কী হচ্ছে ঢাকায়? কেন হচ্ছে?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৬/০২/২০০৯ - ৬:১৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সরকার এখনো আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। বেশ কজন মন্ত্রী আলোচনা করছেন। এবং বিকেলে বেশ অনেক বিডিআর আত্মসমর্পনও করেছে। প্রায় দেড়শ নারী শিশু জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে, ১৮ জন সেনা কর্মকর্তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বিডিআর গেটে সাদা পতাকাও ওড়ানো হয়েছে।

ঠিক তখন হুট করে সাভার ক্যান্টনমেন্ট থেকে সেনাবাহিনী মুভ করা শুরু করলো। এবং কিছুক্ষনের মধ্যে পুরো ধানমন্ডি এলাকা নিয়ন্ত্রনে নিলো। সামরিক অভিযানের জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত তারা। ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে পিলখানার দিকে।

তারা কার নির্দেশে এসেছে তা পরিষ্কার জানা যাচ্ছে না। উপরের মহলের নির্দেশ ছাড়া আর কিছু কেউ বলছে না। কিন্তু উপর মহলটা কে?

এইমাত্র সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর যমুনা বাসভবনে গেলেন।

সব যখন ভালোর দিকে যাচ্ছিলো। এবং বিডিআরের অনেকেই অস্ত্র ত্যাগ করেছে, সেই সময়ে সেনাবাহিনীর এই অবস্থান পুরো আলোচনা এবং শান্তির প্রক্রিয়াকেই ব্যাহত করলো। বস্তুত আর কোনো আলোচনার জায়গা বা উপায় রইলো না।

যদি এই অবস্থায় সেনাবাহিনী আক্রমন চালায় তাহলে তা হবে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ওয়াদার বরখেলাপ। এবং অমানবিক একটা কাজ। কিন্তু সেনাবাহিনী ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেরিয়ে এসেছে, তারা খালি হাতে ফিরে যাবে বলে মনে হয় না। সেনাপ্রধান আর প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।

তবে সার্বিক পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে সন্ধ্যা বা রাতেই সেনাঅভিযান পরিচালিত হবে। প্রধানমন্ত্রী কি তা থামাতে পারবেন?

ইতোমধ্যে বিডিআরের অনেক বিদ্রোহী পালাতে শুরু করেছেন। বেশ অনেকে র‌্যাবের হাতে ধরাও পড়েছেন। তাদের কী হবে?

আর যদি সেনা আক্রমন হয়... তাহলে সারা দেশেই বিডিআর সেনাবাহিনী যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়... তখন কী হবে?


মন্তব্য

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আগের পোস্টটির ওজন বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই সেখানে আর কমেন্ট করতে পারছিলেন না বা পড়তে পারছিলেন না। অনেকেই অনুরোধ করেছেন দ্বিতীয় আরেকটি পোস্ট দিতে... তাই দিলাম।

যতটুকু জানা সম্ভব আর বলা সম্ভব এই পোস্টে বলে যাবো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হিমু এর ছবি

আমার ধারণা এটি সম্ভবত বিডিআরের নেতৃত্বহীন বিশৃঙ্খল সশস্ত্র অবস্থাকে একটি কমন ভীতির নিচে নিয়ে আসার জন্য কৌশল। বিডিআর গতকাল সকাল থেকেই সেনাবাহিনীর হামলার ভয়ে ভীত। তাদের কোন সুশৃঙ্খল কমান্ড নেই, কিছু সুবেদার মেজর আর নায়েক টুকরো টুকরো গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছে। কোন গ্রুপ আত্মসমর্পণের পক্ষে, কোন গ্রুপ অস্ত্র ধরে রাখার পক্ষে। তাদের একটি একক আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্তে ঠেলে দেয়ার জন্যেই বোধহয় এই কাজ করা হচ্ছে। বিডিআরের ভেতরেও টেলিভিশন আছে, আমার ভুল না হলে একটু পর সব টিভিতেই অগ্রসরমান সাঁজোয়া বাহিনীর দৃশ্য টিভিতে দেখানো শুরু হবে।

সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিডিআর সশস্ত্র অবস্থায় কমান্ডিং অফিসারের নেতৃত্ব অস্বীকার করেছে। তাদের এই বিরুদ্ধাচরণকে প্রশমিত করে আবার একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীতে পরিণত করে সীমান্ত রক্ষার গুরুদায়িত্বটি সম্পন্ন করার দায় এসে চাপছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাঁধে। সাহারা খাতুনের জন্য মায়াই লাগছে এখন।

সেনাবাহিনীর যেসব অফিসার তাদের সহকর্মীদের ও সহকর্মীদের পরিবারের ক্ষতির কথা শুনেছেন, তাদের নিবৃত্ত রাখাও একটা দুঃসাধ্য কাজ হয়ে দাঁড়াবে।

হাওয়ার ওপর তাওয়া ভাজার লোকেরও অভাব নাই।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এই কৌশলের কথা বিকেলেই আমি বলেছি। কিন্তু এটা কৌশল হিসেবে কতটুকু কার্যকর? সেনাবাহিনী এমনিতেই ক্ষেপে আছে। সেজে গুজে এসেছে তারা, এখন তাদের নিরীহ ফিরতে বললে তারা বেঁকে বসতে পারে। তখন সামলাবে কে? সেনাবাহিনীর ওপর কতোটা নিয়ন্ত্রন আছে সরকারের বা সেনাপ্রধানের?

