এই লেখাটি আপনাদের জন্যে...

নিঝুম এর ছবি
লিখেছেন নিঝুম (তারিখ: সোম, ০৫/০১/২০০৯ - ৯:০২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মুক্তিযোদ্ধা জনাব এ যে এস এম খালেদ

কি করে শুরু করব তা-ই অনেকক্ষণ ধরে বুঝে উঠতে পারছিলাম না । কেন যেন আমার এই আটাশ বছরের ফেলে আসা জীবনে এই প্রথমবারের মত মনে হচ্ছে সত্যিকার অর্থেই একটি যুদ্ধের সামনা সামনি এসে দাঁড়িয়েছি । এই লেখাটি লিখতে গিয়ে অনেকবার সরে দাঁড়িয়েছি । লুকাতে চেয়েছি, পালিয়ে বাঁচতে চেয়েছি । কি এক অজানা শঙ্কায়,অস্বস্তি আমাকে বার বার ঘিরে ধরছিলো , বুঝতে পারছিলাম না । কোনভাবেই পারছিলাম না গুছিয়ে লিখতে । কি বলব কিংবা কি বলতে চাই তা গুলিয়ে ফেলেছি বার বার । একবার শুরু করি তো আরেক বার কেটে দেই । এক লাইন লিখি তো, কয়েক ঘন্টা আর ল্যাপটপের ধারও মাড়াই না । এই করে চলছিলো আমার । তারপর… আর পারলাম না । এই লেখাটি আপনাদের জন্যে....

আপনারা আমাদের একজন সচল, জিফরান খালেদ কে নিশ্চই সবাই চিনবেন । জিফরানের বাবা জনাব এ যে এস এম খালেদ ভয়াবহ রকম এক ক্যান্সারে আক্রান্ত । তাঁর এই অসুস্থতা প্রথম ধরা পড়ে ১৯৯০ সালের দিকে । তাঁর স্কিনে আক্রান্ত হওয়া এই ক্যান্সারটিকে কিউটেনাস টি সেল লাইফোমিয়া বলে । এটি রক্তের শ্বেত কনিকার এক ধরনের ক্যান্সার যা রক্তের গতি প্রকৃতি কে স্লথ করে দেয় । গত সতেরো বছর ধরে বিভিন্ন ভাবে এই রোগটির চিকিত্‌সা হয়ে আসছিলো । রোগটিই মূলত এমন ধরনের যে, এটি ঠিক ভাবে নির্ণয় করাও বেশ দুঃসাধ্য । এই ধরনের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে সাধারণত ডাক্তাররা একটু ধীরে চিকিতসা করে থাকেন । ডায়াগোনিসিস করতেই ১০-১২ বছরের মতন লেগে যায় । জিফরানের বাবার ক্ষেত্রে সময় লেগেছে ১৭ বছর । এই ক্যান্সারটির প্রতিক্রিয়া ভয়াবহ রকমের । রোগীকে এক অসম্ভব যন্ত্রনার মধ্যে দিয়ে বার বার যেতে হয় । যেহেতু গায়ের চামড়াতে এই রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে,সুতরাং এর কার্যক্ষমতাও বেশ তীব্র । পেছনের সব সময় গুলোতে এই অকুতোভয় মানুষটি ক্যান্সারের সাথে বীরের মতই যুদ্ধ করে গেছেন । কিন্তু আজ এত বছর পর রোগটি তার সকল শক্তি নিয়ে আঘাত করেছে । ডাক্তারদের কথা অনুযায়ী, এই রোগটির পুরোপুরি চিকিতসা হয়ত সম্ভব নয় । তবে উপযুক্ত চিকিত্‌সা আর ঔষধ পেলে তাঁকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরানো সম্ভব । সেক্ষেত্রে ডাক্তাররা কিছু মেডিকেশনের ব্যাপারেও বলেছেন । যেমন-

(1). PUVA / UVB + Interferon + Retinoid / Rexinoid (Bexarotene)
(2). Total Skin Electron Beam Radiation (TSEB) + Interferon + Retinoid / Rexinoid
(3). Photopheresis + Interferon + Retinoid / Rexinoid

উপরের মেডিকেশন গুলো আবার সব দেশেও সম্ভব নয় । ডাক্তাররা সবার আগে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ম্যাডিকেল এবং পেনিসেলভিনিয়া ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টার কেই বার বার এই মেডিকেশন গুলোর জন্য আদর্শ যায়গা বলে মনে করছেন । এই পুরো চিকিত্‌সাটির খরচের ব্যাপারে ডাক্তারা ৯০,০০০ ইউ এস ডলারের একটি আনুমানিক ধারনা দিয়েছেন । বহুদিন এই দুটো বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগের পরে ওখানে চিকিতসার ব্যাপারটি থেমে যায় ভিসা জটিলতা এবং বিপুল পরিমাণের অর্থের সামনে। ইতিমধ্যেই ১০-১২ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে।

