ডিজিটাল বাংলাদেশে বইয়ের বাজার নিয়ে বাড়তি ভাবনা

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর (তারিখ: মঙ্গল, ১৭/০২/২০০৯ - ৩:২৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মিউজিক দুনিয়া এই বিপদ টের পায় সবার আগে। বিশেষ করে সিডির দুনিয়াতে। একটা এ্যালবাম প্রকাশ হয়, সেটা যতোটা জনপ্রিয় হয় ততোটা বিক্রি হয় না। কারন সব কপি হয়। এক সিডি কিনে সব বন্ধু স্রেফ কপি করে। (লোকে পঞ্চাশ টাকা দিয়ে একটা সিডি কিনতে রাজী হয় না, কিন্তু ত্রিশ টাকা দিয়ে আর মাসে মাসে বিল দিয়ে মোবাইলের রিঙটোন ডাউনলোড করে) মন খারাপ
সিডি শুধু কপি হয় তা না, ইন্টারনেটে খুব দ্রুতই গানটা পাওয়া যায়। এখন আর নতুন গান প্রায় কিন্তেই হয় না। সবই ইন্টারনেট থেকে নামানো সম্ভব। এগুলা ঠেকানোর অনেক চেষ্টা হইছে কিন্তু ঠেকানো যায় নাই।
তাই এখন অনেকেই গানের এ্যালবাম রিলিজ করে নিজেরাই ইন্টারনেটে ছাড়ে। তাহলে এ্যালবামের খরচ ওঠে কেম্নে? স্পন্সরের মাধ্যমে।

নাটক সিনেমাতেও এটা হয়। সিনেমার পাইরেসি ঠেকাতে অনেক চেষ্টা হচ্ছে, কিন্তু লাভ হচ্ছে না কিছুতেই। আগে নাটক প্রচার হলে পরদিনই সেটার ভিডিও বাজারে কিন্তে পাওয়া যেতো। রোজভ্যালী ফিল্ম ফেয়ারে এখনো পুরনো সব নাটক সিনেমা পাওয়া যায়। এমনও হইছে বিটিভিতে জমা দেওয়া প্যাকেজ নাটক অনএয়ারের আগেই বাজারে ভিডিও পাওয়া গেছে।

অডিও নিয়া কথা বলবো না, আমি নাটকের লোক, সেই পথ নিয়াই কথা বলি...
তখন আমাদের অফবিট নাটকটা মাত্র প্রচার হইছে। একদিন টিঙ্কু ভাই (আমার সাবেক সাংবাদিক সহকর্মী) ফোন করে বললো এটার ভিসিডি বাজারে ছাড়ার ব্যাপারে। নাটকের ভিসিডি ডিভিডির রমরমা ব্যাবসা তখনো শুরু হয় নাই। আমি তার সাথে আলাপ করলাম। সেটা নিয়া কথা বললাম। আমি বুঝলাম যে নাটকের ভিসিডি এমনিতেই অবৈধভাবে বাজারে আসবেই। তারচেয়ে আমরাই কেনো এটাকে বৈধভাবে বাজারে আনবো না? এতে তো কিছু লাভও হবে। তো সেই চিন্তা থেকে অফবিটের ভিসিডি স্বত্ব বিক্রি করে দিলাম লেজার ভিশনের কাছে।
আমি এখনো মনে করি নাটকটা এতোটা জনপ্রিয় হওয়ার পিছনে গানের অবদান তো আছেই, আর আছে এই সিদ্ধান্তটার অবদান। লোকে ভিসিডি কিনে দেখতে পারছে। নাইলে অনেকেই নাটকটা দেখতেই পেতো না।

এর পরপরই নাটকের ভিসিডি ডিভিডির রমরমা বাজার শুরু হলো। আমরা আগে চ্যানেলে নাটক বিক্রি করেই যা টাকা পেতাম, এখন ডিভিডি রাইট বিক্রি করেও কিছু বাড়তি মুনাফা হতে লাগলো। পর পর দুইটা মেগা সিরিয়ালের ডিভিডি স্বত্ব বিক্রি করে আমরা বেশ বড় অঙ্কের টাকাও পেলাম।

এর পর অবশ্য চ্যানেলগুলো নিজেরাই এই বিজনেস ধরে ফেললো। এখন চ্যানেলগুলো নাটক কেনে ডিভিডি রাইট সহ। অবশ্য এর জন্য বাড়তি কিছু টাকা দেয়।

(ব্যস্ততার মধ্যে খুব গুছায়ে লিখতে পারছি না, ভাবনাটাও প্রকাশ করতে পারছি কী?)

যা হোক... যেজন্য এতো আপ্যাঁচাল...
এখন দুনিয়া পাল্টাইছে। বই আকারে বই পড়ার মজা অবশ্যই আছে। কিন্তু এখন দিনে দিনে বাংলাদেশ ডিজিটাল হচ্ছে। ইবুক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। অডিও আর ভিডিও জগতের মতো এতোটা না হলেও ধীরে ধীরে বিকাশিত হচ্ছে। বই বাজারে এর প্রভাব পড়বে না, বা পড়ছে না তা বলা শক্ত।
একটা পর্যায়ে অডিও আর ভিডিও ওয়ালারা যেমন নতুন উদ্যোগ নিতে বাধ্য হইছিলো... নতুন তরিকা খুঁজে নিছিলো... নিচ্ছে... প্রকাশকরাও কী তেমন কিছু করবেন? করতে বাধ্য হবেন? নাকি ঠেকাবেন? ঠেকাতে পারবেন?

যদি নতুন পথে হাঁটতে হয় তাইলে সেই পথটা কী হইতে পারে?


মন্তব্য

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

বইয়ের অডিও এমপি থ্রি। অডিও-বুক।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হো হো হো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

হাসেন কেন? ঠিকই তো বলছে। আমি প্রায় সপ্তাহে ৬ ঘন্টা (যেতে আসতে) করে ১২ ঘন্টা ড্রাইভ করি। সম্প্রতি রিচার্ড ডকিন্সের অনেক গুলো অডিও-বই ডাউনলোড করছি। শুনে শুনে পড়া হয়ে যাবে। এরকম বাংলা বইয়ের ক্ষেত্রে শিঘ্রী হবে। আই-পড, আই-ফোন আর স্মার্ট ফোন তো আসা শুরুই করেছে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

তানবীরা এর ছবি

ভালো আবৃত্তি আমরা সিডিতে দেদার শুনছি। এমনকি কয়দিন আগে হুমায়ূন আহমেদের বেশ কয়েকটা ছোট গল্প এক সাথে এক সিডি কোম্পানী বাজারে ছেড়েছে। আস্তে আস্তে আমরা উপন্যাসেও অভ্যস্ত হয়ে যাবো, গাড়ীতে শুনব।