আর ভয় থেকে তারা উল্টো আচরণও করতে পারে।

এমনও আশঙ্কা করা হচ্ছে যে সেনাবাহিনীর ভেতরে যে ক্ষোভ দানা বেঁধেছে... সেটা থামানোর জন্য বিডিআর বলি হতে পারে।

দেখা যাক আমাদের সেনাপ্রধান আর প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা কতদূর গড়ায়
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

একেবারে নিরস্ত্র বিডিআরদের ওপর সেনাবাহিনীর সদস্যরা আক্রমণ করবেন না, তা নিশ্চিত।
কিন্তু যদি কিছু বিডিআরের কাছে অস্ত্র-শস্ত্র থেকে যায় বা ভেতর থেকে কেউ উস্কানি দেয় তবে হঠাৎ পরিস্থিতি মোড় নিতে পারে।

আওয়ামী রাজনৈতিক মহল চাপের মুখেও যেভাবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন তা অতি প্রশংসার। বাংলাদেশে এর আগে এমন দেখা যায় নি।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

রণদীপম বসু এর ছবি

আক্রমন না হলেই ভালো। তাছাড়া আরেকটি বিষয়ও আছে। একটা কমাণ্ডবিহীন জগাখিচুরি অবস্থায় এই যে এতগুলো অস্ত্র জমা পড়ছে এর নিরাপত্তা এবং গোটা সদর দপ্তরের ভেঙে যাওয়া কাঠামোটার মেরামতের জন্যও সেনাবাহিনীর এগিয়ে আসার কারণ হতে পারে।
কিন্তু আশপাশের তিন কিঃমিঃ এলাকার লোক সরিয়ে দেয়ার বিষয়টিই কেমন একটা বিভ্রান্তিতে ফেলে দিয়েছে। তবে তা প্রশাসনের কাছে জনপ্রতিনিধি ফজলে নুর তাপসের অনুরোধেই নাকি হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে অবশ্য কিছুটা আশ্বস্তের ব্যাপার থেকে যায়। হয়তো কোন পরিকল্পনা রয়েছে যা আমরা এ মুহূর্তে বুঝতে পারছি না....

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

ভোররাতে সাহারা খাতুনের ভূমিকা ও বক্তব্য আমার ভালো লেগেছে। বেশ মানবিক আটপৌরে একটা এ্যাপ্রোচ ছিল। আমার ধারণা সাধারণ মানুষের কাছে এই এ্যাপ্রোচ ভালো লাগবে।

-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সরকার এখনো পর্যন্ত যা যা উদ্যোগ নিয়েছে তা খুব খারাপ না। একটা শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে সবরকম চেষ্টা চালিয়েছে।

কিন্তু বিকেলে হুট করে সব পাল্টে গেলো যে... এটা কি কৌশলগত? নাকি সত্যি সত্যি শক্তি প্রয়োগের চিহ্ন?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

রণদীপম বসু এর ছবি

আপনার বক্তব্যতে যথেষ্ট যুক্তি পাওয়া গেল। তবু পিলখানার আশপাশ তিন কিঃমিঃ এলাকা থেকে বেসামরিক লোকজনকে সরিয়ে দেয়ার বিষয়টিই কেমন একটু গোলমেলে ঠেকছে !
সব ভালোয় ভালোয় হলেই ভালো। বিডিআর-এর চেইন অব কমাণ্ড যে কারণেই ভাঙুক, সেটার সূত্র ধরে যদি আবার সেনাবাহিনী সরকারের চেইন অব কমাণ্ড না মানে তাহলে তো এ জাতির কপালে যে লাউ সে কদুই থাকবে।
দেখা যাক কী হয়, কোঁথায় গিয়ে কী দাঁড়ায় ! ঘরপোড়া গরু তো...!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

রাফি এর ছবি

আপনার কথা সত্য হলেই খুশি হতাম; কিন্তু আমার মনে হচ্ছে সেনাবাহিনী action এ যাবে; বুয়েটের হল ঘোষিত তিন কি.মি এর মাঝে, কিন্তু কর্তৃপক্ষ হল ছাড়ার কোন নোটিশ ইস্যু করেনি, কে জানে কেন???
হলে রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষায় আছি, পরিস্থিতির শেষ দেখার জন্য।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এটাকে কৌশলগত শো অফ মনে করার পক্ষে কোনো যুক্তি খুঁজে পাচ্ছি না। বিডিআর তো অস্ত্র জমা দেয়া শুরু করেছিলো, জিম্মিদেরকেও মুক্তি দেয়া শুরু করেছিলো, এর মধ্যে বাড়তি ভয় দেখানোর কি দরকার পড়লো, তার কোনো উত্তর মেলে না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

রণদীপম বসু এর ছবি

কিছুক্ষণ আগে চ্যানেল আই'তে টক শো'তে মুনতাসির মামুন, আবেদ খান এরা তো দেখলাম সেনা সাজোয়া যানের এই প্রদর্শনীকে মিডিয়ার হাইলাট করাটা পছন্দ করেন নি তারা। এটাকে একধরনের উস্কানীসুলভ ইঙ্গিত যাকে মিডিয়ার দায়িত্বপালনে বুদ্ধিমানের পরিচয় বলে মনে করছেন না তারা। যা নাকি জনমনে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। আসলে কিছু হিসাব কিছুতেই মিলছে না....

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

আলমগীর এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ নজরুল ভাই।

হিমু এর ছবি

খবরের কাগজ বলছে, দরবারের আগের দিনই নাকি কিছু বিক্ষুব্ধ বিডিআর সেনা প্রতিবাদলিপি ছাপিয়েছিলো। সেনা গোয়েন্দা সংস্থা যথাসময়ে তা জায়গামতো অবহিত করেনি কি? এ ধরনের বিক্ষোভ চলমান, তারপরও বিডিআর অস্ত্রাগারের নিয়ন্ত্রণ নেয়নি কোন বহিস্থ বাহিনী, যথারীতি দরবার শুরু হয়েছে।

গোয়েন্দা সংস্থার এই বিস্ময়কর অতৎপরতার তদন্ত হওয়া উচিত।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

গৃহান্তরী এর ছবি

চলুক

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছি না
প্রানপনে শুধু এটুকুই প্রার্থনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক।
যিনিই প্রান হারাচ্ছেন সে তো আমাদেরই আপনজন তা সে বিডিআর আর সেনাবাহিনী, যেই হোক না কেন

------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

রণদীপম বসু এর ছবি

এ মুহূর্তে ঢাকার বাইরের অবস্থাগুলো জানতে পারছি না। সেখানকার পরিস্থিতি কী ? মোটামুটি সবগুলো বিডিআর সেক্টর আর ব্যাটেলিয়ন ক্যাম্পেই গোলযোগের খবর পেয়েছিলাম সকাল থেকেই। এখন কোন মিডিয়াতে সে বিষয়ে কেউ কিছু বলছেন না....

