আয়কর নিয়ে ব্যক্তিগত ভাবনা

গৌতম এর ছবি
লিখেছেন গৌতম (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৫/০৯/২০১১ - ২:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজ (১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১১) অফিসে আসার পথে দেখলাম রাস্তায় হলুদ টিশার্ট পরিহিত বেশ কিছু তরুণ-তরুণী আয়কর দেয়া নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে। তাদের কাছ থেকেই জানা গেল আজ আয়কর দিবস। তারা রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে কিংবা সিগন্যালে গাড়ি থেমে থাকার সময় মানুষদের কাছে গিয়ে আয়কর-সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের তথ্য জানাচ্ছেন। আয়কর দিলে কী সুবিধা, না দিলে কী সমস্যা হতে পারে ইত্যাদি বিষয় খুব সংক্ষিপ্তাকারে তারা চমৎকারভাবে উপস্থাপন করছেন। আয়কর দেয়া-নেয়া সম্পর্কে আমাদের (বিশেষভাবে আমার) এক ধরনের ভীতি আছে। আমার মতো যাদের এই ভীতি রয়েছে, তারা খুব সহজেই এসব তরুণ-তরুণীর কাছ থেকে অনেক তথ্য জেনে নিতে পারছে।

বলা বাহুল্য, এই তথ্য জানার সুযোগ সবার নেই। আপনি আপনার আশেপাশের মানুষদের যদি জিজ্ঞাসা করেন, তাহলে দেখবেন অনেকেরই আয়কর সম্পর্কে পরিষ্কার কোনো ধারণা নেই। বিষয়টা আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে অস্বাভাবিক নয়; বরং আয়কর সম্পর্কে অনেকেরই অজানা ভীতি কাজ করে। বছর কয়েক আগেও আমি নিজেও আয়কর সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। পরে জানতে হয়েছে কারণ প্রতি মাসে বেতন দেয়ার সময় অফিস একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ট্যাক্স হিসেবে কেটে রাখে এবং বছরের শেষে কী পরিমাণ অর্থ কেন কেটে নেওয়া হয়েছে, তার একটা হিসাব পাঠিয়ে দেয়। ওই হিসাব থেকেই আমি জানতে পারি, কোন খাতে কী পরিমাণ উপার্জন করলে কতোটুকু ছাড় দেয়া হয়, কতোটুকু করযোগ্য আয় হিসেবে দেখানো হয়, ইত্যাদি নানা সব হিসাব বা মারপ্যাঁচ। হিসাবগুলো আমার কাছে এতোটাই জটিল লাগে যে, এখনো আসলে পুরো বিষয়টা বুঝে উঠতে পারি নি। অফিস যেহেতু নিয়মিত এই কাজটি করছে, সেক্ষেত্রে আমাকে আসলে ইনভেস্টমেন্ট-সম্পর্কিত কাগজ জমা দেয়া ছাড়া আর কিছুই করতে হয় না।

প্রতি মাসে আয়ের ওপর কর জমা দেয়া আর বছরে একবার আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে। এই পার্থক্যটি সম্পর্কে আমার নিজেরও পরিষ্কার ধারণা ছিল না- সম্প্রতি কিছুটা ধারণা হয়েছে। যেটা হয়, পরিচিত একজন আছেন যিনি এসব বিষয় সম্পর্কে ভালো জানেন-বুঝেন, আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার সময় তার সাহায্য নিই। তিনি আমার কাছ থেকে নানা ধরনের কাগজপত্র (যেমন- ইনভেস্টমেন্ট সার্টিফিকেট) নেন, নানা ধরনের প্রশ্ন করেন (যেমন- বাসায় কত ভরি স্বর্ণ আছে, টিভি-ফ্রিজ আছে কিনা ইত্যাদি)। যাবতীয় প্রশ্নোত্তর শেষে তিনি আয়কর রিটার্নের ফর্মটি পূরণ করে আমাকে দেখিয়ে নেন। কয়েক বছর আগেও এই ফর্মটি দেখলেই মারাত্মক কাঁপুনি আসতো, এখন আর ততোটা হয় না। এর একটা কারণ হলো, আয়কর রিটার্নের ফর্মটি তুলনামূলকভাবে সহজতর হয়েছে আর আমি নিজেও বিষয়গুলো কিছুটা বুঝতে শিখেছি। একসময় ভাবতাম, টিআইএন (TIN – Tax Identification Number) খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এটা থাকলে অনেক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়। কিন্তু টিআইএন পাওয়ার পর দেখি পরবর্তী বছরে পুনরায় আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় ফর্মে পূরণ করা ছাড়া এর আর কোনো ব্যবহার নাই। এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু অনেকেই এখনো এই নম্বরটিকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভাবেন- জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর যেভাবে নানা কাজে লাগে, টিআইএনও বুঝি তেমনি!

