এয়োদশ সংশোধনী আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করে উচ্চ আদালতের রায় পূর্ণাঙ্গ আকারে প্রকাশিত হল। এর অর্থ হল বহুল আলোচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর থাকছে না। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে আগামী দুটি সাধারণ নির্বাচন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে হতে বাধা নেই। তবে কেবল নির্বাচিত সংসদ সদস্যেরাই সেই সরকারে থাকতে পারেন।
বিরোধী দল অনেক আগে থেকেই তত্ত্ববধায়ক সরকার পদ্ধতি বিলুপ্তির বিরোধী। নির্বাচিত দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিরপক্ষে হতে পারে না এই শ্লোগান তুলে তারা আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন করতে একেবারেই নারাজ (সন্দেহ নেই জামাত-বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে আওয়ামী লীগও কোনকালে রাজি হত না)।
সব দল থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন করতেও তারা রাজি নয়। এমনকী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনরকম রূপরেখা দিতেও তাদের অনীহা। তারা ঘোষণা দিয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন না হলে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণই করবে না। তাদেরকে বাদ দিয়ে কোন নির্বাচন আয়োজন করা হলে তা যে কোন মূল্যে প্রতিহত করবে বলেও তারা বক্তব্য দিয়েছে।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের পক্ষপাতি। তারা নানা টক শো এবং সেমিনারে এ নিয়ে ক্রমাগত বক্তব্য দিয়ে চলেছেন। তাদের যুক্তি হল আমাদের দেশে এখনও শক্তিশালী নির্বাচন কাঠামো গড়ে ওঠেনি। তাই নির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তা দলীয় প্রহসনের নির্বাচনে পরিণত হবে। তাদের মতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যেহেতু ক্ষমতাসীন দলের প্রতিনিধিত্ব থাকবে তাই নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
বর্তমান সরকারের অনেক শুভানুধ্যায়ীও আগামী সাধারণ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করার পক্ষপাতি। তাদের যুক্তি হল সরকারের অধীনে যদি সুষ্ঠ, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনও হয় তবুও তা বিশ্বাসযোগ্য হবে না। আওয়ামী লীগ জিতলে বলা হবে তারা কারচুপি করেছে। তার চেয়ে বরং নির্দলীয় নিরপেক্ষ লোকের কাছে নির্বাচনের ভার দেয়া ভাল। এতে করে নির্বাচনে জয়লাভ করলে তা হবে গ্রহণযোগ্য। তাছাড়া বিএনপি ছাড়া নির্বাচন করলে পাবলিক সেন্টিমেন্ট আওয়ামী লীগের বিপক্ষে চলে যেতে পারে বলে তাদের ধারনা। তাই যেকোন ছাড় দিয়ে বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করানোর পক্ষেই তাদের মত।
কিন্তু সরকারের মূল নীতিনির্ধারকেরা এ বিষয়ে কোন ছাড় দিতে একেবারেই রাজি না। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আর কোন মতামত শুনতে রাজি নন। ঘনিষ্ঠজনদের বক্তব্য অনুযায়ী, শেখ হাসিনা মনে করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে এ যাবত যতগুলো নির্বাচন হয়েছে তার কোনটিই সুষ্ঠ হয়নি। প্রতিটি নির্বাচনেই অরাজনৈতিক ব্যক্তিরা ম্যানিপুলেশনের চেষ্টা করেছেন। যার মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখা।