তবে পড়ার মজা পড়াতেই থাকবে।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমিও জানি আসবে। আসতেই হবে। প্রযুক্তি ঠেকিয়ে রাখা যাবে না। কিন্তু আমাদরে দেশের প্রকাশকদের অধিকাংশেরই নাক অনেক উঁচু। তারা কূলীনতা নিয়ে অনেক ভাবেন। এবং ইন্টারনেট জিনিসটা আমার চেয়েও কম বোঝেন। (অবশ্য নতুন প্রকাশকরা নতুন চিন্তা নিয়েই আসছেন... এখন তো প্রকাশকরা ব্লগারও)

সবকিছু নিয়েই ভাবছি। একটা আলাদা কমেন্টে আরো বিস্তারে লিখছি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

কয়েক বছর আগেই হুমায়ূন আহমেদের একাধিক উপন্যাসের সাথে অডিও সিডি দেখেছিলাম। কোন কোন উপন্যাসের সাথে, সেটা ভুলে গেছি এখন।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

কালকে প্রথম বই প্রকাশ হলো... এটা নিয়ে লিখতে চেয়েছিলাম... কিন্তু এই দৌড়ের মধ্যে সেটা লেখতে ইচ্ছে করলো না। পরে কোনোসময় হয়তো লেখবো।
কালকে সারাদিন দেশে আরেক ঝামেলা হইছে। টিভিতে জয়ার নিরুদ্দেশ সংবাদ প্রচার হচ্ছে ব্যাপক হারে। সেটা নিয়ে লোকজন খালি ফোন করে আসল কাহিনী জান্তে চায়। বিষয়টা নিয়ে ব্যাপক মেজাজ খারাপ আছে। ভেবেছিলাম সেটা নিয়ে লেখবো।
আর ভাবনায় ছিলো মনপুরা নিয়ে একটা লেখা দেওয়ার...

সবকিছুই বাকিতে থাকলো... ব্লগ লিখে পয়সা পাওয়া গেলে ভালো হইতো... চোখ টিপি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

কোন জয়া? ফয়সালের বৌ? কই হারালো? পাওয়া গেছে?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হ... ফয়সালের বৌ জয়া কদিন ধরে নিরুদ্দেশ... তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সবাই খুব উদ্বিগ্ন, তার বাড়ির সামনে অনেক লোকে ভীড় জমাচ্ছে খবর জানতে। এরকম একটা ব্রেকিং নিউজ, একেবারে নিউজের আদলে প্রচার হচ্ছে চ্যানেলগুলোতে। প্রফেশনাল সংবাদ পাঠক কাওছার মাহমুদ সে খবর পাঠ করছেন, স্পট রিপোর্টিং হচ্ছে...
এটা নিয়ে তো পাব্লিক খুব উদ্বিগ্ন... সবাই খালি জিগায় জয়ার কী হইছে? কার লগে ভাগছে?
এই প্রশ্নের জবাব দিতে দিতে পেরেশান।
আসল কাহিনী হইলো এইটা একটা বিজ্ঞাপন। একটা মোবাইল ফোন কোম্পানির বিজ্ঞাপন। পরে খোলাসা করা হবে।

ফাইজলামিটা ভালো লাগে নাই। মেজাজ চ্রম খ্রাপ...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

এ-ই যদি আসল কাহিনী হয়, তাহলে ব্যাপারটা চ্রম ফাইজলামি মনে হইলো। কনজ্যুমার সাইকোলজি নিয়ে খেলাটা খুব রিস্কি। এই অধিকার মোবাইল কোম্পানীটারে কে দিলো?

বাই দ্য ওয়ে, বিজ্ঞাপনটা কোনোভাবে ইউটুওবে দেয়া যায়? দেখতে ইচ্ছে করছে...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমাদের দেশের মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলার দাপট এখন চ্রম। লাখ লাখ লোকের আবেগ নিয়ে ফাইজলামি করতে তারা পিছপা হয় না। মানুষের আবেগ এখন তাদের ফাইজলামির বিষয়...
এটা নিয়ে মেজাজ খারাপের চেয়েও বেশি। কিন্তু জানি এটা নিয়ে কেউ কিছু বলবে না। কারন সবাই মোবাইল কোম্পানিগুলোর কাছে বন্দি। কিনে নিছে পুরা মিডিয়ারে তারা।

আর আমারে বললেন ইউটুওবে দিতে? আর লোক পাইলেন্না? আমি তো এখনো ইউটুওব দেখারই যোগ্য হই নাই... মন খারাপ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে, ফাইলটা আমার কাছে মেইলে পাঠান, আমি তুলে দিবো
চোখ টিপি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভাইরে... আমি এইসব জটিল জিনিস কম পারি... এই দেশে এমন কোনো মুমিন বান্দা কী নাই যে এই কাজটা করতে পারে?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- জয়া না একবার ঊনসত্তুর-এও নিরুদ্দেশ হইছিলো? চিন্তিত

আপনের হারায়ে খুঁজি এইমাত্র দেখলাম। কড়ড়া সমালোচনা নিচে দিলাম।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

থার্ড আই এর ছবি

চ্যানেল আইয়ে আপনার স্বাক্ষাতকারে আপনাকে খানিকটা নার্ভাস দেখাচ্ছিল, মাইনষেরে ক্যামরাতে ধরেন,এইবার নিজেই ক্যামরার সামনে নিজের বই নিয়া কথা বলছেন। সেই অনুভূতি নিয়ে লেখাদেন। বইয়ের জন্য অভিনন্দন।

ব্লগ লিখে পয়সা পাওয়া গেলে ভালো হইতো।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

তাইলে একটা ঘটনা কই... আমাদের প্রতিটা মেগা সিরিয়ালের আগে একটা করে প্রমোশনাল বানানো হয়। সবগুলার প্রমোশনালই আমি বানাইছি। এখানে সকলের ইন্টারভিউ নিছি, কিন্তু আমি কখনোই দেই নাই। যেহেতু আমি নিজে বানাইছি তাই এই চুরিটা করতে পারছি। কিন্তু সাড়ে তিন তলা সিরিয়ালটার সময় আর পারলাম না। সবাই চেপে ধরলো... আমার ইন্টারভিউ দিতে হবে।
তো এক সকালে ক্যামেরা রেডি, লাইট রেডি, চেয়ার রেডি, সবাই জোর করে ধরে সেখানে নিয়ে বসালো আমাকে... ক্যামেরা রোল চলে, আমার মুখ দিয়া কোনো কথা বের হয় না।
ক্যামেরার পিছে বসে আছে দিনার আর জয়া, আর ক্যামেরা চালাচ্ছে খসরু। তারা তো আমাকে মহা ক্ষ্যাপানো, দেখ ব্যাটা... খুব তো ক্যামেরার পিছে থেকে খালি চিল্লাস এভাবে না, ওভাবে, এটা হয় নাই... এবার নিজে করে দেখ কেমন লাগে...
একটা দুই মিনিটের ইন্টারভিউ দিতে আমার আধাঘন্টা লাগছিলো।

