চেকমেইট

অবনীল এর ছবি
লিখেছেন অবনীল (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৭/১১/২০০৮ - ১০:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রুমে ঢোকার সাথে সাথে সবকটা চোখ ওর দিকে ঘুরে গেল।

একজন মেয়ের সৌন্দর্য্য অবলোকন করার সময় কেউ কেউ শুরু করেন মাথা থেকে, তারপর নিচের দিকে নামেন। আমি শুরু করি গোড়ালি থেকে, তারপর উপরে উঠি।

তার পরনে ছিল একজোড়া কালো মখমলের হাই-হিল জুতো আর একটা আঁটসাট কালো জামা, যা নিখুঁততম সরু একজোড়া পাকে দৃশ্যমান করে হাটুর উপরে এসে থমকে গেছে। আমার চোখজোড়া উপরের দিকে উঠতে উঠতে তার সরু কোমর আর ক্রিড়াবিদের মত দেহের উপর কিছুক্ষন থামল। কিন্ত আমাকে সবচেয়ে বিমোহিত করলো তার ডিম্বাকার মুখাকৃতি, হাল্কা পুর ঠোঁট আর আমার দেখা বৃহত্তম নীল নীল চোখ, যার উপরে অভিষিত ঘন, কালো, ছোট করে কাটা চুল যা আক্ষরিক অর্থেই দ্যুতিময়তা প্রকাশ করছিল। পারিপার্শ্বিকতার কারনে তার প্রবেশ ছিল আরো শ্বাসরুদ্ধকর। কোন কূটনীতিক অর্ভ্যথনা, সামাজিক ককটেল পার্টি, কিংবা দাতব্য কোন অনুষ্ঠানে মাথা ঠিকই ঘুরত, কিন্তু একটা দাবা প্রতিযোগিতায়...

আমি তার প্রতিটা চালচলন অনুসরন করছিলাম, হামবড়ার মত তাকে খেলোয়াড় হিসেবে মেনে নিতে পারছিলাম না। সে ধীরপায়ে ক্লাব সেক্রেটারীর টেবিলের দিকে হেঁটে গেল আর আমাকে ভুল প্রমানিত করে নাম নিবন্ধন করল। তাকে একটা নাম্বার সম্বলিত কার্ড হস্তান্তর করা হল, যা তার অভিষেক ম্যাচের প্রতিদ্বন্দ্বী নির্দেশ করে। যাদের তখনো প্রতিদ্বন্দ্বী নির্ধারিত হয়নি তাদের প্রত্যেকেই অপেক্ষা করে দেখছিল সে তাদের কারো বোর্ডের বিপরীত প্রান্তে অবস্থান নেয় কিনা।

খেলোয়াড়টি তাকে দেওয়া নাম্বারটা চেক করলো আর রুমের দূরের কোনায় বসে থাকা একজন প্রবীন ভদ্রলোকের কাছে পথ করে নিয়ে চলে গেল, একজন প্রাত্তন ক্লাবের ক্যাপ্টেন যার শ্রেষ্ঠ সময় এখন অতীত।

ক্লাবের নতুন ক্যাপ্টেন হিসেবে আমার দায়িত্ব ছিল এইসব রাউন্ড-রবিন ম্যাচগুলোকে উৎসাহিত করা। প্রতি মাসের শেষ শুক্রবারে আমরা হাই স্ট্রীটের ম্যাসন আর্মসের একদম উপরের বড় ক্লাবঘরের মত রুমটাতে একত্রিত হই। বাড়ীওয়ালার হাতে দায়িত্ব থাকে যেন আমাদের জন্য ত্রিশটা টেবিল আর পর্যাপ্ত পরিমানে খাবার-পানীয়র ব্যবস্থা করা থাকে। জেলার আর তিন-চারটা ক্লাব আধ ডজন প্লেয়ার পাঠায় দুটা ব্লিৎস গেম খেলার জন্য, সু্যোগ হয় নতুন প্রতিদ্বন্দ্বীদের মোকাবেলা করার যা সচরাচর হয়ে ওঠে না। খেলার নিয়ম-কানুন খুবই সোজা, প্রতিটা চালের জন্য ঘড়িতে এক মিনিট করে সময়, তাই কদাচিৎ কোন খেলা এক ঘন্টার বেশী চলে, আর যদি ত্রিশ চালের মধ্যে কোন বড়ে কাটা না পড়ে তা হলে খেলা ড্র ঘোষনা করা হয়। খেলার মাঝে ছোট্ট পানীয় পান বিরতি, বিজীতের দ্বারা পরিশোধ করা, সবারই সন্ধাটাতে দুজন প্রতিপক্ষের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা নিশ্চিত করে।