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

না বলাই উচিত। এগুলো উস্কানি দেয়।
আমরা দেখেছি কীভাবে ইনকিলাবের এরকম উস্কানিতে সারাদেশে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে পড়েছিল।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

গৃহান্তরী এর ছবি

সহমত। এ ব্্যাপারে মাঠে থাকা সচলরা অনেক অনেক দায়িত্বশিললতার পরিচয় দিয়েছেন। এই সুযোগে নজরুল ভাই, সবজান্তা, ফারুক ভাই এবং আরো সবাই যারা মাঠে আছেন ছিলেন, সবাইকে কৃতজ্ঞতা ও শুভকামনা।

রাফি এর ছবি

BDR বলছে তারা সব অস্ত্র জমা দিয়েছে(সূত্র বিডি নিউজ এবং টিভি) তাহলে সেনাবাহিনী কী চায়??

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

কনফুসিয়াস এর ছবি

পালাতে থাকা বিডিআররা নানা জায়গায় গ্রেপ্তার হচ্ছে।
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

ফারুক হাসান এর ছবি

গ্রেপ্তারের এই ব্যাপারটাও গুরুত্ববহ। গ্রেপ্তার হওয়াদের পরিণতির দিকেও সরকারের কঠোর নজরদারি থাকা উচিত।

*********************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

কনফুসিয়াস এর ছবি

এই তালিকা কারো কাজে আসবে কি না জানি না-

11 officers could save their lives. Some more may still survive but news not yet received.
:
Lt Col Fakruddin -23 LC
Lt Col Sayeed
Lt Col Kabir
Maj Reza
Maj Shafiq
Maj Nazmul
Maj Feroz
Maj Towfiq
Maj Sayeed
Maj Khalid
Maj Didar
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

সৌরভ এর ছবি

'বাংলাদেশ বড় লক্ষীমন্ত মেয়ে । ওকে অন্ধকার জানালার ওপাশে দাঁড়িয়ে ভূত সেজে ভয় দেখিয়ো না ওর বুক ধড়ফড় করে ।"


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

Tahsina এর ছবি

Its a very very nice quote...whose is this?

সৌরভ এর ছবি

আমার নয়। কবি আবু হাসান শাহরিয়ার এর ।
দুঃখী বাংলাদেশ নিয়ে এর থেকে করুণ আকুতি মনে পড়লো না।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

ফারুক হাসান এর ছবি

এখন কি বিডিআর এর সাথে সরকারের কোনো যোগাযোগ অব্যাহত আছে? এই ক্রুশাল সময়ে যোগাযোগ থাকাটা খুবই জরুরী।

*********************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

কনফুসিয়াস এর ছবি

বিডিআরের আত্মসমর্পন সম্পন্ন হয়েছে।
গেইট থেকে ওদের পাহারা উঠে গেছে।
পুলিশের লোকজন গেইটের ভেতরে ঢুকে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিচ্ছে।

-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

ফারুক হাসান এর ছবি

দারুণ! সেনাবাহিনী কি একই অবস্থানেই?
*********************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

(বিডিনিউজ ২৪ ডটকম থেকে)
পরিস্থিতি সরকারের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ । প্রেস সচিব বলেন, বিডিআর সদস্যরা অস্ত্রসমর্পণ সম্পন্ন করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিকদের কাছে আবুল কালাম আজাদ বলেন, “পরিস্থিতি সরকারের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিডিআর সদস্যরা অস্ত্রসমর্পণ সম্পন্ন করেছেন।”

সূত্র: আমারব্লগ/আবুল হাসনাত
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

রুশাফি [অতিথি] এর ছবি

আর্মির যেসকল কর্মকর্তা মুক্তি পেয়েছেন তাদের কথা থেকে জানা গেছে গতকাল দরবার হলে বৈঠক শুরু হবার আগে থেকেই বিডিআর সদস্যদের কিছু একটা করার প্রস্তুতি ছিল। দরবারে সিপাহিদের দাবি না মানার সাথে সাথে তারা সেখানে প্রবেশ করে এবং কিছু আর্মির উচ্চপদস্থ কিছু অফিসারকে হত্যা করে। তবে সবাই এই হত্যাকাণ্ডের পক্ষে ছিলনা। কিছু সংখ্যক সিপাহি তাদের কমাণ্ডারদের নিরাপত্তা প্রদান করে এবং তাদের লুকিয়ে থাকতে সহায়তা করে। সম্ভবত ১৩০ জনের কাছাকাছি র‌্যাঙ্কড অফিসার গতকাল পিলখানায় ছিলেন। তাদের মাঝে আনুমানিক ৭০ জনকে হত্যা করা হয়েছে।
(অসমর্থিত সূত্র)

রেজওয়ান এর ছবি

হিমু লিখেছেন:
গোয়েন্দা সংস্থার এই বিস্ময়কর অতৎপরতার তদন্ত হওয়া উচিত।

আমার তো মনে হয় এই কথাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারা জানবে না এটি হতে পারে না। এমনটিও তো হতে পারে তারাই উস্কে দিয়েছে কোন মহলের সুবিধা করে দেয়ার জন্যে। আর্মীর ভিতরেও কিন্তু ফ্যাকশন আছে। এবং বর্তমান ম্যানেজমেন্টের উপর যারা নাখোশ তারা তো এখন হয়ত আরও অনেক স্যাবোটাজই করতে চাইবে।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সেনাবাহিনীর ভেতরে গ্রুপিংটা এবার একেবারে সামনে চলে এসেছে। উস্কানীটা কোথা থেকে এসেছে সেটা তদন্ত করা হবে কী আদৌ?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

যা হোক... শেষ পর্যন্ত সেনা হস্তক্ষেপ ছাড়াই আত্মসমর্পন প্রক্রিয়া সমাপ্ত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তবে সেনাবাহিনী এখনো সেখানে আছে। ধৃত বিডিআর বিদ্রোহীদের ধানমন্ডি মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

একটা বিক্ষুব্ধ পরিস্থিতির আপাত সমাধান হলো বলেই মনে হচ্ছে। কিন্তু আসলেই এটা সমাধান হলো কী?

