ফাদার লুকাস মারান্ডি ॥॥ সাহায্য দরকার

পলাশ দত্ত এর ছবি
লিখেছেন পলাশ দত্ত (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৮/০৯/২০০৮ - ৪:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সতর্কতা ॥ এখানে তথ্য দিলে আপনাদের কোনো লাভ হবে না। শুধু আমিই আর্থিকভাবে লাভবান হবো।

[i]ফাদার লুকাস মারান্ডি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাদের হাতে নিহত হয়েছিলেন। আমি তার একটা ছোটো জীবনী লিখবো।

ফাদার লুকাস মারান্ডি সম্পর্কে তথ্য প্রয়োজন। বিশেষ করে ভারতীয় কেউ যদি এই লেখাটা দেখে থাকেন, তাহলে তার কাছ থেকে লুকাসের শৈশব, পরিবার, সমাধি ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য দরকার।

জীবনী লেখার কাজটা করতেছি টাকার বিনিময়ে। আপনাদের যে-কারো দেয়া তথ্যে আমার আর্থিক লাভ হবে! এই বিষয়টি মাথায় রেখেই তথ্য দেবেন! এই তথ্য সম্পূর্ণ স্বার্থপরের মতো নিজের লাভে ব্যবহার করবো![/i]

====================================
আপাতত লুকাস সম্পর্কে নিজের কাছে এইটুকু তথ্য আছে-

Fr. Lucas Marandi:

The Good Shepherd does not run away

Birth : 4 August 1922, in Beneedwar

Ordination 1 December 1953, in Dinajpur

Death 21 April 1971, in Ruhea

The death of Fr. Lucas Marandi deserves special mention.

When the bloody crackdown by the Pakistan Army upon the whole population of former East Pakistan took place in 1971, Fr. Lucas was in charge of the parish of Ruhea for less than two years. He was not only a good pastor to the Christian community, his nationalist feelings were also boundless and he felt very strongly for his country.

The untold acts of merciless repression by the Pak Army provoked the flight to India of millions of people. News came to Fr. Lucas that elsewhere in the diocese four mission centers had been looted and abandoned. In the zone of Ruhea itself almost the entire minority group and many Moslems had taken shelter in India, from where appeals were coming to him to be quick and cross over. At last Fr. Lucas took a decision and after loading the mission bullock cart with the parish archives and his own belongings, moved westwards. The border, marked by the river Nagor, was six miles away. The priest reached the border on his motor cycle, and stood on the riverbank waiting for the cart. When it arrived, they crossed together, but after climbing on the Indian side, he turned to look in the direction of his mission. He stood there in silence and concentration for a long time. His companions understood the crisis that was storming inside his soul, and finally they called out: "Well, Father, let's go now!" At last Fr. Lucas turned and with a voice heavy with emotion said: "No, it has all been a mistake! Let's go back to Ruhea!" He did not wait for their reaction. He caught hold of his Vespa and quickly descended with it into the stream, climbed back onto the Pakistani side of the border, started his vehicle and roared away.

Back at the mission he passed three days in deepening loneliness, uncertainty and stark fear. Then suddenly a jeep, full of armed men, stopped in front of the mission house. Fr. Lucas came out to greet them and they accepted tea and biscuits from him. When at last they departed and went north, the poor man let out a sigh of relief. But after three hours they were back. Fr. Lucas came out again, but they pushed him inside the house and only the walls of his room could tell all they did to him for the next fifteen minutes. At last they rushed out, jumped onto the jeep and sped away. Fr. Lucas was found dying. He was utterly disfigured with countless bayonet wounds on his face.

The last handful of Catholics left in the vicinity of the mission gathered and decided to run away, carrying along their wounded priest to India, where treatment could be possible. The bullock cart was made ready and, with the dying priest lying on it, the sad group took the way westwards. But it was not out of sight when Fr. Lucas died.

The cart went on with his dead body which was buried in the graveyard of the Islampur mission in India, Meanwhile, out of nowhere a crowd of looters suddenly surfaced and started ransacking the mission which, in a few hours, was left like an empty shell.