১/১১ এর পরবর্তীতে সামরিক ছত্রছায়ায় আসা ফখরুদ্দীন সরকারেরও চেষ্টা সেটাও ছিল বলে তিনি মনে করেন। যদিও প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন ঐ সরকারের পেছনে আওয়ামী শক্তির প্রভাব রয়েছে। ফলে তিনি ওই সরকারের ক্ষমতা আরোহণকে সাধুবাদও জানিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে ড. ইউনুসকে প্রমোট করা এবং তাকে বিদেশ থেকে ফিরতে বাধা দেয়ায় তিনি ফখরুদ্দীন সরকারের লক্ষ্য নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েন। সে সময় খালেদা জিয়া দেশেই ছিলেন। কানাঘুষা রয়েছে তখন ড.ইউনুসকে সামনে রেখে বিদেশী মদদপুষ্ট দেশীয় একটি সুশীল গোষ্ঠী ক্ষমতায় আসার পরিকল্পনা করেছিল। এই গোষ্ঠীটি ছিল জাতীয়তাবাদী ইসলামী ধারার প্রতি সহানুভূতিশীল। আওয়ামী লীগ বিরোধী এই গোষ্ঠীটি তারেক রহমানের ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ ছিল। তারেককে ছাড়াই তারা জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ক্ষমতায় রাখার একটি ফর্মুলায় বেগম জিয়াকে রাজী করাতে সমর্থ হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রচ্ছন্ন সমর্থনে এই গোষ্ঠীটি ক্ষমতার কাছাকাছি পৌঁছালেও মূলত ভারতের সাথে সমঝোতায় না আসতে পেরে সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। ভারতের ভয় ছিল এই গোষ্ঠী ক্ষমতায় আসলে বাংলাদেশের জঙ্গী গোষ্ঠীগুলোর উপর পাকিস্তানের প্রভাব আগের মতোই থাকবে যা তাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে নিজেদের স্বার্থেই তারা শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত আসতে বাধা না দিতে ফখরুদ্দীন সরকারের উপর বৈশ্বিক চাপ সৃষ্টি করে।
মূলত এরপর থেকেই শেখ হাসিনা অরাজনৈতিক ব্যাক্তিদের হাতে ক্ষমতা দেয়ার প্রবল বিরোধী হয়ে ওঠেন। একই সাথে ড. ইউনুসকে তার ভবিষ্যত প্রতিদ্বন্দী হিসেবে ঠাওর করতে থাকেন। এরই ফলশ্রুতিতে সব সমালোচনা আলোচনা পায়ে ঠেলে তিনি তত্ত্বাবধায় সরকার বাতিলের পক্ষে অনড় থাকেন। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল হওয়ার মধ্য দিয়ে অনির্বাচিত অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আর কোন সুযোগ থাকলো না। এর ফলে শেখ হাসিনার ইচ্ছারই জয় হল বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত।
এখন জনমনে প্রশ্ন হল সামনে কী ঘটতে যাচ্ছে। নির্বাচনের আর মাত্র ১২ মাস বাকি। ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানের ৪২ দিন আগে সংসদ ভেঙ্গে দিলে সময়টা আরো কমে আসে। “গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় কোন ধরনের ছেদ বাংলাদেশ সংবিধান অনুমোদন না করায়” নির্বাচিত সরকার বিদায় হওয়ামাত্র দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়ে যায়। যার অর্থ হল, নির্ধারিত সময়ের শেষে যে কোন মূল্যে দেশে সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করতেই হবে। রাজনৈতিক হিসাব কিতাবের এই অবস্থায় পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন, ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে বলটা মূলত খালেদা জিয়ার কোর্টে পাঠিয়ে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে এই মুহূর্তে বেশ কিছুটা হলেও সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাখতে হবে টাইপের দাবী তুলে মাঠে ময়দানে শোরগোল তুললেও এ নিয়ে জনমত তৈরিতে বিএনপি বলা চলে শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে এই ইস্যুতে সরকারবিরোধী কার্যকর কোন আন্দোলন গড়ে ওঠেনি। অতএব আগামী অল্প সময়ের ভেতর এই ইস্যুটিকে তারা অস্ত্রে পরিণত করে সরকারকে কুপোকাত করতে পারবেন বলে মনে হয় না। বিএনপি সেক্ষেত্রে তাদের সামনে মাত্র দুটি পথ খোলা আছে। একটি হল অন্তর্বর্তী সরকারের রূপরেখা নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়া। অন্যটি হল বিদেশী শক্তিদের মাধ্যমে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পূর্ণবহাল করা। ভারতের ইউপিএল সরকার যতদিন আওয়ামী লীগের পক্ষে আছে ততোদিন পর্যন্ত বিদেশী শক্তির চাপকে শেখ হাসিনা তুচ্ছ বলেই ভাববেন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এমনকী যুক্তরাষ্ট্রের চাপকেও তিনি ভারতের সাথে সুসম্পর্কের খাতির দিয়ে বরাবরের মত মোকাবেলা করতে পিছ পা হবেন না বলেই সমালোচকদের ধারণা। এমনও হতে পারে তিনি ভারতকে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে উল্টো বিএনপির উপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইবেন যাতে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বাধ্য হয়।
এই উল্টো চাপ সামলাতে জাতীয়তাবাদী শক্তির বর্তমান ভরসা ড. মুহম্মদ ইউনুস। বছর দুয়েক আগেই খবরের ডালপালা মেলেছিল যে ড.ইউনুস রাষ্ট্রপতি হবার শর্তে জাতীয়তাবাদী শক্তির পক্ষে আন্তর্জাতিকভাবে মাঠে নেমেছেন। গ্্রামীন ব্যাংক নিয়ে সরকারের সাথে রেষারেষির মাঝখানে ড.ইউনুসের পক্ষে জাতীয়তাবাদীদের নানা বিবৃতিতে সেই গুঞ্জনেরই সত্যতা মেলে। এমনকী বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া স্বয়ং ড.ইউনুসের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন। আর সেই সুবাদেই ড.ইউনুস আশা প্রকাশ করেছেন, ভবিষ্যতে এমন এক সরকার আসবে যা গ্রামীন ব্যাংক তথা তার পক্ষেরই হবে। তবে ড. ইউনুস যদি ১/১১ এর মত এবারেও ভারতীয় লবির দৌরাত্মের কাছে শেষ পর্যন্ত ফেল মেরে যুক্তরাষ্ট্রকে বোঝাতে ব্যর্থ হন তবে বিএনপির সব গুড়ে বালি। অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার মেনেই তাদের নির্বাচনে আসতে হবে।
তাই বলা হচ্ছে ত্রয়োদশ সংশোনী বাতিলের রায় কার্যকর হবার সাথে সাথেই পর্দার আড়ালে খেলা শুরু হয়ে গছে। তৃতীয় পক্ষের নামও এই খেলায় জোরে শোরে আসছে। বলা হচ্ছে তারা এবার যে কোন উপায়ে দুই নেত্রীকে আজীবনের জন্য অবসরে পাঠাতে আগ্রহী। শেখ হাসিনা বা খালেদা জিয়া কেউই তা চান না। তাই নির্বাচনে জেতা পরের কথা আগে এই খেলায় জয়লাভ করা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো এখন ব্যস্ত। পর্দার আড়ালের কৌশল নির্ধারনে তারা মরিয়া।
ইতিমধ্যেই আগাম নির্বাচনের খবর ভাসছে। বলা হচ্ছে বিএনপিকে ছাড়াই আওয়ামী লীগ নির্বাচনের ছক সাজাচ্ছে। সেই নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনে তাদের প্রার্থী দেবে। এমনকী সরকারের সাথে শেষ মুহূর্তে সমঝোতা করে জামাতের নতুন নেতৃত্বও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে বলে গুজব রয়েছে। এমনকী বিএনপির দলছুট একটি অংশকেও নির্বাচনে আনার চেষ্টার কথা শোনা যাচ্ছে। এসব কিছুই বিএনপির উপর ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছে। আবার জনসমর্থন নিশ্চিত কমে যাওয়ায় আওয়ামী লীগও ব্যাপক চাপে আছে। আগামীতে জামাত-বিএনপি ক্ষমতায় এলে কী হতে পারে তার চিন্তায় তাদের ঘুম হারাম।