চোখে অর্ধচন্দ্রাকৃতির চশমা আর গাঢ় নীল থ্রী-পিস স্যুট পরা একজন রোগাকৃতির ভদ্রলোক আমার বোর্ডের দিকে এগিয়ে এলো। আমরা হেসে করমর্দন করলাম। আমার ধারনা একজন উকিল, কিন্ত পরে বের হল উনি ওকিং এর একজন স্টেশনারী সরব্রাহকারীর একাউন্ট্যান্ট।

প্রতিপক্ষের ভালভাবেই অনুশীলন করা মস্কো ওপেনিংয়ের উপর মনোযোগ ধরে রাখা আমার জন্য কষ্টকর হয়ে পড়ছিল কারন চোখ থেকে থেকে বোর্ড ছেড়ে কালো জামা পড়া মেয়েটির উপর ঘোরাফেরা করছিল। একবার আমাদের চোখাচোখি হলে সে একটা হেঁয়ালিপূর্ণ হাসি উপহার দিল, কিন্তু চেষ্টা করা সত্বেও দ্বিতীয়বার আর ওই সাড়া পেলাম না। অন্যমনস্ক থাকা সত্বেও একাউন্ট্যান্ট ভদ্রলোককে হারাতে সক্ষম হলাম, দেখে মনে হলো উনি বোধহয় জানেন না যে সেভেন-পন এট্যাক থেকে বের হবার একাধিক উপায় আছে।

হাফ-টাইম ব্রেকে বারে পৌছানোর আগেই তিনজন ক্লাবের মেম্বার তাকে পানীয় পানের প্রস্তাব দিয়ে বসল। জানতাম মেয়েটির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচটা খেলার আশা নেই কারন অভ্যগত টিম ক্যাপ্টেনদের একজনকে আমার সাথে খেলায় আহবান করতে হবে। বস্তুত, শেষমেস তার ঐ একাউন্ট্যান্ট ভদ্রলোকের সাথেই খেলা পড়লো।

চল্লিশ মিনিটের কিছু বেশী সময়ের মধ্যে নতুন প্রতিপক্ষকে হারিয়ে দিলাম এবং, একজন সেবাদানে ব্যগ্র আমন্ত্রাতা হিসেবে, অন্যান্য যেসব খেলাগুলো চলছিল সেগুলোতে আগ্রহ দেখাতে শুরু করলাম। একটা বৃত্তাকার পথে এমনভাবে হাঁটা শুরু করলাম যেন শেষে ওর টেবিলে গিয়ে হাজির হই, দেখতে পাচ্ছিলাম যে একাউন্ট্যান্ট ভদ্রলোক ইতিমধ্যেই আধিপত্য বিস্তার করে ফেলেছেন আর আমি পৌছাবার কিছুক্ষনের মধ্যেই সে তার কুইন আর খেলা দুটোই হারাল।

তাকে আমার পরিচয় দিলাম আর আবিস্কার করলাম তার সাথে করমর্দনই একটা যৌন অভিজ্ঞতা হতে পারে। আমরা ধীরপায়ে এঁকেবেকে টেবিলগুলোর মধ্য দিয়ে একসাথে বারে আসলাম। তার নাম, সে বললো, আমান্ডা কার্জন। আমান্ডার জন্য তার অনুরোধ অনুযায়ী একগ্লাস রেড ওয়াইন আর আমার জন্য হাফ-পিন্ট বিয়ার এর ওর্ডার দিলাম। তার পরাজয়ের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে কথা শুরু করলাম ।

