মুখ লিখব, না, মুখোশ লিখব?

কুলদা রায় এর ছবি
লিখেছেন কুলদা রায় [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২৭/০৬/২০১১ - ১০:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
অন্তর্জালের সুবাদে আমি ইচ্ছেমত লেখার সুযোগ পেয়েছি। আগে পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদকের কাছে ধর্ণা দিতে হত। লিটিল ম্যাগাজিনে কায়দা করে যোগাযোগ করতে হত। মুশকিল হল, আমাদের দেশে তো দেশপ্রেম গেছে একাত্তরের পরে। তার বদলে পয়সাপ্রেম এসে পড়েছে। সে সময় থেকে নানা ধরনের কায়দাবাজির জন্ম হয়েছে।

আর নব্বইয়ে এসেছে কর্পোরেটওয়ালা মিডিয়াগুলো। তারা একদিকে কালো টাকা রোজগার করছে—অন্যদিকে সংবাদপত্র বের করছে। নতুন পুরনো বিপ্লবী, অতিবিপ্লবী, প্রতিবিপ্লবী ভাড়া করে জনগণের মগজধোলাই করছে। এর মধ্যে আবার সুশীলরা এসে গেছেন। তারা বেশ মুখোশ পরে কখনো গণতন্ত্রের নামের ফাঁকে ফোঁকরে সেনাতন্ত্রের কাঁথা সেলাই করছেন। আর রাজাকাররা সেই কাথায় মেইড ইন পাকিস্তান সিল লাগাচ্ছে। সেই কাঁথাটা ইউনুস সাহেব নরওয়ে পাঠিয়ে নো-বেল পেয়ে যাচ্ছেন। তা দেখে শেখ হাসিনা গাল ফুলিয়ে গোস্বাও করছেন। এক্ষেত্রে বদরুদ্দিন উমরে আর হাসিনার মিল করে ঝিলমিল। ফাঁকে ফরহাদ সাহেবরা বিপ্লব ছিনতাই হয়ে গেছিল একাত্তরে বলে বলে মুখে ফেনা তুলে মাহমুদুর রহমানের লগে বসে জিকির তুলছেন--এখন খালেদা জিয়াই ভরসা। বিপ্লবের ইশারা তারা গোলাম আযমের দৈনিক নয়া দিগন্তে দেখছেন। ফলে পাবলিকের হাতে হেরিকেন। বলেন, হক মওলা।

২.
এইকালে আমরা যারা ভ্যাদা লোকজন, যাদের কোনো মুরোদই নেই গাছে উঠে ফল পেড়ে খাওয়ার—গাছের তলায় এসে কাড়াকাড়ি করে তলার পড়ে থাকা ফলগুলোও সাবাড় করার—তারা সেকালে লেখক হতে পারি নি। অন্তর্জাল এসে এই ভ্যাদাগুলোকে একটা মওকা এনে দিয়েছে। দিয়েছে—ফেসবুক, সচলায়তন, আমু, সামু, খামু, ইত্যাদি ইত্যাদি সামাজিক ব্লগ। কাউকে ধরার দরকার নেই। দরকার নেই মামু, কাকু, খালুর। ইচ্ছে মত লেখো। আর ইচ্ছে মত পোস্ট দাও। ইচ্ছেমত মন্তব্য কর। কে ঠ্যাকায়। কেউ ঠেকালে সামু ছেড়ে আমুতে যাও। আমু ছেড়ে সচুতে যাও। মুক্তমনাকে সুপ্তফণা মনে হলে সোজা গুরুচণ্ডালীতে যেতে পার। না পোষালে নিজেই ফ্রি ব্লগ খুলে বস। নো প্রবলেম। লেখো। ইচ্ছে লেখো। লেখালেখির জগৎটাই পাল্টে যাচ্ছে। পুরনো মালগুলো আর গালফোলানোর সুযোগ পাচ্ছেন বলে মনে হয় না। অনেকের গাঞ্জা, মাঞ্জা, ল্যালা পুরুষের শিয়াল লেজা চুলের খ্যাতামারা ভাব সবই মাঠে মারা যাচ্ছে। লেখালেখির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।

প্রশ্ন হল, এই যে আমরা ভ্যাদামারাগণ কেন লিখব? লিখে কি চাই আমরা? লেখার দরকারটা কি আমাদের? এই প্রশ্ন আমাকে ভাবিত করছে।