মন্তব্য

শিক্ষানবিস এর ছবি

লুকাস মারান্ডির নাম এই প্রথম শুনলাম। বুঝতেই পারছেন, আপনাকে কোন সাহায্য করতে পারব না। তবে, ধন্যবাদ দিতে পারি এমন একজনের কথা জানানোর জন্য। মুক্তিযুদ্ধ সংশ্লিষ্ট নতুন কিছু শুনতে সবময়ই ভাল লাগে।
ফাদার লুকাসের জীবনী সুন্দরভাবে শেষ হোক, এই কামনা করছি।

হিমু এর ছবি

আপনার উদ্যোগের সাফল্য কামনা করছি।


হাঁটুপানির জলদস্যু

পলাশ দত্ত এর ছবি

আহা, আপনি বোঝেননি! আমি তো এই উদ্যোগে গিয়ে পড়ছিলাম টাকার কল্যাণে। এক বন্ধু বললো, জীবনী লিখবেন? আমি বললাম টাকা পাবো? সে বললো পাবেন। সেই গিয়ে পড়লাম। কয়েকটা নাম শুনে বেছে নিলাম ফাদার লুকাস মারান্ডিকে।

তারপর নতুন আবিষ্কার আর তার মহত্ত্বের খবর জানতে জানতে জানার চেষ্টায় পিলে চমকে যাচ্ছে। আর মাঝেমধ্যে নিজেকে এবং অন্যদেরও জানিয়ে দিচ্ছি, আমি কাজটা শুরু করছিলাম টাকা পাবো বলে। এবং শেষ করলে আসলেই নাকি টাকা দেবে!

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

আরিফ জেবতিক অফলাইন এর ছবি

এলাকায় চলে যান , এলাকার বুড়োদের সাথে কথা বলুন , অথেনটিক খবর পাবেন ।

ব্লগের ছাড়া ছাড়া তথ্যে কতোটুকু পাওয়া যাবে বুঝতে পারছি না ।

পলাশ দত্ত এর ছবি

ভদ্রলোকের জন্ম তো ভারতে। তবু একবার যাবো দিনাজপুর। তিনি তো জীবন হারাইছিলেন ওইখানেই।

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপাতত কিছু জানা নাই। চেষ্টা করবো জানতে। পারলে আপনাকেও জানাবো।
আর টাকার বিনিময়ে হইলেও উদ্যোগটা সফল হউক।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

পলাশ দত্ত এর ছবি

হ্যা, দ্যাখেন কী অদ্ভুত ব্যাপার! এরকম একটা লোকের নাম জানলাম তার খবর পেলাম স্রেফ টাকার জন্য একটা কাজ করতে গিয়ে! দুর্ভাগ্য একেই বলে। এখন কেবলই মনে হয় কাজটা আমি শুরু করছিলাম টাকার জন্য। (আমার এই মন খারাপ দূর করবে কে?)

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

সৌরভ এর ছবি

গুগল করে যা পাওয়া গেলো, আপাতত তাই দিয়ে সাহায্য করতেসি।

ইটালিয়ান একটা সাইটে তার জীবনী (বেশ খানিকটা লম্বা) পাওয়া গেলো। পাদ্রি লুকাস মারান্ডি।
ইটালিয়ান থেকে ইংরেজিতে যন্ত্র-অনুবাদ করে নিতে পারেন নিচের জায়গাগুলো থেকে।
গুগল ট্রানস্লেট অথবা ব্যাবেলফিশ

আপাতত, ইটালিয়ান সাইটটার ইংরেজি যন্ত্র-অনুবাদ এখানে


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

পলাশ দত্ত এর ছবি

গুগল থেকে আমিও কিছু পেয়েছি। আশা করছি আপনার তথ্যটা আমারটার সঙ্গে মিলবে না। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

সৌরভ এর ছবি

চেক একটা সাইট থেকে।
লুকাস মারান্ডি নিয়ে তথ্য থাকতে পারে এই লিংকে। পিডিএফ, এইচটিএমএল

লুকাস কে নিয়ে ওই পিডিএফ ফাইলে জার্মান ভাষায় যা লেখা আছে, তা নিচে দিলাম। সচলায়তনের জার্মান পন্ডিতদের বিরক্ত করতে পারেন অথবা উপরের যন্ত্রদের লিংকে জার্মান-ইংরেজি করে দেখতে পারেন।

In dieser Pfarrei lebt ein Andenken an Pater Lucas Marandi, welcher 1971 getötet wurde, da er sich damals gegen das Foltern von Hindus bei der pakistanischen Armee einsetzte. Er hat sehr viel für die Unabhängigkeit des Landes getan und musste dafür sein Leben lassen. Die katholische Kirche wirkt hier durch Betreuung von Kindern, die sie von überallher aufnimmt. Denn durch diese Kinder be-kommen sie die Möglichkeit, zu ihren Eltern nach Hause zu gehen und so den Glauben zu verkünden.
Der Bau der Kirche „Lady of Fatima“ kostete ungefähr 4.500 Euro. Sie feiern jeden Tag die heilige Messe und beten zweimal pro Tag den Rosenkranz mit allen Schülern gemeinsam.