”আপনি তাকে হারালেন কিভাবে?” সে জিজ্ঞেস করলো।
“হারিয়ে দিলাম আরকি,” বললাম আমি। “কিন্তু খুবই ক্লোজ ম্যাচ ছিল। বুড়ো ক্যপ্টেনের সাথে আপনার প্রথম খেলাটা কেমন হল?”
“স্টেইলমেট,” আমান্ডা বললো। “কিন্তু মনে হয় উনি ভদ্রতা করেছেন।“
“শেষবার যখন উনার সাথে খেলেছিলাম ওটা স্টেইলমেট হয়েছিল”, আমি বললাম।
সে হাসলো। “হয়তো কোন সময় আমাদের একটা গেম খেলা উচিত?”
“সেটার জন্য প্রতীক্ষা করব,” সে তার ড্রিঙ্ক শেষ করতে করতে বললাম আমি।
“যাহোক, আমার এখন যেতে হবে,” হঠাৎ সে ঘোষনা করলো। “হোন্সলোউ এর শেষ ট্রেনটা ধরতেই হবে।“
”আমার গাড়ী করে আপনাকে পৌছে দিতে দিন,“ কেতাদুরস্ত ব্যক্তির মত বললাম, “স্বাগতিক ক্যাপ্টেনের কাছে অন্ত্যত এটুকু আশা করাই যায়।“
“কিন্তু আপনার জন্য দূর হয় যাবে নিশ্চই?”
“একদমই না,” মিথ্যা বললাম, হোন্সলোউ আমার ফ্ল্যাট পেরিয়ে আরো বিশ মিনিটের পথ। বিয়ারের শেষবিন্দুটুকু গলাধঃকরন করে আমান্ডাকে তার কোট পোরতে সাহায্য করলাম। বের হয়ে যাবার আগে বাড়ীওয়ালাকে দক্ষতার সাথে সন্ধ্যার প্রস্ততি সম্পন্ন করার জন্য ধন্যবাদ জানালাম।
তারপর আমরা ধীরপায়ে কারপার্কে এসে ঢুকলাম। আমার স্কিরোক্কোর [ভক্সওয়াগনের একটি মডেল - অনুবাদক] প্যাসেনজার ডোর খুলে আমান্ডাকে উঠে পরার সুযোগ করে দিলাম।
”লন্ডনের যানবাহনের চেয়ে কিছুটা উন্নত,” আমি আমার সাইডে উঠে পড়লে সে বলে উঠল। আমি হেসে উত্তরদিকে যাত্রা শুরু করলাম।
“এখনো হাতে অনেক সময় আছে,” ক্লাবের সন্ধ্যা নিয়ে কিছু অবান্তর কথাবার্তার পর সাহস করলাম। “পানীয় পানের জন্য কি একবার আমার ওখানে নামবেন?”
”তাড়াতাড়ি করতে হবে”, ঘড়ির দিকে তাকিয়ে সে জবাব দিল, “কালকে আমার অনেক কাজ আছে।“
”অবশ্যই”, আমি বলে চল্লাম, আশা করতে থাকলাম ঘুরপথটা যে মোটেই হোন্সলোউ এর নয় তা যেন ওর নজরে না পড়ে।
“শহরে কি কোন কাজ করেন?” জিজ্ঞেস করলাম।
”হ্যাঁ, বার্কলে স্কোয়ারে একটা এস্টেট এজেন্টদের ফার্মের রিসেপসনিস্ট আমি।“
“অবাক লাগছে যে আপনি মডেল নন।”
”ছিলাম একসময়”, সে ব্যাখ্যায় গেল না। মনে হলো কোন পথে যাচ্ছি সে ব্যপারে তার কোন খেয়ালই নেই, সে তার ইবিজার ছুটির প্ল্যান নিয়ে খোশগল্প করে চললো। বাসায় পৌছাবার পর গাড়ি পার্ক করে আমান্ডাকে সামনের গেট দিয়ে পথ দেখিয়ে ফ্ল্যাটে নিয়ে আসলাম। সামনের রুমে নিয়ে আসার আগে হলরূমে তাকে কোট খুলতে সাহায্য করলাম।
“কি পান করবেন?” জিজ্ঞেস করলাম।
“ওয়াইনেই থাকি, যদি আপনার বোতল খোলা থাকে।“ অস্বাভাবিকভাবে গোছানো রুমটা ঘুরে দেখতে দেখতে সে জবাব দিল। মা নিশ্চই সকালবেলায় এসে ঘুরে গেছেন। ক্ৃতজ্ঞতার সাথে ভাবলাম।
”শুধু একটা ব্যাচেলরের ঘরমাত্র।“ রান্নাঘরে যাবার আগে বললাম, “ব্যাচেলর” শব্দটার উপরে জোর দিয়ে। ভাঁড়ারঘরে একটা মুখবন্ধ ওয়াইনের বোতল পেয়ে আস্বস্ত হলাম। কিছুক্ষন পরে দুটো গ্লাস আর বোতলটা সাথে নিয়ে আমান্ডার কাছে গিয়ে দেখি সে দাবা বোর্ডটা পর্যবেক্ষন করছে আর হাতির দাতের তৈরী কোমল গুটিগূলোর ওপর আঙ্গুল বুলাচ্ছে, যেটা পত্রমাধ্যমে খেলতে থাকা একটা গেমের জন্য সাজানো ছিল।
”কি সুন্দর সেট,” এগিয়ে দেয়া ওয়াইনের গ্লাসটা সে হাতে নিল। “কোথায় পেলেন?”
”মেক্সিকো,” বললাম তাকে, ব্যাখ্যায় করলাম না যে ওটা ছুটি কাটাতে গিয়ে একটা টুর্নামেন্টে জিতেছিলাম। “আমার শুধু আফসোস যে আমরা নিজেরা এক দান খেলার সুযোগ পেলাম না।“
সে হাতঘড়িতে চোখ বুলালো, “দ্রুত এক দান খেলে ফেলা যাক,” সাদাগূটি গুলোর পেছনে বসতে বসতে বললো।
দ্রুত তার উলটো দিকে অবস্থান নিলাম। ও হেসে একটা সাদা আর একটা কালো বিশপ তুলে নিয়ে পেছনে লুকালো। তার জামাটা আরো চেপে বসে তার বুকের আকৃতিকে সুস্পষট করে তুললো। তারপর সে মুষ্টিবদ্ধ হাতদুটো আমার সামনে ধরলো। আমি তার ডানহাত ছুঁলাম আর সে হাত ঘুরিয়ে একটা সাদা বিশপ মেলে দিল।
”কোন ধরনের বাজী থাকবে নাকি?” হালকাস্বরে জিজ্ঞেস করলাম। সে তার ইভনিং ব্যাগ চেক করলো।
”আমার কাছে শুধু কয়েক পাউন্ড আছে,” সে বললো।
”আমি আরো কম বাজিতে খেলতে রাজী আছি।“
”কি ভাবছেন?” সে জিজ্ঞেস করলো।
”আপনি কি দিতে পারবেন?”
”আপনার কি পছন্দ?”
”জিতলে আপনি দশ পাউন্ড পাবেন।“
”আর যদি হারি?”
”আপনি একটা কিছু খুলে ফেলবেন।“
শব্দগুলো বলার পরক্ষনেই আফসোস হতে লাগলো আর অপেক্ষা করতে লাগলাম কখন সে আমার গালে চড় দিয়ে চলে যাবে, কিন্তু সে শুধু বললো, “একটা গেমে ওতে তেমন কোন ক্ষতি নেই।”
সম্মতিসূচক মাথা ঝাঁকিয়ে বোর্ডের দিকে তাকিয়ে থাকলাম।

