তালাক ০১

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: শনি, ০৩/০৫/২০০৮ - ২:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পৃথিবী যখন এগিয়ে চলেছে আমরা তখনও বসে
বিবি তালাকের ফতোয়া খুঁজছি হাদিস কোরান চষে।

নজরুলের কবিতাটা চমৎকার এক অর্থে। ব্লগের পাতায় মাঝে মাঝেই অনেক উদ্ভট কারণেই বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যেতে পারে এমন খবর জানতে পারি। অনেক আগে তীরন্দাজের লেখায় পেয়েছিলাম হাত তালি দিলে তালাক হয়ে যাবে এমন একটা বিধান, এর পরে পেলাম স্বপ্নে তালাক দেখলেও তালাক হয়ে যাবে, সাম্প্রতিক কালে থার্ড আই( সম্ভবত ) জানালো বৈশাখী মেলায় গেলে তালাক হয়ে যাবে।
তালাক সম্পর্কিত বিধিগুলো খুঁজে দেখছিলাম। প্রাথমিক অবস্থায় অনেক কিছুই খুঁজে পাওয়া গেলো। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে তালাক ব্যবস্থার ব্যবহারের নিয়মকানুনের উদ্দেশ্য আমি বুঝি নি, পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় অবলা নারীদের নিয়ন্ত্রনে রাখবার জন্য এই অস্ত্রের প্রয়োগ? নাকি সমাজপতিরা কোনো না কোনো ভাবে কাঙ্গিত নারী ভোগের কামনায় এমন তালাকের অভিনয় করেন। হিল্লা বিয়ের লোভ থেকে নিম্ন আয়ের মানুষদের স্ত্রীদের উদ্ভট বিধানে তালাকে বাধ্য করা হয় কি না এটাও একটা বিবেচনা ছিলো।
কোরাণের বিধি মেনে তালাকের বিষয়গুলো উপস্থাপিত হয়েছে বাকারায় , আহযাবে এবং তালাকে। মুসলিম বিবাহবিধি নিয়েও তেমন বিশেষ কিছু বলা হয় নি, কারা কারা বৈধ স্ত্রী, কাদের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন বৈধ, সুরা নিসা আয়াত ২৩। সুরা আহজাবে যেটাতে মুহাম্মদের বিবাহ এবং তার স্ত্রীদের দায়িত্বকর্তব্য বর্ণিত হয়েছে সেটার ২৮তম আয়াতে বলা হচ্ছে- হে নবী, তুমি তোমার স্ত্রীদের বলো, তোমরা যদি পার্থিব জীবনের ভোগ ও বিলাসিতা কামনা করো তবে এসো আমি তোমাদের ভোগ বিলাসের ব্যবস্থা করে দিই আর তোমাদের ভদ্রতার সাথে বিদায় দিই।
এর প্রতিক্রিয়ার মুহাম্মদ তার স্ত্রীদের স্পষ্ট বলেছিলো তোমরা চাইলেই তালাকপ্রাপ্তা হতে পারো। তবে সেটা তালাক হিসেবে বিবেচিত হয় নি।( সূত্র বুখারী ৭ম খন্ড ১৮৯ নং হাদিস)

