কার পার্কের নীচে অবহেলিত ইংরেজ রাজার কঙ্কাল

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী (তারিখ: মঙ্গল, ০৫/০২/২০১৩ - ৬:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সম্প্রতি দুটা খবর ব্রিটিশ পত্রিকার শীর্ষ সংবাদ হয়ে তোলপাড় শুরু করেছে। এর মধ্যে একটা হচ্ছে লিভারপুলের ২০০৯ সনে ইংল্যান্ডের নিজ মাঠে চ্যাম্পিয়ান্স লীগে খেলা একটা ম্যাচ পাতানো ছিল। আর অন্যটা হচ্ছে ইংল্যান্ডের লেস্টার শহরের এক কার পার্কের নিচ থেকে ইংল্যান্ডের রাজা তৃতীয় রিচার্ডের কঙ্কাল আবিষ্কৃত হয়েছে। আবিষ্কারের কাজটা করেছেন লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিওলজিস্টরা। নিঃসন্দেহে দুটা খবরই প্রচুর আলোচনা এবং সমালোচনার অবকাশ রাখে; এবং সেটা হচ্ছেও। তবে যে কারণে এই লেখার অবতারণা, সেটা মূলতঃ দ্বিতীয় সংবাদটা। রাজা তৃতীয় রিচার্ড নিহত হয়েছিল ১৪৮৬ খৃষ্টাব্দতে যুদ্ধে পরাজিত হবার পর। ছয়শ বছরের অধিক সময়ের পুরনো এই রাজার কঙ্কাল নিশ্চিত করা সহজ কথা না। মনে রাখা জরুরী যে এটা মমি বা কোন ঐতিহাসিক সমাধি নয়। খুবই অবহেলায় কবর দিয়ে রাখা এক মানুষের কঙ্কাল। এ সব কারণে কাল গভীর রাত পর্যন্ত গবেষকদের কাজ নিয়ে ঘাটাঘাটি করলাম। ফলাফল যা দাঁড়ালো তা এই লেখাটা।

শুরুতে ব্যাখ্যা করে নেয়া প্রয়োজন রাজা তৃতীয় রিচার্ড কে ও কেমন ছিল এবং তার ভাগ্যে কী ঘটেছিল। রাজা রিচার্ড সম্পর্কে যতটুকু জানলাম, তাতে বোঝা যাচ্ছে সে ছিল চরম নিষ্ঠুর এবং নির্দয়। আর এ কারণে নিজের প্রজাদের মাঝে তার জনপ্রিয়তা ছিল খুব কম। রিচার্ডের বংশ এসেছিল ‘হাউজ অব ইয়র্ক’ থেকে। অন্যদিকে ‘হাউজ অব ল্যাঙ্কেস্টার’ থেকে রিচার্ডের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডাক দেয় হেনরী টিউডর। এই হেনরীই পরবর্তীতে ইংল্যান্ডের রাজা সপ্তম হেনরী হয় এবং তাদের পরিবারের গল্প শেক্সপিয়ারের বদৌলতে যথেষ্টই শুনেছি আমরা। যাইহোক, ফিরে যাচ্ছি রিচার্ডের বর্ণনায়। রিচার্ড মাত্র দুই বছর রাজত্ব করেছিল। এরপর ১৪৮৬ খৃষ্টাব্দে ৩২ বছর বয়সে ‘ওয়ার অব রোজেস’ এর শেষ যুদ্ধে সে হেনরীর কাছে পরাজিত হয়। যদিও রিচার্ডের সৈন্যবাহিনী হেনরীর থেকে বড় ছিল, কিন্তু তবুও রিচার্ড পরাজিত ও নিহত হয়। রিচার্ডের মৃত্যু ছিল খুবই করুণ। তাকে ঘোড়া থেকে ফেলে দিয়ে নির্মম ভাবে অত্যাচার চালানো হয়। তারপর তাকে নগ্ন করে ঘোড়ার পিঠে চড়িয়ে একটা সাধুর আশ্রমের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে তাকে দুই দিন ফেলে রাখার পর কোন রকম আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই কবর দেয়া হয়।

ফরাসী কবি ও ঐতিহাসিক জঁ মলিনেট (Jean Molinet) ১৪৯০ সনে রিচার্ডের মৃত্যু দৃশ্যকে এভাবে বর্ণনা করেন,

His horse leapt into a march from which it could not retrieve itself. One of the Welshmen then came after him, and struck him dead with a halberd, and another took his body and put it before him on his horse and carried it, hair hanging as one would bear a sheep. And so he who miserably killed numerous people, ended his days iniquitously and filthily in the dirt and mire, and he who had despoiled churches was displayed to the people naked and without any clothing, and without any royal solemnity was buried at the entrance to a village church.