সে খারাপ খেলোয়াড় ছিল না – পেশাদাররা যাকে বলেন প্যাটার – যদিও তার রূক্স ওপেনিং ছিল কিছুটা অর্থোডক্স। কয়েকটা বড়ের বিনিময় খেলাটা বিশ মিনিট ধরে চালাতে সক্ষম হলাম যাতে ব্যাপারটা দৃষ্টিকটু না হয়। যখন বললাম “চেকমেইট”, সে তার জুতো জোড়া লাথি মেরে খুলে ফেলে হাসলো।
“আরেকটা ড্রিংক চলবে?” বেশি আশান্বিত বোধ না করে জিজ্ঞেস করলাম। “এখনো তো এগারোটাই বাজেনি।“
”ঠিক আছে, অল্প একটু আর তারপরে আমাকে যেতেই হবে।“
আমি রান্নাঘরে গেলাম, মূহুর্তের মধ্যে বোতলটা আঁকড়ে ধরে ফিরে এসে ওর গ্লাসটা ভরে দিলাম।
”আমি শুধু আধা গ্লাস চেয়েছিলাম,” সে ভ্রু কুঁচকে বললো।
”ভাগ্যের জোরে জিতে গেছি”, ওর মন্তব্যটা অগ্রাহ্য করে বললাম, “আপনার বিশপ আমার নাইট কেটে ফেলার পর। চরম কাছাকাছি ভাবে শেষ হয়েছে।“
”হতে পারে,” সে জবাব দিল।
”আরেক দান খেলবেন?” সাবধানে জিজ্ঞেস করলাম।
সে ইতঃস্তত করলো।
”ডবল অর কুইটস?
”মানে?”
”বিশ পাউন্ড অথবা আরেকটা পোশাক?”
”আজকের রাতে আমাদের কেউই বেশী কিছু হারাবে না, তাই না?”
আমি বোর্ডটা ঘুরিয়ে দিতে দিতে সে চেয়ারটা টেনে বসলো আর আমরা হস্তিদন্ত দ্বারা তৈরী গুটিগূলো জায়গামতো বসাতে লাগলাম।

দ্বিতীয় গেমটার শুরুতেই একটা কাঁচা কাজ করে ফেলায় আরেকটু বেশি সময় লেগে গেল, কুইনের দিকে ক্যাসলিং, আর কয়েকটা চাল লেগে গেল সামলে উঠতে। তারপরেও, ত্রিশ মিনিটের মধ্যে গেমটা শেষ করে ফেললাম আর আমান্ডার অলক্ষে তার গ্লাসটা ভরে দেওয়ার সময়ও বের করে নিলাম।
সে আমার দিকে তাকিয়ে হেসে আচমকা টান দিয়ে তার জামাটাকে এতটাই উপরে উঠিয়ে ফেললো যে তার মোজার উপরিভাগ দেখতে পেলাম। সে কটিবন্ধনীগুলো খুলে ফেললো আর ধীরে ধীরে মোজাদূটো খুলে টেবিলের পাশে রাখলো।
”আপনাকে প্রায় হারিয়েই দিয়েছিলাম,” সে বললো।
”প্রায়”, জবাব দিলাম। “সমান সমান হবার আরেকটা সুযোগ নেবেন নাকি? ধরেন এবার পনচাশ পাউন্ড।“ আমি পরামর্শ দিলাম, চেষ্টা করলাম যেন প্রস্তাবটা মহৎ শোনায়।
”পণের পরিমানটা আমাদের দুজনের জন্যই বেড়ে যাচ্ছে, “ – বোর্ডটা সাজাতে সাজাতে সে জবাব দিল। আমি মনে মনে ভাবতে শুরু করলাম ওর মনে কি ঘটে চলেছে। তা যেটাই হোক, সে শুরুতেই বোকার মত নৌকাদুটো উৎসর্গ করলো আর কয়েক মিনিটের মধ্যে খেলাটা শেষ হয়ে গেল।