৩.
লিখে যে বিপ্লব হবে না—সেটা বোঝা গেছে। লিখে খুব বেশি হলে একজন হুমায়ূন আহমেদ হওয়া যেতে পারে। তবে তার জন্য একটু কায়দা করতে হবে। সেই থোড়বড়ি খাড়া করতে হবে। একটু দারিদ্র্য, একটু রোমান্টিসিজম, একটু সেক্স। জীবনের বিশালতা নেই। এইভাবে দারিদ্র্য, রোমান্টিসিজম আর সেক্সের মিশেল করতে পারলে শেষে বঙ্গোপসাগরে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে বাগানবাড়িও করা যেতে পারে। গাজিপুরে শালবনে সিনেমাপুরী করা যেতে পারে। প্রকাশকগণ টাকা নিয়ে ঘুরবে। আর কি? পয়সাকড়িই যদি অন্বিষ্ট হয়—তাহলে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী আবুল হোসেন কিংবা বিএনপির ফালু কাগুর পুকুরডাকাতির পন্থাইতো তো বেস্ট। অথবা জামাতের মীর কাশেমের তরিকা কি খারাপ?

এইসব তরিকাপোষক শেখ হাসিনা বই টই ছাপা করেন মাঝে মাঝে। ভাবছি, খালিদা জিয়া কবে করবেন? করবেন নিশ্চয়ই অচিরেই বুড়াকালেও কি করে সহজে চুল ফোলানোর জাতীয়তাবাদি কৌশল শিরোণামে। একাত্তরের ঘাতক গোলাম আজম লিখেছেন--একাত্তরে আমরা ভুল করি নাই। কিন্তু, আমি শুদ্র মানুষ ক্ষুদ্র ফানুষ কুলদা রায়, যার সাতকুলেও বাতি দিয়ে কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না পা ফাটা দাদ আটা রোগাপটকা কতিপয় অমানুষ লোকজন ছাড়া, সেই আমি বা আমরা কি লিখব? কেন লিখব? কাকে লিখব? দারিদ্র্য ছাড়া তো আমাদের আর কোনো ক্ষমতা নেই।

বিভূতি ভুষণে দারিদ্র্যের মাধুর্য আছে, মানিকে দারিদ্র্যের অমার্জন। আর হুমায়ূনে দারিদ্র্য হলুদ জামা গায়ে দিয়ে হিমু সেজে সিনেমা করে। মাটি খুড়ে জ্যোৎস্না দেখে। আমারতো মাটিও নাই। জ্যোৎস্নাও নাই। পথে বেরুলেই র‍্যাব বলে—পাইছি, এরে ধর, শালারে ক্রস ফায়ার কর? ঠা ঠা ঠা। প্রেস নোট আসছে-- ব্যাটা মুকিম গাজির লগে র‍্যাবের উপরে হামলা করতে এসেছিল। টেররিস্ট। বাধ্য হয়ে তাকে ফেলে দিতে হয়েছে। তাহলে? তাহলে কোন দারিদ্র্য নিয়ে লিখব? দারিদ্র্য নিয়ে লিখবই বা কেন? কোন ভাবে লিখব? বার্লিন দেওয়াল ভেঙে পড়ার পরে, টুইন টাওয়ার গলে যাওয়া পরে--লিমনের এক পা কেটে ফেলার পরে, আনু মোহাম্মদকে টোকাই বলার পরে-- দারিদ্র্যের ভাবটা এখন কি হবে? কোন ভাষায় এখন দারিদ্র্য কথা বলবে?

৪.
একটা দুঃখের কথা কই। একবার ভাবা গেল, বুদ্ধিবৃত্তিক মৌলবাদ নিয়ে কাজ করি। কিছু ব্রান্ড আদর্শবাদিদের সঙ্গে কথাও হল। এই পর্যন্ত। এর মধ্যে প্রকল্প শেষ। কারণ, একজন বললেন, নিপীড়িত জাতি হিসাবে সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানদের বেদনাকে বাদ দিয়ে কিছু হবে না। ভাবনায় এজন্য আগ্রাসী ব্রাহ্মন্যবাদি বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহাসিক মৌলবাদিতাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। হিন্দুত্বকে নিকেশ করতে হবে। আরেকজন বললেন, দ্যাখো বাপু, বেশি ফটর ফটর কইরো না। এই মুসলমানরা খুব খারাপ। এরা হিন্দুদের দেখতেই পারে না। এদের সব রসুনের এক গোড়া। বুঝলাম—যারা বুদ্ধিবৃত্তিক মৌলবাদ নিয়ে কাজ করতে চান—হ্যাগো মনের মধ্যেই রয়েছে মৌলবিবাদের দাড়ি ও টিকি। সুতরাং এ প্রকল্প বাদ। মৌলবাদীরা তো এই চায়।

