ইচ্ছে ঘুড়ি- ০৫ (মাই ভিলেজ...)

রায়হান আবীর এর ছবি
লিখেছেন রায়হান আবীর (তারিখ: বিষ্যুদ, ১১/১২/২০০৮ - ১০:৫৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১...

রাত প্রায় এগারোটা। শুনশান নীরবতা। আমি লেপের নীচে গুটিসুটি মেরে শুয়ে আছি। হঠাৎ মাথার পেছনের জানালায় টোকা পড়ল। আমি লেপের নীচ থেকে বের হলাম। কাঠের দরজায় পাল্লা লাগানো। সেই পাল্লা খুললাম- খুব ধীরে, যেন শব্দ না হয় একদম। পাশের রুমে বাবা- মা শুয়ে আছেন।

আমি দরজা খুলে বের হলাম। আমার সামনে পাঁচ জন নারী, পুরুষ। কেউ সম্পর্কে আমার চাচা, কেউ ফুফু। তবে সবাই আমার সমবয়সী। আমি তাদের সাথে যোগ দিলাম। তারপর শুরু হলো জোছনা ভেজা গভীর রাতে আমাদের বিল ভ্রমণ। প্রায় সাত বছর আগের ঘটনা। এর মাঝে ঘটে যাওয়া কত অসংখ্য ঘটনা আমি টুপ করে ভুলে গেছি- অথচ সেই রাতের কথা মনে আছে অক্ষরে অক্ষরে। আমি আর পান্না ফুফু হাত ধরাধরি হাঁটছি- টুকটাপ গল্প করছি। পলাশ কাকা চামে একটা সেরন গোল্ড সিগারেট ধরালেন।

সাত বছর পর আবার গ্রামে গেলাম। আমার সেই রাতের নারী সঙ্গীরা এখন বাচ্চা কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়ান, কাকাদের ভুড়ি হয়েছে- তারা সেটা দুলিয়ে দুলিয়ে হাঁটেন। আমি গ্রামের বাড়িতে পা দিয়ে তাই হতভম্ব হলাম...

প্রথম দিনটা বেশ বিরক্তিকর কাটলো। একা একা বিলে হাঁটলাম খানিক্ষণ। তারপর ঘরে এসে চুপচাপ ল্যাপি ছেড়ে joey দেখা শুরু করলাম। সাত বছর পর আবার শুনশান একটা রাত নামলো। আমি লেপের নীচে শুয়ে আছি। পাশের রুম থেকে আব্বুর নাক ডাকার শব্দের তালে তালে আবার মাথার পেছনের জানালায় ছোট্ট টোকা পড়লো...আমি খুশীতে আত্মহারা হয়ে সাবধানে দরজা খুলে বাইরে আসলাম...

কি, মনে আছে আমাদের?? শহরের মানুষগুলা এমন হয় ক্যান? এতোদিনে একটা ফোনও করলোনা...

সেই দল, সেই পুরোনো চেহারা। আমরা আবার বিলের দিকে হাঁটা শুরু করলাম...

২...

পরদিন সকাল শুরু হলো এক বস্তা ডাব সামনে রেখে। শেষ ডাব খেয়েছিলাম- ক্লাস টুভেলভ এ থাকতে। চুরি করে খাওয়া সেই ডাবের স্বাদই অন্যরকম। ঢাকা শহরে এখন মসজিদের মতো ডাবের দোকানও অসংখ্য। কিন্তু সেইগুলো খাওয়া হয় নাই- বিষ মেশানো আছে কি না এই ভয়ে। দেশে যেয়ে অনেক দিনের ডাব পিপাসা চাগার দিলো। বুয়া কাটে আর আমরা ভাইরা খাই। তিনটা খেয়েই বাথরুমে দৌড় লাগাতে হলো। ডাব খাওয়ার এই এক জ্বালা। লাইন পরিষ্কার হয়ে যায়।

আমি আইলসা মানুষ। গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে হাঁটতে যাবার ইচ্ছা না হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু বাটে পড়ে হাটতে হলো। বাবা মা সাথে আছে। বিড়ি খেতে গহীন বাগানে ঢোকা লাগে। কখন কে দেখে রিপোর্ট করে দেয় এই ভয়ে। মাঝে মাঝে কিছু দৃশ্যে চোখ আটকে যায়। ক্যামেরা নিয়ে যাইনি, তাই ছবি তোলার উপায় নেই। দু চোখ ভরে খালি দেখা। আর সিগারেটে লম্বা টান দেওয়া...জীবনটা বড়ই আনন্দময়।

সকাল নয়টা। সুপারি বাগানের ভেতর...