তবু ভীষণ ভালো লাগছে... ভীষণ...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ঘটনার শুরুটা কেমন ছিলো, তার কিছুটা ধারণা পাওয়া যেতে পারে ব্লগার ইমরোজের পোস্টে। তার পোস্ট অনুসারে, তার এক মামাও ঘটনাস্থলে ছিলেন, যিনি পরে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হোন।

এই ঘটনা সত্য হলে দেখা যাচ্ছে, অসন্তোষ পুরোদমে থাকলেও এরকম কিছুর শুরুটা অন্তত তারা করতে চায় নি।(সূত্র):

গতকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন আমার এক মামা। তিনি বিডিআরের একজন বড়কর্তা। আর্মির অফিসার। তার ও তার পরিবারের কোন খোঁজ আমরা কেউ পাচ্ছিলাম না।

গতকাল সকালে তিনি বের হবার সময় বাসার সবাইকে বলে গেলেন, যাই হোক, ঘরের দরজা কোনমতে খুলবা না। লক করে বসে থাকো। এই কথাটা বলে তিনি বের হয়ে গেলেন দরবার হলের দিকে। তার সাথে দুইজন বিডিআরের জোয়ান।

দরবার হলের ঘটনা অনেকটা এরকম। সেখানে একজন সাধারন সিপাহী মেজর শাকিলকে বললেন, গতকাল আমরা আমাদের দাবী প্রধানমন্ত্রীর কাছে দিতে পারি নি। আজকে আমাদের দাবীগুলো আপনার শুনতে হবে।

জবাবে শাকিল বলেছেন, তোমরা সামরিক বাহিনীর কেউ না। তোমাদের দাবী থাকতে পারে না। তখন সেই জোয়ান তাকে কী যেন একটা বললে তিনি তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন। প্রচন্ড রেগে যান। তখন জোয়ান উত্তর দেন, তাহলে আমাদের কী কিছুই বলার ও করার অধিকার নেই?
উত্তরে শাকিল বলেন, হাউ ডেয়ার ইউ টক টু মি লাইক ড্যাট?
বলেই তিনি পিস্তল বের করেন। ওপেন ফায়ার করেন জোয়ানকে লক্ষ্য করে। দরবার হলে তখন নীরবতা। জোয়ান আহত। তাকে অন্যান্য জোয়ানরা নিয়ে যাচ্ছে হাসপাতালে।

দরবার হলে কোন সৈনিক অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করতে পারে না। সৈন্যরা আহত জোয়ানকে নিয়ে বের হয়ে গেলে শাকিল বলতে থাকেন, এদেরকে কোয়াটারে ফেলা উচিৎ। কোয়াটার হল কোর্ট মার্শালের মত কোন একটা ব্যবস্থা, যেটার আওতায় পড়লে জোয়ানদেরকে গুলি করে মারা হয়।

স্টেজে তখনও শাকিল দাঁড়িয়ে আছেন। এমন সময় আহত জোয়ানকে হাসপাতালে রেখে বাকিরা ফিরে এসেছে। কিন্তু প্রত্যেকের হাতে তখন একে ৪৭। এবং তারা ঢুকেই স্টেজে ব্রাস ফায়ার করে। ফলে স্টেজে থাকা সমস্ত আর্মি অফিসার সেখানেই মারা যায়। তবে, তাদের বডিগার্ডরা দ্রুততার সাথে, পালটা গুলি চালায়। সেই গুলিতে অনেক বিডিআর সদস্য আহত ও নিহত হয়। তখন বিদ্রোহী জোয়ানরা এলোপাথাড়ি গোলাগুলি করতেই থাকে। তাদের গুলির কোন নির্দিষ্ট লক্ষ্য প্রথম দিকে না থাকলেও পরে আর্মির লোকদের দিকে গুলি ছুড়তে থাকে।

আমার সেই মামা তখন মাটিতে শুয়ে আছেন। তার নিজের অস্ত্র তিনি বের করছেন না। তার সাথে থাকা দুইজন জোয়ান তাকে তুলে সটাসট তার ব্যাচ খুলে ফেলে। তার মাথায় লাল কাপড় বেঁধে দিয়ে বলেন, স্যার আপনাকে একটা অস্ত্র ধরতে হবে, নাহলে জোয়ানরা আপনাকেও মেরে ফেলবে। মামার হাতে অস্ত্র দেওয়া হলো। তিনি বেড়িয়ে এলেন দরবার হল থেকে। তার চতুর্দিকে তখন জোয়ানরা গুলি বর্ষণ করছে। কিন্তু তাকে তারা আর্মির অফিসার হিসেবে চিন্তে পারল না। কারণ তার মাথায় লাল কাপড়। দেখে মনে হচ্ছে বিদ্রোহীদের একজন।

মামার সাথের জোয়ানরা তাকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যান। সেখান থেকে আজ দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এবং গেট পর্যন্ত এগিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করেন মামার নিজস্ব দুই জোয়ান। হাসিমুখে তারা বিদায় জানান তাদের বড়কর্তাকে। কেন তাকে ছেড়ে দেওয়া হলো, তার একটাই কারণ। মামা সব সময় বিডিআরের সব সিপাহীদের সাথে ভাল ব্যবহার করতেন। নিজের দুইজন জোয়ানকে তিনি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতেন। এবং তাদের অনেক কাজও তিনি করে দিয়েছেন। শুধু এইটুকু সহানুভূতি বিডিআর জোয়ানদের প্রতি কোন আর্মি অফিসার দেখান না। যারা দেখাত, তাদের কেউই মারা পড়েননি।