৩০তম আয়াতে বলা হচ্ছে হে নবীপত্নীগণ যে কাজ স্পষ্টত অশ্লীল তোমাদের মধ্যে কেউ তা করলে তাকে দ্বিগুন শাস্তি দেওয়া হবে। আর এ আল্লাহর জন্য সহজ।
আয়াত ৩২। হে নবিপত্নীগণ! তোমরাতো অন্য নারীদের মতো নও, যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কট, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল কণ্ঠে এমনভাবে কথা বলবে না যাতে অন্তরে যার ব্যধি আছে সে প্রলুব্ধ হয়। তোমরা ভালোভাবে কথা বলবে
৩৩। আর তোমরা ঘরে থাকবে, ঝেলিয়া যুগের মতো নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়িয়ো না।
জয়নবকে বিয়ে করা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার প্রেক্ষিতে বলা হচ্ছে
আল্লাহ কোনো মানুষকে দুটো হৃদয় দিয়ে সৃষ্টি করে নি।তোমাদের স্ত্রীরা যাদের সঙ্গে তোমার জিহার করেছো
(যাদের তোমরা মা বলেছো, এক অতিশয় সঙ্গমপরায়ন মুসলিম নিজের তীব্র যৌন কামনা প্রশমনের জন্য তার স্রীকে মা হিসেবে চিহ্নিত করেছিলো , অতঃপর সে তার সঙ্গে নিজেকে সঙ্গমনিরত রাখতে পারে নি পরবর্তীতে ২ টুকরি খেজুরের বিনিময়ে এই অপরাধের দায় থেকে মুক্ত হয় সে)
তাদেরকে তিনি তোমার মা করেন নি; আর পোষ্যপূত্র যাদেরকে তোমরা পূত্র বল, আল্লাহ তাদেরকে তোমাদের পুত্র করেন নি। এগুলো কেবল তোমাদের মুখের কথা। সত্য কথা আল্লাহ বলেন আর তিনিই সরল পথ নির্দেশ করে।
আল্লাহ তাই করেছেন সুরা আহজাবের ৪০তম আয়াতে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, মুহাম্মদ তোমাদের মধ্যে কোনো পুরুষের পিতা নয়, বরং সে আল্লাহর রসুল ও শেষ নবী, আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ।
এখানে ৪৯তম আয়াতে বলা আছে। হে বিশ্বাসীগণ তোমরা বিশ্বাসী নারীকে বিয়ে করবার পর ওদের স্পর্শ্ব করার পূর্বে তালাক দিলে ওদের ইদ্দতপালবে বাধ্য করবার অধিকার তোমাদের থাকবে না। তোমরা ওদেরকে কিছু দিবে ও সৈজন্যের সাথে ওদেরকে বিদায় করবে।
[মুহাম্মদের বিবি হতে রাজী না হওয়া এক মেয়ের কথা জানাই বনী জুয়ান গোত্রের মেয়ে উমাইমা বিনতে আন নুমাত বিন শাহরিলের বাসায়। মুহাম্মদ তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলো তুমি কি আমাকে তোমার হাত দিবে?
তার পাল্টা জবাব ছিলো কোনো রাজকন্যা কি সাধারণ একটা মানুষের সাথে নিজের বিয়ের সম্মতি দিতে পারে?
মুহাম্মদ অতঃপর তার শরীরে হাত রেখে তাকে আশ্বস্ত করবার চেষ্টা করলেন।
মেয়েটা জানালো পরম করুনাময়ের দোহাই আমি তোমার কাছ থেকে নিস্কৃতি চাই।

মুহাম্মদ বাইরে অপেক্ষারত আবু উসাইদকে বললেন তাকে তোমরা দুটো লিলেনের কাপড় দাও আর ওর গোত্রের কাছে ফেরত দিয়ে আসো।
আবু উসাইদ এবং শাল এর ভাষ্য মতে মুহাম্মদ উমাইমা বিন শাহরিলকে বিবাহ করেছিলেন তবে উমাইমার তাকে পছন্দ হয় নি। তাই তাকে তার গোত্রের কাছে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলো মুহাম্মদ। ]( সূত্র সাহীহ বুখারি, ৭ম খন্ড হাদিস ১৮১, ১৮২)
সুরা বাকারার ২২১তম আয়াতে বলা হচ্ছে তোমরা অবিশ্বাসীদের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ো না কিংবা তোমাদের কন্যাদেরও তাদের সাথে বিবাহ দিয়ো না। অবিশ্বাসী নারীর তুলনায় বিশ্বাসী দাসী ভালো, অবিশ্বাসী পুরুষের তুলনায় বিশ্বাসী দাস ভালো।

