আরো চল্লিশজন কিশোরের লাশ কাঁধে আমরা অপেক্ষা করবো নিজস্ব মৃত্যুর

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর (তারিখ: সোম, ১১/০৭/২০১১ - ৭:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সংবাদ মাধ্যম বেয়ে সুখ আসে না, মৃত্যু আর হতাশা আসে মুহূর্তে মুহূর্তে। যেমন এখন আসছে... প্রতি মুহূর্তেই নতুন নতুন মৃত্যুর খবর আসছে, বাড়ছে। একটু আগে ২১ টি কিশোরের মৃত্যুর খবর পাই, দশ মিনিট পরে সেটা ৩০ হয়ে যায়। অন্য মাধ্যম তৎক্ষণাত জানায় নিহতের সংখ্যা ৪০!

লাশের খবরের আড়ালে হারিয়ে যায় আহতর খবর, তবু তো বেঁচে আছে। হয়তো হাত থাকবে না, পা থাকবে না কারো... বাকী সম্পূর্ণটা জীবন হয়তো কাটাতে হবে পঙ্গুত্বের অভিশাপ নিয়ে ধুঁকে ধুঁকে... তবু তো বেঁচে থাকবে! হাত পা সর্বাঙ্গ নিয়ে আমরা যারা বেঁচে আছি মৃত্যুর অপেক্ষায়... আমরাও কি পঙ্গু নই? মানসিক পঙ্গুত্ব তো কবেই ঘটেছে

দুপুরের ঝলমলে রোদে এই কিশোরেরা ফিরছিলো আনন্দ নিয়ে। ফুটবল খেলা দেখে। চ্যাম্পিয়ন হয়ে। একটি পিকআপ ভ্যান ভাড়া করে ৭০-৭৫ জন স্কুলছাত্র ফিরছিলো বাড়ি। সেই একরাশ আনন্দ, একদল কিশোরের স্বপ্ন নিয়ে পিকআপটি খাদে তলিয়ে যায়। লাশ হয়ে যায় সব

কতোজনের মৃত্যু হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত জানা যায়নি। তবে গোটা পঞ্চাশেক হবে হয়তো [কী অবলীলায় বলে ফেলা যাচ্ছে তাই না?]। চোখ রাখছি স্যাটেলাইট টেলিভিশনের খবরে, চোখ রাখছি পত্রিকার অনলাইন পাতায়
মনে পড়ে যাচ্ছে, স্কুল ফাঁকি দিয়ে আমরা চলে যেতাম খেলা দেখতে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম থেকে খেলা দেখে ফেরার সময় কতোবার বাসের ছাদে বা ট্রাকে করে ফিরেছি...
এপাড়ায় বা পাশের পাড়ায় ফুটবল খেলতে গেছি... খেলা দেখতে গেছি...
আর্মি স্টেডিয়াম থেকে কনসার্ট দেখে ফিরেছি ট্রাক দখল করে
এরশাদ যেদিন ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হলো... সারাটি রাত ট্রাকেই ছিলাম... মিছিলে মিছিলে...
বেঁচে গেছি সবগুলো থেকে। বেঁচে আছি। প্রতি মুহূর্তে মন খারাপের জীবন নিয়ে... বেঁচে থাকার প্রায়শ্চিত্ব করার জন্য

রাস্তাভর্তি আতংক... দুর্ঘটনা আর মৃত্যু... খুব বড় খবর না হলে এখন আর সেটা উল্লেখযোগ্য হয় না। প্রতিদিন গোটা দশেক প্রাণ হারিয়েই যাচ্ছে শুধু সড়ক দুর্ঘটনায়। ইলিয়াস কাঞ্চন চেঁচিয়ে যাচ্ছেন নিরাপদ সড়কের দাবীতে। সেই দাবীতে সামিল হই না আমরা। আমরা তো বেঁচেই আছি এখনো তাই না? যারা মরেছে তারা নিশ্চিত বোকা। রাস্তায় চলার কৌশল জানে না নিশ্চিত।

কিন্তু আমরা রাস্তা পার হওয়ার সময় জানি না আমাদের চারপাশে ঘন হয়ে আসা গাড়িগুলো কতটুকু রাস্তায় চলাচলের উপযুক্ত... এই চালকগুলো কতোটা প্রশিক্ষিত... দায়িত্ববান ট্রাফিকেরা কতোটুকু দায়িত্ব পালন করছে আর কতোটুকু উৎকোচ নিতে ব্যস্ত!
আমরা অনিশ্চয়তার সরোবরে ভেসে প্রতিদিন রাস্তা মাপি, স্ত্রী যায় আসে অফিসে কাজে, কন্যাকে নিয়ে স্কুলে যাই আসি। আমরা কতটুকু তৈরি মৃত্যুর জন্য?
মৃত্যু যে আমাদের দিকেও ধেয়ে আসছে না, তার নিশ্চয়তা কী?

