জে জে কেইল

মন মাঝি এর ছবি
লিখেছেন মন মাঝি [অতিথি] (তারিখ: রবি, ০৪/০৮/২০১৩ - ৭:৫০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"Travelin' light, is the only way to fly
Travelin' light, just you and I
One-way ticket to ecstasy
Way on down, follow me
Travelin' light, we can go beyond

Travelin' light, we can catch the wind
Travelin' light, let your mind pretend
We can go to paradise
Maybe once, maybe twice
Travelin' light, is the only way to fly

We can go to paradise
Maybe once, maybe twice
Travelin' light, is the only way to fly."
[Album: Troubadour. JJ Cale.]

প্রিয় শিল্পী, গায়ক জে জে কেইল অনেকটা চুপিসারেই যেন চলে গেলেন গত ২৬শে জুলাই, ২০১৩ তে। বিবিসি আর সিএনএন প্রায় পাদটীকার মত অতি দ্রুত ও সংক্ষেপে খবরটা দিল। যেন ভুলেই গিয়েছিল প্রায়... না দিলেও চলত, এমনি একটা ভাব। কেন জানি মনে পড়ে গেল মাইকেল জ্যাকসনের কথা। মোহন ‘আলস্যমেদুর’ কণ্ঠের অধিকারী এই প্রতিভাবান অথচ আত্নাভিমানহীণ, নিরালা, মিতবাক শিল্পী জীবনে ও গায়নে যেমন – প্রয়াণেও মনে হয় তেমনি চিৎকৃত, অতিনাটকীয় জ্যাকসনের এক নিখুঁত বিপ্রতীপ উদাহরণ হয়েই রইলেন। নিতান্তই ব্যক্তিগত অভিমত, হঠাৎই মনে হল।

নিরহঙ্কারী, নিভৃতচারী, ‘আলস্যমেদুর’ কণ্ঠের এই রহস্যময় অনন্যসাধারণ শিল্পী একটা বিশ্বব্যাপী নিবেদিত ভক্তগোষ্ঠীর বাইরে বোধহয় তেমনভাবে জনপ্রিয়তা পাননি কখনই - যদিও তার বেশ কিছু হিট গান আছে, তবে তার লেখা গান গেয়ে বরং অন্যরাই জনপ্রিয় হয়ে গেছেন। এদিক থেকে তাকে গায়কের চেয়ে গীতিকারই বেশি বলা চলে হয়ত। তার গান গাওয়া বিখ্যাত শিল্পীদের মধ্যে আছেন এরিক ক্ল্যাপ্টন, জনি ক্যাশ, সান্টানা, ডিপ পার্পল, অলম্যান ব্রাদার্স, ব্রায়ান ফেরি,ক্যাপ্টেন বিফহার্ট, জেরি গার্সিয়া, চেট এ্যাটকিন্স, ফ্রেডি কিং, লেনার্ড স্কিনার্ড, প্রমুখ। বিভিন্ন প্রজন্মের খ্যাতিমান শিল্পীদের মধ্যে তার প্রভাবান্বিত গুণগ্রাহীদের মধ্যে রয়েছেন আরও অনেকেই। আছেন উইলি নেলসন, টম পেটি, নিল ইয়াং, মার্ক নফলার। এদের মধ্যে নিল ইয়াং কেইলকে গিটারিস্ট হিসেবে হেন্ড্রিক্সের পংক্তিতেই বসিয়েছিলেন, আর আশির দশকের মার্ক নফলার - আমার আরেক প্রিয় শিল্পী - যিনি স্বীকার করেছিলেন তার সুরের উপর কেইলের প্রভাবের কথা। অনেকে মার্কিন সঙ্গীতধারা ও সমকালীণ অন্যান্য বিখ্যাত গায়কদের উপর তার প্রভাবের কথা বিবেচনা করে তাকে ‘মিউজিশিয়ান্স মিউজিশিয়ান’-ও বলে থাকেন। এরিক ক্ল্যাপ্টনের মতে কেইল রকের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিল্পীদের একজন। এক সমালোচকের মতে, সমকক্ষ সেরা শিল্পীদের ভোটে যদি শ্রেষ্ঠ গিটারিস্ট নির্বাচন করা হত - জে জে কেইল তাহলে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ দশে স্থান পেতেন। অথচ চার দশক ধরে গেয়ে ও বাজিয়ে গেলেও এই একবিংশ শতকে তাকে কতজন সেভাবে মনে রেখেছেন জানি না, আর বাংলাদেশের সাধারণ ইংরেজি সঙ্গীত শ্রোতাদের কতজন তার নামও শুনেছেন সেই সন্দেহও আছে। অবশ্য যে কারনে তার সমশ্রেণীর শিল্পী বা গিটারিস্টরা তাঁকে এত শ্রদ্ধা করতেন, ঠিক সেই কারনেই হয়তো তিনি সাধারণে ততটা জনপ্রিয়তা পাননি – কারন কেইল ছিলেন মিনিমালিজমের ওস্তাদ। তার শৈল্পিক ও প্রকাশ সংযমে ওস্তাদির জন্য তিনি বিভিন্ন প্রজন্মের শিল্পীদের কাছে শ্রদ্ধাভাজন ও অনুকরনীয় হতে পেরেছেন। এ প্রসঙ্গে গীতিকার-গায়ক বেক হ্যানসেন বলেন, “The effortlessness, that restraint and underplaying, undersinging — it was just very powerful.... The power of doing less and holding back in a song, I've taken a lot of influence from that.” আর এরিক ক্ল্যাপটন বলেন, “I was tired of gymnastic guitar playing, and when I listened to JJ Cale records, I was impressed by the subtlety, by what wasn’t being played. ”।