এর মধ্যেই তাঁকে ভারতের চেন্নাই এবং ভেলোরের দুইটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । ২০০৬-০৭ থেকেই সন্দেহ করা শুরু হয় যে উনি লিম্ফামাতে আক্রান্ত। কিন্তু, কোনোমতেই নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে চেন্নাইয়ে রিপোর্ট আসে। ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী ছয়টি চক্রের ,তিন সপ্তাহের একটি কেমোথেরাপির সেশনও শেষ হয় গত ২৭,সেপ্টেম্বর ২০০৮ এ । এই কেমোথেরাপি কিছুটা স্বস্তি আনলেও , রোগটিকে পুরোপুরি নির্মূল করা যায়নি । ডাক্তাররা তাই PUVA / UVB + Interferon + Bexarotene –এই মেডিকেশনটি শুরু করবার পরামর্শ দিয়েছেন । এই চিকিতসা বাংলাদেশে নেই তেমনভাবে। যার কাছে চিকিতসা আছে, তার কাছে ডাক্তার নেই। ডাক্তারেরা থিওরীর ওপর এগুতে ভয় পাচ্ছেন।

তবুও, মেডিকেশনের পুরো প্রক্রিয়াটি শুরু করা গেলেও Bexarotene, এই ঔষধটি আমাদের দেশে পাওয়া যায়না । যদিও এই ঔষধ গুলোর পার্শ্ব পতিক্রিয়া প্রচন্ড রকমের । সুতরাং ঔষধের পাশাপাশি ডাক্তারের ক্রমাগত অবযারভেশনও প্রয়োজন । ইংল্যান্ড এবং আমেরিকায় এই ঔষধটি পাওয়া যায় । আমরা লন্ডন থেকে অনেক বার চেষ্টা করেও , প্রেসকিপশান জটিলতা আর অত্যন্ত উচ্চমূল্যের কারনে কিনতে পারিনি । পরবর্তীতে আমাদের আরেক সচল স্নিগ্ধা আপা এই অসাধ্য কাজটিকে সহজ করে দেন । তিনি সাহায্য না করলে এই ঔষধ হয়ত আর কখনই কেনা যেতনা । এই মানুষটির জন্য অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা জানালাম । এর ঠিক পর পরই আমার একদম ছোটবেলার বন্ধু সঞ্জয় এলেন পেরেরা ( আমাদের আরেক সচল রেনেট জন পল গোমেজের ভাই) ঔষধ গুলো কেনেন এবং বাংলাদেশে পৌঁছানোর ব্যাবস্থা করেন । এই এক মাসের ঔষধ কিনতেই খরচ পড়েছে প্রায় তিনহাজার দু'শ ইউ এস ডলারের মত । এই ওষুধ কমপক্ষে চার থেকে ছ'মাস চালাতে হবে। এই দুঃসাধ্য ব্যায়ের হিসাব নিকাশে জিফরানের বাবাকে বাঁচানোর স্বপ্নগুলো বার বার থমকে যেতে চাইছে । দু'একটি চ্যানেলে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু, এটি ব্যাক্তি আবেদন বলে তারা তাদের অপারগতা জানিয়েছেন।

গত ২৭ ডিসেম্বর আমরা কয়েকজন সচল (আমি,সুবিনয় মুস্তফী, সুশান্ত’দা,ধ্রুব হাসান, থার্ড আই এবং জিফরান খালেদ) জনাব এ জে এস এম খালেদের চিকিত্‌সার ক্যাম্পেইন এবং ফান্ড সংগ্রহ করবার ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্তে আসি । আমরা আপাতত ব্লগ, ফেসবুক, ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমাদের কার্যক্রম শুরু করেছি । আমরা এই অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধাকে বাঁচাতে আরেকটি যুদ্ধ শুরু করেছি । আর এই লেখার মাধ্যমে আপনাদের কাছে সকল রকমের সাহায্য প্রার্থনা করছি ।

জনাব এ যে এস এম খালেদ ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের, এক অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা । সে সময় আসামের লোয়ার হাফলং ক্যাম্প থেকে তিনি গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহন করে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড অঞ্চলে যুদ্ধ করেন । মুক্তিযুদ্ধের ঠিক পরের বছরই তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে পাশ করেন। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ( বুয়েট)-এ ভর্তি হোন একদম প্রথম সারিতে এবং সেখানে শিক্ষাকালীন অবস্থাতাতেই বাংলাদেশ সরকারের একটি ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে, তত্‌কালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে উচ্চ শিক্ষার জন্য যান । দেশে ফিরে এসে তিনি দীর্ঘদিন চট্টগ্রাম বি.আই.টি (বর্তমান চুয়েট) শিক্ষকতা, পরমাণু শক্তি কমিশনে, বিসিক (বাংলাদেশ কুটির শিল্প), ইয়াঙ্গওয়ান এবং বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত ছিলেন।

বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেকশনে তার অবদান এবং অভিজ্ঞতা ঈর্ষণীয় । এই সেক্টরে দীর্ঘদিন চাকুরী এবং শিক্ষকতা করবার কারনে , এই সেক্টরের নিয়ে তাঁর ভাবনাগুলো এবং টেকনিক্যাল বিষয়গুলো তিনি তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থে তুলে ধরেছেন । আমাদের পোশাক শিল্পে এই বইগুলো এখন রেফারেন্স হিসেবে বহুল ভাবে ব্যাবহার করা হয় কোনোরকম বিজ্ঞাপন ছাড়াই। অতি সম্প্রতি প্রথম আলো'তে ফারুক ওয়াসিফ ভাই তাঁর বইয়ের বিজ্ঞাপনের ব্যবস্থা করে দেন।

জনাব এ যে এস এম খালেদের প্রকাশিত গ্রন্থজনাব এ যে এস এম খালেদের প্রকাশিত গ্রন্থ

জনাব এ যে এস এম খালেদের প্রকাশিত গ্রন্থজনাব এ যে এস এম খালেদের প্রকাশিত গ্রন্থ

অসম্ভব সৎ এই লোকটি দুর্নীতির পথে পা বাড়াননি। চাকরি ছেড়েছেন বারবার। পরিবারকে কষ্ট দিয়েছেন। কিন্তু অসত হতে দেননি নিজেকে। জীবনে কোন কিছুই তেমন নেই তাই। ঢাকার 'শান্ত-মরিয়ম ইউনিভার্সিটি অফ ক্রিয়েটিভ টেকনোলোজী'র ফ্যাকাল্টি এবং টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসার হিশেবে আছেন। তিনি কোনো রকম প্রচারণার বিপক্ষে। তিনি জানেননা আমাদের এইসব উদ্যোগ সম্পর্কে। জিফরানকে তিনি ফোনে বলেন, 'আমাদের তো বয়স হয়ে গেছে। অনেকদিন বাঁচলাম। এতগুলা বছর তো অতিরিক্ত পেলাম। এখন তোমাদের সময়। চেষ্টা তো করছি। যা আছে তা নিয়েই। আমাদেরকে নিয়ে ভেবো না। তুমি ঠিকমতো পড়ালেখা করো। মানুষ হও।' এই তীব্র আত্মসম্মানবোধের কাছে নিচু হয়ে যাই। তবুও ভাবি, জীবনের চেয়ে বড় কিছুই নয়।

আমরা যুদ্ধে নেমেছি । এই যুদ্ধে বাস্তব-অবাস্তব, সম্ভাবনা-প্রাপ্তি,যুক্তি , এসব কিছুই অর্থহীন লাগে । শুধু বাবার ঔষধের টাকা যোগার করবার জন্য প্রতিদিন যখন জিফরানের হাড়ভাঙ্গা খাটুনিটুকু দেখি, যখন দেখি কিছু করতে না পারা এই আমি ঠিক কখন যেন স্বপ্ন দেখতেও ভুলে গেছি, তখন নিজের কাছেই নিজেকে বড় তুচ্ছ আর বড় অসহায় মনে হয় । যে স্বপ্ন নিয়ে একটি লোক আগে-পেছনে,সামনে, পরিবার,পরিজন কাউকেই ভাবলো না , যে লোক মনে করল দেশকেই বাঁচানো প্রয়োজন, কোন যুক্তি কিংবা যুক্তিহীনতা, দ্বিধা অথবা জড়তা, কোন কিছুকেই গ্রাহ্য করল না , যে মানুষটির কাছে দেশ মানেই সব কিছু হয়ে গেলো, যে মানুষট একজন শিক্ষক, যে সাহায্য চায়না, সে মানুষটির আজ সাহায্য প্রয়োজন , যে মানুষটি একটি ফুল এনে দিল বুককে রক্তাক্ত করে, এনে দিল দেশের মাটিকে,আমার মা’কে , সে মানুষটির আজ বড় সাহায্য প্রয়োজন । হয়ত পারবোনা ৯০হাজার ইউ এস ডলার যোগার করতে । হয়তবা আমার এই দূর্বল চিত্‌কার পৌঁছাবে না সবার কাছে, হয়ত এই ভয়াবহ সাহসী মানুষটি ধুকে ধুকেই মরে যাবেন , হয়ত কারো কিছুই এসে যাবে না , হয়ত কেউ চোখ মুছবেন হাতের বাম অথবা ডান হাত দিয়ে, কেউ কেউ চুপ করে থাকবেন দীর্ঘক্ষণ , অনেকেই অনেকের সাথে কথা বলবেন না কিছু সময়ের জন্য , হয়ত… আরো কত কিছুই …

আসেন না , এত কিছু হয়ে যাবার আগে আকাশ - বাতাস বিদীর্ণ করে একটি তীব্র চিত্‌কার দেই । আসেন না কেবল একটি বার এক হই । যার যতটুকু সামর্থ । কি এসে যায় তাতে ?