খবরে জানা যায়, পিকআপের চালক গাড়ি চালাতে চালাতে সেলফোনে কথা বলছিলো... তার কিন্তু মৃত্যু হয়নি, পালিয়ে গেছে...
আমরা বোধহয় নিজস্ব মৃত্যুর আগে কোনোদিন সচেতন হতে শিখবো না... অন্যের মৃত্যু আমাদেরকে আজকাল সত্যিই ভাবায় না... সর্বোচ্চ দুদিন এই খবর নিয়ে মন খারাপ হবে। পরবর্তী মৃত্যু বিভীষিকার খবর এসে এই স্কুল ছাত্রদের কথা ভুলিয়ে দেবে আমাদের। এরপর আরো আরো নতুন মৃত্যুর খবরে আমরা তাৎক্ষণিক কষ্ট পাবো কেবল। এগুলোর কোনো ক্ষত থাকবে না। কোনো তদন্ত হবে না... কোনো শাস্তি হবে না। এ যে স্রেফ একটা দুর্ঘটনা কেবল।

ক্ষতগুলো থেকে যাবে শুধু পরিবারগুলোতে। একটা পুত্রসন্তানের জন্য পরিবারগুলোর কী অপেক্ষা। অনেক প্রতীক্ষার পরে হয়তো একটি পুত্রসন্তান জন্মে... সেই পরিবারে এই-ই রাজপুত্র। পরিবার পরিকল্পনার কর্মীদের দাপটে "ছোট পরিবার সুখি পরিবার"। এই সন্তান একদিন বড় হবে, বৃদ্ধ পিতা মাতার সহায় হবে... আমরা সেইসব পরিবারের কোনো খবর আর রাখবো না, সরকার এককালিন একটা সামান্য ক্ষতিপূরণ দিয়ে দায় সারবে... তারপর অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট...

ভুলে যাবো এই আমিও... পোস্টটা লেখা শেষ করেই পাঠকের বাহবার জন্য অপেক্ষা করবো... মৃত্যুর জন্য না...


মন্তব্য

দ্রোহী এর ছবি

চারপাশে এত এত দুঃসংবাদ!

আর ভাল লাগে না।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

টিভিতে খবরে বলছে, সেই রাস্তাটায় বাস চলে না, তাই এলাকার দিকের ট্রাক দেখে তাতে করে খেলা দেখে ফেরা...
বলছে যে অনেকের বাবা-মাই জানতেন না দস্যুগুলো হরতালের মাঝে এভাবে খেলা দেখতে গিয়েছে...

শুধু ছোট ছোট ডেডবডি দেখাচ্ছে... যারা আর কিছুদিন পরেই সব বড় হয়ে যেত...

নিরাপদ রাস্তা চাই... নিরাপত্তা চাই রাস্তায় চলার...

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এই মাত্র খবরে জানতে পারলাম মগবাজারে একটা আটতলা বাড়িতে আগুন লাগছে মন খারাপ

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আর সকাল থেকে প্রচণ্ড বিরক্ত ছিলাম এই খবরটা পড়ে

সত্যিই আর ভালো লাগে না

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তিথীডোর এর ছবি

তবু এই মৃত্যু উপত্যকাই আমার স্বদেশ...
শুধু দুঃসংবাদ শুনতে আর ভাল্লাগে না।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

নাহ আর ভালো লাগে না, এইসব কীভাবে সহ্য করি? এদের পিতামাতার কথা চিন্তা বিমর্ষ হয়ে পড়লাম!!! মন খারাপ মন খারাপ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

প্রতিটি কিশোরের মৃত্যুর বিনিময়ে পরিবারগুলো ২০ হাজার করে টাকা পাবে... হাসি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অদ্রোহ এর ছবি

এতগুলো কচি ছেলে একসাথে চলে গেল...স্তম্ভিত...

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

শিমুল এর ছবি

"জীবন" নামের মহার্ঘকে এমন নিশ্চিন্ত অবহেলায় অকালে ঝড়ে পড়তে বোধহয় আর কোথায় কোনকালে এমনভাবে দেখা যায়না কিংবা যায়নি, যেমনটা দেখা যায় এই সোনার বাংলায়......।

উদাসীন নির্বিকার মধ্যবিত্ত, দূর্নীতিবাজ লোভী সরকার ও প্রশাসন সাথে যাবতীয় দৈব-দূর্বিপাক-এইভাবেই রাস্তাঘাটে ভাই-বোন, ছেলে-মেয়ে কিংবা আমাদের নিজেদের খন্ড-বিখন্ড মৃতদেহই আমাদের ভবিতব্য।

এই মৃত্য উপত্যকা , এই শশ্মানপুরীর আমাদের দেশ এবং তা অনাগত দিনে তা মৃত্য উপত্যকা শশ্মানপুরীই থাকবে।নো রেস্পাইট......