রক এণ্ড রোলের আরেক কিংবদন্তী নিল ইয়াং কি বলেন শুনুন,

“What is it about JJ Cale’s playing? I mean, you could say Eric Clapton’s the guitar god, but... he can't play like JJ… JJ’s the one who played all that s--- first... And he doesn’t play very loud, either — I really like that about him. He’s so sensitive. Of all the players I ever heard, it’s gotta be Hendrix and JJ Cale who are the best electric guitar players. JJ’s my peer, but he doesn’t have the business acumen — he doesn’t have the idea of how to deal with the rest of the world that I do. But musically, he’s actually more than my peer, because he’s got that thing. I don’t know what it is.”

জে জে কেইল ১৯৩৮ সালে ওকলাহোমায় জন্মগ্রহণ করেন এবং একই স্টেটের টুলসায় (Tulsa) বড় হন। ষাটের দশকের শুরুর দিকে টুলসার আরও কিছু তরুন সঙ্গীতশিল্পীর সাথে তিনিও লস এঞ্জেলসে চলে আসেন ভাগ্যান্বেষনে। এখানে তিনি বেশ কিছুকাল স্টুডিও ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেন। কিন্তু শিল্পী হিসেবে তেমন সাফল্য না পাওয়ায় এক পর্যায়ে ফিরে যান টুলসায়। এই অবস্থায় তিনি যখন নিজের সঙ্গীতের ক্যারিয়ার ছেড়ে দেয়ার কথা ভাবছেন, তখনই এরিক ক্ল্যাপটন কেইলের “আফটার মিডনাইট” রেকর্ড করে বিশাল সাফল্য লাভ করেন ১৯৭০ সালে। ক্ল্যাপটনের কণ্ঠে নিজের গানের এমন সাফল্য দেখে কেইলের আশা আবার জেগে উঠে এবং তিনি ফিরে আসেন সঙ্গীত জগতে। ক্ল্যাপটনের কণ্ঠে নিজের গানের সাফল্যের ঢেউয়ে চড়ে তার প্রথম এ্যলবাম ‘ন্যাচারালি’ ১৯৭২ সালে মুক্তিলাভ করে।