সুবিনয় মুস্তফী ফেসবুকে পেজ খুলেছেন। ওখানে চোখ রাখুন। একজন অসাধারণ মানুষ সুশান্তদা একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে দিলেন, দিলেন তার পে-প্যাল অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করতে। তানভীর ভাইয়ের আশাবাদ, ধ্রুব হাসানের দৃঢ়তা - বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয় - এ কি একেবারেই অসম্ভব?

দেখি আমরাও পারি কিনা একজন মুক্তিযোদ্ধাকে বাঁচাতে ।

http://www.saveafreedomfighter.org এই সাইটটি নির্মাণ করা হয়েছে এবং এখনো কাজ চলছে। একটি পে-প্যাল অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। কেউ ডোনেট করতে চাইলে পে-প্যাল ইউজার আইডি ব্যবহার করে করতে পারেন।

ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ও ডোনেসনের ব্যবস্থা হলোঃ





বাংলাদেশে ব্যাঙ্ক একাউন্টঃ

A. J. S. M. khaled
Account no. 1510200470775001, Swift Code: BRAKBDDH, BRAC BANK, Uttara Branch Dhaka


মন্তব্য

স্নিগ্ধা এর ছবি

নিঝুম, একাউন্ট ইনফর্মেশন কোথায়?

থার্ড আই এর ছবি

নিঝুম ধন্যবাদ পোস্টের জন্য। একাউন্ট নাম্বারটাও পোস্টে দিয়ে দেন।
চলুন আমরা সবাই মিলে এই মৃত্যুকে অসম্ভব করে দেই।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

নিঝুম এর ছবি

থার্ডু ভাই,এক কথায় চমত্‌কার
--------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

দৃশা এর ছবি

নিঝুম ভাই দেশে একটা একাউন্ট খুললে হয় না?যদি ইতিমধ্যে খোলা হয়ে থাকে তাহলে ভাই একাউন্ট ডিটেলসটা দেন। আমরা প্রত্যেকে যদি নিজেদের অবস্থানে থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করি তাহলে জিফরান ভাইয়ের বাবাকে একটা স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দেওয়া হয়তো কষ্টসাধ্য হবে কিন্তু অসম্ভব নয়।
------------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

অতিথি লেখক এর ছবি

এই কোড গুলা পোস্টে এড করে দেখেন তো শপিং কার্ট কাজ করে কিনা।





-

সুশান্ত

সবজান্তা এর ছবি

সাথে আছি, থাকবো হাসি

যদি আমার সাহায্য বিন্দুমাত্র কাজে লাগবে বলেও মনে করেন, নির্দ্বিধায় জানাতে পারেন।

আমি আশাবাদী, উনি নিশ্চয়ই সুস্থ হয়ে উঠবেন।


অলমিতি বিস্তারেণ

রায়হান আবীর এর ছবি

সাথে আছি। আর কয়েকদিন পরেই ভার্সিটি খুলবে। সেখান থেকে কিছু হলেও টাকা তুলতে পারবো। হোক না তা সামান্য। একজন মুক্তিযুদ্ধাকে বিনা যুদ্ধে আমরা চলে যেতে দিবোনা।

=============================

শিক্ষানবিস এর ছবি

একজন মুক্তিযুদ্ধাকে বিনা যুদ্ধে আমরা চলে যেতে দিবোনা।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

http://www.facebook.com/home.php?#/group.php?gid=110744530692

এই গ্রুপেও তথ্যাদি পাবেন। যোগ দিন এবং বন্ধুদের যোগ দিতে বলুন।

-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

নজমুল আলবাব এর ছবি

লেখাটা যাতে সব সচলের চোখে পড়ে, এবং অতিথিদের নজরেও আসে সেই ব্যবস্থা করার জন্য মডারেটরদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আছি।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

আরিফ জেবতিক এর ছবি

উনার ওয়ার্কস্টাডির বইটি আমার অফিসের টেবিলেই আছে । একটা সুন্দর ও কাজের বই ।
উনার দূ:সময়ে পাশে থাকার চেষ্টা করব ।

রণদীপম বসু এর ছবি

আমাদের একক সামর্থ হয়তো সীমিত, কিন্তু সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করে দেখি শেষ পর্যন্ত....

