জগিং করলে ব্রেইনের উপকার হয় (উৎসর্গ: জলপাই আঙ্কল)

জ্বিনের বাদশা এর ছবি
লিখেছেন জ্বিনের বাদশা (তারিখ: মঙ্গল, ২১/০৮/২০০৭ - ২:৫৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইদানিং সায়েন্সব্লগ নামে একটা নতুন সিরিজ শুরু করছিলাম, ভাবলাম কয়েকদিন চালাব; কিন্তু এরমধ্যে দেশের অবস্থা টালমাটাল, এমন সময় বিজ্ঞান ধুয়ে কিছু আসবেনা। তারচেয়েও বড় কথা, আজকে লিখতে গেছিলাম যে বিষয়টা নিয়া, সেইটা ভাবতে গিয়া আমগোর জলপাই মামগোর হেভী মিল পাইলাম।

আজকে ভাবছিলাম লিখব প্রফেসর গেইজের নিউরোজেনেসিস রিসার্চ নিয়া, যেখানে উনি দেখাইছিলেন যে রেগুলার জগিং বা এক্সারসাইজ করলে ব্রেইনের ক্ষমতা বাড়ে, তাঁর রিসেন্ট আবিষ্কারটা বেশ মজার। সেইটা নিয়াই লিখব ভাবছিলাম, এখন ভাবতেছি আরেকদিন ডিটেইলস লিখব।

আপাতত যা কইতে চাই, তা হইল, প্রফেসর গেইজ ইঁদুর নিয়া পরীক্ষা কইরা দেখাইছেন, প্রতিদিন জগিং করলে ব্রেইনের এফিসিয়েন্সী বাড়ব। তারপর কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির নিউরোসায়েন্টিস্টরা মানুষের উপর পরীক্ষা কইরা জানাইছেন যে কথা সত্য, রেগুলার দৌড়াদৌড়ি করলে মানুষের ব্রেইনেরও এফিসিয়েন্সী বাড়ে।

ভাবলাম, জলপাই মামারা তো ভালই দৌড়ায়, প্রতিদিন সকালে নাকি মাইলের পর মাইল ক্রসকান্ট্রি করে। হেগোর তো তাইলে মাথা ফাইটা ব্রেইন বাইর হওনের কথা।

তখনই টের পাইলাম, দৌড়ালে মাথার যত উপকার হোক, একটা জায়গায় প্রেসার পড়ে,
সেইটা হইল গিয়া হাঁটু। হাসি

বেশী কইলে আবার দুদক দিয়া ধইরা লইয়া যাইব, যার যেমনে খুশী বুইঝা লন কি কইতে চাইছি।

বেকুব না হইলে,

১. ইউনিভার্সিটিতে সেনা ক্যাম্প করতে যায় কোন ছাগলে?
২. পার্সোনালএকটা গ্যাঞ্জাম নিয়া এইরকম ছ্যাড়াব্যাড়াই বা করে ক্যামনে?

তবে শেষে সুধীজনরে জিগাই,
ঢাবি থিকা সেনাক্যাম্প সরাইলে আন্দোলনের পরের ফেইজ কি হইব?


মন্তব্য

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

জিনিয়াস রাইটিং!
অল্প পরিসরে রসে টইটুম্বুর ভাবনায় ভরপুর।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

ধন্যবাদ, বলাইদা।

আমি কিন্তু পরের ফেইজ নিয়া আসলেই চিন্তিত!
কারণ, সাধারণ বুদ্ধির যে কেউ পরিস্থিতি ঠান্ডা করার জন্য ঢাবি থেকে আর্মি সরানোর কথা ভাববে, তা নাহলে অন্তত যেই সেনাসদস্যরা ঝামেলা করছে ওগুলারে দ্রুত শাস্তি দেবে।
সেটা না করে প্যাঁচানোর সুযোগ দিচ্ছে ,,,

দেশে গোলমাল তৈরী করে কি আর্মি ক্ষমতায় আসতে চায়?
আন্দোলনকারীদের কিন্তু খুব ভেবেচিন্তে নামতে হবে বলে মনে হইছে।

জানিনা, হয়ত আমি খুব বেশী কল্পনাপ্রবণ!

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

ডান্ডার জোর না দেখায়া তো আর্মি আসতে পারে না। আর্মির অর্ধেক জোরই হচ্ছে রং দেখানো।

পরের ফেইজে:
১. বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হতে পারে।
২. হলে হলে তল্লাশি হতে পারে। কিছু ছাত্র ধর-পাকড় করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হতে পারে।

-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

অমিত আহমেদ এর ছবি

বর্তমানই ধরতে পারছি না তা আবার ভবিষ্যত!
লেখাটা খাসা হয়েছে।


আমার বেলা যে যায় সাঁঝ-বেলাতে
তোমার সুরে সুরে সুর মেলাতে

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

মামাদের হাঁটুতে জ্বীন ধরেছে। জ্বীনের বাদশার সহায়তায় তা ছাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। হাঁটুতে জ্বীন ধরল কেন তা বুঝে নিয়েন।

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

ফাটাফাটি লেখা। ব্রেইন নিয়ে লিখলেন বলে এর সঙ্গে ওই বিষয়ে একটু চাটনি যোগ করে দিই।

লেফট-রাইট করা ওই তাহাদের মস্তিষ্ক সম্পর্কে এই কথাটা নিশ্চিন্তে বলা যায় : Their brain has two parts - a left and a right. On the left there's nothing right and on the right there's nothing left. চোখ টিপি

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

হা হা হা ,,চাটনীটা চমৎকার উপাদেয় হয়েছে :)@জুবায়ের ভাই

জলপাইদের হাঁটুতে জ্বীন না, ভুতে ধরেছে।@প্রকৃতিপ্রেমিক চোখ টিপি

অমিত, ধন্যবাদ।

শোহেইল ভাই, এখন এই আন্দোলন কি নিভে যাবে, না নতুন মাত্রা পাবে সেটা দেখার বিষয়।
তবে সরকার ঘাড়ত্যাড়ামি না করে সেনা প্রত্যাহার করে নিজেদের উপকার করেছে।

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

Their brain has two parts - a left and a right. On the left there's nothing right and on the right there's nothing left.

হা হা .... হাসতে হাসতে গড়াগড়ি যাইতেছি...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।