প্রশ্ন হলো, এই যে প্রতি বছর করযোগ্য আয়ের ওপর কর দিয়ে যাচ্ছি নিয়মিত এবং সেপ্টেম্বর মাস শেষ হওয়ার আগেই আয়কর রিটার্ন দাখিল করছি- এতে ব্যক্তি হিসেবে আমর কতোটুকু এবং কী লাভ হচ্ছে? প্রতি মাসে যে পরিমাণ কর দিচ্ছি, এর পরিমাণ নেহায়েৎ কম না- এ দিয়ে অনেক পরিবারের এক-দুদিনের খরচ চলে যায়। আবার আয়কর রিটার্নের ফর্ম পূরণ করার ঝক্কিঝামেলা পোহানো কিংবা ইনভেস্টমেন্ট সার্টিফিকেট তোলার জন্য সময় ও শ্রম নষ্ট হয় যথেষ্টই- কিন্তু এর বদৌলেত কী পাচ্ছি? মুখস্থ উত্তর হচ্ছে- বাৎসরিক আয় করযোগ্য আয়ের উপরে গেলেই ন্যূনতম একটি কর দিতে হয়- এটা নাগরিক দায়িত্ব। আয়কর রিটার্ন দাখিলও তেমনি। কিন্তু এই ব্যাখ্যা দিয়ে কি একজন করদাতাকে সন্তুষ্ট করা যায়? ব্যক্তি যদি তার করের সুফল ভোগ না করেন; কিংবা হয়তো ভোগ করছেন কিন্তু জানেন না যে তার করের কারণেই তিনি এই সুবিধাটা পাচ্ছেন- সেক্ষেত্রে অফিসিয়াল কিংবা আইনি মারপ্যাঁচের কারণে হয়তো তিনি কর দিয়ে যাবেন- কিন্তু কর দেয়ার সন্তুষ্টিটা পাবেন না কখনোই। সবচেয়ে বড় কথা, ব্যক্তি যখন করের সুফল উপভোগ করবেন, তখনই তিনি আরেকজনকে কর দেয়ার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করতে পারবেন।

যেহেতু বাংলাদেশে অনেকেই আছেন যাদের বাৎসরিক আয় করযোগ্য আয়ের সীমা পেরুলেও কর দেন না, এবং তাদেরকে করের আওতায় নিয়ে আসা সরকারের অন্যতম একটি লক্ষ্য- সুতরাং সরকারের উচিত হবে ব্যক্তিকে সরাসরি জানতে দেওয়া করের ফলে তিনি কী কী সুবিধা পাচ্ছেন। একজন ব্যক্তি বাসা থেকে অফিসে আসার সময় যে রাস্তা দিয়ে আসছেন, তাকে নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য যে ট্রাফিক পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে ইত্যাদি সেবা আসলে মানুষের করের বিনিময়েই হয়ে থাকে (জাস্ট উদাহরণ হিসেবে বললাম আর কি! কী মানের সেবা পাচ্ছি তা তো সবাই জানি!)। কিন্তু কয়জন মানুষের ধারণা আছে এই বিষয়গুলো নিয়ে? বরং অনেকেই মনে করেন, কর দেয়া নেহায়েত টাকার অপচয়; কারণ হয় এই টাকা দুর্নীতিতে যাবে নয়তো অন্য কোনো উপায়ে নষ্ট হবে। মানুষের এই মনে করার পেছনে যে কারণ নেই তা নয়, কিন্তু সরকার যদি করদাতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে আন্তরিক থাকে, তাহলে মানুষের এই ধারণাগুলো দূর করার জন্য যথেষ্ট কাজ করতে হবে। কর দেয়া মানুষের নাগরিক দায়িত্ব- এই ধরনের কথার চেয়ে মানুষ বরং বেশি উৎসাহিত হবে যখন দেখবে তার করের বিনিময়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু কাজ হচ্ছে। সরকারেরও উচিত মানুষের করের টাকায় প্রতি বছর কী কী কাজ হচ্ছে সেগুলো সুনির্দিষ্টভাবে প্রকাশ করা।