এরিক ক্ল্যাপটন কেইলের একাধিক গান করেছেন, একসাথে অনেক কনসার্ট ও প্রোজেক্ট করেছেন বা এ্যলবাম প্রকাশ করেছেন, কেইলের প্রবল গুনমুগ্ধ ভক্তও ছিলেন তিনি। ভ্যানিটি ফেয়ারের সাথে এক সাক্ষাৎকারে ক্ল্যাপটন বলেন জীবিতদের মধ্যে তিনি যার সবচেয়ে বেশি ভক্ত তিনি হচ্ছেন কেইল। অন্যদিকে নিরভিমান কেইল তার সঙ্গীতজীবনে ক্ল্যাপটনের অবদান অকপটে স্বীকার করেন। ২০০৬ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “এরিক না থাকলে আমি হয়তো আজ জুতা বিক্রি করতাম”। ক্ল্যাপটনই ১৯৭০-এ তার গান জনপ্রিয় করে তার ক্যারিয়ারের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। সমকালীণ ও পরবর্তী প্রজন্মের অনেক বড় বড় শিল্পী তার একনিষ্ঠ ভক্ত হলেও, জনপ্রিয়তার বাজারি সাফল্যে তিনি তার ভক্ত শিল্পীদের পর্যায়ে ঠিক পৌঁছুতে পারেননি কখনও। এমনকি তার নিজের অনেক গান তার ভক্ত-শিল্পীদের কণ্ঠেই বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এজন্যে কেইল গান গাওয়ার চেয়ে পরের দিকে গান লেখাতেই বেশি মনোযোগ দেন, এবং নিজেকে প্রধাণত গীতিকার হিসেবেই গণ্য করতেন। তাকে একবার জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, “সমসাময়িক এবং সমালোচকরা তাকে ‘কিংবদন্তীর’ স্থান দেন, অথচ সাধারন শ্রোতারা অনেকে তার গান পছন্দ করলেও – নামটিও হয়তো জানেন না!- এই বিষয়টা কি তাকে দুঃখ দেয়?” কেইলের সহাস্য জবাব ছিল, “না, এটা আমাকে বিব্রত করে না। বরং যা সবচেয়ে ভাল লাগে তা হল যখন ডাকে আমি একটা চেক পাই।”

জে জে কেইলের কণ্ঠ প্রায়ই ‘laid back’ বা languid হিসেবে আখ্যায়িত হয়। আমি যার বাংলা ‘আলস্যমেদুর’ করলাম। জানি না হল কিনা। কেইলকে Tulsa Sound নামের ঘরানার অন্যতম জনক ও প্রধান স্থপতি হিসেবে গণ্য করা হয়। এটা ব্লুজ, রক্যাবিলিটি, কান্ট্রি ও জাজ ধারায় অনুপ্রাণিত ও প্রভাবিত ঢিলেঢালা একটা ঘরানা। প্রথম এ্যলবাম ‘ন্যাচারালি’ প্রকাশের পর সমালোচক রিচার্ড ক্রোমেলিন তার গান সম্পর্কে লিখেন, “a unique hybrid of blues, folk and jazz, marked by relaxed grooves and Cale's fluid guitar and laconic vocals. His early use of drum machines and his unconventional mixes lend a distinctive and timeless quality to his work and set him apart from the pack of Americana roots-music purists.” আরেক সমালোচক তার টুলসা ঘরানা সম্পর্কে লিখেন, “…all of it plays into Cale's vintage front-porch style. Often called the "Tulsa Sound," there's an enchanting aspect to Cale's music; the boogie-rhythm guitar barreling over the hushed, hypnotic vocals with subtle influences leaking in from the blues, country, rockabilly and jazz. ”।

কেইলের জনপ্রিয় গানগুলির মধ্যে আছে – আফটার মিডনাইট (প্রথম ক্ল্যাপটনের কণ্ঠে জনপ্রিয়), কোকেন (এটাও ক্ল্যাপটনও গেয়েছেন), ক্রেজি মামা, কল মি ব্রিজ, ম্যাগনোলিয়া, সেন্সিটিভ কাইন্ড, ক্যাযুন মুন, এনিওয়ে দ্য উইণ্ড ব্লোজ, ক্লাইড, ট্রাভেলিং লাইট, ব্রিং ডাউন দ্য কার্টেন, ইত্যাদি।