ভাই জিফরান, ব্যক্তি আমার সামর্থ হয়তো খুবই সীমিত, কিন্তু আপনার কষ্টের সাথে উদ্যমের সাথে ছায়া হয়ে আছি। আপনার পিতা আমাদেরও পিতা...

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অর্থাভাবে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে যেন এভাবে আমাদের হারাতে না হয়। আশা করব প্রত্যেকে যে যার অবস্থান থেকে সাহায্য ও ভালবাসার হাত বাড়িয়ে দিবেন।

রেজওয়ান এর ছবি
অবাঞ্ছিত এর ছবি

হুঁ

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

অমিত আহমেদ এর ছবি

সাথে আছি। নিজের সীমিত সাধ্যে যতটুকু পারি করবো।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

দ্রোহী এর ছবি

একজন দরিদ্র ছাত্রের পক্ষে যতটুকু পারা সম্ভব করবো।

যুধিষ্ঠির এর ছবি

শুভকামনা এই মুক্তিযোদ্ধা আর তাঁর পরিবারের জন্য।

ওয়েবসাইটের লিংকটা মনে হয় কাজ করছে না।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

মানুষ তার আশার সমান বড়। আমিও আশাবাদী একজন মুক্তিযোদ্ধার অসুখকে রুখে দেয়ার কর্মযজ্ঞের চেষ্টায়।

রানা মেহের এর ছবি

যোদ্ধা ভালো হয়ে উঠুন
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

স্নিগ্ধা এর ছবি

আমি ঘটনাক্রমে দুজন বাংলাদেশী অঙ্কোলজিস্টকে চিনি - ডাঃ জিয়াউদ্দিন আহমেদ (নিউ ইয়র্ক) আর ডাঃ নাসিমা খাতুন (বস্টন), ধন্যবাদ যতটুকু প্রাপ্য তা এনাদের।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আছি

শান্ত [অতিথি] এর ছবি

যতটুকু সম্ভব করার চেষ্টা করব। আছি..............

অভ্রনীল এর ছবি

আমিও আছি...
_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

নিঝুম এর ছবি

পোস্টে যে ওয়েব সাইটটির ঠিকানা দেয়া আছে, তাতে ক্লিক করলে কি করে যেন অন্য একটি সাইটে চলে যাচ্ছে । ঠিকানা আরেকবার পালটে দিলাম । এখন সম্ভবত ঠিক আছে । এই সাইট টিতে গেলেই দেখা যাবে , এই পর্যন্ত কত টাকা সংগ্রীহিত হলো । আর, ফেইস বুকে আমাদের গ্রুপ ট
( http://www.facebook.com/home.php?#/group.php?gid=110744530692) নিয়মিত আপডেট হচ্ছে ।
অগণিত মানুষ প্রতিদিনই আমাদের আহবানে সাড়া দিচ্ছেন । আমরা আসলেই অভিভূত এবং অনুপ্রাণিত সকল মানুষের এই মহান মুক্তিযোদ্ধার প্রতি ভালোবাসা দেখে । আশা করি এবং আশা দেখি , আমরা খুব দ্রুতই আমাদের কাংখিত লক্ষ্যে পৌঁছুতে পারব।

ধন্যবাদ সবাই কে ।
--------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

অতিথি লেখক এর ছবি

অনলাইনে কিভাবে কন্ট্রিবিঊট করবেন?

১। পোস্টের ডোনেট বাটনে ক্লিক করবেন
২। এইবার এমাউন্ট এর ঘরে এমাউন্ট দিয়ে আপডেট বাটনে ক্লিক করবেন
৩। পে-প্যাল একাউন্ট থাকলে লগিন করবেন, না থাকলে নিচের দিকে নো পে-প্যাল একাউন্ট এ কন্টিনিঊতে ক্লিক করলে আরেকটা উইন্ডো আসবে যেখানে আপনার নাম ঠিকানা ও কার্ডের ডিটেইলস দিয়ে অগ্রসর হলেই হবে।

আশা করি সমস্যা হবে না।

অভিজিৎ এর ছবি

কয়েকদিন সচলায়তনে না আসায় বোধ হয় মিস করেছি অনেক কিছুই। এই উদ্যোগটা খুবই ভাল হয়েছে। নিঝুমকে ধন্যবাদ পোস্টটার জন্য। জিফরানের জন্য শুভকামনা।



পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)


পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)

জিফরান খালেদ এর ছবি

নিঝুমকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সচলায়তনের প্রতি কৃতজ্ঞতা এটিকে চোখের সামনে রাখবার জন্যে এবং হারিয়ে না যেতে দেবার জন্যে। আশা করছি, সকলের সত্যিকারের প্রচেষ্টায় এসব উদ্যোগ সফলতার মুখ দেখবে।