আরেকবার সে তার জামাটাকে উপরে তুললো কিন্তু এইবার কোমরের বেশ খানিকটা উপরে। যতক্ষন ধরে ও তার কটিবন্ধনীটা খুললো আমার চোখদুটো ওর উরূর উপরে আটকে থাকল, সে ওটাকে আমার মাথার উপরে উচু করে ধরে ছেড়ে দিল আর সেটা টেবিলের পাশের রাখা ওর মোজাগূলোর সাথে যুক্ত হলো।
”দ্বিতীয় নৌকাটা হারাবার পর,” সে বললো, “আমার আর কোন সু্যোগ ছিল না।”
”আমি একমত। এইজন্য আপনাকে আমার আরেকটা সুযোগ দেয়া উচিত,” দ্রুত বোর্ডটা সাজাতে সাজাতে বললাম, “সব সত্ত্বেও”, যোগ করলাম, “আপনি কিন্তু এইবার একশ পাউন্ড জিততে পারেন।” সে হাসলো।
“আমার কিন্তু আসলেই এখন বাসায় ফেরা উচিত,” কুইনের সামনের বড়েটাকে দুইঘর সামনে ঠেলে দিয়ে সে বললো। আমি বিশপের বড়ে দিয়ে পাল্টা জবাব দিলে সে তার সেই হেঁয়ালিপূর্ণ হাসিটা হাসলো।

পুরো সন্ধ্যার মধ্যে এটা তার সেরা খেলা ছিল আর তার ওয়ারশ গ্যাম্বিটের ব্যবহার আমাকে ত্রিশ মিনিটের উপরে বোর্ডে ধরে রাখলো। সত্যি বলতে কি আমি শুরুতেই প্রায় হারতে বসেছিলাম কারন আমার পক্ষে ওর প্রতিরক্ষা কৌশলের উপর যথাযথভাবে মনঃসংযোগ প্রদান করাই কঠিন হয়ে পরছিল। বেশ কয়েকবার সে মুখ টিপে হেসে উঠলো যখন সে মনে করছিল সে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে, কিন্তু এটা স্পষ্ট হয়ে উঠলো যে সে কারপভের অসম্ভব অবস্থান থেকে জিতে আসা সিসিলিয়ান ডিফেন্স খেলা দেখেনি।

”চেকমেইট,” আমি ঘোষনা দিলাম অবশেষে।
”ধ্যাৎ,” সে বলে উঠলো, আর উঠে দাঁড়িয়ে আমার দিকে পিছন ফিরলো। “আমাকে আপনার একটু সাহায্য করতে হবে।“ কাঁপতে কাঁপতে, সামনে ঝুঁকলাম আর ধীরে ধীরে চেইনটা নামাতে থাকলাম যতক্ষন না তা তার পিঠের সরু অংশে পৌছায়। আবারো ইচ্ছা হলো তার মসৃন, মাখনের মত ত্বকটা ছুঁতে। সে একপাকে আমার দিকে ঘূরে দাঁড়ালো, সাবলিল ভাবে কাঁধ ঝাঁকালো আর, যেন একটা মুর্তির অবগুন্ঠন খোলার মত জামাটা মাটিতে খসে পড়লো। সামনে ঝুঁকে সে আমার গালটা হাত দিয়ে ছুঁয়ে দিল, এলেক্ট্রিক শকের মতই তা আমার উপর প্রভাব ফেললো। বোতলে শেষ যা ছিল তা ওর গ্লাসে ঢেলে দিয়ে আমারটা ভরার কথা বলে রান্নাঘরে চলে গেলাম। যখন ফিরলাম সে নড়েনি। শুধু একটা পাতলা ব্রা আর প্যান্টি এখন আমি অপসারিত করার আশায়।

”আমার মনে হয় না আপনি আরেকটা গেম খেলবেন?” জিজ্ঞেস করলাম, চেষ্টা করলাম যেন মরিয়া না শোনায়।
”আমার মনে আপনার এখন আমাকে বাসায় পৌঁছে দেবার সময়,” ফিকফিক করে হেসে বললো সে।
আরেক গ্লাস ওয়াইন ওর হাতে তুলে দিলাম। “শুধু আর একটা,” আমি মিনতি করলাম। “কিন্তু এইবার দুইটা পোশাকের জন্য।“
সে সশব্দে হেসে উঠলো। “অবশ্যই না,” সে বললো। “আমার আর হারার সামর্থ নেই।“
”এইটা শেষ গেম হবে,” আমি একমত হলাম। “কিন্তু এবার দুইশ পাউন্ড আর আমরা খেলব উভয় পোশাকের জন্য।“ আপেক্ষা করতে থাকলাম, আশা করতে থাকলাম বাজীর পরিমানটাতে সে যেন প্রলুব্ধ হয়।“সম্ভাবনার পাল্লা অবশ্যই আপনার দিকে ভারী। সব সত্ত্বেও, আপনি কিন্ত তিনবার প্রায়ই জিতেই গিয়েছিলেন।“ সে তার পানিয়তে এমনভাবে চুমুক দিল যেন প্রস্তাবটা বিবেচনা করছে। “ঠিক আছে,” সে বললো, “শেষ চেষ্টা।“