অন্য দিকে ইটালিয় ঐতিহাসিক পলিডিওরো ভির্জিলি (Polidoro Virgili), যিনি হেনরীদের ইতিহাস লেখক ছিলেন, একই ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন এভাবে,

The body of King Richard, naked of all clothing, and laid upon a horse's back, with the arms and legs hanging down on both sides, was brought to the abbey of Franciscan monks at Leicester, a miserable spectacle in good truth, but not unworthy for the man's life, and there was buried two days after without any pomp or solemn funeral.

ইতিহাস থেকে জানা যায় যে আশ্রমের কথা ভির্জিলি লিখেছে তা স্থাপিত হয়েছিল ‌১২৫৫ খৃষ্টাব্দেতে। ১৪৯৫ খৃষ্টাব্দে ঐ এলাকার কবরের উন্নয়নের জন্যে হেনরী, যে ততদিনে রাজা সপ্তম হেনরী হয়ে গিয়েছে, কিছু অনুদানও দেয় যা ইতিহাসে লেখা রয়েছে। কিন্তু ১৫৩০ খৃষ্টাব্দের মধ্যে ঐ আশ্রম সহ পুরো এলাকাটা ধ্বংস করা হয় রাজা অষ্টম হেনরীর সময়ে। তখন থেকে দুই ধরনের কথা চলে আসছিল রাজার কবর নিয়ে। কেউ কেউ বলছিল রিচার্ডের শরীরকে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে; আবার কেউ কেউ বলছিল ওখানেই কোথাও রিচার্ডের শরীর রয়েছে। যে যাইহোক, এরপর কালক্রমে পরবর্তী পাঁচশ বছরে ঐ স্থানে গড়ে উঠেছে, ভেঙ্গেছে, আবার গড়ে উঠেছে বিভিন্ন স্থাপনা। সর্বশেষ সে জায়গাটা লেস্টার সিটি কাউন্সিল অধিগ্রহণ করে ১৯২০ সনে এবং অফিস ভবন নির্মাণ করে। এভাবেই হারিয়ে যায় রাজা তৃতীয় রিচার্ডের সমাধি। ২০১২ সনে ‘ইউনিভার্সিটি অব লেস্টার আর্কিওলজিকাল সার্ভিসেস’ (ULAS)-এর গবেষক রিচার্ড বাকলের এক মন্তব্য থেকে জানতে পারি যে রাজা তৃতীয় রিচার্ডই ইংল্যান্ডের একমাত্র রাজা যার সমাধি চিহ্নিত করা সম্ভব হয় নি।

এবার ইতিহাস থেকে ফিরে আসা যাক বিজ্ঞানে। ২০১১ সনে ‘কিং রিচার্ড দ্যা থার্ড সোসাইটি’ এবং ULAS এক যৌথ প্রকল্প হাতে নেয়। তারা লেস্টার শহরে সম্ভাব্য তিনটা জায়গা খোঁড়ার অনুমতি চায় সরকারের কাছে। এর মধ্যে একটা জায়গা ছিল লেস্টার সিটি কাউন্সিলের সেই অফিস। ২৫ অগাস্ট ২০১২ খোঁড়া শুরু হয় এবং প্রথম দিনই এক জোড়া পায়ের হাড় পাওয়া যায়। পরবর্তীতে বিভিন্ন মধ্যযুগের ঘরের অবশেষ এবং একটা গির্জাও আবিষ্কৃত হয়। ধারণা করা হচ্ছিল এই গির্জারই আশেপাশে কোথাও রিচার্ডকে কবর দেয়া হয়েছিল। আর্কিওলজিস্টরা দ্রুত বিচার বিভাকে আবেদন জানায় ছয়টা পর্যন্ত মানুষের কঙ্কাল তোলার অনুমতি চেয়ে।

এরপর ধীরে ধীরে খনন কাজ চলতে থাকে। এরই মাঝে অফিসের কার পার্কের নিচে একটা কঙ্কাল পাওয়া যায় যার পায়ের পাতা দুটো ছিল না। এছাড়া হাত দুটো পেছনের দিকে ক্রস আকারে ছিল যা থেকে ধারণা করা যায় যে তাকে দুই হাত উল্টা করে পেছনে বেঁধে রাখা হয়েছিল। এছাড়া কঙ্কালটা ছিল ইংরেজি S অক্ষরের মত এবং প্রচুর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় শরীরে। এর মধ্যে মাথায় দুটো বড় আঘাত দেখতে পাওয়া যায় যার একটা ব্লেড জাতীয় কিছু (তরবারি) দিয়ে করা হয়েছিল। এছাড়াও হত্যার সময় তাকে যথেষ্ট হিউমিলিয়েট করা হয়েছে বলে ধরনা করা যাচ্ছিল। একটা লোহার দণ্ড মেরুদণ্ডে ঢুকে ছিল যা গবেষকরা ধারণা করছিল তার পশ্চাদ্দেশ দিয়ে প্রবেশ করানো হয়েছিল। এছাড়া কঙ্কালটার বয়স ধারণা করা হচ্ছিল ত্রিশের মধ্যে হবে।