১৯৮০-র দশকে স্কুলজীবনে কেইলের গানের সাথে আমার প্রথম পরিচয়। সে সময়েই তার সেই মোহন ‘আলস্যমেদুর’ ও মিস্টিক, ব্লুজ ও জাজগন্ধী অনন্য কণ্ঠের প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। তার গানই শুনতাম তন্ময়চিত্তে, কিন্তু ব্যক্তিমানুষটা সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানতাম না – এমনকি অন্য গায়কদের সম্পর্কে যেমনটা জানতাম তারও ধারেকাছে না। যদ্দুর মনে পড়ে তার ছবিও দেখিনি কোথাও তখন। শুনেছি নিজের এ্যলবামের কাভারে নিজের ছবি ছাপতে দিতেন না। এতটাই আত্নপ্রচারবিমুখ ছিলেন। তবু শুধু তার কণ্ঠের যাদুতে কেন যেন আটকে ছিলাম। তারপর রেকর্ডগুলি হারিয়ে যাওয়ায় ও বন্ধুদের মধ্যে কেইল সম্পর্কে কোন উৎসাহ না থাকায় এবং সেই সাথে নিজেরও রুচির ফোকাসে পরিবর্তন হওয়ায় একসময় ধীরে ধীরে ভুলে গিয়েছিলাম তার কথা। নতুন আগ্রহ সামনে এসে দাঁড়িয়েছে তখন।

বহু বছর পর মাত্র কিছুদিন আগে আবার একটা গানের দোকানে তার কিছু গানের সংগ্রহ খুঁজে পেয়ে কিনে ফেললাম। আবার শোনা হল প্রায় আড়াই দশক পরে। ভাল লাগায়, কেইলের যাদুময় কণ্ঠের আবেশে, ডুবে গেলাম আবারও। এতদিন পর কেমন যেন একটু অন্যরকম লাগছে, তারপরও। এ কি খানিকটা প্রয়াত বা দীর্ঘকাল প্রবাসী প্রিয় মানুষের ব্যবহৃত - ন্যাফথালিন দিয়ে ভাঁজ করে সযত্নে ট্রাঙ্কে রেখে দেয়া - পুরনো কাপড় খুলে শুঁকতে শুঁকতে পুরনো ভাল লাগাকে ভাল লাগা? স্মৃতিমন্থন? নাকি আরও জীবন্ত কিছু? জানি না, তবে শুনছি এখনও। পুরনো ভাল লাগার সাথে নতুন করে ভাল লাগার যোগসাধনের সাথে সাথে স্মৃতিমন্থনেও ডুবেছিলাম। তা যেমন সুরের, তেমনি সুরাগারেরও। মনে পড়ে গেল হাত-খরচের টাকা বাঁচিয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে কবির ভাইয়ের রেইনবো - যেখান থেকে প্রথম তার ক্যাসেট (ক্যাসেট না? ‘ক্যাসেট’ শব্দটাই ভুলে গেছিলাম দেখছি!!!) কিনেছিলাম। ও না, তার ক্যাসেট কিনিনি। খালি ক্যাসেটে বাছাই গান রেকর্ড করিয়েছিলাম।

এই পুনর্জাগ্রত ভাল লাগা ও স্মৃতিমন্থনের মধ্যেই হঠাৎ তাঁর মৃত্যু সংবাদ দেখলাম। চিরতরুন জে জে কেইল ৭৪ বছর বয়সে গত ২৬শে জুলাই ক্যালিফোর্নিয়ার এক হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

'গিটার ম্যান' শেষ পর্যন্তই 'ট্রাভেলিং লাইট' করে গেলেন মনে হয়।

……………………………………………………………………………..


কেইলের সঙ্গীত জীবনের উপর নির্মিত একটা দারুন ডকুমেন্টারির ট্রেইলার




মন্তব্য

তানিম এহসান এর ছবি

শুনছি বসে। আপনাকে ধন্যবাদ এইভাবে লিংকগুলো দেয়ার জন্য। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

মন মাঝি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

****************************************

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক
লিঙ্কগুলোর জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------
সুবোধ অবোধ

মন মাঝি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

****************************************

তানভীর এর ছবি

বিদায় ‘মিউজিশিয়ান্স মিউজিশিয়ান’। শ্রদ্ধা

শিল্পজগতে খ্যাতির জন্য সবাই যেভাবে লালায়িত, সেখানে সুযোগ পেয়েও খ্যাতির মোহ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন জে জে কেইল (স্টেইজে উঠে লিপসিঙ আর বাজানোর অভিনয় করতে হবে বলে তিনি নাকি স্টেইজ পারফর্ম করতেন না) মানুষ হিসেবেও হয়তো অনেক অসাধারণ ছিলেন।

মন মাঝি এর ছবি

শ্রদ্ধা

লিপসিঙ প্রত্যাখ্যানের একটা ঘটনা কোথায় যেন পড়েছি।

****************************************

আয়নামতি এর ছবি

শ্রদ্ধা

মন মাঝি এর ছবি

মন খারাপ

****************************************

অতিথি লেখক এর ছবি

লিঙ্কে গিয়ে গানতো নামালাম,কিন্তু এক্সট্রাক্ট করতে গেলেই এরর দেখায়। কি করি?