সবজান্তা এর ছবি

আমার মামাবাড়ি মিরসরাইতে। যেখানে ছেলেগুলি অ্যাক্সিডেন্ট করেছে তার একদম সাথের গ্রামটাতেই। ছোট থাকতে প্রতি বছর রোজার ঈদের এক মাস ছুটিতে মামাবাড়ি চলে যেতাম দুই ভাইবোন, সেখানে ধুন্ধুমার খেলা। আমার শৈশবের একটা রঙিন অংশ জুড়ে আছে সেই গ্রাম। বহুদিন যাই না, তাই নামটার সাথে দুরন্ত এক স্মৃতিই জড়িয়ে আছে। সন্ধ্যার দিকে অফিসের কাজের ফাঁকে যখন বিডিনিউজে খবরটা দেখলাম, অদ্ভুত রকমের অসহায় লাগছিলো। আমার সেই সময়ের খেলার সঙ্গীরা এখন সবাই পূর্ণবয়স্ক যুবক, কেউ নিশ্চয়ই যায়নি খেলা দেখতে- কিন্তু যারা গিয়েছে তাঁদের বয়েসীই ছিলাম আমি সেইসময়, কিংবা সেই সব ছেলেরা। এই দেশে অনেক দুর্ঘটনা হয়, সবকিছুতেই একটা ছাঁচে ফেলা দুঃখই পাই। কিন্তু আজ দুর্ঘটনাতে যেই শোকটা অনুভব করছি, তা সবকিছু ছাপিয়ে অনেক বেশি ব্যক্তিগত, অনেকটাই স্মৃতিকাতরতার।

অপ্রাসংগিক অনেক কিছু বলে ফেললাম। আসলে খবরটা শোনার পর থেকে একদমই ভালো লাগছে না, দুঃখিত।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ভাষাহীন!

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

তানিম এহসান এর ছবি

আপনার অনুভূতি এবং বোধ এর উপর দারুন শ্রদ্ধা এলো! নজরুল ভাই, প্রতিদিন এইরকম অসংখ্য ঘটনা দেখে দেখে ভেতরে ভেতরে আমরা মরে যাই আবার প্রাণপন জেগে উঠি। প্রতিদিন ধ্বংসসতুপ থেকে বের হতে হতে, ক্রমাগত মানসিকভাবে মার খেতে খেতে আমাদের ভেতরের হাড়মাংস, চোয়াল শক্ত হয়ে উঠতে থাকে আর আমরা এইভাবেই নিজেদের প্রকাশ করে আত্মতৃপ্তি মেটাই। আপনার শেষ লাইনটা আমাদের নাড়িয়ে দিয়ে যাবে, আমরা মন্তব্য করবো তারপর বছর বছর মিডিয়ার বর্ষপূর্তিতে “কেমন আছে তারা”বলে প্রতিবেদন করে করে সেই মানুষগুলোকে পণ্য বানিয়ে ফেলা হবে ....চলছে চলবে .....

নিজের বাড়ীর দেয়াল ভেঙে আমরা পাশের বাড়ীর দেয়ালে যেয়ে ঠেকে গেছিযে!!

নীলকান্ত এর ছবি

সত্যি আর ভালো লাগে না। দুপুরে যখন ঘটনাটি ঘটে তখন টেলিভিশনের সামনেই ছিলাম। ভাষাহীন।


অলস সময়

নৈষাদ এর ছবি

কী বলব...... কি অদ্ভুত, অসহনীয় ...উদাসীনতা...

(...খোদ ঢাকা শহরে ট্রাফিক লাইট এখন আর কেউ এমনিতে মানে না। কী অদ্ভুত!! প্রত্যেকটা ট্রাফিক লাইটের সিগন্যালে একাধিক পুলিশ থাকতে হয়। লাইল বাতি জ্বললে পুলিশকে দুই হাত বাড়িয়ে গাড়ির বহরের সামনে দাঁড়াতে হয় গাড়ি থামাতে। না হলে কেউ থামবে না। ৮/১০ বছর আগেও এটা ছিল না। কখনো কোন উশৃংখল চালক আইন আমান্য করে লাল বাতিতে গাড়ি না থামালে কিছুটা গিয়েই মটরসাইকেলে বসা ট্রাফিকের ফাইনের সামনে পরতে হত।

পথচরীরাও আর লাইল বাতির অপেক্ষা করে না, কোন মত দৌড়ে পার হয় রাস্থা...। কিছু মটরসাইকেল আরোহীর ট্রাফিক বাতি উপেক্ষা করার উৎসবে......)

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি মিলবে কবে?