সে হারলে কি ঘটবে সে ব্যাপারে আমরা কেউই কোন অনুভূতি প্রকাশ করলাম না।

যখন বো্র্ডটা আরেকবারের মত সাজালাম আমি কম্পমান অবস্থা থেকে নিজেকে নিবৃত করতে পারছিলাম না । মনটাকে পরিস্কার করলাম, আশা করি আমি যে সারারাতে শুধু একগ্লাস ওয়াইন পান করেছি সেটা সে খেয়াল করেনি। খেলাটা তাড়াতাড়ি শেষ করার জন্য আমি দ্ৃঢ়ভাবে সংকল্পবদ্ধ ছিলাম।
আমার কুইনের বড়েটাকে একঘর সামনে আগালাম। সেও তার রাজার সামনের বড়েটাকে দুইঘর সামনে ঠেলে সমান জবাব দিল। নির্ভুলভাবে জানতাম আমার পরবর্তী চাল কি হওয়া দরকার আর সেজন্য খেলাটা শুধু এগারো মিনিট টিকলো।

আমার জীবনে আমি কখনও এমন ব্যাপকভাবে হারিনি। আমান্ডা আমার জন্য পুরোপুরিভাবে অন্যশ্রেণীর ছিল। সে আমার প্রতিটা চাল আগে থেকেই অনুমান করতে পারছিল আর এমন সব গ্যাম্বিট খেললো যার আমি কখনো মুখোমুখি হইনি বা কোথাও পড়িনি।

এইবার তার “চেকমেইট” বলার পালা, যেটা সে আগের সেই একই হেঁয়ালিপূর্ণ হাসি দিয়ে উচচারন করলো, আর যোগ করলো, “আপনি তো বলেইছিলেন এইবার সম্ভাবনার পাল্লা আমার দিকে ভারী ছিল।”
অবিশ্বাসে আমি মাথা নিচু করলাম। যখন মাথা তুলে তাকালাম, সে ততক্ষনে সুন্দর সেই কালো জামাটা পরে ফেলেছে, আর মোজা আর কটিবন্ধনী তার ইভনিং ব্যাগের ভেতরে ভরে ফেলেছে। মুহূর্তের মধ্যেই সে তার জুতো পরে ফেললো।

আমি চেকবুক বের করলাম, “আমান্ডা কারজন” নামটা লিখলাম আর “£২০০” সংখ্যাটা, তারিখ আর স্বাক্ষর যোগ করলাম। যখন এটা করছিলাম সে হস্তিদন্তের তৈরী গুটিগুলো হুবহু সেইভাবে সাজিয়ে রাখলো যেমনটি ছিল যখন সে ঘরে ঢুকেছিল। সে নিচু হয়ে আলতোভাবে আমার গালে চুমু খেল। “ধন্যবাদ,” চেকটা হাতব্যাগে ঢুকাতে ঢুকাতে বলে উঠলো। “আমাদের আবার কোন সময় খেলা উচিত।“ যখন বাইরের দরজা বন্ধ হবার শব্দ শুনলাম আমি আবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে সাজানো বোর্ডটা দেখছিলাম।

”এক মিনিট,” দরজার কাছে ছুটে গিয়ে আমি বললাম, “আপনি বাসায় ফিরবেন কিভাবে?”
আমি কোনমতে দেখার সময় পেলাম যে সে সিঁড়ি দিয়ে দ্রুত নেমে গেল একটা দরজা খোলা বিএমডব্লিউ এর দিকে। আমাকে আরেকবার লম্বা সরু পাদুটো দেখার সুযোগ করে দিয়ে সে উঠে পড়লো। গাড়ীর দরজা বন্ধ হতে হতে সে হাসল।

একাউন্ট্যান্ট ভদ্রলোক ধীরপায়ে চালকের সাইডে গেল, উঠলো, ইঞ্জিন চালু করলো আর বিজয়ীনিকে বাসায় নিয়ে গেল।

[জেফ্রি আর্চারের ছোট গল্পের সংকলন ‘আ টুইস্ট ইন দ্যা টেইল’ এর ‘চেকমেইট’ গল্পটির বঙ্গানুবাদ।]


মন্তব্য

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

বেশ লাগলো। অনেক বিদেশী গল্প পড়েছি অনুবাদের সহজলভ্যতায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অনুবাদকের নাম ভুলে গেছি। এ কারণে শুরুতেই আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জেফরি আর্চারের গল্প অনুবাদ করে পড়ার সুযোগ দিয়েছেন।

পাঠক হিসেবে কিছু সমস্যার কথা বলি। পড়তে গিয়ে হোঁচড় খেয়েছি কিছু শব্দের ব্যবহারে। মনে হয়েছে, ইংরেজী থেকে শব্দানুবাদ করতে গিয়ে এমন হয়েছে।

But it was the oval face that I found captivating, slightly pouting lips and the largest blue eyes that I've ever seen, crowned with a head of thick, black, short-cut hair that literally shone with luster. Her entrance was all the more breathtaking because of the surrounding she had chosen.