৩...

ঈদের দুই দিন পর বুধবার রাতে ঢাকা ফিরে আসবো, একটা গেট টুগেদারে থাকতে হবে। আব্বু আম্মু রাজী হচ্ছিল না কিছুতেই। ওনারা আসবেন শনিবার। আমি দুই দিন কি খাবো এইসব ভুংচুং দিয়ে বিরত রাখার চেষ্টা করলেন। রাতের বেলা আম্মুকে অনেক কষ্টে রাজী করালাম। ফিরে যেতে হলে টিকেট বুকিং দিতে হবে- সেইজন্য সদরে খালুকে ফোন করতে হবে।

বাড়ির ভেতর নেটওয়ার্ক নেই। আমি আর আম্মু বের হলাম ফোন করার জন্য। আম্মু কথা বলা শুরু করতেই আমি দৌড়ে ঘরে ঢুকতে যেয়ে নীচু করা টিন শেডের সাথে খেলাম গগন বিদারী বাড়ি। ভাগ্য ভালো ছিল টিনে না খেয়ে বাড়ি খেয়েছি টিনের সামান্য নীচে বের হয়ে থাকা কাঠে। টিনে খেলে আর দেখতে হতোনা, সচলে ব্যানার চলে আসতো- রায়হান আবীর (১৯৮৭-২০০৮)

বাড়ি খাওয়ার পর কিছুই হয়নি ভাব করে ঘরে গেলাম। গগন বিদারী শব্দে আম্মু সহ আরও অনেকে ঘরে চলে এলেন। হারিকেন এর আলোয় দেখা গেল রক্তারক্তি কান্ড। বাপ- চাচারা মিলে রওনা দিলাম রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। প্রায় এক ঘন্টা রিকসা ভ্রমণে মাথায় হাত দিয়ে অনেক কথা মনে হচ্ছিল। এতো জোরে বাড়ি খেলাম- ব্রেন হেমারেজ হয়ে যায়নি তো? হলে তো ঝামেলা। joey এর সেকেন্ড সিজনের আরও তিন পর্ব বাকি রয়ে গেলো। একটা শর্ট ফিল্মের আইডিয়া আসছিল মাথায়, সেটাও তো লিখে ফেলা হলো না...

মাথায় বিনামূল্যে তিনটা সেলাই দিলাম। আরও দুই জায়গায় ফাটছিল- সেগুলো শুধু বাংলা সিনেমার নায়কদের মতো ব্যান্ডেজ বদ্ধ করেই ঝামেলা মেটানো হলো। সেলাইয়ের সময় হঠাৎ মনে পড়লো এক বছর আগে দেখা SIKO প্রামান্যচিত্রটার কথা। হেলথ ইন্সুরেন্স না থাকায় আমেরিকার কতো মানুষ নিজে নিজে কাটা কাটি করছে। সেই দিক থেকে আমরা ভাগ্যবান। খুব সামান্য হলেও দেশের মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে সরকারী মেডিক্যাল কলেজগুলোতে। এটলিস্ট নিজের মাথা নিজের সেলাই করা লাগছে না।

৪...

ফিরে এলাম বাসায়। নেটের বিল দেওয়া হয়নি। নেট নাই। ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে হবে। চেক বই রুমে, রুমের চাবি- কক্সবাজার। কিন্তু পরান আনচান করাতে জিপি আপুর একদিনের নেটের একটা প্যাকেজ আছে সেইটা একটিভেট করলাম। দিনভর বিজ্ঞাপনে তারা গলা ফাটায়া চিৎকার করে যে, ষাট টাকায় সারা দিন। কিন্তু দেখা গেলো আমার একাত্তর টাকা (৬০+ ভ্যাট+ ২.৩০) নাই।

আসল বিপত্তি আসলো আরেকটু পর। এসএমএসে তারা জানালো লাইন কেটে দেওয়া হবে রাত বারোটায়। ক্যাম্নে কী? আমি লাইন নিছি বিকেল চারটায়- লাইন কাটবে, আগামীকাল বিকেল চারটায়। অথচ এসএমএসে জানালো এই কথা।