আর এর বাইরে যারা কিছু অন্যরকম করতে চান--তাদের মধ্যে আছে ব্যক্তিগত নাম কামানোর ধান্ধা। প্রতিষ্ঠা পাওয়ার সুপ্ত বাসনা। বাসনা পূর্ণ হওয়ার ইশারা পাওয়া গেলে—ওনারা প্রথম আলোতেই লিখবেন। দৈনিক বিডিনিউজেও লিখবেন। নয়া দিগন্তেও লিখবেন। আর এটাকে কেউ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলে বলবেন, ব্যাটা ফাজিল। এরে বাদ।

অথচ আমাদের এই রসুন রসুন বিভেদের চেয়ে সম্প্রীতির ঐতিহ্যটা সুদীর্ঘকালের। খানজাহান আলীর দরগায় মুসলমানরাও যায়--হিন্দুরাও যায়। পাকিস্তানে ধীরেন দত্ত এসেম্বেলীতে বাংলা ভাষাকে রাষ্টভাষার দাবী তুলেছিলেন। আর সালাম রফিকরা বায়ান্নোতে রক্ত দিয়ে বাংলা ভাষাকে রক্ষা করেছিলেন। একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধা মুসলমান আর হিন্দুতে এক পাতেই ভাত খেয়েছেন। তাহলে কি লিখব? এই বিভেদ লিখব? না, সম্প্রীতি লিখব? সর্বনাশী ঘৃণা লিখব? না, সর্বগ্রাহ্য ভালবাসা লিখব?

৫.
অন্তর্জালের স্বাধীন আকাশে আমরা কি লিখব? মুখটাকে লিখব? না, মুখোশটাকে লিখব?


মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

মুখটাকে লিখবো আমরা। যেহেতু অন্য সকল মাধ্যম এই জায়াগাটাতেই ধরা খেয়ে যায় সেজন্য এটাই আমাদের মতো আমজনতার হাতিয়ার। আমাদের মুক্তির সোপান।

কৌস্তুভ এর ছবি

মুখটা লিখব, আর মুখোশগুলো খুলে দেব। অন্য কোথাও তো এ সুযোগ নেই।

আশালতা এর ছবি

আমরা যারা খুব বেশি সাধারন মানুষ, তারা তো সমাজে অল্প বিস্তর মুখোশ নিয়েই ঘুরিফিরি, তাইতেই বোধ হয় সত্যিকারের মুখটাকে লেখার জন্যেই হন্যে হই। তাই আমরা তো আমাদের মুখটাকেই লিখব, মুখোশ কদাপি নয়।

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

মুখোশ অন্যের খোলার বেলায় আমরা মহাবিপ্লবী বটে, কিন্তু নিজেরটা কে খুলবে? নিজের চোখের কোলের দাগ দেখই অভিভূত হয়ে পড়ি। মুখোশটাই ধারণ করি মুখ বলে। তারপরও লেখা জারি থাক, অন্তত নিজের মুখোশটা একটু তুলে তো দেখাই!

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

অতিথি লেখক (তাত্ত্বিক) এর ছবি

সুন্দর লেখা।

মুখ উঠে আসুক মুখোশে মোড়ক থেকে - এই কামনায়।

অতিথি লেখক (তাত্ত্বিক) এর ছবি

সুন্দর লেখা।

মুখ উঠে আসুক মুখোশে মোড়ক থেকে - এই কামনায়।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এই প্রথম একটা সুযোগ পাওয়া গেছে যেখানে কাউকে তেল না মেরে, কাউকে ঘুষ না দিয়ে, কারো মোসাহেবী না করে আমার বক্তব্য দুনিয়ার সবার কাছে তুলে ধরার। এখানে আমি যা কিছু বিশ্বাস করি, যা কিছু সত্য বলে জানি, যা কিছু ভালোবাসি সেগুলোর কথা লিখবো। সাথে সাথে কী কী অবিশ্বাস করি, কোন কোন বিষয়/ঘটনা/বিবৃতিকে ডাহা মিথ্যা মনে করি, কী কী ঘৃণা করি তাও লিখবো। এর কোনটাকে কেউ মুখ ভাবলো আর কোনটাকে মুখোশ ভাবলো তাতে কিছু যায় আসে না। আমি আমার চিন্তা ও কর্মে সৎ কিনা সেটা জরুরী।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ফাহিম হাসান এর ছবি
সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অবশ্যই মুখ...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

shazzad এর ছবি

হুম চিন্তার বিষয়।মনের আনন্দে লিখে যান। কোন দায়বদ্ধতা থেকে লেখতে গেলে বেশি দূর যাওয়া যায় না, যদি না তাতে মনের সায় থাকে।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

