অণুঃআতঙ্ক - ২

মন মাঝি এর ছবি
লিখেছেন মন মাঝি [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৫/০৫/২০১১ - ৭:০০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


কাজের কথা

“টের পাচ্ছ ?” দান্তে জিজ্ঞেস করে।

কিছুক্ষনের জন্য একদম স্থির হয়ে গেল ক্লোয়ে। তারপর বলল, “হ্যাঁ। আসছে বটে।”

বাড়িটার দিকে তাকাল দান্তে। “ওদের সাবধান করব ?”

“আমরা চেষ্টা করতে পারি, কিন্তু ওরা সম্ভবত ভুল বুঝবে। আর আমাদের ব্যবহারে চিন্তিত হয়ে আমাদের ভিতরে আটকেও রাখতে পারে।”

দান্তে দৃষ্টি নামিয়ে একটু ভাবল। “ঠিকই বলেছ। আমি শুধু আমাদের প্রতি ওদের মায়া-মমতার কথা ভাবছিলাম।”

“জানি, জানি, কিন্তু আমরা তো আর উদ্ধারকারী দল না। তাছাড়া, সাবধান করার কাজটা কুকুরদের উপরই ছেড়ে দেও। একটুক্ষণের মধ্যেই ওরা ঘেউ ঘেউ করে পাড়া মাথায় তুলবে।”

দান্তে মাথা ঘুরিয়ে তার দীর্ঘদিনের ঠিকানা এলাকাটা একবার দেখে নিয়ে, দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, “আমার মন খারাপ করবে জায়গাটার জন্য।”

“জানি সোনা। কিন্তু আরো ভেতরের দিকের কোন এলাকাতেও আমরা সহৃদয়, অমায়িক লোকজনের দেখা পাব। আর আমরাও নিরীহ, দেখতেও ভাল। ষণ্ডাগুণ্ডার মত না। কোন না কোন ভাল লোকের ঘরে নিশ্চয়ই আশ্রয় পাব। হ্যাঁ, চল তো এখন। সামুদ্রিক জলোচ্ছাসটা একটু পরেই পৌঁছে যাবে এখানে। আর জলোচ্ছাসে প্লাবিত অঞ্চলে থাকাটা দু’টো বিড়ালের জন্য মোটেই কোন কাজের কথা না।”

---------------------------------------------------------------------------------------------------------------

মূলঃ জোশুয়া স্ক্রিবনার
অনুবাদঃ মনমাঝি

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------



মন্তব্য

অপছন্দনীয় এর ছবি

হুম...বিল্লী...প্রথমে ভাবছিলাম বোধহয় ভবিষ্যতের কোন ঘটনা, ড. জাফর ইকবালের "ওয়াই ক্রমোজম" - এর মত সেটআপ।

কিন্তু উপরে পিঁপড়েটা দৌড়াচ্ছে কেন?

লেখায় চলুক

মন মাঝি এর ছবি

সার্ভারের ভিতর চিনি পড়ে গেছে বোধহয়। চিনির লোভে ব্যাটা ভিতরে ঢুকে এখন আর বেরোতে না পেরে উল্টাসিধা দৌড়াদৌড়ি করতেছে।

কোন ব্যাটা সার্ভারের উপর কাপ রেখে চা বানাচ্ছিল দাঁড়ান দেখি... খবর আছে !

****************************************

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভাষাটা কয়েকটা জায়গায় একটু আড়ষ্ঠ লাগলো
গল্পটা ভালো লাগছে

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মন মাঝি এর ছবি

এটা বোধহয় চরিত্র দু'টো যে আসলে বিড়াল তা শেষ লাইনের আগ পর্যন্ত গোপন রাখতে অতিরিক্ত জোরাজুরি করায় হয়েছে।

পড়া ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

****************************************

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

গল্পের জন্য উপরের ছবিটা কি জরুরী?


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মন মাঝি এর ছবি

নাহ্‌। গল্পটা 'আতঙ্ক' শ্রেণীতে ঢুকালেও মনের মধ্যে দ্বিধা রয়েই গেছিল। তাই মনে হয় যারা গল্প পড়ে ভয় পাবেন না, তাদের 'পিঁপড়া' দেখিয়ে ভয় পাইয়ে ক্ষতিপুরন করতে চেয়েছিলাম। দেঁতো হাসি

****************************************

নীড় সন্ধানী এর ছবি

গল্পটা চমৎকার লেগেছে। হাসি
উপরে ছবিটা বাদ দিলে ভাল হতো।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

মন মাঝি এর ছবি

ধন্যবাদ। হ্যাঁ, এখন আমারও তাই মনে হচ্ছে।

****************************************

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

গল্পটা ভালো। আপনার টুকরো গল্প অনুবাদের ধারাটাও।

কিন্তু আপনার 'এনিমেশন' টাইপের ছবি ব্যাবহার ভালো লাগে না। আপনার প্রো-পিকও তো ওরকমই কিছু ছিলো, তাইনা?

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

মন মাঝি এর ছবি

এনিমেশনটা অনেকেরই ভাল লাগেনি বা প্রাসঙ্গিক মনে হয়নি। কি আর করা। লাগে তো তুক, না লাগে তো তাক। বোঝাই যাচ্ছে, ছবিটা দিতে গিয়ে আমি যা ভেবেছিলাম তা ঠিক ছিল না। ভুলভাল নিয়েই মানুষ। তবে এমনিতে নিখাদ টেক্সটের মধ্যে এক-আধটু ছবিটবি দিতে এবং অন্যের ক্ষেত্রে দেখতে আমার কিন্তু ভালই লাগে। তবে সেটা কোন না কোন ভাবে প্রাসঙ্গিক বা লাগসই হওয়া চাই অবশ্যই - যা এক্ষেত্রে হয়নি।

পড়া ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

****************************************

পাগল মন এর ছবি

অনুবাদ ভাল্লাগছে কিন্তু এই এনিমেশনটা যতবার দেখি মাথার পোকা নড়ে যায় রেগে টং

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

ফাহিম হাসান এর ছবি

এইটা ভাল্লাগছে।

ভয় পাওয়াতে মাকড়শা ব্যবহার করে দেখতে পারেন! খাইছে

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

হুম... এইটা অত জুইতের লাগলো না... তবে মন্দ না...

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।