ধ্রুব হাসান এর ছবি

আজ থেকে তিন বছর আগের কথা, তখনো আমার বাবাটি বেচেঁ ছিলো সবল দেহ আর আসহায় চোখের চাহনী নিয়ে! তিন বছর আগের কোন এক ভোর রাতে নির্গুম কাজ করে পার করার পর বাসায় ফোন দিয়েছিলাম। মার সাথে কথা বলতে বলতে বাবা এসে এক রকম জোর করে ফোনটা ছিনিয়ে নিয়ে বললেন, 'আমার সাথে কথা বলতে এখন আর তেমন ভালো লাগে না তোর তাইনা?' আমি উনার পরবর্তী ডায়ালগের কথা চিন্তা করে নিজেকে প্রস্তুত করি। অপর প্রান্ত থেকে ভেসে আসে একের পর ছেলেমানুষী অভিমানী প্রশ্ন। আমি আমার পিতাকে কখনো এভাবে দেখতে চাইনি! ্কখনো শুনতে চাইনি যখন তিনি বলেন,'বাবা এমাসে পারলে আরো একশোটা পাউন্ড বাড়তি পাঠাস, ঈদ সামনে!' ঐ একবার আমি একরকম বিরক্ত হয়ে বলেছিলাম, আমি যে এখানে কীসের মধ্যে আছি তোমরা তো বুঝবা না! তখন তিন মাসের মাথায় টাকার অভাবে মিডিয়া কোর্সটা বাধ্য হয়ে নেকস্ট ইয়ারের জন্য ডেফার করেছিলাম। বাবা অস্বাভাবিক ঠান্ডা মাথায় সান্তনার সাথে বলেছিলেন,'নারে বাবা তোর জানের উপর কষ্ট করে কিছু করিসনা। আমি জানি বিদেশের জীবন কি!' ঐদিন আমার মনে পড়েনি, আমার জন্মদাতা পিতা ৬৫ বছর বয়সে জীবনের সব হারিয়ে টেক্সাসের এক গ্যাস ষ্টেশনের টিলে কাজ করতেন দীর্ঘ ৫ বছর! এমন কি প্রথমবারের মেসিভ এ্যাটাকের পরও প্রায় ৬ মাসে আবারো কাজ করেছেন বিছানায় না পড়া পর্যন্ত! প্রতি মাসে লোনের কিস্তি আর বিশাল পরিবারের খরচ টেনেছেন। এমন কি স্বার্থপরের মতো তখনো আমি নানাভাবে বাজে খরছের আবদার করে বসতাম। আর উনার বেড়ে যেত ওভার টাইম আওয়ার!
গত দু'বছর আগে যখন এই বোধ জন্মালো, তখন কিছুই আর করার নেই! এখনো এমন কান্না পাই, যা থামানোর কোন যুক্তি খুজেঁ পাইনা। আমি কোনভাবেই চাইনা জিফরানের জীবনেও এমন অসহায়ত্ববোধ নেমে আসুক! ওর প্রতিটি রাত আমার মতো বোবা যন্ত্রণার মাঝে যেন গত না হয়!

ও আমার কৈশোরের বন্ধুর বোনের ছেলে, সেই হিসেবে আমার ভাগিনা। আমার ঐ বন্ধু আজ বহুদূরের মানুষ! কিন্তু সময় ও বাস্তবতার কারনে জিফরান আমার বর্তমানে এক্সিস্ট করে। এই অস্থিস্তের দায়ভার কোনভাবেই এড়াতে পারি; পারিনা অস্বস্তিটাকেও কাটাতে!

একজন বাবার জন্য, একজন মুক্তিযোদ্ধার জন্য, একজন অকুতোভয়ের মানুষের জন্য, একজন বাঙ্গালীর জন্য, একজন মানুষের জন্য এই প্রথমবারের মতো দ্বায়িত্ব নিয়ে কিছু একটা করতে চাই। জিফরানের বাবার উছিলায় গড়ে তুলতে চাই একটি স্থায়ী ফান্ড, যা বাংলাদেশের দুঃস্থ-অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বক্ষনিকভাবে সাহায্য দিয়ে যেতে পারবে। প্রতি রমজান অথবা ধর্মীয় উপলক্ষ্যে অনেকে দান করে থাকেন, ওদেরকেও সাথে নিয়ে একটি স্থায়ী ডোনার ডাটাবেজ গড়ে তুলতে চাইছি। চাইছি রেজিষ্ট্রার্ড চ্যারিটির ছাতার নীচে স্থায়ীভাবে একতাবদ্ধ হতে। নানান ধর্মের, নানান বর্ণের, নানান উদ্দেশ্যের নানা চ্যারিটি বিদ্যমান। কিন্তু আমাদের নিজস্ব ভরসার জায়গা খুব সিমীত। আপাতত একটি সিমীত আকারে ছোট্ট ভরসার জায়গা গড়ে তুলতে চাই। আশা করি, সব মৃত্যুতে বার বার যেন আমাদের পরাজিত হতে না হয়! যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পাশাপাশি আমরা যেন আমাদের জন্মদাতা যোদ্ধাদেরও সম্মান করতে শিখি! জয় বাংলা!