এই আনন্দ বলে শেষ করা যাবে না। ২৪ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে আমাদের অপেক্ষা। ভাবছিলাম এই যে লাশ ভেসে ভেসে উঠছে, তার যে কোন একটি আমার সেই মামার হতে পারে। পরিবার থেকে ঠিক করা হচ্ছিল, ঢাকা মেডিক্যাল মর্গ ও মিডফোর্ডের মর্গে লোক পাঠান হবে। এর মধ্যে তার ছাড়া পাওয়ার খবর যে কেমন আনন্দের তা প্রকাশ করা যাবে না। তার পরিবারের সবাই এখন নিরাপদ আশ্রয়ে আছেন।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

হিমু এর ছবি

একজন আর্মি অফিসার জানালেন, দরবারে অফিসারদের সাথে আগ্নেয়াস্ত্র থাকে না। আমিও গতকাল অত্যন্ত ক্ষুণ্ণ হয়েছিলাম সৈনিকের ওপর অফিসারের গুলিবর্ষণের কথা শুনে, কিন্তু বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসাররা শুধু একটি কথাই বলছেন, দরবারে অফিসারের সাথে হাতিয়ার থাকে না। এ দাবির সত্যতা কি নিশ্চিত করতে পারেন কেউ?

গতকাল সারাদিন অসংখ্য গুজব শুনেছি। এর কিছু খুব পরিকল্পিতভাবে ছড়ানো বলে মনে হয়েছে। একটু আগে এক সাংবাদিক বন্ধু জানালেন, ভেতরে নারীবন্দিদের ওপর নির্যাতনের গুজব ভিত্তিহীন, কোন একটি মহলের ছড়ানো, উদ্দেশ্য অপরিষ্কার। মুক্তিপ্রাপ্ত নারীরা জানিয়েছেন, তাঁদের এমন কোন নির্যাতনের মুখোমুখি হতে হয়নি।

দ্বিতীয়ত, ভেতরে কী হয়েছে, তা কোন সেনা কর্মকর্তা সম্ভবত সদর দপ্তর ছাড়া আর কাউকে জানাবেন না। যা বাইরে আসবে, তা অনেকখানিই "বিবর্তিত" গল্প। একমাত্র বিচার বিভাগীয় তদন্ত হলে জানা যাবে ভেতরে কী ঘটেছে। আহত বিডিআর জওয়ানের ক্ষত কি হ্যান্ডগানের বুলেটে, না রাইফেলের বুলেটে, সেটাও দেখা যাবে।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

কনফুসিয়াস এর ছবি

দুটা জিনিস নিয়ে ভাবছি-
১। মামা ভদ্রলোক দরজা আটকে থাকার কথা বললেন কেন? তার মানে উনি জানতেন যে এরকম হবে। অর্থাৎ ব্যাপারটা পূর্ব-পরিকল্পিত। এবং এইখানে আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি, ঊনি সম্ভবত এই পরিকল্পনা বা ষড়যন্ত্রে ওদের সমর্থন যুগিয়েছেন।
২। লিফলেট বিলি করা হয়েছে শুনলাম, এটা কখন ছাপালো? আগে থেকে প্ল্যান যদি না থেকে থাকে?

-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

কিছু প্ল্যান আগে থেকে না থাকা অস্বাভাবিক। আগে থেকে কিছুটা প্রস্তুতি না থাকলে হঠাৎ করেই এতগুলো অফিসারকে গুলি করা সম্ভব না। তবে ইমরোজের পোস্টের কনটেন্ট সত্য হলে শাকিলের গুলিটা আগুনে ঘি ঢেলেছে।

আগের দিন প্রধানমন্ত্রীকে তাদের দাবিদাওয়া না জানাতে দেওয়ায় অসন্তোষ চরম আকার ধারণ করে। এ অসন্তোষকে বুঝতে নিজে সেই পরিকল্পনার অংশ না হলেও চলে। বিভিন্ন টিভিতে যা দেখলাম, বিডিআরদের মধ্যে সুসংগঠিতভাবে আকাম করার মত মেধা বা প্রস্তুতি ছিলো না। স্বাধীনতার পর থেকে আর্মি যত লোক মেরেছে, তার কয়টা মিডিয়ায় এসেছে? আর এরা শ খানেক লোক মেরেই এখন অনেকেরই সিমপ্যাথী হারাচ্ছে, যদিও এই ঘটনার ব্যাকগ্রাউন্ডে আছে দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও অত্যাচারের ইতিহাস।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

কনফুসিয়াস এর ছবি

বলাইদা,
কিছু তথ্য, আমার জানায় অবশ্য ভুলও থাকতে পারে।
১। দরবার হলে সেনা বা অফিসাররা কেউই অস্ত্র বহন করেন না। শাকিল বা অন্য অফিসারদের হাতে পিস্তল আসার কথা না।
২। বিডিআর সেনারা বাইরে গিয়ে যত দ্রুততার সাথে অস্ত্র নিয়ে ফিরেছে বলা হচ্ছে, অস্ত্রের মজুদ থেকে দরবারের দুরত্ব এবং সেখানকার সিকিউরিটির সাথে ব্যাপারটা বেমানান।

আমার ধারণা, অস্ত্র বিডিআর সেনাদের সাথেই ছিলো, পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই। আর এই পরিকল্পনাকে কিছু প্ল্যান বলে নীরিহ ভাবার মত কোন কারণ দেখছি না।
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

প্রস্তুতি বা পরিকল্পনা না থাকার কথা না। আমি যেভাবে রিড করছি, দীর্ঘদিনের বৈষম্যের কারণে তারা একটা মোটামুটি এসপার-ওসপার পজিশনে চলে যায়। তারা চেয়েছিলো, প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের দাবীগুলো পেশ করতে (যার অধিকাংশই সিম্পল, আর্মির হাত থেকে মুক্তির দাবীটাও স্বাভাবিক, বিশেষত তারা যেহেতু সন্তুষ্ট ছিলো না অফিসারদের ওপর)। এখন, তাদেরকে সে সুযোগটা দেয়া হয় নি। এতে অসন্তোষ বৃদ্ধি পায়। শেষ চেষ্টা হিসেবে, তারা শাকিলসহ অন্যান্যদেরকে পরদিন ধরে। শাকিল গুলি করুক আর না করুক, তাদের দাবির প্রতি যে কেমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তার মিনিমাম লেভেলও সহজেই অনুমেয়। সবকিছুর যোগফল বিদ্রোহ।