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

মনটা খারাপ হয়ে গেলো। আল্লাহ ওদের পরিবারকে এই অপুরণীয় ক্ষতির শোক সামলে নেওয়ার শক্তি দিন। মন খারাপ

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

অনিকেত এর ছবি

এই উদিত দুঃখের দেশে কেবল আশার সূর্য অস্তমিত হয়---
যে কচি কচি কিশলয়ে ফোটার কথা নবজাগরণের প্রাণ
তাদের জীবনটা থেমে যায়--বেঁচে থাকে আমার মত নির্বোধ অপ্রয়োজনীয় জঞ্জাল!!
কী ভীষন অপচয়, কী ভীষন ক্ষয়!!

আয়নামতি1 এর ছবি

.................

কৌস্তুভ এর ছবি

মন খারাপ

কোটি কোটি লোকের দেশে মানুষের জীবনের দাম খুব সস্তা...

বোকা মেঘ এর ছবি

দুপুরে খবরটা শুনবার পর অনেকক্ষণ থম ধরে বসে ছিলাম...
একের পর এক চলছেতো চলছেই...
যেন কোনো এক পৌরানিক অভিশাপ বয়ে চলেছি আমরা...
মন খারাপ

বোকা মেঘ এর ছবি

দুপুরে খবরটা শুনবার পর অনেকক্ষণ থম ধরে বসে ছিলাম...
একের পর এক চলছেতো চলছেই...
যেন কোনো এক পৌরানিক অভিশাপ বয়ে চলেছি আমরা...

তারাপ কোয়াস এর ছবি

আসলেই আমাদের অনুভূতিগুলা ভোঁতা হয়ে গেছে। এখন যেকোন মৃত্যুই মানে কিছু সংখ্যা মাত্র, যা ত্রমাগত পাল্টায় আর মাত্রাভেদে স্থায়ী হয় শোক/দুঃখবোধ!

এতগুলা তরতাজা প্রাণ, এতগুলা স্বপ্ন এক নিমিষেই নেই হয়ে গেল!
মন খারাপ


love the life you live. live the life you love.

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ভাষাহীন। এরকম হাজারো সম্ভাবনার মৃত্যু ঘটছে অহরহ। তবুও আমাদের রাষ্ট্রনায়করা কার্যকর কিছু করতে পারে না!

ফাহিম হাসান এর ছবি

শ্রদ্ধা

একটাই দাবী - নিরাপদ সড়ক চাই।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

নিশ্চিতই আমরা নিজস্ব মৃত্যুর আগে সচেতন হবো না............
পরিবহন ব্যবস্থার মতো অরাজক আর কিছু বাংলাদেশে নেই। এদের বিরুদ্ধে কোন রকম আইন প্রণয়ন করতে পারেনি কোন শক্তিধর সরকার। পরিবহন মালিক ও কর্মীদের কাছে সমস্ত বাংলাদেশের রাস্তাগুলো জিম্মি।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

tanjim এর ছবি

গত ৩ মাসের মধ্যে ২ জন কাছের বন্ধু কে হারিয়েছি সড়ক দুর্ঘটনায়। ২ জনই সরকারী ডাক্তার, বি,সি,এস কর্মস্থল থানা হেলথ কমপ্লেক্সে যাচ্ছিল।অনেকেই মামা-চাচা ধরে এরি মধ্যে মেডিক্যাল কলেজ গুলোতে চলে আসলেও নিরীহ এই দুজন গ্রামেই পড়ে ছিল। দুই পরিবার এখন তাদের হারিয়ে নিঃস্বপ্রায়।
এভাবে মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না।

মৌনকুহর. এর ছবি

.................. মন খারাপ

কালো কাক এর ছবি

আর ভালো লাগেনা । কোন ভাল খবর নাই মন খারাপ একটা ঘটনা থেকেও আরেকটা আরো বেশি দুঃখজনক

ইস্কান্দর বরকন্দাজ এর ছবি

মন খারাপ

ফারুক হাসান এর ছবি

স্তম্ভিত হয়ে বসে ছিলাম অনেকক্ষণ।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

.......................................

সচল জাহিদ এর ছবি

এখনো মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

রিমি দিও এর ছবি

আমার বাসা থেকে ঘটনাস্থলের দুরত্ব মাত্র এক/দেড় কিমি হবে। দূর্ঘটনার কয়েক মিনিট আগেও আমাদের বাসার টিউব ওয়েলথেকে পানি খেতে এসেছিলো ওরা দলবেধেঁ...কিন্তু কে জানতো কয়েক মিনিট পরেই ওরা হবে একেকটি লাশ...

তানিম এহসান এর ছবি

@রিমি দিও, সমব্যাথা রইলো, ভালো থাকবেন।

জলিল এর ছবি

এ সব সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তির শাস্তি কমপক্ষে ১০ বৎসর সাজা হওয়া উচিত ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।