এ অংশকে আপনি বাংলা করেছেন এভাবেঃ

কিন্ত আমাকে সবচেয়ে বিমোহিত করলো তার ডিম্বাকার মুখাকৃতি, হাল্কা পুর ঠোঁট আর আমার দেখা বৃহত্তম নীল নীল চোখ, যার উপরে অভিষিত ঘন, কালো, ছোট করে কাটা চুল যা আক্ষরিক অর্থেই দ্যুতিময়তা প্রকাশ করছিল। পারিপার্শ্বিকতার কারনে তার প্রবেশ ছিল আরো শ্বাসরুদ্ধকর।

অনুবাদের সুত্রে 'বিমোহিত', 'ডিম্বাকার মুখাকৃতি', 'অভিষিত', 'দ্যুতিময়তা' , 'পারিপার্শ্বিকতার' ; এরকম শব্দ ঠিক আছে। কিন্তু কেনো জানি পড়তে আরাম পাই না। মনে হয় কেমন যেনো কঠিন হয়ে গেছে কিংবা আরও সহজ করে এসব কথা বলা যেতো...।
এরকম শব্দ ব্যবহার গল্পের অন্যান্য অংশকেও অমসৃণ করেছে।

মার্জনা করবেন, অবনীল, উপরের কথাগুলো কোনো রকম সমালোচনা বা পরামর্শ - উপদেশ নয়। পাঠক হিসাবে এটা আমার একান্তই ব্যক্তিগত অনুভূতি।

আপনার আরও অনুবাদ গল্প পড়ার অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ।

অবনীল এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই শিমুল। আসলে অন্যদের কথা জানি না, কিন্তু আপনার মত সব পাঠকদের কাছ থেকে এই রকম সুচিন্তিত মতামতই আমি আশা করে বসে থাকি। আপনার মতামত অবশ্যি আমার পরবর্তি অনুবাদের সময় আমি মাথায় রাখবো। অনুবাদের সময় সবসময় যে দ্বন্দ্বতে আমি পড়ি তা হলো আমার কতটূকূ স্বাধীনতা প্রয়োগ করা উচিত, আর ভাবানুবাদের ক্ষেত্রে কতটুকূ পরিবর্তন গ্রহনযোগ্য। আশা করছি, ভবিষ্যতে ওই ভারসম্যটা আরও ভালভাবে টিকিয়ে রাখতে পারবো। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।

___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা

রণদীপম বসু এর ছবি

আমি ভাই ইংরেজী কানা মানুষ।
তবে লেখার শেষে এসে যখন বুঝলাম যে এটা একটা গল্পের অনুবাদ, আপনার জন্য দুঃখবোধটা তখনি স্তিমিত হলো। কী আশ্চর্য, প্রথম দিকে আমি বুঝতেই পারি নি যে এটা কোন সত্য ঘটনা নয় !

এক দিক কানা বলেই হয়তো বাংলা রসভোগে কোন সমস্যাই হয নি আমার। বরং হতাশ হয়েছি ঘটনাটা যে সত্য নয় তা জেনে।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আগুন জিনিষ। চলুক

কিন্তু অলওয়েজ লেইট লতিফ হয়ে থাকলে এই জীবনে আর কিছু হওয়া হবেনা এক ধুসর গোধূলি হওয়া ছাড়া! চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অবনীল এর ছবি

হাহাহাহা, অসংখ্য ধন্যবাদ রনদীপমদা !

থ্যাঙ্কস, ধুসর গোধুলী চোখ টিপি

___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

গল্পটা ভালো লাগলো পড়ে। অনুবাদটা অবশ্যই... নিয়মিত পড়ার আগ্রহ থাকলো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অবনীল এর ছবি

থাঙ্কু । স্টকে আছে, দেকি এরপর কোনটা বের করতে পারি দেঁতো হাসি

___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

গল্প ও অনুবাদ দুটোই ভাল লাগল।

অবনীল এর ছবি

আপনার ভাল লেগেছে শুনে আমারো ভাল লাগলো হাসি

___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা

রানা মেহের এর ছবি

আমার এক বন্ধু বললো
এ গল্পটা নাকি যায়যায়দিনে এসেছিল?
অনুবাদ ভালো লেগেছে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অবনীল এর ছবি