টিভিতে যে শুভসন্ধ্যা টাইপ অনুষ্ঠানগুলা হয়, সেখানে বার কয়েক যেতে হইছিলো... প্রতিবারই আমি কাঠের মতো শক্ত হয়া ছিলাম।

আমি একেবারেই ক্যামেরাভীতু... স্টিল ক্যামেরার সামনেও।

ক্যামেরার পিছে হাতী ঘোড়া মারতে পারি...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

দেশের বাজারে খুব একটা না থাকলেও বাইরের বাজারে অডিও বুক আছে অনেক দিন ধরে। আমাদের ছাত্রজীবনে ক্যাসেটে রিচার্ড বার্টনের গলায় জিবরানের "প্রফেট" শুনেছি। অমন কিছু জোরেশোরে বাজারে আসলে "বই পড়া" ব্যবসাতে নেমে পড়ব। কারণ আপনার মত বইতো আর লিখতে পারবো না, তাই আপনার বই পড়ে এমপিথ্রি ফরম্যাটে বাজারে ছেড়ে পয়সা কামাবো।

একটা অনুরোধ করছি সচলের সকল লেখককে। যখনই কোন বই লিখবেন (উপন্যাস হোক, কবিতা বা গল্প বা প্রবন্ধ সঙ্কলন হোক), তখনই জিনিষটা পাণ্ডুলিপি থাকা অবস্থাতেই কপিরাইটের জন্য আবেদন করে দিন। বিষয়টা ব্যয়সাপেক্ষ নয়, অন্ততঃ বই চুরির তুলনায় এই ব্যয় কিছুই নয়। পলাশ চোরা, জুলফিকার চোরার মত চোর অসংখ্য। তাদের বেশির ভাগকেই আমরা locate করতে পারব না। এমন কি জানতেও পারব না যে বই চুরি গেছে। কপিরাইট স্বত্ত্ব মোটামুটি কম সময়েই পাওয়া যায়। বই ছাপা হতে হতে কপিরাইট স্বত্ত্ব পেলে সংবাদপত্রে এ ব্যাপারে একটা ছোট বিজ্ঞপ্তি দিন। তাহলে মুজিব ভাইয়ের বইয়ের মত ঘটনা ঘটলে মন খারাপ করে ব্যানার হাতে প্রতিবাদ করতে হবে না। হুজুরদের দ্বারে দ্বারে অভিযোগ করতে হবে না। তখন মামলা ঠুকে দিলে মূল চোরাসহ সব উদ্দীনদেরকে শ্বশুরবাড়ী থেকে ঘুরিয়ে আনা যাবে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হুম... ভালো কথা বলছেন তো... ঠিকাছে... এখন থেকে যা লেখবো সব কপিরাইট কিনে রাখবো। কিন্তু এটা কিভাবে কোথায় করে?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

কীর্তিনাশা এর ছবি

যদি নতুন পথে হাঁটতে হয় তাইলে সেই পথটা কী হইতে পারে?

আমিও জানতে চাই........

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

যদিও সরাসরি প্রসঙ্গের আওতায় নয়, তবুও আলোচনা করি।

আগামীদিনের টিভি, রেডিও কি হবে সেটা এখনই বলে দেয়া যায়। ইন্টারনেট এনাবল মিউজিক ডিভাইস (বা স্মার্ট ফোন) এখনই মানুষের হাতে হাতে। ২০১০ এর মধ্যে ইন্টারনেট এনাবলড টিভিতে সয়লাব হয়ে যাবে বাজার।

সুতরাং ইন্টারনেট ভিত্তিক রেডিও আর টিভি চ্যানেল আসতে শুরু করবে। ইনফ্যাক্ট এরকম বেশ কয়েকটি রেডিও চ্যানেল অলরেডী আছে। যেমন music.fm, raphsody.com। গতমাসে এসেছে ইন্টারনেট ভিত্তিক টিভি চ্যানেল: hulu.com।

এতে আপনার কি লাভ? আপনি আপনার পছন্দ মত, নিজের সময় মত, পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠান দেখার/শোনার সুযোগ পাচ্ছেন। প্রতিষ্ঠানগুলোর কি লাভ? তারা আপনাকে কাস্টোমাইজড বিজ্ঞাপন অনেক বেশী মাত্রায় সেল করতে পারছে।

বইয়ের ক্ষেত্রে কি ঘটতে পারে? টেকস্ট থেকে স্পীচ কনভার্ট করার টেকনলজী এখন মানুষের আছে। সুতরাং অনলাইন রেডিও চ্যানেল খোলা যেতে পারে শুধুমাত্র বই-পড়া শোনার জন্য।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

শাহ্ আসাদুজ্জামান এর ছবি

কপিরাইটের ধারণাটি চিরন্তন নয়।

ডিজিটাল ব্যবস্থার আগমনে যে বাড়তি ভাবনা এসেছে নজরুল ভাইয়ের মনে, তার দুটো দিক আছে --

১) মানুষের ভাব বিনিমিয়ের মাধ্যমের বিকাশ, সেটা মুখের ভাষার আবিষ্কার থেকে শুরু করে লেখ্য ভাষা, ছাপাখানা পেরিয়ে এখন আন্তর্জাল পর্যন্ত। সেটা হয়েছে সহজ থেকে সহজতর উপায়ে এক মানুষের ভাবনা স্থান এবং কালের সীমানা পেরিয়ে অন্য মানুষের মনে পৌছে দেবার তাড়না থেকেই। আরো হয়তো হবে।

২) তথ্যের উতপাদক যিনি, মানে সৃষ্টিশীল লেখক, গায়ক, চিত্রকর, ভাবুক -- তাদের জীবিকা নির্বাহ। প্রাক-পুজিবাদী সমাজে সচরাচর এই সৃষ্টিশীল ভাবুক দল হয় রাজ-পৃষ্ঠপোষকতায় নতুবা জন-সাহায্যে লালিত হয়েছেন। পুজিবাদী সমাজে পণ্যীকরণের (commoditization) স্বাভাবিক প্রবণতায় একে একে সব কিছুর মত সৃষ্ট তথ্য/লেখা/শিল্প ইত্যাদিও পণ্যীকৃত হয়েছে। এবং স্বাভাবিক ভাবেই সৃষ্টিশীলদের লালন-পালনের ভার এই পণ্য-বিনিময়ের হাতেই গিয়ে পড়েছে।