নিঝুমের কথাগুলো যপতে চাই সারাক্ষণ। পাশাপাশি সংকল্প করি আমাকে যেন বারবার এই অভিশপ্ত চক্রের মধ্যে ঢুকতে না হয়!

হয়ত পারবোনা ৯০হাজার ইউ এস ডলার যোগার করতে । হয়তবা আমার এই দূর্বল চিত্‌কার পৌঁছাবে না সবার কাছে, হয়ত এই ভয়াবহ সাহসী মানুষটি ধুকে ধুকেই মরে যাবেন , হয়ত কারো কিছুই এসে যাবে না , হয়ত কেউ চোখ মুছবেন হাতের বাম অথবা ডান হাত দিয়ে, কেউ কেউ চুপ করে থাকবেন দীর্ঘক্ষণ , অনেকেই অনেকের সাথে কথা বলবেন না কিছু সময়ের জন্য , হয়ত… আরো কত কিছুই …

মুজিব মেহদী এর ছবি

আমি ব্যক্তিগতভাবে যথাসাধ্য করব।

আচ্ছা, শেখ হাসিনার সরকারের কাছে কি একটা আহ্বান পৌঁছানো যায় না! অবশ্য আমি জানি না এটা কতদূর কাজে দেবে, অন্যেরা মত দিতে পারেন।
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

জিফরান খালেদ এর ছবি

এই ব্যপারটা আমরা সামনেই বসছি, সেখানে আলোচনা করবো কিভাবে আগানো যায়। আপনার সাথে ব্যক্তিগতভাবে কিভাবে যোগাযোগ করা যায়, জানায়েন মুজিব ভাই। ভাল থাকবেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনলাইন কন্ট্রিবিউসন সিস্টেম থেকে সো ফার ১৩ জন ৫৩৫ ডলার দিয়েছেন। সবাইকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
-
সুশান্ত

বিপ্লব রহমান এর ছবি

সাথে আছি।


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

(2). Total Skin Electron Beam Radiation (TSEB) + Interferon + Retinoid / Rexinoid

এই চিকিৎসার জন্য পেনসিলিভিনিয়ার যে ইউনিভার্সিটির নাম বললেন সেটা সম্ভবত UPMC (ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভিনিয়া মেডিক্যাল সেন্টার)। যদি তাই হয় তাহলে, ঠিক ক্যান্সার সেন্টারে রেডিয়েশন বিভাগে কাজ করেন একজন বাঙ্গালী আমার চেনা। অবশ্য আমি নিজেই এই এলাকায় নতুন বলে তিনি খুব বেশী পরিচিতও নন। তবে সব কিছু যদি মিলে যায় এবং আগের চেষ্টার পরও যদি হাল ছেড়ে না থাকেন তাহলে আবার প্রাথমিক কথা বার্তা শুরুর একটা চেষ্টা করা যেতে পারে।

আমি সেই বাঙ্গালী ভদ্রলোকের ঠিকানা যোগাড় করে কথা বলি। আপনারা প্লীজ কনফার্ম করুন যে UPMC র কথাই বলছেন কিনা।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

জিফরান খালেদ এর ছবি

ব্যক্তিগত বার্তায় জানালাম ভাইয়া।

নিঝুম এর ছবি

জিফরান কে জানাচ্ছি আমি । থ্যাংকস মুর্শেদ ভাই ।
--------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

অনিশ্চিত এর ছবি

হিমুর লেখাটায় মন্তব্য করতে চেয়েছিলাম। পারলাম না। সাধ্যের পরিমণ্ডলটি এতো ছোট যে কিছু করতে না পারার লজ্জ্বা-অসহায়ত্ব খুব বেদনা দিচ্ছে। কীভাবে জানি না, কিন্তু আমাদের মুক্তিযোদ্ধা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন।
‌‌-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!

‌‌-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!

sanchy এর ছবি

ভাই আমি টাকা দিতে পারলাম না।
কিন্তু......................

