আহত বোধ এবং এলোমেলো ভাবনা

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী (তারিখ: বুধ, ২২/০২/২০১২ - ৯:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গত বছর অর্থাৎ ২০১১ সনের ফেব্রুয়ারী মাসের ঘটনা। আমি তখন থাকতাম ডাবলিনে। ছুটিতে দেশে গিয়েছি বেড়াতে। উদ্দেশ্য প্রায় সাড়ে তিন বছর পর পরিবার ও বন্ধুদের সাথে দেখা করা। সাথে আরেকটা গোপন উদ্দেশ্যও ছিল। সেটা অনেক দিন পর বইমেলা ঘোরা। সেজন্যেই মূলতঃ ছুটিটা ডিসেম্বর-জানুয়ারী থেকে সরিয়ে ফেব্রুয়ারী মাসে নেয়া।

যাইহোক, দেশে গিয়ে সবার সাথে মিশে খুব ভালো লাগলো। কিন্তু যত সময় যেতে থাকে ততই আবিষ্কার করি ২০০৭ সনেও আমি যে বাংলাদেশ দেখে গিয়েছি, সেই বাংলাদেশ আর নেই। আগে শুনতাম ভারতের আগ্রাসন বাংলাদেশের সীমান্তে। সেটা কোন অংশে কমে নি যদিও, কিন্তু বেড়েছে বহুলাংশে সীমান্তের ভেতরে। অনেক ভেতরে। খোদ রাজধানীতে। ভাসাভী এবং শপার্সওয়ার্ল্ডের শাড়ীগুলোর নাম বাদই দিলাম। সাধারণ দোকানেও ভারতীয় শাড়ী। সেই শাড়ীর নামও হতে হবে ভারতীয় তারকাদের নামে। শুধু কি শাড়ী? ল্যাহেঙ্গা (যা কিনা আরেকটা ভারতীয় আমদানী) সহ আর বিভিন্ন ধরনের পণ্যে ভরে আছে দেশের বাজার। কিন্তু কারো কারো দেখি মনে ধরছে না সেই পণ্যও। বিশেষতঃ বিয়ের কেনাকাটায়। তাই তারা ছুটে যাচ্ছে দিল্লী এবং মুম্বাই। হিসেবটা মেলাতে কষ্ট হচ্ছিল। আমার পরিচিত যে পরিবারটি কেনাকাটা করছিল তারা রীতিমত বিত্তশালী। গেলে হয়তো তারা সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক যেতো। কিন্তু তারা কেন উল্টা এখন ভারত যাচ্ছে? ভারত কি তবে সিঙ্গাপুর-ব্যাংকককেও হারিয়ে দিয়েছে?

টিভি দেখার প্রতি আমার খুব একটা আগ্রহ নেই। তার উপর মাত্র চৌদ্দ দিনের জন্যে দেশে গিয়ে সেটা খুলে বসার কোন কারণ ছিল না। তবু খুললাম খেলা দেখার জন্যে। কিন্তু টিভি খুলে দেখি ভারতীয় আর ভারতীয় চ্যানেল। হিন্দীর পাশাপাশি অনেকগুলো নূতন ভারতীয় বাংলা চ্যানেল দেখলাম। এমন কি তামিল-তেলেগু চ্যানেলও রয়েছে। মনে প্রশ্ন জাগলো এগুলো দেখে কারা? আদৌ এগুলো দেখার মানুষ আছে বাংলাদেশে? কিন্তু তবুও চলছে সেই চ্যানেলগুলোও।

তবে সবচেয়ে ভয়াবহ লাগলো খেলার চ্যানেলগুলো। সব ভারতীয় না হয় পাকিস্থানী। আমাদের বাংলাদেশে খেলা দেখানোর জন্যে টিভিস্বত্ব পায় ভারতীয় অথবা পাকিস্থানী কোম্পানী। কিন্তু কেন? আমাদের কোন চ্যানেল কি যোগাযোগ করতে পারে না? হিন্দী চ্যানেলগুলো না হয় ‘আজ থেকে হিন্দী সিরিয়াল দেখা বন্ধ’ ঘোষণা দিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে কিন্তু খেলা, ডিসকভারী, বাচ্চাদের কার্টুন চ্যানেল (তাও আবার হিন্দীতে!) কী করে নিয়ন্ত্রণ করবো আমরা?