সুরা মায়িদার ৫ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে- তোমাদের জন্য সকল ভালো জিনিষ হালাল করা হলো.............., এবং বিশ্বাসী সচ্চরিত্রা নারী ও তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কেতাব দেওয়া হয়েছে তাদের সচ্চরিত্রা নারী তোমাদের জন্য বৈধ করা হলো, যদি তোমরা তাদেরকে মোহর প্রদান করো বিয়ের জন্য, প্রকাশ্য ব্যভিচার বা উপপত্নী গ্রহনের জন্য নয়।
সুরা মুমিনুনের ৫,৬, ৭ নম্বর আয়াতে আছে
যারা নিজেদের যৌনঅঙ্গকে সংযত রাখে তবে নিজেদের পত্নী বা তার অধিকারভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে অন্যথা করলে তারা নিন্দনীয় হবে না। অবশ্য কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা সীমালঙ্ঘন করবে। অবিশ্বাসীদের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন অবৈধ,
সুরা মুমতাহানার ১০ নম্বর আয়াতে আছে-
হে বিশ্বাসীগণ বিশ্বাসী নারীরা দেশত্যাগী হয়ে তোমাদের কাছে এলে তোমরা তাদেডকে পরীক্ষা কোরো, যদি তারা বিশ্বাসী হয় তাহলে তাদের অবিশ্বাসীদের কাছে ফেরত পাঠিয়ো না, বিশ্বাসী নারীরা অবিশ্বাসীদের জন্য বৈধ নয়, অবিশ্বাসীরা যা খরচ করেছে( স্ত্রীর ভরণপোষণের জন্য) তা তাদেরকে ফিরিয়ে দিয়ো। এরপর তোমরা তাদের বিয়ে করলে তোমাদের কোনো পাপ হবে না, যদি তোমরা তাদের দেনমোহর দাও । তোমরা অবিশ্বাসী নারীদের সাথে দাম্পত্যসম্পর্ক বজায় রেখো না। তোমরা ফেরত চাইবে যা তোমরা খরচ করেছে অবিশ্বাসীরা ফেরত চাইবে যা তারা খরচ করেছে।
আয়াত ১১: তোমাদের স্ত্রীফের মধ্যে কেউ যদি হাতছাড়া হয়ে অবিশ্বাসীদের কাছে চলে যায়, তবে যাদের স্ত্রী হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে তাদেরকে তারা যা খরচ করেছে তার সমান অর্থ দিবে, যদি তোমাদের সুযোগ আসে।

তবে কোথাও কন্যা হিসেবে নিজের ভবিষ্যত স্বামী বেছে নেওয়ার সুযোগ নেই। এমন কি অবিশ্বাসীকে নিজ আগ্রহে বিয়ে করার অধিকারও তার নেই। এটাতে চাইলে পিতা বাধা দিতেই পারে। স্বামীর খপ্পর থেকে মুক্ত হয়ে যদি কোনো অবিশ্বাসী পুরুষের কাছে যেতে পারে মেয়েরা শর্ত একটাই পুর্বতন স্বামী তার জন্য যা খরচ করেছে সেটা ফেরত দিতে হবে তাকে।

বাংলাদেশের অনুবাদকের শোভনতা বোধ চমৎকার। সুরা বাকারার ২২২তম আয়াত

002.222
YUSUFALI: They ask thee concerning women's courses. Say: They are a hurt and a pollution: So keep away from women in their courses, and do not approach them until they are clean. But when they have purified themselves, ye may approach them in any manner, time, or place ordained for you by Allah. For Allah loves those who turn to Him constantly and He loves those who keep themselves pure and clean.