আরো কিছু জিনিস এখানে বিবেচ্য, যেমন, বিদ্রোহ করে তাদের উদ্দেশ্য কি? ১) তাদের কিছু বেসিক বেতনভাতা সুবিধা বাড়ানো, ২) সেনাবাহিনীর অত্যাচার থেকে মুক্তি। অন্তত বঙ্গভবনের দখল নেয়ার মত বা দেশের ক্ষমতার প্রতি কোনো আকর্ষণ বিডিআরের আছে বলে মনে হয় না। হাউকাউ করে হাসিনাকে বিপদে ফেললেও ক্ষমটার পট পরিবর্তনে সেনাবাহিনী আসতে পারে, বিডিআর না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

হিমু এর ছবি

বঞ্চনা থাকতে পারে, অত্যাচারের কথাটা আমার কাছে অতিরঞ্জিত মনে হয়েছে। বিডিআর সীমান্ত এলাকায় বেশ ভালোই আয় করে, বঞ্চনা সেখানে কম। সাম্প্রতিক অপারেশন ডালভাতে তারা হয়তো সীমান্তের সিস্টেমই প্রত্যাশা করছিলো, একজন তো টিভির সামনে এক লক্ষ টাকার বখরার কথাই বলে ফেলেছে।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

হিমু এর ছবি

আর দুঃখের সাথে বলতে বাধ্য হচ্ছি, ব্লগার ইমরোজ বলে আসলেই কেউ আছে কি না, বা আদপেই তার মামা ওখানে ছিলেন কি না, এসবের সত্যতা যাচাই করা ওপাড়ায় একটু কঠিন। "প্রজেক্ট ১০০১টি নিক" এর আওতায় তো কত নিকই সেখানে দেখা গেলো হাসি ...



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ইমরোজ অনেক পুরোনো ব্লগার। নিক ব্লগার হলেও নিক অনেক পুরোনো। কথার সত্যতা নিয়ে গ্যারান্টি নাই, যেহেতু আমি তাকেও চিনি না, তার মামাকেও না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

রণদীপম বসু এর ছবি

আসলে কোন বক্তব্যকেই প্রশ্নহীন মেনে নেয়ার কোন উপায় নেই। আরেক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান উল্লেখ করা হয়েছে নয়াদিগন্তে এভাবে।মিলিয়ে দেখুন তো ব্লগার ইমরোজের মামার বয়ানের সাথে মিল বা অমিল কতটুকু ? এতো বড়ো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে যে-কারো বক্তব্যই তো একই হওয়ার কথা, তাই না ?

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

রণদা, ঘটনার এরকম নানা আঙ্গিকের নানা বক্তব্য আসতেই থাকবে। রঙচঙ বাদ দিয়ে কমনসেন্স প্রয়োগ করলে একটা ওভারঅল পিকচার সামনে আসতে পারে। তবে তার জন্য আরো সময় ও ইনফো দরকার।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

শামীম এর ছবি

ঐ পাড়ার ১০০১ নিকের মধ্যে কাহিনী ছড়াবে ... এটা স্বাভাবিক। গল্পটিকে গল্পই মনে হল .... ... কারণ কয়েকটি অসামঞ্জস্য:

মামা তাঁর অস্ত্র বের করেননি --- তার মানে অফিসারের কাছে অস্ত্র থাকে। এই গল্পেও বলা আছে সৈনিকরা অস্ত্র নিতে পারে না ... তার মানে অফিসারগণ পারে। কিন্তু অন্য সূত্রগুলো বলছে অফিসারও অস্ত্র নেন না।

বাসায় বলে গেছে দরজা না খোলার ব্যাপারে .... তাঁর মানে উনি জেনেও এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেননি।

হঠাৎ মাথায় বাঁধার জন্য কমলা কাপড় কি সিনেমার পরিচালক সাপ্লাই করেছিল? আর হাতে অস্ত্র বলতে কি বোঝানো হয়েছে ... অফিসারের অস্ত্রের ধরণ দেখেই তাঁকে চেনা সম্ভব বলেই জানি। যদি অন্যরকম অস্ত্র নেয় .. তবে একই প্রশ্ন ... এটা কি গল্পকার সরবরাহ করেছে?

অফিসার এবং জওয়ানরা কি একসাথে বসেন? না হলে, ঐ বিশৃংখল অবস্থায় শুয়ে থাকা মামাকে জওয়ানরা কীভাবে খুঁজে পেলেন?
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

অফিসারদের কাছে অস্ত্র ছিলো না/থাকে না, এই জিনিস এসেছে একজন সেনাবাহিনীর মুখপাত্রের কাছ থেকে। এর সত্যতা সম্পর্কে সন্দেহ করা যেতে পারে। এখানে অস্ত্র সম্ভবত পিস্তল বা রিভলবার জাতীয় ছোট কিছু।

ঘটনা অবশ্যই আকাশ থেকে হঠাৎ শুরু হয় নি। প্রস্তুতি না থাকার কোনো কারণ নেই। জেনেও/ গেস করেও চেপে যাওয়ার ব্যাখ্যা হতে পারে, বিদ্রোহ হবেই, তা নিশ্চিত ছিলো না। শাকিলের সাথে কথা বলে শান্তিপূর্ণ উপায়ে দাবিদাওয়া পূরণ হলে গোলাগুলি হতো বলে মনে হয় না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

পলাশ দত্ত এর ছবি

জীবনে মাত্র একবার বিডিআর সদর দফতরে ঢুকেছিলাম। ভেতরে কেউই, লক্ষ্য করুন ‌'কেউই', অস্ত্র সঙ্গে নিয়ে ঘোরে না।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ডুপ্লিকেট কমেন্ট ঘ্যাচাং

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

তাহলে বিডিআর জওয়ানরাইবা হাতের কাছে অস্ত্র পেলো কিভাবে?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