এই কঙ্কাল পাওয়ার পর অর্কিওলজিস্টরা খনন বন্ধ করে যা যা ভেঙ্গেছিল তা আবার পুনরায় গড়ে দেয়। তারপর শুরু হয় কঙ্কালটা নিয়ে গবেষণা। ডিএনএ পরীক্ষা করার জন্যে খোঁজা শুরু হয় রিচার্ডের জীবিত বংশধরদের। রিচার্ডের একমাত্র আত্মীয়ার খোঁজ পাওয়া যায় যে তার ১৬তম বংশধর। তার নাম জয় ইবসেন। এই মহিলা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কানাডায় চলে যায়। কিন্তু গবেষকরা তাকে কানাডায় খুঁজে বের করে দেখেন তিনি ২০০৮ সনে মারা গেছেন। কিন্তু সৌভাগ্যবশত তার ছেলে মাইকেল গবেষকদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসে এবং তার ডিএনএ স্যাম্পল পরীক্ষার জন্য দান করে। সেই ডিএনএ স্যাম্পলের সাথে কঙ্কালের ডিএনএ ম্যাচ করিয়ে গবেষকরা নিশ্চিত হন যে এটা রাজা তৃতীয় রিচার্ড। তবে এটাও ঠিক, রিচার্ডের অন্য কোন আত্মিও হতে পারে। সে কারণে আরও নিশ্চিত হবার জন্য কার্বন টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

কঙ্কালটা ঠিক কোন সময়ের সেটা নিশ্চিত হবার জন্যে রেডিওকার্বন ডেটিং টেস্ট করতে একই সাথে স্যাম্পল পাঠানো হয় গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যানভার্নমেন্টাল রিসার্চ সেন্টারে এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিও কার্বন এ্যাকসিলারেটর ইউনিটে। গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানানো হয় ১৪৩০ থেকে ১৪৬০ এর মধ্যে এই কঙ্কাল সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানানো হয় ১৪১২ থেকে ১৪৪৯ এর মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে। দুটো সময়ই রিচার্ডের মৃত্যুর আগের সময়কে নির্দেশ করে। তাই আরও বিস্তারিত পরীক্ষা চালানো হয় যা থেকে বেরিয়ে আসে যে কঙ্কালের মানুষটা প্রচুর সিফুড খেত। সিফুড কার্বন-১৪ এ্যাবজর্ব করে যা পরবর্তীতে কার্বন এ্যানালাইসিস করে বয়স নির্ধারণ করতে সমস্যা সৃষ্টি করে। এ কারণে প্রাপ্ত ফলের উপর বেইজিয়ান এ্যানালাইসিস করে গবেষকরা বের করেন যে ৬৮.২ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে যে কঙ্কালটা হয়েছে ১৪৭৫ থেকে ১৫৩০ এর মধ্যে এবং ৯৫.৪ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে যে কঙ্কালটা হয়েছে ১৪৫০ থেকে ১৫৪০ এর মধ্যে।

সবশেষে ডিএনএ পরীক্ষা, শরীরে প্রাপ্ত আঘাতের চিহ্ন, কঙ্কলারের প্রাপ্তিস্থান এবং বয়স বিবেচনা করে লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় জানায় কঙ্কালটা রাজা তৃতীয় রিচার্ডের। প্রেস কনফারেন্স করে তারা এভাবে বিষয়টা তুলে ধরে,

It is the academic conclusion of the University of Leicester that the individual exhumed at Grey Friars in August 2012 is indeed King Richard III, the last Plantagenet King of England.

লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণার ফলে ইংল্যান্ডের হারানো রাজা ফিরে পেলো তার সম্মান, বেঁচে না থাকলেও মৃত অবস্থায়। তবে এটাও ঠিক আদৌ এই সম্মান নিষ্ঠুর রাজা তৃতীয় রিচার্ড ‘ডিজার্ভ’ করে কিনা সেটা একটা বড় প্রশ্ন। পত্রিকায় পড়লাম অফিশিয়ালি তাকে ফিউনারেল দেয়া হতে যাচ্ছে। এতটুকু সম্মান অন্তত যে কোন মানুষ চাইতে পারে। এছাড়া তার সমাধির পাশে একটা মিউজিয়ামও হবে। তবে দেখার বিষয় এর থেকে বেশি আর কিছু বর্তমান রাজ পরিবার করে কিনা।

৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩
গ্লাসগো, যুক্তরাজ্য

তথ্যসূত্র এবং আগ্রহীদের জন্যে পড়াশোনার লিঙ্কঃ
১) লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব থেকে কঙ্কাল এ্যানালাইসিসের তথ্য পাওয়া যাবে এই লিঙ্কে। একটু সময় নিয়ে এখানে পড়লে দেখতে পাবেন ইন্টারেস্টিং তথ্য ও ছবি আছে
http://www.le.ac.uk/richardiii/science/osteologyskull.html
২) পত্রিকার এই রিপোর্টটায় বিভিন্ন তথ্য, যদিও কিছুটা এলোমেলো, পাওয়া যাবে।
http://www.thisisleicestershire.co.uk/FINAL-RESTING-PLACE-KING/story-16893072-detail/story.html
৩) রেডিওকার্বন ডেটিং এ্যানালাইসিস নিয়ে বিস্তারিত তথ্য পাবেন এই আর্টিকেলে। এটা লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরাই তাদের প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে লিখেছে।
http://www.le.ac.uk/richardiii/science/carbondating.html
৪) ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে বিবিসির রিপোর্ট পাবেন এই লিঙ্কে। শুধু তাই নয়, এই রিপোর্টে আরো দারুণ কিছু তথ্যও দেয়া আছে। ১৫০০ এর উপরে কমেন্ট পড়েছে। সেগুলোও চোখ বোলাতে পারেন।
http://www.bbc.co.uk/news/uk-england-leicestershire-21063882
৫) Bennett এবং Hipshon এর দুটো বই থেকে শুরুর দিকের ইতিহাস সংক্রান্ত তথ্য নেয়া হয়েছে।
৬) এই গবেষণার পর এখন নূতন করে রিচার্ডের চেহারা বানানোর চেষ্টা করছে বিজ্ঞানিরা। সেটা নিয়ে পড়তে চাইলে বিবিসির এই লিঙ্ক দেখতে পারেন। সাথে একেবারে নিচে ‘রিলেটেড স্টোরিজ’ –এ আরো আর্টিকেলের লিঙ্ক পাবেন।
http://www.bbc.co.uk/news/uk-england-leicestershire-21328380


মন্তব্য

মন মাঝি এর ছবি

বিবিসি-তে তো বলছে ৩য় রিচার্ডের নিষ্ঠুরতা ইত্যাদি নিয়ে অপবাদগুলির অনেকটাই তার বিজয়ী শত্রু ও তাদের চেলাচামুণ্ডাদের (শেক্সপীয়র সহ) প্রোপাগাণ্ডা?

****************************************

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

আপনি ওয়েব ঘাটলে দেখবেন এ বিষয়ে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। সপ্তম হেনরী যেহেতু রিচার্ডকে চ্যালেঞ্জ করেছিল, তাই তার পক্ষে প্রোপাগাণ্ডা চালানোর সম্ভাবনা অস্বীকার করা যায় না। সাধারণ মানুষকে রিচার্ডের বিপক্ষে খেপিয়ে তোলারও একটা প্রচেষ্টা হতে পারে। তবে আমার মনে হয়েছে যদি নিষ্ঠুরতার কিছু না করে থাকতো তাহলে তার উপর যে অত্যাচার করা হয়েছিল, বিশেষ করে মৃত্যুর পর মৃতদেহের সাথে, তা হয়তো হতো না।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ নিয়াজ ভাই, লেখাটি পরে অনেক ভাল লাগলো আর অনেক কিছু জানলামও। তবে ইতিহাস কিন্তু বিজয়ীদের দ্বারাই রচিত হয়। তাই রিচার্ড পরাজিত হওয়ার কারনেই হয়ত তার নিষ্ঠুরতা এভাবে প্রকাশ পেয়েছে। জিতলে হয়ত রাজা সপ্তম হেনরীর টা প্রকাশ পেত।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ইন্টারেস্টিং!

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

দিগন্ত এর ছবি

আপনি সুন্দর করে লিখেছেন। বিশেষত ঐতিহাসিক চরিত্রের বৈজ্ঞানিক আইডেনটিফিকেশন পদ্ধতি খুবই ইন্টারেস্টিং।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।