অনুদিত হয়েছে শোভনতা সহকারে, লোকে তোমাকে ঋতুঃস্রাব সমন্ধে জিজ্ঞাসা করে। তুমি বলো তা অশুচি। তাই রজঃস্রাবকালে স্ত্রীসঙ্গ বর্জন করবে, আর যতদিন না তারা পবিত্র হয়, তাদের কাছে সহবাসের জন্য যেয়ো না। তারপর তারা যখন পরিশুদ্ধ হবে তখন তাদের কাছে ঠিক সেইভাবে যাবে যেভাবে আল্লাহ তোমাদের আদেশ দিয়েছেন।

আল্লাহ কিভাবে স্ত্রীসঙ্গের নির্দেশ দিয়েছেন তা আছে ঠিক এরপরের আয়াতে । আয়াত ২২৩। তোমাদের স্ত্রীরা তোমাদের শস্যক্ষেত্র।অতএব তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেত্রে যেভাবে ইচ্ছা যেতে পারো।

আয়াত ২২৬, যারা নিজেদের স্ত্রীর কাছে না যাওয়ার শপথ করে , তারা ৪ মাস অপেক্ষা করবে, তারপর তারা যদি ফিরে যায়, তবে বিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল।পরম দয়ালু।২২৭. আর যদি তারা তালাক দিতে সংকল্প করে তবে তো আল্লাহ সব শোনেনে এবং জানেনে।

২২৮- তালাকপ্রাপ্তা নারীরা ৩ রজঃস্রাবকালীন সময় প্রতীক্ষায় থাকবে। তারা আল্লাহ এবং পরকালে বিশ্বাসী হলে তাদের গর্ভে আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন তা গোপন রাখা তাদের পক্ষে বৈধ নয়। আর এই সময়ের মধ্যে তাদের স্বামীদের তাদেরকে পুনরায় স্ত্রী হিসেবে গ্রহনের অধিকার আছে। নারীদের তেমনই ন্যয়সংগত অধিকার আছে যেমন আছে নারীদের উপরে পুরুষদের, কিন্তু নারীদের ওপর পুরুষের মর্যাদা আছে।

002.228
YUSUFALI: Divorced women shall wait concerning themselves for three monthly periods. Nor is it lawful for them to hide what Allah Hath created in their wombs, if they have faith in Allah and the Last Day. And their husbands have the better right to take them back in that period, if they wish for reconciliation. And women shall have rights similar to the rights against them, according to what is equitable; but men have a degree (of advantage) over them. And Allah is Exalted in Power, Wise.

পুরুষেরা সামান্য হলেও উপরে আছে নারীদের।

২২৯. এ তালাক ২ বার, তারপরে স্ত্রীকে হয় ভালোভাবে রাখবে বা সদয় ভাবে পরিত্যাগ করবে। আর স্ত্রীদের যা দিয়েছিলে তা ফেরত নেওয়া তোমাদের পক্ষে উচিত হবে না। ....... যদি স্ত্রী কোনোকিছুর বিনিময়ে নিস্কৃতি পেতে চাইলে তাতে কারও কোনো পাপ নেই।
(স্ত্রীর স্বামীকে তালাক দেওয়ার অধিকার নেই তেমন। পুরো ব্যবস্থাটাই পুরুষতান্ত্রিক একটা কাঠামোর ভেতরে চলে এসেছে। এখানে নারী পুরুষের মর্জিমফিক বিছানায় যাবে, সঙ্গমে লিপ্ত হবে, সঙ্গমের আসনসংক্রান্ত কোনো বিবেচনা তাদের নেই, তাদের স্বামীরা ইচ্ছা করলেই তাদের দুরে রাখতে পারবে, ইচ্ছা করলেই তাদের সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হতে পারবে। তবে নারীর পুরুষের উপরে অধিকার বর্তমান, যেটাতেও পুরুষ খানিকটা মর্যাদার আসনে থাকবে, এবং নারী যদি তালাক চায় তবে কোনো কিছুর বিনিময়ে তাকে তালাক পেতে হবে।