ভারতীয় গান আমাদের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে কীভাবে ছড়িয়ে আছে সেটা আর নূতন করে বলার প্রয়োজন নেই। কিন্তু খোদ ফেব্রুয়ারী মাসে বসুন্ধরা সিটিতে গিয়ে যখন শুনি ভারতীয় গানের আওয়াজে অন্য কোন দোকান থেকে আসা বাংলা গান প্রায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে, তখন খারাপ লাগে। বাসায় ক্যাবল অপারেটররা নিয়মিতই হিন্দী ছবি দেখায় যদিও আমি জানি না তারা এতটা নিয়মিত বাংলা ছবি আদৌ দেখায় কিনা। আর সম্প্রতিতো হিন্দী ছবি সিনেমা হলে মুক্তির অনুমতিও পেয়ে গিয়েছে ভারতীয় প্রযোজকরা। এছাড়া ভারতীয় গল্প-উপন্যাস এবং ম্যাগাজিনের যে বাজার বাংলাদেশে রয়েছে সেটা অবিশাস্য রকমের বড়।

তবে এত কিছুর পরও সবচেয়ে অবাক লেগেছে ভারতীয় রেস্টুরেন্টের ব্যবসা দেখে। গুলশানে আমাদের বাসার কাছেই ছিল ‘খানা-খাজানা’ নামে একটা ভারতীয় রেস্টুরেন্ট। জীবনে আমি একবারই খেয়েছি ওখানে এবং সেটাও সুবিশেষ ভালো অভিজ্ঞতা নয়। কিন্তু এখন এমন রেস্টুরেন্ট ঢাকায় বেশ কিছু হয়েছে। সেগুলোতে কোন কারণ ছাড়াই দাম আকাশচুম্বী। আমাদের মানুষ সেখানে যাচ্ছে। খাচ্ছে। এবং মনে মনে ভাবছে, ‘আহ, কী খেয়ে এলাম’। আপনি হয়তো অবাক হবেন এত কিছু থাকতে ভারতীয় রেস্টুরেন্ট কেন আমাকে খোচাচ্ছে। কারণটা আমার গত চার বছরের প্রবাস জীবন। প্রবাস জীবনে দেখেছি ডাবলিন এবং লন্ডনে প্রচুর উপমহাদেশীয় রেস্টুরেন্ট যেগুলোর নাম ‘ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট’। কিন্তু সেগুলোর বেশির ভাগেরই মালিক বাংলাদেশী, অন্তত ডাবলিনের ক্ষেত্রে এটা হলফ করে বলতে পারবো। ‘ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট’ শব্দযূগল মূলতঃ ব্যবসার খাতিরে লাগানো। বিলাতী-ভারতীয় সবাই সেখানে বাংলাদেশীদের হাতেই উপমহাদেশীয় খাবার খাচ্ছে। এক লেখায় পড়েছি এক ব্রিটিশ ভদ্রলোক বলছেন, ‘আমরা তোমাদের গান পাউডার দিয়ে শাসন করেছি। তোমরা আমাদের কারি পাউডার দিয়ে পাল্টা শাসন করছো’। এই যেখানে আমাদের ঐতিহ্য, সেখানে খোদ আমাদের দেশে আমরা ভারতীয়দের খাবার খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছি। ভাবছি ‘আহ, কী না খেলাম’।