ভাব-বিনিময় মাধ্যমের বিকাশের প্রতিটি ধাপে এই তথ্য-পণ্যের বিনিময় প্রক্রিয়ায় একটা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে। ছাপা-মাধ্যমের উতপত্তিকালে সৃষ্ট দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্যই কপিরাইট জাতীয় নিয়মের উদ্ভব। এখনকার ডিজিটাল আমলে আবার যে নতুন সংঘাত দেখা দিয়েছে, তাতে ভাবনাগুলো আবা নতুন করে দেখা দেবে বৈকি। সংঘাতের টানাপড়েনেই হয়ত এক সময়ে এর মীমাংসা হবে। এর জন্যে আগে ভাগে মানসিক প্রস্তুতি অবশ্যই জরুরী। সেদিক থেকে লেখাটা গুরুত্বপূর্ন।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

মূলত ৩ টি মডেল অনুসরণ করা যায়। এই বিষয়ে একটা জরিপ হলে মন্দ হত না।

১) আইটিউনসের মত খুচরো ভাবে গান/নাটক কেনার মডেল।
২) ব্রডব্যান্ডের মত একটি নির্দিষ্ট 'মেম্বারশিপ ফি'-র বিনিময়ে সম্পূর্ণ আর্কাইভে প্রবেশাধিকার।
৩) অনুষ্ঠানের মাঝেই বিজ্ঞাপন জুড়ে দিয়ে সেই কপি উন্মুক্ত করে দেওয়া।

অবশ্যই প্রাথমিক শর্ত হল একটি কার্যকর ডেটাবেজ তৈরি করা। এই কাজটি গোড়া থেকে শুরু করা খুবই কষ্টকর। এর পরিবর্তে বর্তমান সাইটগুলোকেও সাথী করা যায়।

প্রাথমিক পর্যায়ে বিভিন্ন সাইটের লিংক সংগ্রহ করা হোক। আর্কাইভের ওয়েবসাইট থেকে সেদিকে রি-ডাইরেক্ট করা হবে।

দ্বিতীয় পর্যায়ে এই ওয়েবসাইটগুলোকে হাই-কোয়ালিটি ভিডিও দেওয়া হোক। এটা ভোক্তার জন্যও ভাল। ওয়েবসাইটগুলো মূলত গুগুল অ্যাডের সৌজন্যে বেঁচে থাকে। ধরা যাক নাটকের স্পন্সর লিভার ব্রাদার্স। নাটকের মাঝেই লিভার ব্রাদার্সের অ্যাড থাকলে হাই-কোয়ালিটি ভার্সনে। এ-থেকে খুব বেশি নাড়া-চাড়া না করেই খুব সহজে সবাই খুশি থাকতে পারেন।

তৃতীয় পর্যায়ে চাইলে একটি ডাউনলোড কাউন্টার তৈরি করা যায়। সেই আলোকে প্রযোজক-পরিবেশক-পরিচালকেরা আনুপাতিক লাভ নেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারেন।

আমার মতে, তৃতীয় মডেলটি অনেক বেশি বাস্তবসম্মত। বাইরের গতি ও আকার বিবেচনায় অনুষ্ঠানগুলো বাইরের ওয়েবসাইটেই হোস্ট করতে হবে। সেটার খরচ তুলে আনার জন্য গুগুল অ্যাড (কিংবা চাই কি প্রবাসী বাঙ্গালি কম্পানির অ্যাড!) এর বিকল্প নেই। দেশীয় বাজারের কোম্পানিগুলোও বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারবে। সবচেয়ে ভাল ব্যাপার, এই কপিগুলো উন্মুক্ত ভাবে ছড়িয়ে দেওয়া যায় গ্রামে-গঞ্জেও। বিজ্ঞাপন তো সাথে যাচ্ছেই!

জাহিদ হোসেন এর ছবি

আলোচনার বিষয়টি নতুন নয়। আমার মনে যে প্রশ্নটি জাগে যে সত্যিই কি একদিন কাগজের বই বলে কিছু থাকবে না? আমেরিকাতে জানি ই-বুক পাওয়া যায়, কিন্তু আমি আজ পর্যন্ত কাউকে বাসে-প্লেনে বসে ই-বুক পড়তে দেখিনি। এখানকার দৈনিক বাসযাত্রীরা সবসময়েই হাতে পড়ার জন্য কিছু একটা রাখে। তা সে বই হোক, বা খবরের কাগজই হোক। ই-বুক তাহলে কিনছে কারা? পড়ছে কারা?
ব্যক্তিগত ভাবে আমি সময় পেলে ছাপা বইই পড়ি। কাগজের গন্ধ না পেলে বই পড়ার অর্ধেক মজাই তো চলে গেল।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ছাপার বইকে নিরুতসাহিত কেউ করছে না। অনলাইন বই এলে যে বই ছাপা বন্ধ করে দিতে হবে তা বলছি না। কিন্তু প্রয়োজনের তাগিদে বিকল্প এ মাধ্যমটি অবশ্যই দাঁড়িয়ে যাবে। তখন প্রকাশকরা কোন অবস্থান নেবেন বা নিতে পারেন সেটাই আলোচনা করার চেষ্টা।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সজারু এর ছবি

আমারো তাই প্রশ্ন ? প্রকাশকরা কোন অবস্থান নেবেন ?
_________________________

সর্বাঙ্গ কন্টকিত-বিধায় চলন বিচিত্র

_________________________

সর্বাঙ্গ কন্টকিত-বিধায় চলন বিচিত্র

জাহিদ হোসেন এর ছবি

ডিজিট্যাল মিডিয়া যে আসবেই, এটি জানা কথা। আমি আমেরিকার যে শহরে থাকি, সেখানে প্রায় পাঁচ-ছয় লাখ লোকের বাস। দৈনিক সংবাদপত্র মাত্র দুটি। ক'দিন আগে খবর এলো, যে তার মধ্যে একটি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে পয়সার অভাবে। সবাই নাকি এখন অনলাইনেই খবরের কাগজ পড়ছে (ঘটনা সত্য, আমি নিজেও তাই করি)। কিন্তু বইয়ের বাজারটি এখনো পর্যন্ত ঠিকই আছে এদেশে। আমার কেন জানিনে মনে হয় যে ভিসিআর আসবার পড় অনেকেই ভয় পেয়েছিলেন, যে লোকে হয়তো আর সিনেমা হলে গিয়ে মুভি দেখবে না। কার্যতঃ সেটা কিন্তু হয়নি। বইয়ের ব্যাপারেও হয়তো তাই ই হবে।
বাংলাদেশেও বইয়ের অডিও বা ই-বুক ভার্সন আসবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু সেটা কতখানি সফলতা পাবে সেটা দেখবার বিষয়।

(অফটপিক: নজরুল/সৈয়দ দেলগীর- আপনার মত লোকেদের ক্যামেরার পিছনে থাকাই ভাল। সামনে এলে আমরা অকস্মাৎ আমাদের স্ত্রীদের সামনে খুবই অনাকর্ষণীয় হয়ে পড়ি। ভাইরে-বড় চেষ্টাচরিত্র করে একখান বৌ পাইছি, তাও যদি হারাই তাহলে কই যাই?)