যেমনটা হয়েছিলো হাবিবার ক্ষেত্রে, তাকে উপহার দেওয়া বাগান ফেরত দিতে হয়েছিলো। থাবিত বিন কায়েসের স্ত্রীর ক্ষেত্রে স্ত্রীকে উপহার দেওয়া ২টা বাগান তালাকের পুর্বশর্ত হিসেবে থাবিতকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলো মুহাম্মদ। একবার থাবিত ইবনে কায়েস হাবিবাকে পিটিয়ে জখম করলো। পরদিন সকালেই তার স্ত্রী হাবিবা উপস্থিত হলো মুহাম্মদের দরজায়। বিস্তারিত বলে তালাকের দাবি করলো। থাবিত কে ডেকে আনা হলো, মুহাম্মদ বললেন হাবিবা তোমাকে থাবিত যা দিয়েছে সেটা তোমাকে ফেরত দিতে হবে- হাবিবা সম্মতি দিলো, এবং তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে গেলো। ( ৭ম খন্ডের ১৯৭ , ১৯৮, ১৯৯তম হাদিস) আবু দাউদ( ২২১৯)

২৩০(হিল্লা বিয়ের নির্দেশনা) তারপর যদি ঐ স্ত্রীকে যে তালাক দেয় তবে যে পর্যন্ত না ঐ স্ত্রী অন্য স্বামীকে বিবাহ করছে তার পক্ষে যে বৈধ হবে না। তারপরে যদি দ্বীতিয় স্বামী তাকে তালাক দেয় তবে তাদের আবার মিলনে কারও কোনো দোষ নেই।
২৩১ আর যখন তোমরা স্ত্রীদের তালাক দাও এবং তারা ইদ্দতকাল পুরন করে তখন তাদের যথাবিধি রেখে দিবে বা তাদেরকে ভালোভাবে বিদায় দেবে..........................

২৩২ আর তোমরা যখন স্ত্রীদের তালাক দাও আর তারা তাদের ইদ্দত কাল পুর্ণ করতে থাকে তখন তারা যদি পরস্পর সম্মত হবে তাদের পূর্বের স্বামীদের বিধিমতো বিয়ে করতে চায় তবে তাদেরকে বাধা দিবে না।

তবে বুখারীর এই হাদিসটাও বিবেচিত হতে পারে। যেখানে বলা হয়েছে ইদ্দতকাল পূর্ণ হবার পরে অবশ্যই স্বামীকে স্পষ্ট ঘোষণায় তালাক দিতে হবে। এই বাধ্য করবার বিষয়টাও অদ্ভুত।
Volume 7, Book 63, Number 213:
Narrated Nafi:
Ibn 'Umar used to say about the Ila (which Allah defined (in the Holy Book), "If the period of Ila expires, then the husband has either to retain his wife in a handsome manner or to divorce her as Allah has ordered." Ibn 'Umar added, "When the period of four months has expired, the husband should be put in prison so that he should divorce his wife, but the divorce does not occur unless the husband himself declares it. This has been mentioned by 'Uthman, 'Ali, Abu Ad-Darda, 'Aisha and twelve other companions of the Prophet ."

২৩৪. তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী রেখে মারা যায় তাদের স্ত্রীরা ৪ মাস ১০ দিন অপেক্ষা করবে। যখন তারা ইদ্দতপূর্ণ করবে তারা নিজেদের জন্য বিবাহ করলে তাতে তোমাদের কোনো পাপ হবে না।