পাশাপাশি সরকারের উচিত হবে আয়কর রিটার্নের কাজটিকে আরো সহজতর করে তোলা। আমাকে যেমন এই বিষয়টি নিয়ে প্রতি বছর দুবার ভাবতে হয়। প্রথমবার জুন মাসে। এ সময় অফিসকে ইনভেস্টমেন্ট সার্টিফিকেট যোগাড় করে দিতে হয়। দ্বিতীয়বার সেপ্টেম্বরের শুরুতে। এ সময় বাদবাকি কাগজপত্র আয়কর রিটার্ন ফর্মের সঙ্গে জমা দিতে হয়। কাজ দুটো করতে গিয়ে প্রতিবারই দু-তিন দিন সময় নষ্ট হয়। দুটো সময়ে দুটো কাজের বদলে যদি একবারেই সব করা যায়, তাহলে ঝামেলা কিছুটা কমে। তাছাড়া ফর্মটি যেভাবে আছে, সেভাবে পূরণ করাটা বেশ ঝামেলারও বটে। এটিকে আরো সহজতর করা দরকার। পাশাপাশি এমন সিস্টেম থাকা উচিত যাতে একজন ব্যক্তি নিজেই ওয়েবে নিজের হিসাবনিকাশ দিতে পারে।

আজকে রাস্তায় আয়কর সম্পর্কে মানুষকে বুঝানোর ক্ষেত্রে কর্মরত তরুণ-তরুণীদের দেখে ভালো লাগলো দুটো কারণে। প্রথমত, এদের কাছ থেকে অনেক মানুষ কর সম্পর্কে জানতে পারছে, যেটি আগে দেখি নি। কারো মনে কোনো প্রশ্ন থাকলে তাও তাদের কাছ থেকে জেনে নেয়া যাচ্ছে। দ্বিতীয়ত, এই তরুণ-তরুণীরা নিজেরাই কর সম্পর্কে সচেতন হয়ে যাচ্ছে। কর না দেওয়ার যে প্রবণতাটা একসময় ছিল, আশা করা যায় সচেতন হওয়ার ফলে এদের প্রজন্মে সেই প্রবণতাটা অনেকটাই কম হবে। আমাকে যেমন আয়কর সম্পর্কে বুঝার জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে, নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্যে হাবুডুবু খেতে হয়েছে, এই তরুণ-তরুণীরা আয় শুরু করার আগেই সে সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠছে। এর প্রতিদন পাওয়া যাবে ভবিষ্যতে।

আয়কর দিবসে আমার ব্যক্তিগত ভাবনা এটুকুই- ব্যক্তিকে জানতে দেয়া হোক তার কর কোথায় কীভাবে খরচ হচ্ছে। ব্যক্তিকে বুঝতে দেয়া হোক তার দেয়া করের ফলে দেশের অমুক অমুক উন্নতি হচ্ছে। সরকারকে তখন আর পয়সা খরচ করে প্রচারণা চালাতে হবে না, ব্যক্তি নিজ উদ্যোগেই কর জমা দিয়ে আসবে।

***
একইসাথে ব্যক্তিগত ব্লগে প্রকাশিত


মন্তব্য

নীড় সন্ধানী এর ছবি

১. প্রায় এক যুগ ধরে আয়কর দিয়েও খেয়াল করিনি এর বিনিময়ে কোন সুবিধা পাচ্ছি কিনা। কিন্তু এটা খেয়াল করেছি যে আমার চেয়ে দশগুন বেশী আয় করেও কোন কোন ব্যবসায়ী আমার এক দশমাংশ আয়কর দেন এবং কর অফিসের সাথে আমার চেয়ে বেশী সুসম্পর্ক রাখেন। তখনই ক্ষোভটা আসে, কর দিয়া আমার কি লাভ হইল।