পোলাপানকে ফোন দিয়ে জানা গেল, এইটাই নিয়ম। যখনি লাইন নেও, রাত বারোটায় ডিচ্ছু। বিজ্ঞাপনের কোথাও এই কথাটা কওয়া নাই। মুখ দিয়ে গালি বের হচ্ছে শুধু...আর মাত্র এক ঘন্টা আছে। মন খারাপ


মন্তব্য

নিরিবিলি এর ছবি

খুব ভাল হইছে

রায়হান আবীর এর ছবি

আমার মাথা ফাটা ঘটনাকে আম্মু ফেলছে "নামাজ না পড়ার কারণে শাস্তি" এই ক্যাটাগরিতে। তুমিও কোন ক্যাটাগরিতে ফালাইয়া দেও দেঁতো হাসি

=============================

নিরিবিলি এর ছবি

খুব ভাল হইছে দেঁতো হাসি

সবজান্তা এর ছবি

নিরিবিলি, সিমি সংক্রান্ত একটা প্রাইভেট মেসেজ আপনাকে দিয়েছি। সম্ভব হলে চেক করুন।


অলমিতি বিস্তারেণ

নিরিবিলি এর ছবি

ভাইয়া, আপনার মেসেজ আমি পেয়েছি। ধন্যবাদ

সবজান্তা এর ছবি

০১

যথারীতি চমৎকার লেখা। গ্রামের অংশটা পড়ে ভালো লাগলো। আর মনে হল, অনেকদিন ডাব খাই না।

০২

মাথা ফাটছে ? ক্লাবে স্বাগতম। আমার ফাটছিলো ৯-১০ বছর বয়সে। সাবধানে থাইকো।

০৩

গ্রামীনফোন কেন বাংলাদেশে বড় ব্র্যান্ড হওয়া মানেই কোন রকমের জবাদিহিতার উর্ধ্বে উঠে যাওয়া। গ্রামীনফোন কিন্তু এই সস্তার যুগে এসেও খুব বেশি কমায়নি কলরেট।

আমাদের ভাগ্য বন্দী এইসব কর্পোরেট চামারদের হাতে, নিয়তি !


অলমিতি বিস্তারেণ

রায়হান আবীর এর ছবি

১...

ধন্যবাদ।

২...

হে হে হে। আমার এই নিয়া পাঁচ বারের মতো ফাটলো। মুখ সহ ধরলে সাত। আমি মাথা ফাটা ক্লাবের সভাপতি মিয়া। দেঁতো হাসি

৩...

আর মাত্র চার মিনিট। 'দির ভাই জিপি মন খারাপ

=============================

রায়হান আবীর এর ছবি

ঠিক বারটার সময় আখেরি এসএমএস দিসিলো, যে তুমার নেট শ্যাষ। কিন্তু এখনও ব্রাউজ করতে পারতেছি। তারমানে কাটে নাই।

গালাগালি স্টপ করলাম। নেট না থাকলে আজকে একা বাসায় ডরেই মরে যাইতাম। দেঁতো হাসি

=============================

সবজান্তা এর ছবি

ইয়াহু মেসেঞ্জারে অডিবেলস ছিলো কিছু ( ছিলো বলছি কারণ জীবনের অল্পকিছু সময়ই আমি ইয়াহু ব্যবহার করেছি ), তার মধ্যে কিছু ছিলো ভূতের।

আমার এক বন্ধুর ভূতের ভয় বেশ প্রকট। মাঝে কি কাজে যেন ওর বাসার সবাই বাসার বাইরে ছিলো রাতে, ও একা বাসায়। গভীর রাতে ও ঘুমিয়ে পড়েছিলো পিসি ছেড়েই, আর সৌভাগ্যক্রমে স্পীকারটাও অন ছিলো। আমি কয়েকটা অডিবেলস দিলাম ভূতের, অট্টহাসি সহযোগে।

অনেকদিন হেসেছিলাম এই ঘটনায়।


অলমিতি বিস্তারেণ

রায়হান আবীর এর ছবি

দেখেন অবস্থা। যেই আগের কমেন্টা লিখে গালি উইড্রো করলাম- ওমনি লাইন দিলো কেটে। ফাজিল একটা।

ভুতের ঘটনাটায় মজাক পাইলাম। এমন ঘটনা আমার স্টকেও আছে। একদিন পোস্টাইতে হইবেক। হাসি

=============================

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

যা ব্যাটা... এইবার মাথায় হাত দিয়া বইসা থাক...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

রায়হান আবীর এর ছবি

ঠিকাছে!!