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

দেখেন... আমরা ডিভিডি কিনে ছবি দেখি... এদেশে শাকিব শাবনুর ছাড়া আর কোনো ছবি রিলিজ হয় না, তাই আমরা ডিভিডি কিনে দেখি... তাও আবার পাইরেটেড... কিন্তু যে ছবিগুলার ডায়লগ শুদ্ধা মুখস্ত কইতে পারুম... সেটাও যদি এখন সিনেমা হলে ছাড়ে... আমি সেই ছবিটাই তিনবার হলে গিয়া দেখুম।
এইটাই কথা... বইয়ের মজা বইতে... কিন্তু আপনারা যারা বিদেশে বসে আছেন... তারা যে অধীর আগ্রহে আমার লেখা বই পড়ার জন্য বসে আছেন চোখ টিপি তা তো জানিই... আপনারা চাইলেই তো আর বইটা হাতে নিতে পারছেন না... তাই বলে আপনারা কেন বঞ্ছিত হবেন?

অফটপিকে জবাবে: জাহিদ ভাই... পুনরায় দেশে আসলে ভাবীর সঙ্গে আমারে পরিচয় করায়ে দিয়েন তো... চোখ টিপি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অমিত এর ছবি

আমার কেন জানিনে মনে হয় যে ভিসিআর আসবার পড় অনেকেই ভয় পেয়েছিলেন, যে লোকে হয়তো আর সিনেমা হলে গিয়ে মুভি দেখবে না। কার্যতঃ সেটা কিন্তু হয়নি।

একেবারে বন্ধ না হলেও কমে গেছে অনেকখানি। আমি এখন নেহায়েত হাতে গোনা কিছু মুভি দেখি থিয়েটারে, বাকি গুলা ডিভিডি বের হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করি।

অমিত এর ছবি

kindle 2
একটা ট্রাই দিব নাকি ভাবছি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

নাটক আর অডিও নিয়ে খুব বেশি ভাবনা নেই। তারা তাল মিলিয়ে নিচ্ছেন, নিতে চেষ্টা করছেন। যদিও এখনো সাফল্য অনেকদূর... তবু কিছু কাজ হচ্ছে। এখন অডিও এ্যালবামের কভারে ডাউনলোড লিঙ্ক দেওয়া থাকে। নাটকের জগত ইন্টারনেটে এখনো বিস্তার লাভ করতে পারেনি। পুরোটাই অবৈধ উপায়ে আগাচ্ছে। এটা নিয়ে কী করা যায়? আমি ইন্টারনেটেও বাংলা নাটকের মার্কেট বাড়াতে আগ্রহী। স্রেফ পদ্ধতি জানলে অনেকেই আগ্রহী হবেন নিজেদের নাটক ইন্টারনেটে তুলে দিতে। এতে টিভি থেকে রেকর্ড করা নিম্নমানের নাটকের বদলে উচ্চ রেজুলেশনের নাটক দেখানো হয়তো সম্ভব। আমি এই প্রযুক্তি কম জানি। জানেওয়ালারা পরামর্শ দিতে পারেন।

কিন্তু বইয়ের জগত এক্ষেত্রে অনেক পিছায়ে আছে বলেই ধারণা করি। অন্যপ্রকাশ হুমায়ুন আহমেদের একটা বইয়ের অডিও ভার্সন বের করছে... কিন্তু সেটা চলে নাই। কারন বই পড়া আর আবৃত্তি যে এক বস্তু না সেটা তারা বোঝে নাই। উপন্যাস পড়াইছে কবিতা আবৃত্তির মতো।

ধরা যাক একই সঙ্গে একটা বই যদি কাগজে আর ইন্টারনেটে ছাড়া যেতো তাহলে সারা বিশ্বের পাঠকের কাছেই পৌঁছানো যেতো। এখন এই ২০০৯ সালে বসে বাংলা একাডেমির বইমেলায় না এলে না কিনলে এই বই পড়া যাবে না, এই তরিকা খুবই প্রাচীন মনে হইতেছে আমার কাছে। আমরা ঢাকায় থাকি... কিন্তু বিদেশ তো দূরের কথা, ঢাকার বাইরের লোকেরাই যে বঞ্ছিত হচ্ছে? এখন যেখানে ফোনে ইন্টারনেটে বিয়াও হয়ে যাচ্ছে সেখানে একটা বই পড়ার জন্য কেন এত কষ্ট করতে হবে? অবশ্যই এর একটা সমাধান সম্ভব। টেকিরা আর প্রকাশকরা মিলে গেলেই কাজটা হয়ে যাবে মনে হয়। কিন্তু চেষ্টাটা জরুরী। আমি সেই চেষ্টাটাই শুরু করার আবেদন জানাচ্ছি।

আরেকটা কথা... ধরা যাক যেসব বই প্রিন্ট আউট... যেমন মুক্তধারার বেশ কিছু বই... বাংলা একাডেমির বই... এসব আরকি...
এগুলার অনেকগুলোই আর ছাপানোর সম্ভাবনাই নাই। তাইলে কী এই জাতি এই বইগুলা আর কখনোই পড়তে পারবে না?
তারা না ছাপলে দিয়ে দিক... আমরা ইন্টারনেটে ছাড়ি... দরকার হলে টাকা পয়সা দিমু...

এসব কিছু নিয়েই ভাবতেছি আসলে... টুটুল ভাই লীলেন্দারা প্রকাশনার সঙ্গে জড়িত... তারা এই বিষয়ে কিছু বললে ভালো হয়।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হিমু এর ছবি

অনলাইনে প্রয়োজনে বইয়ের সাথে বিজ্ঞাপনও যোগ করা যেতে পারে খরচ ওঠানোর জন্য। লেখক ও প্রকাশক যাতে আর্থিক লাভ থেকে বঞ্চিত না হন, সেদিকটাতেও দৃষ্টি রাখা জরুরি।


হাঁটুপানির জলদস্যু

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

উদ্যোগ নেন্না... কপিরাইটের ঝামেলা নাই, অথবা কপিরাইট চাইলেই পাওয়া যাবে এমন কিছু বই দিয়ে আমরাই শুরু করতে পারি।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

পুরোটাই অবৈধ উপায়ে আগাচ্ছে। এটা নিয়ে কী করা যায়? আমি ইন্টারনেটেও বাংলা নাটকের মার্কেট বাড়াতে আগ্রহী। স্রেফ পদ্ধতি জানলে অনেকেই আগ্রহী হবেন নিজেদের নাটক ইন্টারনেটে তুলে দিতে। এতে টিভি থেকে রেকর্ড করা নিম্নমানের নাটকের বদলে উচ্চ রেজুলেশনের নাটক দেখানো হয়তো সম্ভব।