পলাশ দত্ত এর ছবি

এই জন্যই তো বলি স্বতঃস্ফূর্ত ঘটনা নয়। প্ল্যান্টেড। কোন্ পক্ষ প্ল্যান্ট করলো সেটাই জানা দরকার। যা সরকারি গোয়ান্দেরা ছাড়া কেউ জানে না। হাসি
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

আসাদ [অতিথি] এর ছবি

ঢাকা, ফেব্র"য়ারি ২৬ (বিডিনিউজ ২৪ ডটকম)- বাংলাদেশ রাইফেলস্ (বিডিআর) এর জওয়ানদের বিদ্রোহে জামায়াতে ইসলামী জড়িত বলে বৃহস্পতিবার সিএনএন-আইবিএন টেলিভিশনের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

নাম উল্লেখ না করা কয়েকটি ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে টিভি প্রতিবেদনে একথা বলা হয়।
বুধবার রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর সদরদপ্তরে জওয়ানদের বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জামায়াতে ইসলামী দেশব্যাপী এই বিডিআর বিদ্রোহীদের প্ররোচনা দিচ্ছে ও অর্থায়ন করছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, বিদ্রোহীদের অর্থায়নের পেছনের 'মূল নায়ক' বিএনপি নেতা সাংসদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী তার সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন।

জামায়াতে ইসলামীর এ ঘটনার পেছনে জড়িত থাকার কারণ সম্পর্কে কোনো ইঙ্গিত না দেওয়া হলেও ধর্মভিত্তিক এ দলটি আদর্শগতভাবে আওয়ামী লীগের ঘোর বিরোধী। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের যে উদ্যোগের কথা বলেছে তা দলটিকে উদ্বিগ্ন করেছে বলে মনে করা হয়। জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কয়েকজনের নাম 'যুদ্ধাপরাধী' বলে অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে।

গৃহান্তরী এর ছবি

এটা জাতীয় ক্রান্তিকালে রাজনীতিকদে অভূতপূর্ব ধৈর্য ও ঐক্যকে ছিন্ন করার একটা উস্কানী বলেই মনে হল।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ব্যক্তিগত বার্তায় সেনাবাহিনীর একজন জানালেনঃ

1. Officer did not carry any weapon in darbar hall.actually we never do it, carry weapon to a darbar.

2. troops were well armed before. when DG did not hear their point they start brush fire. on the spot 70 offficer dead (All colonel and Brigadier)

3. other officer could escape darbar hall but they r captured, brutally tortured and killed by bayonet and ammunition.

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ১. দরবারে অফিসাররা কেউ বন্দুক না নিতে পারলেও ডিজি'র গার্ড হিসেবে মনে হয় বন্দুক বহন করা যেতে পারে। এমনকি পরিস্থিতির আঁচ করে ডিজি নিজেও বন্দুক বহন করে থাকতে পারেন। (ঘটনার শুরুর দিকে 'চার্জ' করতে আসা জোয়ানের বিরুদ্ধে) ডিজি কোন বন্দুক ব্যবহার করেছিলেন সেটাই প্রশ্ন এখন।

২. পুরো আর্মড অবস্থায় সৈনিকেরা দরবারে ঢুকলো ক্যামনে? আর এই অবস্থা দেখে ডিজি এক কথাতেই উত্তেজিত হবার 'ভুল'টা মনে হয় করবেন না।

৩. বিচার বিভাগীয় তদন্ত হোক।

[ নিচে হিমুর মন্তব্যটা পড়ে আসলেই একটা ধাক্কা খেলাম। এমনও তো হতে পারে বর্তমানের 'জাতীয় মনোযোগ' ডাইভার্ট করার জন্যই এই অন্তর্দ্বন্দ্বের ইন্ধন যোগানো হয়েছে বিডিআর-এর ভেতরের ক্ষোভকে পুঁজি করে! ]
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

হিমু এর ছবি
শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

জেএমবি বা জামায়াতে ইসলামীর প্রতি সহানুভূতি সম্পন্ন বিডিআর সদস্যদের এ্যাডভেঞ্চারমূলক মানসিকতা ঘটনার পেছনে কাজ করতে পারে।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

তাইলে এই যে বৈষম্যটৈষম্যের কথা, এগুলো সব ভুয়া?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সুমন চৌধুরী এর ছবি
পলাশ দত্ত এর ছবি

জামায়াতকে খুব দরকার। তাদের নামটাই কেউ উচ্চারণ করতেছে না।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

অমিত এর ছবি

প্রধানমন্ত্রীর প্রস্থানের কতক্ষণ পর মেকানিজম আবার যুক্ত করার কথা ছিল ?যদি সেটা সেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হয়ে থাকে তাহলে সেটাতে কোনও অসুবিধা নাই।

আস্ত্র এবং অ্যামো ডাম্প যদি পিলখানাতেই থাকে তাহলে সেটা কব্জা করা খুব একটা সময়ের ব্যাপার না, কারণ বিডিআর জওয়ানদের তুলনায় আর্মি অফিসারদের সংখ্যা খুবই কম। এর পেছনের আর্মি অফিসার আসলে কারা সেটা বের করা কি আদৌ সম্ভব হবে ? কারণ জওয়ানদের পক্ষে এই প্ল্যান এককথায় অসম্ভব। দে আর জাস্ট নট ট্রেইনড দ্যাট ওয়ে।
শেষ প্রশ্নটাই আসল।

হিমু এর ছবি

ঢাকা থেকে জানা গেলো


সেনাবাহিনী এখন নিউমার্কেট এলাকায় অবস্থান নিয়েছে. সেখান থেকে তারা বিবিআর জওয়ানদেরকে আহ্বান জানাচ্ছে আলোচনার জন্য. বিডিআর-এর বক্তব্য: আমরা প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে অস্ত্র সমর্পণ করে ব্যারাকে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছি. আপনাদের সাথে আমাদের কোনো আলোচনা নেই।

অন্যদিকে বিডিআর হেডকোয়ার্টারের আশেপাশের তিন কিলোমিটার পর্যন্ত আবাসিক ভবন খালি করে ফেলতে বলা হয়েছে।