=============================

তারেক এর ছবি

আমারও কপাল ফাটছিল একবার।

আর জিপি আপুর সাথে আমিও ওয়ানডে খেলা শুরু করলাম এই কিছুক্ষণ আগে থেইকা। আমার অভিজ্ঞতা আরো মর্মান্তিক - প্রথম বার ইউজ করার সময় আমি সন্ধ্যা ৭টায় রেজিস্টার করে ভাবছি এইটা রাত বারটার পর অ্যাক্টিভেট হবে... ঘুমায়ে পড়ছিলাম। তো পরদিন ভোরে পিসি-মোবাইল কানেক্ট করে ব্রাউজ করতেসিলাম। আধাঘন্টা পর লাইন কেটে গেল আর কিছুতেই নেট এ অ্যাক্সেস পাওয়া যায় না। শেষে দেখি ব্যালেন্স ফকফকা মন খারাপ
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

রায়হান আবীর এর ছবি

যাক আপনার ঘটনাটা শুনে একটু আমোদ পেলাম। আমার চেয়েও বড় জরিমানা দিছেন দেঁতো হাসি

চলেন জিপি আপু একদিন বাইন্দা পিটাই।

=============================

অনিন্দিতা এর ছবি

আহারে... এত বার মাথা ফাটে কিভাবে?
সাবধানে না চললে তো সচলে আসতে পারবে না।

রায়হান আবীর এর ছবি

আমাদের কলেজে এক ভাই ছিল। ওনার অসংখ্য বার পা ভাংগছিল। প্রতিবার ভাঙ্গার পর উনি ডায়লগ দিতেন, ভালো হইছে এই জায়গা আর কখনও ভাংবেনা। ক্যালসিয়াম জমে পুরু হয়ে গেছে।

আমারও আর ফাটবেনা মাথা। জায়গা খালি নাই দেঁতো হাসি

=============================

মাহবুব লীলেন এর ছবি

মাথাটা আরেকটু ফাটতে পারলো না?

রায়হান আবীর এর ছবি

ভিলেন্দা এতদিন পরে একটা কমেন্ট দিলেন, তাও বদ্দোয়া। যান খেলুম না আপনার লগে। হাসি

=============================

তানবীরা এর ছবি

রায়হান তুমি এতোই পিচ্চি নাকি ??? আয় হায়।
গ্রামের শুনশান দুপুর, কিচির মিচির পাখির ডাক, জ়োনাকী পোকার আলো, ঝি ঝি পোকার সন্ধ্যাবেলা, চাদের আলোয় উঠোনে গোল হয়ে বসা, মন উদাস করা কিংবা মন খারাপ করা অজানা কোন গ্রামীন গানের সুর, এর কাছে এ সংসারের অন্যান্য সব সুখই সামান্য।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

রায়হান আবীর এর ছবি

৭২ ঘণ্টা তো ওভার হয়ে গেলো। আপনি কই এখন? বঙ্গদেশে পা ফেলছেন?

=============================

পুতুল এর ছবি

আহারে! বেচারার মাথাটা যেন ঠিক থাকে!
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

রায়হান আবীর এর ছবি

ঠ্যাংকু। হাসি

=============================

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

১ ...
লাস্ট কবে গ্রামে গেছি মনে নাই, চোদ্দ-পনের বছর হবে ... আমার দাদাবাড়ি-নানাবাড়ি সবই শহরে, সেগুলিতেও অনেক বছর হয় কেউ থাকে না ...

২ ...
বোর্ডবাজারে গন্ধ হোটেলের সামনে এক লোক ডাব নিয়ে বসে থাকতো ... মাঝে মধ্যে রাত্রে পরোটাভোজের পরে কারো কারো বিগার চাপতো ডাব খাওয়ার ... রাত সাড়ে দশটায় দামড়া দামড়া কিছু পোলা হাইওয়ের পাশে দাঁরায়ে ডাব খাচ্ছে, দেখার মত দৃশ্য ...