২৩৫ আর তোমরা যদি আভাসে ইঙ্গিতে উক্ত নারীদের বিয়ের প্রস্তাব করো বা অন্তরে তা গোপন রাখো তাতে তোমাদের কোনো দোষ হবে না। আল্লাহ জানেন যে, তোমরা তাদের সমন্ধে আলোচনা করবে।কিন্তু বিধিমতো কথাবার্তা ছাড়া গোপনে তাদের কাছে তোমরা কোনো অঙ্গীকার করো না।নির্দিষ্ট সময় পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তোমরা বিয়ে সম্পন্ন করবার সংকল্প গ্রহন কোনো না। [sb]( বিয়ে সম্পন্ন বলতে এখানে যৌনসম্পর্ক স্থাপনটাই বুঝানো হয়েছে) মৌখিক স্বীকারোক্তি, দেনমোহর প্রদান এবং উপস্থিত সুধীজনের সামনে শপথগ্রহনপূর্বক কাউকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহন করলেই সেটা বিয়ের সম্পূর্ণতা দেয় না। যতক্ষণ না শাররীক সম্পর্ক স্থাপিত হয় ততক্ষণ দেন মোহরানার অধিকার জন্মায় না, বিয়ে সম্পূর্ন সম্পন্ন হয় না।)[/sb]

২৩৬. স্ত্রীদেরকে স্পর্শ্ব করবার বা দেনমোহর ধার্য করবার পূর্বে যদি তোমরা তাদেরকে তালাক দাও তবে কোনো পাপ হবে না। কিন্তু তাদেরকে যথাসাধ্য উপযুক্ত খরচপত্র দিয়ো। ..................
২৩৭. আর তোমরা যদি স্পর্শ্ব করবার পূর্বে স্ত্রীকে তালাক দাও অথচ দেনমোহর পূর্বেই ধার্য করা থাকে তাহলে নির্দিষ্ট দেনমোহরের অর্ধেক তোমাদের আদায় করতে হবে যদি না স্ত্রী কিংবা যার হাতে বিবাহবন্ধন যে মাফ করে দেয়। আর মাফ করে দেওয়াই আত্মসংযমের কাছাকাছি।
[sb](কথাটা সত্য, ইসলামী বিবাহে দেনমোহর মূলত স্ত্রী অঙ্গ ব্যবহারের অধিকারপ্রাপ্তির জন্য প্রদেয় অর্থ। যেখানে স্ত্রীঅঙ্গ ভোগের কোনো সুযোগই তৈরি হলো না সেখানে অহেতুক অর্থ প্রদান করে ক্ষতির মুখে পড়বার কোনো মানে নেই।)[/sb]

২৪০. আর তোমাদের ভেতরে যারা স্ত্রী রেখে মারা যায় তারা তাদের স্ত্রীদের জন্য এই অসিয়ত করবে যে, তাদেরকে যেনো এক বছর পর্যন্ত ভরণপোষণ দেওয়া হয়। আর বাড়ী থেকে বের করে দেওয়া যেনো না হয়। কিন্তু তারা যদি বের হয়ে যায় তবে তারা নিজেদের জন্য তাদের অধিকারমতো যা করবে তাতে তোমাদের কোনো পাপ নেই।
২৪১. আর তালাকপ্রাপ্তা নারীদের বিধিমতো ভরণপোষণ করা সাবধানিদের কর্তব্য।
তবে এ বিধিও অকাট্য ছিলো না। পরবর্তিতে এ নিয়েও আলোচনা হবে। সাহীহ হাদিসে ঠিক কিভাবে এসেছে এই অধিকারগুলো। অধিকারগুলো পালিত হয়েছিলো কি না।


মন্তব্য

নজমুল আলবাব এর ছবি

এই লেখায় কোন কমেন্ট নাই!
কোন রেটিং নাই!
আশ্চর্য সচলের হইছেটা কি?

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

স্রেফ লেখার আকারের কারণেই প্রথমে পড়া হয়নি। তবে চোখ বুলিয়ে বুঝে নিয়েছিলাম যে এই জ্ঞানটুকু খুব দরকার। খাইছে খুঁজে বের করে পড়ে নিলাম। লেখকের কাছে আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি এত যত্ন ও গবেষণা করে লেখা একটি পোস্ট পড়তে দেরির জন্য। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।