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

পলাশ দত্ত এর ছবি

আবারো ধন্যবাদ। আর তো কিছু দেওয়ার মতো নাই।

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

উদ্যোগ সফল হউক। তবে জেবতিক ভাই খারাপ বুদ্ধি দেয় নাই। ব্যাগ গুছিয়ে রওয়ানা দ্যান!

পুতুল এর ছবি

"এই গীর্জা ফাদার পিটার লুকাস মারান্ডির স্মৃতির উদ্দেশ্যে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী সৈন্যদের নির্জাতন থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রক্ষা করতে গিয়ে তিনি নিজে প্রাণ হারান। দেশটার স্বাধীনতার জন্য তিনি নিজের জীবন দান করেন। এই ক্যাথলিক গীর্জা, দূর-দূরান্ত থেকে আগত শিশুদের আশ্রয় দেয়। „Lady of Fatima“ গীর্জার নির্মাণ ব্যয় ৪৫০০ ইউরো।
সব শিক্ষার্থীরা এখানে দৈনিক দুবার প্রার্থনা করে।"

সৌরভ ভাইয়ের জার্মান কথাগুলোর বাংলা অনুবাদ কিছুটা এই রকম।
মনে হয় কথাগুলো কোন স্মৃতি ফলকে লেখা বা খোদাই করাও হতে পারে। আমার ধারনা উপরের কথাগুলো ভদ্রলোকের শেষ কর্মস্থল দিনাজপুরেই তার স্মৃতির উদ্দেশ্যে নির্মিত কোন চার্চের নমফলকে লেখা থাকবে।
আপনার লেখাটা ভাল ভাবে শেষ হোক। কত মানুষ আমাদের দেশটার জন্য জীবন দিয়ে গেল! আমরা তাদের কী ভাবে কৃতজ্ঞতা জানাব।
নমস্কার ফাদার মারান্ডি।
**********************
কাঁশ বনের বাঘ

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

পলাশ দত্ত এর ছবি

আপনার ধারণ সম্ভবত ঠিক। তবে আমি যেটুকু জানি যে ফাদার লুকাসের সমাধিটা নাকি ভারতে। ব্যাপক খাটাখাটনি করতে হবে দেখতেছি!

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

পুতুল এর ছবি

আপনার কাজটা তাহলে আর একটু কঠিন হয়ে গেল।
যদি কোন ভাবে সাহায্য করতে পারতাম!
শুভ কামনা রইল।
**********************
কাঁশ বনের বাঘ

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আমি ভাই আপনার থেকেও স্বার্থপর। সফলভাবে জীবনীটা শেষ করুন। কারণ তখন পূর্ণাঙ্গরূপে জানতে পারবো সব কিছুই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍মুক্তিযুদ্ধ সংশ্লিষ্ট সমস্ত প্রকল্প সফল হোক।
বর্তমান প্রসঙ্গে সহায়তা করতে পারছি না বলে দুঃখিত। পড়তে পড়তে ভাবছিলাম গুগলানোর কথা। কিন্তু সৌরভ আমার অগেই কাজটি করে দিয়েছে।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
শেষ বিচারের আসরে উকিল নিয়োগের ব্যবস্থা না থাকলে ক্যাম্নে কী!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আমার কিছু ধর্মপ্রান( চোখ টিপি ) ক্যাথলিক দোস্ত ছিলো, অনেকদিন যোগাযোগ নাই । পাত্তা লাগাইছি, খবর পেলে জানাবো ।
আপনি কোন ক্যাথলিক ফাদারের থ্রোতে খবর নেন । এদের নেটোয়ার্ক এবং ইনফর্মেশন ফাইলিং বিশাল ।
-------------------------------------
"শিয়রের কাছে কেনো এতো নীল জল? "

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

পলাশ দত্ত এর ছবি

কাল থেকে রাস্তায় নামবো। ঢাকার খ্রিস্টান ভাইদের কাছ থেকে যদি কিছু পাই। আমি আসলে বিপদেই পড়ে গেছি। শালা টাকার লোভে কেনো যে গেছিলাম ওইখানে!

তবে এই ভেবে ভালো লাগতেছে ফাদার লুকাসের গল্পটা হয়তো এরপর কেউ কেউ জানবে।

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।