২. চাকরীজীবিরাই বাংলাদেশে সম্পূর্ন কর দিয়ে থাকেন, কেননা করটা উৎসে কেটে রাখা হয়। নইলে আমিও কর ফাঁকি দিতাম। যারা ব্যবসায়ী তারা সেই সুযোগটাই নিচ্ছেন, কর অফিসকে ম্যানেজ করে। বছরে এক কোটি টাকা আয় করেন কিন্তু ন্যুনতম কর দেন তেমন ব্যবসায়ীর সংখ্যা প্রচুর। কর অফিস তাদের খোঁজ পায় না।

৩. ব্যাক্তি করের চেয়ে কোম্পানী করে ফাকির হার অনেক বেশী।

৪. করসীমা ধার্য করার সময় বোধহয় ধরে নেয়া হয় করদাতার ঘোষিত আয়ের বাইরে আরো তিনগুন অঘোষিত আয় রয়ে গেছে(আয়কর কর্মকর্তা বা সরকারী কর্মকর্তাদের মতো, যাদের মাসিক ঘোষিত আয় ২০ হাজার, আসল কামাই ২০০ হাজার)। নইলে এদেশে মাসে যে মানুষ ১৫ হাজার টাকা আয় করেন, তিনি কি করে সংসার চালান সেটা জানতে যাদুকর কিংবা খলিফা ওমর হওয়া লাগে না। এই লেভেলের কাউকে সংকরদাতা বানাবার কোন যুক্তিই দেখি না। এই টাকায় চার জনের একটা পরিবার আক্ষরিক অর্থেই ডালভাত খেতে পারবে।

৫. যে পরিমান বিলাসবহুল গাড়ী রাস্তায় চলে সেই মাত্রার করদাতা পাওয়া যায় না।

৬. কোথাও পড়েছিলাম বাংলাদেশই বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে আয়করের চেয়ে আমদানী করের পরিমান বেশী। মানে এখানে কর দিয়ে আমদানী করার পয়সা আছে, কিন্তু আয়কর দেবার লোক নেই। কর ফাঁকির শুভংকরের ফাঁকিটা এখানেও কিছুটা বোঝা যায়।

আসলে সর্ষে থেকে ভুতের আছর নামাতে পারলে আয়কর বহুগুন বেড়ে যেতে পারতো।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

গৌতম এর ছবি

ব্যবসায়ীদের বাইরেও আরো অনেকেই আছেন যারা আয়কর দেন না। যে সব অফিস বেতনের সাথে কর কেটে রাখে না, সে সব অফিসের সবাই কি আয়কর দেন? বোধহয় না। তবে এটা ঠিক চাকুরিজীবিরাই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি আয়কর দেন।

আপনি বেশ কিছু দুর্দান্ত উদাহরণ দিয়েছেন। জানি না কর বিভাগের কর্তারা এগুলো নিয়ে ভাবেন কিনা, তবে প্রতি বছর যেহারে মুদ্রাস্ফীতি ও মূল্যস্ফীতি হচ্ছে, তাতে করযোগ্য আয়ের সীমা এখনকার দ্বিগুণ করা উচিত। সরকারের বরং ব্যবসায়ী আর কোম্পানির করের প্রতি আরো মনোযোগ দেয়া উচিত।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সুপ্রিয় দেব শান্ত এর ছবি

প্রতিবছর আসলেই কি পাচ্ছি আয়কর দিয়ে?

গৌতম এর ছবি

করদাতারা যতোদিন এই প্রশ্ন করবেন, ততোদিন বুঝতে হবে সরকার সবার কর আদায় করতে সক্ষম হয় নাই।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নিটোল. এর ছবি

আয়কর নিয়ে লেখাটা ভালো লাগল। আমি নিজে অন্তত আয়কর নিয়ে কিছুই জানিনা। কোথায় যেন পড়েছিলাম,আইনস্টাইন বলেছিলেন যে, উনি নিজেও আয়করের হিসাব বুঝেন না! আমরা ত কোন ছার!