দেশে আসার ঠিক আগ মুহূর্তে একটা পারিবারিক অনুষ্ঠানে গেলাম। সেখানে আমার ছোটছোট কাজিন এবং ভাগিনা-ভাগনীদের সাথে দেখা। এরা হচ্ছে একেবারে নব্য প্রজন্ম। কৌতুহলী হয়ে তাদের জিজ্ঞেস করালাম প্রিয় গান কোনটা? উত্তরে এলো সব হিন্দী গানের নাম। প্রিয় তারকা? সেটাও সব ভারতীয় তারকা। এমন কি কী সব রিয়ালিটি শোর উপস্থাপকের নাম বললো যা আমি জীবনে শুনি নি (এমটিভির একটা রিয়ালিটি শো সম্ভবত)। দেখলাম তারা নিজেদের মধ্যে টুকটাক কথাও বলছে হিন্দীতে। বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গাইতে বলাম তাদের কিন্তু পারলো না। একবার ভাবলাম ভারতীয় জাতীয় সংগীত গাইতে বলি। পরে মনে হলো সেটা যদি গেয়েই ফেলে, তাহলে আর কষ্টের শেষ থাকবে না। তার থেকে বরং প্রশ্নটা নাই বা করি।

সেবার দেশ থেকে ফিরে আসার সময় একটা অনুভূতি নিয়ে ফিরে এসেছিলাম। এই যে ভারতীয় আগ্রাসন, এটা আসলে চট করে হয় নি। এটা পূর্ব পরিকল্পিত। ধীরেধীরে আমাদের কোনঠাসা করে তারা ঢুকে পড়েছেন আমাদের ভেতরে। কিন্তু এমন ভাবে ঢুকেছেন যেন ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়। হিন্দী চ্যানেল দেখা বন্ধ করলেই এই আগ্রাসন থেমে যাবে না অথবা ভারতীয় গানের বাজার কমিয়ে দিলেই হিন্দী ভাষা কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীদের মুখ থেকে বিলুপ্ত হবে না। এর জন্যে প্রয়োজন জনসচেতনতা। এবং একই সাথে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে তৈরী করতে হবে বিকল্প পণ্য। সেটা টিভি চ্যানেল থেকে শুরু করে চলচিত্র, খাবারের দোকান এমন কি উন্নত মানের গল্প-উপন্যাসও। আমাদের সমাজ যদি আমরা আমাদের চিন্তা-চেতনা দিয়ে গড়তে না পারি তাহলে সেটা গড়ার কাজ ‘অন্য কেউ’ নিয়ে নেবে। প্রকৃতি ভ্যাকুয়্যাম তথা বায়ুশূণ্যতা পছন্দ করে না। একজন না একজনকে সে আমাদের সমাজ গড়ার কাজে রাখবেই। এখন দেখার বিষয় সেই ‘একজন’ বলতে আমরা কাকে নির্বাচন করি। নিজেদের, নাকি দাদাদের।

২২ ফেব্রুয়ারী ২০১২
গ্লাসগো, যুক্তরাজ্য


মন্তব্য

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

লেখায় তারা দাগালাম। চলুক
আসুন আমরা ভারত রাষ্ট্রের সব পন্য বর্জন করি।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

লেখাটা পড়ার জন্যে এবং মন্তব্যের জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাষা হিসেবে হিন্দী বা নাগরিক হিসেবে ভারতীয়দের আমি ঘৃণা করি না কিন্তু আদর্শের দ্বন্দ্বে তাদের বিপক্ষে অবস্থান নেয়াটা আমি নৈতিক দায়িত্ব বলে বোধ করি। হ্যা, আসুন ভারত রাষ্ট্রের পণ্য আমরা বর্জন করি।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি
বাউণ্ডুলে এর ছবি

একটা প্রশ্ন ছিল ( জানিনা করা ঠিক হবে কিনা) ... তারপরেও একজন পাঠক হিসেবে করছি...
১। আপানার বিয়েতে বর আর কনের পোশাক/প্রসাধনী (অন্যদের কথা বাদ দিলাম) কত % ভারত বর্জিত ছিল ?
২। আপানার হলুদের ডিজে পার্টির গান / নাচ গুলোর কত ভাগ ভারতীয়/ হিন্দি বর্জিত ছিল?