দেশের সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনায় এটা স্পষ্ট যে আওয়ামী লীগের জনসমর্থন অনেকটাই কমে গেছে। নানা কারণে নানা শ্রেণীর মানুষ সরকারের ওপর ত্যাক্ত বিরক্ত। জনগণের এই মনোভাবই জামাত-বিএনপির একমাত্র সম্পদ। গত চার বছরে সরকার বিরোধী কোন কার্যকর আন্দোলন গড়ে তুলতে না পরলেও তাদের বদ্ধমূল ধারণা জন্মেছে যে জনগণ আওয়ামী লীগ থেকে আবারও মুখ ফেরাতে যাচ্ছে। এবং বিকল্প হিসেবে জামাত-বিএনপি জোটই তাদের সেরা পছন্দ। এই হিসেবে তারা আপনা আপনিই ক্ষমতায় আসার স্বপ্নে বিভোর। আর তাই বিএনপির ভেতর যে কোন উপায়ে নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে মতামত বাড়ছে।
এখন দেখার বিষয় হল তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের জেরে বিএনপি কোন পথে হাঁটে আর তার জবাবে আওয়ামী লীগ কী পদক্ষেপ নয়। এরই ভেতর প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে “শক্তিপ্রয়োগ কীভাবে করতে হয় তা আমাদের জানা আছে” টাইপের বক্তব্য এসেছে। তবে বাংলাদেশের রাজনীতির অতীত ঘেটে দেখলে এটা নিশ্চিত যে শক্তি প্রয়োগ করতে গেলে এসব ক্ষেত্রে সাধারণত হিতে বিপরীত কিছু হয়। ১/১১ তার বড় প্রমাণ। দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে রক্ষা করতে হলে দেশকে রাজনৈতিক পথেই হাঁটতে দিতে হবে। তা না হলে “উড়ে এসে জুড়ে বসাদের” দৌরাত্মে আমাদের সমস্ত রাজনৈতিক অর্জন ধূলিস্মাৎ হয়ে যেতে বাধ্য। যা কারোরই কাম্য নয়। তাই এক্ষেত্রে রজানীতিবিদেরা রাজনৈতিক বিবেচনা বোধ প্রসূত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সচল রাখবেন বলে সকলের বিশ্বাস।
১৭/০৯/২০১২
সিডনি, অস্ট্রেলিয়া।
মন্তব্য
- যে কোন অনির্বাচিত সরকার তথা তত্ত্বাবধায়ক সরকার কখনো নির্বাচিত সরকারের বিকল্প হতে পারে না। কথাটা ১৯৯৬ সালে যেমন সত্য ছিল, ২০১২ সালেও একইভাবে সত্য।
- তত্ত্বাবধায়ক সরকার ধরনের ব্যবস্থা রাখা সিভিল-মিলিটারী আমলাতন্ত্রের ক্যু করার পথ উন্মূক্ত করে দেয়। এটা প্রমাণিত সত্য।
- যে সরকারের একটা জাতীয় নির্বাচন করার মতো গ্রহনযোগ্যতা বা আস্থা নেই সেই সরকারের হাতে পাঁচ বছরের জন্য দেশের শাসনভার তুলে দেয়াটা কীভাবে গ্রহনযোগ্য হতে পারে!
- ১৯৯১ হতে আজ পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংঘটিত ৪টি জাতীয় নির্বাচনের প্রত্যেকটির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। অর্থাৎ, ব্যবস্থাটির সার্বজনীন গ্রহনযোগ্যতা কখনোই ছিল না।
- নির্বাচিত সাংসদদের দিয়ে অনির্বাচিত সরকার বানিয়ে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব আরেকটি বিপদজনক ব্যবস্থা।
সংসদে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাশ হবার পর আদালতে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করাটা কি আর দরকার ছিল? সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলে ভবিষ্যতে যে কোন সময় ক্ষমতাসীন দল এমন আইন আবারো প্রনয়ণ করতে পারবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
নতুন মন্তব্য করুন