উপরের মন্তব্যে বলেছি কিছুটা। যদি আগ্রহী থাকেন, তাহলে টেকিদের সাথে মিলে কিছু করা খুবই সম্ভব। শুরুতে একটু বাজার বিশ্লেষণ দিয়ে শুরু করতে পারি আমরা। এর মধ্যেই natokonline.com নামে একটি ওয়েবসাইট অর্থের বিনিময়ে নাটক দেখাচ্ছে (চোরাই পন্থায়, অবশ্যই)। আপনি কষ্ট করে একটা কাজ করুন -- ভাল, বিখ্যাত, দর্শকপ্রিয় কিছু নাটকের তালিকা দিন, যা সুযোগ পেলে বৈধভাবে অনলাইনে আপলোড করা হবে। আমরা কিছু প্রচলিত বাংলা ওয়েবসাইটের মালিকদের সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারি এই বৈধ পন্থার সাথে জড়িত করার ব্যাপারে তাদের অভিমত কী।

ধরা যাক একই সঙ্গে একটা বই যদি কাগজে আর ইন্টারনেটে ছাড়া যেতো তাহলে সারা বিশ্বের পাঠকের কাছেই পৌঁছানো যেতো। এখন এই ২০০৯ সালে বসে বাংলা একাডেমির বইমেলায় না এলে না কিনলে এই বই পড়া যাবে না, এই তরিকা খুবই প্রাচীন মনে হইতেছে আমার কাছে।

এই ব্যাপার সমাধানের প্রথম ও প্রধান পদক্ষেপ হল ইউনিকোডে বাংলা বই প্রকাশ শুরু করা। এটি করা গেলে যে-কেউ নিজের মত করে বই প্রিন্ট করে নিতে পারবেন। বই একবার প্রুফ, প্রকাশনা, ইত্যাদির জন্য প্রস্তুত হয়ে গেলে তার অনলাইন সংস্করণ বিক্রয় করা সম্ভব নাম-মাত্র খরচে। ঠিক যেমন সচলায়তনের ই-বুক আমরা নিজের মত করে প্রিন্ট করে বাঁধাই করে নিতে পারি যে-কোন দোকান থেকে।

এই প্রক্রিয়াটি স্ট্রিমলাইন করবার জন্য একটি টেমপ্লেট দাঁড় করাতে হবে শুরুতে। নজরুল ভাই যদি আগ্রহী হন, তাহলে এই প্রক্রিয়া আপনার বই দিয়েই সূচনা করা যায়। ইউনিকোডে বইটি ইমেইল করে দিলে তার প্রিন্ট-রেডি ভার্সন অনলাইনে প্রকাশ করা সম্ভব।

আমি প্রস্তাব করছি জুবায়ের ভাইয়ের বইটিও ই-বুক হিসেবে প্রকাশ করা হোক অনলাইনে। সম্ভব হলে সচলায়তন সংকলনের ই-বুকও।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অনলাইনে নাটক কিভাবে বৈধভাবে রিলিজ করা যায় তার একটা পন্থা বলেন। ধরা যাক একটা নাটক যেদি চ্যানেলে প্রচারিত হবে, সেদিনই অনলাইনেও মুক্তি পাবে। পন্থা বলেন জলদি। একটা উদ্যোগ নেই।

আর বইয়ের ব্যাপারটা আসলে প্রকাশকের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে দেখা যায়। দেখি টুটুল ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আপনার পোস্টের চেয়েও বড় একটা রিপ্লাই লিখলাম... হারায় গেল! মেজাজ চ্রম খ্রাপ। ঠান্ডা হইলে আবার লিখুম নে। The page you requested does not exist না কী যেন কইলো। মন খারাপ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এই খবর শুনে তো এখন আমার মেজাজ চ্রম খ্রাপ...
বড় এবং দরকারী কমেন্ট লেখার সময় কন্ট্রোল সি মারবেন এখন থেকে... হেহেহে...

অপেক্ষায় রইলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শাহ্ আসাদুজ্জামান এর ছবি

ধরা যাক যেসব বই প্রিন্ট আউট... যেমন মুক্তধারার বেশ কিছু বই... বাংলা একাডেমির বই... এসব আরকি...এগুলার অনেকগুলোই আর ছাপানোর সম্ভাবনাই নাই। তাইলে কী এই জাতি এই বইগুলা আর কখনোই পড়তে পারবে না? তারা না ছাপলে দিয়ে দিক... আমরা ইন্টারনেটে ছাড়ি... দরকার হলে টাকা পয়সা দিমু

সাধু উদ্যোগ। চালিয়ে যান। সাথে আছি।

ভাঙ্গা মানুষ [অতিথি] এর ছবি

ডিজিটাল রিডার টাইপের কোনো যন্ত্র তৈরী করা যায় যেখানে নির্দিষ্ট টাকা এবং পাসওয়ার্ডের বিনিময়ে প্রকাশকেরা তাদের বই ইন্সটল করে দিতে পারে। এসব রিডারে বুকমার্ক, লেখার ব্যাকগ্রাইন্ড ও ফন্ট সাইজ, কালার ইত্যাদি কাস্টমাইজ করার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। বাংলাদেশের বাজারে ডিজিটাল ডিকশনারী ইতোমধ্যেই পাওয়া যায়। ডিজিটাল বাইবেলও নাকি বের হয়েছে, তবে সেগুলো সবই ওয়ান পিস; একটা নিডার, একটাই বই। যদি এমন রিডার তৈরী হয় যাতে ইচ্ছে মতো (মেমোরী অনুযায়ী) বই রাখা যাবে (পাইরেসির কারনে এগুলোকে পিসির সাথে এটাচ করার ব্যবস্থা না করে এমন যন্ত্রেস সাথে এটাচ করার ব্যবস্থা করা হোক যা শুধু প্রকাশকদের মালিকানায় থাকবে)।

আমি আমার মোবাইলে একটা জাভা বুক রিডার প্রোগ্রাম ব্যবহার করেছিলাম যেটাতে রাজ্যের বই (ইংরেজী) পড়া যেত, শুধু পিসি থেকে টেক্সট ফাইল হিসেবে মোবাইলে ঢোকালেই হলো। প্রোগ্রামটাতে লেখার ফন্ট বড়-ছোট, ব্যাকগ্রাইন্ড আর ফন্ট কালার বদলানো যেত; এমনকি অটো-স্ক্রলের ব্যবস্থাও ছিলো। বাতি নিভিয়েও পড়া যেত। এরকম একটা রিডার যদি তৈরী করা যেত (নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাসহ যাতে এমপিথ্রি-র মতো পাইরেটেড না হয়) তাহলে মনে হয় ভালো হতো; মানুষজন ভ্রমনের সময় গাদা গাদা বই সাথে নেওয়ার ঝামেলা থেকে বাঁচতো।