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

তপু, খুবই যৌক্তিক প্রশ্ন। প্রথমটার উত্তর, কসমেটিক্স-এর ক্ষেত্রে ভারতীয়টা কেনার প্রশ্নই আসে না। আর শাড়ী কেনা হয়েছে বসুন্ধরা সিটি থেকে। তারা শাড়ীগুলো ভারতীয় এমন ভাবে পরিচয় তুলে ধরে নি। তেমনটা বললে আমি কখনওই কিনতাম না। আসলে পণ্য কেনার ক্ষেত্রে কেন ভারতীয়টা কিনতে হবে সেটাই আমার মাথায় আসে না। ওদের একটা ব্র্যান্ড নিউ মারুতি গাড়ীতো দুই বছর পরই ঝরঝরে হয়ে যায়, অথচ আমাদের জাপানী সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ী (রিকন্ডিশনও না), পাক্কা ১১ বছর (২০০০ থেকে ২০১১) সার্ভিস দিয়েছে। তারপর আমরা সেই গাড়ী তিন লাখ টাকায় বিক্রিও করেছি।

২য় প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, আমাদের হলুদে ডিজে ছিল এবং সে হিন্দীগান বাজিয়েছেও। তাকে অন্তত দুইবার আমি দেখেছি গান বদলাতে বলা হয়েছিল কিন্তু সে তার পরও হিন্দী গান বাজিয়েছে। এটা আমার জন্যে একটা শিক্ষা ছিল। আমার ছোটবোনের হলুদে যদি ডিজে থাকে, তাহলে তাকে আগেই হিন্দী গান বাজাতে মানা করবো আমি। আসলে আমাদের দেশের ডিজেদের মধ্যে সেই সচেতনতাটা এখনও আসে নি। আমাদের আধুনিক বাংলা গানগুলোও যে বাজানো যায় সেই উপলব্ধি সবার মধ্যে নেই।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

মন খারাপ

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

আশাহত হবেন না। আসুন, পরিবর্তনটা আমরাই শুরু করি।

sabeka এর ছবি

আসলে সচেতনতা ছাড়া এসব বদলানোর কোন উপায় দেখিনা । আমাদের দেশের বেশীরভাগ মানুষ এখন নিজেকে নিয়ে এতোই ব্যস্ত,অশ্লীল ভোগবাদীতার দাপট মগজে এতোই প্রবল যে এদের ফেরার কোন আশা দেখিনা:(

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

নিজেকে নিয়ে ব্যস্ততার বিষয়টা আমার মনে হয় সব সময়, সব সমাজেই ছিল। অর্থনীতির চাকা সচল রাখার পেছনে এটার ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকা এবং নিজের অস্তিত্বকে বেমালুম ভুলে গিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাওয়া আসলে ভিন্ন এবং আমরা সেই দ্বিতীয় কাতারে দৌড়াচ্ছি। আত্মমর্যাদাবোধ থেকে এই সচেতনতাটা আসবে। কিন্তু আমাদের সেই আত্মমর্যাদাবোধ কি আছে? হয়তো এখন সময় এসেছে সেই বোধকে জাগ্রত করার। আশাহত হবেন না। ব্যক্তি পর্যায় থেকে চাওয়াটা জন্ম নিলে তা এক সময় জাতিগত ভাবে একটা চাওয়ার জন্ম দেবে। একটা বোধের জন্ম হবে।