অ ভাইজান
মুখ নিয়ে আবার লিখার কী আছে
ওইটা কাটাছিড়া করলে তো সবই সমান; বাইরে নাক কান মুখ ভেতরে কংকাল
তার চেয়ে মুখোশ নিয়ে লেখাই ভালো; কতশত রং কতশত ঢং আর ভড়ং
খালি তাকিয়ে থাকলেই অটোমেটিক কলমে একেকটা মহাকাব্য হয়ে যায়

নিত্যানন্দ রায় এর ছবি

আমার ধারনা যদি পৃথীবিতে এমন কোন প্রসেস চালু করা যায় যে কেউ মিথ্যা বলতে পারবে না।( জানি না সম্ভব কি না ) মিথ্যা প্রমানিত হলে শাস্তি মৃত্যুদন্ড, তবে বোধহয় পৃথীবিটা খুব দ্রুত আরো সুন্দর হয়ে উঠত।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি
রোমেল চৌধুরী এর ছবি

বিতত বিতংস নয়, ডানাময় সুনীল আকাশ!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

তানিম এহসান এর ছবি

ভাই, আপনার লেখাটি নিজেকে আয়নার সামনে দাড় করালো! লিখতে হবে নিজেকে প্রকাশিত করার জন্য, আপন ভেতরের মানুষটার আত্মপরিচয় উদঘাটনের জন্য এবং মুখোশ খুলে দেবার জন্য। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা, তানিম

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

মুখ কি লেখা সম্ভব? শেষতক যা লেখা হয়, তা মুখোশই। মুখোশটা কেন পরা হয়, সেটাই বেশি বিবেচ্য।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

নীড় সন্ধানী এর ছবি

কোনটা মুখ আর কোনটা মুখোশ এটা বুঝতেই তো একটা জীবন কেটে যাবে। আজকে যেটাকে মুখ ভাবছি দশ বছর পরে দেখা যাবে ওটা ছিল নিখুঁত এক মুখোশ। শেষমেষ ওই পুরোনো সত্যটাই এসে দাঁড়ায়- মানুষ হলো পেয়াজের মতো, মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়।

সুতরাং মুখ নিয়ে লেখেন, আর মুখোশ নিয়েই লেখেন, শেষ বিচারটা সময়ের হাতেই ছেড়ে দিতে হবে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

পদ্ম এর ছবি

মুখোশ কিংবা মুখ।
"mediocrity and anonymity are the safestchoice. If you opt for them,you'll never face any major problems in life. But if you try to be different ... you are nobody, never even dare to think that you know more than we do. you are of no importance, you can do nothing right, your work is of no significance, but as long as you never challenge us, you will live a happy life. Always take what we say seriously and never laugh at our opinions."

"If however, you climb out of that state of mediocrity and are a success, then you are defying the law and deserve to be punished."

কথাগুলো Paulo Coelho'র The Zahir থেকে নেয়া। শেয়ার করলাম, প্রাসঙ্গিক মনে হোল তাই।

পদ্মজা।

ধৈবত(অতিথি) এর ছবি

লিখছি নিজের তাগিদে- নিজের ভাবনাকে তুলে ধরতে, লিখছি কারো তাবেদারী করে নয়, তাহলে মুখোশ লেখার কোন কারণই নেই।

কবি-মৃত্যুময় এর ছবি

দারিদ্র্যের ভাবটা এখন কি হবে? কোন ভাষায় এখন দারিদ্র্য কথা বলবে?

প্রশ্নটা আমারো!!

আর এই স্বাধীন আকাশে আমাদের বাস্তবিকার্থে কিছুক্ষণের জন্য হলেও মুখোশটা পড়তে হয়, আর তা যদি গ্রহণযোগ্যতা পায়, প্রয়োজনীয়তা থাকে তবে মুখোশটাই সই!!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।