আরেকটি খবরে জানা গেছে যে, শাদা পোশাকে পালানোর সময় ৪৯জন বিডিআর জওয়ানকে আটক করেছে র‌্যাব।

মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে কথা বলার কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না... বরং তারা এক ধরনের প্রটেকশনের মধ্যে দিয়ে এলাকা ত্যাগ করছে। টিভি ক্যামেরা তাড়া করেও তাদের নাগাল পাচ্ছে না।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

জিজ্ঞাসু এর ছবি

ইডেন কলেজের বিপরীতে আজিমপুর কোয়ার্টারে আমার মামা থাকেন। মামা বললেন তাদের ইভেকুয়েট করতে বলেনি। তারা বাসায় আছেন এখনও। উদ্বেগ কিছুটা কমেছে। পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে বলে মনে হচ্ছে।

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

মুস্তাফিজ এর ছবি

গুড, এটাই শুনতে চেয়েছিলাম। আমার ভাই থাকেন ধান্মন্ডি তিন এ, উনারাও কিছু শুনেন নি। আমার পার্টনার থাকে লেকের পাড়ে, ওরাও কিছু শুনেনি। তিন কিমি কিন্তু বিশাল এরিয়া, ওখান থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত হবে। এদিকে তেমন কোন প্রভাব ফেলেনি।

...........................
Every Picture Tells a Story

হিমু এর ছবি
পলাশ দত্ত এর ছবি

তাদের মধ্যে বিজয়ী পক্ষের চেহারা ও বক্তব্যই আমরা মিডিয়ায় পেয়েছি। চলুক
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

অমিত এর ছবি

আমার মনে হয় অজানা সূত্রের বরাতে পাওয়া খবরগুলা আপাতত না প্রকাশ করাই উচিত।

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

মুক্তিপ্রাপ্ত ১৩ জন সেনা কর্মকর্তারা ভালো জানবেন ষড়যন্ত্রটা কারা করেছে, কীভাবে হয়েছে।
ঢাকার সচলদের কাছ থেকে আরো বেশি ইনসাইড ইনফরমেশন আশা করছি। অসমর্থিত সূত্র হলেও উল্লেখ করেন। তবে গুজব নয়।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

আলমগীর এর ছবি

মিলিয়ন ডলার প্রশ্নটা হলো, সরকারের ১২টা ১৩টা গোয়েন্দা দপ্তরের কোনটাই কেন আগাম কিছু জানাতে পারেনি সরকারকে?

সবজান্তা এর ছবি

প্রশ্নটা তুলে গতকালই সম্পাদক নুরুল কবীর বেজায় ধোলাই দিয়েছেন এই বাহিনীর প্রধানগুলিকে। সেই সাথে উনার ধোলাইয়ের শিকার হয়েছিলেন মইন উ...


অলমিতি বিস্তারেণ

পলাশ দত্ত এর ছবি

সর্বমোট ৯৪ বিডিআর জওয়ান গ্রেফতার। নবাবগঞ্জ থেকে। তাদের রাখা হয়েছে ঢাকার মিরপুর ইন্ডোর স্টেডিয়ামে।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

দুজন বিদেশি গ্রেফতার হয়েছেন বিডিআর হেডকোয়াটার্স থেকে। দুজনই চাইনিজ। তাদের নাকি সংশ্লিষ্টতা ছিল।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

সৌরভ এর ছবি

ক্যাম্নে কী? মন খারাপ


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

হিমু এর ছবি

আরেকটা জিনিস আমার কাছে স্পষ্ট হয়নি। বিভিন্ন জায়গায় সেনাবাহিনী অ্যাক-অ্যাক গান নিয়ে পজিশন নিয়েছিলো। এর কারণ কী? আকাশপথে কোন হুমকির সম্ভাবনা দেখেছিলো তারা? নাকি ওগুলো স্বল্প দূরত্বে গ্রাউন্ড টু গ্রাউন্ড লড়ায়ের জন্যেও ব্যবহৃত হয়?



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

সেলিম আহমেদ এর ছবি

"বিভিন্ন জায়গায় সেনাবাহিনী অ্যাক-অ্যাক গান নিয়ে পজিশন নিয়েছিলো। এর কারণ কী?"
অ্যাক-অ্যাক গানের ক্যালিবার আর বিপুল গুলি ছোঁড়ার ক্ষমতার কারণে গ্রাউন্ড কমব্যাটেও ব্যবহার করা যায়। আরো বেশী ক্যালিবারের অ্যাক-অ্যাক গান দিয়ে ট্যাঙ্ক প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায় বলে জানি।

হিমু এর ছবি
সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সংখ্যা নিয়ে অচলাবস্থার অবসান চাই।
সেখানে কতজন আর্মি অফিসার ছিলো তা বের করতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না।
সমস্যা হওয়ার কথা না কতজন বিডিআর সোলজার ছিলো তার হিসাব বের করা। অথচ এখনো এ ব্যাপারে কোনো সঠিক পরিসংখ্যান পাইনি।

বিদ্রোহের যা ভিডিও ফুটেজ তা দেখে মনে হয় না খুব বেশি সংখ্যক বিদ্রোহী ছিলো। দশ হাজার তো প্রশ্নই উঠে না। যদি তাই হয় তাহলে যারা বিদ্রোহে অংশ নেয়নি তারা কোথায় ছিলো? কি করছিলো?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

পিলখানার আশপাশ সম্পর্কে আমার ভালো ধারনা নেই .... তবে গেটগুলোর আশপাশে তো আর্মি/মিডিয়ার থাকার কথা ... হাজার হাজার লোক এলাকা ছেড়ে পালালে দেখার কথা
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

পলাশ দত্ত এর ছবি

উর্ধ্বতন সেনা-কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে গত আধঘণ্টা (বা তারও বেশি সময়) ধরে বৈঠক করছেন সেনাপ্রধান। খবর ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ-ইউএনবি-এর।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

পলাশ দত্ত এর ছবি

জনগণকে গুজবে কান না-দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাপ্রধান মঈন উ আহমেদ। খবর ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ-ইউএনবি
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।