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

আমি সবচেয়ে প্রথমে যেটা বলব সেটা হচ্ছে কার্টুন চ্যানেলে যে সব জনপ্রিয় কার্টুন দেখায় সেগুলো বাংলাভাষায় রুপান্তরিত করে প্রচারিত করাটা জরুরী। নিদেন পক্ষে যে ভাষারটা সেই ভাষাতেই হতে পারে; কিন্তু তা হতে হবে বাংলাদেশী কোনও চ্যানেলে। তাহলে আমাদের এখানের সময় অনুযায়ী দেখাতে পারবে কার্টুনগুলো। আমাদের ছোটবেলায় বিটিভিতে ২০ মিনিট বা ৩০ মিনিট ঠিক মনে নেই কার্টুন দেখাতো। কিন্তু ওই সময়টার জন্য সারাদিনের অধীর অপেক্ষা মনে আছে। এখনকারমতো ২৪ ঘন্টাই যদি দেখাতো, তাহলে আজ হয়তো আমি জানতামও না যে এর বাইরেও কতো সুন্দর সুন্দর জগত আছে। হয়তো আমি ভুক্তভোগী তাই এই ব্যপারটাতেই জোর বেশি দিচ্ছি; কিন্তু একটা ছোট্ট বাচ্চার পছন্দ নিয়ে যেমন তার সাথে জেদ করা যায়না তেমনি যায়না তাকে বোঝানো; উল্টোদিকে সে ভাষা শিক্ষাটা ঠিকই পেয়ে যাচ্ছে এবং বোঝার বয়সে আসতে আসতে এই বিদেশী ভাষাটাই তার নিজস্ব ভাষা হয়ে যাবে হয়তো। যা খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

কার্টুন চ্যানেল যেমন বাচ্চারা দেখে তেমনই খেলাধুলার চ্যানেলগুলো তরুণরা দেখে। আবার সিরিয়ালগুলো মা-খালারা দেখেন। আমার মনে হয় আলাদা আলাদা ভাবে প্রতিটা ক্ষেত্রে আমাদের নিজেদের চ্যানেল থাকাটা জরুরী। আগে আমার কষ্ট লাগতো বাংলাদেশে কোন ২৪/৭ নিউজ চ্যানেল নেই। কিন্তু এবার দেখলাম দুটো হয়েছে। এটা একটা আশার দিক। দেখা যাক কার্টুন বা অন্য চ্যানেলগুলোও এভাবে তৈরী হয় কিনা।

মরুদ্যান এর ছবি

চলুক চলুক চলুক

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

শুভেচ্ছা রইলো।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

চলুক

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

শুভেচ্ছা রইলো।

উচ্ছলা এর ছবি

এই যে ভারতীয় আগ্রাসন, এটা আসলে চট করে হয় নি। এটা পূর্ব পরিকল্পিত। ধীরেধীরে আমাদের কোনঠাসা করে তারা ঢুকে পড়েছেন আমাদের ভেতরে।

সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করছি আপনার বক্তব্যটি। 'ওরা' ঢোকেনি। আমরা বাঙ্গালীরা 'ওদেরকে' আদর করে ডেকে এনে আমাদের পোশাকে, মনে, মননে, খাবারে ঢুকিয়েছি। দোষ আমাদের। ওদের নয়। বাংলাদেশ ইন্ডিয়ার একটি বাজারে পরিনত হবার জন্য 'অন্য' কাউকে দায়ী করে 'এ কি হল, কেন হল' বলে ক্রন্দন করে লাভ নেই। এ বেকুবী একান্তই আমাদের।

আপনার লেখাটি পড়তে দারুন উপভগ্য লেগেছে চলুক

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

অস্বীকার করবো না যে ওদেরকে আদর করে ঢোকানো হয়েছে, তবে কেন যেন মনে হয় আমাদের আগের সরকারগুলোর অসচেতনতার কারণেই এমনটা হয়েছে। ক্যাবল টিভির উদাহরণটাই ধরুন। আমরা যখন ক্রমাগত ভারতের চ্যানেলগুলোকে বাংলাদেশে ঢোকার অনুমতি দিচ্ছিলাম, তখন ভাবি নি এর পরিণতি কী হতে পারে অথবা এর বিকল্প হিসেবে আমাদের দেশের চ্যানেলগুলোকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলা। এখন আমরা যখন হায় হায় করছি, তখন ভারত আমাদের মধ্যে ঢুকে গিয়েছে!

লেখাটা ভালো লেগেছে শুনে ভালো লাগলো শুভেচ্ছা রইলো।

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

যেরকম ধারা তৈরি হয়েছে, সেটা থেকে বেরুনোটা খুব কঠিন নয়। কিন্তু সেই আন্তরিক সচেতনতা কই?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।