৩ ...
অনেকবার অনেকের কাছ থেকে পিটায়ে মাথা ফাটায়ে দেয়ার হুমকি শুনছি কিন্তু এখনো পর্যন্ত ফাটে নাই ... খাঁটি মুসলমান বানানোর প্রকৃয়াটায় সেলাইটেলাই লাগে কিনা মনে নাই [বহুকাল আগের কথা], এমনিতে কখনো সেলাই-টেলাইও দেয়া লাগে নাই ... মনে হয় ফাইনাল কোন বাঁশ দেয়ার জন্য বাঁচায়ে রাখা হইছে দেঁতো হাসি

৪ ...
জিপি আপুর নেট কখনো পয়সা দিয়া ইউজ করা লাগে নাই ... পুরাটাই ফ্রী ছিল ... দুনিয়ার সুখ অনলি অন মাই দেঁতো হাসি

................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

রায়হান আবীর এর ছবি

১...

আমার দাদা বাড়ি গ্রামে। দাদা দাদী কেউই ধরাধামে নেই। সুতরাং বিশাল বাড়ি ফাঁকা থাকে। পোলাপাইন নিয়া একটা ট্যুর দিবো ভাবছি।

২...

বোর্ডবাজারের ডাব খেয়ে এক পোলার সব নিয়ে গেছিল গতবছর। দুনিয়াজুরা পচুর গিয়াঞ্জাম।

৩...

খাঁটি বানানোর প্রক্রিয়ায় সেলাই লাগে কিনা আমারও মনে নাই। সেলাই খুব সম্ভবত লাগে না, আঠা লাগায় দেয় মনে হয়। সুপার গ্লু হো হো হো

৪...

DGM

=============================

সায়েদ এর ছবি

রায়হান,
তোমার লেখাটা পড়ে পার্টিসিপেট করতে ইচ্ছা করল।
ভালো লাগছে।
মাথা কলেজে থাকতে কয়বার ফাটছে?
আমার কপাল গেছিল একবার।
শুভেচ্ছা নিও।

রায়হান আবীর এর ছবি

সায়েদ ভাই,

অনেক ধন্যবাদ।

কলেজে থাকতে ফাটছে দুই বার। একবার পেরেন্টস ডে শেষে দুপুর বেলা আয়েশ করে একটা আপেল হাতে নিয়ে বিছানায় হেলান দিতে যেয়ে ধুম। আরেকবার একজনের দৌড়ানি খেয়ে একাডেমি বিল্ডিং এর বাথ্রুমে ঊষ্ঠা। হাসি

=============================

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

শুরুতেই বলি জিপির পি৪ প্যাকেজের কথা। বিজ্ঞাপনে যাই বলুক না কেন, যেদিন তুমি অ্যাক্টিভেইট করবা, ওইদিন রাত ১২টার সময় সেটা শেষ হয়ে যাবে, সেটা রাত ১১:৫৯ এর সময় অ্যাক্টিভেইট করলেও। আর যত খুশি তত না, ১৫০ মেগাবাইট পর্যন্ত ৬০ টাকা (ভ্যাট ছাড়া), এরপর (অথবা রাত ১২ টার পর) অটোম্যাটিক পি১ (প্রতি কিলোবাইট ২ পয়সা) চালু হয়ে যাবে। তাই তোমার লাইন কাটেনি জন্য খুশি হওয়ার কারণ নাই, তখন পি১ রেটে টাকা কাটা যাচ্ছিল চোখ টিপি

লেখার প্রথম অংশটা বেশি ভাল লাগল। মাথা ফাটার অংশ হালকার উপর চোখ বুলায়া গেলাম, আমি আবার এইসব পড়তে/শুনতে পারি না, কেমন যেন লাগে। ক্যামেরা নিয়ে যাওনি কেন? ছবি তুলে আনতে পারতা। দেঁতো হাসি


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

রায়হান আবীর এর ছবি

নেক্সট টাইম ক্যামেরা নিয়ে যাবো। সেই নেক্সট টাইম কবে আসবে কে জানে। ততদিনে হয়তো আমারে যিনি ক্যামেরা দেয়, তিনি পটল খেতে চলে যাবেন হাসি

=============================

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

তাহলে উনি পটল খেতে যাওয়ার আগেই তুমি আরেকবার গ্রাম থেকে ঘুরে আস, এই শুভকামনা করি হাসি


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

শিক্ষানবিস এর ছবি


খুব বেশী নষ্টালজিক কইরা দিলি। গ্রামবাসের কথা মনে পড়ে গেল।

আমিও আজকে গ্রামের বাড়িতে গেছিলাম। অবশ্য মাত্র ৫ মাস পর। ৫ মাস আগে একবার গেছি। কিন্তু ডাব খাওয়া হয় নাই। মাত্র মনে হইল একটা ভুল হয়ে গেছে।

ভাগ্য ভালো আম্রিকায় মাথা ফাটাস নাই!