ধন্যবাদ। যায়যায়দিনেরটা আমি পরিনি, কোন সংখ্যাতে বেরিয়েছিল জানালে জোগাড় করার চেষ্টা করবো।

___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা

অবনীল এর ছবি

@অনিন্দিতা চৌধুরী - ধন্যবাদ। ভালো লেগেছে জেনে আমারো ভালো লাগলো দেঁতো হাসি
@রানা মেহের - যায়যায়দিনের অনুবাদ সম্পর্কে ধারণা নেই। তবে আপনার বন্ধু যদি কোন সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল বলেন তাহলো যোগাড় করার চেষ্টা করবো। ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ।

___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা

মাহবুব লীলেন এর ছবি

দুর্দান্ত গল্পের দুর্ধর্ষ্ অনুবাদ

অবনীল এর ছবি

ধন্যবাদ লীলেনদা, আপনার কমেন্ট পেয়ে আরো ভালো লেখা উপহার দেবার জন্য উদ্দীপ্ত হলাম। হাসি

___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা

গৌরীশ রায় এর ছবি

আপনার অনুদিত “চেকমেইট” যায় যায় দিনে অনুদিত হয়ে প্রকাশ হয় ২০০৪ এ ঈদ সংখ্যা অথবা ভালবাসা সংখ্যায়
নাম ছিল “চেকমেট”... আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে যায় যায় দিনে প্রকাশিত চেকমেট এবং আপনার চেকমেইটের বাক্য গঠন বা শব্দ চয়ন হুবুহু এক যদি স্মৃতি আমাকে প্রতারিত না করে |
অনলাইনে খুঁজে পাইনি | পেলে আপনাকে লিংক দিতে পারতাম | ধন্যবাদ |

অবনীল এর ছবি

একই লেখা থেকে অনুদিত দুইটা অনুবাদ কাছাকাছি হওয়াই স্বাভাবিক । আমার এই অনুবাদটা করা গত কয়েকদিন ধরে। তবে কৌতুহল রয়ে গেল, যোগাড় করার চেষ্টা করব।

___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা

তানবীরা এর ছবি

অবনীল, সত্যি সত্যি আপনি দুশো পাউন্ড হারেননি জেনে সুখী হলাম। শিমূলের মতো আমিও বলবো সোজা বাংলা এই গল্পটাকে আরো আকর্ষনীয় করবে।
আরো চাই।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অবনীল এর ছবি

হাহাহাহা, না ভাই আমি অত ভাল দাবাড়ু না, স্কুলে থাকতে একবার খালি ইন্টার স্কুল প্রতিযোগিতায় ভাল করেছিলাম, ব্যাস এইটুকুই। বাজী ধরে খেলার মত সাহস নেই, হাহাহাহা।

___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা

খেকশিয়াল এর ছবি

হাহাহা জোস গল্প, তোর অনুবাদও জটিল হইসে, চালায়া যা ! তবে কিছু কিছু জায়গায় যদি সহজ সাবলীল বাংলা ব্যবহার করতি তাইলে আরো জোস হইত । দোস্ত, স্টিফেন কিং এর কিছু অনুবাদ কর এইবার ।

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

অবনীল এর ছবি

হ্যা, ওই ব্যাপারটা খেয়াল করতে হবে। স্টিফেন কিং এর অনুবাদের ইচ্ছা আছে। দেখি কি পারি কিনা।

___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা

মুস্তাফিজ এর ছবি

মজার গল্প, ভালো লাগলো

...........................
Every Picture Tells a Story

অবনীল এর ছবি

ধন্যবাদ, মুস্তাফিজ ভাই। ঃ)

___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা

s-s এর ছবি

সুপ্রিয় সুহৃদ : জেফ্রি আর্চারের গল্প- ওয়াও! ভালো লেগেছে অনুবাদ। শুভাশীষ।

জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা

অবনীল এর ছবি

ধন্যবাদ সুপ্রিয় সুহৃদ।

___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

সত্য বলি- অনুবাদ ব'লে ধারণাও করা যায়নি পড়তে বেলায়। এইটা সাফল্য বটে অনুবাদকের। মানে, আপনি অনুবাদ করেননি, আপনি বাংলা সাবলীলতায় উপস্থাপন করেছেন সত্যিকারের এক নতুন রূপ, যা মৌলিকতার চেয়ে কম সুন্দর কিছু নয়।
বেশ ভালো লেগেছে অবনীল আপনার লেখা।
আর, হ্যাঁ, জেফ্রি আর্চারের টেইল আর ট্যুইস্ট দু'টোই বেশ উপাদেয়।
অনেক ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন, এই অতি-উপভোগ্য দাবাচালাচালির জন্য। হাসি

-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

অবনীল এর ছবি

আপ্নাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। আরো ভাল লেখা উপহার দেবার অনুপ্রেরনা পেলাম আপনার মন্তব্য থেকে।

___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।