গৌতম এর ছবি

আমি নিজেও আয়কর নিয়ে তেমন কিছু বুঝি না। আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে গিয়ে কিছু জানাশোনা হয়েছে মাত্র। যে কারণে এখনো ফর্ম পূরণ করতে আরেকজনের সহায়তা নিতে হয়। আর আইনস্টাইনের কথা শুনে বেশ শান্তি লাগলো। হাসি

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

 তাপস শর্মা  এর ছবি

চলুক

কোথাও পড়েছিলাম বাংলাদেশই বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে আয়করের চেয়ে আমদানী করের পরিমান বেশী। মানে এখানে কর দিয়ে আমদানী করার পয়সা আছে, কিন্তু আয়কর দেবার লোক নেই। কর ফাঁকির শুভংকরের ফাঁকিটা এখানেও কিছুটা বোঝা যায়।

এই অজ্ঞতার জন্যই দেশের অর্থনীতিক পরিকাঠামোর বাক্স স্ফিত হয়। সচেতনতায় সরকারকে আরো সদর্থক ভুমিকা পালন করা দরকার

গৌতম এর ছবি

এই অজ্ঞতার জন্যই দেশের অর্থনীতিক পরিকাঠামোর বাক্স স্ফিত হয়।

অর্থনীতি সম্পর্কে জ্ঞান না থাকার কারণে মন্তব্যের এই অংশটি বুঝি নি। এ ব্যাপারে একটা বিস্তারিত লেখা দিন না!

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আপনারা কি জানেন যে বিদেশে উপার্জন করার পর যদি সেই নিষ্কর আয়ের রিটার্ণ দাখিল করতে যাওয়া হয় এবং সেই আয়কে যদি ওয়েলথ স্টেটমেন্টে অন্তর্ভূক্ত করতে হয় তবে তার অলিখিত মসলা-মাসায়েল কি?

সংশ্লিষ্ঠ উপ-অতিরিক্ত-পুরো কমিশনার মহোদয়কে বছরের মোট নিষ্কর আয়ের নূন্যতম ১% নগদ দিতে হয়। গাড়ি-জমি কেনা, এইসব কেস থাকলে সেটা আরও বাড়তে থাকে। বিশ্বাস করেন বা না করেন, এটাই অলিখিত নিয়মে দাঁড়িয়ে গেছে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

গৌতম এর ছবি

আপনার মন্তব্য যে কিছুই বুঝি নাই! নিষ্কর আয়ের ১% কেন দিতে হবে? চিন্তিত

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

না বুঝলে তো হবেনা গৌতমদা। ওই ১% তো আয়কর না, ওটা হলো 'চা খাওয়ার বিল'। ওটা না ছাড়লে নিষ্কর বৈদেশিক আয় আপনার সম্পদ বিবরণীতে উঠবেনা। গাড়ি-জমি-ফ্ল্যাট এইসব কিনতে কর রেয়াতের সুবিধাও পাবেন না।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

গৌতম এর ছবি

উপস্ এটা যে উপানুষ্ঠানিক আয়কর, সেটা বুঝি নাই। ভয়াবহ!

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

তানিম এহসান এর ছবি

ব্যাক্তিগত আয়কর নিয়ে যে পরিমান নাড়াচাড়া হয় তার সিকিভাগও যদি হর্তা-কর্তা-বিধাতাদের নিয়ে হতো তাহলে আর যাই হোক কিছুটা শান্তি পেতাম! করখেলাপি যারা তারাই এখন দেশের ভাগ্য নিয়ন্তা - আজব এক সিস্টেমে চলছে দেশ, টিআইএন নাম্বার মাঝে মাঝে একটা বোঝা ছাড়া আর কিছুমনে হয়না!!

গৌতম এর ছবি

চলুক

শুনেছি সরকারি কর্তাদের এখন থেকে আয়কর দিতে হবে। এটা একটা অগ্রগতি।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।