অমিত এর ছবি

আছে তো। আমার উপরের মন্তব্যের লিন্ক দেখেন।

অমিত এর ছবি

আছে তো। আমার উপরের মন্তব্যের লিন্ক দেখেন।

ভাঙ্গা মানুষ [অতিথি] এর ছবি

ভালোই তো! তবে ডিজাইনটা ভালোনা, বেশি চিকন; শুয়ে-বসে পড়ার সময় ধরে আরাম পাওয়া যাবেনা। আর দামও অনেক!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কড়ড়া সমালোচনা এইখানে বস।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তন্ময়রে পড়াইলেন ঠিকাছে কিন্তু সাবজেক্টাও খোলাসা কইরা দিলেন? আর অই মুনা মাইয়াটা কি এতোই নাদান যে এক বছর যাবৎ সারা ঢাকা শহর চইষা বেড়াইলো তন্ময়ের লাইগা অথচ একটা বার তার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্টে গেলো না! একটা পোলা কীসে পড়ে এইটা জানলে কি তারে (এক বছরেও) খুঁইজা পাওন মুশকিল‌? ক্যাম্পাসে গেলো তাও এক বছর পর, আর গেলো তো গেলো অরণ্য নামক এক আহাম্মকের কাছে! হালায় একটা আবুল।

বাদবাকী জিনিষ ভালো লাগছে। তয় আপনে বানাইলে জিনিষটা আরো ভালো হইতো। চয়নিকা চৌধুরীর কাজ ব্রিলিয়্যান্ট যদিও, কিন্তু লেখক হিসেবে আপনার মনের ভেতরে যে ছবিটা ছিলো সেটা দেখার চোখ পরিচালক হিসেবে চয়নিকা চৌধুরীর থাকার কথা না। আমি কিন্তু মোটেও চয়নিকা চৌধুরীকে খাটো করে দেখছিনা।

আচ্ছা, এই আলিফ ডেভিড'দার শিষ্য আলিফ না? একদা ফটো মডেলিং করতো! সাজিদ ভাই, ইমি, মিরপুরের ফারজানা- এদের গ্রুপের।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ধুর মিয়া... এগুলা দেখতে না করছি না? ক্ষ্যাপ নিয়া আমার কোনো আক্ষেপ নাই। আর এই স্ক্রিপ্ট লেখছি ২ বছর আগে। তারপর ধইরাও দেখি নাই। কী লেখছি না লেখছি তার কিছুই মনে নাই। আর নাটকটাও দেখি নাই। ফলে কিছুই কইতারুম না।
চয়নিকা চৌধুরীরে খাটো করার কিছু নাই... তিনি এমনিতেই খুব বেশি লম্বা না।
যেহেতু নাটকটা দেখি নাই, তাই বলতে পারতেছি না কোন আলিফের কথা বলছেন। তবে আলিফ বলতে একটাই তো পোলা কাজ করে মিডিয়ায়... সে একদা এবং এখনো ফটো মডেলিং করে, রেম্পও করে, নাটক করে, মিউজিক করে। থাকে মিরপুরের রূপনগরে। ডেভিডদা বলতে কি ডেভিড বারিকদার?
সাজিদ আপনের ভাই হয় নাকি?
আপনে এতো কিছু চিনেন কেম্নে? কাহিনী কী?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

পথ আছে মূলত ২ টা। আগে দেখা যাক আমরা কী কী হাসিল করতে চাচ্ছি। প্রয়োজনের মাপকাঠি অনুযায়ী অল্প কিছু দিয়ে শুরু করা যাকঃ

১) যত বেশি সংখ্যক দর্শকের কাছে অনুষ্ঠান পৌঁছে দেওয়া হোক।
২) বিজ্ঞাপন-ভিত্তিক বর্তমান ব্যবসায় মডেলের সাথে সঙ্গতি রেখেই কিছু করা হোক।
৩) বিদ্যমান অবকাঠামোর যতদূর সম্ভব সদ্ব্যবহার করা হোক।

এক্ষেত্রে নির্ণায়কগুলো নিম্নরূপঃ

১) কত প্রকারের অনুষ্ঠান দেখানো হবে।
২) কত ঘন ঘন নতুন অনুষ্ঠান যোগ করা হবে।
৩) আয়-ব্যয়ের বন্টন কীভাবে হবে।

এবার দেখা যাক মূল ২ টা পথের দিকে। আমি নিজের মত বলছি, টেকিরা পরে যোগ করে দিয়েন কিছু।

১) ইউটিউব
২) নিজস্ব পোর্টাল

কম সময়ে এবং প্রায় বিনা খরচে কিছু করতে চাইলে ইউটিউব সহজতম অপশন। বর্তমানে প্রায় সব চোরাই অনুষ্ঠানই ইউটিউব থেকে দেখানো হয়। হোস্টিং খুব সহজ, স্রেফ ১০ মিনিটের ক্লিপে কেটে কেটে আপলোড করলেই হল। নাটক আগেই আপলোড করে রাখা যায়। শেয়ারিং সেটিং "প্রাইভেট" থাকবে নাটক টিভিতে প্রচারের আগ পর্যন্ত। প্রচারের মুহূর্তে তা "পাবলিক" করে দিলেই হল। এই পথে প্রাথমিক ভাবে দর্শকদের চাহিদার ব্যাপারেও ধারনা পাওয়া যাবে।

[
যদি গৌরী সেনের মত বিনামূল্যে দেখাতে চান, তাহলে এটুকু পড়লেই হবে। বিনিময়ে জীবনে প্রথম বার কোরবানি দেওয়ার সময় আপনার নামে এক ভাগ কোরবানি দিয়ে বিলিয়ে দেবো নে। যদি মা লক্ষ্মীর দেখা পেতে চান, তাহলে বাকিটুকু্তে চোখ বুলাতে পারেন।
]

চাইলে অনুষ্ঠানের মাঝেই ৩০-৪০ সেকেন্ডের বিজ্ঞাপন ঢুকিয়ে দেওয়া যায়। এক অর্থে এটি নাটকের অংশ হয়ে যাবে। একাধারে নাটক দেখাতে চাইলে নিচে/পাশে বিজ্ঞাপন দেখানো যায় টুকটাক। বর্তমানে চোরাই নাটকে ৩ সপ্তাহ পুরনো খবর স্ক্রল করতে দেখতে পারলে ওটাও সইতে পারবো।

দ্বিতীয় পথটি দূর পাল্লার জন্য। এক্ষেত্রে ‌NBC, CBS, FOX ইত্যাদি টিভির ওয়েবসাইট ঘুরে দেখতে পারেন। "ফুল ভিডিও" অপশনে যেমনটা আছে, তা চাইলে প্রণয়ন করা যায়। এক্ষেত্রেও ভিডিও আগে আপলোড করে রাখা যায়। সমস্যা হবে নিজস্ব সার্ভার কেনা। সার্ভারটি অবধারিত ভাবেই বাইরের কোথাও হতে হবে, এবং এতে অনেক ব্যান্ডউইডথ লাগবে। নিজস্ব অনুষ্ঠানের আকর্ষনীয় লাইন-আপ না পাওয়া পর্যন্ত এমন কিছু করা অর্থহীন। এই পথের সুবিধা হল ইচ্ছামত বিজ্ঞাপন দেখাতে পারা। প্রতি ১৫ মিনিটের জন্য একটি ২ মিনিটের বিজ্ঞাপনের স্লট রাখা যায়। এই 'স্লটে' বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখানো যায়।