তাড়াতাড়ি নেট নে। জরুরী কথা আছে: মাথা ফাটার কারণে যে কাজটা করতে দেরী হচ্ছে সেটা বিষয়ে।

রায়হান আবীর এর ছবি

১...

গ্রামে যেয়ে তোর বলা একটা কথার এক্সপেরিমেন্ট করলাম। ঐ যে, গ্রামে এতো শুনশান নীরবতা থাকে যে মানুষ রাতে ঘুমালে স্বপ্ন দেখে না। আমিও দেখি নাই হাসি

২...

ডাব খা।

৩...

হুম।

৪...

আজকে রাত থেকে...

=============================

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- গুরু, রং নাম্বার হয়া গেছে। আমি বিপুল উৎসাহে এইখানে কালকে করা কমেন্টের ফলোআপ দেখতে আইসা দেখি কমেন্ট নাই! পরে বুঝলাম, আরেক জায়গায় মাইরা দিছি সেই কমেন্ট। তো কী আর করা গুরু, সেই পোস্টের কমেন্ট এইখানে মাইরা দেই হাসি

'ধন্যবাদ গুরু'।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

রায়হান আবীর এর ছবি

সেই আরেকজাগা কই গুরু। চিন্তিত

=============================

কল্পনা আক্তার এর ছবি

এখন ভালো আছেন তো!

.........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা


........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

রায়হান আবীর এর ছবি

হুম ভালো আছি। তবে সেলাই করার জন্য ডাক্তার সাহেব মাঝখানের অনেকটুকু চুল নির্দয়ের মতো ফেলে দিয়েছেন। মন খারাপ

=============================

আনিস মাহমুদ এর ছবি

আমার বয়স যখন চার কি পাঁচ, তখন আমাদের বাড়ির পোষা কুকুরটার সাথে ছুটোছুটি করতে গিয়ে পড়ে গেলাম। আর সাথে সাথে আমার নিয়তি লেখা হয়ে গেল। কপালের ঠিক মাঝখানে চামড়া ফেটে রক্তারক্তি কাণ্ড। এটাকে কিছুতেই মাথা ফাটা হিসেবে অভিহিত করা গেল না। কপাল আর মাথা কি এক? যাই হোক, ইসলাম-পসন্দ লোকেরা বলল, বাহ্, ভালই হয়েছে... আল্লাহর নামের আলিফ কী সুন্দর হয়ে ফুটে উঠেছে কপালের মাঝখানে।

আর সারাজীবন ধরে আমার কপাল ফাটাই রয়ে গেল।

.......................................................................................
আমি অপার হয়ে বসে আছি...

.......................................................................................
Simply joking around...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

কপালের লিখন না যায় খন্ডন! চোখ টিপি


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

রায়হান আবীর এর ছবি

কপালের আলিফ...

হো হো হো

=============================

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

কপালের "আলিফ" না হয়ে "লায়লা" হলেই মনে হয় ভাল হইত দেঁতো হাসি


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

রায়হান আবীর এর ছবি

@ আনিস ভাই,

ব্যাপার না বস। আমরা সবাই ফাটা, আমাদেরই ফাটার রাজত্বে। হাসি

=============================

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

এই বয়সে পাঁচবার মাথা ফাটলে ক্যামনে কী!
মাথা নিজ দায়িত্বে রাখুন!

আপনার সরল গদ্য বড়ো অনবদ্য। বালা পাই হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

রায়হান আবীর এর ছবি

এখন থেকে কোথাও যাওয়ার আগে মাথা ঘরে রেখে যেতে হবে। অসুবিধা হবে না, হাঁটুতে ব্যাকআপ তো আছেই দেঁতো হাসি

=============================

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।