স্বয়ম

মন মাঝি এর ছবি

আমার দেয়া লিঙ্কে সমস্যা হলে নীচের দুইটা লিঙ্ক ট্রাই করে দেখতে পারেন। দুইটাতেই ভাল ও বড় কালেকশন আছেঃ--

১। http://www.audiopoisk.com/artist/jj-cale/

২। http://www.panicstream.net/streams/jj_cale/

****************************************

কিষান এর ছবি

কোকেন গানটা এরিক ক্ল্যাপটনের বলে ভাবতাম। অথচ আসলে যিনি শিল্পি, চলে যাওয়ার পর তাঁর সম্পর্কে জানতে পারলাম। মন খারাপ

আপনার লেখাটা পড়ে বেশ কয়েকটা গান শুনে দেখলাম। "আলস্যমেদুর" শব্দটা একেবারে যথার্থ মনে হলো। আর গিটারপ্লেয়িং শুনে কেমন যেন বিষন্নতা ভর করেছে মনের মধ্যে। দয়া করে মাঝে মাঝে গান নিয়ে এরকম লেখা দেবেন।

বিদায় ‌‌J J Cale শ্রদ্ধা

মন মাঝি এর ছবি

শ্রদ্ধা

****************************************

স্যাম এর ছবি

কাল পড়েছিলাম - আজ সারাদিন শুনলাম, অনেক ধন্যবাদ লেখা আর লিঙ্ক এর জন্য।

মন মাঝি এর ছবি

আপনাকেও পড়ার জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

****************************************

ওডিন এর ছবি

জে জে কেইল এর সাথে আমার পরিচয় ও রেইনবোতেই হয়েছিলো। মেইনস্ট্রিম মিডিয়া ওকে তেমনভাবে মনে না রাখলেও যারা গান শোনে, তারা যেনে গেছিলো ওর চলে যাওয়ার খবর। কয়েক হপ্তা আগেই ওর সিডিগুলো টেনে বের করে বসছিলাম, একের পর এক শুনে গেলাম। । এখনো ৮২ এর গ্রাসহপার আর ৭১ এর ন্যাচারালি রেকর্ডদুটো সামনে পড়ে আছে । মন খারাপ

জে জে কেইল প্রায় অবসকিওর একজন শিল্পী। ওর গান গেয়ে অনেকেই বিখ্যাত হয়েছেন, কিন্তু গানের পেছনের মানুষটাকে খুব কম লোকেই জানতেন।

লেখাটার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আর এইখানে আমার প্রিয় গানটা আটকে না দিয়ে পারলাম না হাসি

মন মাঝি এর ছবি

সেন্সিটিভ কাইন্ড আমারও খুব প্রিয়।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

****************************************

মন মাঝি এর ছবি

-- ঘ্যাচাং --

****************************************

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এইরকমই হয়। এইটাই নিয়ম।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মন মাঝি এর ছবি

সত্যি কথা! তবে মনে হয় না কেইল সেটা নিয়ে খুব একটা বদার করতেন। উনি এসবকে কখনই তেমন পাত্তা দেননি, বরং অনেক সময় নীতি, রুচি বা আত্নসম্মানকে বিসর্জন দিতে হবে বলে প্রলোভনকে হাসি মুখে মাড়িয়ে গেছেন। প্রলোভন ও তথাকথিত সাফল্যই বরং তখন হেরে গেছে। খ্যাতি ও যশ প্রাপ্য হলেও না পাওয়াটা দুঃখের কি দুঃখের না, এটার বোধহয় ব্যক্তিভেদে পার্থক্য ঘটে।

Travelin' light, we can catch the wind
Travelin' light, let your mind pretend
We can go to paradise
Maybe once, maybe twice
Travelin' light, is the only way to fly

J.J. Cale - Travelin' Light

****************************************

অতিথি লেখক এর ছবি

কেইলকে নিয়ে চমৎকার লেখাটার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

-এস এম নিয়াজ মাওলা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।