এবার তাকানো যাক বিদ্যমান অবকাঠামোর দিকে। বাংলাদেশি অনুষ্ঠানের দর্শক অনেক। আমেরিকান দর্শকদের তুলনায় আমাদের একটা বিশেষ সুবিধা আছে ডেমোগ্রাফি বিচারে। ইন্টারনেটে যেকোন কিছু প্রকাশের পেছনে মূল ভয় হল গ্রাহক হারানো। প্রকাশক ভয় পান ক্রেতা হারাবার, সংবাদপত্র ভয় পায় বিক্রি কমে যাওয়ার, টিভি চ্যানেলগুলো ভয় পায় কেবল টিভির গ্রাহক হারানোর।

বাঙালিদের নিয়ে তেমন ভয়ের কারণ নেই। যাঁরা বাসায় চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করেন, তারা আমার মত ল্যাপি'তে দেখা বান্দা নন। তাঁরা যেকোন অবস্থায়ই টিভিতেই দেখবেন অনুষ্ঠান। বরং আমার (বা আমার মা-খালার) মত যারা চোরাই দেখে, তারাও একটি বৈধ কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত হবেন। এক্ষেত্রে চাইলে বৈধভাবেই তাদের কাছ থেকে কিছু অর্থ নেওয়া যায়। এই চাঁদা নগণ্য হওয়া জরুরি, কারণ এই গ্রাহক-শ্রেণি আর্থিকভাবে দুর্বল। ইদানিং natokonline.com নামে একটি সাইট জনপ্রতি ৫ ডলার করে নিয়ে হাই-রেজ নাটক কয়েক ঘন্টার মধ্যে দেখাচ্ছে। কেউ কেউ সাবস্ক্রাইব করছেনও!

বাইরে সবাই ডিভিআর-এ অনুষ্ঠান রেকর্ড করেন প্রোগ্রাম করে। চোরাই সাইটগুলোয় এই ভিডিওই তুলে দেওয়া হয়। এটি যখন করা হচ্ছেই, তাহলে এই দক্ষ (?) জনশক্তিকেও কাজে লাগানো যায়। এই ওয়েবসাইটগুলো চলে গাঁটের পয়সায় (নিজের একটা চালু ওয়েবসাইট থাকার মধ্যে বিশেষ কুল-ফ্যাক্টর আছে) নয়তো গুগুল অ্যাডে। এদের মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু অনুষ্ঠান ইউটিউব/নিজস্ব সার্ভারে আপলোড করার দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া যায়। তারাও হাই-রেজ ও বৈধ ভিডিও আপলোড করে ট্রাফিক বাড়াতে পারবেন এতে করে। বিনিময়ে বিজ্ঞাপন ও নামমাত্র সাবস্ক্রিপশনের টাকা থেকে তাদের কিছু আনুপাতিক ভর্তুকি দেওয়া যায়।

বর্তমানে যেকোন অনুষ্ঠান সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে কোন প্রকার খরচ ছাড়াই। মাথার উপর কপিরাইটের খড়্গ নিয়ে এমটা করছে অনেকেই। যারা দেখছে, তারাও ভয়ে ভয়েই দেখছে। নিয়মিত এবং "অন-ডিমান্ড" ভিডিও পাওয়ার সুবিধার বিনিময়ে দু'চার ডলার খরচে তাদের আপত্তি নেই।

আরও একটি ব্যাপার উল্লেখ্য। এখানে বাংলাদেশি চ্যানেল নিতে হলে ডিশ নেটওয়ার্ক থেকেই নিতে হয় শুধু। তাদের কাছ থেকে ৪ ঘরের সেট নিতে হয়। বাংলাদেশি চ্যানেল নিতে হলে শত শত ইংরেজি চ্যানেলের বেসিক লাইন-আপও বাধ্য হয়ে নিতে হয়। সাকুল্যে মাসিক খরচ ১০০ ডলার মত। ১৫ ডলারের বাংলাদেশি চ্যানেল নেওয়ার জন্য তাই ৮০ ডলারের বাজনা বাজাতে হয় আগে।

হাইস্পিড ইন্টারনেট আজকাল অনেক বাসায়ই আছে। এর পেছনে খরচও মাসিক ৪৫ ডলার মত মাত্র। যাঁরা বাংলাদেশি চ্যানেল টিভিতে দেখেন, তাঁদের প্রায় ১০০ ভাগের বাসায়ই হাইস্পিড ইন্টারনেট আছে।

কম্পিউটার থেকেই টিভিতে ভিডিও দেখানোর জন্য স্রেফ একটা কর্ড লাগে। চাই কি দেশজ ভাবেই এই কর্ড বানিয়ে সবাইকে এককালীন দেওয়া যায় বিনামূল্যে। সাথে থাকবে মাসিক ২-৩ ডলারের ফি। যাঁরা আকাজে মাসিক কাড়ি কাড়ি ডলার গচ্চা দিচ্ছেন, তাঁদের অনেককেই এই দিকে ঘুরিয়ে আনা সম্ভব।

আরেকটা কী যেন মাথায় এসেছিল, ভুলে গেছি। অপেক্ষার সমাপ্তি হল? হাসি

অমিত এর ছবি

আমি বাজি ধরে বলতে পারি যে এই কর্ড লাগানোর ঝামেলার জন্যই অনেকে এই সার্ভিস নিতে আগ্রহী হবে না। এটলিস্ট যাদের ডিশনেটওয়ার্ক আছে তারা না। (আর মনে হয় না যে ৪ টা সেট নিতে হয় অথবা মাসে ৮০ ডলার লাগে খালি একটা বাংলা চ্যানেলের জন্য। এখন বেসিক সার্ভিস দিচ্ছে ১০ ডলারে))আমি ডিভিআর এ রেকর্ড করে যাব, কাজ শেষে বাসায় এসে দেখব। অনডিমান্ড ছাড়া এত ঝামেলাহীন পদ্ধতি আর কি হতে পারে !
একটা মান্থলি সাবস্ক্রিপশন ফি অথবা অ্যাড সহ বিনামূল্যে অনলাইনে স্ট্রিমিং করা সম্ভব।বিপুল সংখ্যক লোক অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে। তাদেরকেই এটার টার্গেট করা যায়।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হুম... বুঝলাম... কাহিনী করা সম্ভব... খাড়ান... একটু ভাইব্বা লই... আসিতেছে অচিরেই... চোখ রাখুন পর্দায়
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।