জিফরান খালেদ এর ছবি

অনেক দেরী করে আপডেট জানাচ্ছি বলে দুঃখিত। বারবার মনে হয়, এত উল্লাস এবং হর্ষের যে আওয়াজ তার মাঝে এই ঘটনার কথা না তুলি। আসলে, আপডেট দেবার মতো তেমন কিছু নেইও।

প্রথম ইন্সটল্মেন্টের বেক্সারোটেন কিনতে ৩২০০ ইউএস ডলার লেগেছিল যা সঞ্জয় পেরেরা, আমার এক মামার বন্ধু, কিনে দিয়েছিলেন। এখনও পর্যন্ত ১২০০ ডলারের মতো উঠেছে। আর, আমাদেরই এক অত্যন্ত পরিচিত ব্লগার এবং সাবেক সচল একা প্রায় ১৩০০ ডলারের মতো কন্ট্রিবিউট করেছেন। সঞ্জয়ের টাকাটা দরকার হয়ে পরাতে আমাদের প্রিয় সচল স্নিগ্ধা বাকিটুকু নিজে থেকে দিয়ে দিচ্ছেন। কিছু বলতে গেলেই বলেন, 'পরে দিও একসময়'।

বাংলাদেশ থেকে বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো আমাদের সচলদের পক্ষ থেকেই। বইমেলার এই আনন্দময় ভীড়ে সেইসব আর তেমনভাবে হয়ে ওঠেনি। ইংল্যান্ডে এনটিভি একটি অনুষ্ঠান করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। স্টুডিও সংক্রান্ত ঝামেলায় সেটি এখনো মুলতবি আছে।

আব্বার শারীরিক অবস্থা নিম্নগামী। বেক্সারোটেন ওষুধটি দ্রুত নেয়া দরকার। কিন্তু, বাংলাদেশে ডাক্তাররা সাহায্য করছেন না কারণ তারা এই ওষুধ কিভাবে মনিটর করতে হয়, তা জানেন না। তাছাড়া, এই অসুখের ব্যাপারেই তারা তেমন জানেন না। জানতে আগ্রহীও নন। এছাড়া ওষুধটির বাকি পাঁচ ইন্সটলমেন্ট ছাড়াই এটা শুরু করা ঝুঁকির। প্রিয় স্নিগ্ধা আপার কল্যাণে ওষুধটি স্বল্পমূল্যে বা ত্রাণমূলক প্যাকেজের মাধ্যমে পাওয়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিলো। সেই সম্ভাবনা নিয়ে কাজের গতিও আজ স্তিমিত।

অমিত আহমেদ ভাই একটা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল করার চেষ্টা করছেন। সেইজন্যে ধন্যবাদ তাকে। যে সচলেরা সাহায্য করেছেন সরাসরি, তাদেরকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ছোট করবোনা।

কদিন আগে দেখলাম জাফর ইকবাল মুক্তিযুদ্ধের ওপর একটা স্বল্পমূল্যের বই লিখেছেন। মূর্তালা ভাই জানালেন সেটি। 'মুক্তির উদ্যোগ' নামক একটি সংগঠন আছে এখন। সেই পোস্টে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কথাগুলো পড়তে পড়তে এবং একটি দীর্ঘশ্বাস আটকিয়ে রেখে অনেকটুকু কষ্ট করেই এই 'মুক্তির উদ্যোগ'কে সাধুবাদ জানালাম।

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

শাহদীন মালিকের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁকে একাউন্ট নম্বরও দিয়েছি। তিনি তো করবেনই, তাঁর বন্ধুদেরও বলবেন। তাঁর ওপর ভরসা করা যায়।

এছাড়া প্রথম আলোতে ২/১ দিনের মধ্যে একটা বিজ্ঞপ্তিও যাবে শেষ পৃষ্ঠায়।

এগুলোতে হয়তো কিছু হবে। কিন্তু আমরা যেহেতু বিরাট এক দানবীয় ব্যাধির সঙ্গে লড়ছি এবং যার খোরাকও বিপুল, সেহেতু আরো তৎপরতার বিকল্প নাই।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

টুটুল এর ছবি

মুক্তিযোদ্ধা জনাব এ যে এস এম খালেদ কে নিয়ে লেখা এই পোস্টের কন্টেন্ট গুলো ব্যবহারের অনুমতি চাই...

দয়া করে যদি অনুমতি প্রদান করেন.. তাহলে চেইন মেইলসহ অন্য ব্লগগুলোতে ছড়িয়ে দিতে পারি...

জিফরান খালেদ এর ছবি

আমি তাঁর ছেলে হিশেবে অনুমতি দিলাম। আপনি যেখানে পারেন, যেখানে সহমত আসে এই বিষয়ে, সেখানে ছড়ায়া দেন।

আপনার ভাল হোক।

টুটুল এর ছবি

ধন্যবাদ খালেদ ... চেষ্টা থাকবে আপ্রান... আল্লাহ আমাদের সহায় হোন

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।