুন।
রাগীব,
"কেন"র উত্তর দর্শনে চলে যাবার কারণ, বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই কেন'র উত্তরগুলি সুনির্দিষ্ট অবস্থান-প্রেক্ষিত সাপেক্ষ এক একটা মন্তব্য। বিজ্ঞানের বোধহয় মন্তব্য করার তেমন দায় নেই।



ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

শিক্ষানবিস এর ছবি

সিএমবিআর নিয়ে আরও জানার ইচ্ছা আছে। যা জানবো তা জানানোর ইচ্ছাও রইল।

---------------------------------
মুহাম্মদ

অতিথি লেখক এর ছবি

মাঝেমাঝে যখন এরকম লেখা পড়ি
তখন আমার প্রায়ই একটা প্রশ্ন মাথায় আসে
বিজ্ঞানকে অত কাছে রেখে আমরা কেন স্কুলে ধর্মীয় ইতিহাস অথবা সৃষ্টিতত্ত্ব পড়ি শুরুতেই?

বিষয়টা যদি এমন হতো যে- সব শিশুরাই সব কিছুই বিজ্ঞান ভিত্তিক শিখবে
তার পর বড়ো হয়ে বাছাই করবে ধর্মশিক্ষা
আর তখন যদি কেউ বিজ্ঞান বাদ দিয়ে ধর্মের তত্ত্বগুলো গ্রহণ করতে চায় তাহলে সেটা হবে তার নিজস্ব ব্যাপার।

কিন্তু শুরু থেকেই ধর্মীয় বিশ্বাসগুলো মাথায় ঢুকে যাবার ফলে পরবর্তীতে অনেকের পক্ষেই আর বৈজ্ঞনিক ব্যাখ্যাগুলো গ্রহণ করার মানসিকতা থাকে না।

এই লেখাটা যিনি লিখেছেন তাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

_ ক্যামেলিয়া আলম

শিক্ষানবিস এর ছবি

সমাজ ব্যবস্থাই শিক্ষা পদ্ধতি প্রণয়ন করে। তাই সমাজ যেমন শিক্ষাও তেমনই হয়ে থাকে। ভবিষ্যতে যদি কখনও সম্পূর্ণ বিজ্ঞানভিত্তিক সমাজের উৎপত্তি হয় তাহলে শিক্ষাও তেমন হয়ে যাবে।

---------------------------------
মুহাম্মদ

পরিবর্তনশীল এর ছবি

বরাবরের মতোই ভালো
---------------------------------
চোখের পাতায় হাত রেখে ওরা আমাকে স্বপ্ন দেখার যন্ত্রণা দেয়।

বজলুর রহমান এর ছবি

আমি ক্যামেলিয়া আলমের সাথে ১০০% ভাগ একমত।
এক সময় এক কমিটির সভাপতি হিসাবে সু্যোগ পেয়েছিলাম স্কুল/কলেজ সিলেবাস সম্পর্কে সরকারকে প্রস্তাব দেবার। বলেছিলাম - ধর্ম শিক্ষা প্রাতিষ্ঠানিক এবং বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত না। তখনকার সরকার শোনে নি। পরে মনিরুজ্জামান মিয়াঁ, শামসের আলী গং-এর শিক্ষা কমিশন ধর্ম আরো বাড়িয়ে বিজ্ঞানকে মার্জিনালাইজড করে নতুন একমুখী (মাদ্রাসামুখী?) শিক্ষার সপক্ষে রিপোর্ট দিলেন। সেটা প্রবল প্রতিবাদের মুখে কার্যকর হয়নি, তবে বাতিলও হয় নি এখনো।

তানভীর এর ছবি

বজলুর রহমান সাহেব,
আপনি জ্যান্ত আছেন দেখে ভাল লাগল। আপনাকে আমি সদ্য প্রয়াত সংবাদ সম্পাদকের সাথে গুলিয়ে ফেলেছিলাম খাইছে

স্বপ্নাহত এর ছবি

হায় হায় এইসব কি কথা...

=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
বুকের মধ্যে আস্ত একটা নদী নিয়ে ঘুরি

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

অভিজিৎ এর ছবি

অনেকদিন সচলে আসা হয় নি। ভাল লেখা পড়লে সত্যই ভাল লাগে। ভাল লাগল শিক্ষানবিসের (মুহম্মদের) প্রাঞ্জল লেখাটি পড়ে। ক্যামেলিয়া আর বজলুর রহমানের মন্তব্য-এর সাথে একমত পোষন করি।



পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)


পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)

শিক্ষানবিস এর ছবি

আপনার মন্তব্যের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হলাম।

---------------------------------
মুহাম্মদ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।